সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা দিবা-নৈশ কলেজের প্রভাষক মাসুম বিল্লাহর মৃত্যুতে শোকসাতক্ষীরায় সেতুবন্ধন গড়ি নেটওয়ার্কের বার্ষিক সাধারণ সভাহিন্দু মহাজোট সাতক্ষীরা জেলার আংশিক কমিটির অনুমোদনতালায় আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের গ্রাহক সভাখুলনায় ইউনিয়ন পরিষদের রূপকল্প ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা সাতক্ষীরায় যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি  মাদক বিক্রিকালে গ্রেফতার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আল আমিনআশাশুনিতে যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট নির্বাহী কমিটির নির্বাচন: ৭টি পদের বিপরীতে ২৬ টি মনোনয়নপত্র বিক্রিজুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ

যে দেশে বরফ হয়ে যাচ্ছে কুমিরও!(ভিডিও)

বাংলাদেশের মতো ইউরোপ, আমেরিক ও এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলেও এবার বেশ ঠাণ্ডা পড়েছে। ঠাণ্ডার মাত্রা এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে শুধু মানুষ নয়, প্রাণীদের অবস্থাও বেশ কাহিল। যুক্তরাষ্ট্রে এ শীতল অবস্থার শিকার হয়েছে কুমিররাও।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা রাজ্যে দেখা গেছে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জমে যাওয়া পানিতে কুমিরদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম করতে।

পার্কটির কর্মকর্তারা দেখেন যে, কুমিরেরা পানি বরফ হয়ে গেলেও পানি থেকে ওঠেনি। বরং জমে যাওয়া পানির মধ্যে ডুবে থেকে শুধু নাকটি ওপরে রেখেছে। এতে করে তারা বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পাচ্ছে।

কুমিরগুলো পানির মধ্যে শীতনিদ্রায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্কটির কর্মীরা। ঠাণ্ডা কমে গিয়ে পানি যখন স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসবে তখন কুমিরদের ঘুম ভাঙবে বলে আশা করছেন তারা।প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় কুমিরগুলো এভাবে ঘুমিয়ে থাকায় তাদের দেহের বিপাক ক্রিয়াও ধীর হয়ে গেছে। এ সময় তাদের এনার্জি চাহিদা কমে যায় এবং খাবারেরও প্রায় প্রয়োজন হয় না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফেসবুকে সমালোচনার তীরে ক্ষত-বিক্ষত ভাবনা

‘দুই দিনের বৈরাগী ভাতকে বলে ফ্রাইড রাইস’, ‘ভাল করে আয়নায় নিজেকে দেখেন’, ‘মানসিকতা এতো নিচু হয় ক্যামনে’- ফেসবুকে এ রকম নানা তির্যক মন্তব্যে ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছেন অভিনেত্রী ভাবনা।

মূলত, তার একটি মন্তব্যকে ঘিরে এরকম কটু বাক্যে জর্জরিত হচ্ছে তার নাম। একটি শীর্ষ স্থানীয় অনলাইন পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভাবনা বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনও ব্রান্ড আমি কিনিও না, পড়িও না। বাংলাদেশে কি কোনও ব্রান্ড আছে নাকি।’ এই মন্তব্যের প্রকাশের পরপরই নড়েচড়ে উঠেছেন নেটিজেনরা।

তাদের মতে গর্ব করার মতো অনেক ব্রান্ড রয়েছে বাংলাদেশের অথচ ভাবনার মতো একজন অভিনেত্রী দেশকে এভাবে হেয় করেন কিভাবে।

এছাড়া সাক্ষাৎকারে ভাবনা আরও বলেন- বাংলাদেশ নয়, দুবাই এবং সিঙ্গাপুর থেকেই তিনি শপিং করেন। ইতিমধ্যে তার এ বক্তব্য ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি ওই পোর্টালের প্রকাশিত নিউজের কমেন্ট বক্সেও নানারকম মন্তব্যে জর্জরিত হচ্ছেন ভাবনা।

আরশাদ সোহেল নামে একজন লিখেছেন- ‘ দেশকে এতো হেয় করে সেই দেশে থাকাই উচিৎ না’

ফারজানা সুলতানা নামে একজন ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন, কি আমার চেহারা,নাম হচ্ছে পেয়ারা। বিদেশি ব্রান্ডের নাম বললেই ফেমাস হওয়া যায়না। ফুটানি যত্তসব। বিদেশ চলে গেলেই পারে। এখানের কিছুই যখন পছন্দ না।’

প্রিন্স সুজন নামে একজন মন্তব্য করেছেন- ‘এই মাকাল ফল কই থাইকা আসছে ? বাংলাদেশে কোন ব্র্যান্ড নাই !!!!!!!!!!!!!! এই মেয়েকে পাবনার মেন্টাল হাসপাতালে পাঠায় না কেন ?’

এরকম তির্যক মন্তব্য বেগবান হচ্ছে সময়ের সাথে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্যান্সার কোনো রোগ নয়, শব্দটি ‘মিথ্যা’

ক্যান্সার শব্দটি ‘মিথ্যা’ ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। আধুনিক বিশ্বের ক্যান্সার শব্দটা এত বেশি ছড়িয়ে পড়েছে যে এটি বৃদ্ধ, তরুণ, শিশুসহ সবাইকে প্রভাবিত করেছে। কিছু শ্রেণি ‘ক্যান্সার’ শব্দটি ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণ অর্থ কামিয়ে নেন। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়েও ক্যান্সার সারিয়ে তোলা সম্ভব।

‘ক্যান্সার মুক্ত পৃথিবী; ভিটামিন ১৭ এর গল্প’ নামের একটি বই লেখা হয়েছিল। আলোচিত এই বইটি যাতে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ না হয় সে ব্যাপারে বাধা দেয়া হয়েছে।

আসলে ক্যান্সার কোনো রোগের নাম নয়, শরীরে ‘ভিটামিন ১৭’ এর অভাব। তাই ক্যান্সার হলেই সার্জারি, ক্যামোথেরাপি কিংবা এমন কোনো ওষুধ খাওয়ার দরকার নেই যা শরীরে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ক্যান্সার কোনো রোগ নয় যে তার চিকিৎসা করতে হবে এটা শুধুই শরীরের একটা ঘাটতি।

চলুন মানব সভ্যতার পূর্বের সময়ে ফিরে যাই যখন ‘স্কার্ভি’ নামক রোগে ভুগে সমুদ্রে পাড়ি দেয়া বহু মানুষ মারা যেত। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক মানুষই মারা গেছে। পরে আবিস্কার হয় যে স্কার্ভি শুধুই শরীরে ভিটামিন সি’এর ঘাটতি এবং এটা কোনো রোগ নয়। ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

বিশ্বকে একটা উপনিবেশ করে রাখতে ক্যান্সার শিল্প স্থাপন করা হয়েছে। এটিকে ব্যবসায় পরিণত করেছে যা থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ক্যান্সার শিল্প বিকশিত হয়।

ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করতে এত বেশি সময় অপচয়, এ নিয়ে বিস্তারিত জানা কিংবা কাড়ি কাড়ি টাকা খরচের কোনো দরকার নেই। বহু আগেই ক্যান্সার নিরাময়ের উপায় আবিস্কৃত হয়েছে। ক্যান্সারের ব্যয়বহুল চিকিৎসার পথে না হেঁটে কোন বিকল্প পথে আমরা যেতে পারি।

ক্যান্সার প্রতিরোধ ও নিরাময় যেভাবে সম্ভব
যার ক্যান্সার হয়েছে তার জানা ক্যান্সারটা আসলেই কী?
আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তার পরিবর্তে আসল অবস্থা জানার চেষ্টা করুন।
বর্তমানে কী কেউ স্কার্ভির কারণে মারা যায়? না। কারণ এটির নিরাময় করা হয়েছে।
যেহেতু ক্যান্সার ভিটামিন ১৭ এর ঘাটতি তাই এপ্রিকোট (খুবানি-কমলা রঙের গোলাকার ফল) কিংবা অন্য কোনো ফলের ১৫/২০টি বীজ প্রতিদিন খেলেই যথেষ্ট।
গমের কুড়ি কিংবা এর অঙ্কুর অবিশ্বাস্যভাবে ক্যান্সাররোধী মেডিসিন হিসেবে কাজ করে। এটি লিকুইড অক্সিজের সমৃদ্ধ উৎস যা ‘লেট্রিল’ নামেও পরিচিত। আপেলের বীজ ভিটামিন ১৭ এর বড় একটি উৎস যা ‘এমিজডালিন’ নামে পরিচিত।

আমেরিকার মেডিসিনাল ইন্ড্রাস্ট্রি একটি আইন বাস্তবায়ন শুরু করেছে যাতে লেট্রিলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এটি মেক্সিকোতে উৎপাদিত হয় এবং পাচার হয়ে আমেরিকাতে আসে।

ডা. হ্যারল্ড ডব্লিউ. ম্যানার তার ‘ডেথ অব ক্যান্সার’ বইতে লেট্রিল দিয়ে ক্যান্সার নিরাময়ের বিষয়টি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এর মাধ্যমে সফলতার হার ৯০ শতাংশের বেশি।

ভিটামিন ১৭ এর আরও কয়েকটি উৎস
১.ফলের বীজ : আপেল, এপ্রিকেট, পীচ ফল (জাম জাতীয় ফল এবং জামের মতোই রসালো), নাশপাতি, আলুবোখারা, শুকনো বরই।
২.সীম জাতীয় খাবার: ডালের অঙ্কুর, সীম ও মটরশুটি
২.বাতাম: টকজাতীয় কাজুবাদাম ও ভারতীয় কাজুবাদাম,
৩. সবধরনের মালবেরিস(mulberries)
৪.বাতামি চাল, ধান, খামির, ছাঁটা ছাড়া চাল, কুমড়া
সূত্র: হেইলথভেইনস

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আফগানিস্তানের পাকিস্তান বধ

অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই চমক আফগানিস্তানের। পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারাল আফগানিস্তান। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪৭.‌৪ ওভারে ১৮৮ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে ৪৭.‌৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৪ রান তুলে ফেলে আফগানরা।

পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮১ রান করেন রোহেল নাজির। আফগানিস্তানের আজমাতুল্লা ওমরজাই এবং কাইস আহমেদ ৩টি করে উইকেট নেন। রাসোলি অপরাজিত থাকেন (‌‌৭৬)‌‌ করে। তিনিই ম্যাচের সেরা।

অন্য ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছিল কিউয়িরা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার সিমন্স অপরাজিত ৯২ এবং মেলিআস ৭৬ শুরুটা করেছিলেন দারুণ। কিন্তু তারপরই ব্যাটিং বিপর্যয়। ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৩৩ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১০০ বছরের নিষেধাজ্ঞাতেও উত্তর কোরিয়ার কোনো ক্ষতি হবে না: কিম

আন্তর্জাতিক মহলে উত্তাপ ছড়িয়ে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। আর ধারাবাহিকভাবে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার জন্য এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েছে পিয়ংইয়ং। এবার তারই জের ধরে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনেতা কিম জং উন বললেন, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ১০০ বছর ধরে বলবৎ থাকলেও তার দেশের কোনো ক্ষতি হবে না।

এ ব্যাপারে শুক্রবার তিনি পিয়ংইয়ংয়ে বলেছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দেওয়ার কারণে তার দেশে সব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি অর্জন করেছে। কাজেই তার ভাষায় শত্রুরা যদি ১০ বছর থেকে শুরু করে ১০০ বছর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাখে তারপরও উত্তর কোরিয়ার কোনো ক্ষতি হবে না।

এসময় কিম আরও বলেন, বিদেশের ওপর নির্ভরশীলতা না থাকা, অভ্যন্তরীণ শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি এবং প্রযুক্তি ও গবেষণা খাতে দেশীয় গবেষকদের সক্রিয় উপস্থিতির কারণে বিদেশি চাপের বিরুদ্ধে তার দেশ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি দেশটির বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ বক্তব্য দেন কিম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও বমি ভাব দূর করবে দারচিনি

গা গুলানো বা বমি বমি ভাব হলেই প্রথমে আসে লেবু-পানির কথা। কিন্তু এই সমস্যার আরও ভাল একটি সমাধান রয়েছে। মাত্র একটু দারচিনিতেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে অতি সহজেই।

শুধু বমি বমি ভাবই নয়, পেট খারাপ ও খুব তেলযুক্ত খাবার খাওয়ার পরেও দারচিনি খেলে সহজেই ফল পাওয়া যায়। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন, কীভাবে খাবেন এই দারচিনি-

প্রথমত, এক গ্লাস পানির মধ্যে দারচিনি ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। পরের দিন সেই পানি খান। প্রায়ই যদি বমি বমি ভাব হয়, তা হলে দারচিনি ভেজানো পানি সঙ্গে রাখুন।

এছাড়া বাড়িতে দারচিনি দিয়ে চা বানিয়েও খেতে পারেন। পানি গরম করার সময়ে দারচিনি দিয়ে খান। এতেও চটজলদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বা বমি ভাব কমবে।

দারচিনি সাধারণত বিরিয়ানি এবং মশলাদার খাবারে স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আযুর্বেদ অনুযায়ী, মশলাদার খাবার খেয়ে বমি ভাব হলেও তখন দারচিনিই ওষুধের কাজ করে। পেটও ঠান্ডা রাখে এই মিশ্রণ। গাড়িতে যাতায়াত করার সময়ে বমি বমি ভাব হলেও দারচিনি ভেজানো পানি সঙ্গে রাখুন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অক্টোবরে নির্বাচনকালীন সরকার

আগামী অক্টোবরে গঠিত হবে নির্বাচনকালীন সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও জোটের গ্রহণযোগ্যরাই মন্ত্রিত্বে থাকবেন। বিএনপিকে রাখা নিয়ে কোনো কিছুই ভাবছে না ক্ষমতাসীনরা। নির্বাচনকালীন প্রশাসনও ঢেলে সাজানো হবে। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। ওই সরকার শুধু রুটিনমাফিক কাজ করবে এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সব রকম সহায়তা করবে। দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। মন্ত্রিসভার আকার ছোট বা বড় হতে পারে। এ এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর আছে।

সূত্রমতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল রয়েছে দুই মেরুতে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর বিএনপি বলছে, তারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবেন না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নয়, সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। ২০১১ সালের ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করে রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা রাখা হয়। সে অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় ছিল। তবে ওই সরকারকে একটি সর্বদলীয় সরকারের রূপ দেওয়া হয়েছিল জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য আরও দু-একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে। বিএনপিকে ওই সরকারে আমন্ত্রণ জানানো হলেও দলটি সাড়া দেয়নি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ও সংবিধান অনুসারে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হচ্ছে। সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রিসভার প্রধান থাকবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সরকার গঠন প্রক্রিয়া শুরুর কার্যক্রমও আওয়ামী লীগই করবে। সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিরাই এ সরকারের অংশ হবেন এ সিদ্ধান্তে অনড় থাকবে সরকার। একই সঙ্গে ওই সময়ের মাঠ প্রশাসন থেকে শুরু করে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত ঢেলে সাজানো হবে। সূত্রমতে, সংবিধানে সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে দুই ধরনের বিধান রয়েছে। এর একটি হচ্ছে চলমান সংসদের মেয়াদ অবসানের ক্ষেত্রে এবং অন্যটি মেয়াদ পূর্তির আগেই সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে। সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে- (ক) মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে, এবং (খ) মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোন কারণে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাংগিয়া যাইবার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে।’ সংবিধানের এই বিধান মতে, বর্তমান দশম সংসদের মেয়াদপূর্ণ করলে ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে যে কোনো দিন ভোট হতে হবে। ১২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ সালের শেষদিকে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কীভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। সেই সরকার সর্বতোভাবে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা দিয়ে যাবে।’

আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র জানায়, আগামী অক্টোবরেই হবে নির্বাচনকালীন সরকার। কারণ ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিল ঘোষণার কয়েক দিন আগেই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভার আকার ছোট করা হবে। গত ডিসেম্বরে ১৪ দলের এক বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। এ সময় মন্ত্রিসভার আকার ছোট থাকবে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’

আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার গঠন প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। এ সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে বিবেচনা করা হবে। কিন্তু আইনে কোথাও নির্বাচনকালীন সরকারের অস্তিত্ব নেই। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে স্বল্প পরিসরে মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার চর্চা করতে গিয়ে কতজন সদস্য রাখবেন বা কবে গঠন করবেন তা আইনে সুনির্দিষ্ট না হলেও তফসিল ঘোষণার পূর্ব মুহূর্তে গঠন করাটাই দীর্ঘদিনের রেওয়াজ। সংবিধানের ৫৫ ও ৫৬ ধারায় প্রধানমন্ত্রীকে এ অধিকার দেওয়া আছে।’

বিএনপিকে নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় রাখা হবে কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন, ‘যে কোনো সরকারের টেকনোক্রেট কোটায় মন্ত্রী করার বিধান রয়েছে। এই সুযোগে কাউকে টেকনোক্রেট কোটায় মন্ত্রী রাখবেন কিনা তা নির্ভর করবে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর।’ তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিলেও প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকার দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বর্তমান প্রধানমন্ত্রীই দায়িত্ব পালন করবেন এটাই সাংবিধানিক বিধান।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘সংসদের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলো থেকেই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে। এ ক্ষেত্রে বিএনপির প্রতিনিধি থাকার সুযোগ নেই।’ তিনি বলেন, বিএনপিকে গতবার প্রস্তাব করা হলেও তারা সাড়া দেয়নি। এবার ডাকা হবে না। নিজেদের প্রয়োজনেই তাদের নির্বাচনে আসতে হবে।’

সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হলেও ওই সরকার রুটিনমাফিক দায়িত্ব পালন এবং নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু নির্বাচনে সার্বিক সহায়তা করবে। সংবিধানের ১২০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব পালনের জন্য যেরূপ কর্মচারীর প্রয়োজন হইবে, নির্বাচন কমিশন অনুরোধ করিলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনকে সেইরূপ কর্মচারী প্রদানের ব্যবস্থা করিবেন।’ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাহী বিভাগের সহযোগিতার বিষয়ে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে।’
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চুপড়িয়ায় প্রাইমারি স্কুলে শীতবস্ত্র বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতিবন্ধী ছাত্র/ছাত্রী ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সদরের আগরদাড়ি ইউনিয়নের চুপড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জন্মভুমি প্রতিবন্ধী ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (জে.পি.এস.ইউ.এস) এর আয়োজনে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার মো. আজিজুল হক ডেভিট’র সহযোগিতায় আগরদাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মজনুর রহমান মালি’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস, জাতীয় আবৃতি শিল্পী ও কবি বি.এম সিরাজ, কলারোয়া প্রতিবন্ধী স্কুলের পরিচালক মনোয়ারা বেগম, ইন্দ্রিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল হক নান্টু, সদস্য মীর মহি আলম, জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মীর আজহার আলী শাহীন, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হাসান ও ইউপি সদস্য মো. শরিফুজ্জামান ময়না প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে ৪ শতাধিক অসহায় গরীব শীতার্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও তুজুলপুর জেসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেম।

 

 

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest