গেইল-ম্যাককালামও জেতাতে পারলেন না রংপুরকে

তিন ম্যাচের দুটিতে হেরে বেশ চাপে ছিল রংপুর রাইডার্স। দলে তারকা ক্রিকেটার না থাকায় টানা দুটি ম্যাচ হেরে যায় দলটি। ক্রিস গেইল-ব্রেন্ডন ম্যাককালাম-কুশল পেরেরাদের মতো তারকারা যোগ দেওয়ায় জয়ের আশায় বুক বেঁধেছিল রাইডার্স সমর্থকরা। তবে হতাশ হতে হয়েছে তাদের। ক্রিস গেইল-ম্যাককালামদের মতো তারকারা এলেও ফলাফলটা বদলাতে পারেনি মাশরাফির দল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ১৪ রানে হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই থাকল দেশের সর্ব-উত্তরের দলটি।

কুমিল্লার দেওয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৩৯ রানেই শেষ হয় রংপুরের ইনিংস। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে আট পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

১৫৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়েছিল রংপুরের। ক্রিস গেইল ও ম্যাককালাম মিলে চার ওভারে তুলে নেন ৩০ রান। পঞ্চম ওভারেই বদলে যায় খেলার চিত্র। রশীদ খানের বলে লেগ বিফার হয়ে ফিরে আসেন গেইল। একই ওভারের চতুর্থ বলে কুশল পেরেরাকেও ফেরান আফগান স্পিনার। গেইল করেন ১৭ রান।

ষষ্ঠ ওভারে রংপুর শিবিরে কাঁপন ধরিয়ে দেন মেহেদী হাসান। এই স্পিনারের বলে স্টাম্পিং হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। সেই ওভারে শাহরিয়ার নাফীসকে ফিরিয়ে খেলার শুরুতেই কুমিল্লার জয়টা মোটামুটি নিশ্চিত করে দেন এই তরুণ স্পিনার। ১৩ রান করেন ম্যাককালাম।

তবে রবি বোপারা ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে লড়াইটা চালিয়ে যায় রংপুর রাইডার্স। এই দুজন যোগ করেন ৫৭ রান। দলীয় ৯৯ রানে মিঠুন ফিরলে রংপুরের হারটা নিশ্চিত হয়ে যায়। ২৬ বলে ৩১ রান করেন মিঠুন। মাশরাফি বিন মুর্তজা লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন। ১১ বলে ১৭ রান করে রান আউট হন রংপুর দলনেতা। রবি বোপারা উইকেটে টিকে থাকলেও জয়ের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। ৪৮ বলে ৪৮ রান করেন বোপারা।

এর আগে জয়ের জন্য রংপুরের সামনে ১৫৪ রানের লক্ষ্য রাখে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলীয় ২৩ রানে রুবেল হোসেনের পেসের সামনে ধরাশায়ী হন তামিম ইকবাল। ১৯ বলে ২১ রান করেন ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক। লিটন দাসকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মাশরাফি। ১১ বলে ১১ রান করেন লিটন। এরপর জস বাটলারকেও ফেরান রাইডার্স দলনেতা। মাত্র ১ রান করেন ইংলিশ এই ব্যাটসম্যান।

এরপর ইমরুল কায়েস ও মারলন স্যামুয়েলসের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় কুমিল্লা। এই জুটি থেকে আসে ৪৫ রান। দলীয় ১০০ রানে পেরেরার বলে বোল্ড হন ইমরুল কায়েস। ৪৭ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। আউট হওয়ার আগে অবশ্য ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিপিএলে হাজার রান পূর্ণ করেছেন তিনি। শোয়েব মালিক ভালোভাবে শুরু করলেও রান আউট হয়ে ফিরে আসেন।

১৮তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৩৯ রানে আউট হন স্যামুয়েলস। ৩৪ বলে ৪১ রান করেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান। শেষ কয়েক বলে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ১১ বলে ১৬ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৫৩ রানে শেষ হয় কুমিল্লার ইনিংস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বসুন্দরীর মুকুট জিতলেন ভারতের মানসী চিল্লার

তিনি মেডিক্যালের ছাত্রী। মেডিসিন ও সার্জারি বিষয়ে ব্যাচেলর’স ডিগ্রী নিচ্ছেন। কার্ডিয়াক সার্জন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন তিনি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে অলাভজনক হাসপাতাল গড়ার ইচ্ছা আছে তার।
ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যে তালিম নিয়েছেন মানসী। স্কেচ ও আঁকাআঁকি উপভোগ করেন তিনি। তার কথায়, ‘স্বপ্ন দেখা থামানো অর্থ হলো বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দেওয়া।’
এবারের প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছেন মেক্সিকোর আন্ড্রিয়া মেজা। তৃতীয় হন ইংল্যান্ডের স্টেফানি হিল।
পিপল’স চয়েস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন মিস মঙ্গোলিয়ার ইঙ্কজিন টেভিনড্যাশ। এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত শীর্ষ দশে ছিলেন ভারতের মানসী চিল্লার এবং বাংলাদেশের জেসিয়া ইসলামও।
এর আগে প্রতিযোগিতার সেরা পাঁচে পৌঁছেন ভারতের মানষী চিল্লার, ইংল্যান্ডের স্টেফানি হিল, ফ্রান্সের অরোরে কিশেনিন, কেনিয়ার ম্যাগলিন জেরুতো ও মেক্সিকোর আন্ড্রিয়া মেজা।
এদিকে ফাইনালের আগে মাল্টিমিডিয়া চ্যালেঞ্জে জিতেছেন মিস মঙ্গোলিয়া। বিউটি উইথ অ্যা পারপাসে নির্বাচিত হয়েছেন ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের সুন্দরীরা।
ফাইনালে সংগীত পরিবেশন করছেন বুলগেরিয়ার কিশোর ক্রিস্তিয়ান কস্তোভ, চীনের বালক জেফ্রি লি ও বালিকা সেলিন ট্যাম।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী মেগান ইয়াং।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি গঠন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সিটি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন ও সাধারণ-সম্পাদক এহসান হাবিব অয়ন স্বাক্ষরিত এক পত্রে মহিদুল ইসলামকে সভাপতি ও আলিফ খানকে সাধারণ-সম্পাদক করে এক বছর মেয়াদী সিটি কলেজ ছাত্রলীগের ১০সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অপু বিশ্বাস ছাড়া কাউকে চাবি দেবেন না বাড়িওয়ালা

স্বামী শাকিব খান হোক বা যে-ই হোক, অপু বিশ্বাসের সঙ্গে কথা না বলে কাউকে তাঁর ফ্ল্যাটের চাবি দেবেন না বাড়িওয়ালা। ফলে এখনই ফ্ল্যাটে গৃহকর্মীর সঙ্গে থাকা শিশু ছেলে আব্রাম খান জয়কে দেখতে পারছেন না বাবা শাকিব খান।

আজ শনিবার বিকেলে গুলশান ১ নম্বরের নিকেতন হাউজিং সোসাইটিতে অপু বিশ্বাসের ভাড়া বাসায় গেলে বাড়ির দারোয়ান নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের আটকে দেন। তাঁর কাছে বাড়িওয়ালার নাম ও মুঠোফোন নম্বর চাইলেও তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

নজরুল ইসলাম জানান, চিত্রনায়ক শাকিব খান গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বাসায় এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রী অপু বিশ্বাসের ফ্ল্যাটে বাইরে থেকে তালা দেওয়া থাকায় তিনি ঢুকতে পারেননি। পরে তিনি বাইরে থেকে অনেকক্ষণ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে বের হয়ে যান।

নজরুল ইসলাম আরো জানান, শাকিব খান বাড়িওয়ালার কাছ থেকে ফ্ল্যাটের চাবি না পেয়ে নিকেতন হাউজিং সোসাইটির বাড়ির মালিক সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যেন তাঁরা বাড়িওয়ালার সঙ্গে যোগাযোগ করে ফ্ল্যাটের চাবি দিয়ে তা খোলার ব্যবস্থা করেন। কেননা সেই ফ্ল্যাটে তাঁর শিশু ছেলে ও কাজের মেয়ে আছে। তার ছেলে কী অবস্থায় আছে এ নিয়ে উনি খুব আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

ফ্ল্যাটের চাবি কার কাছে জানতে চাইলে বাড়ির দারোয়ান বলেন, বাড়িওয়ালার কাছে একটি চাবি আছে। সেটি তিনি অপু বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলা ছাড়া কাউকে দেবেন না বলে জানিয়েছেন। তবে শাকিব খান যেহেতু তাঁর শিশু ছেলের জীবন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তাই কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বাড়িওয়ালা তালা খুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন।

দারোয়ান নজরুল ইসলাম জানান, ‘গতকাল সকাল ৮টায় অপু বিশ্বাস বাসা থেকে বেরিয়ে যান। উনি অসুস্থ কি না সেটি লক্ষ করিনি। উনি শুনেছেন, চিকিৎসার জন্য কলকাতায় গেছেন।’

এর আগে গতকাল থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে ছেলেকে দেখতে গিয়ে ফেরত আসেন শাকিব খান। কারণ, অপু বিশ্বাসের বাসা তালাবদ্ধ ছিল। গৃহপরিচারিকার কাছে তিনি জানতে পান অপু চিকিৎসা করাতে কলকাতায় গেছেন। এমতাবস্থায় ছেলের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন শাকিব খান।

শাকিব খান বলেন, ‘গতকাল সকালে দেশে ফিরে বাসায় যাই। দুপুরের দিকে শুনতে পাই আমার ছেলে তালাবদ্ধ। সন্ধ্যার পর আমি নিজেই ছেলেকে দেখতে যাই। বারবার দরজায় নক করার পর ভেতর থেকে আমার সঙ্গে কথা বলে শেলী নামের একজন কাজের লোক। দরজা খুলতে বলা হলে সে জানায় তার কাছে চাবি নেই। শুনার পর থেকে আমি নিজেই অসুস্থবোধ করি। আমার সন্তান ঘরের ভেতর আর বাইরে দিয়ে তালা। এখন যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে কী হবে আমার ছেলের।’

শঙ্কা প্রকাশ করে শাকিব খান বলেন, ‘ঢাকা শহরে আমরা আসলে কতটা নিরাপদ, যেখানে সামান্য কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। এখন যদি কোনো খারাপ কিছু হয়, তা হলে কী হবে বিষয়টা। যদি কোনো কাজে বাইরে যেতেই হয়, তা হলে আমার বাসায়, আমার বাবা-মায়ের কাছে ছেলেকে সে রেখে যেতে পারত। আমি সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। মোবাইল ফোনে সব সময় শেলীর সঙ্গে কথা বলে খোঁজখবর নিচ্ছি। আবার নিকেতন হাউজিংয়ের সঙ্গে কথা বলছি, যেন তালা খুলে ছেলেকে বাইরে আনা যায়। আমি বিষয়টা একেবারেই মেনে নিতে পারছি না।’

কলকাতায় অপু বিশ্বাস চিকিৎসার কাজে গেছেন জানিয়ে শাকিব বলেন, ‘শেলী বলেছে বাথরুমে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়ে কলকাতায় চিকিৎসা নিতে গেছে। আমাদের দেশে কি হাসপাতাল নেই, যেখানে তার চিকিৎসা করাতে পারবে। আর যদি যেতেই হয় তা হলে ছেলেকে নিয়ে যেতে বা আমার বাসায় রেখে যেতে পারত। একজন মা এতটা কেয়ারলেস কীভাবে হয়, আমি অবাক, স্তব্ধ।’

বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে শাকিব খান বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিকেতন সোসাইটির কমিটিকে জানিয়েছি, ওনারা অপুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। এখনই বাসার তালা ভাঙতে আমাকে না করেছেন। প্রয়োজন হলে ওনারাই পুলিশের সাথে যোগাযোগ করবেন বলেছেন।

গত এপ্রিলে ঢাকাই ছবির নতুন নায়িকা শবনম বুবলীর সঙ্গে শাকিব ঘরোয়া পরিবেশে একটি ছবি তোলেন। ছবিটিতে ‘ফ্যামিলি টাইম’ ক্যাপশন লিখে নিজের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ করেন বুবলী। এর পরই অপু বিশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে শাকিব খানের। ছবিটি প্রকাশের পর পরই গণমাধ্যমে দীর্ঘদিন গোপনে থাকা বিয়ে ও সন্তানের বিষয়টি খোলাসা করেন অপু।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চেষ্টা করেও বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা যায়নি -প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভাষণ প্রচারে যত বাধা এসেছে, তত তা জাগ্রত হয়েছে। মানুষ ভাষণ প্রচারের জন্য জীবন পর্যন্ত দিয়েছে। তিনি বলেন, ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, কেউ মুছতে পারেনি। ইতিহাস বিকৃত করতে চাইলে ইতিহাস প্রতিশোধ নেয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা জাতির পিতার নাম মুছতে চেষ্টা করেছে, জানি না তাদের লজ্জা হয় কি না। ইউনেসকো বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর তাদের কি এখন লজ্জা হয় না, দ্বিধা হয় না? জানি না এদের লজ্জা-শরম আছে কি না। অবশ্য এরা বাংলাদেশে বাস করলেও এরা পাকিস্তানেরই প্রেতাত্মা। তাই তারা ইতিহাস বিকৃতি করতে চেয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার একটাই অনুরোধ থাকবে আর যেন কখনোই ওই পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পদলেহনকারী, চাটুকারের দল এই বাংলার মাটিতে আর কখনো ইতিহাস বিকৃতি করার সুযোগ আর না পায়। তার জন্য বাংলাদেশের সকল মানুষকে জাগ্রত হতে হবে।’

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ইউনেসকোর ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে নাগরিক কমিটি এই সমাবেশের আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বেলা তিনটার দিকে সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান। ৪টা ২০ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন তিনি। শেষ করেন ৪টা ৫০ মিনিটে। প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতেই স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনে বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। স্মরণ করেন ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং জেলহত্যার শিকার চার জাতীয় নেতাকে।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তাঁর বক্তব্যে ইউনেসকো ও যে দেশগুলো ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তাদের ধন্যবাদ দেন। তিনি বলেন, বিশ্বে স্বীকৃতি পাওয়া ভাষণগুলো ছিল লিখিত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষণ লিখিত ছিল না। এই ভাষণের জন্য কোনো ‘নোটস’ ও বঙ্গবন্ধুর হাতে ছিল না। ৭ মার্চে ভাষণ দেওয়ার আগে সহধর্মিণী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুকে আলাদা ডেকে নিয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মা, বাবাকে ডেকে নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘অনেকে অনেক কিছু বলছে। কিন্তু তুমি তাই বলবে যা তুমি ভালো মনে করো।’’ প্রধানমন্ত্রী বাবাকে দেওয়া মায়ের এই পরামর্শকে শ্রেষ্ঠ পরামর্শ বলে উল্লেখ করেন।’
স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যেন আর মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ না পায়, সে জন্য দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

দুপুর থেকেই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশে মানুষের ঢল নামে। আজ সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ, এর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক ও ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যানার নিয়ে সমাবেশে আসতে শুরু করে। দুপুরের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে এ বিশাল উদ্যান। এখানেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শুনিয়েছিলেন স্বাধীনতার অমর সেই বাণী, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।’
সমাবেশস্থল সাজানো হয় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের মতো করে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কৃত্রিম লেকে শোভা পায় পাটবোঝাই পালতোলা নৌকা। আর নৌকার পালে আছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের বিভিন্ন অংশ। এসবের মধ্যে ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,’ ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশা আল্লাহ’, ‘তোমাদের হাতে যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে’ লেখা ব্যানার।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাবেশ। তারপর বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, অধ্যাপক রফিকুল হক, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
কবি নির্মলেন্দু গুণ তাঁর রচিত কবিতা এবং সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর কবিতা আবৃত্তি করেন।

সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে পরিবেশিত হয় গান ও কবিতা। পরিবেশিত হয় রবীন্দ্র, নজরুল আর মরমি কবি লালন শাহের গান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের কাছে আলোর দিশারীতে পরিণত হয়েছে-জেলা প্রশাসক

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর “মেমোরি অব দ্য’ ওয়াল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রার” এ অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে” বিশ^ প্রামাণ্য ঐতিহ্যের’ র” স্বীকৃতি লাভ করায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা, আনন্দ উৎসব ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিশ^। আজ ৪৫ বছর পরেও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের আবেদন বাঙালির কাছে অটুট আছে। লেখক ও ইতিহাসবিদ জেকব এফ ফিল্ড’-এর বিশ্বসেরা ভাষণ নিয়ে লেখা গ্রন্থে এই ভাষণ স্থান পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ববাসীর কাছে বিশেষ করে বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের কাছে আলোর দিশারীতে পরিণত হয়েছে। তিনি এ ভাষণ দিয়েছিলেন ঔপনিবেশিক পাকিস্থানী দুঃশাসন থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য। ১৯৪৮ সালে ভাষার দাবিতে আন্দোলন শুরু করার সময়ই বঙ্গবন্ধু বুঝে গিয়েছিলেন স্বাধীনতা ব্যতীত এই জাতির চূড়ান্ত মুক্তি মিলবে না।
তিনি আরো বলেন, রেসকোর্সের জনসমুদ্রে দেওয়া জাতির পিতার এই কালজয়ী ভাষণে ধ্বনিত হয়েছিল বাংলার গণমানুষের প্রাণের দাবি। এই ভাষণে তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ করেন। আবার সশ¯্র সংগ্রামের দিক-নিদের্শনাও দিয়ে যান।’
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল হান্নান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু, জেলা ডেপুটি কমান্ডার মো. আবু বক্কর সিদ্দীক, সদর উপজেলা কমান্ডার মো. হাসানুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোমেন, মুক্তিযোদ্ধা এড. অরুণ ব্যণার্জী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেজুতি প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য মো. আব্দুর রহিম, সদর উপজেলার আহবায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন, বৈকারী ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলসহ জেলার মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের জনতা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘নির্বাচন হতে হলে সংসদকে ভেঙে দিতে হবে’

নির্বাচন হতে হলে সংসদকে ভেঙে দিতে হবে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী নির্বাচনে দেশের মানুষ সত্যিকার অর্থেই সুন্দর পরিবেশ-পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নির্বাচনে যেতে চায়, মানুষ সমস্ত দলগুলোকে নির্বাচনে দেখতে চায়, নিজেরা নিজের ভোট দিয়ে সরকার পরিবর্তন করতে চায়, সরকার গঠন করতে চায়। আর নির্বাচন হতে হলে অবশ্যই লেভেল প্ল্যায়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে এবং এই সংসদকে ভেঙে দিতে হবে।

আজ দুপুরে রাজধানীতে সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ভাসানী স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুদিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল আরাে বলেন, মানুষ সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন চায়, জনগনের সরকার চায়। সেই পরিবর্তন সম্ভব যদি একটা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়।
ভাসানী স্মৃতি সংসদের সভাপতি জিয়াউল হক মিলু‘র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সাবেক মন্ত্রীজাকারিয়া খান চৌধুরী, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, সাবেক মন্ত্রী নুর মোহাম্মদ খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট নজমুল হক নান্নু, স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুল হুদা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সেক্রেটারিকে ফুলের শুভেচ্ছা

নাজমুল আরেফিন, কুশখালী : সদর উপজেলার কুশখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল জব্বার সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। উল্লেখ্য বুধবারে জেলা স্কাউট মিলনায়তনে সকল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মনোনয়নে তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হওয়ায় তাকে ফুলের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম (শ্যামল), ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যুৎশাহী সদস্য মো. নুরোল আমিন, দাতা সদস্য মো. আহম্মাদ আলী গাজী, অভিভাবক সদস্য মো. জিয়াউর রহমান, মো. আনারুল ইসলাম, সহ-প্রধান শিক্ষক এ.এস.এম আব্দুল করিম, শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র সরকার, হরিপদ দাস, মো. হায়দার আলী, মো. জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest