সর্বশেষ সংবাদ-
হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ঢাকা কোর্টে বিচারকের দিকে ঝুড়ি নিক্ষেপ, কর্মচারী-আইনজীবী হাতাহাতি

হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাতের ঘটনায় করা এক মামলায় আসামিকে জামিন না দেওয়ায় ঢাকা বারের এক আইনজীবী বিচারকের দিকে ঝুড়ি নিক্ষেপ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনজীবী ও আদালতের কর্মচারীদের মধ্যে হাতাহাতি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আইনজীবী ও কর্মচারী আহত হন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল জানান, আজ ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আতিকুর রহমানের আদালতে ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মামুন হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাতের মামলায় প্রধান আসামি শেখ মোতালিবের পক্ষে আত্মসমর্পণপূর্বক জামিনের আবেদন করেন। ওই মামলায় বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করলে ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক মামলার দরখাস্তটি ফেরত দেওয়ার জন্য বিচারককে অনুরোধ করেন। ওই সময় আদালত আবেদনটি ফেরত না দিলে মামুনের জুনিয়র এক আইনজীবী পেছন থেকে বিচারককে লক্ষ্য করে প্লাস্টিকের একটি ঝুড়ি নিক্ষেপ করেন। এরপর বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন।

আদালতের পেশকার মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘বিচারক মামলায় জামিন না দিলে আইনজীবীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আদালতের দরজা-জানালা ভেঙে ফেলেন। এ সময় আদালতে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইনজীবী বলেন, জামিন না দেওয়াকে কেন্দ্র করে আদালতের পেশকার শরীফ ও মামুনের জুনিয়র আইনজীবী সজীব ও আকিলের সঙ্গে মারামারি শুরু হয়। মারামারির একপর্যায়ে আইনজীবী সজীব ও আকিলসহ কয়েকজন আহত হন। পরে তাঁদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আদালতে এ পরিস্থিতির পর আইনজীবীরা আদালত বর্জন করেন।

এ বিষয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকমিটির সদস্য হান্নান ভূঁইয়া বলেন, ‘আজ কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের সঙ্গে আইনজীবী নেতাদের বৈঠক হওয়ার কথা আছে।’

ঢাকা বারের আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘আইনজীবীকে আহত করার প্রতিবাদ শুধু কোর্ট বর্জন করে থেমে থাকা নয়, সব আদালতের ঘুষখোর পিয়ন পেশকারদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে আরো কঠোর আন্দোলন চাই।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকা কোর্টের সব পিয়ন পেশকার বড় ধরনের ঘুষখোর-দুর্নীতিবাজ। এদের কাছে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীরা অসহায় ও জিম্মি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় এক নারীকে হত্যায় আসামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ধর্ষণের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় এক কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে এ ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ -২য় আদালতের বিচারক অরুনাভ চক্রবর্তী এক জনাকীর্ন আদালতে এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম রফিকুল ইসলাম শিপন (৪০)। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর গ্রামের ওয়াজেদ ঢালীর ছেলে। তার পালিত পিতা হেকমত শেখের বাড়ি তালা উপজেলার মুড়োগাছায়।
মামলার বিবরনে জানা যায় হেকমত শেখ সরকারি রাস্তার দু’ ধারের গাছ কিনতো। তার পালিত সন্তান রফিকুল ইসলাম শিপন, ময়না ও বক্কর কেনা গাছ কাটার জন্য কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা শেখপাড়ার আকবর হোসেন মোড়লের বাড়িতে ২০০৯ সালের ১২ জুলাই এর তিন /চার দিন আগে থেকে থাকতো। ২০০৯ সালের ১২ জুলাই রাত ১০টার দিকে ভাত খাওয়া শেষে আকবর মোড়লের মেয়ে সালমা(২৭) একটি ঘরে দরজা দিয়ে খাটে ও তার ভাই আশরাফুল মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়ে। পাশের খোলা ঘরের খাটে বক্কর ও ময়না, মেঝেতে শিপন ঘুমোতে যায়। পাশের ঘরে বাদি আকবর মোড়ল ও তার স্ত্রী সোনাভান বিবি ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন ১৩ জুলাই ভোরে সোনাভান বিবি উঠে মেয়ের ঘর খোলা দেখতে পান। একপর্যায়ে মেয়ের গায়ে হাত দিয়ে সে মারা গেছে বলে জানতে পারেন। তখন তার পাশে মোবাইলটিও ছিল না। এ সময় পাশের ঘরে বক্কর ও ময়না থাকলেও শিপনকে দেখতে পাননি। বিষয়টি স্বামী আকবর মোড়লকে বলার পর প্রতিবেশি পঙ্কজ জোয়ারদারের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে সর্বত্র জানানোর একপর্যায়ে ওই দিন সকালে শিপনকে শ্যামনগরের ভুরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেনের সহায়তায় আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে সোপর্দ করা হয়। কালিগঞ্জ থানার পুলিশ শিপনকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে শিপন জানায় যে, সালমা ভোরে প্রসাব করে ঘরে ঢোকার পর সে তাকে কু’ প্রস্তাব দেয়। রাজী না হওয়ায় সালমার বুকে উঠে মুখে ও মাথায় কিল ঘুষি মেরে মুখ চেপে ধরে। ধর্ষণের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার একপর্যায়ে সালমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
১৩ জুলাই রাতে নিহতের পিতা আকবর মোড়ল বাদি হয়ে রফিকুল ইসলাম শিপনের নাম উল্লেখ করে কালিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা(জিআর-৯৪/০৯ কালি) দায়ের করেন। ১৪ জুলাই আসামী রফিকুল ইসলাম শিপন বিচারিক হাকিম এমএ সাঈদের খাস কামরায় সালমাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে মর্মে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক আব্দুর শুকুর মৃধা এজাহারভুক্ত আসামীর নামে ২০০৯ সালের ২৫ আগষ্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১১ সালের ২৭ জুন আদালতে আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় বাদিপক্ষের ১৭জন ও আসামী পক্ষের তিন জন সাঁফাই সাক্ষী গ্রহণ করা হয়।
মামলার নথি ও সাক্ষীদের জবানবন্দি পর্যালোচনা শেষে আসামী রফিকুল ইসলাম শিপনের বিরুদ্ধে ফেওজদারি দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক উপরোক্ত আদেশ দেন। তবে আদেশের সময় আসামী শিপন কাঠগোড়ায় উপস্থিত ছিল না।
আসামী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. তপন কুমার দাস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘অভিনেত্রী হতে চাইলে যৌন সম্পর্ক করতে হবে’ বলা হয়েছে বলিউড অভিনেত্রীকে

“সে ব্যক্তি যেখানে চেয়েছে আমার শরীরের সেখানেই হাত দিয়েছে। সে যেখানেই চেয়েছে আমার শরীরের সেখানেই চুমু খেয়েছে। সে আমার জামার ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছিল। আমি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। আমি থাকে থামিয়ে দিয়েছিলাম। তখন সে বললো, তোমার মনোভাব যদি এ রকম হয়, তাহলে তুমি এখানকার জন্য উপযুক্ত না।”

বলিউডে নায়িকা হবার আশায় অভিনয় করতে এসেই এ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন এক তরুণী।

বলিউডে নায়িকা হবার ইচ্ছা নিয়ে ভারতের একটি ছোট গ্রাম থেকে শহরে আসে মেয়েটি।

“অভিনেত্রী হতে চাইলে তোমাকে যৌন সম্পর্ক করতে হবে,” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সে অভিনেত্রী বলেন।

সিনেমার শিল্পী নিয়োগ করে এমন একজন এজেন্ট তাকে যৌন নিপীড়ন করেছে।

ভারতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পেয়েছেন অভিনেত্রী ঊষা জাদভ। সিনেমার সাথে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি তাকে সরাসরি যৌন সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

“তুমি যদি এ ভূমিকা পেতে চাও তাহলে আমার সাথে শুতে হবে। আমাকে এমন কথা বলা হয়েছিল,” ঊষা জাদভ বিবিসিকে বলেন।

বলিউডে নায়িকাদের যৌন হয়রানির বিষয়ে এরই মধ্যে কিছু নায়িকা কথা বলেছেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আরো অনেকের তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকলেও তারা মুখ খুলতে চান না।

এর কারণ কী? কেন তারা এসব মুখ বুজে সহ্য করছেন?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সে অভিনেত্রীর কাছে বিবিসির সাংবাদিক জানতে চেয়েছিলেন, এ ধরনের ঘটনা তিনি কেন প্রকাশ করলেন না?

এমন প্রশ্নের জবাবে সে অভিনেত্রী বলেন, ” কেউ যদি এসব কথা বলে তাহলে সবাই মেয়েটিকে দোষ দিয়ে বলবে মেয়েটি প্রচারণা চায়। বলবে মেয়েটির কোন মেধা নেই এবং সে টাকা উপার্জন করতে চায়।”

বলিউডে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে বেশ সোচ্চার রাধিকা আপ্তে।

তিনি বলেন, “অনেকেই ভয় পায়। কারণ এখানে কিছু ব্যক্তি এতো ক্ষমতাধর যে তাদের সৃষ্টিকর্তার মতো মনে করা হয়।”

অনেকে মনে করেন, যৌন হয়রানির বিষয়গুলো নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বললে তাদের ক্যারিয়ার নষ্ট হবে।

রাধিকা আপ্তে মনে করেন, হলিউডে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সেখানকার নারী-পুরুষ সবাই যেভাবে একত্রিত হয়েছে সেটি বলিউডেও দরকার।

বলিউডের সুপরিচিত অভিনেতা ফারহান খান বলেন, “এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক বাস্তবতা। আশা করি এটার পরিবর্তন হবে।”

তিনি মনে করেন, বলিউডে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে মেয়েরা যেভাবে মুখ খুলেছে তাদের অপরাধীরা লজ্জার মধ্যে পড়েছে।

এতে করে অনেকের মাঝে ভয় তৈরি হবে বলে তাঁর ধারণা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৫ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে চাকরি দিচ্ছেন অনন্ত জলিল

এবার পাঁচজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে নিজের প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেবেন বলে জানিয়েছেন চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল।   ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ আয়োজিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ‘যুক্তির আলোয় দেখি’ অনুষ্ঠানে এমন ঘোষণা দেন তিনি।

রাজধানীর বিএফডিসির একটি ফ্লোরে আয়োজিত ‘যুক্তির আলোয় দেখি’ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন অনন্ত জলিল।

এর আগে নিজের জন্মদিনে ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রাজীবের দুই ভাইয়ের লেখাপড়া, ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দেন এবং দেশে ফিরে তাঁদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এ সময় সফল এ ব্যবসায়ী ও প্রযোজক বলেন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের যে জ্ঞান, বুদ্ধি, মেধা রয়েছে, তা অনেক স্বাভাবিক মানুষের নেই। সব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উন্নয়নের মূলধারায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের সম্পৃক্ত করতে সরকারের পাশাপাশি তিনি বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি তাদের কথা মন দিয়ে শোনেন অনন্ত জলিল। তখনই তিনি ঘোষণা দেন পাঁচজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে নিজের প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেবেন। তার এ ঘোষণা শুনে এফডিসিতে উপস্থিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী জানান, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা সুযোগ পেলে তারাও নিজেদের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে সক্ষম। তাই সমাজহিতৈষীদের এগিয়ে আসা জরুরি।

জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ‘যুক্তির আলোয় দেখি’ আয়োজনে অংশ নিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ এবং ইডেন মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিতর্কে অংশ নিচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে জনবল নিয়োগে দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ও হাসপাতালে জনবলের ঠিকাদার নিয়োগে লাগামহীন দুর্নীতি,বিএনপির ক্যাডার দুলালের কার্যাদেশ বাতিলের দাবিতে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সচেতন সাতক্ষীরাবাসী ও ভূমিহীন সমিতির আয়োজনে ২৪এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, জেলা ভূমিহীন উন্নয়ন সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার। জেলা বাস্তহারালীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কামরুজ্জামান সোহাগ, সাবেক ছাত্রনেতা মারুফ আহমেদ, প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কল্যাণ সমিতির মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ, ভূমিহীন নেতা মফিজুর রহমান, আবিদার রহমান, মোমিন হাওলাদার প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এ সরকারের দেওয়া সাতক্ষীরা বাসির জন্য একটি অনন্য অবদান। কিন্তু সাতক্ষীরাবাসি মেডিকেল কলেজের সুফল ভোগ করতে পারছে না অসাধু কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্নীতির কারনে। যার পেছনে আছে বর্তমান সরকারের নামধারী কিছু জননেতা। জনবল সরবরাহের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১৮ সালের জানুয়ারী মাসে জনবল নিয়োগের দরপত্র আহ্বান করা হলে সাতক্ষীরার একজন ঠিকাদারসহ সারাদেশের ৮জন ঠিকাদার অংশগ্রহণ করে। পিমা এসোসিয়েট লিমিটেড সর্বচ্চ দরদাতা হওয়ায় এবং “সলুসন ফোর্স লিঃ একুশে সিকিউরিটি সার্ভিস প্রাঃ লিঃ সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়ার কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টেন্ডার বাতিল করে দেন পরবর্তীতে প্রিমা এসোসিয়েট এর দেলোয়ারের নির্দেশ মত শর্ত দিয়ে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে। গোপন চুক্তির ভিত্তিতে প্রিম এসোসিয়েট লিঃ এর মালিক বরিশালের মেহেদিগঞ্জ থানার জয়নগর ইউপি নির্বাচনে ধানের শীষ পীিতকে নির্বাচন করে পরাজিত হওয়া বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন দুলালকে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা রক্ষা করে। অন্যদিকে মেডিকেল কলেজে ৪৬ জনের জনবল সরবরাহের টেন্ডার পায় প্রিমা এসোসিয়েট লিঃ যা চলছে গত ৪ বছর ধরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ১৪৫৫০ টাকা বেতন প্রদান না করে প্রদান করে ৭ হাজার টাকা। তাও আবার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে না দিয়ে বেতন দেয়া হয় হাতে হাতে। শুধু মাত্র আওয়ামীলীগ করার অপরাধে আমাদের প্রতিষ্ঠান বরাবরে কার্যাদেশ না দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি বিএনপি নেতার প্রতিষ্ঠান প্রিমা এসোসিয়েট লিঃ নামে কার্যাদেশ প্রদানের ষড়যন্ত্র করেছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের কার্যাদেশ প্রদানের উদ্দেশ্যে তারা ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ছুটির দিনে মূল্যায়ন কমিটির বোর্ড বসায় যখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ সারা দেশের মানুষ স্বাধীনতা উদযাপনে ব্যস্ত তখন মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে পরাজিত দুলালকে কার্যাদেশ প্রদানের জন্য। এছাড়া হাসপাতালে গ্যাস প্লান্ট সংযোজন বাবদ ৫ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করা হলেও বাস্তবে কোন গ্যাস প্লান্ট আজও সংযোজিত হয়নি। ১৪ সালের কার্যাদেশে সিটি র্ক্যান মেশিন ক্রয় বাবদ সাড়ে সাড়ে আট কোটি টাকা সরকারি মূল্য থাকলেও বাস্তবে দশ কোটি পঁচাত্তর লাখ টাকা পরিশোধ দেখানো হয়েছে। কার্যাদশের মেয়াদ না থাকা সত্বেও ব্যাগডেটে রিসিভ দেখিয়ে মূল্য দেওয়া হয় ঠিকাদারের ১৬-১৭অর্থ বছরে এম.এস আর ক্রয় সংক্রান্ত দরপত্র দাখিলের চার মাস পর শর্তাবলি পরিবর্তন করে দরপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে কার্যাদেশ জারি সর্বনিম্ন দরদাতা“ বেনিবুলাম’ নামক প্রতিষ্ঠানকে না দিয়ে গোপন চুক্তির ভিত্তিতে অন্য একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়িন্টিফিকস এর মালিক জহির নামক ব্যক্তিকে দেওয়া হয়।
বক্তারা ভালুকাচাঁদপুরে যুদ্ধাপরাধী খালেক মন্ডলের ছেলে শামীমকে কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কর্তৃক পূর্ণাঙ্গ বেতন ভাতা প্রদানের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, খন্দকার মোস্তাক ও মীরজাফরদের মত সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের একটি অংশ জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তাদের সাথে প্রশ্রায় দিয়ে যাচ্ছে। ওই অংশের উপর ভর করে স্বাধীনতা বিরোধীরা আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। কিন্তু সাতক্ষীরার মানুষ এটা হতে দেবে না। মেডিকেল কলেজে ওই সব কর্মকর্তাদের হুশিয়ারী প্রদান করে বক্তারা বলেন প্রয়োজনে আমরা মেডিকেল কলেজকে অচল করে দেবো। এখনো সময় আছে দুর্নীতি বন্ধ করুন। তা না হলে সাতক্ষীরাবাসী কাউকে ছাড় দেবে না।
ওই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক আহ্বানকৃত দরপত্রটি বাতিল করে সিডিউল সংশোধন পূর্বক পুনরায় দরপত্র আহ্বানের নির্দেশ প্রদানের আহ্বান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বৈশ্বিক নারী নেতৃত্বের খেতাব পাচ্ছেন শেখ হাসিনা

অনলাইন ডেস্ক: নারী নেতৃত্বে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে সম্মানজনক ‘গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছেন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার থেকে অস্ট্রেলিয়ায় তিন দিনের সফরের সময় তিনি সিডনিতে ওই পুরস্কার গ্রহণ করবেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের আমন্ত্রণে ২৬ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে সফরে থাকবেন শেখ হাসিনা।
“বাংলাদেশে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করার জন্য ২০১৮ সালের বিশ্ব নারী শীর্ষ সম্মেলনে (গ্লোবাল সামিট অব উইমেন) তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।”
বাংলাদেশসহ এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নারী শিক্ষা ও ব্যবসায়িক উদ্যোগের বিষয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল সামিট অব উইমেন এই পুরস্কার দিচ্ছে।
গত বছর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটা আজীবন সম্মানন।”
অন্যদের মধ্যে জাতিসংঘ মহাচিব বান কি-মুন ও ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভাও এই পুরস্কার পেয়েছিলেন।
শুক্রবার সিডনিতে এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার হাতে পুরস্কারটি তুলে দেওয়া হবে। সেখানে তিনি নারীর ক্ষমতায়ন এবং জাতীয় উন্নয়নে তাদের মূলধারায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে তার সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে বক্তব্য দেবেন।
অস্ট্রেলিয়া সফরকালে শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। আলোচনায় শিক্ষা, ক্রীড়া, মানবসম্পদ উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, কৃষি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রাধান্য পাবে।
২২তম কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সর্বশেষ ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়া সফর করেন প্রধানমন্ত্রী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন তারেক : ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাসপোর্ট জমা দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন- সম্প্রতি আওয়ামী লীগের তরফ থেকে এমন দাবি ওঠার পর তার ‘ব্যাখ্যা’ দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তারেকের দেশ ছাড়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ফখরুল বলেছেন, ‘বিশ্বের অসংখ্য বরেণ্য রাজনীতিবিদ, সরকারবিরোধী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মতোই সাময়িকভাবে বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন এবং সঙ্গত কারণেই তা পেয়েছেন। এই প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক অংশ হিসেবেই তিনি যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগে তার পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন। সে দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী, তার পাসপোর্ট জমা রেখে তাকে ট্রাভেল পারমিট দেয়া হয়েছে। কাজেই এই মুহূর্তে বাংলাদেশের পাসপোর্ট তার কোনো কাজে লাগছে না। যখনই তিনি দেশে ফেরার মতো সুস্থ হবেন, তখনই তিনি দেশের অন্যান্য নাগরিকের মতোই পাসপোর্টের জন্য আবেদন জানাতে এবং তা অর্জন করতে পারবেন।’

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘বৃটিশ স্বরাষ্ট্র বিভাগ থেকে তার পাসপোর্ট লন্ডন হাইকমিশনে পাঠানোর যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে তার দ্বারাও কোনো আইন কিংবা যুক্তিতে প্রমাণ হয় না যে, তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেছেন। এ ধরনের উদ্ভট ধারণাকে তত্ত্ব কিংবা তথ্য হিসেবে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন কিংবা ফেসবুকে প্রচার রাজনৈতিক মূর্খতা এবং উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।’
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাসপোর্ট জমা দিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম প্রথম এ তথ্য জানান।

শাহরিয়ার আলমের সমালোচনা করে তার দেয়া তথ্যকে অদ্ভুত, যুক্তিহীন ও বেআইনি আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদ ও নিন্দাও জানান ফখরুল।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কী কী কারণে একজন নাগরিক জন্মসূত্রে প্রাপ্ত নাগরিকত্ব হারাতে পারেন, এটাও যিনি জানেন না-, তেমন একজন ব্যক্তির শুধু এ ধরনের অনির্বাচিত সরকারের মন্ত্রী পদে থাকা সম্ভব এবং তা জাতির জন্য লজ্জাজনক।’

তিনি বলেন, ‘দেশবাসী জানেন যে, বর্তমান সরকারের তথাকথিত আন্দোলনের ফসল অবৈধ ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিন সরকারের নৃশংস রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে পঙ্গু অবস্থায় সুচিকিৎসার জন্য আদালতের অনুমতিক্রমে তারেক রহমান ২০০৮ সালে লন্ডনে যান এবং পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় এখনও সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। ইতোমধ্যে তার অনুপস্থিতিতে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ না দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার ও সরকারি দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বক্তৃতা-বিবৃতিতে এটা স্পষ্টতই প্রমাণিত যে, দেশে তারেক রহমানের জীবন নিরাপদ নয়।’

তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ ক্ষোভের সাথে লক্ষ্য করেছে যে, তাদের কষ্টার্জিত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে লন্ডন সফরকারী বিশাল বহরের একমাত্র অর্জন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সংগ্রহ করা তারেক রহমানের ২০০৮ সালে ইস্যু করা পাসপোর্টের তিনটি পাতা এবং বৃটিশ স্বরাষ্ট্র বিভাগের অসংখ্য ভুলে ভরা এক লাইনের রহস্যজনক একটি চিঠির ফটোকপি। কী বিচিত্র এই সরকার ! কী দুর্বল তাদের অপকৌশল।’

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমরা দৃঢ়তার সাথে স্পষ্ট ভাষায় দেশবাসীকে জানাতে চাই যে, জননেতা তারেক রহমান জন্মসূত্রে বাংলাদেশের একজন গর্বিত নাগরিক। তিনি তার এই প্রিয় দেশের নাগরিক ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন ইনশা’আল্লাহ।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, উপদেষ্টা পরিষদের বরকত উল্লাহ বুলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কবি ও সাংবাদিক বেলাল চৌধুরী আর নেই

দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কবি বেলাল চৌধুরী মারা গেছেন।

রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা মঙ্গলবার দুপুরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান কবির বড় ছেলে আব্দুল্লাহ প্রতীক ইউসুফ চৌধুরী।

কিডনি জটিলতা, রক্তশূন্যতা ও থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ে গত চার মাস ধরে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৮০ বছর বয়সী বেলাল চৌধুরী। অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ কোরেশীর তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল।

গত ১৯ এপ্রিল রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। পরদিন তাকে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। সব আশা নিভে যাওয়ায় মঙ্গলবার বেলা ১২টা ১ মিনিটে লাইফ সাপোর্ট খুলে নেন চিকিৎসকরা।

পরিবারের সদস্যরা জানান, বেলাল চৌধুরী ২০১৪ সালের ৯ মে কলকাতা সাহিত্য আকাদেমির এক অনু্ষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, তার কিডনিতে সমস্যা হয়েছে। মূত্রনালির ইনফেকশন থেকে জীবাণু সংক্রমণ ছড়িয়েছে রক্তেও। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের সমস্যাও ছিল তার।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস জানান, হাসপাতাল থেকে কবির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তার পল্টনের বাসায়। সেখানে গোসল শেষে মরদেহ রাখা হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলের হিমঘরে।

বুধবার বেলা ১১ থেকে ১২টা পর্যন্ত কবির কফিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে তাকে তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর শর্শদিতে দাফন করা হবে।

একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও সাংবাদিক বেলাল চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৮ সালে ১২ নভেম্বর, ফেনীতে। নয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়।

ছাত্র অবস্থায় বেলাল জড়িয়ে পড়েন বাম ধারার রাজনীতিতে, ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে যোগ দিয়ে কারাগারেও যান।

ষাট ও সত্তরের দশকে কয়েক বছর কলকাতায় বসবাসের সময় সাহিত্য পত্রিকা কৃত্তিবাস সম্পাদনায় যুক্ত হন কবি। পরে পল্লীবার্তা, সচিত্র সন্ধানী ও ভারত বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদনায় যুক্ত হন।

কবিতা, গদ্য, অনুবাদ, সম্পাদনা, শিশুসাহিত্য মিলিয়ে বেলাল চৌধুরীল গ্রন্থ সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি। ‘বল্লাল সেন’, ‘ময়ূর বাহন’, ‘সবু্ক্তগীন’ ছদ্মনামেও তিনি লিখেছেন।

তার কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে ‘নিষাদ প্রদেশে’, ‘আত্মপ্রতিকৃতি’, ‘স্থির জীবন ও নিসর্গ’, ‘জলবিষুবের পূর্ণিমা’, ‘সেলাই করা ছায়া’, ‘কবিতার কমলবনে’, ‘বত্রিশ নম্বর’, ‘যে ধ্বনি চৈত্রে শিমুলে’, ‘বিদায়ী চুমুক’ উল্লখযোগ্য।

এছাড়া তার কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ ও গবেষণা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ‘স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল’, ‘ডুমুরপাতার আবরণ’, ‘চেতনার রঙ চন্দ্রশিলা’ এবং ‘লাকসাম দাদা ও অন্যান্য গল্প’।

‘কাগজে কলমে’, ‘মিশ্রচিত্রপট’, ‘নিরুদ্দেশ হাওয়ায় হাওয়ায়’, ‘জীবনের আশ্চর্য ফাল্গুন’, ‘নবরাগে নব আনন্দে’, ‘সুন্দরবন, সোঁদরবন ও রবীন্দ্রনাথ’, ‘মুহূর্তভাষ্য’ ইত্যাদি তার গদ্যনির্ভর গ্রন্থ।

শিশু-কিশোরদের জন্য বেলাল চৌধুরী লিখে গেছেন, ‘সাড়ে বত্রিশ ভাজা’, ‘সপ্তরত্নের কাণ্ডকারখানা’, ‘সবুজ ভাষার ছড়া’।

নিজে লেখার পাশাপাশি হোর্হে লুই বোর্হেস, পাবালো নেরুদা, ডিলান টমাস, অক্তাবিও পাসের মতো কবিদের লেখা তর্জমা করেছেন বেলাল চৌধুরী; সম্পাদনা করেছেন বেশ কিছু স্মারকগ্রন্থ।

তার সম্পাদিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘জলের মধ্যে চাঁদ ও অন্যান্য জাপানি গল্প’, ‘বিশ্বনাগরিক গ্যেটে’, ‘পাবলো নেরুদা-শতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি’, ‘শামসুর রাহমান সংবর্ধনাগ্রন্থ’, ‘পদাবলী কবিতা সংকলন’ ও ‘কবিতায় বঙ্গবন্ধু’।

বেলাল চৌধুরী কলকাতা থেকে ১৯৭৪ সালে দেশে ফিরে আসেন, যোগ দেন প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনে। সে সময়ে জাতীয় কবিতা পরিষদ ও পদাবলী কবিতা সংগঠন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে একুশে পদক পান কবি বেলাল চৌধুরী; পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, নীহাররঞ্জন স্বর্ণপদক, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কারসহ নানা সম্মাননা।

এক মেয়ে সাফিয়া আক্তার চৌধুরী মৌরী এবং দুই ছেলে আব্দুল্লাহ প্রতীক ইউসুফ চৌধুরী ও আব্দুল্লাহ নাসিফ চৌধুরী পাবলোকে রেখে গেছেন বেলাল চৌধুরী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest