সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আম্বার রাড পদত্যাগ করেছেন। ‘উইন্ডরাশ জেনারেশন’ বিতর্কে সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেছেন তিনি। অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার বিষয়ে সরকারি কমিটিকে ‘অসাবধানতাবশত বিভ্রান্ত’ করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গত ২৪ এপ্রিল যুক্তরাজ্যে আসা কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নাগরিকদের কোনো ডকুমেন্ট ছাড়াই ন্যূনতম ফি’র বিনিময়ে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা দেন আম্বার রাড। তিনি অভিবাসন সংক্রান্ত সরকারি কমিটিকে জানান, এ বিষয়ে তার কোনো জ্ঞান ছিল না। অন্যদিকে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা দ্য গার্ডিয়ানকে রাড বলেছিলেন, ‘অভিবাসন কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে।’

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কমনওয়েলথভুক্ত ক্যারিবীয় দেশগুলো থেকে আসা উইন্ডরাশ জেনারেশনের ল্যান্ডিং কার্ড ধ্বংসের অভিযোগে সমালোচনার মুখে পড়েছিল সরকার। এ জন্যে উইন্ডরাশ জেনারেশনের কাছে ক্ষমাও চাইতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মে’কে।

উইন্ডরাশ জেনারেশন বিষয়ে সরকার ঘোষণা দেয় যে, ১৯৪৮ থেকে ১৯৭৩ সাল সময়ে যুক্তরাজ্যে কর্মজীবন কাটিয়ে যারা নিজ দেশে ফেরত গেছেন তারাও চাইলে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিতে পারবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মোদিবিরোধী প্রথম র‌্যালি রাহুলের; ‘মোদির মুখোশ খুলে গেছে’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দলকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদির মুখোশ খুলে গেছে। মানুষ বুঝে গেছেন তার কথা আর কাজে কোনো মিল নেই। ২০১৯ সালে কংগ্রেস জিতছেই! কংগ্রেস তার শক্তি দেখিয়ে দেবে।’ রবিবার নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দানে এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সেখানে রাহুল ছাড়া বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মননোহন সিং, সোনিয়া গান্ধী। খবর এনডিটিভির।

জনসভায় রাহুল আরো বলেন, মোদি যেখানেই যান দুর্নীতি দূর করার প্রসঙ্গ তোলেন। কিন্তু কাজে কতটা কী করেন তা সবাই দেখতে পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি বড় বড় শিল্পপতির ঋণ মওকুফ করে দেন, কিন্তু কৃষকদের এক পয়সাও ছাড়েন না। দেশে একের পর এক কৃষক আত্মহত্যা করছেন অথচ মোদি সে বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করলেন না।

শুধু তাই নয়, নীরব মোদি যে এত বড় কাণ্ড ঘটিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেল তা নিয়েও দেশের ‘চৌকিদার’ চুপ।’ কেমন প্রধানমন্ত্রী তিনি, এমন প্রশ্নও তোলেন রাহুল। উন্নাও এবং কাঠুয়া কাণ্ড নিয়েও নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেন রাহুল।

জনসভার আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে রবিবার নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দানে র‌্যালি করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সমালোচনা সত্ত্বেও নতুন আন্তর্জাতিক জরিপে বিএনপি’র চেয়ে জনপ্রিয় আ. লীগ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ, বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির তুলনায় বাংলাদেশে বেশি জনপ্রিয় বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইন্সটিটিউট (আইআরআই)। বেশ কিছু ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশনের (এফজিডি’র) মাধ্যমে ২০১৭ সালের মধ্যবর্তী সময় থেকে চলা পর্যালোচনা শেষে গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।
এর বিপরীতে অধিকাংশ অংশগ্রহণকারী বিএনপি ও দলটির প্রধান খালেদা জিয়া, বিএনপি’র বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন ও পলাতক আসামি তারেক রহমান এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন। বিএনপির এই দুই নেতা ও জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপির তুলনায় বর্তমানে সংসদীয় ব্যবস্থায় বিরোধী দলে থাকা জাতীয় পার্টির সম্পর্কে বেশি ইতিবাচক মনোভাব প্রদান করেছে অংশগ্রহণকারীরা।
এফজিডি-তে অংশ নেয়া অধিকাংশরাই জানিয়েছে সামনের নির্বাচনে বড় প্রতিবন্ধকতার মধ্যে থাকবে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। সহিংসতা, স্বৈরশাসন এবং ধর্মীয় চরমপন্থার জন্য তারা নির্বাচনে পিছিয়ে থাকবে বলে জানা যায়। আইআরআই তাদের ওয়েবসাইটে (www.iri.org) প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানায়, এফিজিডিতে অধিকাংশরাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বিষয়ে ইতিবাচক মতামত প্রদান করেছেন। তাদের মতে, দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা এবং বর্তমানে ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশের উন্নয়নে নেয়া আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কার্যক্রমের কারণেই এই ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অধিকাংশই নিজেদের আর্থিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে তাদের বেশির ভাগ এই আর্থিক দুরবস্থার জন্য সরকারকে দায়ী করেননি। অংশগ্রহণকারীরা দুর্নীতিকে ‘গুরুতর’ সমস্যা বলে চিহ্নিত করেন। তারা অভিমত দেন, এই দুর্নীতিই মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করছে। অংশগ্রহণকারীরা নির্বাচনে জালিয়াতি এবং সহিংসতার ব্যাপারে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গুণগত মান নিয়ে সমালোচনা করেন। তারা আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে চান। পাশাপাশি প্রায় সবাই নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাকরাইল মসজিদ ঘিরে আতঙ্ক, আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কা
বাংলাদেশের তাবলিগের মারকাজ কাকরাইল মসজিদ ঘিরে আতঙ্ক ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তাবলিগে আধিপত্য ও দিল্লির মুরব্বি বিতর্কিত মাওলানা সা’দ কান্ধলভিকে নিয়ে শনিবার দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর কাকরাইল মারকাজে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জামাতের আগমন কমে গেছে। দূর দূরান্ত থেকে আসা ওলামা, তলাবা, মুবাল্লিগদের দেখা মেলেনি। যাদের চিল্লা শেষ হয়েছে তারাও রিপোর্ট করতে আসেনি এই মসজিদে। সবাই সহিংসতার আতঙ্কে রয়েছে। বাংলাদেশের দুই মুরব্বি ও শুরা সদস্য মাওলানা যুবায়ের আহমদ ও প্রকৌশলী সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামের আধিপত্য নিয়ে পুরো তাবলিগ জামাত প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় সারাদেশের সাথিদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে প্রশাসনের নির্দেশে তাবলিগের হেফাজাতে ইসলাম গ্রুপের প্রধান মাওলানা যুবায়ের আহমদ ও মাওলানা সা’দ গ্রুপের প্রধান সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম রবিবার কাকরাইল মারকাজে আসেননি। মাওলানা যুবায়ের আহমদ রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বাসায় এবং সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ধানমণ্ডী ৭-এর বাসায় ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মুকিম [মারকাজে অবস্থানকারী] জানান, কাকরাইল মসজিদে স্বাভাবিক কাজ কর্ম চললেও সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, আগের মতো বাইরের কেউ এসে ঝামেলা করে কিনা তা নিয়ে তটস্থ।। মাওলানা যুবায়ের আহমদ ও সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম মারকাজে ফিরলে আবারও সংঘর্ষ হতে পারে। তাদের দুই গ্রুপের লোকজন এখনও মারমুখী অবস্থায় রয়েছে। এবার মারামারি হলে বড় রক্তারক্তির মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
তাবলিগের সাধারণ সাথিরা দাবি করেছেন, মাওলানা যুবায়ের আহমদ ও সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামকে তাবলিগের দায়িত্ব থেকে অবিলম্বে অপসারণ করে প্রকৃত আলেমদের ভেতর থেকে কাউকে দায়িত্ব প্রদান করা। এই দুই গ্রুপ এ পর্যন্ত চারদফা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। কাকরাইল মসজিদে রক্তারক্তি হয়েছে। একজনকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগও রয়েছে।
মাওলানা যুবায়ের আহমদের ছেলে মাওলানা হানযালা বলেন, আব্বাজানের একটাই বক্তব্য, আমি ফেতনা ও ঝগড়ার তাবলিগ করবো না। যতদিন পর্যন্ত তাবলিগের এ অস্থিরতা না কাটবে ততদিন কাকরাইলেও যাবো না। বাসার পাশে মাদরাসা আছে সেখানে পড়াবো। মহল্লার সাথীদের সাথে দাওয়াতের কাজ করবো। অপরদিকে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নফল নামাজ পড়ছি, কুরআন তেলাওয়াত করছি, সাথীদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। সাথীরাও সাক্ষাতে বা ফোনে যোগাযাগ রক্ষা করছেন। হেফাজাত সমর্থকদের দাবি প্রকৌশলী সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম কোন আলেম না হয়েও জোর করে কাকরাইল মারকাজ দখল করে আছেন। তার গ্রুপে কোন প্রসিদ্ধ আলেম নেই। সবাই জেনারেল শিক্ষিত। অপরদিকে ওয়াসিফুল গ্রুপের দাবি হেফাজাতে ইসলাম তাবলিগকে কুক্ষিগত করতে চায়। তারা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে লিপ্ত।
কাকরাইল মসজিদে ফের দুই গ্রুপের মারামারির পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের নির্দেশে দুই গ্রুপের শীর্ষ মুরব্বিরা ১মে পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদে ঢুকতে পারবেন না। ইতিপূর্বে সংঘাতের পর তাদের বিরোধ মেটাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ভূমিকা রেখেছিলেন। এবার তিনি দেশে না থাকায় তার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে দুই গ্রুপের সদস্যদের।
সূত্র জানায়, কাকরাইল মারকাজে শুরা সদস্য রয়েছেন ১১ জন। এরমধ্যে দিল্লির মুরব্বি মাওলানা সা’দ কান্ধলভির পক্ষে রয়েছেন সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, খান সাহাবুদ্দিন নাসিম, মোশাররফ হোসেন, ইউনুস শিকদার, শেখ নুর মোহাম্মদ। অন্যদিকে, মাওলানা সা’দ কান্ধলভি বিরোধী অবস্থানে রয়েছেন মাওলানা যোবায়ের আহমেদ, মাওলানা রবিউল হক, মাওলানা মোহাম্মদ হোসেন, মাওলানা ওমর ফারুক। একজন আছেন নিরপেক্ষ। তিনি হলেন মাওলানা মোহাম্মদ ফারুক।
সূত্র জানায়, গত বছর নভেম্বর মাসে সংকট নিরসনে পাঁচজন কওমি আলেমকে তাবলিগ জামাতের পরামর্শক ও উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত করা হয়। তারা হলেন- কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রকারী সংস্থা আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কো-চেয়ারম্যান মাওলানা আশরাফ আলী, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম ও গুলশান সেন্ট্রাল (আজাদ) মসজিদের খতিব মাহমুদুল হাসান, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুছ, শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব ফরীদ উদ্দিন মাসউদের প্রতিনিধি মুফতি মুহাম্মদ আলী, মারকাজুদ দাওয়াহ বাংলাদেশের আমিনুত তালিম মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক। কওমি আলেমদের পাঁচ সদস্যের এই উপদেষ্টা কমিটিকে প্রথমে মেনে নিলেও পরবর্তীতে তাদের প্রত্যাখ্যান করেন প্রকৌশলী সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামের অনুসারীরা। এরপর বিরোধ জটিল হয়। গত শনিবার সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে দু’পক্ষকে নিয়ে কাকরাইল মসজিদে বৈঠকে বসেন রমনা জোনের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ১মে পর্যন্ত সৈয়দ ওয়াসিফুল ও তার গ্রুপের সক্রিয় সদস্য আব্দুল্লাহ মনছুর ও দৈনিক ভোরের পাতার মালিক ড. এরতেজা হাসান এবং মাওলানা জুবায়ের ও তার গ্রুপের সদস্য মাহফুজ হান্নান ও ড. আজগর কাকরাইলের বাইরে থাকবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশে ফেরার পর বৈঠকে বসে সংকটের সমাধান করা হবে।
তাবলিগের একজন মুরব্বী ইত্তেফাককে বলেন, বিবাদমান দুই গ্রুপের প্রধান মাওলানা যুবায়ের আহমদ এবং সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামকে তাবলিগের নেতৃত্ব থেকে অপসারণ না করা হলে খুনোখুনির ঘটনা ঘটতে পারে। তারা দীর্ঘকাল ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। এখন স্বেচ্ছাচার হয়ে গেছে। কাকরাইল মারকাজকে বাসাবাড়ি বানিয়েছে। তাবলিগের মালিক মনে করেন নিজেদের।
তিনি বলেন, দু’পক্ষ গত এক বছরে অন্তত চারবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল তার মন্ত্রণালয়ে কয়েকবার বৈঠকও করেছেন। এরপরও দু’পক্ষকে সমঝোতায় আনা সম্ভব হয়নি। এর আগেও তাবলিগ জামাতের বিরোধ নিয়ে এই দু’পক্ষের মধ্যে মামলা-পাল্টা মামলা হয়েছে। এর একমাত্র সমাধান দুই গ্রুপের শীর্ষ নেতাদের বুঝিয়ে থামানো।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার আগাম বন্যার পূর্বাভাস
এবার বর্ষার আগেই তুমুল বর্ষণের কারণে আগাম বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, চলতি মাসে ইতিমধ্যে গত ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়ে গেছে। তুমুল বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বন্যার শঙ্কা রয়েছে। আগস্টের তৃতীয় বা শেষ সপ্তাহে বড় বন্যার আশঙ্কা হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলছেন, মৌসুমী বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি উজানে ভারি বর্ষণে বন্যার শঙ্কা থাকে বেশি। এবার অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারি বৃষ্টি হলে বন্যা দেখা দিতে পারে।
আগাম বন্যায় যাতে ফসল নষ্ট না হয় সে লক্ষ্যে কৃষকরা আগেভাগেই বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন। কোনো কোনো অঞ্চলে আগেই আগাম জাতের বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা শেষ করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার গিনেস বুকে

এবার গিনেস বুকে

কর্তৃক Daily Satkhira

একসঙ্গে অভিনয় করে বক্স অফিসের অনেক রেকর্ডই ভেঙেছেন দুজন। এবার কি তাহলে গিনেস বুক অব রেকর্ডসে নাম লেখাতে যাচ্ছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জুটি! টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুটি হিসেবে ৪৯টি ছবি করেছেন তাঁরা! প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির সর্বশেষ ছবি ‘দৃষ্টিকোণ’ মুক্তি পেয়েছে ২৭ এপ্রিল। কৌশিক গাঙ্গুলির ছবিটি ব্যবসাও করছে দারুণ। এই সাফল্য দেখে অনেক পরিচালকও ভাবছেন সফল এই জুটিকে নিয়ে ৫০তম ছবি করার কথা। ঋতুপর্ণার সঙ্গে তাঁর জুটি যে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে জেনে আনন্দিত প্রসেনজিৎ বলেন, ‘শুনেছি যে আমাদের নাম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে পাঠানো হবে। যদি স্বীকৃতি মেলে তাহলে সেটা হবে দারুণ ব্যাপার।’ একই রকম উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ঋতুপর্ণাও।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সময়ের সবচেয়ে সফল জুটি ছিলেন প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা। এ রেকর্ড তাই হতে পারত আরো আগেই। কিন্তু ২০০২ সালের পর নানা কারণে একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হননি তাঁরা। ২০১৬ সালে ১৪ বছর পর জুটি হয়ে ফিরেই বাজিমাত করেছিলেন। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়ের ‘প্রাক্তন’ অনেক পুরস্কার জেতার পাশাপাশি পেয়েছিল ব্যাপক ব্যাবসায়িক সাফল্যও।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এমপিদের বই পোকায় খায়; সংসদ লাইব্রেরিতে যান না কেউ

অনলাইন ডেস্ক: আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি জাতীয় সংসদ লাইব্রেরি। সংসদ ভবনের নিচতলায় এটি অবস্থিত। এমপি, গবেষক ও সংসদ সচিবালয়ের স্টাফদের জন্য এ লাইব্রেরি প্রতিদিন উন্মুক্ত থাকে। শুক্র ও শনিবার বন্ধের দিন হলেও সংসদ লাইব্রেরি সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে। অন্যান্য দিন খোলা থাকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এতে রয়েছে সুপরিসর দৃষ্টিনন্দন পাঠকক্ষ। রেফারেন্স সার্ভিস, রিসার্চ সার্ভিস, ইন্টারনেটসহ আধুনিক নানা সুবিধা। এমপিরা নিয়মিত লাইব্রেরিতে আসবেন। সংসদীয় রীতি-নীতি ও আইনের নানা ব্যাখ্যা নিয়ে নতুন এমপিরা ইতিহাস থেকে পাঠ নিয়ে সমৃদ্ধ হবেন বলেই দেশে দেশে সংসদ লাইব্রেরি আইন প্রণয়নে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশের আইনপ্রণেতাদের সুবিধার্থে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের গণভবনে ১৯৭২ সালে সংসদ লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে এটি বর্তমান সংসদ ভবনে স্থানান্তরিত হয়। অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের আইনসভার নথিপত্র থেকে পাকিস্তান, পূর্ব পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সংসদীয় কার্যক্রমের এক বিশাল সংগ্রহশালা এই লাইব্রেরি। বিশ্বের বিভিন্ন জার্নাল, আইন, অধ্যাদেশ, ঘোষণা, সামরিক বিধি, সরকারি গেজেট, সংসদের বিতর্ক, অ্যাটলাস, মানচিত্র, গবেষণাপত্র, আউট অব প্রিন্ট বহু দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থসহ এই লাইব্রেরির বইসংখ্যা ৮৬ হাজারের অধিক। কিন্তু সংসদ লাইব্রেরির রেজিস্ট্রারের অধিকাংশ পাতাই শূন্য।
লাইব্রেরি থেকে বাসায় নিয়ে এমপিদের বই পড়ার ব্যবস্থা থাকলেও বই ইস্যুর পরিসংখ্যান কোনো মাসেই ১০ ছাড়ায়নি। জাতীয় সংসদে ৩৫০ জন এমপি থাকলেও লাইব্রেরিমুখী হওয়ার সময় নেই তাদের।
খোঁজ নিয়ে নিয়ে জানা যায়, সংসদ অধিবেশন থাকলেও লাইব্রেরিতে ১০ জন এমপির সমাবেশও ঘটে না। নবম সংসদের শেষ দিকে সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল এসি সিস্টেমে ত্রুটি দেখা দেয়। এই ত্রুটি মেরামতে লেগে যায় দীর্ঘ দুই বছর। এই দীর্ঘ সময়ে লাইব্রেরির তাপমাত্রা রক্ষার জন্য কিছু স্ট্যান্ড এসি ও স্ট্যান্ড ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয় বলে জানায় সংসদ সচিবালয়। কিন্তু সঠিক তাপমাত্রা রক্ষিত না হওয়ায় অযত্নে-অবহেলায় নষ্ট হতে থাকে বই।
সাংবাদিক পরিচয় লুকিয়ে সংসদ সচিবালয়ের এক কর্মকর্তার সঙ্গে লাইব্রেরিতে ঢুকে বই হাতে নিয়ে দেখা যায়, অনেক বই পোকায় খেয়ে নষ্ট করে ফেলেছে। কয়েকটি বইয়ের পাতা ওল্টাতে গেলে ঝুরঝুর করে খসে পড়ল কাগজের টুকরো। অনেক বইয়ের কভার নষ্ট হয়ে গেছে। বইয়ের বাইন্ডিং খুলে গেছে। বইয়ের ব্যাক কভারে আঙুলের ছোঁয়া লাগলে উঠে আসছে বইয়ের লেখা। সংসদীয় কমিটি লাইব্রেরির এমন দুরবস্থার বিষয়টি নজরে আনলে সংসদ সচিবালয় একটি তদন্ত কমিটি করে দেয়। সম্প্রতি সে কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তাতে ৯৮৭টি গ্রন্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু বই রিপ্লেসমেন্ট করারও সুপারিশ করা হয়। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ লাইব্রেরির কর্মকর্তারা। লাইব্রেরি কমিটির সভাপতি ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এটা ঠিক যে কিছু বই নষ্ট হয়েছে। তবে এটা ঠিক নয় যে, বইগুলো পাঠযোগ্য নয়। কিছু বইয়ের কভার পেজ ও ব্যাক কভার নষ্ট হয়েছে। কিছু বইয়ের বাইন্ডিং ছুটে গেছে। পেছনের লেখা মুছে গেছে। এসব বই পুনরায় বাইন্ডিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অনেক আগে প্রায় দুই বছর সেন্ট্রাল এসি সিস্টেম ঠিকমতো কাজ না করায় বইগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি বইও রিপ্লেসমেন্ট করতে হয়নি। এখন এসি ঠিকমতো কাজ করছে। এ ছাড়া লাইব্রেরির সংস্কার কাজ শেষ হলে প্রতিটি বইয়ের র‌্যাকের ফাঁকে ফাঁকে হিউমিডিটি ফায়ার সিস্টেম বসানো হবে, যাতে আর কখনো কোনো বই নষ্ট না হয়।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, গত আট বছরের ধারাবাহিক অযত্ন-অবহেলা ও সংস্কারের অভাবে লাইব্রেরি এই করুণ অবস্থায় পৌঁছেছে। এমপিরা লাইব্রেরিতে যান না। সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন এমপি মাত্র লাইব্রেরি ব্যবহার করেন। স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারসহ মন্ত্রী ও কিছু এমপি লাইব্রেরি সার্ভিস ব্যবহার করেন। লাইব্রেরির কর্মকর্তারা ব্যস্ত থাকেন এমপিদের লাইব্রেরি সার্ভিস দিতে। ফলে লাইব্রেরির বইগুলো ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে কি না তা দেখার কেউ নেই। বিষয়টি স্বীকার করে নেন ডেপুটি স্পিকার। বলেন, ‘বর্তমান এমপিরা খুব কমই লাইব্রেরি ব্যবহার করেন। ওদিকে যেতে চান না। তবে আমি প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে লাইব্রেরিতে যাই। ঘুরে দেখি। পড়াশোনা করি।’
অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অনেক গবেষক এখানে আসেন নিয়মিত। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংসদ সচিবালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলেন, ‘লাইব্রেরির কাজ তদারকির জন্য একটি লাইব্রেরি কমিটি আছে। আমাদের কাজ রুটিন ওয়ার্ক সম্পাদন।’ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংসদের লাইব্রেরি কমিটি নামে যে কমিটি আছে, সেই কমিটির বৈঠক হয় না নিয়মিত। ১০ সদস্যের লাইব্রেরি কমিটিতে যারা আছেন, তাদের মধ্যে সভাপতি ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া ছাড়া মাত্র দুজন সদস্য নিয়মিত (সপ্তাহে একবার) লাইব্রেরিতে যান। কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৈঠক হলেও কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন হয় না। তবে শুরুতে লাইব্রেরি নিয়ে তাদের ভালোই আগ্রহ ছিল। লাইব্রেরি সংস্কারের সুপারিশ করেন তারা। এ জন্য ২০১৫ সালের জুলাই মাসে লাইব্রেরির রক্ষণাবেক্ষণ ও আধুনিকায়নের ধারণা নিতে কমিটির সদস্যদের নিয়ে ডেপুটি স্পিকার ঘুরে এসেছেন ভারতীয় লোকসভার লাইব্রেরি। ইতিমধ্যে লাইব্রেরির সংস্কার কাজও শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হতে লাগবে এক বছর। সংস্কারের পর এ লাইব্রেরি লোকসভার চেয়ে আধুনিক লাইব্রেরিতে পরিণত হবে বলে আশা করছেন লাইব্রেরি কমিটির সভাপতি ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া। সংসদ লাইব্রেরি ব্যবহারকারী সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি কবি কাজী রোজীর কাছে লাইব্রেরির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, ‘লাইব্রেরিতে এখন ভাঙচুর চলছে। সংস্কারকাজ চলছে। বড় করার পরিকল্পনাও আছে। তবে এর বাইরে আমি আর কিছু বলতে পারব না।’

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গাদের দুর্দশায় কাঁদলেন নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি

রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখে কাঁদলেন কক্সবাজার সফররত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি। রবিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে গিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে এ আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়।

এ সময় রোহিঙ্গারা তাদের ওপর চালানো মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতার ভয়াবহ বর্ণনা তুলে ধরেন। একইসঙ্গে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব নিয়েই নিজেদের দেশে ফেরার দাবি জানান।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় প্রতিনিধি দলটি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পরিদর্শন করেন। এসময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সরকারি পদস্থ ও বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আছেন।

এর পর সংবাদ সম্মেলন কক্ষে ঢুকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা। তারা বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটের জাদুকরী সমাধান নেই। এ সমস্যা মিয়ানমারকে সমাধান করতে হবে।’

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ১৫ সদস্যের এই প্রতিনিধিদলের সবার মুখে একই কথা এটি এক ভয়ঙ্কর সংকট। কাজেই এটার সমাধানে জাদুটোনা কাজে আসবে না।

এরমধ্যে কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসন ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রোহিঙ্গাদের নিয়ে তাদের কাছে নানা তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করেন।

কক্সবাজার থেকে সরকারি সূত্র জানায়, ইউএনএসসির প্রেসিডেন্ট পেরুর গুস্তাভো মেজা-চুয়াড্রার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি ইরাক থেকে কুয়েত এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে শনিবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম প্রতিনিধিদলকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান। প্রতিনিধি দলে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ দেশ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও চীনের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।

প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যদের মধ্যে বলিভিয়া, ইকুয়েটোরায়েল গায়েনা, ইথিওপিয়া, কাজাখস্তান, কুয়েত, নেদারল্যান্ডস, পেরু, পোল্যান্ড ও সুইডেনের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং আইভরি কোস্টের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি রয়েছেন।

এই সফরে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিভিন্ন ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের কাজে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তা এবং মানবিক সহায়তা ও অন্যান্য কাজে দায়িত্ব পালনরত স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

ঢাকায় ফিরে প্রতিনিধিদলটি সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং পরে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য দু’দিনের সফরে মিয়ানমার যাবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest