সর্বশেষ সংবাদ-
ল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়তিতাস বহুমুখী সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাঝিনাইদহের জয়দিয়া বাওড়ের অবৈধ বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনশীতের ছুটিতে ঘুরে আসুন দেবহাটার রূপসী ম্যানগ্রোভপ্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা -অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধনবিইউপিএফের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে শপথ নিলেন জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যানল স্টুডেন্টস ফোরামের নির্বাচন সম্পন্নসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ৯০ দশক ছাত্রদলের দোয়াশ্যামনগরে ঘের ব্যবসায়ীকে কুপি×য়ে হত্যা : আ×টক ৯সাতক্ষীরায় প্লাস্টিক “অদল-বদল” ক্যাম্পেইন

অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে কাঁচা হলুদ ও মধুর মিশ্রণ

কাঁচা হলুদের গুণাবলী সম্পর্কে আমরা অনেকেই পরিচিত। আয়ুর্বেদেও হলুদের উপকারিতার কথা উল্লেখ করা রয়েছে। যে কোনও রকমের ইনফেকশন হলে কাঁচাহলুদের জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের সমস্যা, লিভারের সমস্যা, পেশীর সমস্যা, কেটে যাওয়া বা ছড়ে যাওয়ার জন্যও হলুদ উপকারী।

এছাড়া হলুদের মধ্যে এমন উপাদান থাকে যার ফলে গ্যাসট্রিক, পেপটিক এবং গ্যাসট্রিক আলসার ইত্যাদির জন্যও উপকারী। অ্যালঝাইমারস-এর জন্যও কাঁচা হলুদ উপকারী। চিকিৎসকরা প্রতিদিন কাঁচা হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কাঁচা হলুদ খাওয়ার একটি পদ্ধতিও বর্ণনা করেছেন তারা।

এক টেবিল চামচ কাঁচা হলুদ গুঁড়ো এবং ১০০ গ্রাম মধু নিন। দুটোকে ভাল করে মিশিয়ে নিন। জানা গেছে, ফ্লু, জ্বর, সর্দি-কাশি হলে এই মিশ্রণ এক ঘণ্টা অন্তর অন্তর খান।
দ্বিতীয় দিন দু’ঘণ্টা অন্তর খান।

প্রতিদিন অন্তত দু’বার হলুদ-মধু খেলে উল্লিখিত রোগগুলির থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এই মিশ্রণ অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যৌবন ধরে রাখতে যা খাবেন

যৌবন ধরে রাখতে আমরা কত কিছুই না অনুসরণ করি। অথচ এমন কিছু খাবার আছে যা নিয়ম করে খেলে আপনার যৌবন থাকবে অটুট।

জেনে নিন সেসব খাবারের কিছু তথ্য:

ডিম : ডিম সিদ্ধ হোক কিংবা ভাজি, সব ভাবেই ডিম শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৫ ও বি-৬ আছে যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় একটি করে ডিম রাখুন। এতে আপনার শরীর শক্তি পাবে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

মধু : মধুর রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। সকালে খালি পেটে জিহ্বা দ্বারা মধু চেটে খেলে কফ দূর হয়, পাকস্থলী পরিস্কার হয়, দেহের অতিরিক্ত দূষিত পদার্থ বের হয়, গ্রন্থ খুলে দেয়, পাকস্থলী স্বাভাবিক হয়ে যায়, মস্তিস্ক শক্তি লাভ করে, স্বাভাবিক তাপে শক্তি আসে, যতি শক্তি বৃদ্ধি হয়, মূত্রথলির পাথর দূর করে, প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়, গ্যাস নির্গত হয় ও ক্ষুধা বাড়ায়। প্যারালাইসিসের জন্যও মধু উপকারী। মধু হাজারো রকম ফুল ও দানার নির্যাস। দুনিয়ার সকল গবেষকগণ একত্রিত হয়ে এমন নির্যাস প্রস্তুত করতে চাইলেও কখনো বানাতে পারবে কিনা এ বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

দুধ : শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং যৌবন ধরে রাখতে দুধের ভূমিকা অতুলনীয়। বিশেষ করে ছাগলের দুধ পুরুষের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভুমিকা রাখে। এর রহস্য হলো এই যে, দুধ রতিশক্তি সৃষ্টি করে দেহের শুস্কতা দূর করে এবং দ্রুত হজম হয়ে খাদ্যের স্থলাভিষিক্ত হয়ে যায়, বীর্য সৃষ্টি করে, চেহারায় লাল বর্ণ তৈরী করে, দেহের অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং মস্তিস্ক শক্তিশালী করে।
বাদাম ও বিভিন্ন বীজ : কুমড়ার বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এবং এগুলো শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল তৈরী করে। সেক্স হরমোনগুলো ঠিক মতো কাজ করার জন্য এই কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই প্রতিদিন অল্প করে হলেও বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

চিনি ছাড়া চা : প্রতিদিন দুধ-চিনি ছাড়া চা পান করলে শরীরে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। চা ব্রেইন কে সচল করে, রক্ত চলাচল বাড়ায় ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। প্রতিদিন অন্তত তিন থেকে ৫ কাপ পর্যন্ত চিনি ছাড়া সবুজ চা বা রঙ চা খেলে শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং শরীরের ওজন কিছুটা হলেও কমে যায়।

রঙিন ফল : শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কলা, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের মেডিকেল টিমের গবেষণা অনুযায়ী একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। আবার টেক্সাসের A&M ইউনিভার্সিটির মতে তরমুজ শরীরে শারীরিক উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে। তারা যৌন উদ্দীপক ওষুধ ভায়াগ্রার সাথে তরমুজের তুলনা করেছেন।

রসুন : এতে রোগ নিরাময় হয়। রসুনে অনেক উপকারিতা রয়েছে। রসুন ফোড়া ভালো করে, ঋতুস্রাব চালু করে, প্রস্রাব স্বাভাবিক করে, পাকস্থলী থেকে গ্যাস নির্গত করে, নিস্তেজ লোকদের মধ্যে শারীরিক ক্ষমতা সৃষ্টি করে, বীর্য বৃদ্ধি করে, গরম স্বভাব লোকদের বীর্য গাঢ় করে, পাকস্থলী ও গ্রন্থর ব্যাথার উপকার সাধন এ্যাজমা এবং কাঁপুনি রোগেও উপকার সাধন করে। তবে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অধিক রসুন ব্যবহার ক্ষতিকর। এই রসুনকে আবে হায়াত বলেও আখ্যা দেয়া হয়।

তৈলাক্ত মাছ : তৈলাক্ত মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা সুস্থ শারীরিক জীবনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড DHA O EPA শরীরে ডোপামিন বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কে উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে। তৈলাক্ত ও সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং গ্রোথ হরমোনের নিঃসরন হয়। ফলে শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

পালং শাক ও অন্যান্য সবজি : পালং শাকে আছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। জাপানের গবেষকদের মতে শরীরে রক্ত চলাচল বাড়লে শারীরিক উদ্দীপনাও বাড়ে। পালং শাক ও অন্যান্য বিভিন্ন রকম শাক, ব্রকলি, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপি এগুলোতে রয়েছে ফলেট, ভিটামিন বি সহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো সুস্থ শারীরিক জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শীতে সুস্থ থাকতে করণীয়

হাড় কাঁপানো শীত না এলেও প্রকৃতিজুড়ে বইছে হিমেল হাওয়া। এ সময় ত্বক ও চুলের রুক্ষতা, শুষ্কতাসহ নানারকম অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে। কিন্তু সুস্থ সবল থাকা আমাদের সবারই কাম্য। কেননা কর্মজীবনের স্বাভাবিক কাজ কর্ম চালিয়ে যেতে সুস্থ থাকা অতি জরুরি। তাই শীতে নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। এজন্য কতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হবে।

১. শীতে বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই হাতে গ্লাভস পরে বের হবেন। কারণ শরীরের তাপগুলো হাতের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। তাই হাতের গ্লাভস শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করবে।

২. শীতকালে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করা যায় খুব সহজেই। তাই আপনাদের মধ্যে যারা খুব রোগা আছেন তারা বেশি করে খাবার খান।
তবে যারা মোটা তারা অবশ্যই এই সময় খাবারটা ডায়েট করে খাবেন। কারণ আপনি অতিরিক্ত মোটা হয়ে যেতে পারেন।

৩. এই সময় সকালে বা দুপুরে কাজে বের হওয়ার সময় সান’স ক্রিম মেখে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ শীতকালে সূর্য পৃথিবীর অনেক কাছে চলে আসে। আর তাই এই সময় ৮০ শতাংশ ক্ষতিকারক রে আমাদের স্কিনের ক্ষতি করতে পারে।

৪. আমরা অনেকেই মনে করি যে শীতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাড়ির বাইরে বের হলে আমাদের শরীর হয়ত খারাপ করবে। তবে আপনি জানেন কি? ঠান্ডাতে আমাদের শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার অনেক বেড়ে যায় ফলে শরীর খারাপ হবার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।

৫. শীতকালে আমাদের পানি তেষ্টা খুব কম পায়। তাই গরমকালের তুলনায় শীতকালে পানি খাওয়ার পরিমাণ অনেক কমে যায়। কিন্তু শরীর ঠিক রাখতে গেলে আমাদের প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ২ লিটার পানি খাওয়া আবশ্যক। না খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া কিডনির সমস্যা, হজমের সমস্যা প্রভৃতিও দেখা দেয়। তাই পানি তেষ্টা না পেলেও কিছু সময়ের ব্যবধানে বেশি করে পান খান। এতে দেখবেন শীতকালে শরীরের কোনও সমস্যাই দেখতে পাওয়া যাবে না।

৬. শীতকালে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে আমরা অনেক গরম জামা পরি। কিন্তু প্রয়োজনের থেকে বেশি গরম জামা পরার ফলে আমাদের শরীরের ভেতরে ঘাম হয়ে যায়। যার জন্য ঠান্ডার লাগার সমস্যাও দেখা দেয়। তাই বেশি গরম জামা না পরে ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচতে যেটুকু দরকার সেইটুকু পরাই উচিত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শাকিব-অপুর কি আদৌ বিয়ে হয়েছে?

ঢালিউডের জনপ্রিয় জুটি শাকিব খান-অপু বিশ্বাসের বিয়ে ও ডিভোর্স নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে মিডিয়া পাড়ায় রীতমত তোলপাড় চলছে। দু’জনের দেওয়া তথ্যে গড়মিল থাকায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে তাদের বিয়ের বিষয়টি।

বিয়ের তারিখ, কাবিনের টাকার পরিমাণ, সাংসারিক বিষয় নিয়ে দু’জনের দেয়া তথ্যে মিল না থাকা ও ডিভোর্সের সময় শাকিব খান কাবিননামা দিতে না পারায় তাদের দু’জনের আদৌ বিয়ে হয়েছে কিনা এমন প্রশ্ন এখন অনেকের মুখেই।

অন্যদিকে, শাকিব-অপুর ডিভোর্স ঝড় শেষ না হতেই নতুন করে শুরু হয়েছে তাদের দেনমোহর বিতর্ক।

শাকিব আর তার আইনজীবী বলছেন, কাবিননামায় দেনমোহর হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ৭ লাখ ১ টাকা। আর অপুর দাবি, ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। শাকিবের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অপু নতুন করে জালিয়াতির আশ্রয় নিতে যাচ্ছে। ৭ লাখ ১ টাকাকে সে উল্টে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা বানাতে চাইছে। দেনমোহর যদি ১ কোটি টাকাও হয় এরপর ভাঙা টাকা হিসেবে ৭ লাখ টাকা কেমন করে হবে। নিশ্চয়ই একটি রাউন্ড ফিগার হওয়ার কথা। তার এই জালিয়াতির অপরাধে তাকে আইনগতভাবে শাস্তি পেতে হবে।

অপু বলছেন, যদিও আমার কাছে কাবিননামার কোনো কপি নেই, তারপরও মনে পড়ছে কাবিননামায় ১ কোটি ৭ লাখ টাকাই উল্লেখ ছিল। আমাকে ডিভোর্স দিলে এই অঙ্কের টাকাই দিতে হবে।

শাকিব খান এ কথা শুনে হেসে উঠে বলেন, আমি আর কোনো ঝামেলার মধ্যে নেই। আইনই সব দেখবে।

শাকিব খান বলেন, সংসার জীবন নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। তারপরও যখন বিষয়টি ঘোলাটে হচ্ছে তাই বলব, যার সঙ্গে মতের মিল হয় না, তার সঙ্গে কখনো এক ছাদের নিচে বসবাস করা যায় না।

অনেক কষ্ট সহ্য করে ৯ বছর সংসার করেছি। এখন আমার একটি সন্তান আছে। তার সামনে যদি খুনসুটি লেগেই থাকে তাহলে তার মন-মানসিকতার ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

জয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবেই সেপারেশনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। বিষয়টি পৃথিবীতে আমার ক্ষেত্রে প্রথম নয়। সচেতন মানুষরা সব সময় সন্তানের ভালোর চিন্তা করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়। আমিও তাই নিয়েছি। যখন মনের মিল হচ্ছে না তখন দূরত্ব বজায় রেখে চললেও কারও সমস্যায় আমি তো হাত গুটিয়ে বসে থাকব না। আমি চাই, আমার ছেলে দেখুক তার বাবা ভালো ভালো কাজ করে যাচ্ছে। এ নিয়ে তার মধ্যে গর্ব কাজ করুক। আমার প্রত্যাশা, জয় ডিজনি ওয়ার্ল্ডসহ বিশ্বসেরা স্থানগুলোতে বিচরণ করুক। দুঃখ, কষ্ট আর অভাব তাকে যেন ছুঁতে না পারে সে চেষ্টাই করে যাব। তাকে আমার চেয়েও উন্নত স্থানে দেখতে চাই। শাকিবের কাছে প্রশ্ন ছিল আপনার নতুন জীবন কেমন হবে?

আত্মপ্রত্যয়ী এই শীর্ষনায়ক বলেন, জীবন তো মানুষের একটাই। সবাইকে একদিন পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়। মানুষ বেঁচে থাকে কাজের মাধ্যমে। আমি আরও উন্নত কাজ করে যেতে চাই। বলিউডের ছবিতেও কাজ করার কথা ছিল। ব্যস্ততা আর নানা ঝামেলায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এখন তো আমি বাংলাদেশ আর কলকাতা দুই দেশের ছবিতেই কাজ করছি।

এবার বলিউডের ছবিতেও অভিনয় করব। নিজেকে প্রয়োজেনে হলিউড পর্যন্ত ছড়িয়ে দেব। এটি ব্যক্তি শাকিবের জন্য নয়, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের জন্যই আমার এই চিন্তা-চেতনা। বিশ্ব আবারও দেখুক এবং জানুক বাঙালি জাতি সাহসী এবং বীরের জাতি। তারা সব সময় শ্রেষ্ঠত্ব এবং বিজয় অর্জন করতে জানে। আমাদের দেশ ক্রিকেট দিয়ে যদি বিশ্বে আলাদা এবং গর্বের পরিচিতি অর্জন করতে পারে, তাহলে চলচ্চিত্র দিয়ে কেন পারবে না।

চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে আমাদের সেই সোনালি অতীত তো রয়েছেই। সেই ঐতিহ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে জীবনবাজি রেখে লড়ে যাব। এখন ব্যক্তিজীবন বলে আর কিছু নেই। চলচ্চিত্র জীবনই সব। চলচ্চিত্র আর সন্তান জয়ের সমৃদ্ধির জন্যই শুধু ভূমিকা রেখে যাব। অন্য কিছু নয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৪০০ পাউন্ড ওজন কমিয়েছেন এই দম্পতি

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের তেরে হাউত এলাকার বাসিন্দা লেক্সি রিড ও ড্যানি রিড দম্পতি।

সম্প্রতি এ দম্পতি নিজেদের প্রচেষ্টায় প্রায় ৪০০ পাউন্ড ওজন কমিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন।

জানতে চাওয়া হলে এবিসি নিউজকে লেক্সি রিড (২৭) বলেন, ‘দম্পতি হিসেবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আমরা অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। যেদিন শরীরচর্চা করতে আমাদের খারাপ লাগে সেদিন একে অন্যকে জিমে যেতে উৎসাহ দিই। ‘

এছাড়া আমরা একসঙ্গে খাবার তৈরি করতাম। ধীরে ধীরে আমরা আমাদের খাবারের লাগাম টেনে দিই। আর দিন দিন আমাদের ওজন হ্রাস পেতে থাকে।

এ দম্পতি যখন শরীরের ওজন কমানোর মিশন শুরু করেন। তখন লেক্সি রিডের ওজন ছিল ৪৮৫ পাউন্ড। আর ড্যানি রিডের ২৮০ পাউন্ড। কিন্ত বর্তমানে লেক্সির ওজন ১৮২ পাউন্ড।
আর ড্যানির ওজন ১৯১ পাউন্ড।

লেক্সি বলেন, ‘অবিশ্বাস্য, আমি কখনোই এরকম ফলাফল পাব আশা করিনি। আমি শুধু সুস্থ থাকতে চেয়েছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘মিথ্যা’ স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ ফরহাদ মজহারের

চাপ দিয়ে ও মারধর করে তার কাছ থেকে ‘মিথ্যা’ স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কবি-প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার। ‘নিখোঁজ’ থেকে ফেরত আসার দীর্ঘদিন পর শনিবার প্রথম গণমাধ্যমের সামনে এসে এ অভিযোগ করেন তিনি। ফরহাদ মজহারের শ্যামলীর বাসায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারও উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ফরহাদ মজহার বলেন, ‘সেদিন তাকে উদ্ধার করার ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অসামান্য ভূমিকা রেখেছে। পরে ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা তাদের সাফল্যকে ম্লান করে দিচ্ছে। ‘

‘গুম’ করার উদ্দেশ্যেই তাকে ধরে নেয়া হয়েছিল বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘সেখান থেকে উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জোরাল ভূমিকা রেখেছে, তবে পরে চাপ দিয়ে ও মারধর করে আমার কাছ থেকে ‘মিথ্যা’ স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি নাটক করিনি, আমাকে যা বলা হয়েছে, তাই করেছি। আদালতে দেয়া জবানবন্দি আমার না। আমাকে যা লিখে দেয়া হয়েছে, আমি তাই আদালতে দিয়েছি।’

মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করায় গত বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ফরহাদ মজহার দম্পদির বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন মামলার অনুমতি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। আদালতের অনুমতি অনুযায়ী রাজধানীর আদাবর থানায় মামলাটি দায়ের করবেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এ মামলা হওয়ার আগেই হঠাৎ সংবাদ সম্মেলন ডাকেন ফরহাদ মজহার। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু আমার একার জন্য বসিনি। দেশে যারা গুম হয়েছে, তাদের জন্যও আপনাদের সঙ্গে বসেছি।’

বিচারাধীন বিষয়ে প্রশ্ন না করার অনুরোধ জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাকে প্রশ্ন করবেন না। আমি চাই, বিচার স্বাধীন গতিতে চলুক। আমাকে গুম করা হয়েছিল। আমি একজন ভিকটিম। অথচ আমাকে মামলার আসামি করা হয়েছে।’

নিজের সেদিনের অবস্থা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত অবস্থায় আমাকে আদাবর থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রতিশ্রুতি দিয়েও আমাকে আমার পরিবারের কাছে যেতে দেয়া হয়নি। অনেকক্ষণ থানায় বসিয়ে রেখে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। ডিবি অফিসে বিধ্বস্ত অবস্থায় আমাকে জেরা ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার জন্য একটি লিখিত কপি দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রচণ্ড বিভ্রান্ত অবস্থায় আদলতকে বলতে পারি যে, আমার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। আমার ভীতি ও ট্রমা এখনও কাটেনি। ডিবি অফিস আমাকে দিয়ে যা লিখে নিয়েছে, আমি তাই আপনাকে দিচ্ছি। এরপর তার (আদালত) অনুমতি নিয়ে তার (বিচারক) কক্ষের একটি সোফায় আমি এলিয়ে পড়ি।’

আপনি মামলা থেকে বাঁচতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এ তিনি বলেন, ‘আমার নিজের জন্য নয়। দেশে যারা গুম হয়েছে, তাদের জন্য। আমি ফিরে এসেছি। তারা এখনও ফেরেনি।’

উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই ভোরে শ্যামলীর রিং রোডের ১নং হক গার্ডেনের বাসা থেকে বের হওয়ার পর ‘নিখোঁজ’ হন ফরহাদ মজহার। পরে স্ত্রীকে নিজের মোবাইল ফোনে জানান, কে বা কারা তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে মেরেও ফেলা হতে পারে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয়বার কল করে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে মোবাইল ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় এবং ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের অভয়নগরে হানিফ পরিবহনের বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

ফরহাদ মজহারের নিখোঁজের ঘটনায় ওই দিন রাতেই স্ত্রী ফরিদা আক্তার বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ০৪। এর আগে তিনি জিডি করেছিলেন। জিডি নং- ১০১।

https://www.facebook.com/farhadmazhar/videos/vb.718000741/10156008194525742/?type=2&video_source=user_video_tab

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ক্রিকেটারদের ওপরই সব দায় চাপালেন হাথুরু

তিনি এসেছেন আজ সকালে। যে কাজে এসেছেন, তা মোটামুটি শেষ। এরই মধ্যে দু’বার কাছাকাছি এলেও সকাল এবং দুপুরে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সাথে সাক্ষাত হয়নি তার। সেটাও অবশেষে হয়ে গেছে ঘণ্টা কয়েক আগে। তবে কি কাল রোববারই দেশে ফিরে যাবেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে?

তা বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কেউ। গায়ে সাবেক কোচের তকমা লেগে গেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সাথে তার সব রকম সম্পর্ক চুকে-বুকে গেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে অধ্যায় এখন অতীত। তার এবারের আসাটা মূলতঃ নিজের গরজে। বিসিবির ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ নেয়া আর দেনা-পাওনা চুকিয়ে ফেলা। তারপরও তার আসা-থাকার সমুদয় খরচ বিসিবিই বহন করছে। তাই হাথুরু কবে যাবেন নাকি যাবেন না- এ খবরটা বিসিবির কর্তাদেরই জানার কথা।

কিন্তু হাথুরুসিংহে ঠিক কবে যাবেন? বিসিবির কর্তাদের কেউ তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তার ফেরা নিয়ে দু’রকম কথা শোনা যাচ্ছে- এক পক্ষ বলছে তিনি রোববার ফিরে যাবেন। আবার অন্য পক্ষ জানাচ্ছে সোমবারও যেতে পারেন হাথুরু।

তবে যেদিনই যান না কেন, বিদায় বেলায়ও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ওপর সব দায় দায়িত্ব চাপিয়ে যাচ্ছেন হাথুরুসিংহে। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন এবং পরিচালক জালাল ইউনুস-আকরাম খান এবং প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন চৌধুরী সুজনের সাথে বৈঠকে সন্ধ্যার পর হোটেল র্যাডিসন ব্লুতে বসে অনেক কথাই বলেছেন হাথুরুসিংহে। সেখানে অনেক কথার ভীড়ে তার পদত্যাগের প্রকৃত কারণও উঠে এসেছে।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন  র্যাডিসন হোটেলে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে সে বিষয়গুলোও তুলে ধরেছেন। সাবেক কোচ হাথুরুসিংহের সাথে তার নিজের এবং বোর্ডের কয়েকজন, শীর্ষ কর্তার কথা-বার্তা মিডিয়ার সামনে তুলে ধরে পাপন যা বলেন, তার সারমর্ম হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বিশেষ কওে, সিনিয়র ক্রিকেটারদের আচরণে যারপরনাই অসন্তুষ্ট হাথুরুসিংহে। তাদের আচরণ এবং মানসিকতা তার ভাল লাগেনি। যা নিয়ে তিনি রীতিমত অসন্তুষ্ট।

বিশেষ করে সাকিব আল হাসানের মত অতি নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে না গিয়ে বিশ্রামে কাটাবে- এটা নাকি হাথুরু মোটেই মেনে নিতে পারেননি। তার কাছে সাকিবের আচরণ ও বিশ্রাম নেবার সিদ্ধান্তটাকে দেশের চেয়ে ব্যক্তি স্বার্থ বড় করে দেখার মতই মনে হয়েছে।

হাথুরুর পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে মিডিয়াকে বিসিবি প্রধান বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা সফরটা নিয়ে প্রথম থেকেই হাথুরুর একটা অসন্তুষ্টি ছিল। এখানে খেলোয়াড়দের মানসিকতা নিয়েও তার একটা সমস্যা ছিল। এটা যে ছিল না, তা তো না। উদাহরণ হিসেবে, এই যে সাকিব টেস্ট খেলতে যাবে না এটাও সে মেনে নিতে পারেনি। সে একটু ভিন্ন ধরনের। আমাদের মতো সবাই তো একরকম হয় না। তার কথা, কেন খেলবে না। এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার দেশের জন্য কেন খেলবে না? এতবড় একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়। তারপর আরও বদলি। স্বাভাবিকভাবে আমাদের সাথে যে কথাগুলো বলতে পারতো, সে কথাগুলো হয়নি এখানে। একটা কমিউনিকেশন গ্যাপ ছিল। প্লাস ওখানে আরও কিছু ঘটনা ঘটেছিল। সবকিছু মিলে একটা সময় তার মনে হয়েছে যে, এ ধরনের দলকে আমার করার কিছু নাই, আমার আর দেয়ার কিছু নেই। যা দেয়ার ছিল, আমি দিয়েছি। এখন আর এই দলকে আমার দেয়ার কিছু নাই। তাই আমার এখান থেকে চলে যাওয়াই ভালো। সে ভেবেছে যে, এখন আমার এখানে থাকার দরকার নেই। কারণ সে মনে করেছে, যেভাবে চলছে এভাবে চললে সে আর বাংলাদেশকে সামনে নিয়ে যেতে পারবে না।’

এদিকে হাথুরু সকালে আসলেও একই হোটেলে তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক ও কোচিং স্টাফদের সাথে আলোচনা করতে র্যাডিসনে গিয়েও দুপুরে দেখা করেননি বিসিবি প্রধান। সন্ধ্যার ঘণ্টা খানেক পর তিনি র্যাডিসনে গিয়ে হাথুরুরর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তার ভাষায়, সে সময় অনেক্ষণ কথা হয়েছে। তখনই নাকি হাথুরু তার কাছে ওপরের কথা গুলো বলেছেন।

এগুলো জানিয়ে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের সাথে এবার এটাই প্রথম দেখা। বেসিক্যালি আজকে অনেকক্ষণ ধরেই কথাবার্তা হয়েছে। তখন আমাদের সিইও ছিল। সুজন (খালেদ মাহমুদ), জালাল ভাই, (আইএইচ) মল্লিক ছিল। ওরা সবাই মিলে যে আনুষ্ঠানিক বিষয়গুলো ছিল, সেগুলো নিয়ে আলাপ আলোচনা করেছে। যা যা কাগজপত্র ছিল ওগুলো ওরা সবকিছু শেষ করেছে। ঠিক করেছে অন্তত, কোনটা কখন করবে।’

হাথুরুর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয় সম্পর্কে পাপন বলেন, ‘আমার ব্যাপারটা ছিল একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎ। যেহেতু বাংলাদেশে এসেছে, সেও চাচ্ছিল আমার সাথে দেখা করতে। প্রথমে একবার ভেবেছিলাম হয়তো দেখা হবে না। তারপর ভাবলাম, ঠিক আছে এতদিন ছিল আমাদের সাথে একবার দেখা করাই উচিত। সে কারণেই একটা সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য এসেছিলাম।’

পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে হাথুরুর ব্যাখ্যা তার অনেকটাই জানা ছিল- মন কথা জানিয়ে পাপন আরও বলেন, ‘এগুলো যে জানতাম না এরকম বলা ভুল হবে। এগুলো সবই জানা, জানি না যে তা নয়। সে কয়েকটা কথা বলেছে। আমাদের বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য সে যেটা মনে করে, আমাদের এখন কী কী করণীয়। একটা লেভেলে তো আমরা উঠে এসেছি। এরপর যদি আমরা সামনে যেতে চাই, তাহলে কী কী করা উচিত বা কী কী প্রতিবন্ধকতা আছে এগুলো দূর করা বা আমাদের দেখা উচিত। যেমন ধরুন, কোনো প্লেয়ার নিয়ে যদি কথা উঠে, সে বলেছে এ প্লেয়ার তো ১০ বছর ধরে তোমাদের সাপোর্ট দিয়ে এসেছে, তোমরাও দিয়ে এসেছ। একটা প্লেয়ারের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন নিলে তো তার কোনো সুরাহা হচ্ছে না। ওর কাছ থেকে সেরাটা নিতে হবে। আমি একটা উদাহরণ হিসেবে বলছি। তাই ও যে জিনিসটা বলেছে যে, কোথায় কি ধরনের মানসিকতা, মাইন্ডসেটের ঘাটতিগুলো আছে, এগুলোকে যদি আমরা উতরাতে পারি, সে বিশ্বাস করে যে বাংলাদেশ আরও উপরে যাবে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের পুরো খেলা, পারফরম্যান্স, মাইন্ডসেট নিয়ে সে অত্যন্ত হতাশ। সে কখনো চিন্তাই করতে পারে না বাংলাদেশ এ ধরনের একটা খেলা খেলতে পারে। তার ভাবনাতেই ছিল না।’

এর বাইরে হাথুরসিংহের উপলব্ধির কথা জানতে চাওয়া হলে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘হাথুরু তার ফাইন্ডিংসগুলোও দিয়েছে। অনেকগুলো ফাইন্ডিংস আছে। আমরা এগুলো দেখবো। আমাদেরকে বলে দিয়েছে। মুখে অনেক কিছু বলেছে। রিপোর্টও দিচ্ছে। দিয়েছে, আরও দিচ্ছে। এটা তো শেষ না। আমাদের এখানে আরও কয়েকদিন লাগবে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি তো ২০ তারিখে জয়েন করছো শ্রীলঙ্কায়। সে বললো না, এটা বোধহয় কমিউনিকেশনের গ্যাপ। আমার জানা নেই। ২০ তারিখ জয়েন করছি না। এ মাসটা আছি। এটাই ও বলেছে। এর মাঝে আমি, আমার যা যা জানা তোমাদের দিব। তোমরা এটা দেখ, দেখে এমন কিছু করো না যে এটা ক্রিকেটার বা ক্রিকেটের ক্ষতি হয়। হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নিও না। এগুলো তোমাদের জানার জন্য বলছি। এগুলো সব দেশেই হয়তো থাকে। এমন কিছু না যে, খুব সিরিয়াস কিছু; কিন্তু এটা যদি দূর করা যায়, তাহলে আমাদের জন্য অনেক ভালো হবে। এটাই সে বলতে চাচ্ছে।’

বিসিবি সভাপতির শেষ কথাগুলোতে আছে বড় ইঙ্গিত। তার মানে ক্রিকেটারদের কারো কারো সম্পর্কে নিশ্চয়ই বড় ধরননের অভিযোগ ও নেতিবাচক রিপোর্ট দিয়ে যাবেন হাথুরু। সেটা যে মুশফিক ও সাকিবের বিপক্ষে- তা কি আর নতুন করে বলার অবকাশ আছে?

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে রাতারাতি গড়ে উঠছে ভুঁইফোড় অবৈধ ক্লিনিক

শ্যামনগর থেকে : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে একের পর এক গড়ে উঠছে ভুঁইফোড় ক্লিনিক। যেখানে নেই কোন এম বি বি এস ডাক্তার। গ্রাম্য ডাক্তারদের জোটগতভাবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠছে ক্লিনিকগুলো। এ যেনো চিকিৎসার নামে মানুষ ঠকানোর হলি খেলা। সুচিকিৎসার নামে অসুস্থ মানুষদের জবাই করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। অথচ প্রসাশানিক ভাবে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেই। এসকল ক্লিনিক ব্যবসায়ী নামধারী প্রতারকদের অবৈধ ক্লিনিকের প্রাথমিক লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে উঠেছে নানা গুঞ্জন। একটি ক্লিনিক বৈধভাবে চলতে গেলে তার প্রথম শর্ত হলো স্বাথ্যসম্মত একটি বিল্ডিং ও উন্নত মানের যন্ত্রপাতি থাকা সহ সার্বক্ষণিক একজন এম বি বি এস ডাক্তার ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দুই জন নার্স থাকতে হবে। অথচ রাতারাতি গড়ে ওঠা ওই সকল ক্লিনিক গুলোর উপরের কোন টাই নেই।
তথ্যানুসন্ধানে দেখা গেছে, শ্যামনগর উপজেলার প্রাণকেন্দ্রের বাবলা তলা মোড় সংলগ্ন এলাকায় হঠাৎ করে ক্লিনিকের অনুপযোগী একটি বিল্ডিং ভাড়া নিয়ে কালিগঞ্জের নাইম ক্লিনিকের পরিত্যক্ত কিছু যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র ক্রয় করে শ্যামনগরের মামুন মাস্টার, গ্রাম্য ডাক্তার আব্দুল আজিজসহ কতিপয় ব্যক্তি ন্যাশনাল হাসপাতাল ডায়াগ্রোনিক সেন্টার নামের একটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে অবৈধ ক্লিনিক ব্যবসা চালাতে তারা সকল প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন। দুই এক দিনের মধ্যেই ওই কসায় খানায় কাটাকটি শুরু হবে। সুন্দরবন উপকুলীয় এলাকার সাধারণ মানুষের একমাত্র ভরসা শ্যামনগর হাসপাতালের ডাক্তার সংকটের কারনে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। সরকারি হাসপাতালের সার্জনরা তাদের দায়িত্বে অবহেলা করে এসমস্ত ভুঁইফোড় ক্লিনিকে মানুষ ঠকানোর কাজে রীতিমত ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। দীর্ঘ দিন হাসপতালে প্রয়োজনীয় ডাক্তার না থাকার কারণে সাধারণ রোগীরা স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেনা। দুই একজন ডাক্তার থাকলেও তারাও ক্লিনিক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছে। আর এ কারনেও গড়ে ওঠছে একের পর এক অবৈধ ক্লিনিক। বেপরোয়া হয়ে পড়েছে স্বাথ্য সেবা দেয়ার নামে এক শ্রেণির ক্লিনিক প্রতারকরা। শ্যামনগরের সচেতন মহল অবৈধ ক্লিনিক ব্যবসায়ীদের লাগাম টানতে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ও জেলা প্রসাশনসহ শ্যামনগর উপজেলা প্রসাশনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest