সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

কোন সরকার যে উন্নয়ন করতে পারেনি তা শেখ হাসিনার সরকার করেছে -ডা. রুহুল হক এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক: “সকল সরকার মিলে যে উন্নয়ন করতে পারেনি তা শেখ হাসিনার সরকার করেছে। শেখ হাসিনার সরকার আছে বলেই প্রতাপনগরের মত প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে গেছে। খুব দ্রুতই প্রতাপনগর ইউনিয়নে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হবে। আশাশুনির শেষ প্রান্তের এই ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য গুচ্ছগ্রাম হয়েছে। এখানে হসপিটাল স্থাপনের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ইউনিয়ের সকল সড়ক পাকাকরণের কাজও এগিয়ে যাচ্ছে। শুধু আশাশুনি বা সাতক্ষীরা-০৩ নির্বাচনী এলাকা নয়, সমগ্র সাতক্ষীরা জেলায় মেডিকেল কলেজ, বাইপাস সড়ক, বড় বড় সেতু নির্মাণসহ অসংখ্য উন্নয়ন কাজ হয়েছে এবং আগামীতেও হবে। আপনারা আমার সাথে থাকবেন, আওয়ামীলীগের সাথে থাকবেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে থাকবেন, আমি আপনাদের অঞ্চলকে উন্নয়নের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাব।”
বৃহস্পতিবার বিকালে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের নাকনা গুচ্চগ্রাম প্রকল্পের মাঠে প্রতাপনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি এসব কথা বলেন।
প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নের রূপকার ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি। আপনারা প্রতাপনগরের মানুষ ভাগ্যবান যে তাকে এমপি হিসেবে পেয়েছেন। এর আগে এখানে জামাতের যিনি এমপি ছিলেন তার সময়ে এই অবহেলিত জনপদে কোন উন্নয়নই হয়নি। অথচ ডা. রুহুল হক আপনাদের অঞ্চলে জননেত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প সম্পন্ন করেছেন। ডা. রুহুল হক এমপিকে আবারও নির্বাচিত করলে, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসলে নিশ্চয়ই তিনি আবারও মন্ত্রী হবেন। আপনাদের অঞ্চলসহ সমগ্র সাতক্ষীরা জেলার অসমাপ্ত উন্নয়নকে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সম্পন্ন করে নিতে পারবেন। তাকে নৌকার পক্ষে থাকুন, শেখ হাসিনার পক্ষে থাকুন, ডা. রুহুল হক এর পক্ষে থাকুন। আপনাদের উন্নয়ন অনিবার্য।”
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু। এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা বড়বাজারে তাঁতী লীগের সাইবোর্ড দিয়ে অসহায় বিধবার দোকান দখল

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা শহরের বড়বাজারে আইসক্রিম ফ্যাক্টরির পাশ্বে তাঁতী লীগের সাইনবোর্ড দিয়ে এক অসহায় বিধবা মহিলার দোকানঘর দখল করে নিয়েছে হেলাল উদ্দিন নামে এক তাঁতী লীগ নেতা। জেলা তাঁতী লীগের সাবেক সভাপতি মীর শাহিন ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাসান ঈমাম এবং তাঁতী লীগ নেতা ফিরোজের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দকে এ দখলের ঘটনা ঘটে। এসময় বাঁধা দিতে গেলে তাঁতী লীগ নেতা মীর শাহিন, হাসান ঈমাম ও ফিরোজের নেতৃত্বে সুলতানপুর গ্রামের (খাল ধার) আব্দুল খালেকের ছেলে হেলাল উদ্দিন ও তার সহযোগী রাজু, সাজু বিধবা মহিলা ইাঁগাছা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা বেগমকে ব্যাপক মারপিট করে। ঠেকাতে গেলে পৌর তাঁতী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক হোসেন মাহমুদ ক্যাপ্টেনকেও মারপিট করে আহত করা হয়। মারপিটের সময় মীর শাহিন ও হাসান ঈমাম ওই বিধবা মহিলার দ্ইু হাত ধরে রাখে। পরে আহত অবস্থায় ক্যাপ্টেন ও জমির ঘর মালিক রহিমা বেগমকে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত রহিমা বেগম ও হোসেন মাহমুদ ক্যাপ্টেনসহ স্থানীয় দোকানদাররা জানান, ইটাগাছার রহিমা বেগমের প্রানসায়েরের খাল ধারে বড়বাজার আইসক্রিম মিলের পাম্বে মালিকানাধীন একটি ঘর ভাড়া নেয় ওই এলাকার সুলতানপুর গ্রামের তাঁতী লীগ নেতা হেলাল উদ্দিন। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিধবা মহিলা ঘরভাড়ার টাকা আনতে গিয়ে দেখে তার ভাড়া দেওয়া ওই ঘরে পৌর তাঁতী লীগের ৪ নং ওয়ার্ড শাখার সাইনবোর্ড ঝুলানো। ভাড়ার টাকা চাইতেই হেলাল উত্তর দিয়ে উঠে ভাড়া হবে না এটা সরকারি খাস জায়গা। এসিল্যান্ড মালিক। তিনি জানিয়ে দিয়েছে জমির মালিক আমরা তুমি ভাড়া দিলে হেলাল তোমাকে উখান থেকে তুলে দেওয়া হবে। এর পর মহিলা ভাড়ার জন্য উচ্চ বাচ্চ করতেই তাঁতী লীগ নেতা মীর শাহিন, হাসান ঈমাম,ফিরোজ ও রাজু সাজুর নেতৃত্বে হেলাল মহিলাকে ও ক্যাপ্টেনকে ব্যাপক মারপিট করে। তাঁতী লীগের সাইবোর্ড দিয়ে ঘর দখলের ঘটনায় সাতক্ষীরা শহর জুড়ে এলাকাবাসীর নিন্দা ও হৈ চৈই পড়ে যায়। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এঘটনায় জেলা তাঁতী লীগের সদস্য সচিবের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, তাঁতী লীগের সাইন বোর্ড দিয়ে জমি ও দোকান ঘর দখলের বিষয়টি আমি শুনেছি। আমার নিকট ওই বিধবা মহিলা অভিযোগও করেছে। ঘটনা কতখানি সত্য বিষয়টি যাচাই বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কেউ যদি দলীয় সাইবোর্ড ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœœ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর হস্তে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও জানান সংগঠনের আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান নাছিমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে বসে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তাসপিয়ার স্পর্শকাতর অঙ্গে নির্যাতনের ছাপ, বাবার দাবি গণধর্ষণ

তাসপিয়া আমিন। ১৫ বছর বয়স। পড়াশোনা চট্টগ্রাম নগরীর সানশাইন গ্রামার স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণিতে। বুধবার (২ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে অজ্ঞাত হিসেবে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সৈকত এলাকার ১৮ নম্বর ব্রিজের উত্তর পাশে পাথরের উপর উপুড় হয়ে পড়েছিল তাসপিয়ার লাশ।

পতেঙ্গা থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বুধবার জানিয়েছিলেন, সকালে স্থানীয় পথচারীরা লাশটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। একই সাথে সিআইডি সংগ্রহ করে লাশটির সকল তথ্য-উপাত্ত। এ ঘটনায় তাসপিয়ার বয়ফ্রেন্ড আদনান মির্জাকে আটক করেছে পুলিশ। আদনান নগরীর দক্ষিণ খুলশী এলাকায় থাকে। তাদের গ্রামের বাড়ি লোহাগাড়ার পদুয়া ইউনিয়নে। আর পড়ালেখা সানশাইন গ্রামার স্কুলেই।

বৃহস্পতিবার (৩ মে) ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে তাসপিয়ার লাশ হস্তান্তর করা হয়। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের মর্গের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হয় তাসপিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিনের।

এসময় তিনি দাবি করেন ‘তাসপিয়াকে গণধর্ষণের পর হত্যা করেছে পাষণ্ডরা। এমনকি ধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশটি ফেলে দেয়া হয় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের উপকূলে।’ মোহাম্মদ আমিন বলেন, ‘আদনান ও তার সহযোগীরা এসব করেছে। জড়িতদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন সন্তানহারা হতভাগ্য এই বাবা।’

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে আদনান মির্জাসহ ছয়জনকে আসামি করে সিএমপির পতেঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তাসপিয়ার বাবা।

এর আগে বুধবার তাসপিয়ার লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই কিশোরীর ওপর চালানো ভয়াবহ চিত্র। নিহত তাসপিয়ার পিঠজুড়ে পাওয়া গেছে নির্যাতনের ছাপ। কিশোরীটির পিঠ, বুক ও স্পর্শকাতর অঙ্গসহ সব স্থানেই দেখা গেছে ভয়াবহ নির্যাতনের ছাপ। গোলাকার মুখমণ্ডল থেঁতলানো। চোখ দুটোও যেন নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। আর বুকের ওপর একাধিক আঁচড়ের দাগও দেখা গেছে। নিহতের হাতের নখগুলো ছিল নীলবর্ণ।

লাশটি পাওয়ার পর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছেন সিএমপি পতেঙ্গা থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার।

এদিকে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাসপিয়ার ময়নাতদন্ত হয়। এই ময়নাতদন্তে অংশ নেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুমন মুর্শিদীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম। টিমের অপর সদস্যরা হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুজন, ডা. জাহানআরা রোজি ও ডা. স্মৃতি। দীর্ঘ এক ঘণ্টা সময় নিয়ে ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর দেড়টায় তারা লাশকাটা ঘর থেকে বের হন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. সুমন মুর্শিদী বলেন, ‘ভিসেরা ও সিআইডি রিপোর্ট পাওয়ার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না। এই দুই রিপোর্ট পাওয়ার পরই বিস্তারিত জানানো যাবে।’

এদিকে তাসপিয়ার চাচা নুরুল আমিন দাবি করেছেন- আদনান, কথিত বড় ভাই ও তার তৈরি করা ‘রিচকিডস’ গ্যাংয়ের সদস্যরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঠাণ্ডা মাথায় তারা হত্যা করে লাশটি সমুদ্র উপকূলে ফেলেছে, যাতে তাদেরকে কেউ ধরতে না পারে। এরা শুধু একজন বা দুজনই নয়। এই গ্যাংস্টার গ্রুপের অনেক সদস্যই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। আদনানকে তিনি ঠাণ্ডা মাথার খুনি হিসেবেও মন্তব্য করেন।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে পতেঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) আবুল কাশেম ভূইয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আদনান মির্জাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে আদালতে।’

ওসি আরও জানান, বুধবার দিনগত মধ্যরাতে নগরীর দক্ষিণ খুলশীর জালালাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে আদনান মির্জাকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয়েছে মোবাইল ফোন সেট। তার মোবাইলের কললিস্ট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য অ্যাপসের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

নগর পুলিশের কর্ণফুলী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে সবকিছু বলা সম্ভব নয়। আমরা বেশ কয়েকটি ইস্যু নিয়ে সামনের দিকে এগুচ্ছি।’

এর আগে মঙ্গলবার (১ মে) সন্ধ্যায় নগরীর ওআর নিজাম রোডের গোল পাহাড় মোড়ে চায়না গ্রিল নামে একটি রেস্টুরেন্টে প্রেমের এক মাস পূর্তিতে মিলিত হয় তাসপিয়া ও আদনান। সেখানে প্রায় ২০ মিনিট অবস্থান করে তারা দুজন।

রেস্টুরেন্টের বয় উজ্জ্বল জানান, মঙ্গলবার শবে-বরাত ও মে দিবসের ছুটির কারণে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রেস্টুরেন্ট খোলা হয়। এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ ৫টা ২০ মিনিটের দিকে রেস্টুরেন্টে আসে ওই যুগল। তারা রেস্টুরেন্টের ৮নং কেবিনে বসে। এরপর খাবার ওর্ডার নিতে গেলে শুধু দুটি আইসক্রিম অর্ডার করে তারা। প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট অবস্থানের পর দুজন চলে যায়।

রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়েই তাসপিয়াকে একটি সিএনজি অটোরিকশাতে তুলে দেয় আদনান। পরে আরেকটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে আদনানও স্থান ত্যাগ করে।

তাসপিয়ার পরিবারের সঙ্গে আলাপকালে স্বজনরা জানান, তাসপিয়ার ব্যবসায়ী বাবা মো. আমিন মঙ্গলবার বিকেলে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন মসজিদে। বাসায় তাসপিয়ার মা ব্যস্ত ছিলেন গৃহস্থালি কাজে। তাসপিয়া বাসা থেকে কাউকে না বলেই বেরিয়ে যায়।

নামাজ পড়ে এসে তাকে বাসায় না পাওয়ায় বিচলিত হন বাবা। আগে থেকেই আদনানের সাথে তাসপিয়ার সম্পর্কের বিষয়টি জানা ছিল তার। খোঁজাখুঁজির পর তাসপিয়াকে না পেয়ে তার বন্ধুদের কাছ থেকে আদনানের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন বাবা। এরপর কল করে আনা হয় আদনানকে। তাকে নিয়ে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে চায়না গ্রিল রেস্টুরেন্টে যান তারা। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিস্তারিত বোঝার চেষ্টা করেন।

আদনানও স্বীকার করে একসাথে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার কথা। এরপর তাসপিয়াকে আদনান সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দিয়েছিল বলেও জানায়। মঙ্গলবার বিকেল ৬টা ১০ মিনিট পর্যন্ত ঘটনা আদনানের স্বীকারোক্তির সাথে মিলে গেছে। সিসিটিভি ফুটেজও বলছে একই কথা। তবে এর পরের ঘটনা উল্টো।

অভিযোগ করা হয় নগরের পাঁচলাইশ থানায়। পুলিশ রাত সাড়ে ৯টার দিকে আদনানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আদনানকে। সেখানে প্রায় দুই-দেড় ঘণ্টার মাথায় আদনানের কথিত দুই বড়ভাই ফিরোজ ও আকরাম তাসপিয়াকে বাসায় পাঠানোর শর্তে ছাড়িয়ে নেয় আদনানকে।

রফিকুল ইসলাম নামে তাসপিয়াদের এক নিকটাত্মীয় জানান, সন্ধ্যায় যখন তাসপিয়াকে পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন তাসপিয়ার মা বেগম আমিন আদনানকে মোবাইল ফোন করে বাসায় ডাকেন। রাত ৮টার দিকে আদনান ওআর নিজাম রোডে তাসপিয়াদের বাসার সামনে গিয়ে তাসপিয়ার মায়ের সাথে দেখা করে। এসময় তাসপিয়া কোথায় জানতে চাইলে আদনান জানায়, রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়েই তাসপিয়া বাসায় চলে এসেছে। তবে তাসপিয়া সে সময়ও বাসায় ফিরেনি।

রফিকুল ইসলাম আরো জানান, ফেসবুক ও ইমোতে যখন ম্যাসেজ আদান-প্রদান হতো, বিষয়টি ঠিকই টের পেয়েছেন তাসপিয়ার মা। এ সময় থেকে মেয়েকে চোখে চোখে রাখার চেষ্টা করেন তিনি। তবে এর মধ্যেও যে এমন হবে?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাসপিয়ার এক আত্মীয় জানান, তাসপিয়ার সাথে আদনানের সম্পর্কের কথা তাসপিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিনকে কয়েক দিন আগে জানিয়ে দিয়েছেন তাসপিয়ার মা। ওই সময়ই তাসপিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন আদনানকে ডেকে শাসিয়ে দেন। মেয়ের পথ থেকে সরে যেতে কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন তিনি।

এ ঘটনায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পতেঙ্গা থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার জানান, সকালে মৃতদেহ উদ্ধারের পর দুপুরের দিকে তাসপিয়াকে শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা। এর আগে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি ও সিআইডি তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য।

আনোয়ার জানান, তাসপিয়াকে পাথরের উপর উপুড় হয়ে পড়ে থাকাবস্থায় পাওয়া গেছে। পরনে হালকা গোলাপি সালোয়ার কামিজ। গায়ের রঙ ফর্সা। তবে দুই চোখ ও হাঁটুতে হাল্কা আঘাতের চিহ্ন আছে। মুখের মধ্যে ফেনা ছিল।

ধর্ষণ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে এই তদন্তকারী অফিসার জানান, সেটা সিআইডির ফরেনসিক রিপোর্ট পেলে বলা যাবে। সে ব্যাপারে সিআইডি তাদের প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেছে। এছাড়া তাসপিয়ার বয়ফ্রেন্ড আদনানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বলা যাবে ঘটনাটি কী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে উত্তেজনা ॥ ২০ দলীয় জোটের গোলাম রেজার কারণে এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রির কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান  আওয়ামী লীগের

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শুক্রবার দুদিনের সফরে আসছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রি মসিউর রহমান রাঙ্গা। তার সফরসঙ্গী হচ্ছেন জাতীয় পার্টি ( কাজী জাফর ) এর প্রেসিডিয়াম সদস্য সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সাবেক সংসদ সদস্য এইচএম গোলাম রেজা। শুক্রবার বিকালে উপজেলা পরিষদে প্রতিমন্ত্রি স্থানীয় সংসদ সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য ও নেতা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে মতবিনিময় করবেন।
তবে এই মতবিনিময় সভা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ সভা প্রত্যাখ্যানের ঘোষনা দিয়েছেন।
জানা গেছে গোলাম রেজা ২০ দলীয় জোটের নেতা হওয়ায় তার সাথে বৈঠকে বসতে রাজী নন শ্যামনগরের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দর , সাবেক সাংসদ একেএম ফজলুল হক ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আতাউল হক দোলন বলেন ‘ নবম সংসদে জাপা (এরশাদ) সাংসদ থাকাকালে এইচএম গোলাম রেজা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। তার নির্যাতনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বাড়িতে ঘুমাতে পারতেন না। অনেকে হামলার শিকার হয়েছেন। অনেক নেতাকর্মীকে জেল ভোগ করতে হয়েছে। পরে গোলাম রেজা নিজের কৃতকর্মের জন্য জাপা (এরশাদ ) খেকে বহিস্কৃত হন। এরপর তিনি যোগ দেন কাজী জাফর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিতে। তিনি আরও বলেন ‘বর্তমানে গোলাম রেজা জাপা (কাজী জাফর) এর প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি এখন ২০ দলীয় জোটেরও সদস্য। তার উপস্থিতিতে প্রতিমন্ত্রির সাথে মতবিনিময় সভায় বসার প্রশ্নই ওঠেনা’। আতাউল হক দোলন আরও বলেন এ কারণে শুক্রবার বিকালের মতবিনিময় সভা প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ সমবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে সুশিল সমাজের সাথে জেলা প্রশাসকের মত বিনিময়

মোস্তাফিজুর রহমান আশাশুনি: আশাশুনিতে সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হযেছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় সভায় সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপজেলার বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাঁধ, সাতক্ষীরা টু ঘোলা জরাজীর্ণ রাস্তা, জলাবদ্ধতা, খাস জমি বন্ধবস্ত, নিরাপদ পানি, বাজারঘাটসহ উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, রাতারাতি এসকল সমস্যার সমাধান সম্ভব না। তবে প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে একএক করে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে যাব। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাফফারা তাসনীন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মেজাবে রহমত, আশাশুনি সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক তৃপ্তি রঞ্জন সাহ, চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল, স ম সেলিম রেজা মিলন, প্রভাষক ম. মোনায়েন হোসেন, আব্দুল আলীম মোল্যা, দিপংকর সরদার দ্বীপ, প্রবীন আ’লীগ নেতা সরদার হাফিজুর রহমান, সাবেক মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, আশাশুনি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুন্নাহার নার্গীস, বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার, সাবেক চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা সেলিম, আশাশুনি প্রেসক্লাব সাবেক সাধারন সম্পাদক এসএম আহসান হাবিব, সাংবাদিক সাহেব আলী আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সম্পাদক আকাশ হোসেন, সাংগঠনিক এমএম নুর আলম, আশাশুনি অন-লাইন প্রেস ক্লাব সভাপতি এসকে হাসান, সাংবাদিক প্রভাষক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, বাহাবুল হাসনাইন, ফায়জুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় কিশোরী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : “আমরা কিশোরী ফিস্টুলা মুক্ত দেশ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার প্রতাপনগরে কিশোরী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতাপনগর ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে উক্ত সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
আদ-দ্বীন ওয়েলফেয়ার ইউনিভার্সিটি ফিস্টুলা সেল্টার ও বঙ্গবন্ধু মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় ফিস্টুলা কেয়ার প্লাস প্রকল্পের সহযোগিতায় সিভিল সার্জন ডা: তাওহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা: আ ফ ম রুহুল হক এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাবেক এমপি মোলেছুর রহমান, ডা: নাজমূল হুদা, ডা অরুণ কুমার ব্যানার্জী, আশাশুনি নির্বাহী কর্মকর্তা মাফ্ফরা তাসনিন, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন প্রমূখ।
বক্তারা, ১৮ বছরে আগে মেয়েদের বাল্য বিবাহ দিলে কি কি সমস্যা হতে পারে তা নিয়ে বিষদ আলোচনা করেন। প্রতাপনগর ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও মায়েরা অংশ গ্রহন করেন। এর আগে সেখানে বাল্য বিবাহ রোধে জারি গানের আয়োজন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে দুস্থদের খাদ্যশস্য ও মাতৃত্বকালীন ভাতার চেক প্রদান

আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে দুস্থ মহিলা (উন্নয়ন) কর্মসূচী ও দরিদ্র মায়েদের জন্য মাতৃত্ব কালীন ভাতাভোগিদের ২০১৭-১৮ চক্র বছরের ভাতার চেক প্রদান করা হয়েছে। বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় এ খাদ্যশস্য ও চেক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ ইফতেখার হোসেন। আশাশুনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান আ ব ম মোছাদ্দেক। মহিলা বিয়য়ক কর্মকর্তা ফাতেমাা জোহরার পরিচালনায় এসময় ইউপি সদস্যবৃন্দ ইউনিয়নের ভাতাভোগিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১৩২ জনকে মাথাপিছু ৩০০০ টাকা করে মাতৃত্ব কালিন ভাতার চেক এবং ৩৯৭ জন দুস্থ মহিলার হাতে ৩০ কেজি করে ভিজিডি’র চাউল তুলেদেন প্রধান অতিথি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক : ট্রাকের ধাক্কায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা সদরের বাস টার্মিনালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক ট্রাকটি আটক করতে পারেনি।
নিহতের নাম মোবারক আলী মোল্লা (৮০)। তিনি কালিগঞ্জ উপজেলার সোনাতলা গ্রামের দেলবার আলী মোল্লার ছেলে।
শ্রীকলা মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক সোনাতলা গ্রামের মাওলানা রওশান আলী মোল্লা জানান, তার বাবা বৃহষ্পতিবার সকালে নলতায় যাওয়ার জন্য বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সকাল ১১ টার দিকে তিনি কালিগঞ্জ বাস টার্মিনালের পাশে মদিনা হোটেলের সামনে পৌঁছালে পিছন দিক থেকে একটি পণ্যবাহি ট্রাক তাকে ধাক্কা মারে। এতে তিনি মারাত্মক জখম হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মহসিন আলী জানান, দুর্ঘটনায় মস্তিকে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মোবারক আলী মোল্লার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রাজীব হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মোবারক আলী মোল্লার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘাতক ট্রাকটি আটক করা যায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest