সর্বশেষ সংবাদ-
বিএনপির কণ্ঠে স্বৈরাচারের সুর শুনতে পাচ্ছি– সাতক্ষীরায় গোলাম পরওয়ারজাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে সাতক্ষীরায় বিআরটির রোড শোতালায় বালু বিক্রয় নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৪ : ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগলাবণ্যবতী খালের উপর কাঠের ব্রিজটি যেন মৃত্যুর ফাঁদসাতক্ষীরা-২ আসনে এবি পার্টির দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন জি এম শাকিলবর্ণিল সাজে সাতক্ষীরায় লেকভিউ রাগবি সেভেনস ট্রফি’র উদ্বোধনপিআর পদ্ধতির দাবিতে সাতক্ষীরায় সেমিনারশ্যামনগরে আজাবা শাকের মেলা ও রান্না প্রতিযোগিতাসংকটের মুহূর্তে জনগণের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা কালবেলার সাহসী ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবেসাতক্ষীরায় শ্রমিক নেতা মনিকে আটকের প্রতিবাদে মানববন্ধন

কালিগঞ্জে সরকারি জায়গায় নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

মোঃ আরাফাত আলী : কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশঝাড়িয়া বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন বাজুয়াগড় গেল্লের খালের জায়গা দখল করে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার বেলা ১২ টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহমেদ মাছুমের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের একটি টিম এই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে। এসময় বাজুয়াগড়-হরিখালী খালের জায়গা দখল করে নির্মিত ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাজুয়াগড় গ্রামের মৃত মোনতেজ গাজীর ছেলে গোলাম গাজী, শুকচাঁন গাজীর ছেলে গোলাম গাজী ও উচ্ছেপাড়া গ্রামের মৃত সেফাত উল্যাহ গাজীর ছেলে কাশেম গাজীর ঘরসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। প্রসঙ্গত গত ১৮ ফ্রেব্র“য়ারি ডেইলি সাতক্ষীরা অনলাইন পত্রিকায় কালিগঞ্জে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় চলছে খাল দখলের মহোৎসব শিরোনাম প্রকাশিত সংবাদের জের ধরে উপজেলা প্রশাসন বাঁশঝাড়ীয়া, নৈহাটী, হরিখালী, বাহাদুরপুর, বাজুয়াগড়, পিরোজপুর, মহেশ্বরপুর,গান্ধুলিয়া, উচ্ছেপাড়া ও বদরকাটী গ্রামের পানি সরবরাহের এক মাত্র মাধ্যম পানি সেচ সহ এলাকার কৃষি মৎস্য চাষের জন্য প্রায় ১ হাজার চাষীর পানি সরবরাহ জন্য খালটি অবমুক্ত করেছেন। উচ্ছেদ কার্যক্রমের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সোহরাব হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান, ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুল্লাহ প্রমুখ। কালিগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুর আহম্মেদ মাছুম বলেন, অবৈধ দখলদারদের কয়েক দফা নোটিশ করলেও তারা স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে খালের ভিতর ভেক্যু দিয়ে ভরাটকৃত মাটি সরিয়ে নেয়ার জন্য শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মানুষের ফুল ও ভালবাসায় সিক্ত হলেন বিদায়ী জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার মানুষের ফুল ও ভালবাসায় বিদায় অনুষ্ঠানে সিক্ত হলেন বিদায় জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন কাঁদলেন এবং কাঁদালেন। রবিবার রাতে জেলা প্রশাসকের বাংলো নিহারীকায় সাতক্ষীরা ফেন্ড্রস্ ড্রামেটিক ক্লাবের পক্ষ থেকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সাতক্ষীরা ফেন্ড্রস্ ড্রামেটিক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছাইফুল করিম সাবু, সহসভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, আজিবর রহমান, রফিকুল আলম বাবু, ইউছুফ আলী, সদস্য আব্দুস সালাম ও ইকবাল। অপরদিকে একই সময়ে জেলা সাংস্কৃতিক পরিষদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, সাতক্ষীরা পিএন বিয়াম লাবরেটরী (ইংলিশ মিডিয়াম) স্কুল ও কবি সিকান্দার একাডেমির পক্ষ থেকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক পত্মী জেলা লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী সেলিনা আফরোজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, সহকারি পুলিশ সুপার কে.এম আরিফুল হক, উপভাষা গবেষক অধ্যাপক কাজী মুহম্মদ অলিউল্লাহ, জেলা সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হেনরী সরদার, পিএন বিয়াম লাবরেটরী (ইংলিশ মিডিয়াম) স্কুলের উপাধ্যক্ষ এমদাদুল হক, সিনিয়র শিক্ষক মনজুরুল হক, শামীমা পারভীন রত্মা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন, আবু আফ্ফান রোজ বাবু, সংগীত শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক বরুণ ব্যাণার্জী, শিক্ষক আবুল বাসার পল্টু, জেলা পরিষদের সদস্য এড. শাহনওয়াজ পারভীন মিলি, শেখ সহিদুর রহমান প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফিংড়ীতে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের উদ্বোধন

আশাশুনি ব্যুরো : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ীতে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকালে ফিংড়ীর ব্যাংদহা বাজারস্থ এ আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোহাম্মদ মহিউদ্দীন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আফরিন, ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সামছুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জামাল উদ্দীন, ফিংড়ী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মোঃ সোহাগ হোসেন, ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান, আফসার উদ্দীন, মধুসুধন মন্ডল, আব্দুর রকিব ঢালী, সুকুমার সরদার, আশরাফ হোসেন, শেখ জাকিরুল হক, মহাদেব ঘোষ, রেবেকা বেগম, নাছিমা বেগম, আছিয়া বেগম প্রমুখ। আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার এবং সবার জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করণের লক্ষে অত্র এলাকার ১শ জন হতদরিদ্র প্রত্যেককে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ১টি করে ঘর বরাদ্ধ দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মোহাম্মদ মহিউদ্দীন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শেষ হলো ফিংড়ী দরবার শরীফের বার্ষিক ইছালে ছাওয়াব

আশাশুনি ব্যুরো: আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের দরবার শরীফ আলিম মাদ্রাসার ইছালে ছাওয়াব। ফিংড়ী দরবার শরীফ আলিম মাদ্রাসা ময়দানে ৩দিন ব্যাপী বার্ষিক ইছালে ছাওয়াব মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম। ফিংড়ী দরবার শরীফ মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওঃ মোস্তফা আবুল কালাম আযাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগ সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের সরদার, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, শ্যামনগর উপজেলা আ’লীগ সভাপতি এড. আলহাজ্ব আবু বক্কর ছিদ্দিকী, সদর উপজেলা আ’লীগ কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শেখ মনিরুল হোসেন মাসুম, পৌর আ’লীগ যুগ্ম সাধরণ সম্পাদক রাশিদুরজ্জামান রাশি, ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সামছুর রহমান, ফিংড়ী আ’লীগ সভাপতি মোঃ লুৎফর রহমান, সহ সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, যুবলীগ সভাপতি সোহাগ হোসেন, সাংবাদিক শাহিন আলম সহ এলাকার ধর্মপ্রান মুসল্লীবৃন্দ। ইছালে ছাওয়াব মাহফিলে কোরআন ও হাদিস থেকে তাসরিব পেশ করবেন ঢাকা ইসলামী ফাউন্ডেশন এর গবেষক মাওঃ মোঃ আশরাফুল ইসলাম আজিজী, যশোরের প্রখ্যাত মুফতি মোঃ হায়দার আলী, জাহানাবাজ মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মাওঃ মোঃ মনিরুল ইসলাম বেলালী, প্রতাপনগর এপিএস কলেজ এর অধ্যাপক মাওঃ মোঃ আনারুল ইসলাম কোনআন ও হাদিস থেকে তাসবির পেশ করেন। রবিবার বাদ ফরজ আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন দরবার শরীফ মাদ্রসার অধ্যক্ষ মাওঃ আবুল হাই সিদ্দিকী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ার দেয়াড়ায় নাম্বারবিহীন মটরসাইকেল উদ্ধার

কলারোয়া,প্রতিনিধি ঃ-কলারোয়ার দেয়াড়া দেয়াড়া ইউনিয়নে একটি নাম্বার প্লেট বিহীন লাল প্রলেপের কালো রঙের নতুন মটরসাইকেল উদ্ধার করেছে খোরদো ক্যম্প পুলিশ।

শনিবার দিবাগত রাত অর্থাৎ ৪ঠা মার্চ রবিবার রাত ১২.১৫ মিনিটের দিকে উপজেলার দেয়াড়ার কাশিয়াডাংগার আনছার আলীর মৎস্য ঘেরের বেড়িবাধ পার্শ্ববর্তী মতিয়ার মাস্টারের মৎস্য ঘেরের ভিতর থেকে গাড়িটি উদ্ধার হয় বলে জানান খোরদো ক্যাম্পের পুলিশ।

খোরদো ক্যাম্প ইনচার্জ (আইসি) এসআই সিরাজুল ইসলাম জানান- রাতে বিভিন্ন এলাকা টহলরত অবস্থায় ঐ এলাকা থেকে মটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। কাশিয়াডাংগার ঘেরবর্তী স্থানীয় সাধারণ মানুষের টর্চ লাইটের আলো পেয়েই অজ্ঞাত মটরসাইকেল চালক গাড়িটি ফেলে রেখে ত্রিমোহীনি ঘাট পাড়ি দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের কিছু দূর অবস্থান করাতে পলাতক চালককে সনাক্ত করা যায়নি।
তাছাড়া উদ্ধার করা গাড়িটির বিভিন্ন স্থান তল্লাশী করেও কিছুই পাওয়া যায়নি বলে জানান আইসি সিরাজুল ইসলাম। উদ্ধারকৃত মটরসাইকেলের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

কালিগঞ্জ ব্যুরো : কালিগঞ্জে আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনি ও রোববার দুই দিন ব্যাপি উপজেলার উত্তরশ্রীপুর বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিবেট পার্লামেন্টের আয়োজনে ও মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের সহযোগিতায় ৩ ও ৪ মার্চ আন্তঃস্কুল বিতর্ক কর্মশালার সমাপনি ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শহিদুর রহমান। অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি (অবসরপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুফী আলহাজ্ব শেখ আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন কালিগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ জিএম, রফিকুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চ,ু প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু দাউদ, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মাষ্টার আব্দুল হামিদ, সহকারী অধ্যাপক খান মইনুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক, অবিভাবক ও সূধি মন্ডলী উপস্থিত ছিলেন। আন্তঃস্কুল বিতর্ক কর্মশালায় অংশগ্রহন কারীদের সনদ পত্র প্রদান করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ বেতার খুলনার কথক উপস্থাপক ও ডিভেট নিদের্শক খুলনা আহ্ছানউল্লাহ কলেজের সহকারী অধ্যাপক মমতাজ আলী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাল সরকারি চাকরিতে যোগদান করছেন ১০১০ কওমি আলেম

কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতির পর সোমবার সকাল ১০টায় একসঙ্গে ১ হাজার ১০ জন কওমি আলেম সরকারি চাকরিতে যোগদান করছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাস্তবায়নাধীন মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৬ষ্ঠ পর্যায়) প্রকল্পের দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় কওমী নেসাবের শিক্ষক হিসেবে তারা যোগদান করবেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে একসঙ্গে এত কওমি আলেমের সরকারি চাকরিতে যোগদানের ঘটনা এটাই প্রথম বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ইফা জানায়, যোগদান শেষে সকল শিক্ষকের জন্য ৩ দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার বেলা আড়াইটায় বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে কর্মশালার উদ্বোধন করবেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন এমপি। সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস এর গভর্নর মিছবাহুর রহমান চৌধুরী। বাসস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাংলাদেশের ডাক্তারদের রোগী দেখার সময় কই

রোগীদের চিকিৎসায় বাংলাদেশের চিকিৎসকেরা গড়ে যে সময় দেন সেটি এক মিনিটও নয়। আর তাতে কতটুকুই বা রোগ নির্ণয় আর চিকিৎসা সম্ভব।

সেটি বুঝতেই গিয়েছিলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে। বাংলাদেশের সবচাইতে নামকরা সরকারি হাসপাতাল বলে পরিচিত এটি।

সেখানে সকাল থেকে বিভিন্ন বিভাগে ভিড় করেন সারা দেশ থেকে আসা নানা ধরনের রোগী এবং তাদের সাথে থাকা আত্মীয় স্বজন।

মোহাম্মদ আবুল কাশেম বগুড়া থেকে এসেছেন ভাতিজাকে নিয়ে। কিন্তু তাকে ভর্তিই করাতে পারেন নি। অনেক দুর থেকে এসে তাই হতাশ হয়ে যাচ্ছেন অন্য কোথাও।

তিনি বলছেন, “এখানে আসলে ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশন দিয়ে বলে অমুক যায়গায় যাও। এই কারণে আমি ভুক্তভুগি”

নোমান গাজী ময়মনসিংহ এসেছেন। তার পিত্ত-থলীর পাথর হয়েছে সেটির চিকিৎসার জন্য।

তিনি বলছেন, “ডাক্তাররা বাংলাদেশে রোগীদের সময় দেয়না সেটি ঠিকই। তার আমি নিজে প্রমাণ। কখন দেখবে এখনো বলা যাচ্ছে না। এখন থেকে প্রায় চার ঘণ্টা আগে আসছি”।

এই রোগী ও আত্মীয়দের গলায় স্বভাবতই হতাশার সুর। যার কারণ ফুটে উঠেছে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের জরীপে।

যেখানে রোগী দেখায় সময় দেয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তান ও ভারত বাংলাদেশের থেকে এগিয়ে।

অথচ বাংলাদেশে রোগী প্রতি গড়ে মোটে ৪৮ সেকেন্ড সময় দেয়া হয়। মিনিটের কাটায়ও তা পৌছায় না চিকিৎসকের সময়।

যেখানে এই জরীপে সুইডেনের মতো সাড়ে বাইশ মিনিট না হলেও আবুল কাশেমের মতে অন্তত দশ মিনিট তো দেয়া উচিত।

কিন্তু বহির্বিভাগে ডাক্তারদের কক্ষে গিয়ে দেখা গেলো সেই সুযোগ মেলা খুব কঠিন।

ডাক্তারের মনোযোগ পেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে রোগীদের।

কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি জানতে চেয়েছিলাম মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক শারমিন সুলতানা চৌধুরীর কাছে।

তিনি বলছেন, “যেমন ধরেন আমাদের রুমে আমরা এখন দুজন আছি।

যদি এই রুমে দুশ রোগী হয়, আর আমার কর্মঘণ্টা যদি আটটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ধরি তাহলে আপনি নিজেই হিসেব করুর এক একজনকে ক’জন করে রোগী দেখতে হয়। মুল সমস্যাই হল জনসংখ্যা।”

কিন্তু প্রাইভেট ক্লিনিক বা হাসপাতালে অনেক টাকা ভিজিট দিয়েও যথেষ্ট মনোযোগ পাওয়া যায়না বলে অভিযোগ রয়েছে।

ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের জরীপ মতে ভারতে চিকিৎসকেরা রোগীকে প্রায় আড়াই মিনিট দেন। সেটিও খুব কম।

তবুও সেখানেও বাংলাদেশ থেকে বছরে হাজার হাজার রোগী যাচ্ছেন চিকিৎসার জন্য। বাংলাদেশে ডাক্তারদের উপরে রোগীদের যেন আস্থার সংকট রয়েছে।

জনসংখ্যার অনুপাতে চিকিৎসকের সংখ্যা কম হওয়াই মুল সমস্যা হিসেবে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।

গত মাসেই জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন দেশে সরকারি নানা ধরনের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ছয় হাজার রোগী প্রতি একজন করে চিকিৎসক।

শিশুদের চিকিৎসক রাজেশ মজুমদার বলছেন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক বাড়লে সেবার মানও বাড়বে।

তিনি বলছেন, “এত রোগী একজন ডাক্তার কিভাবে সামাল দেবে। সকালে এসে দেখি গিজগিজ করছে রোগী। আমাদের আন্তরিকতার সাথে সেবা দেয়া চেষ্টা করি। যদি রেজিস্টার্ড চিকিৎসক যদি বাড়ে তাহলে সেই সেবার মানটাও বাড়বে”

কিন্তু গড়ে রোগী প্রতি ডাক্তারের সংখ্যা যতদিন না পর্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে ততদিন রোগীদের আক্ষেপ রয়েই যাবে।

সূত্র: ব‌িবিস‌ি বাংলা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest