সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে আশা ব্রিক্সের লেলিহান শিখায় জনজীবন বিপর্যস্তসাতক্ষীরায় উন্নয়ন কাজে নিরব চাঁদাবাজী: পুলিশ পাহারায় কাজ শেষ করলো ঠিকাদারস্বাধীনতা বিরোধীদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সাতক্ষীরায় গণস্বাক্ষরদেবহাটায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে সবজি বীজ বিতরনসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে বিজয় দিবস পালনতালায় সেতু আবুলসহ ৩ জন আটকসাউথ-এশিয়ান পিপলস ডায়ালগে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এগ্রোইকোলজির গুরুত্বারোপগ্রীন টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি হলেন মীর খায়রুলস্থানীয় জাতবৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণে নেপালের পারমাকালচারের প্রতিনিধি দলসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা

ইসলামি কর্ম-কৌশল ঢেলে সাজাতে প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ দফা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমানে মুসলমানদের ভুলভাবে চরমপন্থার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে। এর আগে মুসলিমরা কখনও এত বেশি সংঘাত, অভ্যন্তরীণ গোলযোগ, বিভাজন ও অস্থিরতার মুখোমুখি হয়নি। এই অবস্থা চলতে পারে না। এ অবস্থার অবসানে তিনি ইসলামি কর্ম-কৌশল ঢেলে সাজাতে তার পাঁচ দফা চিন্তা-ভাবনা উপস্থান করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দু দিনব্যাপী ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার ৪৫তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভার (সিএফএম) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন।

ইতিহাসের বিশেষ সন্ধিক্ষণে ঢাকায় ইসলামি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এমন একটা সময় অতিক্রম করছি যখন প্রযুক্তি প্রবাহ ত্বরান্বিত হচ্ছে এবং যুব সমাজের কলেবর বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে অসমতা, অসহিষ্ণুতা ও সামাজিক অবিচার এবং জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব।

তিনি বলেন, এসবের সমন্বিত প্রভাবে আমাদের ইসলামি চিন্তা-চেতনার মৌলিক ভিত্তি আজ হুমকির সম্মুখীন। এমন অবস্থা আগে কখনও আমরা প্রত্যক্ষ করিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন সময় এসেছে আমাদের চিন্তা-চেতনা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনার। সময় এসেছে টেকসই শান্তি, সংহতি ও সমৃদ্ধির আলোকে আমাদের ভবিষৎকে নতুন আঙ্গিকে ঢেলে সাজানোর।

শেখ হাসিনা বলেন, ইসলামি বিশ্বের রূপকল্প এমন হতে হবে যাতে আমরা আমাদের সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারি। নিজেরাই সব দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সমাধান করতে পারি। দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথ আমাদের নিজেদেরই খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ফলাফল-কেন্দ্রিক নতুন কৌশল-সম্বলিত একটি রূপান্তরিত ওআইসি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর এক পঞ্চমাংশ জনশক্তি, এক তৃতীয়াংশের বেশি কৌশলগত সম্পদ এবং সম্ভাবনাময় কয়েকটি উদীয়মান শক্তিশালী অর্থনীতির দেশসহ অপার সম্ভাবনা ও সম্পদশালী মুসলিম বিশ্বের পিছিয়ে পড়ে বা অমর্যাদাকর অবস্থায় থাকার কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, উন্নয়ন আমাদের অধিকার, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আমাদের নাগালের মধ্যে এবং সামাজিক অগ্রগতির উপায় আমাদের হাতে। আমাদের এখন প্রয়োজন যৌথ ইসলামি কর্ম-কৌশল ঢেলে সাজানো। তিনি এ প্রসঙ্গে তার পাঁচ দফা চিন্তা-ভাবনা তুলে ধরেন-

এক
ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের ওপর সবাইকে আস্থাশীল হতে হবে। সাম্প্রদায়িক মানসিকতা বর্জন করতে হবে এবং ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করা বা সমাজে বিভাজন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

দুই
শান্তিপূর্ণ উপায়ে সব বিবাদের সমাধান করতে হবে। আমাদের নিন্দুকদের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা প্রভাব বিস্তারের সুযোগ না দিয়ে নিজেদের সমস্যা নিজেদেরই সমাধান করতে হবে। ওআইসিতে আমাদের বিরোধ মীমাংসার প্রক্রিয়াসমূহকে শক্তিশালী করতে হবে এবং আমাদের নিজস্ব শক্তি ও সম্পদসমূহের আরও উৎকর্ষ সাধন করতে হবে।

তিন
আমাদের আত্মসচেতন আলোকিত জীবনযাপন করতে হবে। মৌলিক বিশ্বাসকে অটুট রেখে আজকের আধুনিক সমাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে জীবনযাপন করতে হবে। তাহলেই ইসলাম-সম্পর্কিত ভীতি দূর হবে। আমাদের মুল্যবোধভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্পর্কের লালন করে আলোকিত বিশ্ব ব্যবস্থার পথ দেখাতে হবে।

চার
দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণ এবং জরুরি মানবিক দূরবস্থা মোকাবেলার জন্য ইসলামি সম্মেলন সংস্থার বলিষ্ঠ কর্মসূচিসহ দ্রুত কার্যকর উন্নয়নমূলক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা আবশ্যক। ওআইসি-২০২৫ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

সর্বশেষ
ইসলামের শাশ্বত মূল্যবোধ যেমন শান্তি, সংযম, ভ্রাতৃত্ব, সমতা, ন্যায়বিচার ও সমবেদনা থেকে আমাদের সর্বদা অনুপ্রেরণা ও শক্তি আহরণ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, তার সুদূরপ্রসারী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ইসলামী সম্মেলন সংস্থায় যোগদান করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা প্রশাসক চালালেন গাড়ি, ড্রাইভার বসলো পেছনে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ তার ড্রাইভারের অবসরে যাওয়ার দিন। সবকিছু ঠিকঠাক চলছে। এই ড্রাইভারের বদলি ড্রাইভারও প্রস্তুত। এসব নিয়ে একজন জেলা প্রশাসক পর্যায়ের কর্মকর্তার ভাবাভাবির কিছু থাকে না সাধারণত। তবে ভারতের কর্নাটকের কুরুর জেলার কালেক্টর টি. অন্বাঝগান অন্য ধাঁতের মানুষ।

যে ড্রাইভার তাকে সেবা দিয়ে গেছে আগেরদিন পর্যন্ত তার বিদায়ের দিনটিকে তিনি স্মরণীয় করে রাখতে চাইলেন। তাই দীর্ঘদিন যে লোকটি তার মতো কালেক্টরদের আনা-নেওয়া করেছে ড্রাইভিং সিটে বসে, সেই ড্রাইভিং সিটে গিয়ে তিনি নিজে বসলেন। এ ঘটনা চালক পরামাসিবমের জন্য ছিল চরম অপ্রত্যাশিত এবং একই সঙ্গে পরম আনন্দেরও।

কালেক্টর টি. অন্বাঝগান সেদিন ডিউটি শেষে অফিস থেকে বের হয়ে এলেন পরামাসিবমের সঙ্গে। এরপর বাইরে দাঁড়ানো গাড়ির দরোজা খুলে ধরলেন- কাজটি এতদিন পরামাসিবম করে এসেছেন তার জন্য। আজ কালেক্টর সাহেব নিজে তার চালকের জন্য একই কাজ করলেন। অভূতপূর্ব এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেন সহকর্মীরা।

ওদিকে, পরামাসিবম এমন অভাবিত ঘটনায় চরম অপ্রস্তু বোধ করছিলেন। কিন্তু কালেক্টর সাহেব নাছোরবান্দা। তিনি তার চালককে পেছনের সিটে বসতে সাহায্য করলেন এরপর নিজে গিয়ে বসলেন ড্রাইভিং সিটে। এসময় সেখানে ছিলেন চালকের স্ত্রীও- কালেক্টর সাহেব ড্রাইভিং সিটে বসার আগে তাকেও দরোজা খুলে ভেতরে বসান।

রাস্তায় অনেকেই এ দৃশ্য দেখে বিষম খাওয়ার যোগার। যারা কলেক্টর সাহেবকে চেনে এবং চেনে তার ড্রাইভারকেও- সবাই তাজ্জব।

তবে তিনি নিখাঁদ পেশাদার ড্রাইভারের মতোই গাড়ি চালিয়ে তার ‘সেদিনকার বসকে’ বাসায় পৌঁছে দিলেন অন্বাঝগান। পরামাসিবমের বাসস্থান অফিস থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরের গান্ধিগ্রাম পর্যন্ত গড়ি চালিয়ে নিয়ে যান তিনি। এরপর ড্রাইভার তাকে নিজের বাসায় চায়ে আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা সাদরে গ্রহণ করেন।

ঘটনা প্রসঙ্গে ভাগ্যবান ড্রাইভার পরামাসিবম বলেন, আমি পুরো হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। কখনো ভাবিনি যে এমন ঘটনা আমার সঙ্গে ঘটবে। আমি আমার বসের কাছে কৃতজ্ঞ। গর্ববোধ করছি যে নিজের রাজ্যের কিছু সেবা করতে পেরেছি আমার কাজের মাধ্যমে।

ভারতীয় মিডিয়াগুলো জানায়, টি. অন্বাঝগান শুধু তার চালককে নিজে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি-ই পৌঁছে দেননি, আগের দিন অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল অফিসে এক পার্টি দেন পরামাসিবমের বিদায় উপলক্ষ্যে।

এ ঘটনায় প্রশংসায় ভাসছেন টি. অন্বাঝগান। তিনি মাত্রই গত মার্চে করুর জেলা কালেক্টরের দায়িত্ব নেন।

ড্রাইভারকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, যদি একজন কালেক্টর দিনে ১৬ ঘণ্টা কাজ করে থাকে তবে তার ড্রাইভার কাজ করে ১৮ ঘণ্টা। তাকে সবসময় অ্যালার্ট থাকতে হয়- পথে আমাদের জীবন তার জিম্মায় থাকে। সে তার বসের আগে কাজে আসে (তাকে অফিসে নিতে তার বাসায় আসে) এবং প্রায়ই দেরিতে নিজের ঘরে ফেরে। গত তেত্রিশ বছর আমাদের যে সেবা তিনি দিয়েছেন তার জন্য তাকে সম্মানিত করতে চাই। সারা জীবন তিনি আমাদের (কালেক্টর সাহেবদের) বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন। আজ আমাদের পর্ব এসেছে তাকে সম্মানের সঙ্গে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার।

পরামাসিবম ৩৩ বছর চাকরিশেষে গত ৩০ এপ্রিল অবসরে যান। দীর্ঘ চাকরি জীবনে তিনি ৮ জন কালেক্টরকে সেবা দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এ ধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। গত জানুয়ারিতে মুংগেরের জেলা প্রশাসক উদয় কুমার সিং ৩২ বছর ধরে চাকরি করা ড্রাইভার সম্পত রামকে স্মরণীয় বিদায় দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। বছর দুয়েক আগে নভেম্বর মাসে মহারাষ্ট্রের আকোলা জেলার কালেক্টর জি. শ্রীকান্তও তার চালক দিগন্বর থাককে এভাবে বিদায় দিয়েছিলেন। ৩৫ বছরের চাকরির শেষ দিনটিতে শ্রীকান্ত নিজে গাড়ি চালিয়ে দিগন্বরকে তার ঘরে পৌঁছে দেন।

এসময় তাদের বহকারী সাদা গাড়িটি ছিল গোলাপ ফুল দিয়ে সাজানো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এক মঞ্চে নচিকেতা ও শাওন

কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এর স্মরণে শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় গান গাইলেন হুমায়ূন পত্নী মেহের আফরোজ শাওন। আর তার সাথে ছিলেন কলকাতার জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী নচিকেতা।

সুরমঞ্জরী নিবেদিত হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে কলকাতার রবীন্দ্র সদনে আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘দুই বাংলার গান’। এমন অনুষ্ঠানে আজ স্টেজ মাতালেন নচিকেতা ও শাওন।

মেহের আফরোজ শাওন বলেন, ‘নচিকেতা আমার শৈশব কৈশোরের প্রেম। ক্লাস সেভেন এইটে যখন পড়তাম তখন থেকে তার গান গান শুনতাম। তার প্রায় সব গানই মুখস্ত করেছিলাম তখন। কখনো ভাবিনি তার সাথে একই স্টেজে গান গাইবো। আজ যেনো সে স্বপ্ন পূরণ হলো।’

উল্লেখ্য, ছোটবেলা থেকেই গানের সাথে জড়িত শাওন। অভিনয়, নির্মাণের সাথে থাকলেও পাশাপাশি গানেই নিয়োজিত রাখতেন নিজেকে। সর্বশেষ কিছুদিন আগে শাহরিয়াজ নাজিম জয়ের ‘পাপ কাহিনী’ ছবির ‘আহারে’ শিরেনামে একটি গানে প্লে-ব্যাক করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতে ফের ১০ স্থানে মুসলিমদের নামাজে বাধা

ফের খোলাস্থানে নামাজ পড়াতে বাধা প্রদান করা হল ভারতের গুরুগ্রামে৷ গতকাল শুক্রবার ১০ টি স্থানে খোলা জায়গায় মুসলিমদের নামাজ পাঠে বাধা দেওয়ার খবর ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

খবর অনুযায়ী, গুরুগ্রাম এবং তার চারপাশের মোট ১০ টি স্থানে এই ঘটনা ঘটে৷ দুই সপ্তাহ আগেই গুরুগ্রামে সেক্টর ৫৩-তে খোলাস্থানে নামাজ পড়াতে বাধা দেয় হিন্দু গ্রামবাসীরা৷ প্রতি শুক্রবার প্রায় ৭০০ মুসলিম এই স্থানে নামাজ পড়ে৷

নেহেরু যুব সংগঠন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি চ্যারিটেবল ট্রাস্টের প্রধান ওয়াজিদ খান জানান, বৃহস্পতিবার পুলিশ প্রধানের সঙ্গে হওয়া মিটিংয়ে স্থির হয় তিন স্থানে মুসলিমরা নমাজ পড়বে৷ এই স্থানগুলি হল, সেক্টর ৫৩ প্লট, সিকন্দরপুর এবং অতুল কাটারিয়া চৌক৷ এই সব স্থানে নামাজ পড়ার কারণে যানজটের অভিযোগ ছিল৷

এদিকে, হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা সাইবার পার্কের কাছে ৩ স্থানে মুসলিমদের নামাজ পড়াতে বাধা দেন, সেখানে পুলিশও মোতায়েন করা হয় বলে জানা যায়৷ গুরুগ্রামের পুলিশের পিআরও রবীন্দর কুমার জানান, সব থানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে বিশেষ বিশেষ স্থানগুলিতে পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়৷ তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি৷

অন্যদিকে, গুরুগ্রামের ডেপুটি কমিশনার বিনয় প্রতাপ সিং জানান, সব স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি তিনি আরও জানান, নমাজে যদি কেউ বাধা দিতে চায়, সেই প্রচেষ্টাকে রুখবে প্রশাসন৷

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতে চিকিৎসা নিতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়ে আইরিশ তরুণীর মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক: হতাশায় ভুগছিলেন আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনের বাসিন্দা লিগা স্ক্রোমান। চিকিৎসার জন্য তিনি এসেছিলেন ভারতের কেরালার থিরুভাল্লাম আশ্রমে। অরণ্য ঘেরা আশ্রমের মধ্যে চিকিৎসার পাশাপাশি খুঁজেছিলেন শান্তি। কিন্তু ধর্ষণের শিকার হয়ে নির্মম মৃত্যু হয়েছে তার।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্যা সান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত এপ্রিলের ২১ তারিখে বনের একটি গাছে তার ক্ষত-বিক্ষত শরীর ঝুলে থাকতে দেখা যায়। পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর পর জানা যায়, ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন লিজা।

পশ্চিমের নারী হলেও ৩৩ বছরের লিজা আয়ুর্বেদের প্রতি বেশ দুর্বল ছিলেন। এ কারণেই মনের অসুখের চিকিৎসায় বেছে নিয়েছিলেন ভারতের কেরালার থিরুভাল্লাম আশ্রমকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আশ্রমের আসার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নিখোঁজ হয়ে যান লিজা। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তদন্তে নামলে বনের ভেতর লিজার রক্তাক্ত মরদেহের সন্ধান পায়।

এই ঘটনায় পুলিশ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বলেও বলে ভারতীয় বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানায়।

জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ পরে সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, ধর্ষণের উদ্দেশ্যে লিজাকে তারা নেশাদ্রব্য খাওয়ায়। কিন্তু তারপরেও অর্ধচেতন অবস্থায় লিজা তাদের ধর্ষণে বাধা দিলে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় ধর্ষকরা।

লাটভিয়ার নাগরিক স্ক্রোমান বেশ কয়েক ধরেই আয়ারল্যান্ডে বসবাস করতেন। মানসিক অবসাদের কারণে চিকিৎসার জন্য যে তিনি ভারতে গিয়েছেন তা বোনকে বলেও যান। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পর লিজার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে দূতাবাসকে জানায় তার বোন। এমনকি ভারতেও চলে আসে সে।

মিররকে লিগার বোন লিজা জানায়, এর আগেও ভারতে একাধিকবার গিয়েছিল লিজা। কেরালার প্রতি তার প্রচণ্ড আকর্ষণ ছিল। তবে বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটলেও শুধুমাত্র দু’জন অপরাধীর জন্য কেরালাকে তার পরিবার ঘৃণা করতে পারবেন না বলেও জানান লিজা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ লিজার মরদেহ হস্তান্তরের পর শেষকৃত্যানুষ্ঠান কেরালার থিরুভাল্লাম আশ্রমেই অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে, অভিযুক্ত দুই ধর্ষক এখন বিচারের অপেক্ষায় কারাগারে রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: গ্লোবাল সামিট অব উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হওয়ায় বঙ্গবন্ধু কন্যা মাদার অব হিউম্যানিটি, দেশরতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫টায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রেজাউল ইসলাম রেজার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদেকুর রহমান সাদিক, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আসিফ শাহবাজ খান, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাইন আলম সাদ্দাম, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি শাওন। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী শাহেদ পারভেজ ইমনের পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মোস্তাফিজুর রহমান শোভন , সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম, সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আলিফ খান, সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক শামীম গাজী সহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ আনন্দ র‌্যালীতে অংশ গ্রহন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় বিষমুক্ত আম বাজারজাতকরণে মতবিনিময় সভা

কলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম বাজারজাত করনের লক্ষে আম চাষী এবং ব্যবসায়ীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার কলারোয়া উপজেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হল রুমে নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম বাজারজাত করনের লক্ষে সচেতন মূলক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আরাফাত হোসেন। এর আগে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মহাসীন আলী। সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ফরমালিন বা রাসায়নীক পদার্থ ব্যবহারের ফলে ২০১৬ সালে রাজশাহী আম ব্যবসায়ী মুনাফা করতে পারেনি বরং তাদের মুলধনসহ ভোক্তাদের মরন ফাদে জড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ তথা বিশ্ব বাজারে রাজশাহীর আম সুস্বাদের কারনে বেশ সুনাম রয়েছে। কিন্তু আম ব্যবসায়ে বেশি মুনাফা করতে গিয়ে বির্পযয় নিয়ে এসছে বিষ ক্রিয়া।  যার কারনে রাজশাহীর আম বাজারে এখন চাহিদা কম। যে কারণে সাতক্ষীরার আম ব্যবসায়ীরা সারা দেশব্যাপি বাজারজাত করনে অনেকাংশে এগিয়ে আছে। তাই সাতক্ষীরার আম বাজারের সুনাম  নষ্ট না হয় সে জন্য সকল ব্যবসায়ীদের সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সাতক্ষীরার আম বিষমুক্ত আম, বিশ্ব বাজারে এক নম্বার আম সাতক্ষীরার আম। “বিষমুক্ত আম দেশ ও জাতির সুনাম, ঘরে আসবে অর্থের যোগান” সঠিক সময়ে আম বাজারজাত করণ এবং বিষক্রিয়া থেকে নিজে এবং অপরকে সচেতন করতে সচেষ্ট  ভুমিকা রাখবে বলে বক্তব্যে উল্লেখ্য করেন। অনুষ্ঠানে অন্যন্যেদের মধ্যে উপস্থিত ও বক্তব্য দেন কলারোয়া রিপোর্টাস ক্লাবের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, সাংবাদিক আরিফুল হক চৌধুরী, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার গোলাম রসুল, তাপস কুমার মজমদার, লুৎফর রহমান, পিপিআই মনিরুল হক, কলারোয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, পৌর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আলহাজ্ব আবুল হাসান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনির বড়দলে কৃষি ব্যাংক শাখার দাবিতে মানববন্ধন

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনির বড়দল বাজারে কৃষি ব্যাংকের শাখা স্থাপনের দাবিতে মনববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বাজার সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বড়দল বাজারে প্রায় সাড়ে ৪ শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বহু এনজিও, বীমা অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ধনী শ্রেণি মানুষের বসবাস। এখানে ব্যাংকের শাখা স্থাপিত হলে একটি লাভজনক শাখা হিসাবে পরিচালিত হতে পারবে বলে অভিজ্ঞ জনদের ধারনা। বড়দল, কাদাকাটি, খাজরা, আনুলিয়া, প্রতাপনগর ও দরগাহপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এলাকায় কোন ব্যাংকের শাখা না থাকায় অর্থ লেনদেন নিয়ে খুবই সমস্যায় রয়েছেন। এসব এলাকার মানুষকে দুরবর্তী আশাশুনি, গুনাকরকাটি বা বুধহাটা বাজারে অবস্থিত ব্যাংকে লেনদেন করতে হয়। যা অবসম্ভব বললেও ভুল হবেনা। অনেকে ঝক্কি-ঝামেলা মাথায় নিয়ে বাধ্য হয়ে ঐসব ব্যাংকে লেনদেন করে থাকেন। সরকারের কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিকরাসহ বিভিন্ন ভাতাভোগিরা ১০ থেকে ৩০/৩৫ মাইল পথ অতিক্রম করে তাদের ভাতার টাকা উঠাতে ঐ সব ব্যাংকে যেতে বাধ্য হয়ে থাকেন। যেটি দুরূহ ও ব্যয়বহুল। বাজারের ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের শাখার অভাবে ব্যবসায়িক টাকা লেনেদেনে চরম বিপাকে রয়েছেন। এলাকার মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখতে না পেরে বিপদ সংকুল জীবন যাপন করছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আঃ আলিম মোল্যা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার লিয়াকত আলি, গ্রামীন ব্যাংক ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম, উন্নয়ন প্রচেষ্টার ম্যানেজার শফিয়ার রহমান, আশা ম্যানেজার শিবপদ চক্রবর্তী, ইউপি সদস্য, ব্যবাসায়ীবৃন্দ, বাজার কমিটির সেক্রেটারী কাজল, বড়দল প্রেসক্লাব সভাপতি শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দসহ সর্বস্তরের মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন। এলাকাবাসীসহ সকল প্রতিষ্ঠানের মানুষের প্রাণের দাবি অবিলম্বে বড়দল বাজারে কৃষি ব্যাংকের একটি শাখা স্থাপনের মাধ্যমে এলাকাবাসীর দুঃখ ও দুর্গতি লাঘবে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest