সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ভূমিহীন সমিতির কঠোর হুশিয়ারীসাতক্ষীরায় শিশু-যুব ও স্টেকহোল্ডারদের কর্মশালাশ্যামনগরে অস্ত্র-গুলিসহ আটক সুন্দরবনের ত্রাস সাইফুলসাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবি

আশাশুনিতে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ পালিত

মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি ব্যুরো: ’শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে’ উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-১৮ উপলক্ষে আশাশুনিতে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহযোগিতায় র‌্যালীর উদ্ধোধন করেন আশাশুনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম। র‌্যালীটি উপজেলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা চত্বরে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজাবে রহমতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম। এসময় উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আজিজুল হক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরা, উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মুনির আহম্মেদ, ইদ্রিস আলী, শাহাজান আলী, মাছরুরা খাতুন, প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন কুমার মন্ডল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনিতে জাতীয় পাট দিবস পালিত

মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি ব্যুরো: ’বাংলার পাট বিশ্বমাত, সোনালী আলোয় সোনার দেশ পাট পণ্যের বাংলাদেশ’ পতিপাদ্যকে সামনে রেখে আশাশুনিতে জাতীয় পাট দিবস-১৮ উপলক্ষে পাট র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা চত্বর থেকে পাট র‌্যালীটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম। উপজেলা নির্বহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজাবে রহমতের সভাপতিত্বে ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরার পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রতিনিধি ডাঃ ছাইফুল্লাহ, সমাজ সেবা কর্মকর্তা ইমদাদুল হক, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সেলিম সুলতান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আজিজুল হক, সমবায় কর্মকর্তা আনছারুল আজাদ, জেলা মৎস্য জীবি সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মোল্যা, সাবেক চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাফর ইকবালের উপর হামলার প্রতিবাদে আশাশুনিতে মানববন্ধন

মোস্তাফিজুর রহমান, আশাশুনি ব্যুরো; সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যপক জনপ্রিয় লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলার প্রতিবাদে আশাশুনিতে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আশাশুনি সরকারি কলেজের উদ্যোগে উপজেলার প্রধান ফটকের সামনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
াশাশুনি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় আশাশুনি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ছাইদুর রহমান, সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তৃপ্তি রঞ্জন সাহা, অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সুশিল কুমার মন্ডল, ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হাবিবুর রহমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হোসেন আলী, আশাশুনি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুন নাহার নার্গিস, আশাশুনি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার কচি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তারা বলেন জঙ্গিবাদের এখনো সমুলে মুলোৎপাটন সম্ভব হয়নি, ড. জাফর ইকবালে উপর হামলা তারই প্রমান করে। সরকারের কাছে মুক্তচিন্তার মানুষের রক্ষায় নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, জঙ্গিদের দমনে সরকার যেন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করেন। শুধু জাফর ইকবাল নয় বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক মুক্তমনা, মৌলবাদে বিশ্বাসি নয় এমন শিক্ষকদেরও তার্গেট করা হয়েছে। এসময় তাদেরকে রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন, ড. জাফর ইকবালের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলা কারিদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা। মানববন্ধন শেষে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজাবে রহমতের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষক মন্ডলী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ১৩ কোটি টাকার অবৈধ মাদক ধ্বংস করলো বিজিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: চোরাপথে ভারত থেকে আসা বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য আটকের পর তা ধ্বংস করা হয়েছে। এর দাম ১৩ কোটি টাকারও বেশি।
মঙ্গলবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর সাতক্ষীরাস্থ ৩৮ ব্যটালিয়ন সদর দফতরে এসব মাদকদ্রব্য বুলডোজার দিয়ে মাড়িয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এ সময় বিজিবির দক্ষিণ পশ্চিম রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ আল মামুন, খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল তৌহিদুর রহমান, ব্যাটালিয়নর কমান্ডার লে. কর্ণেল মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিজিবি পুলিশ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও মিডিয়াকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি জানায় ২০১৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের ৫ মার্চ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৫০ হাজার বোতল ফেনসিডিল, ১ কোটি সাড়ে ২২ লাখ পিস নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, বিপুল পরিমান বিভিন্ন প্রকার মদ ও গাঁজা আটকের পর তা ধ্বংস করা হয়েছে। এর বাজার মূল্য ১৩ কোটি ৫ লাখ টাকা বলেও জানিয়েছে বিজিবি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সিরিয়াল কিলার রসু খাঁসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

২০১০ সালের ফরিদগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত পারভীন হত্যা মামলায় দেশব্যাপী এক সময়ের আলোচিত সিরিয়াল কিলার রসু খাঁসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে চাঁদপুরের আদালত।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক আবদুল মান্নান এ রায় দেন।
অপর সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- জহিরুল ইসলাম ও ইউনুছ।
এদের মধ্যে ইউনুছ মামলার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। ১১ হত্যার দায়ে অভিযুক্ত রসু খাঁ খুনি বর্তমানে চাঁদপুর জেলা কারাগারে আছে। তার বিরুদ্ধে চলমান ৯টি মামলার একটির রায় হয়েছে আজ দুপুরে চাঁদপুরের আদালতে।
২০০৯ সালের আটকের পর এ নিয়ে দুইটি মামলায় রসু খার রিরুদ্ধে রায় দিল আদালত। দুইটি রায়েই রসুখাঁর মুত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে।
চাঁদপুর সদরের মদনা গ্রামের ছিঁচকে চোর রসু খা প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এক সময় সিরিয়ার কিলারে পরিণত হয়। ২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর এক এক করে তার লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের চিত্র বেরিয়ে আসে। নিজের মুখে স্বীকার করে ১১ নারী হত্যার কথা। রসু খাঁর টার্গেট ছিল ১০১টি হত্যাকাণ্ড ঘটানোর। রসুখাঁ যাদের হত্যা করেছে তারা সবাই ছিল নিরীহ গার্মেন্টস কর্মী। বাসস
0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আবারও টিভি পর্দায় নিয়মিত হচ্ছেন বুবলী

অনেক ঝড়ের মধ্যেও নিজেকে ভালোই সামলে তুলেছেন শবনম বুবলী। টিভি পর্দার নিউজ ডেস্ক পেরিয়ে শাকিব খানের সঙ্গে নিয়মিত পর্দা শেয়ার করছেন চলচ্চিত্রে। আসছে সফলতাও।
নতুন খবর হলো, আবারও ছোট পর্দায় (টিভি) নিয়মিত হচ্ছেন প্রাক্তন এই টেলিভিশন সংবাদ পাঠিকা! তবে সেটি নতুন পথে। জানালেন, প্রথমবারের মতো তিনি কাজ করেছেন টিভি বিজ্ঞাপনে। তিব্বত বিউটি সোপের মডেল হলেন তিনি। গত ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি এর শুটিং হয়েছে কলকাতায়। এটি নির্মাণ করেছেন কলকাতার সৌনক মিত্র।
বিজ্ঞাপনে অভিষেক প্রসঙ্গে বুবলীর ভাষ্য এমন, ‘প্রথম বিজ্ঞাপনের মডেল হলাম। প্রথম অভিজ্ঞতা। কাজটি বেশ কঠিন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরো বিষয়টি তুলে ধরতে হয়। আশা করছি কাজটি ভালোই হয়েছে।’
জানা গেছে, চলতি মাসের শেষ দিকে দেশের প্রায় সবক’টি টিভি চ্যানেলে বুবলীর বিজ্ঞাপনচিত্রটি প্রচার শুরু হবে।
এদিকে সম্প্রতি বুবলী শেষ করেছেন ‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্লা মাইয়া’ নামের ছবির শুটিং। শিগগিরই শুরু করবেন ‘ক্যাপ্টেন খান’ ও ‘আমার স্বপ্ন আমার দেশ’ নামের দুটির ছবির কাজ। তারও আগে বুবলী অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির মধ্যে রয়েছে ‘বসগিরি’, ‘শুটার’, ‘রংবাজ’ ও ‘অহংকার’।
সবগুলোতেই শবনম বুবলী নায়িকা সেজেছেন শাকিব খানের সঙ্গে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী আর নেই

প্রখ্যাত ভাস্কর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী মারা গেছেন।  মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রিয়ভাষিণী। ল্যাবএইড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম লেনিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন এই ভাস্কর। ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার, হৃদরোগসহ বেশ কয়েকটি অসুখে ভুগছিলেন তিনি।

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী ১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায় জন্ম গ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পদক পান। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব প্রদান করে।

১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত প্রিয়ভাষিণী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন।

মাঝে কিছুদিন স্কুলে শিক্ষকতাও করেছেন। তিনি ইউএনডিপি, ইউএনআইসিইএফ, এফএও, কানাডিয়ান দূতাবাস প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। শেষ বয়সে এসে নানা শিল্পকর্ম সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করেন এবং তা অব্যাহত রাখেন।

প্রিয়ভাষিণীর শিল্পকর্ম বেশ জনপ্রিয়। মূলত ঘর সাজানো এবং নিজেকে সাজানোর জন্য দামী জিনিসের পরিবর্তে সহজলভ্য জিনিস দিয়ে কীভাবে সাজানো যায়- তার সন্ধান করা থেকেই তাঁর শিল্পচর্চার শুরু। ঝরা পাতা, মরা ডাল, গাছের গুঁড়ি দিয়েই মূলত তিনি নানা শিল্প কর্ম তৈরি করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
খা‌লেক বাকি রোকনসহ সাতক্ষীরার ৪ যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু

ডেস্ক: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক মণ্ডল ওরফে জল্লাদ খালেক, রাজাকার কমান্ডার আব্দুল্লাহ হেল বাকী, শহরের নবজীবন এনজিও’র খান রোকনুজ্জামান ও জহিরুল ইসলাম ওরফে টেক্কা খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

১৫ এপ্রিল এ চারজনের বিষয়ে সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্যগ্রহণের দিনও ধার্য করা হয়েছে। বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল সোমবার (৫ মার্চ) এ আদেশ দেন।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর ছিলেন জেয়াদ আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামি খালেক মণ্ডলের পক্ষে মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন ও অপর আসামি সাতক্ষীরার রাজাকার কমান্ডার আব্দুল্লাহ হেল বাকীর পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান শুনানি করেন। পলাতক দুই আসামির পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমইএইচ তামিম।

গত বছরের ১৯ মার্চ এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। চার আসামির মধ্যে খালেক মণ্ডল গ্রেফতার, কমান্ডার আব্দুল্লাহ হেল বাকী শর্তসাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন। বাকি দুই আসামি খান রোকনুজ্জামান ও জহিরুল ইসলাম টেক্কা খান পলাতক।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৬ জনকে হত্যা, ২ জনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ।
২০১৫ সালের ১৬ জুন ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খলিলনগর মহিলা মাদ্রাসায় নাশকতার উদ্দেশ্যে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে গোপন বৈঠকের অভিযোগে আব্দুল খালেক মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই বছরের ২৫ আগস্ট খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলার মধ্যে শহীদ মোস্তফা গাজী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখান ট্রাইব্যুনাল।

শিমুলবাড়িয়া গ্রামের রুস্তম আলীসহ পাঁচজনকে হত্যার অভিযোগে ২০০৯ সালের ০২ জুলাই খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন শহীদ রুস্তম আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী।

এ মামলার চার আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ০৭ আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু হয়ে গত ০৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ মোট ৬০ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন।

গত বছরের ০৮ ফেব্রুয়ারি চারজনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। পরে ৮ মার্চ অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জা‌রি করেন ট্রাইব্যুনাল।

১৭ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের বুলারাটী গ্রামের বা‌ড়ি থেকে আব্দুল্লাহ-হেল বাকীকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯ মার্চ হাজির করা হলে ঢাকায় থাকা ও ধার্য দিনে হাজিরের শর্তে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আব্দুর রউফের হেফাজতে ১০৩ বছর বয়স্ক বাকীকে জামিন দেওয়া হয়।

সাত অভিযোগ
প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ১৮ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে বেতনা নদীর পাড়ে বুধহাটা খেয়াঘাটে আফতাবউদ্দিন ও সিরাজুল ইসলামকে রাজাকার কমান্ডার ইছাহাক (মৃত) ও তার সহযোগীরা গুলি করে হত্যা করেন। পরে স্থানীয় খলিলুর রহমান, মো. ইমাম বারী, মো. মুজিবর রহমান ও ইমদাদুল হককে রাজাকার বাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্র ডায়মন্ড হোটেলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।

দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের পহেলা ভাদ্র ধুলিহর বাজার থেকে ধরে কমরউদ্দিন ঢালীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে নিয়ে যান ১০/১২ জন রাজাকার সদস্য। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন সাতক্ষীরা মহকুমার রাজাকার কমান্ডার এম আব্দুল্লাহ আল বাকী ও খান রোকনুজ্জামান। পরে ঢালীর মরদেহ পাওয়া যায় বেতনা নদীর পাড়ে।

তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের পহেলা ভাদ্র বুধবার বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার দিকে রাজাকার কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল বাকী, রোকনুজ্জামান খানসহ ৪-৫ জন মিলে সবদার আলী সরদারকে চোখ বেঁধে পিকআপভ্যানে তুলে নিয়ে যান। পরে আর তার সন্ধান মেলেনি।

চতুর্থ অভিযোগে বলা হয়েছে, সোহেল উদ্দিন সানা তার বড় ছেলে আব্দুল জলিল সানাকে সঙ্গে নিয়ে পহেলা ভাদ্র বুধহাটা বাজার অতিক্রমের সময় রাজাকার কমান্ডার ইছাহাক (মৃত) ও তার সঙ্গী রাজাকারদের হাতে আটক হন। পরে তাদের ডায়মন্ড হোটেলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। সোহেল ও সানার সন্ধান আর মেলেনি।

পঞ্চম অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৭ আষাঢ় সকাল ৭টার দিকে আবুল হোসেন ও তার ভাই গোলাম হোসেন নিজেদের বাড়ির পাশে হালচাষ করছিলেন। সকাল ৯টার দিকে গোলাম হোসেন বাড়িতে নাস্তা খেতে এলে আসামি আব্দুল খালেক মণ্ডল ও জহিরুল ইসলাম টেক্কা খানসহ ১০/১২ জন রাজাকার সদস্য তাকে ধরে নিয়ে পাশের পাটক্ষেতে গুলি করে হত্যা করেন।

ষষ্ঠ অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ০২ ভাদ্র সকালে বাশদহ বাজারের ওয়াপদা মোড় থেকে মো. বছির আহমেদকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর তার বুড়ো আঙুলের রগ কেটে দেন রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা।

সপ্তম অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের জৈ্যষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি কোনো এক সময়ে আসামি আব্দুল খালেক মণ্ডল ও রাজাকার কমান্ডার জহিরুল ইসলাম টেক্কা খান একদল পাকিস্তানি সৈন্যকে সঙ্গে নিয়ে কাথণ্ডা প্রাইমারি স্কুলে স্থানীয় গ্রামবাসীদের ডেকে মিটিং করেন। সেই মিটিংয়ে বলা হয়, যারা আওয়ামী লীগ করেন এবং যারা মুক্তিযুদ্ধে গেছেন তারা ‘কাফের’। এরপর তারা কাথণ্ডা ও বৈকারি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি-ঘর লুট করে জ্বালিয়ে দেন। সে সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দুই সদস্য মৃত গোলাম রহমানের স্ত্রী আমিরুনকে তার বাড়ির রান্নাঘরের পেছনে আটকে ধর্ষণ করেন। এছাড়া বৈকারি গ্রামের ছফুরা খাতুনকে মৃত শরীয়তউল্লাহর ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন চার পাকিস্তানি সৈন্য।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest