সর্বশেষ সংবাদ-
আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদেররাষ্ট্রপতির ক্ষমার আগে ভুক্তভোগী ও পরিবারের মতামত নেওয়ার প্রস্তাবতালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিতভোমরায় জামায়াতের হুইল চেয়ার বিতরণসাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ইটাগাছা এলাকা পরির্দশনে সদর ইউএনও

‘এগুলো অশ্লীল, একইসঙ্গে অশোভন’

কঙ্গনা রানাওয়াত। বলিউডের হার্টথ্রব অভিনেত্রীদের একজন। দক্ষতা ও গ্ল্যামার দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। সম্প্রতি আইটেম গান নিয়ে কথা বলেছেন এ অভিনেত্রী। কারণ ক্যাটরিনা কাইফ, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, দীপিকা পাড়ুকোনসহ কঙ্গনার সমসাময়িক অভিনেত্রীদের অনেককেই আইটেম গানে দেখা গেছে। কিন্তু সেদিক থেকে ব্যতিক্রম এই অভিনেত্রী।

ভারতীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কঙ্গনা বলেন, ‘আমি আইটেম গান করি না কারণ সেখানে করার মতো কিছু নেই। এগুলো অশ্লীল, একইসঙ্গে অশোভন, এর বেশির ভাগ যৌন আবেদনপূর্ণ। তাহলে এখানে করার মতো কী রয়েছে? ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, আইটেম গান নিষিদ্ধ করা উচিৎ। আমি এমন কিছুর অংশ হতে চাই না যেগুলো আমাদের, সমাজের, আমাদের শিশুদের জন্য ক্ষতিকর। ভবিষ্যতে যদি আপনার, আমার মেয়ে হয় তাহলে কি আমরা চাইব তাদের অবজেক্টিফাইং করা হোক? আমি বলতে চাইছি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রয়েছে, তাদের প্রতি আমাদের একটা দায়িত্ব আছে।’

কঙ্গনা অভিনীত পরবর্তী সিনেমা মণিকর্ণিকা : দ্য কুইন অব ঝাঁসি। রানি লক্ষ্মীবাঈ-এর জীবনী ও ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে তার যুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হচ্ছে এটি। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন কৃষ। এতে কঙ্গনা ছাড়াও অভিনয় করছেন সোনু সুদ, অতুল কুরকার্নি, অঙ্কিতা লোখান্ডে প্রমুখ। চলতি বছর সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১০ টেস্টেই শীর্ষ দশে মার্করাম

রতিভার ঝিলিক তার ব্যাটে দেখা গেছে আগেই। সেই উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে ক্রমেই আরও পোক্ত করেছেন। খেলেছেন একের পর এক দুর্দান্ত ইনিংস। টেস্ট ইতিহাসে দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্যারিয়ারে প্রথম দশ টেস্টেই স্পর্শ করেছেন হাজার রান। এই ধারাবাহিকতার সুফলও পেলেন এইডেন মার্করাম। টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে উঠে আসলেন নতুন উচ্চতায়। তরুণ প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান মাত্র ১০ টেস্ট খেলেই আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছেন।

মার্করাম অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত জোহানেসবার্গ টেস্টে ১৫২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ৩৭। এই পারফরম্যান্স তাকে এগিয়ে নিয়েছে ৬ ধাপ। উঠে এসেছেন টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ের নয়ে।

১০ টেস্টে ৪ সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিতে মার্করামের রান এখন ঠিক ১ হাজার। গড় ৫৫.৫৫। ২০১৪ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে শিরোপা জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া এই ব্যাটসম্যান।

ব্যাটসম্যানদের শীর্ষে এখনও আছেন নিষিদ্ধ হওয়া স্টিভেন স্মিথ। দুইয়ে বিরাট কোহলি। এক ধাপ এগিয়ে জো রুট উঠেছেন তিনে।

আইসিসি টেস্ট বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছেন কাগিসো রাবাদা, দুইয়ে জিমি অ্যান্ডারসন। এছাড়া অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে আছেন শীর্ষে সাকিব আল হাসান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছাগলকে বাঁচাতে বাঘের সঙ্গে তরুণীর লড়াই!

বাঘের কথা শুনলেই অনেকে শিউরে উঠেন। আর সেই বাঘের সাথে লড়াই শুনতেই গায়ের মধ্যে ছমছম করে উঠছে। তেমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে। ছাগলের জন্য জীবন বাজি রেখে বাঘের সাথে লড়াই করেন, নিজে বাঁচলেও সেই ছাগলকেই রক্ষা করতে পারেন নি রুপালি।

দশ দিন আগের কথা, রুপালি মেশরাম নামের ২৩ বছর বয়সী সাহসী ওই তরুণী যখন ঘর থেকে তার ছাগলের চিৎকার শুনলেন, তখন একটি লাঠি হাতে বের হলেন। গিয়ে দেখলেন, তার ছাগলকে বাঘে ধরেছে। ছাগল বাঁচাতে লাঠি দিয়ে বাঘের ওপর আঘাত করলেন।

এরপর বাঘ তার ওপর হামলে পড়ল। বাঘ-মনুষ্য লড়াইয়ের এক পর্যায়ে রুপালির মা জিজাভাই সেখানে গিয়ে হাজির হলেন। মেয়েকে টেনে ঘরে তুললেন। ততক্ষণে রক্তাক্ত হয়ে গেছেন রুপালি। বিষয়টি দেখে আতঙ্কিত হলেন তার মা, অথচ তিনিও অসুস্থ। তবে তাদের অবস্থা খুব বেশি খারাপ নয়। ইতোমধ্যে হাসপাতাল থেকে তাদের রিলিজ দেওয়া হয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে। চিকিৎসক রুপালির সাহসের প্রশংসা করেছেন। তবে এও বলেছেন, কপাল ভালো যে, বাঘটি তাকে (রুপালি) কামড়ে ধরেনি।

মা-মেয়ে বিবিসিকে বলেছেন, তারা ওই সময় একজন বনরক্ষককে ডাক দেন, কিন্তু বাঘ চলে যাওয়ার আধা ঘণ্টা পর তিনি আসেন।

যাই হোক, যে ছাগলের জন্য বাঘের সাথে মা-মেয়ের লড়াই, সেই ছাগলকেই বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে বন্যপ্রাণী পার্ক খুব কাছে থাকায় প্রায়ই বাঘ লোকালয়ে চলে আসে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন চান না মন্ত্রী-এমপিরা

সংসদীয় আসনের সীমানার পরিবর্তন চান না অধিকাংশ মন্ত্রী-এমপিরা। তারা আগের সীমানা বহাল রাখতে আবেদন করেছে নির্বাচন কমিশনে। এ জনপ্রতিনিধিরা ছাড়াও সংসদীয় সীমানা পরিবর্তনের পক্ষে-বিপক্ষে ৬০টি আসনে ৬২১টি আবেদন জমা পড়েছে।

চলতি মাসে এ আবেদনগুলোর দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে সংসদীয় আসনের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়া তালিকা প্রকাশ করে ইসি। খসড়ায় ৩৮ আসনে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। এসব পরিবর্তনে আপত্তি জানিয়ে ইসিতে আবেদন করে ক্ষমতাশীন দলের মন্ত্রী ও এমপিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। ১৬টি জেলার ৬০টি আসন থেকে ৬২১টি আবেদন আসে। এর মধ্যে বর্তমান সীমানায় অপত্তি জানিয়ে আবেদন পড়েছে ৪০৪টি আর সীমনা পরিবর্তন চেয়ে আবেদন এসেছে ২১৭টি।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, আগের সীমানা বহাল রাখতে আবেদন করেছেন ৪ জন মন্ত্রী ও ১৫ জন এমপি । অপরদিকে সীমানা পরিবর্তন চেয়েছেন ৩ জন মন্ত্রী ও ৭ জন মন্ত্রী। এসব মন্ত্রী-এমপিরা আবেদনের পাশাপাশি কমিশনারদের সঙ্গে দেখা করছেন।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়া তালিকা দাবি-আপত্তি শুনানির জন্য বিভাগ অনুযায়ী নথি উপস্থাপনের প্রস্তুতি চলছে। আগামী সপ্তাহের শুনানি হতে পারে। তবে আবেদন দেখে কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে কিভাবে এবং কবে থেকে সীমানা পুনর্নির্ধারণে এসব দাবি-আপত্তির শুনানি শুরু করা হবে।

ইসি সূত্র জানায়, সংসদীয় আসনে পরিবর্তন চেয়ে আবেদন এসেছে ৬০টি আসন থেকে, এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯টি আসনে , রংপুর বিভাগে ৪টি, রাজশাহী ৫টি, খুলনা ৮টি, বরিশালে ৪টি, সিলেট ৪টি এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ১৫টি আসন থেকে আবেদন এসেছে ।

ইসির প্রস্তাবিত খসড়া পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মাগুরা-২ আসনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। মহম্মদপুর ও শালিখ উপজেলার পাশাপাশি সদর উপজলোর শত্রুজিৎপুর, গোপালগ্রাম, কুচিয়ামোড়া ও বেরইল পলিতা ইউনিয়ন নিয়ে এই আসনটি বিদ্যমান। কিন্তু প্রস্তাবিত খসড়ায় সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নকে মাগুরা-১ আসনে সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। যোগাযোগের সুবিধার্থে এই আসনে পরিবর্তন না করার লিখিত দাবি জানিয়েছেন ইউনিয়নগুলোর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। পাশাপাশি মাগুরা-২ আসনের বর্তমান সাংসদ ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী শ্রী বীরেন শিকদার ও মাগুরা-১ আসনের সাংসদ এটিএম আবদুল ওয়াহাব। এই আসনে কোনো পক্ষই পরিবর্তন চায় না।

প্রস্তাবিত খসড়ায়, ঢাকা-২ নির্বাচনি এলাকা তিনটি আসনে ভাগ হয়ে গেছে। বিদ্যমান সীমনায় এই আসনটি ঢাকা সিটি করপোরেশনের তিনটি ওয়ার্ড (৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড), কেরানীগঞ্জ উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন (হজরতপুর, কলাতিয়া, তারানগর, শাক্তা, রুহিতপুর, বাস্তা ও কালিন্দী), সাভার উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন (আমিন বাজার, তেতুলঝোড়া ও ভাকুর্তা) নিয়ে গঠিত। কিন্তু প্রস্তাবিত খসড়া সীমানায় পুরো কেরানীগঞ্জ উপজেলাটি এখন ঢাকা-২ আসনের মধ্যে পড়েছে। (আগে কেরানীগঞ্জ উপজেলার আগানগর, জিনজিরা, তেঘরিয়া, কোন্ডা ও শুভাঢ্যা ছিলো ঢাকা-৩ আসনে)।তাই ঢাকা-২ আসন বিন্যাসের ওপর আপত্তি জানিয়ে কমিশনে আপিল করেছেন ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি আশা করছেন, তার নির্বাচনি এলাকা অপরিবর্তিত থাকবে।

কুমিল্লা-৬ আসনের পরিবর্তন না করার আবেদন জানিয়েছে সেখানকার বর্তমান সাংসদ আ ক ম বাহার উদ্দিন বাহার। তিনি সামীনা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার পূর্বক ২০১৩ সালের বিদ্যমান সীমানা বহাল রাখার আবেদন করেন।

অন্যদিকে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ. কে ফজলুল হক সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদীয় আসনের পরিবর্তন চেয়েছেন। তিনি আবেদনে বলেন, সাতক্ষীরা-৪ নির্বচনী এলাকা শ্যমনগর উপজেলার ১২টি এবং কালিগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে ২০০৮ সালে যে সীমানা ছিল সেটি বহাল রাখতে। ইসির খসড়ায় এ আসনটি ভাঙ্গার প্রস্তাব করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার জালাল আহম নামে এক ব্যবসায়ী চট্ট্রগ্রাম-১৪ আসনের সীমানায় পরিবর্তন চেয়ে আবেদনে বলেন, চট্টগ্রাম সাতকানিয়া উপজেলাধীন হুদাহা ইউনিয়নকে অন্তভূক্ত করতে হবে। ২০০৮ সালে এ আসনে ইউনিয়নটি অন্তভুক্ত ছিল। সে অনুযায়ী সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।

এদিকে কুড়িগ্রাম ৩ ও ৪ আসন যেভাবে বিন্যাস করা হয়েছে তা শুনানিতে বহাল রাখায় কমিশনকে শক্ত ভূমিকা রাখতে অনুরোধ জানিয়ে গেছেন জাতীয় পার্টির একজন জনপ্রতিনিধি।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর তার প্রত্যাশা অনুযায়ী আসনটি বিন্যাস করেছে কমিশন। তিনি নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে তার অবস্থান পরিষ্কার করে যান।

গত ১৪ মার্চ ১৬টি জেলার ৩৮টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনে খসড়া তালিকা প্রকাশ করে ইসি। সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে জনসংখ্যার চেয়ে প্রশাসনিক অখন্ডতা রক্ষার ওপর বেশি জোর দেয় ইসি। ফলে সংসদীয় আসনগুলোতে জনসংখ্যার ব্যবধান বাড়ছে।

ইসি প্রকাশিত গেজেটে দেখা যায়, এবার ছয়টি পদ্ধতি অনুসরণ করে সীমানা বিন্যাস হয়েছে। সেগুলো হলো ২০১৩ সালে নির্ধারিত জেলার আসন সংখ্যা ঠিক রাখা, প্রশাসনিক ইউনিট, বিশেষ করে উপজেলা এবং সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডের অখণ্ডতা যথাসম্ভব বজায় রাখা, ইউনিয়ন বা পৌর এলাকার ওয়ার্ড একাধিক আসনে বিভাজন না করা, যেসব নতুন প্রশাসনিক এলাকা সৃষ্টি হয়েছে বা বিলুপ্ত হয়েছে, তা অন্তর্ভুক্ত করা, বিলুপ্ত ছিটমহল এলাকা অন্তর্ভুক্ত করা এবং ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও যোগাযোগব্যবস্থা যথাযথ বিবেচনায় রাখা। এর ফলে প্রায় অর্ধশত আসনে জনসংখ্যার ভারসাম্য দেখা যাচ্ছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে আগামী ৩০ এপ্রিল সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণ করে গেজেট আকারে প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতিতে দেশ

দেশে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধির তুলনায় আমদানি ব্যয় তিন গুণেরও বেশি। এতে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ। চলতি অর্থবছরের (জুলাই-জানুয়ারি) সাত মাসে বৈদেশিক লেনদেনে পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। স্বাধীনতার পর এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২০১০-১১ অর্থবছরে; ৯৯৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ২০১১-১২ অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৯৩২ কোটি ডলার।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আমদানি ব্যয় যে হারে বেড়েছে, সে তুলনায় রপ্তানি আয় না বাড়ায় বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন রেমিট্যান্সপ্রবাহে নেতিবাচক ও সেবা খাতের ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে চলতি হিসাবের ভারসাম্য। তাঁদের মতে, আমদানির এ প্রভাব উৎপাদনশীল খাতের বিনিয়োগে পড়লে অর্থনীতির জন্য ভালো। তবে এই অর্থ যদি পাচার হয়ে থাকে তাহলে এর ফল অত্যন্ত ভয়াবহ হবে। বর্তমান অবস্থা অব্যাহত থাকলে চাপের মুখে পড়বে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রো রেলসহ বেশ কিছু বড় প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ আমদানিতে অনেক খরচ হচ্ছে। আমদানি যেভাবে হয়েছে, সেই হারে রপ্তানি বাড়েনি। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ সব সময় বাণিজ্য ঘাটতিতেই থাকে। তবে এখন তা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এর মূল কারণ একদিকে রপ্তানি আয় বাড়ছে না। অন্যদিকে দীর্ঘদিন রেমিট্যান্সপ্রবাহে নেতিবাচক ছিল। সম্প্রতি রেমিট্যান্স কিছুটা বাড়লেও যে হারে কমেছে সেই হারে বাড়েনি।’

অর্থনীতি বিশ্লেষকের মতে, বাণিজ্য ঘাটতির এই নেতিবাচক ধারা অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। কারণ এটি অব্যাহত থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের (রিজার্ভ) ওপর প্রভাব পড়বে; মদ্রাবিনিময় হার বেড়ে যাবে। ফলে টাকার অবমূল্যায়ন বাড়বে। সর্বোপরি মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জানুয়ারি শেষে ইপিজেডসহ রপ্তানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে দুই হাজার ১০৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় হয়েছে তিন হাজার ১১৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এ হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতির দাঁড়ায় এক হাজার ১২ কোটি ৩০ ডলার। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী, প্রতি ডলার ৮২ টাকা হিসাবে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। আলোচিত সময়ে আমদানি বেড়েছে ২৫.২০ শতাংশ হারে। অন্যদিকে রপ্তানি বেড়েছে মাত্র ৭.৩১ শতাংশ। ফলে চলতি হিসাবে ঘাটতি বড় হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোনো ঋণ করতে হচ্ছে না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়। সেই হিসাবে উন্নয়নশীল দেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা ভালো। কিন্তু গত কয়েক বছর চলতি হিসাবের ভারসাম্যের উদ্বৃত্ত থাকলেও গত অর্থবছরে এটা ঋণাত্মক ধারায় চলে গেছে। জানুয়ারি শেষেও এ ধারা অব্যাহত রয়েছে।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরজুড়ে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল। এতে বৈদেশিক দায় পরিশোধে সরকারকে বেগ পেতে হয়নি; কিন্তু ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ১৪৮ কোটি ডলার ঋণাত্মক হয়, যা এখনো অব্যাহত রযেছে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের জানুয়ারি শেষে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ৫৩৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার ঘাটতি হয়েছে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী এর পরিমাণ প্রায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা, যা এর আগের অর্থবছরে একই সময়ে ঘাটতি ছিল ৮৯ কোটি ডলার।

আলোচ্য সময়ে সেবা খাতে বিদেশিদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে ৫০৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। আর বাংলাদেশ এ খাতে আয় করেছে মাত্র ২৪৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এ হিসাবে সাত মাসে সেবা খাতে বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৫৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারে, যা গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৯৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

দেশে বিদেশি বিনিয়োগও কিছুটা ভাটা পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) দেশে এসেছে মোট ১১০ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১১৩ কোটি ডলার। তবে আলোচিত সময়ে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের সাত মাসে নিট পোর্টফোলিও বিনিয়োগ হয়েছে ৩১ কোটি ২০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২১ কোটি ১০ লাখ ডলার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘আত্মঘাতী’ রোমা, জয় পেল বার্সা

ঘরের মাঠে রোমার বিপক্ষে বড় ব্যবধানেই জিতেছে বার্সেলোনা। কিন্তু সেখানে মেসি পিকেদের চেয়ে ইতালীয় ক্লাবটির আত্মঘাতী গোলই বেশি ভূমিকা রেখেছে। বার্সা জয় পেয়েছে ৪-১ গোলে। কিন্তু তার মধ্যে বার্সার ২টি গোলই হয়েছে আত্মঘাতী। আর স্বাগতিকদের হয়ে একটি করে গোল করেন লুইস সুয়ারেস ও জেরার্দ পিকে। ফলে হারের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়লো রোমা।

এদিকে ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় কোয়ার্টার-ফাইনাল যেন বার্সেলোনার দুঃস্বপ্ন। নিজেদের শেষ চার কোয়ার্টার-ফাইনালের মধ্যে মাত্র একবার পরের রাউন্ডে যেতে পেরেছে দলটি। এবার ঘরের মাঠে প্রথম লেগে জিতে সেমি-ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে তারা।

এদিন ৩৮তম মিনিটে আত্মঘাতী গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় বার্সা। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা বল বাড়াতে চেয়েছিলেন মেসিকে। ছুটে এসে স্লাইড করেন দানিয়েল দে রস্সি। রোমা অধিনায়কের পায়ে লেগে বল জড়ায় নিজেদের জালে। ৫৬তম মিনিটে আরেকটি আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। রাকিতিচের ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারেননি সামুয়েল উমতিতি। কোস্তাস মানোলাসের স্লাইডে পোস্টে লেগে ফিরে বল। এবারও পা ছোঁয়াতে পারেননি উমতিতি। তবে মানোলাসের পায়ে লেগে এবার গোললাইন অতিক্রম করে বল।

খানিক পর মেসির দারুণ ক্রস বিপজ্জনক জায়গায় খুঁজে পায় সুয়ারেসকে। তার শট কোনোমতে ফেরান আলিসন। একেবারে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা জেরার্দ পিকে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি। ৫৯তম মিনিটে স্কোর লাইন হয়ে যায় ৩-০।

মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনের ভুলে ৭৮তম মিনিটে গোল খেতে বসেছিল বার্সেলোনা। বল নিয়ে কারিকুরি করতে গিয়ে বাই লাইনের কাছে বল হারান গোলরক্ষক। তবে ডেফরেলের শট ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ফেরান টের স্টেগেন।

পরের মিনিটে আর দলকে বাঁচাতে পারেননি বার্সেলোনা গোলরক্ষক। পেরোতির কাছ থেকে বল পেয়ে ব্যবধান কমান এদিন জেকো। চলতি আসরে ঘরের মাঠে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো বার্সেলোনার জালে গেল বল।

৮৭তম মিনিটে রোমার জালে বল পাঠান সুয়ারেস। একটু আগেই মাঠে নামা দেনিস সুয়ারেসের ক্রস অতিথিদের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লাগলে পেয়ে যান উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। তার বুলেট গতির শট ফেরাতে পারেননি আলিসন। চলতি আসরে এটাই লুইস সুয়ারেসের প্রথম গোল! রোমার মাঠে আগামী মঙ্গলবার হবে শেষ আটের ফিরতি লেগ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুদকের তদন্ত আতঙ্কে রাজনীতিকরা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত-আতঙ্কে রয়েছেন রাজনীতিবিদরা। দুর্নীতি প্রতিরোধে কাউকে ছাড় দিচ্ছে না দুদক। অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের ডাকা হচ্ছে। বিএনপির শীর্ষ ১০ নেতার ব্যাংক লেনদেনের হিসাব-নিকাশ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুদক। ‘সন্দেহজনক’ লেনদেনের অভিযোগ তদন্তের জন্য সংশিষ্ট ব্যাংকগুলোর কাছে তথ্য চেয়েছে সংস্থাটি। এমনকি সরকারি দলের বর্তমান এমপি, সাবেক মন্ত্রী ও প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে দুদক কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। ইতিমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন এমপিকে তলব করা হয়েছে। আরও তিন এমপি ও দুই নেতার বিরুদ্ধে অনিয়মের তদন্ত চলছে। ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও ব্যাংকটির আরেকজন পরিচালক মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতীর বিষয়েও তদন্ত চলছে। সেই সঙ্গে জাতীয় পার্টির দুজন এমপির বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান।

এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দফতরে দুর্নীতির বিষয়ে নজর রাখছে সংস্থাটি। দুদক সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগ পেলে বর্তমানে গ্রেডিং পদ্ধতিতে তারা তদন্ত করছে। এ ক্ষেত্রে কে কোন দলের তা দেখার সুযোগ নেই। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৭৫ ভাগ গ্রেডিংয়ের ভিত্তিতে তদন্তকাজ শুরু করে দুদক। সেই সঙ্গে নির্বাচনী হলফনামা এবং বিভিন্নভাবে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করেই অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করে তারা। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় পাচ্ছেন না সরকারি দলের এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতারা। এমনকি সাবেক মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও দুদকের অবস্থান অনমনীয়।

জানা গেছে, প্রভাবশালীদের সম্পর্কে দুদক তথ্য নিচ্ছে রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ভূমি রেজিস্ট্রেশন অধিদফতরসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে। এ ছাড়া সাবেক ও বর্তমান এমপিদের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা থেকেও তথ্য-উপাত্ত নিচ্ছে দুদক। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে মাঝেমধ্যেই চিঠি দেওয়া হয়। বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে দুদকের জালে পড়ছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরাও। দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাক পড়ছে তাদের। তারা হলেন ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বি এইচ হারুন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার লিমিটেডের সভাপতি কামরুল আশরাফ খান।

দুদক কর্মকর্তারা জানান, দশম সংসদ নির্বাচনের পরপর দুদকের মুখোমুখি হতে হয়েছে সরকারের সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও এমপিদের। আর তদন্ত চলমান সাবেক গণপূর্ত ও গৃহায়ণ প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার-৪ আসনের এমপি আবদুর রহমান বদির বিভিন্ন অনিয়মের। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব ও ময়মনসিংহ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, জাপা নেতা নীলফামারী-৪ আসনের এমপি মো. শওকত চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত চলছে। কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিদেশে টাকা পাচারসহ বিভিন্ন নাশকতায় অর্থ লেনদেন করা বিষয়ে একটি অভিযোগ দুদকে আসে। এ বিষয়ে দুদক বিএনপির যেসব শীর্ষ নেতার লেনদেন তদন্ত করছে তারা হলেন— স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও এম মোরশেদ খান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল এবং নির্বাহী সদস্য তাবিথ আউয়াল। একই অভিযোগ আসায় মোরশেদ খানের ছেলে ব্যবসায়ী ফয়সাল মোরশেদ খান এবং ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের বিষয়েও অনুসন্ধান করবে দুদক। এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা দেখছি দুদক সরকারের এমপি, প্রভাবশালী নেতাসহ অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনছে। তবে দেখার বিষয়, তারা কীভাবে এর সমাধন করে। আশা করছি দুদক বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করে জনগণের আস্থা অর্জন করবে। এ ক্ষেত্রে কে কী বলল তা দেখার বিষয় নয়।’

দুদকে ডাক পড়েছে সরকারের তিন এমপির : প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১৩৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বি এইচ হারুনকে তলব করেছে দুদক। প্রতিষ্ঠানটির উপ-পরিচালক শামসুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে এমপি হারুনকে ১১ এপ্রিল দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। বি এইচ হারুন ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে ১৩৪ কোটি টাকা সরিয়ে ওই টাকা দিয়ে ঢাকা ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেছেন তিনি। এ ছাড়া প্রিমিয়ার ব্যাংকের টাকা দিয়েই চারটি বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন বলে বনানীর রেইনট্রি হোটেলের মালিক বি এইচ হারুনের বিরুদ্ধে দুদকের কাছে অভিযোগ আছে। সূত্র জানায়, মাদক ব্যবসা, সার লুট ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুই সংসদ সদস্যকে তলব করেছে দুদক। গতকাল বিষয়টি জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মাদক ব্যবসায় জড়িত অভিযোগে খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজানকে দুদকে তলব করা হয়েছে। সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে মিজানুর রহমানকে ১৬ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। দুদকের অভিযোগে বলা হয়, মিজানুর রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার করে খুলনা সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য সরকারি অফিসের ঠিকাদারি, নিজ পরিবারের সদস্যদের নামে কাজ নিয়ে নামমাত্র কাজ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ এবং মাদকের ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ৭ মার্চ থেকে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি সার লুটসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নরসিংদী-২ আসনের এমপি বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার লিমিটেডের সভাপতি কামরুল আশরাফ খানকে তলব করেছে দুদক। সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. একরামুর রেজা স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী ১১ এপ্রিল দুদকে তলব করা হয়। নরসিংদী-২ আসনের এক ব্যক্তির অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদক কামরুল আশরাফকে তলব করে। দুদক চেয়ারম্যান বরাবর লেখা চিঠিতে অভিযোগকারী বলেন, ‘আমরা এ দেশের সাধারণ কৃষক। সরকার প্রতিবছর লাখ লাখ টন সার বিদেশ থেকে নিয়ে আসে। কামরুল আশরাফ ও তার সহচররা সার পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থেকে গত ১০ বছরে অবৈধভাবে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।’ চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, ‘তারা সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সার নিয়ে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন কিন্তু দেন না। গোপনে বিক্রি করে দেন এবং সরকারি লোকজনকেও এর ভাগ দেন।’ অভিযোগকারী চিঠিতে বলেন, ‘সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান ঢাকার গুলশানে বনানী ৩ নম্বর রোডে দুটি বাড়ি কিনেছেন। টাকার জোরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ২০০ বিঘার বাগানবাড়ি করেছেন। কোটি কোটি টাকার নিশান পেট্রোল গাড়ি কিনেছেন সার বেচা টাকা দিয়ে।’

দুদকের জালে জাপা এমপি : নির্বাচন কমিশনে মিথ্যা হলফনামা দেওয়ায় জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ও ময়মনসিংহ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি আবারও দুদকের জালে জড়িয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিসেম্বরে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয় দুদক। এর আগে তার দুই মেয়ের ‘রাজকীয়’ বিয়ে নিয়ে সংস্থাটি অনুসন্ধান চালায়। সর্বশেষ দুদক সচিব স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা জমা দিয়েছেন, তাতে তিনি ১ লাখ টাকার স্থাবর ও সাড়ে ৩ লাখ টাকার অস্থাবরসহ সাড়ে ৪ লাখ টাকার সম্পত্তির বিবরণ দেখিয়েছেন। অথচ এর আগে তিনি ২০১৩ সালের ৩০ জুন তার আয়কর বিবরণীতে উপ-কর কমিশনারের (মুক্তাগাছা) দফতরে ৫৬ লাখ ৩ হাজার ৮৭৬ টাকার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। এ ছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি তার বাবার কাছ থেকে ৩ লাখ ৩ হাজার টাকার সম্পত্তি হেবা দলিলের মাধ্যমে মালিকানা অর্জন করেছেন। কিন্তু তিনি হেবা সম্পদের বিবরণ নির্বাচন কমিশন ও আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করেননি। সব মিলিয়ে এমপি সালাউদ্দিন ৫৪ লাখ ৫৬ হাজার ৮০০ টাকার সম্পদ কম দেখিয়ে মিথ্যা হলফনামা দাখিল করেছেন।

বিএনপি নেতাদের তথ্য চেয়ে ব্যাংকগুলোতে চিঠি : বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের আট নেতাসহ ১০ জনের ১২৫ কোটি টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেনের অভিযোগ তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কাছে তথ্য চেয়েছে দুদক। গতকাল এই চিঠি পাঠানো হয়েছে জানিয়ে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা শামসুল আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা তাদের বিভিন্ন সময়ের লেনদেনের স্টেইটমেন্ট চেয়েছি।’ বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের বছর ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানির লক্ষ্যে’ দুদককে দিয়ে এ কাজ করাচ্ছে সরকার। সোমবার দুদকের উপ-পরিচালক ঋত্বিক সাহা স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বিএনপি নেতাদের ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, ৩০ দিনে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে মানি লন্ডারিং ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে ১২৫ কোটি টাকা লেনদেনসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানের জন্য দুদক উপ-পরিচালক মো. শামসুল আলমের নেতৃত্বে দুই সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। দলের অন্য সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন। দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, বিএনপির ওই নেতারা এইচএসবিসি, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড, ডাচ্-বাংলা, ন্যাশনাল, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, আরব-বাংলাদেশ ও ঢাকা ব্যাংকসহ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিদেশে টাকা পাচারসহ বিভিন্ন নাশকতায় অর্থ লেনদেন করে যাচ্ছেন বলে একটি অভিযোগ আসে। এরই ভিত্তিতে তদন্ত করছে দুদক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘সিরিয়ায় যুদ্ধে আমেরিকার সামরিক ব্যয় সৌদিকে দিতে হবে’

এবার খোলাখুলিভাবে সিরিয়া যুদ্ধের সামরিক ব্যয় সৌদি আরবের কাছে দাবি করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, সৌদি আরব যদি সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত দেখতে চায় তাহলে তাদের ওয়াশিংটনকে অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে বাল্টিক অঞ্চলের তিন দেশের নেতাদের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ট্রাম্প বলেন, আমরা আইএসকে পরাজিত করার কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছি। শিগগিরই আমরা অন্যদের সঙ্গে সমন্বয়ের ব্যাপারে একটি নতুন সংকল্পে আসব। আমাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সৌদি আরব খুবই আগ্রহী। আমি তাদের বলে দিয়েছি যে, আপনারা চাইছেন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় অবস্থান করুক। তাহলে আপনারাই হয়তো এর জন্য অর্থ পরিশোধ করতে যাচ্ছেন।

এর আগে সোমবার সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি কৌশলগত অংশীদারত্ব এবং ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি পরিকল্পনাসহ আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এর আগেও সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়েছিল। গত সপ্তাহে ওহাইও অঙ্গরাজ্যে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি বেরিয়ে আসতে চাই। আমাদের সেনাদের আমি ঘরে ফিরিয়ে আনতে চাই।’

এমন সময়ে ট্রাম্প সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি বজায় রাখতে সৌদি আরবের কাছ থেকে অর্থ দাবি করলেন যখন রাশিয়ার সহযোগিতায় সিরিয়ায় নিজের অবস্থান সুসংহত করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। এরই মধ্যে দামেস্কসংলগ্ন আসাদবিরোধীদের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি পূর্ব ঘৌটায় বিদ্রোহীদের পর্যুদস্ত করেছে আসাদ বাহিনী।

দামেস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কালামৌন এলাকাতেও বিদ্রোহীদের চূড়ান্তভাবে সতর্ক করে দিয়েছে আসাদ বাহিনী ও রাশিয়া। এর আগে সমঝোতা অনুযায়ী পূর্ব ঘৌটা থেকে বিদ্রোহীদের অন্যত্র চলে যাওয়ার সুযোগ দেয় সিরিয়ার সরকারি বাহিনী।

ট্রাম্প বলেন, আমরা এ যুদ্ধে কী পেয়েছি? শুধু লাশ আর ধ্বংসস্তূপ। অথচ আমাদের খরচ হয়েছে ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। তাই সিরিয়ায় আমরা আর নিজেদের অর্থ ব্যয় করতে চাই না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest