সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

প্রধানমন্ত্রীকে জাতিসংঘ মহাসচিবের ফোন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। শুক্রবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাত ৯টা ২৫ মিনিটে ফোন দিয়ে প্রায় ১২ মিনিট কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

তিনি জানান, শুক্রবার রাতে দেয়া টেলিফোনে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পাদিত চুক্তি বাস্তবায়নে জাতিসংঘের সহযোগিতা চেয়েছেন শেখ হাসিনা। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে জাতিসংঘ মহাসচিবকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কা‌লিগ‌ঞ্জে বিদ্যুৎ‌তের শর্টসা‌র্কি‌টে ২ দোকা‌নের ৫ লক্ষা‌ধিক টাকার মালামাল ভ‌স্মিভুত

‌মোঃ আরাফাত আলী:কা‌লিগঞ্জ উপ‌জেলার মৌতলা বাজা‌রে অব‌স্থিত ইউনিয়ন প‌রিষদ সংলগ্ন আনসার সা‌হে‌বের মা‌র্কে‌টে দোকা‌নের ভিত‌রে বি‌দ্যুৎ‌তের সর্টসা‌র্কি‌টের কার‌নে দুই‌টি দোকা‌নের মালামাল পু‌ড়ে আনুমা‌নিক ৫ লক্ষা‌ধিক টাকার ক্ষয়ক্ষ‌তি হ‌য়ে‌ছে । ঘটনা‌টি ঘ‌টে‌ছে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টার দি‌কে। প্রত্যাক্ষ দর্শী সু‌ত্রে জানা যায় সন্ধ্যা ছয়টার দি‌কে ওই মা‌র্কে‌টের জু‌তো ব্যবসায়ী মৌতলা ইউনিয়‌নের নামাজগড় গ্রা‌মের অমল চক্রবর্তীর ছে‌লে বিশ্ব‌জি‌তের দোকা‌নে সর্টসা‌র্কি‌টের কার‌নে আগুন লে‌গে যায়। ওই দোকা‌নে আগুন লাগার সা‌থে সা‌থে পাশ্ববর্তী টুথ ব্রাশ ও কস‌মে‌টিকস‌য়ের দোক‌ানদার একই এলাকার সাধন দা‌শের ছে‌লে তুষার দা‌শের দোকা‌নে আগুন লা‌গে। ফায়ার সা‌র্ভিস ও স্থা‌নিয়‌দের সহ‌যো‌গিতায় আগুন নেভা‌তে সক্ষম হ‌লেও তার ম‌ধ্যে বিশ্ব‌জি‌তের অনুমা‌নিক ৩ লক্ষ টাকার ও তুষা‌রের ২ লক্ষ টাকার মালামাল আগু‌নে ভ‌স্বিভুত হ‌য়ে‌ যায়। ঘটনার সত্যতা নি‌শ্চিত ক‌রে কা‌লিগঞ্জ থানার উপ-প‌রিদর্শক হেকমত আলী ব‌লেন বিদ্যুৎ‌তের সর্টসা‌র্কি‌টের কার‌নে দুই‌টি দোকা‌নে আগুন লাগার কার‌নে দোকানদাররা ৫ লক্ষ‌ধিক টাকার ক্ষয়ক্ষ‌তি হ‌য়ে‌ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এপ্রিলের আবহাওয়া পূর্বাভাসে তাপদাহ বন্যা ঘূর্ণিঝড়, সবই আছে

বসন্ত শেষে এ মাসেই প্রকৃতিতে আসছে গ্রীষ্ম; আর এ মাসেই বাংলাদেশকে তাপদাহ, আকস্মিক বন্যা আর ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবেল করতে হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এপ্রিল মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে এ মাসে এক থেকে দুটি নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি পেতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ।

দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত ২-৩ দিন মাঝারি বা তীব্র কালবৈশেখী এবং দেশের অন্যত্র ৪-৫ দিন হালকা থেকে মাঝারি বজ্রঝড় হতে পারে।

দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তাপপ্রবাহের পাশাপাশি মাসের শেষ দিকে পাহাড়ি এলাকায় আকস্মিক বন্যার পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক শুক্রবার বলেন, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে এ মাসে। কিন্তু তার ফাঁকেই বয়ে যেতে পারে তাপপ্রবাহ।

এপ্রিলে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) এবং অন্যত্র এক থেকে দুটি মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এপ্রিলের শেষার্ধে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পাহাড়ি ঢলের কারণে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কাও রয়েছে বলে ওমর ফারুক জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘জঙ্গিদের ওপর দায় পড়বে, ভেবেই রথিশকে হত্যা’

জেএমবি’র হামলায় নিহত জাপানি নাগরিক ওসি কুনিও ও মাজার খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার সরকার পক্ষের প্রধান আইনজীবী ছিলেন রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা। তাকে খুন করলে সবাই ভাববে জঙ্গিরাই তাকে মেরে ফেলেছে। এই ভাবনা থেকেই তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী দীপা ভৌমিক।

বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) রাতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা বলেছেন তিনি। এদিন রাত দেড়টা পর্যন্ত রংপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা ইয়াসমিন মুক্তার খাস কামড়ায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক অবিশ্বাস, পারিবারিক অশান্তি, অবজ্ঞা, একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক থাকাসহ নানা কারণে স্বামী রথিশকে হত্যা করেছেন বলে ১২ পৃষ্ঠার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন দীপা ভৌমিক।

কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেছনের গেট দিয়ে দীপা ভৌমিক, কামরুল ইসলাম এবং দুই সহযোগী রোকন ও সবুজকে আদালতে নেওয়া হয়।

কোতোয়ালি থানার ওসি বাবুল হোসেন রাত পৌনে ১০টার দিকে সাংবাদিকদের জানান, কামরুল ইসলাম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে না চাওয়ায় তাকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপর তিন জন আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তাদের আদালতে রাখা হয়।

পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, দীপা জবানবন্দিতে জানান, ২৫ বছরের বিবাহিত জীবনে তাদের দাম্পত্য জীবন কখনওই সুখের হয়নি। তার স্বামী পরকীয়ার সম্পর্ক থাকায় তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর মধ্যে তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলামের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

তিনি আরও জানান, প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যাওয়ায় স্বামীর সঙ্গে তার কয়েক দফা ঝগড়া হয়। তখনই সিদ্ধান্ত নেন কামরুলকে তিনি বিয়ে করবেন। কিন্তু পথের কাঁটা হিসেবে স্বামী রথিশকে সরাতে হবে ভেবে দুই জন মিলে দুই মাস আগে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।হত্যার পর কীভাবে লাশ গুম করা হবে সে সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। রথিশ জেএমবির হাতে নিহত ওসি কুনিও ও মাজার খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার সরকার পক্ষের প্রধান আইনজীবী ছিলেন। ওই দুই মামলায় জঙ্গিদের যেহেতু ফাঁসির আদেশ হয় তাই পরিকল্পনা ছিল রথিশকে হত্যা করে বিষয়টি জঙ্গিরা করেছে বলে প্রচার করার।এটা ভেবেই তাকে হত্যা করা হয়।

দীপা ভৌমিক জানান, ২৯ মার্চ রাতে রথিশ বাসায় আসলে তাকে ভাত ও দুধের সঙ্গে ১০টি ঘুমের বড়ি খাইয়ে দেই। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সে অচেতন হয়। পরে আগে থেকে বাসার পেছনে থাকা রথিশকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এরপর তার পরনে থাকা লুঙ্গি ও গেঞ্জির বদলে প্যান্ট ও শার্ট পরানোর পর আলমারির ভেতরে ঢুকিয়ে রাখা হয়। সকালে কামরুল বাসা থেকে বেরিয়ে একটি রিকশাভ্যান ভাড়া করে এনে আলমারিটি তুলে নগরীর তাজহাট মোল্লাপাড়ায় অবস্থিত কামরুলের নির্মাণাধীন বাসায় নিয়ে গিয়ে গর্তে ফেলে দিয়ে বালুচাপা দেওয়া হয়।

৩০ মার্চ তিনি সবাইকে জানান,সকালে তার স্বামী কাজের কথা বলে বাইরে গেছে দুপুর পর্যন্ত ফেরেনি। তার (রথিশ) মোবাইল ফোনও বন্ধ, যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে সবাইকে জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইসরায়েলি সেনা-তাণ্ডবে ভয়াবহ রক্তপাতের মুখে গাজা, শতাধিক হতাহত

জাতিসংঘকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি বিক্ষোভাকারীদের ওপর গুলি ছুঁড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গুলি ছোড়ার পূর্ব ঘোষণা উপেক্ষা করে এদিন গাজার পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে শুক্রবারও (৬ এপ্রিল) বিক্ষোভে নামে ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, তারা তাদের গুলি ছোড়া নীতি থেকে সরবে না। তা সত্ত্বেও ১৫ মে পর্যন্ত টানা ছয় সপ্তাহ ভূমি দিবসের বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণায় অনড় ফিলিস্তিনিরা।  এই অবস্থায় সেখানে ভয়াবহ রক্তপাতের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।শুক্রবারের নতুন সহিংসতায় ৩ জনের নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে দেড় শতাধিক মানুষের আহত হওয়ার কথাও জানিয়েছে তারা।

ভূমি দিবস উপলক্ষে ফিলিস্তিনিদের টানা ছয় সপ্তাহের বিক্ষোভের দ্বিতীয় পর্বে শুক্রবার দিন জোরালো বিক্ষোভের কর্মসূচি সফল করতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয় ফিলিস্তিনিরা। বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান বৃহস্পতিবারই গুলি ছোড়া অব্যাহত রাখার হুমকি দিয়ে রাখেন। এদিন তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ নীতিমালায় পরিবর্তন আনার কোনও ইচ্ছে নেই। ইসরায়েলের সরকারি রেডিওতে তিনি বলেন, ‘কোনও ধরনের উত্তেজনা দেখা গেলে গত সপ্তাহের মতো করেই কঠোরভাবে জবাব দেওয়া হবে।’

তবে হুমকি উপেক্ষা করে ভূমি দিবসের কর্মসূচি সফল করতে মাঠে নামে ফিলিস্তিনিরা। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিন গাজা সীমান্তের নিরাপত্তা বেড়ার পাঁচটি স্থানে বিক্ষোভে সামিল হয়। হারেৎজের খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরের নাবলুস, আল-বিরেহ, রামাল্লাহ ও হেবরন এলাকায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমটির খবরে দাবি করা হয়েছে, ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে থেকে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে প্রতিরোধে পাথর ও মলোটোভ ককটেল ছোঁড়া হয়। সেনাবাহিনী গুলি ছুঁড়ে পাল্টা জবাব দেয়।

ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ আন্দোলনকে ‘সংগঠিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দেয় ইসরায়েল। সহিংসতার জন্য গাজা এলাকা নিয়ন্ত্রণে নির্বাচিত সংগঠন হামাসকে দায়ী করে দেশটি। তবে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সংগঠনটি।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার জানায়, ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া নিরাপত্তা অবকাঠামো ও বেড়ার কোনও ক্ষতি তারা বরদাস্ত করবে না। এধরণের আক্রমনের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে হুমকি উপেক্ষা করেই বিক্ষোভে নামে ফিলিস্তিনিরা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর হিসাবে শুক্রবারের অন্তত ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছেন। ভূমি দিবস উপলক্ষে টানা ছয় সপ্তাহের বিক্ষোভে শামিল হতে ইসরায়েলের সীমান্ত ঘেঁষে তাবু ফেলে ওই এলাকায় জড়ো হয়েছেন তারা। গত সপ্তাহে এই বিক্ষোভে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গুলি ছুঁড়লে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়। ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ নামের এই বিক্ষোভ চলাকালে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আহত হয় আরও ১৫০০ মানুষ।

গত শুক্রবারের বিক্ষোভে ১৮ জনের প্রাণহানির পরও আজকের (শুক্রবারের) কর্মসূচির আগেই সেখানে দুই ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়। কর্মসূচিকে সামনে রেখে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করা হয়। এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মহাসচিব অান্তোনিও গুতেরেস বলেন, বিশেষত ইসরায়েলকে বল প্রয়োগের ক্ষেত্রে হতাহতের ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানাই। অবশ্যই বেসামরিক নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আমি মাঠে থাকা সব পক্ষকেই সংঘর্ষ থেকে বিরত থেকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাই।

জাতিসংঘের সতর্কতা উপেক্ষা করে চালানো হামলায় আহতদের মধ্যে অন্তত ১০৭ জন সরাসরি ইসরায়েলি বাহিনীর গুলির শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মাথা ও শরীরের ওপরের অংশে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদেরকে গাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের বেশিরভাগ ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়েছেন। নিহত দুইজনের নাম প্রকাশ করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা হলেন ৩৮ বছর বয়সী ওসামা খামিস ও প্রায় একই বয়সী মাজদি সাবাত। নিহত অপর এক কিশোরের নাম জানা যায়নি।

রাজনীতি বিশ্লেষক মোহসেন আবু রমজান মনে করেন, ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র নাগরিকদের নিশানায় পরিণত করাটা ইসরায়েলের বিশেষ করে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের ‘পুরনো নীতির নতুন উপস্থাপন’ মাত্র। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘আমার আশঙ্কা, বিক্ষোভে অংশগ্রহণ ঠেকাতে এ ভয়ঙ্কর নীতির আওতায় যত বেশি সংখ্যায় পারা যায় ফিলিস্তিনিদেরকে নিশানায় পরিণত করা অব্যাহত থাকবে।’

আবু রমজান মনে করেন, ইসরায়েল বিক্ষোভকে সামরিক সংঘাতের দিকে টেনে নিয়ে যেতে চাইছে। তিনি বলেন, ‘বিক্ষোভের শান্তিপূর্ণ ধরন ইসরায়েলকে সংশয়ী করে তুলেছে। সম্প্রতি গাজা সীমান্তে ইসরায়েল সেনা সংখ্যা এবং বিস্ফোরক ডিভাইসের প্রদর্শনী বাড়িয়েছে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বন্দুকধারী রয়েছে বলেও ধারাবাহিকভাবে দাবি করে যাচ্ছে তারা। ফিলিস্তিনিদেরকে যুদ্ধক্ষেত্রে টেনে আনার জন্য এমনটা করা হচ্ছে; এ যুদ্ধক্ষেত্রে ইসরায়েল আধিপত্য দেখাতে পারে।’
হামাসের মুখপাত্র আব্দেল লতিফ বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোর জন্য এ আন্দোলন করা হচ্ছে না। এ বিক্ষোভকে জনগণের বিক্ষোভ উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি হামাসও এ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। সামনের দিনগুলোতে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

গাজার উম্মাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান আবু আমির মনে করেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদেরকে মুক্তভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেবে না। আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে ইসরায়েল এ বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করবে।’

উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতিবছর ৩০ মার্চ ইসরায়েলের দখলদারিত্বের প্রতিবাদে ‘ভূমি দিবস’ পালন করছে ফিলিস্তিনিরা। ওইদিন নিজেদের মাতৃভূমির দখল ঠেকাতে বিক্ষোভে নামলে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হন। তাদের স্মরণেই পালিত হয় ভূমি দিবস। ২০০৭ সাল থেকে গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। সেখানকার ৭০ শতাংশ মানুষই ফিলিস্তিনের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিতাড়িত হয়ে সেখানে এসে বাস করছেন। এবছর ওই দিনটি স্মরণে বিশাল বিক্ষোভের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ মে পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে। দ্য গ্রেট রিটার্ন মার্চ’ নামে এই বিক্ষোভটি প্রতি বছর আয়োজিত হলেও এবার এতে ভিন্নতা রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েরেলের রাজধানী স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা এবারের ভূমি দিবসকে ভিন্নতা দিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সেই কৃষ্ণ হরিণ যার জন্য সালমানের এই দুর্ভোগ

ভারতের রাজস্থানের যোধপুরের আদালতে যখন সালমান খানের সাজা হয়, আদালতের বাইরে সে সময় উল্লাস করে মিষ্টি বিতরণ করেছে একদল মানুষ। ওরা রাজস্থানের ‘বিশনয়’ সম্প্রদায়ের।

১৯৯৮ সালের অক্টোবরে এই সম্প্রদায়ের মানুষই সালমান খানসহ একটি শুটিং ইউনিটের আরও কজনের বিরুদ্ধে দুটি কৃষ্ণ হরিণ – যা চিংকার নামেও পরিচিত – হত্যার অভিযোগে মামলা করে।

চিংকার হরিণ ভারতে সংরক্ষিত প্রাণীর তালিকায়। সে কারণে, সাথে সাথেই সালমানকে তখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, যদিও ১০ দিন পর তিনি জামিনে ছাড়া পান।

২০ বছর পর বৃহস্পতিবার সেই মামলায় তার পাঁচ বছর সাজা হলো। এর মাঝে ফুটপাতে গাড়ি উঠিয়ে মানুষ হত্যার মামলায় তিনি রেহাই পেয়েছেন। কিন্তু দুটি হরিণ শিকারের মামলা তাকে ছাড়েনি।

প্রধান কারণ বিশনয় সম্প্রদায় এই মামলার পেছনে ক্রমাগত লেগে ছিল। ভগবান বিষ্ণুর পূজারি বিশনয় সম্প্রদায় কয়েকশ বছর ধরে ২৯টি রীতি অক্ষরে অক্ষরে মানার চেষ্টা করে। আর সেই সব রীতির মোদ্দা কথা – প্রকৃতির সুরক্ষা, বৃক্ষ রক্ষা, জঙ্গলের প্রাণী রক্ষা।

বিশেষ করে চিংকার হরিণকে বিশনয় সম্প্রদায় পবিত্র হিসাবে গণ্য করে। এই হরিণকে তারা বলতে গেলে পূজা করে।

প্রাচীন হিন্দু পুরানের এই কৃষ্ণ হরিণের উল্লেখ রয়েছে- এরা ভগবান কৃষ্ণের রথ টানতো। চিংকারকে মানা হয় বাতাস এবং চাঁদের বাহন হিসাবেও। বিশ্বাস এবং ভক্তির কারণেই প্রভাবশালী বিশনয় সম্প্রদায় ২০ বছরেও এই মামলা নিয়ে হাল ছাড়েনি। সাথে ছিল প্রাণী ও পরিবেশ সংরক্ষণের আন্দোলনকারীদের সাহায্য।

কোথায় মেলে এই কৃষ্ণ হরিণ?
সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকলেও ভারত, পাকিস্তান এবং নেপালে এই হরিণ দেখা যায়। ভারতের রাজস্থান এবং গুজরাটের মরু এলাকায় এগুলো চেখে পড়ে বেশি। পুরুষ চিংকারের ওজন বড় জোর ৪৫ কেজি। উচ্চতা ৭৪-৮৮ সেমি। মাদি চিংকার অপেক্ষাকৃত ছোট।

বর্ণচোরা হরিণ
চিংকারের প্রধান বৈশিষ্ট এটি রং বদলায়। বর্ষার শেষে পুরুষ চিংকারের রং থাকে কালো। কিন্তু শীতের সাথে সাথে রং হালকা হতে হতে এপ্রিল নাগাদ বাদামি হয়ে যায়।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ আরাফ তাহসিন বলেন, এমনকী ব্রিটিশদের সময়ে উদয়পুরে ঝাঁকে ঝাঁকে চিংকার দেখ যেত, কিন্তু এখন সেই দৃশ্য বিরল। এরা ঘন জঙ্গলের প্রাণী নয়, সমতলে খোলা জায়গা এদের পছন্দ। যেহেতু এ ধরনের জায়গা দ্রুত মানুষের দখলে চলে যাচ্ছে, ফলে এরা বিপদে পড়েছে।

দুশ বছর আগে যেখানে ভারতে এই হরিণের সংখ্যা ছিল ৪০ লাখের মত, ২০১০ সালে সেটি নেমে আসে মাত্র ৫০ হাজারে। ফলে, চিংকার শিকার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারতে। সূত্র: বিবিসি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় এডিসন স্মার্ড প্লাগ ইন মোবাইল শো-রুমের উদ্বোধন

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এডিসন স্মার্ড প্লাগ ইন মোবাইল শো-রুমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে জামান মেমোরিয়াল ক্লিনিকের পাশে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এডিসন স্মার্ড প্লাগ ইন মোবাইল কোম্পানীর জেনারেল ম্যানেজার কাজী জহিরউদ্দিন। বাংলাদেশে একমাত্র অথরাইজড মাল্টি ব্র্যান্ড রিটেইল আউটলেট। এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রাসেল, সাতক্ষীরা জোনাল সেলস্ ম্যানেজার মো. এজাজ আহমেদ খান, ম্যানেজার মো. নুর হোসেনসহ ব্যবসায়ী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন গাংনিয়া সীমান্ত পাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ক্বারী কামরুজ্জামান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কা‌লিগ‌ঞ্জে ১শ বোতল ফেন‌সি‌ডিল সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

মোঃ আরাফাত আলীঃ কা‌লিগঞ্জ‌ে ১শ বোতল ফেন‌সি‌ডিল সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী‌কে আটক ক‌রে‌ছে পু‌লিশ। আটককৃত ব্যা‌ক্তিরা হ‌লেন উপ‌জেলার চম্পাফুল ইউনিয়‌নের চাদখালী গ্রা‌মের শ‌হিদুল মোড়‌লের ছে‌লে আমিনুর ইসলাম (৩০) ও একই এলাকার সাইহাটী গ্রা‌মের রেজাউল সরদা‌রের ছে‌লে তা‌লেব সরদার (৩০)। থানা সু‌ত্রে জানা যায় বৃহস্প‌তিবার রাত ২ টার দি‌কে মাদ‌ক পাচার হ‌চ্ছে এমন গোপন সংবা‌দের ভি‌ত্তি‌তে থানার উপ-প‌রিদর্শক শুধাংশু শেখর হালদার ও মামুনুর রহমা‌নের নেতৃ‌ত্বে পু‌লিশ মু‌ন্সিগঞ্জ টু সাতক্ষীরা মহাসড়‌কের ভাড়‌া‌শিমলা ‌ মেইন রো‌ডের পা‌শে ভাই ভাই রাইসমি‌লের সাম‌নে অবস্থান কর‌েন।এসময় স‌ন্দেহ ভাজন শ্যামনগর মুখি এক‌টি মটর সাই‌কেল তল্লা‌শি চালায় । মটর সাই‌কে‌লের সা‌থে প্লা‌ষ্টি‌কের ব্যা‌গে রাখা ১শ বোতল ফেন‌সি‌ডিল সহ মাদক ব্যবসায়ী আমিনুর ও তা‌লেব‌কে আটক ক‌রে পু‌লিশ। এবিষ‌য়ে কা‌লিগঞ্জ থানার উপ-প‌রিদর্শক শুধাংশু শেখর হালদার বাদী হ‌য়ে মাদক দ্রব্য নিয়ত্রন আইনে এক‌টি মামলা দা‌য়ের ক‌রে‌ছেন (মামলা নং-৪)।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest