সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলামসাতক্ষীরা সদরের দত্তবাগ টাইগার ক্লাবের নাইট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনজাতীয় সংহতি দিবস,এই দিনে বিভাজন নয়, ঐক্যের আহবান -কাজী আলাউদ্দিনসাতক্ষীরা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনকে বিজয়ী করতে গণমিছিলতরুণদের উদ্ভাবনী উদ্যোগকে উৎসাহিত সাতক্ষীরায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রীন ইনোভেশন ফেয়ারExplorez les avis des utilisateurs sur gtbet et rejoignez la communautéΕξερευνήστε τις καλύτερες στρατηγικές καζίνο στο gtbet για μεγαλύτερα κέρδηCome registrarsi su Nixbet e iniziare a vincere in pochi passiদেবহাটায় কিশোর-কিশোরী ও যুবকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে খেলাধুলার আয়োজনগণমানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান নলতা হাসপাতাল হুমকির মুখে :রক্ষার দাবি

ছাত্রলীগ নিয়ে আমরা নতুন করে ভাবছি: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ছাত্রলীগকে নিয়ে নতুন করে ভাবছে দল। শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে ছাত্রলীগের সম্মেলন রয়েছে। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন মডেলে ছাত্রলীগকে বিকশিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ছাত্রলীগ বলেন আর আওয়ামী লীগ বলেন, কেউ পার পাচ্ছে না। এ বিষয়ে শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স। অপকর্ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না, হবে না।

এ সময় তিনি আরও বলেন বলেন, ছাত্রলীগ নিয়ে আমরা নতুন করে ভাবছি। সংগঠনটির সম্মেলন আছে সামনে। এই সম্মেলনে ছাত্রলীগকে নতুন মডেলে বিকশিত করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেমিনারে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লন্ডনে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদী বৈঠক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকালে লন্ডনের ল্যানক্যাস্টার হাউজের বাই লেটারাল রুমে তাদের এ বৈঠক হয়। বৈঠকে রোহিঙ্গা, তিস্তাসহ দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আগের অবস্থান থেকে অনেকটা সরে এসেছে ভারত। এ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান এখন বাংলাদেশের অনেক কাছাকাছি। ভারত রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনেও সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কমনওয়েলথসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলাপ হয়েছে। রোহিঙ্গা বা তিস্তা ইস্যু নিয়ে আলাপ হয়েছে কি-না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সব বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত তাদের অবস্থান থেকে অনেক সরে এসেছে। তারা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য সহযোগিতা করছে। আর কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা স্পষ্ট করে কিছু না জানালেও তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক সব বিষয়েই তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আর কমনওয়েলথ সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়েছে।

তবে দু’ দেশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বভারতীতে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ হাউজ নির্মাণের বিষয়টিও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উঠে আসে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ‘শীঘ্রই বিশ্বভারতীতে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ হাউজের উদ্বোধন করা হবে। আপনি (শেখ হাসিনা) যদি উদ্বোধনের সময় ভারতে আসেন, তবে আমিও আসবো।’ প্রেস ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র সচিব ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ও অতিরিক্ত প্রেস সচিব নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের পর এক টুইট বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় করার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সুদূরপ্রসারী আলোচনা হয়েছে।’ এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে প্রায় এক বছর পর দুই নেতা মিলিত হলেন। সর্বশেষ গত বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে মোদী’র সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আবারও তার ভারত সফরের কথা রয়েছে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রতিবেশীই প্রথম! প্রতিবেশী এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে গঠনমূলক মতবিনিময় করেছেন। কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলন ২০১৮-এর সাইডলাইনে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এই গরমেও মধু-দারুচিনি

ওজন হ্রাসে

সকালে নিয়মিত কুসম গরম পানিতে মধু ও দারুচিনি মিশিয়ে খেলে মেদ কমতে শুরু করে। ফলে কম সময়ের মধ্যে ওজন হ্রাস পায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে

নিয়মিত দারুচিনি পেস্টের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে দূর হয় ক্লান্তি।

দাঁতের যত্নে

দারুচিনি ও মধুতে এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান আছে, যা শরীরে প্রবেশ করার পর একদিকে যেমন দাঁতকে শক্ত করে, তেমনই মুখগহ্বরে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে। ফলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হওয়ার পাশাপাশি দাঁতের সমস্যা সৃষ্টির শঙ্কা কমে যায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে

পরিবারের কারো এই রোগ থাকলে অন্যরা দারুচিনি ও মধু খেয়ে উপকার পেতে পারে। কারণ এই দুই প্রাকৃতিক উপাদান ইনসুলের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা কমে আসে।

চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মধু ও দারুচিনি খেলে চুলের গোড়ায় পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। ফলে হেয়ার ফলের মাত্রা কমতে শুরু করে। পাশাপাশি চুলের সৌন্দর্য বাড়ে।

হার্টের উন্নতিতে

শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএলের মাত্রা কমানোর মধ্য দিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যে উন্নতি ঘটনায় মধু ও দারুচিনি। মধুতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হার্টের ভেতরে প্রদাহ কমায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে ‘স্বপ্নজাল’

এবার কলকাতার প্রেক্ষাগৃহেও মুক্তি পেতে যাচ্ছে পরীমনি ও ইয়াশ রোহান অভিনীত ‘স্বপ্নজাল’। আগামী ৪ মে থেকে ছবিটি সেখানে দেখানো হবে। আজ শুক্রবার কলকাতায় সংবাদ সম্মেলন করবে ‘স্বপ্নজাল’ টিম। নায়ক-নায়িকা ছাড়াও সেখানে অংশ নেবেন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, বাংলাদেশ অংশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ক্রিয়েশনসের আবুল খায়ের লিটু ও লুভা নাহিদ চৌধুরী। টানা দু’ সপ্তাহ কলকাতায় প্রচারণা চালাবে ‘স্বপ্নজাল’ টিম।

এদিকে আজ থেকে দেশের ১০টি প্রেক্ষাগৃহে চলবে ‘স্বপ্নজাল’। প্রেক্ষাগৃহগুলো হল চট্টগ্রামের আলমাস, যশোরের মণিহার, চালার সাগরিকা, সিলেটের নন্দিতা, খুলনার লিবার্টি, সিরাজগঞ্জের সাগরিকা, ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার, শাহীন, শ্যামলী প্রেক্ষাগৃহ। আর আগামী ২৭ এপ্রিল কানাডার টরেন্টো, উইনিপেগ, ক্যালগারি এডমন্টন শহরেও প্রদর্শিত হবে ‘স্বপ্নজাল’।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় আসছে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ২৬ এপ্রিল ঢাকায় আসছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দল। একই সাথে এই দল বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের রাখাইনে যাবে। ১৫ সদস্যের এই প্রতিনিধি দল কুতুপালং রোহিঙ্গাও শিবির পরিদর্শন করবে। প্রতিনিধি দলটি দুই দেশের সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক করবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিনিধি দলে নিরাপত্তা পরিষদের ৫ স্থায়ী সদস্য দেশসহ ১৫ দেশের প্রতিনিধি থাকবেন।

কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন ছাড়াও এই প্রথমবার রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রাম সফর করবেন তারা।

রাখাইনে সহিংসতা শুরুর পর বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এ নিয়ে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখে। ঢাকা-নেপিদো চুক্তি হলেও প্রত্যাবাসনে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি নেই। সম্প্রতি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অসহায় শিল্পীদের পাশে অপু বিশ্বাস

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। চলচ্চিত্রে নিয়মিত এখন না দেখা গেলেও চলচ্চিত্রের বাহিরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছেন এই নায়িকা। এবার তিনি চলচ্চিত্র শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে কনসার্টে অংশ নিবেন।

অসহায় শিল্পীদের সাহায্য করতে অর্থ সংগ্রহের জন্য এ কনসার্টের আয়োজন করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। আজ শুক্রবার (২০ এপ্রিল) নরসিংদীর ড্রীম হলিডে পার্কে বিকেল ৪টায় এই কনসার্টে অংশ নেবেন অপু বিশ্বাসসহ চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকারা।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনী ইশতেহারেই মিশা-জায়েদ প্যানেল কথা দিয়েছিল পিছিয়ে থাকা, অসচ্ছল শিল্পীদের পাশে দাঁড়াতে তহবিল গঠন করবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সেই ইশতেহারের অংশ হিসেবেই এই কনসার্টের উদ্যোগ নিয়েছে শিল্পী সমিতি। কনসার্টটি যৌথভাবে আয়োজন করছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও শো ব্লিজ এন্টারটেইনমেন্ট। কনসার্টের অর্থ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ফান্ডে জমা হবে।

অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় সব গানের সঙ্গে নাচবেন রিয়াজ, ফেরদৌস, পপি, পূর্ণিমা, অপু বিশ্বাস, জায়েদ খান, আমিন খান, ডিপজল, বিপাশা কবিরসহ আরো অনেক তারকা। দর্শক টিকিট কেটে কনসার্টটি উপভোগ করার সুযোগ পাবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ‘ফেরত এসেছে’ বলে বিতর্কে মোদি

অনলাইন ডেস্ক: মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা ‘ফেরত এসেছে’ বলে মন্তব্য করে নতুন কূটনৈতিক বিতর্ক উসকে দিলেন যুক্তরাজ্যে সফররত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিষয়টি ভারতকেও যে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে, তার প্রমাণ প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও মুখ খুলতে রাজি হচ্ছে না।

ঘটনাটি বুধবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার, যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টারে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সেন্ট্রাল হলে ‘ভারত কী বাত সব কী সাথ’ নামে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়েছিলেন।

সেখানেই বিশ্বের কূটনীতিতে ভারতের অবস্থান কী রকম সমীহজনক জায়গায় পৌঁছেছে, সেটা বোঝাতে গিয়ে তিনি রোহিঙ্গা সংকটের প্রসঙ্গ টেনে আনেন নিজে থেকেই।

শুধু তাই নয়, ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি মিয়ানমারের পছন্দ নয় বলে ভারতও সচেতনভাবে এই শব্দটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি ওই সভায় নিজে থেকেই রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ করেছেন। আর সেটা একবার নয়, অন্তত তিন-তিনবার।

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যখন সমস্যা তৈরি হলো— তখন বিশ্বের নানা দেশ সেই প্রশ্নটাকে কেউ মানবাধিকার, কেউ আরও অন্য কিছু ইত্যাদি নানা রকম, যার যা অবস্থান নেওয়ার নিয়ে নিলো। অথচ আমরা কিন্তু সেখানে আটকে থাকলাম না।’

‘যে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ফেরত গেলো (‘ওয়াপাস গ্যায়ে থে’), আমরা তখন বললাম, বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু দেশ। কাজেই স্টিমার ভর্তি করে আমরা সেখানে চাল-ডাল, রসদ পাঠাতে লাগলাম। যে রোহিঙ্গারা ওখানে এসেছে, তাদের তো উপোস করে মরতে দেওয়া যায় না… এবং ভারতও মানবতার প্রশ্নে কিছুতেই পিছিয়ে থাকতে পারে না।’

‘আর মিয়ানমারের ভেতরে যে রাখাইন প্রদেশ আছে, যেখানে লোকের এই সব সমস্যা ছিল— কোনও উন্নয়ন হয়নি সেখানে। আমরা তখন মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করলাম যে…রাখাইন প্রদেশের বিকাশ ও উন্নয়নের জন্য আমাদের পক্ষে যতটা অবদান রাখা সম্ভব, আমরা সেটা করব!’

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে ভারতের ঘোষিত অবস্থান থেকে অন্তত দুটো গুরুত্বপূর্ণ বিচ্যুতি আছে। এক. প্রকাশ্যে রোহিঙ্গা শব্দের ব্যবহার আর দুই. রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ‘ফেরত গেছে’, এটা বলা।

বস্তুত রোহিঙ্গা সংকটের মূলেই আছে মিয়ানমারের এই তত্ত্ব যে, রোহিঙ্গারা আদতে বার্মার মূল বাসিন্দা নয়। তারা হলো বাঙালি মুসলিম—যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছে। ফলে প্রধানমন্ত্রী মোদি যদি বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ‘ফেরত গেছে’, তাহলে প্রকারান্তরে মিয়ানমারের সেই বক্তব্যকেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এটা রোহিঙ্গা প্রশ্নে ভারতের এতদিনের অবস্থানের সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক।

আর এ কারণেই বিষয়টি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদেরও ধন্দে ফেলেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) সারাদিন নানা অনুরোধেও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর এই উক্তি নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দিতে মোটেই রাজি হননি।

তবে মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে শুধু বলেছেন, ‘‘হয়তো প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে গেছেন’ বলতে গিয়ে কথার তোড়ে মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন ‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ফেরত গেছেন’। কিন্তু আমার পক্ষে না জেনে এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়, এটা নেহাতই একটা অনুমান বলতে পারেন!’

প্রধানমন্ত্রী মোদির এই অভাবিত মন্তব্যে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মহলও বেশ বিচলিত। এটাই এখন ভারতের পরিবর্তিত অবস্থান, নাকি প্রধানমন্ত্রী শুধু বেখেয়ালে ফেরত যাওয়ার কথা বলে ফেলেছেন, তারা সে বিষয়টি স্পষ্ট করে নিতে চান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঢাবি হল থেকে ছাত্রীদের বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে বিকালে বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)ক্যাম্পাসে আজ শুক্রবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। ঢাবির সুফিয়া কামাল হল থেকে বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে তিন ছাত্রীকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক ‍নুরু।

এর আগে কয়েক ছাত্রীকে বের করে দেওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে হলটির সামনে বিক্ষোভ করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। রাত ২টার দিকে অন্তত ২০-৩০ জন হলটির সামনে জড়ো হয়ে হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি করেন। এ দাবিতে বেশ কিছুক্ষণ মিছিল করে ফিরে যান তারা।

এ সময় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনও তদন্ত ছাড়াই হলের ছাত্রীদের বের করে দেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যলয় প্রশাসনের কাছে আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছিলাম। প্রশাসন আশ্বাসও দিয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন সেই ওয়াদা ভঙ্গ করেছে। একইসঙ্গে আমরা হল প্রভোস্ট অধ্যাপক সাবিতা রেজওয়ানা রহমানের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি।’ পরে আজ বিকালে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন নুরুল হক নুরু।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অন্তত তিন ছাত্রীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার খবর ক্যাম্পাসে জানাজানি হলে রাত দেড়টার কিছু পরে হলটির সামনে আসেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ও যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুরু। এরপর একে একে ওই আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীরা সেখানে জড়ো হয়। তারা ফেসবুকে ওই ঘটনার প্রতিবাদে সবাইকে হলটির সামনে আসার আহ্বান জানান। ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা হলের সামনে মিছিল করেন। ‘ভয় দেখিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘রাতের আঁধারে আমার বোন বাইরে কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।

বাইরে এ মিছিলের সময় হলের বিভিন্ন ভবনের ছাত্রীরা জানলা দিয়ে হাত নেড়ে তাদের স্বাগত জানান।

এদিকে, একই সময়ে ঢাবির টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে ফেসবুক লাইভে আসেন ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসান। তিনি কোনও গুজবে কান না দিয়ে শিক্ষার্থীদের মন দিয়ে পড়াশোনা করার আহ্বান জানান।

বৃহ্স্পতিবার রাত ১০ থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ছাত্রীকে থেকে বের করে দেয় হল প্রশাসন। সন্ধ্যার পর হলে গিয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিতা রেজওয়ানা রহমান ছাত্রীদের ডেকে ১০ এপ্রিল কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে সুফিয়া কামাল হলে ছাত্রলীগের এক নেত্রীর বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। এসময় ছাত্রীদের ভয়ভীতি দেখানো ও মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাতে তল্লাশি চালানো হয়। পরে একে একে তিন ছাত্রীকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওই তিন ছাত্রী হলেন, শারমীন শুভ, কামরুন্নাহার লিজা ও পারভীন। রিমি নামের আরেক ছাত্রীর বাবাকে ডেকে মেয়েকে আর কোনও আন্দোলনে না জড়াতে সাবধান করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest