সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিল

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসায় ৪৯তম বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রাতে আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে উক্ত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসার সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিম, সদর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওঃ শামসুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওঃ মোস্তফা শামসুজ্জামান। মাহফিলে বক্তা ছিলেন, মাওঃ মোঃ তাফসীর রহমান, মাওঃ মোঃ জিয়াউল ইসলাম যুক্তিবাদী, মাওঃ মোঃ জাকির হুসাইন জাফরী, হাফেজ কারী মাওঃ মোঃ আরিফুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুহাদ্দিস সিরাজুল ইসলাম, শিক্ষক আবু রায়হান, ইকবল হোসেন, গর্ভনিং বোডির সদস্য আজিজুল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহ, শরিফুজ্জামান, হাফিজুর রহমান, ইব্রাহিম খলিল সহ সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাওঃ হাফিজুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কুশখালীতে ক্রীড়া দিবসে, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

জি এম আবুল হোসাইন : “ক্রীড়ায় শান্তির সমাবেশ, উন্নয়নে বাংলাদেশ” শ্লোগানে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালীতে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে র্যালী, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে কুশখালী ইউনিয়নের ভাদড়ায় পলাশ শিশু ক্লাবের উদ্যোগে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র আয়োজনে ও সেভ দ্য চিলড্রেন’র সহযোগীতায় উক্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
পলাশ শিশু ক্লাবের অভিভাবক দলের সভাপতি ক্কারী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে র্যালীর নেতৃত্ব দেন ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন, কুশখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম শ্যামল। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল কাদের, কুশখালী ইউনিয়নের সমাজ ভিত্তিক শিশু সুরক্ষা কমিটির সদস্য ও সাবেক এস.আই মো. আব্দুল বারী, ভাদড়া সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল কুদ্দুস, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা’র সাংবাদিক মো. নাজমুল আরেফিন,
ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র জিসিসি প্রকল্পের মনিটরিং এন্ড ডকুমেন্টেশন অফিসার খায়রুল হাসান, প্রকল্প কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, কমিউনিটি মোবিলাইজার সিরাজুম মনিরা প্রমুখ।
প্রতিযোগিতায় ১০টি স্থানীয় জনপ্রিয় খেলায় শিশুদের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। সভাটি সঞ্চালনা করেন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র জিসিসি প্রকল্পের কমিউনিটি মবিলাইজার মো. আবুল হোসেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষ্যে শেখ রাসেল পরিষদের প্রস্তুতিসভা

পহেলা বৈশাখ ও বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষ্যে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাশি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি সবুর খান, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মুজিদ, পৌর সভাপতি হারুন অর রশিদ, সহ-সভাপতি কবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক, আলতাফ হোসেন, রনি প্রমুখ। সভায় বর্ষ বরণ উপলক্ষ্যে পহেলা বৈশাখের দিন সকাল ৮টায় আজাদী সংঘে পান্তা ও চিংড়ী ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গড়েরকান্দায় সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আলোচনাসভা

পৌর ৫নং ওয়ার্ডের গড়েরকান্দায় সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় গড়েরকান্দায় নৈশ স্কুলে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন, ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহিনুর রহমান শাহীন। সভায় বক্তব্য রাখেন, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, সুধাংশু শেখর সরকার, স্বপন শীল, প্রকৌশলী আবেদুর রহমান, ডেইলী সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, আলীনুর খান বাবুল, লোদী ইকবাল প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, আব্দুল মালেক।
এসময় এলাকাবাসী বলেন, ৫নং ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা একটি প্রধান সমস্যা। নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে এলাকাটি অবস্থিত হলেও কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। অত্র এলাকায় একটি স্কুল নেই। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করার জন্য বহুদুর যেতে হয়। সুপেয় পানি, রোড লাইট স্বল্পতা, রাস্তার সমস্যা সহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। অবিলম্বে তারা এসব সমস্যা সমাধানের দাবি করলে উপস্থিত কাউন্সিলর শাহীনুর রহমান শাহীন দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস দেন।
সভায় অতিথিরা বলেন, জেলায় জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সকল নদী ও খাল খনন, বধ্যভূমি অবৈধ দখল মুক্ত, বাইপাস সড়কের সংযোগ আলীপুর চেকপোস্ট পর্যন্ত বর্ধিত, খড়িবিলার বিল, আবাদানির ৩ শ বিঘা খাস জমিতে সাতক্ষীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, রেল লাইন স্থাপন, ভোমরাস্থল বন্দরের আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ, সুন্দরবনে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের দাবি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আমরা টাউট নই,শিক্ষানবীশ আইনজীবী

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক গত ৩ এপ্রিল রাতে সম্পূর্ন বে-আইনী ভাবে ঘোষিত টাউটদের তালিকা প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ২১ জন শিক্ষানবীশ। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ২১ জনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সাতক্ষীরা শহরের দক্ষিন কটিয়া এলাকার শেখ আব্দুস সবুরের ছেলে শেখ রাশীদুজ্জামান সুমন। তিনি বলেন, আমরা সবাই আইন বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত সাতক্ষীরা ল-কলেজসহ সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইতোমধ্যে এল এল বি ডিগ্রী লাভ করেছি। পরে আমরা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এ্যাক্ট ১৯৭২ এর ৬০(।।।) বিধি অনুযায়ী সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্যদের অধীনে নিন্মতম ৬ মাসের শিক্ষানবীশকাল হিসাবে চুক্তিবদ্ধ হই, যা অদ্যবধি চলমান। এমতবস্থায় গত গত ৩ এপ্রিল রাতে সম্পূর্ন বে-আইনী ভাবে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক কর্তৃক মিথ্যে তথ্যের ভিত্তিতে ২১জন শিক্ষানবীশকে টাউট উল্লেখ করে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই তালিকার মধ্যে আমি নিজে শেখ রাশীদুজ্জামান সুমন, জি,এম, ফিরোজ আহমেদ, মুকুল হোসেন, মোঃ লিয়াকত আলী, মোঃ আব্দুর রশিদ ও রুহুল আমিনসহ ৬ জন ২০১৭ সালের ২১ জুলাই বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত এম সি কিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ফল প্রাপ্তির অপক্ষোয় আছি। বাকি ১৫ জনের মধ্যে নারগিস পারভীন, পরিমল কুমার মন্ডল, অসীম কুমার দাস, ইশার আলী, শেখ মাহবুবুর রহমান, আবিদুল হক মুন্না, আজিজুল ইসলাম খান, রওশনারা, গণেষ চন্দ্র ঘোষ, সুজাম উদ্দিন, বিপ্লব কুমার মন্ডল, স্যামুয়েল ফেরদৌস পলাশ, এ.বিএম হাবিব রনি, মনির উদ্দিন ও নুর আলম সিদ্দিক বার কাউন্সিলে এম সি কিউ পরীক্ষার্থী। জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরি পরিষদ যাদেরকে ২০১৫/২০১৬ শিক্ষানবীশ কার্ড প্রদান করেছেন। এছাড়া নোটিশের মাধ্যমে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষানবীশ কার্ড দেওয়ার কথা বলে সমিতির রশিদের মাধ্যমে আমাদের কাছ থেকে নগদ এক হাজার টাকা গ্রহণ করেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষানবীশ কার্ড প্রদানের টাকা গ্রহণ করে প্রতারনার মাধ্যমে সম্পূর্ন বে-আইনী ভাবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এ্যাক্ট ১৯৭২ এর পরিপন্থি হয়ে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক গত ৩ এপ্রিল রাতে জেলা আইনজীবী সমিতির ১নং বিল্ডিং এর সম্মুখে পশ্চিম সাইডে দেওয়ালের গায়ে খোদাই করে ২১ জনের নামে টাউট তালিকা প্রকাশ করেছেন। যা টাউট আইন ১৮৭৯ এর ৩৬ ধারার পরিপন্থি। অতি উৎসাহী হয়ে তারা আইনের পরিপন্থি কাজ করেছেন। আÍা সাতক্ষীরা বারের রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের শিকার।এঘটনায় আমাদের পিতা-মাতাসহ আত্মীয় স্বজনদের মান হানির পাশাপশি সমাজে আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করা হলো। এঘটনায় তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান। তারা এব্যাপারে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সকল প্রশাসনিক কার্যালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।

৫.৪.১৮

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বেনাপোল সীমান্তে বাংলাদেশের পেটের ভেতর ভারতের তেরঘর নামে একটি গ্রাম
মোঃ রাসেল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি:যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার সীমান্ত ঘেষা ইছামতি নদীর তীরে ভারতের তেরঘর নামে একটি গ্রাম। তেরটি পরিবারের বসবাসের নামনুসারে নাম হয়েছে তেরঘর। ভারতের কালীয়ানী সীমান্তের পুর্বপাশে ইছামতি নদী। ইছামতি নদীর বাংলাদেশ অংশের গাতিপাড়া সীমান্তের পাশে সামান্য একটি অংশ ভারতের সীট মহল। সেখানে বাংলাদেশের আর ১০ টি পরিবারের মত পাশেই বসবাস করে তেরঘরের বাসিন্দারা।
অপরিচিত কারো দেখে বোঝার উপায় নাই এটা বাংলাদেশের লোকের পরিবার না ভারতের পরিবার। ভারতের লোকের আগ্রহ কম থাকলে তেরঘর গ্রাম দেখতে বাংলাদেশের বেনাপোল সীমান্তে দুর দুরান্ত থেকে অনেকেই আসেন। এখানে বর্তমানে ৪৫ জন লোকের বসবাস। আগে তেরঘরে ১৩ টি পরিবার ছিল। বর্তমানে এখানে ৯ টি পরিবার বসবাস করে।
জীবন জীবিকার জন্য এরা আগে অনেকটা নির্ভরশীল ছিল বাংলাদেশের উপর। কারন এরা ইছামতি নদী পার হয়ে ভারতের বনগাঁও শহর থেকে বিভিন্ন ধরনের পন্য এনে বাংলাদেশের ভিতর বিক্রি করত প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে। এসব পন্যর ভিতর ফল, পিয়াজ, চিনি, চা-পাতা, শাড়ী থ্রি-পিস, শাল চাদর, জুতা, কেটস, জিরা, মসলা, আসতবাজি সহ নানা ধরনের পন্য। সুযোগ সুবিধা বুঝে মাদক দ্রব্য ও এরা বিক্রি করে থাকত বাংলাদেশী ব্যবসায়িদের কাছে।
সম্প্রতি বেনাপোল সীমান্তের ৮ কিলোমিটার ফ্রি ক্রাইম জোন হিসাবে ঘোষনা হওয়ার পর প্রশাসনের কড়া নজরদারির কারনে এরা এসব পন্য বাংলাদেশে পাচার করতে পারছে না।
তেরঘরের ৯ টি পরিবারের ভিতর ২০ থেকে ২২ জন ছেলে মেয়ে স্কুল কলেজে যায় বলে জানান গ্রামের কৌসুল্যা হালদার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভিতর বসবাস করে ও আমাদের প্রায় ৬ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে স্কুল কলেজ এবং বাজারের জন্য যেতে হয় বনগাঁও কালিনি শহরে। তা ছাড়া রাস্তা ঘাট না থাকায় সারাবছর নৌকায় পার হয়ে তাদের তারপর ওপার যেয়ে সমস্থ প্রকার বাজার ঘাট ঔষধপত্র ডাক্তার কবিরাজ দেখাতে হয়। এ এক দুর্বসহ জীবন। এক সময় অন্তত বাংলাদেশের বাজার থেকে সুযোগ সুবিধা মত বাজার করে এনে খেতাম। বর্তামানে সীমান্তে ব্যপাক কড়াকাড়ির কারনে যেতে হয় তাদের ৬ কিলোমিটার দুরে বনগাঁও শহরে।
তাদের আয়ের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানায়, এক সময় ভারতের বাজার থেকে নৌাকায় করে পন্য এনে আমরা বাংলাদেশের বাজারসহ বাংলাদেশী লোক এসে আমাদের বাড়ি থেকে ক্রয় করে নিয়ে যেত। এসব পন্য তারা বিক্রি করে যা মুনাফা পেত তা দিয়ে তাদের সংসার ছেলেমেয়েদের খরছ চলে যেত। এখান থেকে ৪ টি পরিবার দেশের ভিতর জমি ক্রয় করে চলে গেছে। আমরা অভাব অনটনের সংসারে জমি ক্রয় করতে পারছি না। আবার এটা বিক্রি করতে ও পারছি না।
তিনি বলেন, আগে ভালো রান্না হলে ও আমরা বাংলাদেশী প্রতিবেশীদের বাড়ি দিতাম অথবা ভালো সম্পর্কের কারনে দাওয়াত করে খাওয়াতাম। অনুরুপ তারা ও করত। বর্তমানে সীমান্তে ব্যপক কড়াকড়ি আরোপের জন্য বাংলাদেশ সীমান্তে আমরা ইছামতি নদীতে গোসল করতে ও পারি না।
তিনি বলেন, সবথেকে বেশী অসুবিধা সামান্য বাজারের জন্য যেতে হয় নৌকা পার হয়ে ওপারে। একই ভুখন্ড তারপর ও আমাদের দুরত্ব অনেক।
টহলরত বিজিবি সদস্যরা জানায়, একই ভুখন্ড বোঝার কোন উপায় নাই এরা বাংলাদেশী না ভারতীয়। তারপর ওরা ভারতীয় এটা বোঝার জন্য বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। কোন প্রকার কাউকে বাংলাদেশের দোকানে লবনের জন্য ও প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
তেরঘরের শুশিল বলেন, এখন জীবিকার জন্য তাদের ইছামতি নদীকে বেঁচে নিতে হচ্ছে। সারাদিন এ নদীতে মাছ ধরে যা পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চালাতে হয়। তিনি বলেন, সরকার যদি রেশনের ব্যবস্থা না করত তাহলে আমাদের অনাহারে মারা যেতে হত।
তেরঘরের সকলের বাড়ি টিনের টালির দেখে কোন বাড়ি পাকা নেই কেন এ প্রশ্নে বিজিবি জানায়, ওদের এখানে বিল্ডিং তোলা নিশেধ। কারন এটা একেবারে বাংলাদেশের ভিতর। তারপর ও ভারতের অংশে ঐ জমিটুকু পড়েছে।
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ, স্বামী ও ভাসুর আটক

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরার দহাকুলায় এক গৃহবধুকে গাছের সাথে বেঁধে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার দহাকুলা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ স্বামী কাবিদ ওরফে কাবিল ও ভাসুর হাবিদ ওরফে হাবিলকে আটক করেছে । আহত গৃহবধূ আনোয়ারা খাতুনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, যৌতুকের দাবীসহ নানা কারনে স্বামী কাবিদ তার স্ত্রী আনোয়ারাকে প্রায়ই মারধর করতো। আজ সকালে ভাত খাওয়া নিয়ে আবারও তার সাথে ঝগড়া হয়। এ সময় স্বামী ও ভাসুর তাকে বকাবকি করে। আনোয়ারা এর প্রতিবাদে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার হুমকি দেন। পরে স্বামী কাবিদ ও তার ভাই হাবিদ আনোয়ারাকে বাড়ির উঠোনে একটি আমগাছে বেঁধে লোহার রড, লাঠি ও ঝাঁটা দিয়ে নৃশংসভাবে মারধর শুরু করে। আনোয়ারার চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এলেও তারা তাকে কাবিদ হাবিদের হুমকির মুখে উদ্ধার করার সাহস পায়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম জানান, তিনি ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে কামরুল ইসলাম আনোয়ারার বাঁধন খুলে তাকে মুক্ত করেন। এরপরই তাকে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনাস্থল থেকে ব্রম্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারি পরিদর্শক অচিন্ত্য কুমার জানান, দুই ভাইকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপার, এখন দেখা যাক কি করা যায়’।
তবে, এ ব্যাপারে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম জানান, গৃহবধূর স্বামী ও ভাসুরকে আটক করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে নির্যাতন ॥ স্বামী ও ভাসুর আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় গাছে বেঁধে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে নির্যাতন করেছে তার স্বামী ও ভাসুর। শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দহাকুলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ স্বামী কাবিদ ওরফে কাবিল ও ভাসুর হাবিদ ওরফে হাবিলকে আটক করেছে। আহত গৃহবধূ আনোয়ারা খাতুনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান যৌতুক আদায়সহ নানা কারণে স্বামী কাবিদ স্ত্রী আনোয়ারাকে প্রায়ই মারধর করতো। শুক্রবার সকালে ভাত খাওয়া নিয়ে আবারও তার সাথে ঝগড়া হয়। এ সময় স্বামী ও ভাসুর তাকে বকাবকি করে। আনোয়ারা এর প্রতিবাদে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার হুমকি দেন। পরে স্বামী কাবিদ ও তার ভাই হাবিদ আনোয়ারাকে বাড়ির উঠোনে একটি আমগাছে বেঁধে লোহার রড, লাঠি ও ঝাঁটা দিয়ে নৃশংসভাবে মারধর শুরু করে। আনোয়ারার চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এলেও তারা তাকে কাবিদ হাবিদের হুমকির মুখে উদ্ধার করার সাহস পায়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম জানান তিনি ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে কামরুল ইসলাম আনোয়ারার বাঁধন খুলে তাকে মুক্ত করেন। এরপরই তাকে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনাস্থল থেকে ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারি পরিদর্শক অচিন্ত্য কুমার জানান দুই ভাইকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি স্বামী স্ত্রীর ব্যাপার , এখন দেখা যাক কি করা যায়’। তবে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম জানান তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest