সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

এক সাথে তারা, তবে …

এক সাথে তারা, তবে …

কর্তৃক Daily Satkhira

শিরোনামটি শুনে হয়তো অনেকেই মনে করছেন হয়তো নতুন কোন চলচ্চিত্রে এক সাথে অভিনয় করতে যাচ্ছে বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই তিন নায়িকা। হুম এক সাথে থাকছেন ঠিকই তবে কোন ছবিতে নয়, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রিয় কমিটি এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। শুক্রবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর রাজারবাগের পুলিশ অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবেন তারা।

আয়োজকরা জানান, এই অনুষ্ঠানে মঞ্চ মাতাবেন নায়ক ফেরদৌস, জায়েদ খান, ডি এ তায়েব, নির্মতা ও উপস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাস, নায়িকা অপু বিশ্বাস, পপি, পরীমনি, মাহিয়া মাহি, পায়েল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে গান গাইবেন সুবীর নন্দী, মমতাজ, কনা ও সালমা মুহিন।

শুক্রবার (৬ এপ্রিল) রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে বিকেল ৪টা থেকে শুরু হবে অনুষ্ঠানটি। এখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) ও ডিএমপির পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার)।

সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ওমর ফারুক। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করবেন মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন; বাংলাদেশের প্রশংসা করল জাতিসংঘ

জাতিসংঘের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সম্পর্কিত একটি স্বতন্ত্র কমিটি সাম্প্রতিক সময়ে আর্থ-সামাজিক ও সংস্কৃতিসহ অনেক খাতে বাংলাদেশের অর্জিত অগ্রগতির প্রশংসা করেছে।

১৮ জন স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সম্পর্কিত এই কমিটি বাংলাদেশের প্রাথমিক কান্ট্রি রিপোর্টের ওপর সমাপনী পর্যবেক্ষণে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সাফল্যের স্বীকৃতি প্রদান করে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ১৫ ও ১৬ মার্চ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত অধিকার সম্পর্কিত এই কমিটির দু’দিনের বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিবেদন পেশ করেন। প্রতিমন্ত্রী রিপোর্টের ওপর কমিটির বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

জেনেভায় ২৯ মার্চ এই কমিটির ২৮তম বৈঠকে সমাপনী পর্যবেক্ষণ গৃহীত হয়। এতে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশের জন্য কিছু সুপারিশও রয়েছে।

সমাপনী মন্তব্যে কমিটি প্রতিবেদনকে স্বাগত জানায় এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাণবন্ত ও গঠনমূলক সংলাপের প্রশংসা করে। অধিকার কমিটি আর্থ-সামাজিক খাতের সর্বস্তরে লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অর্জিত বিশাল অর্জনের কথা উল্লেখ করে।

কমিটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি এবং স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণে সংবিধানের ১৭তম সংশোধনীর প্রশংসা করে।

কমিটির পর্যবেক্ষণ নোটে বাংলাদেশের দারিদ্র্য হ্রাস ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির অনন্য সাফল্যের কথা লিপিবদ্ধ করা হয়। ২০০৬ হতে ২০১৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ৩৮.৪ শতাংশ থেকে ২৪.৩ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে মাথাপিছু আয় এবং গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭১.৬ বছর।

এতে প্রাথমিক শিক্ষায় শতভাগ ভর্তি লিঙ্গ সমতার প্রশংসা করে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথযাত্রায় স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের আসন্ন উত্তরণের কথাও নোট করা হয়।

কমিটি বাংলাদেশের ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড ও ক্লাইমেট চেঞ্জ রেসিলিয়েন্স ফান্ড গঠন এবং এ্যাডপসন অব দ্য বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্রেটেজি এ্যান্ড এ্যাকশন প্লান অব ২০০৯-কে স্বাগত জানায়। তবে এসব পরিকল্পনা ও কৌশলে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠী ও সুশীল সমাজের অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়।

জাতিসংঘের এই অধিকার কমিটি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করে। কমিটি একথাও বলেছে যে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ প্রভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে।

কমিটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আরো শক্তিশালী করার সুপারিশ করে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থায়ন এবং নিজস্ব স্টাফ নিয়োগে কমিশনকে সক্ষম করার সুপারিশ করা হয়।

আয় বৈষম্য নিরসনে পর্যাপ্ত সম্পদ বৃদ্ধি এবং কর ফাঁকি মোকাবেলায় আয় বণ্টনের প্রভাব সম্প্রসারণ, করভিত্তি বাড়ানো, কর সংগ্রহের উন্নয়ন এবং সংশোধিত ভ্যাট খাদ্যদ্রব্য ও সেবা খাতে প্রয়োগ না করতে স্বচ্ছতা বিধানের সুপারিশ করা হয়। এতে বিশেষ করে সামাজিক নিরাপত্তা, গৃহায়ন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতসহ সমাজসেবা খাতে অর্থায়ন বাড়ানোর সুপারিশও করা হয়।

কমিটি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন কঠোরভাবে প্রয়োগের সুপারিশ করেছে। কমিটি দুর্নীতির জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতির ব্যাপারে সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির সুপারিশ করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১৪ দলের শরিকদের আসন ভাগাভাগি প্রশ্নে আলোচনার তাগিদ

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জোটগতভাবে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকরা। পাশাপাশি নির্বাচনী আসন ভাগাভাগির বিষয়টি নিয়ে এখনই আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন জোটের শরিক দলগুলোর নেতারা।

১৪ দলের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুটি নির্বাচনের মতো আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ১৪ দলের শরিকরা আসন ভাগাভাগি করে ঐক্যব্ধভাবে অংশ নেবে। এ ব্যাপারে জোটের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। তবে নির্বাচনের সময় এগিয়ে এলেও জোটগতভাবে নির্বাচনী প্রস্তুতির ব্যাপারে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। শরিক দলগুলো নিজস্ব প্রস্তুতি শুরু করলেও জোটগতভাবেও প্রস্তুতি শুরু করা দরকার বলে মনে করছেন তারা। বিশেষ করে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি আগে থেকেই আলোচনার মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্তে আসতে চান তারা।

এদিকে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনার জন্য শরিক দলগুলোর পক্ষ থেকে জোটের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনও আলোচনা শুরু না হওয়ায় জোটের কোনো কোনো দল অস্বস্তিতে রয়েছে।

১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর নেতারা জানান, আসন সমঝোতার বিষয়টি নিয়ে শেষ মুহূর্তে আলোচনায় বসা হলে তখন হাতে সময় থাকে না। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা বা বিচার বিশ্লেষণের সুযোগ পাওয়া যায় না। তখন তড়িঘড়ি নামকাওয়াস্তে একটা লোকদেখানো একটা সমাধান খোঁজার চেষ্টা হয়। তখন শরিক দলগুলোকেই বেশি ছাড় দিতে হয়। গত দুটি নির্বাচনে আসন সমঝোতার সময়ও এই অসম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বিষয়টি নিয়ে আগে থেকেই আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন বলে নেতাদের অভিমত।

১৪ দলের নেতাদের কেউ কেউ জানান, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে পরিস্থিতি এক রকম হবে। আর বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে আরেক রকম হবে। বিএনপির অবস্থানের ওপর ১৪ দলের আসন বণ্টন বা শরিক দলগুলোর আসন ছাড়ের প্রভাব পড়বে। এ বিষয়টিও জোট নেতাদের ভাবনার মধ্যে রয়েছে। এ কারণেই হয়তো আলোচনায় দেরি হচ্ছে। তবে এ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ১৪ দলের অন্যতম শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, আমরা আলোচনা শুরু করতে আওয়ামী লীগকে বলেছি। কিন্তু এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। হয়তো দ্রুতই আলোচনা শুরু হবে। আগে থেকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করে রাখলে প্রস্তুতিটা ভালো হয়।

এ বিষয়ে জাসদের (একাংশ) সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। এটা নিয়ে জোটে আলোচনা শুরু করা উচিত। আলোচনা শুরু করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের দিক থেকে কিছু বলা হয়নি।

জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে ১৪ দলের ফোরামে আলোচনার পর জোটনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে জোটে এখনও আলোচনা হয়নি। আমরা আলোচনার কথা বলেছি, দেখা যাক কী হয়।

জাসদের অপর অংশের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার বলে মনে করে ১৪ দলের শরিকরা। তবে এখনও আলোচনা হয়নি। আগে থেকে আলোচনাটা করে রাখলে ভালো হয়।

তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার বলে আমরা মনে করি। তবে আসন বণ্টন নিয়ে জোটে কোনো সমস্যা হবে না। জোটের শরিক দলগুলোর কে কতটি আসন চায় বা কোন কোন আসন চায়, তা লিখিতভাবে নিয়ে আলোচনা করে একটা সমাধানসূত্র বের বের করা যেতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ইয়াবাসহ গ্রাম পুলিশ আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় ২৫ পিচ ইয়াবা সহ গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) সাইফুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে শহরের ফুলতলা মোড় থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।

আটক সাইফুল সদরের আলিপুর হাটখোলা গ্রামের মৃত দাউদ হোসেনের ছেলে।

সাতক্ষীরা ইটাগাছা পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আজিজ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ শহরের ফুলতালা মোড়ে অভিযান চালায়। সেখান থেকে আলিপুর ইউনিয়নে কর্মরত চৌকিদার সাইফুল ইসলামের দেহ তল্লাসি করে ২৫ পিচ ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাশিমাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভাবনীয় সাফল্য

কাশিমাড়ী (শ্যামনগর) প্রতিনিধি: ২০১৭ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর বৃত্তিতে শ্যামনগর উপজেলার ০৪ নং কাশিমাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করে নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। এ বারের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠান থেকে ০৮ জন ট্যালেন্টপুল ও ০২ জন সাধারণ গ্রেডে মোট ১০ জন বৃত্তি লাভ করেছে।
ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন হাফিজুর রহমান, মোঃ আহসান হাবিব, হুমাউন কবির, উর্মি, রুবিনা, দৃষ্টিরায় তমা, সুমাইয়া আক্তার সুমি ও শামিমা সুলতানা। সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন নাইম হাসান ও শাহজালাল হোসেন।
প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিক্ষকবৃন্দ, এসএমসি, পিটিএ ও অভিভাবক সহ এলাকার শিক্ষানুরাগী মহলের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার ফলে এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
বিদ্যালয়ের এসএমসি সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। প্রাথমিক শিকার উন্নয়নে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা সত্যিই অনেক প্রসংশনীয়। শিকার উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও আন্তরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম আব্দুর রউফ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আশাকরি আমার ইউনিয়নে শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্যের এই ধারা অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষাঙ্গনে আমার সহযোগিতাও অব্যাহত থাকবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোটা ও কোটার শূন্যপদে নিয়োগ স্পষ্ট করলো সরকার

সরকারি চাকরিতে কোটা ও কোটার শূন্য পদে নিয়োগের পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলনের মধ্যে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে সরকার। এক আদেশে কোটা সংরক্ষণ ও কোটার শূন্য পদ থাকলে সেক্ষেত্রে নিয়োগ নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

গত ৬ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খানের স্বাক্ষর করা এক আদেশে বলা হয়, ‘সব সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার কোনো পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হইলে সে সেসকল পদ মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের মধ্য হইতে পূরণ করিতে হইবে।’

২০১০ সালের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মুক্তিযোদ্ধা কোটার শর্ত শিথিল করে অন্যসব সরাসরি নিয়োগে সব কোটার ক্ষেত্রে শূন্য পদে মেধাবীদের নিয়োগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

এই নির্দেশনার পরে কোনোভাবে যেন কোটার পদে নিয়োগ না হয় সেজন্য কোটার পক্ষের সংশ্লিষ্টরা দাবি জানিয়েছিল। আর কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) কোটা বহাল রেখেই কোটা এবং কোটার শূন্যপদে মেধাবীদের নিয়োগের বিষয়ে স্পস্ট করে ব্যাখ্যা দিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান স্বাক্ষরিত আদেশে গত ৬ মার্চের স্মারকের নির্দেশনার স্পষ্টীকরণ করে বলেছে, ‘উক্ত নির্দেশনা জারির ফলে সরকারি/আধা সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত এবং বিভিন্ন করপোরেশন ও দফতরের সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ কোটা পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণের লক্ষ্যে নিম্নরূপ ব্যাখ্যাসহ স্পষ্টীকরণ করা হইল:

(ক) প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে:
১. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বিষয়ে ২০১০ সালের ৫ মে পরিপত্র অনুসরণপূর্বক বিশেষ কোটার অধীন কোনো জেলার বিতরণকৃত পদের সংখ্যা হইতে যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা কম হইলে উক্ত বিশেষ কোটার অপূর্ণ পদসমূহ জাতীয় ভিত্তিক স্ব-স্ব বিশেষ কোটার (অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী) জন্য প্রণীত জাতীয় মেধা তালিকা হইতে পূরণ করিতে হইবে।

২. উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসরণের পর সংশ্লিষ্ট নিয়োগের জন্য মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটার কোনো কৃতকার্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে উক্ত পদগুলো অবশিষ্ট কোটা অর্থাৎ জেলার সাধারণ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করিতে হইবে।

৩. উপরিউক্ত

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্ব ক্রীড়া দিবস আজ

বিশ্ব ক্রীড়া দিবস আজ

কর্তৃক Daily Satkhira

বিশ্ব ক্রীড়া দিবস আজ (শুক্রবার)। বরাবরের মতো এবারও দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ‘ক্রীড়ায় শান্তির সমাবেশ উন্নয়নে বাংলাদেশ’ প্রাতিপাদ্য নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

দিবসটি উপলক্ষে দেশের সকল ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, পৃষ্ঠপোষকসহ ক্রীড়াঙ্গনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি।

অপর এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খেলাধুলা একটি শিল্প। খেলাধুলার মূল কথাই হলো প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্টি করা। সুস্থ-সবল দেহ-মন এবং দেশ ও জাতির প্রতি ভালবাসা তৈরিতে খেলাধুলা অপরিহার্য। খেলাধুলা শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়, দায়িত্বজ্ঞান, কর্তব্যপরায়ণতা ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয়।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়ানুরাগীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং আনন্দ প্রকাশ করেন।

দিবসটি উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আয়োজিত র‌্যালিটি সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ১নং গেইট থেকে শুরু হয়ে তা জিপিও, শিক্ষা ভবন, জাতীয় প্রেস ক্লাব হয়ে এনএসসি টাওয়ারে শেষ হয়। এরপর সকাল ৮টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিরোপা আবাহনীরই

শিরোপা আবাহনীরই

কর্তৃক Daily Satkhira

লং অন থেকে ওয়াইডিশ মিড উইকেটে দৌড়ে গিয়ে বদলি ফিল্ডার সাইফ হাসানের নেওয়া দুর্দান্ত ক্যাচে গেলেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের আশার সলতে জ্বালিয়ে রাখা মুশফিকুর রহিম। আর সঙ্গে সঙ্গেই আগাম শিরোপা উদ্‌যাপন শুরু হয়ে গেল বাদ্য-বাজনা নিয়ে অপেক্ষায় থাকা আবাহনী সমর্থকদেরও। একটু পরে দেখা গেল ঢাকা থেকে প্রিমিয়ার লিগের ট্রফিও গিয়ে পৌঁছেছে বিকেএসপির মাঠে। ততক্ষণে মিরপুরে খেলাঘরের কাছে শেখ জামাল ধানমণ্ডির হারে যদিও তাদের শিরোপা উৎসব ভণ্ডুল হওয়ার সুযোগ ছিল না। তবু জিতে উদ্‌যাপনের মহিমাই আলাদা। চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে মুশফিকের বিদায়ের পর আর কেউ তাদের জয় অনিশ্চিত করেও তুলতে পারেনি। ৯৪ রানের জয়ে তাই ১৯তম লিগ শিরোপার বল্গাহীন উৎসব করতে করতেই ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে পেরেছে আবাহনী। যে শিরোপা জয়ে আছে অনেক প্রশ্নও। শেষ ম্যাচে বড় জয় নিয়ে হয়তো কথা বলার কিছু নেই, কিন্তু এ পর্যন্ত আসতে আবাহনী খেলেছে অনেকগুলো সন্দেহজনক ম্যাচ। আর তাই এই শিরোপা জয় আবাহনীকে কতটা গর্বিত করল, তা নিয়ে সন্দিহান দেশের ক্রিকেট মহল।

এই মাঠে খেলা নিজেদের সবশেষ ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ ৩৯৩ রানের রেকর্ড গড়েছিল আবাহনী। কাল করল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭৪ রান। দোলেশ্বরের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে ২৩৬ রানের নতুন রেকর্ড গড়ার পথে সেঞ্চুরি করেছিলেন দুই ওপেনারই—এনামুল হক (বিজয়) ও নাজমুল হোসেন (শান্ত)। এদিন একই রকম হলো না কিন্তু মাত্র ১২ ওভারেই ৯২ রানের জুটিতে শুরুর ছন্দটা ধরা হয়ে যায় আবাহনীর। ৫১ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় খেলে যাওয়া ৫৭ রানের যে ছন্দ ধরে দেওয়া ইনিংসের জন্য তাই দিনের শেষে মাশরাফি বিন মর্তুজার অকুণ্ঠ প্রশংসাও পেলেন এনামুল, ‘সবাই হয়তো দুটি সেঞ্চুরির কথাই বলবে, কিন্তু আমার কাছে এনামুলের ইনিংসটিও কম মূল্যবান নয়।’
নাজমুলের মতো সেঞ্চুরি দেখা দিয়েছে আবাহনী অধিনায়ক নাসির হোসেনের ব্যাটেও। তবে নাজমুলের এই মাঠে টানা দ্বিতীয় এবং লিগে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরিটা যদি হয়ে থাকে নিশ্ছিদ্র, তাহলে এই আসরে নাসিরের প্রথম সেঞ্চুরি বহুবার জীবন ফিরে পাওয়ার গল্পে লেখা। ২৭ রানে মিড উইকেটে তাঁর লোপ্পা ক্যাচ ফেলেছেন আশিকুজ্জামান। কঠিন হলেও নাসিরের রিটার্ন ক্যাচ নেওয়া অসম্ভব ছিল না রূপগঞ্জ অধিনায়ক নাঈম ইসলামের জন্যও। ফিফটির পর নাসিরের নিশ্চিত ক্যাচকে ছক্কা বানিয়েছেন মোশাররফ হোসেনও। প্রতিপক্ষের জঘন্য ক্যাচিং আর বাজে ফিল্ডিংয়ে নাসিরও পেয়ে যান পাল্টা আক্রমণে ছিন্নভিন্ন করার পথ। তা করেনও। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে ৭৯ বলে নাজমুলের আগেই পৌঁছে যান সেঞ্চুরিতে। একই ওভারে (৪২) নাজমুল তিন অঙ্কে যান ৯৭ বলে। দুজনের ১৮৭ রানের চতুর্থ উইকেট পার্টনারশিপে অবশ্য নাসিরের একারই ৯১ বলে ১২৯ রান। তুলনায় রয়েসয়ে খেলা নাজমুলের ইনিংসটি ১০৭ বলে ১১৩ রানের। এই আসরে চার সেঞ্চুরিতে লিগ সর্বোচ্চ ৭৪৪ রান করা নাজমুলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎও এখান থেকেই দেখলেন মাশরাফি, ‘এই ছেলেটা লম্বা রেসের ঘোড়া হবে।’দলের ইনিংস লম্বা করায় ব্যাট দাগলেন মাশরাফি নিজেও। ৮ বলে ৪ ছক্কায় অপরাজিত ২৮ রান। এর মধ্যে তিনটিই মেরেছেন শেষ ওভারে তরুণ পেসার আশিককে। তাতে ৩৭৪ করেও নির্ভার হওয়ার উপায় ছিল না, কারণ দোলেশ্বর প্রায় ৪০০ তাড়া করেও বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় বৃষ্টি আইনে এগিয়ে ছিল ১ রানে। তাই স্কোরবোর্ডে কোনো রান জমা হওয়ার আগেই রূপগঞ্জ ওপেনার আব্দুল মজিদ কিংবা ৪১ রানে অভিষেক মিত্রকে অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ফেরানোর পরও ঢিলেঢালা হওয়ার সুযোগ ছিল না আবাহনীর। তা যে ছিল না, সেটি মোহাম্মদ নাঈম শেখকে (৫৪ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৭০ রান) নিয়ে মুশফিকের (৬৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৬৭ রান) ৯১ রানের পার্টনারশিপই বোঝাচ্ছিল। অফস্পিনে দুজনকেই তুলে নেওয়া নাসিরকে তাই ম্যাচ সেরার পুরস্কার দেওয়া ছাড়া উপায়ও ছিল না। মুশফিকের বিদায়ের পর লড়াইয়ে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়া রূপগঞ্জ অধিনায়ক নাঈমও (৬৮ বলে ৭৬) যথাসাধ্য দলকে লড়াইয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। তবে দল যে ৩৭৪ তাড়ার শক্তি হারিয়েছে মুশফিক যাওয়ার পরপরই। এরপর ছিল উৎসবের অপেক্ষা। আবাহনী সমর্থকরা যখন সেটি করছেন, তখন মাশরাফি এসে সংবাদমাধ্যমকে বলে গেলেন, ‘আমার যখন অভিষেক হয়, তখন ঢাকার লিগ দারুণ জমজমাট ছিল। এবারও দারুণ জমজমাট হলো আসরটি। কাগজ-কলমে আমরা সেরা দল হয়েও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest