নুরনগরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মহান বিজয় দিবস উৎযাপন

নুরনগর থেকে পলাশ দেবনাথ : শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নে সারাদেশের ন্যায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মহান বিজয় দিবস উৎযাপন উপলক্ষ্যে নানাবিধ কর্মসূচী পালিত হয়েছে।দিনের শুরুতেই সরকারী প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারী সহ নুরনগর বাজারের সকল ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তলোন করতে দেখা যায়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই নুরনগর ইউনিয়ন পরিষদে সকাল ৮টায় নুরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বখতিয়ার আহমেদ পতাকা উত্তোলন করেন। সকাল ৮টা ৩০মিনিটে নুরনগর ইউনিয়ন পরিষদ,নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়,নুরনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নুরনগর ইউনিয়ন আ”লীগ একযোগে অত্র প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক বিজয় র‌্যালী বের করে। র‌্যালীটি এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে বিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়। শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীন সংঘ মাঠে আলোচনা সভা ও মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু বিষয়ক আলোচনা এবং চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রতিযোগিতা শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া উক্ত সভায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন। র‌্যালীটির নেতৃত্ব দেন নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বখতিয়ার আহমেদ। নুরনগর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি জি এম হাবিবুর রহমান হবি,অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীম আহমেদ, নুরনগর ইউনিয়ন আ’লীগ সহ-সভাপতি এস এম আব্দুল কাদের, ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান,ইউপি সদস্য মীর আলী মোল্যা, ইউপি সদস্য জমাত আলী, নুরনগর পাবলীক লাইব্রেরীর সভাপতি সওকাত ওসমান, নবীন সংঘের সাধারন সম্পাদক দেবাশীষ ঘোষ ও উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ। সকাল ৯টা ৩০মিনিটে নুরনগর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার উদ্যেগে এক বিজয় র‌্যালী বের করে। উক্ত র‌্যালীতে নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি এস এম সোহেল রানা বাবু ও অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ। এরপর সকাল ১০টায় উত্তর হাজীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আদর্শ্য সমাজ কল্যান সংস্থা এক সাথে শিশুদের নিয়ে বিজয় র‌্যালী বের করে। এছাড়া ইউনিয়নের অন্যান্য এনজিও প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিনভর নানাবিধ কার্যক্রম পালন করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগ‌ঞ্জে যথাযথ মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন ও মু‌ক্তি‌যোদ্ধা‌দের সংবর্ধনা

মোঃ আরাফাত আলীঃ কা‌লিগ‌ঞ্জে  যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ২০১৭  উদযাপনের  সা‌থে সা‌থে উপ‌জেলা প্রশাস‌নের আয়োজ‌নে বীর  মু‌ক্তি‌যোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হ‌য়ে‌ছে। শ‌নিবার সকাল ৭ টায় শ‌হিদ সোহরাওয়ার্দী পা‌র্কে অব‌স্থিত বিজয় স্ত‌ম্ভে উপ‌জেলা প্রশাসন,মু‌ক্তি‌যোদ্ধা সংসদ,উপ‌জেলা মু‌ক্তি‌যোদ্ধা সন্তান কমান্ড,‌প্রেসক্লাব,‌রি‌পোর্টার্স ক্লাব অনলাইন প্রেস ক্লাব সহ বি‌ভিন্ন রাজ‌নৈ‌তিক সংগঠন  বি‌ভিন্ন শিক্ষা প্র‌তিষ্ঠান এবং বেসরকারী এন‌জিও প্র‌তিষ্ঠা‌নের পক্ষ থে‌কে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়।কাঁক শিয়ালী সেতুর প‌া‌র্শে অব‌স্থিত বঙ্গবন্ধুর প্র‌তিকৃ‌তি‌তে বি‌ভিন্ন সংগঠ‌নের পক্ষ থে‌কে পুষ্পমালা অর্পণ ক‌রেন।পরবর্তী‌তে কা‌লিগঞ্জ সরকারী কবরস্থা‌নে যে‌য়ে উপ‌জেলা পর্যা‌য়ের ‌বি‌ভিন্ন নেতৃবৃন্দ শহীদ মু‌ক্তি‌যোদ্ধা ইউনুস সহ সকল শহী‌দের কবর জিয়ারত ক‌রেন।এরপর সকাল ৮ টায় আনুষ্ঠা‌নিক ভা‌বে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শা‌ন্তির প্র‌তিক পায়রা মুক্ত ক‌রেন  উপ‌জেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ ওয়া‌হেদুজ্জামান,উপ‌জেলা নির্বা‌হি অফিসার গোলাম মাঈন উদ্দীন হাসান ও অফিসার ইনচার্জ সুবীর দত্ত। এসময় উপ‌জেলার বি‌ভিন্ন স্কু‌লের ছাত্র -ছাত্রীরা প্যারট,‌ডিস‌প্লে সহ বি‌ভিন্ন খেলা ধুলায় অংশ গ্রহন ক‌রে। পরবর্তী‌তে উপ‌জেলা প্রশাস‌নের আয়োজ‌নে অডি‌টি‌রিয়া‌মে সকাল ১০ টায় জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মু‌ক্তি যোদ্ধা‌দের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় উপ‌জেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মাঈন উদ্দীন হাসা‌নের সভাপ‌তি‌ত্বে প্রধান অতি‌থি হি‌সে‌বে বক্তব্য রা‌খেন বীর মু‌ক্তি‌যোদ্ধা যোদ্ধাকালীন কমান্ডার ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ ও‌য়া‌হেদু্জ্জামান। সাংবা‌দিক সুকুমার দাশ বাচ্চুর সঞ্চালনায় বি‌শেষ অতি‌থি হি‌সে‌বে বক্তব্য রা‌খেন অনুষ্ঠা‌নের আহবায়ক নুর আহ‌ম্মেদ মাছুম, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত)রাজীব হো‌সেন। ডেপু‌টি কমান্ডার আব্দুল হা‌কিম,  ভাড়া‌শিমলা ইউনিয়‌নের সা‌বেক মু‌ক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও ভিএল আছাদুর রহমান,মু‌ক্তি যোদ্ধা খাঁন হযরত আলী,নলতা ইউনিয়‌নের সা‌বেক মু‌ক্তি‌যোদ্ধা সংস‌দের সভাপ‌তি আবুল হো‌সেন,মু‌ক্তি‌যোদ্ধা মুরালী মোহন সরদার,মু‌ক্তি‌যোদ্ধা সন্তান কমা‌ন্ডের উপ‌জেলার সাধারণ সম্পাদক এসএম গোলাম ফারুক,উপ‌জেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা শ‌হিদুর রহমান, উপ‌জেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়ন প‌রিষ‌দের চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজউদ্দীন,কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন প‌রিষ‌দের চেয়ারম্যান কেএম মোশারফ হো‌সেন প্রমুখ। এসময় অন্যান্য দের ম‌ধ্যে উপ‌স্থিত ছি‌লেন উপ‌জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম,‌রি‌পোর্টার্সক্লা‌বের সভাপ‌তি অধ্যাপক নিয়াজ কওছার তু‌হিন,শ্র‌মিক লী‌গের সভাপ‌তি শেখ শাহজালাল,ছাত্রলী‌গের সভাপ‌তি শেখ শাওন আহ‌ম্মেদ সোহাগ সহ স্থানীয় আওয়ামী‌লি‌গের নেতাকর্মী জনপ্র‌তি‌নি‌ধি। এসময় উপ‌জেলার ৩৮৭ জন বীর মুক্তি‌যোদ্ধা‌দের উপ‌জেলা প্রশাস‌নের পক্ষ থে‌কে শী‌তের পোশাক,ক্যাপ ও ফুল দি‌য়ে সংবর্ধনা প্রদান ক‌রেন আমন্ত্রীত অতি‌থি বৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সানি লিওন অনুষ্ঠান করলে নষ্ট হয়ে যাবে যুবসমাজ!

সাবেক পর্ন তারকা ও হালের বলিউড ডিভা সানি লিয়ন যুবসমাজের জন্য বিপজ্জনক। তাই নতুন বছরকে বরণের রাতে সানি লিয়নের অনুষ্ঠান করতে দেওয়ার ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। এই যুক্তি দেখিয়ে ভারতের বেঙ্গালুরুতে সানি লিওনের অনুষ্ঠানই বাতিল করে দিল কর্নাটক সরকার।

খবর অনুযায়ী, আগামী ৩১ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুতে এক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল সানি লিওনের। কিন্তু সানির অনুষ্ঠানের অনুমতি দিলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে, এই যুক্তি দেখিয়ে অনুষ্ঠানের অনুমতি নাকচ করে দিয়েছে কর্নাটক সরকার। উদ্যোক্তাদের অবশ্য দাবি, পরিবার নিয়ে সবাই যাতে উপভোগ করতে পারে, সেভাবেই সানির অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।

কর্নাটক সরকারের দাবি, গত আগস্ট মাসে কেরালের কোচিতে সানির অনুষ্ঠান চলাকালীন ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তাই অনুমতি নাকচ করার আগে কোচি পুলিশের থেকেও মতামত নেওয়া হয়েছে।

কন্নড়ে যে সংগঠনগুলি সানির অনুষ্ঠানের বিরোধিতায় নেমেছিল, তাদের দাবি, সানি লিওন অনুষ্ঠান করলে যুবসমাজ নষ্ট হয়ে যাবে। এমনকী এই অনুষ্ঠান হলে গণআত্মহত্যার হুমকি দিয়ে রেখেছিল এই সংগঠনগুলি।

একসময় নীল ছবির তারকা সানি বলিউডের প্রথমসারির ছবিতেও অভিনয় করছেন।
এমনকি কন্নড় ছবি ‘ডিকে’-তে অভিনয় করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, সানি এখন দত্তক নেওয়া কন্যাসন্তানের মাও বটে। এত কিছুর পরেও যে সানির ‘উষ্ণ’ ইমেজে এতটুকু ভাটা পড়েনি, কর্নাটকের ঘটনাই তার বড় প্রমাণ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিজয় দিবসে যুদ্ধাপরাধীদের বেহেশত কামনা

মহান বিজয় দিবসে বীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বেহেশত কামনা করে প্রার্থনা করার ঘটনায় টাঙ্গাইল গোপালপুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. ফায়জুল আমীর সরকারকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ সকাল আটটায় গোপালপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণের পূর্বে একাত্তরে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ দোয়া অনুষ্ঠানে মোনাজাতে নের্তৃত্ব দেন গোপালপুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. ফায়জুল আমীন সরকার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলরুবা শারমীন, ওসি হাসান আল মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম আক্তার মুক্তা, পৌর মেয়র রকিবুল হক ছানা, জেলা পরিষদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের তালুকদার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির টাঙ্গাইল জেলা শাখার আহবায়ক এডভোকেট কেএম আব্দুস সালাম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুস সোবহান তুলাসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ, সকল সরকারি কর্মকর্তা এবং মিডিয়া কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

দোয়া অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ ড. ফায়জুল আমীন সরকার বলেন, হে আল্লাহ তুমি পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারি, যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের বেহেশত নসীব করো। হে আল্লাহ তুমি বিচারের পর তাদেরকে বেহেশত নসীব করো। দোয়া অনুষ্ঠানে তার এ ধরনের বক্তবে উপস্থিত সকলেই হতবাক হয়ে যান। উত্তেজনা দেখা দিলে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ সকলকে শান্ত করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলরুবা শারমীন জানান, দোয়া অনুষ্ঠানে এ ধরনের দুর্ভাগ্যজনক বক্তব্য শুনে তিনি নিজের কানকে প্রথমে বিশ্বাস করতে চাননি। একই কথা আবার রিপিট করলে তিনি মনোযোগ দিয়ে তা শোনেন। আশেপাশে যারা ছিলেন, তাদের নিকট থেকে তিনি শতভাগ নিশ্চিত হন।

ওসি হাসান আল মামুন বলেন, এমন ঘটনাটি সত্যিই হতবাক হওয়ার মতো। ঘটনার পর পরই তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার জানান, একুশে গ্রেনেড হামলা মামলার প্রধান তিন আসামির বাড়ি গোপালপুরে। গোপালপুরের দুই জঙ্গী সম্প্রতি ক্রস ফায়ারে মারা গেছে। অধ্যক্ষ ড. ফায়জুলের মতো মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী মানুষ, যারা জামায়াত শিবিরের সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের মুখ থেকে এমন কথা বের হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমরা তার কঠিন শাস্তি চাই।

সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং গোপালপুর কামিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সোবহান তুলা জানান, মুখ ফসকে হয়তো তিনি একথা বলেছেন। তবে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযা‌পিত হ‌চ্ছে

 

গাজী আল ইমরান, শ্যামনগরঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস ২০১৭ পালন উপলক্ষ্যে নানান কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। এরই অংশ হিসেবে শনিবার সকালে উপজেলা প্রশাসন, শ্যামনগরের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস ২০১৭ উদযাপন উপলক্ষে বিজয় শোভাযাত্রা, পুস্পস্তবক অর্পন ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা-০৪ আসনের সংসদ সদস্য এস. এম. জগলুল হায়দার, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার
মোঃ কামরুজজামান, শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী, বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। এরপর শ্যামনগরের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লাব বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সহ ব্যাক্তি ও সাংগঠনিক পর্যায়ে হাজার হাজার মানুষ বিজয় র্যালী নিয়ে শ্যামনগর উপজেলা সদরের গোপালপুরে অবস্থিত সৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।
সৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পনের পর শ্যামনগর গোপালপুরের ”দলিত উন্নয়ন সংস্থা” (ডাচ) কর্তৃক আয়োজিত বিজয় মঞ্চে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন অতিথি বৃন্দ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রশান্ত দাস, এসময় উপস্থিত ছিলেন দলিত উন্নয়ন সংস্থা” (ডাচ) এর সভাপতি রামপ্রসাদ দাস, সাধারণ সম্পাদক নিতাই দাস, কোষাধ্যক্ষ সুভাষ দাস সহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও দলিত পাঠশালা‌র সদস্য ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এরপর শ্যামনগর নকিপুর হরিচরন পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে প্যারেড প্রদর্শিত হয়।প্যারেড প্রদর্শনিতে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান স্ব স্ব প্যারেড প্রদর্শন করে। ২য় পর্বের অনুষ্ঠান শেষে বিকালে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের মাঠে তৃতীয় পর্বের অনুষ্ঠানের শুরু হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ৪২ মিনিটে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা। শ্রদ্ধা জানানোর পর কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে শহীদদের স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

এরপর জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শ্রদ্ধা জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ছেড়ে যাওয়ার পর শ্রদ্ধা জানাতে সর্বসাধারণের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শক্তি বাড়াবে যেসব খাবার!

আমরা দৈহিক শক্তি বৃদ্ধির জন্যে কতকিছুই না খাই। তবে দৈহিক শক্তি বৃদ্ধির জন্যে সব খাবারে পরিমিত পুষ্টিগুন থাকে না। বিবাহিত জীবনে মিলনে ফিট থাকতে হলে আপনাকে দৈনন্দিন খাবারের প্রতি পূর্ণ মনোযোগী হতে হবে। কারণ সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকার পাশাপাশি দরকার স্বাস্থ্যকর দৈহিক সম্পর্ক। অথচ প্রায়ই দেখা যায়, দৈহিক দুর্বলতার কারণে সংসারে অশান্তি হয়, এমনকি বিচ্ছেদ পর্যন্ত হয়। তাই আগে থেকে সতর্ক থাকলেও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি নাও হতে পারেন আপনি।

আপনার যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য কোনো প্রকার ওষুধের প্রয়োজন নেই, তার জন্য দৈনন্দিন পুষ্টিকর খাবার দাবারই যথেষ্ট। আপনার খাবার মেনুতে নিয়মিত দুধ, ডিম এবং মধু রাখুন আর নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করুন, তাহলে দৈহিক (যৌন) দুর্বলতায় ভুগবেন না।

১. ডিম: দৈহিক দুর্বলতা দূর করতে ও উত্তেজনা বাড়াতে এক অসাধারণ খাবার ডিম। প্রতিদিন সকালে, না পারেন সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ১টি করে ডিম সিদ্ধ করে খান। এতে আপনার যৌন দুর্বলতার সমাধান হবে।

২. দুধ: যেসব খাবারে বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এমন প্রাকৃতিক খাদ্য আপনার যৌনজীবনের উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি শরীরে সেক্স হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে সবগুলোকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।

৩. মধু: দৈহিক দুর্বলতার সমাধানের মধুর গুণের কথা সবারই কম-বেশি জানা। তাই দৈহিক শক্তি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করুন।

৪. রসুন: দৈহিক সমস্যা থাকলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। স্মরণাতীতকাল থেকেই নারী পুরুষ উভয়েরই দৈহিক উদ্দীপনা বাড়াতে এবং জননাঙ্গকে পূর্ণ সক্রিয় রাখতে রসুনের পুষ্টিগুণের কার্যকারিতা সর্বজনস্বীকৃত। রসুনে রয়েছে এলিসিন নামের উপাদান যা দৈহিক ইন্দ্রিয়গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়।

৫. কফি: কফি আপনার মিলনের ইচ্ছা বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার মিলনের মুড কার্যকর রাখে।

৬. জয়ফল: গবেষণায় দেখা গেছে, জয়ফল থেকে এক ধরনের কামোদ্দীপক যৌগ নিঃসৃত হয়। সাধারণভাবে এই যৌগটি স্নায়ুর কোষ উদ্দীপিত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে আপনার যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। আপনি কফির সাথে মিশিয়ে জয়ফল খেতে পারেন, তাহলে দুইটির কাজ একত্রে পাওয়া সম্ভব।

৭. চকলেট: ভালোবাসা ও মিলনের সঙ্গে সবসময়ই চকলেটের একটা সম্পর্ক রয়েছে। এতে রয়েছে ফেনিলেথিলামিন (পিইএ) ও সেরোটোনিন। এ দুটি পদার্থ আমাদের মস্তিষ্কেও রয়েছে। এগুলো মিলনের উত্তেজনা ও দেহে শক্তির মাত্রা বাড়াতে সহায়ক। পিইএ’র সঙ্গে অ্যানান্ডামাইড মিলে অরগাজমে পৌঁছাতে সহায়তা করে।

৮. কলা: কলার রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি ও পটাশিয়াম। ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম মানবদেহের যৌনরস উৎপাদন বাড়ায়। আর কলায় রয়েছে ব্রোমেলিয়ানও। যা শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতেও সহায়ক। আর সর্বোপরি কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা যা আপনার দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে দীর্ঘসময় ধরে দৈহিক মিলনে লিপ্ত হলেও আপনার ক্লান্তি আসবে না।

৯. ভিটামিন সি জাতীয় ফল: দৈহিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল দৈহিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। এসব ফলে মধ্যে তরমুজের প্রভাব বেশি। অনেকে মিলনের উদ্দীপক ওষুধ ভায়াগ্রার সাথে তরমুজের তুলনা করেছেন।

১০. গরুর মাংস: গরুর মাংসে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। তাই আপনি মিলনকে আরও আনন্দময় করতে কম ফ্যাটযুক্ত গরুর মাংস খান। যেমন গরুর কাঁধের মাংসে, রানের মাংসে কম ফ্যাট থাকে এবং জিঙ্ক বেশি থাকে। এইসব জায়গার মাংসে প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ট্রাক্টর চালিয়ে সংসদে এমপি

ইতিহাসে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। সংসদের সর্বকনিষ্ঠ এমপি দুশান্ত চাতালাকে হঠাৎ করেই শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে ট্রাক্টর নিয়ে প্রবেশ করেছেন। এ নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটিয়েছেন ভারতীয় সংসদের ইণ্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলের (আইএনএলডি) এর এক সংসদ সদস্য।

এদিকে সংসদ অধিবেশনে ট্রাক্টর নিয়ে প্রবেশের কোন অনুমতি না থাকায়, তাকে আগে থেকেই দুই দিনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনের মাধ্যমে রাস্তার অনুমোদন নিতে হয়। তার এই ঘটনা সবার দৃষ্টিকে নাড়া দিয়ে গেছে এবং অস্বাভাবিক বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest