সর্বশেষ সংবাদ-
ঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্নসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৯০ দশক ছাত্রদলের দোয়াশ্যামনগরে ঘের ব্যবসায়ীকে কুপি×য়ে হত্যা : আ×টক ৯সাতক্ষীরায় প্লাস্টিক “অদল-বদল” ক্যাম্পেইনহাদির মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় গায়েবানা জানাজাসাতক্ষীরার সাবেক পিপি লতিফের ৪ দিন : ছেলে রাসেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

বাল্যবিবাহ নিরোধ কার্যক্রমে তৃণমূল পর্যায়ের সম্পৃক্ততা ও দক্ষতা উন্নয়নে কর্মশালা

তোষিকে কাইফু/তরিকুল ইসলাম লাভলু : বাল্য বিবাহ সমাজের নিরব ঘাতক। স্বাস্থ্যর উন্নতি, পরিবার, সমাজ তথা দেশের উন্নয়নে সবার আগে বাল্যবিবাহ নিরোধ করা জরুরী। এজন্য প্রয়োজন দেশের প্রতিটি গ্রামে-গ্রামে কমিটি গঠন করে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। একই সাথে নতুন প্রজন্মকে এ বিষয়ে সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে।
শনিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জাতীয় সংসদ ও ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় বাল্যবিবাহ নিরোধ কার্যক্রম তৃণমূল পর্যায়ে সম্পৃক্ততা ও দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব আইইএম গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইন্টার পার্লামেন্টরি ইউনিয়ন হেল্থ এ্যাডভাইসরি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সিরাজগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ হাবিবে মিল্লাত এমপি, সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস. এম জগলুল হায়দার, সাতক্ষীরা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রিফাত আমিন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন, পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান, মোঃ মোস্তাক গাওছুল হক (বিপিএস), প্রফেসর বায়োজিদ খুরশিদ রিয়াজ(পরিচালক নিক্সন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার দেশনেত্রী শেখ হাসিনার সরকার নারী শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বাল্য বিবাহকে রোধ করে দেশের উন্নয়নে নারীদের অংশগ্রহণে দেশকে উন্নতশীল দেশে উন্নত করার স্বপ্ন দেখেন। এজন্য তিনি বাল্যবিবাহ নিরোধ কার্যক্রমে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, উদ্বুদ্ধকরণ ও দক্ষতা উন্নয়নে নারীদের এগিয়ে আশার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরোও বলেন, বাল্য বিয়ে সমাজের নিরব ঘাতক, বাল্য বিয়ে দিলে গর্ভধারনে মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যু উভয় সংকট দেখা দেয়, শিশু ও মা দু’জনেই পুষ্টিহীনতায় ভোগে। আর পুষ্টিহীন শিশু সমাজ ও দেশের জন্য ক্ষতি ও দেশের উন্নয়নের প্রতি বাঁধা। স্বাস্থ্যও উন্নতি, পরিবার, সমাজসহ দেশের উন্নয়নে সবার আগে বাল্যবিবাহ নিরোধ করা জরুরী। এজন্য দেশের প্রতিটি গ্রামে বাল্য বিবাহ নিরোধে নতুন প্রজন্মকে এ বিষয়ে সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে।
কর্মশালায় মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বাল্য বিবাহ রোধে করণীয় বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাল্যবিবাহ রোধে করনীয় শীর্ষক এক রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ীদেরও মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন তওহীদুর রহমান, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন আলহাজ্জ শেখ ওয়াহেদুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দীন হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার (কালিগঞ্জ সার্কেল) মীর্জা সালাউদ্দীন, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য এস.এম আসাদুর রহমান সেলিম ও শাহানাজ পারভীন মিলি, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকবৃন্দ, ইমামবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ ও সুধীবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নৌ মন্ত্রণালয়ের ভা. সচিব আব্দুস সামাদের ভোমরা স্থলবন্দর পরিদর্শন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আব্দুস সামাদ ভোমরা স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন। শনিবার দুপুরে তিনি ভোমরা স্থল বন্দরের জিরো পয়েন্ট, কাস্টস্রে কার্যালয় ও বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যালয়সহ ইয়ার্ড, স্কেল রোড-আনলোড এলাকা ঘুরে দেখেন।

পরে তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কাস্টমস কর্মকর্তাবৃন্দ, বন্দর কর্তৃপক্ষের অফিসারবৃন্দ, সিএন্ডএফ কর্মকর্তা ও আমদানিকারক ওরপ্তানিকারকদের সাথে ভোমরা বন্দরের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনা সভায় সমস্যা ও সম্ভাবনার উপর বক্তব্য রাখেনে, কাস্টমসের পক্ষে ভোমরা স্থল বন্দরের সহকারী কমিশনার মোঃ রেজাউল হক, বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাছিম।
সচিব পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভোমরা বন্দরের সমস্যা ও সম্ভাবনার দিক ঘুরে দেখে সন্তাষ প্রকাশ করে বলেন, আমদানি-রপ্তানির গতি বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাস্তা ও ব্রিজ সংস্কারসহ নতুন ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘মজুর আর মুসলমান’ এই ছিল আফরাজুলের অপরাধ

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানে এক মধ্যবয়সী মুসলমান ব্যক্তিকে গত বুধবার নৃশংসভাবে হত্যার পর তার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আরেকটি ভিডিওতে অভিযুক্ত হত্যাকারীকে হামলার স্বপক্ষে যুক্তি দিতে শোনা যায় ”মুসলিমদের হাত থেকে হিন্দুদের সম্মান রক্ষার খাতিরে এই হামলা।” বিবিসি হিন্দির সাংবাদিক দিলনাওয়াজ পাশা গিয়েছিলেন নিহত মুহম্মদ আফরাজুল রাজস্থানের যে বাড়িতে থাকতে সেখানে।

মাটির বড় উনুনটা কয়েকদিন ধরে নিভেই আছে। যে বড় পাত্রটায় রান্না হত, সেটাও ঠাণ্ডা হয়ে গেছে আগেই।

পাশেই পড়ে রয়েছে কোদাল, শাবল – ঠিক যে ভাবে বুধবার সকালে রাখা ছিল, সেভাবেই রাখা।

ছোট্ট ঘুপচি ঘরের তক্তপোষে পড়ে ছিল হিসাবের খাতাটা – যিনি হিসাব কষছিলেন, তিনি যেভাবে ছেড়ে গিয়েছিলেন, সেভাবেই খোলা পড়ে রয়েছে ওটা।

একটা পুরনো বাক্সের ওপরে টি ভি রয়েছে – সেটাও বন্ধ। পাশেই এক বস্তা আলু। অনেকের খাবার রান্না হতো এই ঘরেই।

ঘরের বাইরে একটা থালায় পড়ে ছিল দুটো মোটা মোটা রুটি। দেখে মনে হচ্ছিল কাজ থেকে ফিরে এসে কেউ রুটি খাবে, তারই অপেক্ষা।

দরজার বাইরেই বেশ কয়েক জোড়া জুতো-চপ্পল পড়ে আছে, যেন কেউ তাড়াহুড়োয় চটি পড়তে ভুলে গেছে।

এটাই মালদার সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা আফরাজুলের বাসস্থান।

এখানেই বছর পঞ্চাশেকের আফরাজুল তার ভাগ্নে ইনামুল, জামাই মুশারফ শেখ ছাড়া গ্রামের আরও কয়েকজনের সঙ্গে থাকতেন – গত বুধবার পর্যন্ত।

সেদিনই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় আফরাজুলকে, আর গোটা হত্যাকাণ্ড ভিডিও করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার পরেই ওই ঘরের অন্য বাসিন্দাদের মধ্যে কয়েকজন তো পশ্চিমবঙ্গে চলে গেছেন আফরাজুলের মরদেহ নিয়ে। আর যারা রয়ে গেছেন রাজসমুন্দে, তারাও অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন।

তাদের আর সাহস হচ্ছে না এই ঘরে ফিরে আসার।

বাড়ির মালিক পণ্ডিত খেমরাজ পালিওয়ালকে থাকতেই হচ্ছে ওই বাড়িতে। চোখের জল সামলিয়ে তিনি শুধু এটুকুই বলতে পারলেন যে এরকম নিরীহ একজন মানুষের সঙ্গে এই নৃশংসতা!!

অটোরিকশা চালক রামলাল গত নয়-দশ বছর ধরে আফরাজুল আর তার সঙ্গী-সাথীদের নিজের গাড়িতে চাপিয়ে কাজের জায়গায় পৌঁছিয়ে দিতেন।

“খুবই ভদ্র আর ভালমানুষ ছিলেন আফরাজুল। চা খেতে ভালবাসতেন। আমাকেও বারে বারে চা খাওয়াতেন।”

আফরাজুলের হত্যার ভিডিওটা সাহস করে দেখতে পারেন নি রামলাল।

রাজসমুন্দে ১২-১৩ বছর আগে এসেছিলে আফরাজুল – দিন মজুরীর কাজ করতে।

ধীরে ধীরে দিন মজুর থেকে ঠিকাদার হয়ে উঠেছিলেন তিনি। রাস্তা তৈরির ঠিকাদারি করতেন তিনি – অন্য ঠিকাদারদের থেকে কাজ নিয়ে কিছুটা কম মজুরিতে করিয়ে দিতেন তিনি।

কাজের সুবিধার জন্য একটা মোটরসাইকেল কিনেছিলেন – যার নম্বর প্লেটের শেষ তিনটে সংখ্যা ছিল ৭৮৬।

হাজার বিশেক টাকা দিয়ে সম্প্রতি একটা স্মার্ট ফোন কিনেছিলেন আফরাজুল – যেটা তার নিথর দেহের সঙ্গেই জ্বালিয়ে দিয়েছে হত্যাকারী শম্ভূলাল।

আফরাজুলের দুই বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বড় জামাই মুশারফ শেখ শ্বশুরের সঙ্গেই থাকতেন।

“মঙ্গলবার বৃষ্টি হচ্ছিল, তাই আমরা আধা-দিন কাজ করেই ফিরে এসেছিলাম। বুধবারও হাল্কা বৃষ্টি পড়ছিল, তাই কাজ শুরু করতে পারি নি আমরা। দু’জন মজদুর রান্না করেছিল, আমরা সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। উনি চা খাওয়ার জন্য বাইরে বেরিয়েছিলেন। বেলা সাড়ে দশটার দিকে ফোন করে শ্বশুর মশাই বলেন যে হিসাব করে যেন শ্রমিকদের পাওনাগণ্ডা মিটিয়ে দিই, উনি একটু পরে ফিরছেন,” বলছিলেন মুশারফ শেখ।

তিনি আরও জানাচ্ছিলেন, “ফের সাড়ে এগারোটা নাগাদ ফোন করে বকা দিলেন যে সারাদিন শুয়ে বসে থাকলে মজুরদের পয়সা কে দেবে! তারপরে উনার সঙ্গে আর কোনও কথা হয় নি। বলেছিলেন মিনিট দশেকের মধ্যেই ফিরবেন। উনি ফেরেন নি। আমি ঘরেই শুয়েই ছিলাম।”

দুপুরবেলা মুশারফকে এক পরিচিত লোক ফোন করে জানায় যে আফরাজুলের অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে। প্রথমে মুশারফ ভেবেছিলেন যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।

কিন্তু যখন সেখানে পৌঁছলেন, তখন অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার অবস্থা তার।

“প্রথমে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না যে কী করে ওরকম হল! হাউ মাউ করে কেঁদে ফেলেছিলাম ওখানে বসেই,” বলছিলেন আফরাজুলের জামাই মুশারফ।

পরে তিনি ভিডিওটাও দেখেছেন, আর তখন থেকে মুখে কিচ্ছু তুলতে পারেন নি।

এতোটাই ভয় পেয়ে গেছেন তিনি যে বাড়ির মালিকের ভরসা সত্ত্বেও ওই ঘরে আর থাকতে পারেন নি এক মুহূর্তের জন্যও। অন্য এলাকায়, গ্রামের মানুষের সঙ্গে থাকছেন তিনি।

আফরাজুলের ভাগ্নে ইনামুল বলছিলেন, “পেটের টানে এখানে কাজ করতে আসি আমরা। পেটের জ্বালায় ঘর ছেড়ে এতদূর এসে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বড়জোর ৮-১০ হাজার টাকা রোজগার করি। ভারতের মানুষ দেশের যে কোনও জায়গায় গিয়েই তো কাজ করতে পারে। কিন্তু সরকার যদি এরকম ঘটনা বন্ধ না করতে পারে, তাহলে কিসের ভরসায় মানুষ কাজ করতে অন্য জায়গায় যাবে?”

এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রশ্নে ইনামুল বলেছেন, “আমাদের শরীর মন অবশ হয়ে গেছে ওটা দেখে। আমরা কীভাবে বিচার করবো? গরীব, কমজোর মানুষ আমরা। বিচার করা তো সরকারের দায়িত্ব। যদি ওই লোকটাকে ফাঁসি দিতে পারে সরকার, তাহলেই আমরা ভরসা পাব, নিরাপদ মনে হবে নিজেদের। আর যদি সে জামিন পেয়ে যায়, কী করব আমরা? গ্রামে ফিরে যাব!”

আফরাজুলকে যে কেন হত্যা করা হল, তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না মুশারফ, ইনামুল বা বরকত আলিরা।

‘লাভ জিহাদ’ শব্দটাও তারা নতুন শুনছেন।

বরকত আলি মালদায় আফরাজুলের গ্রামের কাছেই থাকেন আর তার সঙ্গে মজদুরি করতেই রাজস্থানে গেছেন। বলেন, “আমরা দু’বেলা দুটো খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার জন্য বাড়ি ছেড়ে হাজার কিলোমিটার দূরে থাকি। এখানে কে প্রেম করতে আসে আর কে-ই বা জেহাদ করতে আসে! পেটের খিদের থেকে বেশী কিছু আমাদের চিন্তাতেই আসে না।”

রাজসমুন্দের যে মেহতা মঙ্গরী এলাকায় আফরাজুলের বাসা, সেখানকার কয়েকজন স্থানীয় যুবকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল।

এক হিন্দু যুবক বলছিলেন, “যদি মেনেও নিই যে তিনি কোনও ভুল কাজ করেছিলেন, কিন্তু এই ভাবে তাকে মেরে ফেলার অধিকার কারও নেই। পুলিশ প্রশাসন ছিল তো, তাদের কাছে অভিযোগ জানানো যেতো।”

বাড়ির মালিক খেমরাজ পালিওয়ালের মেয়ে বি এ পড়ছে।

তার কথায়, “কেউ কোনও দোষ করে থাকলে তার জন্য তো পুলিশ আছে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কে দিয়েছে?”

কিন্তু আফরাজুলের দোষটা কী ছিল?

“তার দোষ বোধ হয় এটাই যে সে সহায়সম্বলহীন ছিল, মজদুরি করতো আর মুসলমান ছিল।”

সূত্র : বিবিসি বাংলা

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেরুজালেম ইস্যু; হোয়াইট হাউজের সামনে জুমার নামাজ আদায়

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাসভবন হোয়াইট হাউজের সামনে শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেছে মুসলিমরা। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের ঘোষণার প্রতিবাদ জানাতে হোয়াইট হাউজের সামনের পার্কে মুসলিমরা নামাজ আদায় করেন। আমেরিকার মুসলিম সংগঠনগুলো এ অভিনব প্রতিবাদের ডাক দেন।

এসময় মুসলিমরা ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী কাপড়, আবার কেউ কেউ ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকার রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পোশাক পরেন। তারা পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলর দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন। সূত্র : দ্য স্ট্রেইট টাইমস

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আলোচনায় কলকাতায় জন্ম নেয়া ‘মৎস্যকন্যা’

জন্ম নেয়ার পরপরই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবরের শিরোনাম হয়েছে কলকাতার ‘মৎস্যকন্যা’। কিন্তু চার ঘণ্টা পর আর বাঁচানো জায়নি শিশুটিকে। সাধারণত এক লাখে এমন একটি শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। রূপকথায় বর্ণিত মৎস্যকন্যাদের মতো কোমর থেকে শরীরের নিচের অংশ একত্রিত হয়ে থাকায় শিশুটির লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি।

কলকাতায় মুসকুরা বিবি নামের যে নারী ওই শিশুটির জন্ম দিয়েছেন তিনি আগে আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যান করাননি। তাই নিজের সন্তানের অবস্থাও জানতে পারেননি। চিকিৎসকরা শিশুটির এই অবস্থার নাম দিয়েছেন ‘সিরিনোমেলিয়া’ যা মারমেইড (মৎসকন্যা) সিনড্রোম হিসেবে পরিচিত।

বুধবার সকালে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে শিশুটির জন্ম হয়। হাসপাতালের অবসটেট্রিকস ও গাইনোকলজি স্পেশালিস্ট ড. সুদীপ সাহা বলেন, অনাগত সন্তানের যত্ন নিতে বিবি ও তার স্বামীর কাছে যথেষ্ট অর্থ ছিল না। এই জন্য শিশুটি এ অবস্থায় জন্ম নিয়েছে।

গত বছরও ভারতের উত্তর প্রদেশে এমন একটি শিশু জন্মেছিল।
মাত্র ১০ মিনিটের মাথায় শিশুটি মারা যায়। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জিয়া পরিবারের দুর্নীতি ; প্রমাণ আছে বলেই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন : কাদের

সৌদি আরবসহ ১২টি দেশে জিয়া পরিবার বিভিন্ন সময়ে পাচার করে ১২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্য-প্রমাণ আছে বলেই প্রধানমন্ত্রী জিয়া পরিবারের দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলেছেন। এসব দেশে আবাসন, পেট্রো কেমিকেলসহ বিভিন্ন খাতে তারেক রহমান, সাঈদ ইস্কান্দার এবং তাদের ব্যবসায়ী বন্ধুরা বিনিয়োগ করেছেন।’

গত বৃহস্পতিবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখতে গিয়ে বলেন, ‘খালেদা জিয়া আদালতে জানিয়েছেন যে তিনি শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করেছেন। অথচ সম্প্রতি সৌদি আরবে টাকা পাচারের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এ ক্ষেত্রে সরকার কি তাঁকে ক্ষমা করবে?’

এই প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন। এ সময় দেশের গণমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘কেন এই টাকা পাচারের খবর তুলে ধরা হলো না?’ তিনি বলেন, ‘সৌদিতে যে বিশাল শপিংমল, সম্পদ পাওয়া গেছে, আপনাদের (সাংবাদিকদের) তো এ ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখি না। এত দুর্বলতা কিসের জন্য? এই যে মানি লন্ডারিং, এটা যে বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার ছেলেরা করেছে এটা তো আমরা বের করিনি। এটা বের করেছে আমেরিকা।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বেশির ভাগ পত্রিকা কিন্তু আমিই পারমিশন দিয়েছি। সে পত্রিকাগুলোর এতটুকু সাহস হলো না যে খবরটা প্রকাশ করি। কোনো সরকার সাহস পায় নাই, আমি প্রাইভেট চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছি।’

এরপর এর প্রতিক্রিয়ায় গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, যদি বক্তব্য প্রত্যাহার করা হয় তাহলে বিএনপি এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে।

এর পরই আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফের এ প্রসঙ্গ টেনে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের আরো জানান, জিয়া পরিবারের এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

পদ্মাসেতু ও মোট্রোরেল প্রকল্পে যে দুর্নীতির অভিযোগ বিএনপি করছে, তার প্রমাণ অবশ্যই জাতির সামনে তাদের দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন কাদের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেরুজালেম ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদে তোপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

পবিত্র জেরুজালেম নগরীকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির ঘটনায়  জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে তোপের মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি দেশটির মিত্র হিসেবে পরিচিত যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সও ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। কার্যত পুরো বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে।

নিরাপত্তা পরিষদের অর্ধেকের বেশি সদস্য দেশের আহ্বানে এই জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বিষয়টির মীমাংসায় ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনার ওপর দেয় যুক্তরাজ্য। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতা থাকায় এ নিয়ে ভোটাভুটির জন্য কোনও প্রস্তাব তোলা হয়নি।

জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের স্থায়ী প্রতিনিধি ম্যাথিউ রায়ক্রফ্ট বলেন, ব্রিটিশ দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের কোনও পরিকল্পনা লন্ডনের নেই। যুক্তরাজ্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে।

ফ্রান্সের প্রতিনিধি ফ্রাঁসোয়া ডেলাত্রে বলেন, ট্রাম্পের ঘোষণায় প্যারিস উদ্বিগ্ন। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থান পুরো মধ্যপ্রাচ্যের জন্যেই আরও ভয়ানক পরিণতি নিয়ে আসছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ প্রতিনিধি ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, ট্রাম্পের ঘোষণায় মস্কো মারাত্মকভাবে উদ্বিগ্ন। রাশিয়া মনে করে এই ঘোষণার ফলে মধ্যপ্রাচ্য সংকট আরও জটিল আকার ধারণ করবে।

ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মনসুর ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনে মদদ দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প যে ঘোষণাই দিক না কেন; জেরুজালেম নগরী ফিলিস্তিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তবে এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটন শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতাকারীর অবস্থান হারিয়েছে।’

সুইডেনের দূত ওলোফ স্কুগ বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সনদ লঙ্ঘন করেছেন।

জাতিসংঘে নিযুক্ত চীন, ইতালি, উরুগুয়ে, সেনেগাল, বলিভিয়া, ইথিওপিয়া, কাজাকিস্তান, ইউক্রেন, জাপান ও ডর্ডানের প্রতিনিধিরাও ট্রাম্পের ঘোষণায় উদ্বেগ জানান।

মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়কারী নিকোলাই ম্লাদেনোভ বলেন, ট্রাম্পের এই ঘোষণার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা ব্যাপক আকারে বেড়ে যেতে পারে।

ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সদস্যদের অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত নিকি হ্যালি। তিনি বলেন, জাতিসংঘ মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি রক্ষার বদলে শান্তি নষ্টের চেষ্টা করছে।

নিকি হ্যালি’র ভাষায়, ‘বহু বছর ধরেই জাতিসংঘ ইসরায়েলের প্রতি অসংযতভাবে বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে এটি বরং ক্ষতি বয়ে এনেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র এর পক্ষে অবস্থান নিতে পারে না।’

নিকি হ্যালি বলেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি জাতিসংঘ ভয়ানক শত্রুতামূলক আচরণ করছে। দুঃখজনকভাবে সংস্থাটি ইসরায়েলের প্রতি শত্রুতার আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূত ড্যানি ড্যানোন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া স্বীকৃতিকে স্বাগত জানান।

এদিকে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ-সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীর। জেরুজালেমকে ইসরায়েলি রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনী বলপ্রয়োগ করলে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। শুধু গাজা উপত্যকাতেই ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত দুইজন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫০ জন।

জুমা’র নামাজের পর জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদের বাইরে এবং গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভে অংশ নেন হাজার হাজার মুসল্লি। পশ্চিম তীরের হেবরন, বেথেলহেম, রামাল্লাসহ পুরো ফিলিস্তিনজুড়েই এমন বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এসব বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনী বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ইসরায়েলি বাহিনীর কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেটের জবাবে পাল্টা পাথর নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীরা। ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ-বিক্ষোভ ঠেকাতে পশ্চিম তীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে ইসরায়েল।

রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয় বিপুল সংখ্যক মানুষ। এ সময় তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুতুল দাহ করেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা উপত্যকা থেকে নিক্ষেপ করা একটি রকেট ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে বিস্ফোরিত হয়েছে। জবাবে ইসরায়েলি ট্যাংক ও বিমান থেকে গাজায় হামলা চালানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শাকিব-অপুর সংসার রক্ষায় সালিশ বসাবে ডিএনসিসি

শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিবাহ বিচ্ছেদ ঠেকাতে ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। খুব শিগগিরই তারা সংসার রক্ষার জন্য বৈঠকে বসবে।

নগর কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত ওই বৈঠকে তাদের এই বিচ্ছেদ ঠেকাতে শেষ চেষ্টা চালানো হবে বলে জানা গেছে।

সালিশের জন্য খুব শিগগিরই শাকিব খানের কাছে বিয়ের কাবিননামা চেয়ে নোটিশ পাঠাবে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। নোটিশ হাতে পৌঁছানোর পর দুই তারকার পরিবারের অভিভাবকদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসবে কর্মকর্তারা।

ডিএনসিসি সূত্র জানায়, শাকিব খানের নামে সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবর একটি তালাকনামার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এই নোটিশের সূত্র ধরেই তাদের সংসার টিকানোর চেষ্টা করছে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ।

ডিএনসিসি মেয়রের সহকারী সৈয়দ আবু সালেহ বলেন, সাকিব-অপুর ঘরে একটি ফুঁটফুঁটে সন্তান রয়েছে। তাছাড়া মানবিক কারণে দেশের প্রখ্যাত এই দুই তারকার সংসার রক্ষার চেষ্টা করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। আশা করছি- কামিয়াবি হবো।

তিনি আরও বলেন, স্বামী কিংবা স্ত্রী, যে পক্ষই নগর ভবনে তালাকনামার নোটিশ পাঠাক, তার সঙ্গে কাবিননামার কপিও সংযুক্তি পাঠাতে হয়।
কিন্তু শাকিব খানের তালাকনামার নোটিশের সঙ্গে কাবিননামার কপি পাঠানো হয়নি। এখন তার কাছ থেকে কাবিননামার কপিও চাওয়া হবে। কিংবা তিনি নিজেও পাঠাতে পারেন। এরপর নগর কর্তৃপক্ষই উভয়পক্ষকে ডেকে সংসার রক্ষার জন্য সালিশ বসাবে। সেখানে উভয়পক্ষের সম্মতি পেলে সংসার টেকানোও সম্ভব। তবে কোনোভাবেই তিন মাসের আগে তাদের তালাক কার্যকর হচ্ছে না।

শাকিব খান ২২ নভেম্বর তালাকের নোটিশ পাঠালেও ডিএনসিসিতে এসেছে অনেক পরে। তবে মুসলিম নিকাহ আইনের ৭ (ক) ধারা অনুযায়ী, নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে শাকিব-অপুকে নিয়ে সালিশ বসানো হবে। এক্ষেত্রে অপু বিশ্বাসকে যেহেতু তালাকের নোটিশ দেয়া হয়েছে তাই তার বসবাসের এলাকা নিকেতনের মধ্যে ডিএনসিসির যে জোনাল কর্মকর্তা রয়েছেন তিনিই সালিশি বৈঠকের প্রধান হবেন। জোনাল কর্মকর্তা চাইলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকেও বৈঠকে যুক্ত করতে পারবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest