সর্বশেষ সংবাদ-
পণ্যগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনের মামলার আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের বিবৃতিসাতক্ষীরায় গৃহবধু গণধর্ষণের মামলার আসামী গ্রেপ্তারআশাশুনি বাজারের পাশে বসবাসকারীরা নদী ভাঙ্গনে উদ্বিগ্ন: ইউএনওর পরিদর্শণসাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলায় ৩৩ জনের জামিনসাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন, থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন আসামিরাভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণ

রাত পোহালোই গাবুরা ইউপির উপ-নির্বাচন

গাজী আল ইমরান, শ্যামনগর ব্যুরো: রাত পোহোলেই ২৮ ডিসেম্বর বৃহম্পতিবার গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জি.এম আলী আযম টিটোর মৃত্যুতে উক্ত পদটি শুন্য হলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ১৭.০০.০০০০.০৭৯.৪১.১৮.১৬-৫৪৮ নং স্মারকের মাধ্যমে গাবুরা ইউনিয়ন উপ-নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী গাবুরা ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি ও প্রাক্তন ইউপি সদস্য মো. রবিউল ইসলাম নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান মৃত আলহাজ্জ্ব সোহরাব গাজীর বড় ছেলে সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব মাসুদুল আলম প্রতিক ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে। এ নির্বাচনের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে বুধবার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরার নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার সাজেদুর রহমান, জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন, জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মাজাহারূল ইসলাম, কালিগঞ্জ-শ্যামনগর এলাকার সার্কেল সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুর রহমান বলেন, গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকছে। নিñিদ্র নিরাপত্তা থাকছে এখানে। যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমদের বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা প্রস্তুত আছে। এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, গাবুরা ইউনিয়ন উপ-নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোস্ট গার্ড, বিজিবি, পুলিশ, র্যাবের সমন্ব^য়ে চার স্তরের নিরাপত্তা থাকছে এ নির্বাচনে। পুলিশের ২ টি মোবাইল টিম কাজ করবে, টহলে থাকে ১ প্লাটুন বিজিবি, ১ প্লাটুন র্যাব, ১ প্লাটুন কোস্ট গার্ড সার্বক্ষণিক কাজ করবে। তিনি আরো বলেন, মোট ৯ টি কেন্দ্রের প্রতি কেন্দ্রে অস্ত্রসহ তিন পুলিশ সদস্যসহ একাধিক আনসার ভিডিবি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এ বিষযয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী বলেন, এ নির্বাচনে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছি। আশা করি কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এ নির্বাচনে ঘটবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় নাশকতা মামলায় আটক ৪

দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটায় পুলিশের অভিযানে নাশকতা মামলার ৪ জন আসামী আটক হয়েছে। আটককৃতরা হলো উপজেলার সখিপুর গ্রামের জিয়াদ আলী সরদারের ছেলে হাসান আলী (৪৭), একই উপজেলার হাদীপুর গ্রামের ফজর আলী সরদারের ছেলে খলিলুর রহমান (৫২), একই উপজেলার বহেরা গ্রামের বদরউদ্দীন সরকারের ছেলে আব্দুর রউফ (৪৬), একই উপজেলার বহেরা গ্রামের আমিন ড্রাইভারের ছেলে ইসমাঈল হোসেন (৩০)। আটককৃতরা দেবহাটা থানার ৪(৮)১৬ এবং ১০(১০)১৭ নং মামলার আসামী বলে পুলিশ জানিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে দেবহাটা থানার এসআই ইয়ামিন আলী, এসআই উজ্জ্বল কুমার দত্ত, এসআই হাবিবুর রহমান, এসআই মাজরিহা হোসাইন, এসআই আলআমিন, এএসআই ইমায়দুল, এএসআই আমজাদ, এএসআই শামীম ও এএসআই মঞ্জুর-ই মতিন তাদেরকে আটক করেন। আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়া মদনপুরে বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন

কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের ৪২১টি পরিবার র্দীঘদিন যাবত আধুনিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল শুধুমাত্র বিদ্যুতের অভাবে। অবশেষে তাদের বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করা হয়েছে। বুধবার বিকাল ৫টায় উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পল্লী বিদ্যুতায়নের শুভ উদ্বোধন করেন তালা-কলারোয়ার সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। এ সময় তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ২০২১ সালোর ভিতরে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌছায় দিবে। তার অংশ হিসাবে বুধবার কলারোয়া উপজেলার মদনপুর গ্রামের ৪২১টি পরিবার মধ্যে নতুন বিদ্যুত সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। সাতক্ষীরা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি সাইফুল্লাহ আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আরাফাত হোসেন, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি, চন্দনপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ গাজী রবিউল ইসলাম, কেরালকাতা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ সরদার, লাঙ্গলঝাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার নুরুল ইসলাম, চন্দনপুর ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রউফ, ডেপুটি কমান্ডার মোসলেম আলী, সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, চন্দনপুর ৯নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভুট্টো, চন্দনপুর ইউনিয়ন আ ’লীগের ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি ইউপি সদস্য ওলিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী, আ ’লীগনেতা শহর আলী, আজগর মল্লিক, শওকাত আলী খাঁ, হারিজ মোহাম্মাদ পরশ, আয়ুব মোল্যা, যুবলীগনেতা আব্দুল্লাহ, ডা: আবুল কালাম, আব্দুস সালাম, আব্দুল হামিদ, দেব কুমার পাত্র, কলারোয়া রিপোটার্স ক্লাবের নির্বাহী সদস্য এসএম ফারুক হোসেন প্রমূখ।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ইসি শেখ মহিদুল ইসলাম। অপরদিকে সন্ধ্যায় চন্দনপুর ইউনিয়নের বয়ারডাঙ্গা গ্রামের আড়াই কিলোমিটার বিদ্যুতের খুঁটি উদ্বোধন করেন তালা-কলারোয়ার সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহসহ অতিথিবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শীতকালীন সবজি সিম চাষে স্বাবলম্বী বিহারীনগরের কৃষক মিজানুর

মো. মফিজুর রহমান, বল্লী : সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাবে চাষ হচ্ছে শীতকালীন সবজি সিম। চলতি মৌসুমে বিভিন্ন স্থানে সিম চাষ করা হয়েছে। উন্নত বীজ, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষিরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। অন্যান্য ফসলের চেয়ে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন সিম চাষে বেশি ঝুঁকে পড়েছেন। মূলত শীত মৌসুমে সিমের চাষ বেশি হয়ে থাকে। শুধু শীত মৌসুমে নয়, বছরের অধিকাংশ সময়ই এখন সিমের চাষ করা সম্ভব হচ্ছে। সরকারের কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ ও বিভিন্ন বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় সারা বছর ধরে চাষ হচ্ছে মুখোরোচক এ সবজি। চলতি মৌসুমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জেলায় সিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিভিন্ন বাজারে ভাল দামে বিক্রি হচ্ছে। আর তাই চলতি মৌসুমে সিম চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন এমনই একজন কৃষক সদর উপজেলার বিহারীনগর গ্রামের মো. আব্দুল বারিকের ছেলে কৃষক মো. মিজানুর রহমান। সিম চাষী মিজান জানান, বেসরকারি সংস্থা সিনজেনটা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি ৫কাটা জমিতে সিম চাষ শুরু করেন। তিনি বলেন, জমি চাষ, পরিচর্চা ও কীটনাশক ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি লাভবান হয়েছেন। প্রতিমৌসুমে তার এই জমিতে খরচ হয় ২থেকে আড়াই হাজার টাকা। সেখানে তিনি সিম বিক্রি করেন প্রতি সপ্তাহে প্রায় আড়াই হাজার টাকা। খরচ বাদে তার প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ হয়ে থাকে। তিনি জানান, সারা বছর বিভিন্ন সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
কৃষি গবেষকরা জানান, শস্য ব্যবস্থাপনা ও শস্য বিন্যাস প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করার লক্ষ্যে তারা কৃষকদেরকে বছরের ১২ মাসই জমিতে ফসল ফলাতে উদ্বুদ্ধ করছেন। আর এরই অংশ হিসেবে তারা কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন সবজি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। আধুনিক চাষ পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষকরা এখন বেশ লাভবান হচ্ছেন।
ইউনিয়ন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা কিরন্ময় সরকার জানান, চলতি মৌসুমে ঝাউডাঙ্গা ও বল্লী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে আবাদী জমিতে, ঘের ভেড়ি, ও বসত বাড়ির আঙিনায় মাঁচা পদ্ধতি সিম চাষ করা হচ্ছে। অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় প্রান্তিক চাষীরা এখন সিম চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। ফলনও আগের চেয়ে তুলনামূলক বেশি হওয়ায় চাষীদের সিম চাষে আগ্রহ বেশি।
সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা পেলে বিভিন্ন মৌসুমি সবজী চাষ আরো ব্যাপকতা লাভ করবে বলে জানান প্রান্তিক চাষীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আশাশুনি বড়দলে বড়দিনের উৎসব অনুষ্ঠিত

বড়দল প্রতিনিধি: খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের শুভ বড়দিন উপলক্ষ্যে বুধবার রাত ৮ টায় আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে জামালনগর ক্যাথলিক গির্জা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি উপজেলা আ ’লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম মোস্তাকিম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য এস. এম দেলোয়ার হোসেন। আশাশুনি উপজেলা আ ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাংবাদিক আব্দুস সামাদ বাচ্ছু, উপজেলা আ ’লীগের প্রচার সম্পাদক জগদীশ চন্দ্র সানা, কৃষক লীগ নেতা সোহরাব হসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মোঃ লিয়াকত আলী, মুক্তিযোদ্ধা এম আব্দুল গনি, আবুল কালাম আজাদ, পউল সরকার, সাংবাদিক গোপাল চন্দ্র মন্ডল, যুবলীগ নেতা বি এম আলাউদ্দীন, কুল্যা ইউনিয়ন কৃষক লীগ নেতা জোহরুল ইসলাম, তরুন লীগ নেতা চঞ্চল আলম, সাহারিয়ার হসেন, মোকফুর রহমান, সৈনিক লীগ নেতা মাহাফুজুর রহমান প্রমুখ। বড়দল বাস্তহারালীগ সভাপতি রাজু, আল্ আমিন যুব সংঘের সভাপতি এস. এম শরিফসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে যীশু খৃস্টের জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে আহ্বান জানান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন। জেলা পরিষদ সদস্য দেলোয়ার হোসেন নগত ১০ হাজার টাকা এবং জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্যাথলিক গির্জা সংস্কার করার জন্য ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেবেন বলে ঘোষণা প্রদান করেন। পরে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন লালন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১২ বছরের গৃহকর্মীকে নৃশংসভাবে হত্যা; ‘রাখা হতো টয়লেটে পেটানো হতো অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত’

‘কিশোর গৃহকর্মী আল আমিনের কাজে একটু ভুল হলেই মাথায় তুলে আছাড় মারা হতো। অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত তাকে পেটানো হতো। এরপর টয়লেটে ফেলে রাখা হতো। জ্ঞান ফিরলে একবেলা জুটত পচা খাবার।’ সোমবার ১৬৪ ধারায় আদালতে আসামিদের দেয়া জবানবন্দি থেকে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

রাজধানীর আদাবরের শেখেরটেকের (রোড নম্বর ৪, বাসা নম্বর ২৩/২৫) একটি বাসায় গৃহকর্মী আল আমিনের (১২) ওপর মধ্যযুগীয় বর্বরতা চলত। তাকে নির্যাতন করে গৃহকর্ত্রী ও গৃহকর্তা পৈশাচিক আনন্দ পেত। টানা ছয় মাস ধরে তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। খেতে না পেয়ে তার শরীর হয়ে ওঠে কঙ্কালসার।

নির্যাতন করেও সাধ মেটেনি তাদের। রোববার ঘাড় মটকে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা গৃহকর্তা শেখ জোবায়ের আলম ও গৃহকর্ত্রী সাইয়্যেদা রহমান আড়াই লাখ টাকা দিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় জোবায়ের, তার স্ত্রী সাইয়্যেদা, শাশুড়ি আনজু আরা পারভীন ও শ্যালক সাকিব আহমেদকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঘটনার দায় স্বীকার করে জোবায়ের ও সাইয়্যেদা সোমবার ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

আল আমিনের চাচা হারুন অর রশীদ জানান, ময়মনসিংহের বাঘাডুবার শিমুলিয়াপাড়ার দরিদ্র কৃষক রুহুল আমিনের চার সন্তানের মধ্যে বড় আল আমিন। অভাবের তাড়নায় ঢাকার এক বাসায় গৃহকর্মীর কাজে তাকে দিয়েছিলেন তার বাবা। ছয় মাস ধরে তাকে এমন নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি তার পরিবার।

আদাবর থানার অপারেশন অফিসার সুজিত সাহা বলেন, আল আমিনের শরীরের সর্বত্র ক্ষতচিহ্ন ছিল। তাকে দেখে মনে হয়েছে একটি কঙ্কালের ওপর চামড়া লাগিয়ে রাখা হয়েছে। এই কঙ্কালসার দেহের ওপর এমন অত্যাচার কল্পনাও করা যায় না। পেশাগত জীবনে এমন নির্মম নির্যাতনের ঘটনা শোনেননি তিনি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ছয় মাস আগে জোবায়ের ও সাইয়্যেদা দম্পতির জন্ম নেয়া সন্তানের দেখাশোনা করার জন্য আল আমিনকে নেয়া হয়। আল আমিনের চাচাতো ভাই মানিক মাসিক তিন হাজার টাকা বেতনে গৃহকর্মী হিসেবে তাকে ওই বাসায় কাজে দেন। এরপর আল আমিনকে একটিবারের জন্যও ওই বাসা থেকে বের হতে দেয়া হয়নি। এমনকি পরিবারের সঙ্গে তাকে যোগাযোগ করতেও দেয়া হয়নি।

কাজে ভুল করার অজুহাতে দিনভর সাইয়্যেদা তাকে নির্মম নির্যাতন করত। কখনও তিনি স্কেল দিয়ে, আবার কখনও লোহার রড দিয়ে আল আমিনকে পেটাতেন। গার্মেন্টস এক্সেসরিজের ব্যবসায়ী জোবায়ের ফিরলে সাইয়্যেদা নানা অভিযোগ দিতেন আল আমিনের নামে। স্ত্রীকে খুশি রাখতে তিনি কখনও রড দিয়ে আল আমিনকে পিটিয়ে অজ্ঞান করে টয়লেটে রেখে আসতেন। কখনও আছাড় মারতেন। এসব দেখে তার স্ত্রী পৈশাচিক আনন্দ পেতেন।

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান মনি বলেন, তিন মাস আগে আল আমিনের ডায়রিয়া হয়। তখন তাকে টয়লেটে থাকার স্থায়ী বন্দোবস্ত করা হয়। রাত ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত তাকে টয়লেটে থাকতে হতো। গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী ঘুম থেকে উঠলে আল আমিন টয়লেট পরিষ্কার ও গোসল করে সেখান থেকে বের হওয়ার অনুমতি পেত। সারাদিন কাজ করে রাতে একবেলা তার পচা খাবার মিলত।

আল আমিনকে যেভাবে হত্যা করা হয় : তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শনিবার সকালে কাজে ভুল করার অজুহাতে আল আমিনকে একদফা রড দিয়ে পেটান সাইয়্যেদা। সন্ধ্যার পর জোবায়ের বাসায় বাজার নিয়ে এলে সেগুলো গুছিয়ে রাখতে আল আমিনকে বলা হয়। শরীর অসুস্থ থাকায় সে গুছানোর কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন জোবায়ের ও সাইয়্যেদা তাকে পেটায়। রাত ৮টার দিকে বাচ্চার দুধের ফিডার হাত থেকে পড়ে গেলে সাইয়্যেদা চিৎকার শুরু করে। জোবায়ের স্ত্রীকে খুশি করতে আল আমিনকে মাথায় তুলে ছুড়ে মারে। এতে তার মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে।

ওই অবস্থায় তাকে আবারও পেটায় জোবায়ের। আল আমিন অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে টয়লেটে রেখে আসা হয়। তাকে পানির ট্যাবের নিচে রেখে সেটি চালু করে দেয়া হয়। এক ঘণ্টা পর সেটি বন্ধ করা হয়। রাত ১টার দিকে সাইয়্যেদা টয়লেটে গিয়ে দেখে আল আমিন ওই অবস্থায়ই শুয়ে আছে।

তাকে অনেকবার ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে সে প্রচণ্ড রেগে যায়। সে তার ঘাড়ে জোরে লাথি মারে। এতে আল আমিন টয়লেটের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছিটকে পড়ে। পরে টয়লেটের দরজা লাগিয়ে সাইয়্যেদা ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন রোববার সকাল ৭টার দিকে সাইয়্যেদার মা আনজু আরা টয়লেটের দরজা খুলে দেখেন আল আমিন ওই অবস্থাতেই মেঝেতে পড়ে আছে। তার হাত-পা ঠাণ্ডা। তখন তিনি জোবায়ের ও সাইয়্যেদাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। জোবায়ের স্থানীয় একটি ওষুধের দোকান থেকে একজনকে নিয়ে আসেন। পরীক্ষা করে তিনি জানান, আল আমিন মারা গেছে।

মোবাইল ফোনে আল আমিনের পরিবারকে জোবায়ের জানান, আল আমিন গুরুতর অসুস্থ। রোববার সন্ধ্যায় তার চাচা হারুন ও অন্য আত্মীয়স্বজনরা এসে তার লাশ দেখতে পায়। সে সময় জোবায়ের আড়াই লাখ টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আদাবর থানা পুলিশ রাতে লাশ উদ্ধার করে। ওই রাতে হারুন আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনির বাড়িতে এস এম শওকত হোসেন

প্রভাষক শওকত আলী, ঝাউডাঙ্গা : বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তামনিকে দেখতে ছুটে গেলেন সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এস.এম শওকত হোসেন।

বুধবার সকাল সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের কামারবায়সা গ্রামে গিয়ে তার খোঁজ খবর নেন ও তার পরিবার বর্গের সাথে কথা বলে সমবেদনা জানান এস.এম শওকত হোসেন। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতে ও ধৈর্য্য ধরারর আহবান জানিয়ে মুক্তামনির বাবা ইব্রাহিম হোসেনের হাতে বিভিন্ন ফল ও অার্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, সদর উপজেলা অা’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাজাহান অালী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম মাছুম, দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক হাসান মাহমুদ রানা, বাশদহা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মইনুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রসিদ, খালেক শেখ, বাঁশদহা ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ অালম রিপন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, মুক্তামনি গত শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল থেকে চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়িতে ফেরেন। মুক্তামনির শরীরের অবস্থা সম্পর্কে তার পিতা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, মুক্তামনি শরীরের অবস্থা উন্নতির চেয়ে অবনতির দিকেই যাচ্ছে। তিনি সকলের কাছে মুক্তামনির জন্য দোয়া কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শালতা নদী খনন ও টিআরএম বাস্তবায়নের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শালতা নদী খনন ও টিআরএম বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরায় পানি কমিটির ব্যানারে শালতা অববাহিকার মানুষের উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, শালতা বাঁচাও কমিটির সভাপতি সরদার ইমান আলী, কেন্দ্রীয় পানি কমিটির সভাপতি এবিএম শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, জাহিন খান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, তালা উপজেলার জীব বৈচিত্র্য রক্ষা, জলাবদ্ধতা ও পরিবেশ সমস্যা মোকাবেলায় শালতা নদী খনন করে টিআরএম বাস্তবায়ন অনিবার্য হয়ে পড়েছে। অন্যথায় শালতা অববাহিকার মানুষ বাঁচতে পারবে না।

বক্তারা এ সময় শালতা নদীর সাথে আমতলী, বাদুরগাছা, ঘ্যাংরাইল, শিতলাখালী, হাড়িয়া ও নাসিরপুর খালের সাথে সরাসরি সংযোগ দিয়ে এর অববাহিকায় টিআরএম বাস্তবায়ন এবং নদী দখল বন্ধ করার দাবি জানান। পরে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest