সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

তালায় পানিতে ডুবে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরার তালায় পানিতে ডুবে শুভশ্রী মুখার্জী (৬) নামে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনটি ঘটে। নিহত স্কুল ছাত্রী গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ও তালা উপজেলার মাগুরা চরগ্রামের শঙ্কর মুখার্জীর মেয়ে।
তালা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের তপন হালদার জানান, তার জামাতা শঙ্কর মুখার্জী বেনাপোল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চাকুরি করেন। এ জন্য নাতনি শুভশ্রী মুখার্জীকে তার বাড়িতে রেখে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি করান। বেলা ১১ টার দিকে তিনি বাড়ির পাশে গোপালপুর খালে গোসল করতে গেলে শুভশ্রী তার সঙ্গে যায়। গোসলের এক পর্যায়ে তিনি শুভশ্রীকে না পেয়ে বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে না পেয়ে খালে সন্ধান চালানোর একপর্যায়ে কয়েকজন জেলের সহায়তায় শুভশ্রীকে কাদা-পানির মধ্যে দাঁড়ানো মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে তাকে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে ডাক্তারা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান শুভশ্রীর মৃত্যুর ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঢাবি থেকে এশা’র বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার; ‘রগ কাটার ঘটনা ঘটেনি’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশার জন্য স্বস্তির খবর। তার ওপর থেকে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে ঢাবি। কবি সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জানান, সুফিয়া কামাল হলের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটি বুধবার (১৮ এপ্রিল) আইনশৃঙ্খলা কমিটির কাছে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এতে রগ কাটার কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে এশা সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণিত হলেন। রগ কাটার অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হলো।

বুধবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাবি উপাচার্য বলেছেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী কবি সুফিয়া কামাল হলে রগ কাটার কোনও ঘটনা ঘটেনি। যেহেতু রগ কাটার কোনও ঘটনা ঘটেনি, তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হল ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।’

এশাকে শারীরিকভাবে হেনস্তার ঘটনায় জড়িত ২৬ জন শিক্ষার্থীর নাম হল কর্তৃপক্ষ শৃঙ্খলা কমিটিতে জমা দিয়েছে বলেও জানান ঢাবি উপাচার্য। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে এই ২৬ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রগ কাটার ঘটনা না হয়ে থাকলে মোর্শেদা খানম কীভাবে আহত হয়েছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাবি উপাচার্যের ভাষ্য, ‘মোর্শেদা নিজেই বলেছে যে, সে নিজেই আঘাত পেয়ে পা কেটেছে। আর সে কীভাবে আহত হয়েছে তা আমার চেয়ে সে-ই ভালো বলতে পারবে। তাকে জিজ্ঞাসা করলেই যথাযথ উত্তর পাওয়া যাবে।’

এশাকে হেনস্তার ঘটনা কি পূর্বপরিকল্পিত? নাকি তেমন পরিস্থিতি হঠাৎ সৃষ্টি হয়েছে? জানতে চাইলে ঢাবি উপাচার্য কোনও কথা বলতে রাজি হননি।

গত ১১ এপ্রিল রাতে কবি সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশার বিরুদ্ধে হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোর্শেদা খানমের পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে এ ঘটনা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা রাতে কবি সুফিয়া কামাল হলের সামনে এসে এশাকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। সেদিন এ ঘটনায় হলের ভেতরের ছাত্রীরাও আন্দোলনে ফেটে পড়েন। পরে ঘটনাস্থলে প্রক্টরিয়াল টিম নিয়ে প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানী এলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে তাৎক্ষণিক মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে এশাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

একইসঙ্গে এশাকে ছাত্রলীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়। পরে ১২ এপ্রিল ছাত্রলীগ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী এশা নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ১৩ এপ্রিল ছাত্রলীগ এশার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়। তাকে হেনস্তা করার অভিযোগে ১৬ এপ্রিল মোর্শেদা খানমসহ ২৪ ছাত্রলীগ নেত্রীকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে জমির মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে বিড়ম্বনায় বহু জমি মালিক

মোস্তাফিজুর রহমান: আশাশুনিতে জমির মালিকানা পরিবর্তন (নামপত্তন) নিয়ে বিড়ম্বনায় ভুগছেন বহু জমির মালিক। ৪৫ দিনের মধ্যে নামপত্তন সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও ৫ থেকে ৬ মাস অপেক্ষা করেও নামপত্তন হাতে পায়নি উপজেলায় এমন জমি মালিক আছে প্রায় ২শতাধিক। এদের মধ্যে অনেকেই ভুগছেন বিভিন্ন অসুখে। এসকল অসুস্থ্য ব্যক্তিদের কিছু মানুষের ইচ্ছা জমির নামপত্তন হয়ে গেলেই জমিটা রেজিস্ট্রি করে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাবে বা ভালো ডাক্তার দেখিয়ে শরিরের পরীক্ষা গুলো করাবে। কেউ কেউ আবার জমি ক্রয়ের জন্য বড় অংকের টাকা দিয়ে অপেক্ষায় আছে কবে নামপত্তনের কাজ হয়ে যাবে এবং জমিটা রেজিস্ট্রি করে নিতে পারবে। প্রায় সাড়ে ৪ মাস নামপত্তনের জন্য অপেক্ষা করে অবশেষে বুধহাটা বাজারের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম প্রতিবেদককে জানান, তিনি একটা জমি ক্রয়ের জন্য টাকা দিয়ে রেখেছেন কিন্তু নামপত্তনের জন্য জমিটা রেজিস্ট্রি করতে পারছেন না। ৫মাস অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর তার জমির নাপত্তনের খোজখবর নিতে আসা জৈনক ব্যক্তি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, জমির নামপত্তনটা হয়ে গেলে রেজিস্ট্রি করে দিয়ে টাকা নিয়ে বাবাকে ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলাম কিন্তু মনে হচ্ছে সেটা আর সম্ভব হবে না কারন বাবার অবস্থা খুবই খারাপ। এ বিষয়ে কথা বললে বুধহাটা ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তা মোস্তফা মনিরুজ্জামান বলেন, নামপত্তনের কাজ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) অফিসের। এব্যাপারে আমাদের কিছু করনিয় থাকে না। একাধিক ভূক্তভোগির বক্তব্য সরকারি খরজের দ্বিগুন টাকা দিয়ে তারা প্রত্যেকে কোন না কোন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মাধ্যমে নামপত্তন কেচ ফাইল করে সেখানেই জমা দিয়েছিলেন। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিজাবে রহমত বলেন, নামপত্তনের ফাইলগুলো তদন্তের জন্য নায়েব সাহেবদের কাছে পাঠানো হয়েছে। আমি যখন আছি সব কাজ হয়ে যাবে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফ্ফারা তাসনীনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, নতুন আসছে উনাকে একটু সময়তো দেওয়া লাগবে। উপজেলার সচেতন মহলের বক্তব্য যে ফাইল গুলোর সমস্যা আছে সেগুলো হয়তো দেরি হতে পারে কিন্তু অন্য গুলোর তো এত দেরি হওয়ার প্রশ্নই আসে না। নামপত্তন বিড়ম্বনা নিরসনে জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগিরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাংবাদিকের গালে রাজ্যপালের চড়, ভারত জুড়ে তোলপাড়

সংবাদ সম্মেলনের মধ্যেই এক সিনিয়র নারী সাংবাদিকের গালে চড় মেরে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন ভারতের তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিত। পরে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যাওয়ায় এবং এই ঘটনায় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে রাজ্যপালকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি ওঠায় বাধ্য হয়েই ক্ষমা চেয়ে নেন রাজ্যপাল।

গতকাল মঙ্গলবার রাজ্যটির রাজভবনে একটি সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে বিরুদ্ধনগরের এক নারী অধ্যাপককে আটক করা হয়। অভিযুক্ত ওই নারী অধ্যাপক জানান তিনি রাজ্যপালের খুব কাছের মানুষ। এদিন তার ভিত্তিতেই সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেন রাজ্যপাল। সেখানেই অন্য সংবাদ কর্মীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন চেন্নাইয়ের (দ্য উইক) পত্রিকার স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট লক্ষী সুব্রম্মনিয়াম। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানান, সাংবাদিকরা ভিত্তিহীন প্রশ্ন করছেন। সংবাদ সম্মেলন শেষের পরই রাজ্যপাল ওই নারী সাংবাদিককে চড় মারেন বলে অভিযোগ।

ঘটনার পরই ওই নারী সাংবাদিক ট্যুইট করে রাজ্যপালের চড় মারার ছবিটি আপলোড করে দেন। একইসঙ্গে রাজ্যপালের এই ব্যবহারে খুব মর্মাহত হন বলেও জানান তিনি। এরপরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। গণমাধ্যমের কর্মী ও রাজনীতিকদের মধ্যেও বিষয়টি শোরগোল পড়ে যায়। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে চিঠি লিখে রাজ্যপালকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবিও তোলা হয়।

এরপরই সুব্রাম্মনিয়ামকে লেখা চিঠিতে রাজ্যপাল ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি জানান, ‘আমি আপনাকে আমার নাতনি হিসেবেই আপনার গালে আদর করে চড় মেরেছি। স্নেহ বা ভালবাসা থেকেই এই চড়টি মেরেছিলাম এবং একজন সাংবাদিক হিসেবে আপনার দক্ষতাকে প্রশংসা জানাতেই এই কাজটা করা হয়েছিল। কারণ আমিও একটা সময় প্রায় ৪০ বছর এই সাংবাদিকতার পেশায় ছিলাম’।

পরে ওই নারী সাংবাদিকও ট্যুইট করে চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যপালের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি গ্রহণ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরার কলারোয়ার সীমান্তবর্তী গ্রামে বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের কাদপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত কৃষকের নাম বিল্লাল সরদার (৩৫)। তিনি ওই গ্রামের ধুপচাপ সরদারের ছেলে। তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক।
চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম জানান, কৃষক বিল্লাল তার স্ত্রী আছিয়া খাতুনকে সাথে নিয়ে সকালে অন্যের পটল ক্ষেতে গিয়ে পটল তুলছিলেন। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুর্ঘটনায় রাজীবেরই ভুল দেখছেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

সড়ক দুর্ঘটনার নিহত সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব হোসেনের নিহত হওয়ার ঘটনায় রাজীবের ভুলকেই দায়ী করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে তো সড়ক ব্যবস্থাপনা দায়ী না? গাড়িটা যারা চালাচ্ছে এবং গাড়ীতে যারা আরোহী, তারা দায়ী হতে পারে? ওই ছেলেটাও ভুল করতে পারে। তার দাঁড়ানোটা সঠিক নাও হতে পারে?’

বুধবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসির সামনে হাতিরঝিলের এন্ট্রি পয়েন্টে বিআরটিএর ভ্রামমাণ অভিযান পরিদর্শনের সময সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

গত ৩ এপ্রিল কারওয়ান বাজারে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুটি বাসের প্রতিযোগিতার বলি হয়ে বিআরটিসির বাসে থাকা রাজীবের একটি হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় সে মাথাও প্রচণ্ড আঘাত পায়। গত দুসপ্তাহ ধরে চিকিৎসকরা চেষ্টা করেও জীবন-মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া রাজীব শেষ পর্যন্ত মারা যান। ১৬ এপ্রিল মধ্যরাতে লাইফ সাপোর্টে থাকা রাজীবকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার তার মরদেহ পটুয়াখালীর গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন রাজীব হোসেন। তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে তিনি মাকে হারান। আর বাবাকে হারান অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময়।

বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবারই সচেতনতা জরুরি প্রয়োজন বলে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের দেশে আজকে দুর্ঘটনা বলুন, যানজট বলুন, এগুলো আমরা যদি এড়াতে চাই, কমাতে চাই, সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে চাই তাহলে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করা খুবই জরুরি। আমাদের চালক, যাত্রী ও পথচারীদের সবারই মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি।’

এ ব্যাপারে চালকদের সচেতনতটা খুব বেশী জরুরি দাবি করে মন্ত্রী আরও বলেন, একজনের গাড়ী ওভারটেক করতে গিয়ে হাত গেল? এটার সঙ্গে সড়কের কি সম্পর্ক?

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় পৃথক ঘটনায় স্কুল ছাত্রীসহ দু’ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে ও বজ্রপাতে এক স্কুল ছাত্রীসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার গোপালপুর ও বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দিকে কলারোয়া উপজেলার কাদপুর গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন শুভশ্রী মুখার্জী (৬)। সে তালা উপজেলার মাগুরা চরগ্রামের শঙ্কর মুখার্জীর মেয়ে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী শুভশ্রী মুখার্জী (৬) ও কলারোয়া উপজেলার কাদপুর গ্রামের ধুপচাপ সরদারের ছেলে বিল্লাল সরদার (৩৫)।
গোপালপুর গ্রামের তপন হালদার জানান, তার জামাতা শঙ্কর মুখার্জী বেনাপোল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চাকুরি করে। এ জন্য নাতনি শুভশ্রী মুখার্জীকে এবার তার কাছে রেখে গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি করে দেন। বুধবার সকাল ৮টার দিকে তিনি বাড়ির পাশে গোপালপুর খালে স্নান করতে গেলে শুভশ্রী তার সঙ্গে যায়। স্নান করার একপর্যায়ে তিনি শুভশ্রীকে না পেয়ে বাড়িতে চলে আসেন। বাড়িতে না পেয়ে খালে সন্ধান চালানোর একপর্যায়ে কয়েকজন জেলের সহায়তায় শুভশ্রীকে কাদা-জলের মধ্যে দাঁড়ানো মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে তাকে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কলারোয়ার চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম জানান, বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে স্ত্রী আছিয়া খাতুনকে নিয়ে অন্যের খেতে পটলের ফুল ছোঁয়াচ্ছিলেন কাদপুর গ্রামের বিল্লাল সরদার। এ সময় আকষ্মিক বজ্রপাতে বেল্লাল মারা যায়।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান জানান, শুভশ্রীর মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ জানান, নিহত বিল্লালের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।#

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসন, সুপেয় পানিসহ সকল নাগরিক সমস্যা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন


নিজস্ব প্রতিবেদক : জলাবদ্ধতা নিরসন, সুপেয় পানি, পয়:নিস্কাশন, মশা-মাছি নিধন, প্রাণ সায়ের খাল রক্ষা, রাস্তাঘাট সংস্কারসহ সকল নাগরিক সমস্যা নিরসনের দাবিতে বুধবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা পৌরসভার সামনে নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলুর সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুলের পরিচালনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার রাস্তাঘাটগুলো চলাচলের একেবারে অনুপযোগি। শহরের মেন রাস্তায় যত্রতত্র বাস,ট্রাক পার্কি করে রাখার ফলে শহরে প্রতিনিয়ত যানজটন ও দূর্ঘটনা ঘটছে। নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক সুধাংশু শেখর সরকার বলেন, সাতক্ষীরায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। ড্রেনগুলো পরিস্কারের অভাবে পানি নিস্কাশনে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে।
নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক ওবায়দুস সুলতান বাবলু বলেন, সাতক্ষীরা পূর্ব এবং পশ্চিম পাশে বর্ষার শুরুতেই ব্যাপকভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। পানি নিস্কাশনের পথগুলো প্রভাবশালীরা দখল করার ফলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পৌর কর্র্তৃপক্ষ জোরালো পদক্ষেপ না নেওয়ার ফলেই এই সমস্যা হচ্ছে বলে আমরা মনে করি।
নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক নিত্যানন্দ সরকার বলেন, শহরে মশা মাছির উপদ্রব বেড়েই চলেছে। পৌর কর্তৃপক্ষ মশা মাছি নিধনের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। মশা-মাছির কারণেই পৌরবাসীর জনজীবন অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অবিলম্বে মশামাছি নিধনের আহ্বান জানান।
ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক ও নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য হাফিজুর রহমান মাসুম বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সুপেয় পানির ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। প্রতিটি মানুষকে পানি ক্রয় করে পান করতে হচ্ছে। পৌরসভা থেকে যে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে তা রান্না-বান্নাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করা একেবারেই অনুপযোগী। সাতক্ষীরা পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার লিটার পানি প্রয়োজন। কিন্তু পৌরসভা পানি বিতরণ করছে মাত্র ৬৫ হাজার লিটার। যা পৌরবাসীর চাহিদার অর্ধেকেরও কম। অবিলম্বে বাটকেখালী পানি প্লানটি দ্রুত চালু করার দাবি জানান।
নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, সাতক্ষীরা প্রাণসায়ের খাল শোভাবর্ধনের জন্য ৩২ লক্ষ টাকার প্রকল্প সাবেক জেলা প্রশাসকসহ পৌর মেয়র উদ্বোধন করলেন সেই কাজের কোন অগ্রগতি নেই। প্রাণ সায়ের খাল আজ সাতক্ষীরাবাসীর জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবিলম্বে প্রাণ সায়ের খালের শোভাবর্ধন ও খনন করার জন্য জোর দাবি জানান।
সদস্য সচিব আলীনুর খান বাবুল বলেন, বাঁকাল স্কুল থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত রাস্তার দুধারে বাঁশ বালি এবং পরিবহন, বালুর ট্রাক যত্রতত্রভাবে পার্র্কিং করার ফলে প্রতিনিয়ত স্কুল, অফিস ও পথযাত্রীরা দুর্ঘটনা ও দুর্ভোগে পড়ছেন। সাতক্ষীরা পৌরসভার ভিতরে যত্রতত্র বাস ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন পার্কিং বন্ধ করার দাবি জানান।
আরো বক্তব্য রাখেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রইফ উদ্দিন, বাসদের আবু তালেব, রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মতিয়ার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোমিন হাওলাদার, সদর উপজেলা ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বাবু, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্য রওনক বাসার, সালাউদ্দিন ইকবাল লোদী প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest