সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু।সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহতসাতক্ষীরার রাজ্জাক পার্কে সাশ্রয়ী মূল্যে মাসব্যাপী বসুন্ধরা পন্য বিক্রি শুরুসাতক্ষীরায় প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার ৫ দিন পার না হতেই একই এলাকায় আবারো ডাকাতিএস এস সি পরীক্ষায় সাতক্ষীরা জেলায় প্রথম আহনাফ তাহসিনকারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদা প্রদান ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে বিএসসি সমমান মর্যাদা ঘোষনার উদ্যোগে বিদ্বেষী কার্যক্রমের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনদেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপনসাতক্ষীরায় ১২০ লিটার ভেজাল দুধ জব্দ: দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-সাতক্ষীরায় ৪ টি অস্ত্র, ২৯ রাউন্ড গুলি ও তিনটি ম্যাগাজিন জব্দসাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান শামস্ : কোহিনুর

ব্যাট হাতেই উপেক্ষার জবাব দিলেন মাহমুদউল্লাহ

স্পোর্টস ডেস্ক : ওয়ানডেতে দেশের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন তিনি। ডুবতে বসা বাংলাদেশের ইনিংসকে অনেকবারই সামলেছেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দারুণ খেললেও টেস্টে কিছুটা ম্রিয়মান ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফেব্রুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করে ক্যারিয়ারটাকে শ্রীলঙ্কা সফর পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে গল টেস্টে ভালো করতে না পারায় বাদ পড়ে যান টেস্ট দল থেকে।
ওয়ানডেতে দারুণ খেললেও সেগুলো বিবেচনায় নেননি নির্বাচকরা। ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজেও তাঁকে নেওয়া হয়নি, বিবেচনায় ছিলেন না দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলেও। সাকিব আল হাসান শেষ মুহূর্তে ছুটি চেয়ে বসায় অভিজ্ঞতার কথা ভেবে অনেকটা বাধ্য হয়েই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে আফ্রিকাগামী বিমানে চড়িয়ে দেন কোচ-নির্বাচকরা। আর সুযোগটা পেয়ে কী দারুণভাবেই না কাজে লাগালেন এই ব্যাটসম্যান। হাফ সেঞ্চুরি করে নির্বাচকদের চোখে আঙুল দিয়ে নিজের অপরিহার্যতার কথা বুঝিয়ে দিলেন তিনি।
পচেফস্ট্রুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৬৬ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ভাগ্য সহায় না হওয়ায় ইনিংসটাকে বেশি বড় করতে পারেননি। মরনে মরকেলের বলটা ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্পে আঘাত করলে হতাশ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাঁকে। এর আগে হাফ সেঞ্চুরি করে প্রায় মরতে বসা ক্যারিয়ারটাকে আরেকবার অক্সিজেন দেওয়ার কাজটি সেরে ফেলেছেন তিনি।
১২৪ বলে ৬৬ রানের ইনিংসটাতে দারুণ আতামবিশ্বাসী মনে হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে। সবচেয়ে বড় কথা, ব্যাট হাতে সাকিবের অভাবটা খুব একটা বুঝতে দেননি তিনি। ইনিংসটাকে সেঞ্চুরি পর্যন্ত টানতে পারলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ৪৯৬ রানটাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারতেন। সেটি না হলেও নিজেকে তো আরেকবার প্রমাণ করতে পারলেন মাহমুদউল্লাহ, এটিই বা কম কিসের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৩য় দিন শেষেও ব্যাকফুটে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক : পচেফস্ট্রুম টেস্টের তৃতীয় দিনেও অস্বস্তিতে রয়েছে বাংলাদেশ। আলোকস্বল্পতায় আগেভাগেই শেষ হয়েছে শনিবারের খেলা। ততক্ষণে অবশ্য টাইগারদের খাদের কিনারে ঠেলে দিয়েছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮ উইকেট হাতে রেখে টাইগারদের চেয়ে ২৩০ রানে এগিয়ে রয়েছে প্রোটিয়ারা। লক্ষ্যটা যে আরো অনেক বাড়বে সেটা বলাই বাহুল্য। ১৭৬ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫৪ রানে দুই উইকেট হারালেও ডু প্লেসিসদের চোখে এখন বড় লিডের স্বপ্ন। কারণ উইকেটে রয়েছেন টিম্বা বাভুমা-হাশিম আমলার মতো ব্যাটসম্যান। এরপর ব্যাটিং করবেন ডু প্লেসিস-কুইন্টন ডি ককদের মতো ব্যাটসম্যানরা। তাই চোখ বন্ধ করেই বলা যায়, এই টেস্টে ব্শে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য। আমলা ১৭ ও বিভুমা ৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা বেশ ভালো করেছে বাংলাদেশ। শুরুতেই প্রথম ইনিংসে ১৯৯ রান করা ডিন এলগারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন শফিউল ইসলাম। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান এলগারকে। রিভিউ নিলেও বাঁচতে পারেননি প্রোটিয়া ওপেনার। দক্ষিণ আফ্রিকার রান তখন ৩০। এরপর দলীয় ৩৮ রানে মার্করামকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজ। দিনের বাকি সময়টুকু নির্বিঘ্নেই পার করেছেন আমলা ও বিভুমা।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৯৬ রানের জবাবে ৩২০ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। টাইগারদের চেয়ে ১৭৬ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমেছে প্রোটিয়ারা। তামিম-মুশফিকদের সামনে রানের পাহাড় দাঁড় করাতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখবে না এলগার-মার্করামরা। প্রথম ইনিংসের চেয়ে ভালো ব্যাটিং-বোলিং করতে না পারলে এই টেস্টে বাংলাদেশের হারটা মোটামুটি অবশ্যম্ভাবীই বলা যায়।

প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৯৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। এর জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি, ৩৬ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১২৭ রান। তারা উইকেট হারায় তিনটি।

তৃতীয় দিনের শুরুতে ভালোই খেলছিলেন তামিম ও মুমিনুল। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫৫ রান যোগ করেন তাঁরা। ৪৬তম ওভারে অভিষিক্ত ফেলুকায়োর বলটা তামিমের ব্যাটে লেগে জমা হয় কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে। ৩৯ রান করেন দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান। এরপর আবার প্রতিরোধ গড়েন মুমিনুল হক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৬৯ রান যোগ করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত লড়াইটা চালিয়ে যেতে পারেননি মুমিনুল। কেশব মহারাজের বলে আউট হন তিনি।

এই ম্যাচে দারুণ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহও। সাব্বির রহমানকে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। কিন্তু জুটিটা ভাঙেন অলিভেয়র। দলীয় ২৯২ রানে উইকেটের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া একটি বল টেনে আনতে গিয়ে বোল্ড হন সাব্বির। তখন তাঁর ঝুলিতে ছিল ৩০ রান। অল্প কিছুক্ষণ পর মাহমুদউল্লাহ ফিরে যান মরকেলের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে। তার আগে ৬৬ রানের একটি ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়ার তিন রানের ব্যবধানে দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৩২০ রানের বেশি করতে পারেননি সফরকারীরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘১২ সেনা একের পর এক ধর্ষণ করে’

‘আমি আর আমার চার ননদ রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। তখন মিয়ানমারের সেনারা আমাদের বাড়িতে হামলা করে। তারা আমাদের ঘরে ঢুকে জোর করে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যায়। ওই সময় আমার সঙ্গে থাকা ছোট সন্তানকে ফুটবলের মতো লাথি মেরে ফেলে দেয় সেনারা।’

‘পরে আমাদের সবাইকে তারা নগ্ন করে। এক সেনা গলায় ছুরি ধরে আমাকে ধর্ষণ করতে শুরু করে। কয়েক ঘণ্টা ধরে আমাদের সবাইকে ১২ জন সেনা একের পর এক ধর্ষণ করে।’

কথাগুলো বলছিলেন দুই সপ্তাহ আগে ধর্ষণের শিকার আয়েশা বেগম। সপ্তাহখানেক আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুথিডংয়ের তামি গ্রাম থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে বালুখালী শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। সেখানে মিয়ানমারের সেনাদের বর্বরতার কথা আলজাজিরাকে জানান আয়েশা।

২০ বছর বয়সী আয়েশা বেগম বলেন, ‘আমি বারবার ভাবছিলাম, তারা আমাকে মেরে ফেলবে। ওদিকে আমি ভয়ে ছিলাম, সেনাদের লাথি খাওয়ার পর আমার সন্তান বোধহয় মারা গেছে। এই ঘটনার পর আট দিন ধরে হেঁটে আমরা বাংলাদেশে আসি। বাংলাদেশে আসার পথে ধর্ষণের শিকার আমার দুই ননদ মারা যায়।’

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর রাষ্ট্রীয় সহিংসতা শুরু হলে খুন, অগ্নিসংযোগ, উচ্ছেদসহ নির্বিচারে রোহিঙ্গা নারীরা ধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণের পর অনেককেই হত্যা করে সেনা ও স্থানীয়রা। আবার অনেকেই শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশের কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার মতে, ২৫ আগস্ট সহিংসতা শুরু পর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ এক হাজার ৮০০ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। বাসস্থান, খাবার, শৌচাগার ও চিকিৎসার সংকটে সেখানে ভয়াবহ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। আশ্রয় নেওয়া ওই কিশোরী ও নারীদের অনেকেই যৌন নির্যাতনের শিকার। ফলে মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত তারা।

শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া ধর্ষণের শিকার নারী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনেক কিশোরী ও নারীদের মিয়ানমারের সেনারা ধর্ষণ করেছে এবং ধর্ষণের পর ঘরের ভেতর তাদের আটকে রেখে আগুন লাগিয়ে দেয় সেনারা। শুধু ধর্ষণ নয়, উলঙ্গ করা ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গে পাশবিক নির্যাতন করেছে সেনারা। এখন তাদের দাবি, মিয়ানমারের সেনারা তাদের ওপর যে যৌন নির্যাতন করেছে, সেটার বিচার।

মিয়ানমারে যুদ্ধাপরাধ ও সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে তদন্ত করছেন মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক পিটার বোকেট।

মিয়ানমারের সেনারা যুদ্ধাপরাধ করছে উল্লেখ করে পিটার বোকেট বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের এমন তথ্য-প্রমাণ আমার কাছে আছে যা মর্মান্তিক ও লোমহর্ষক। বিশেষ করে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের ওপর যে নির্যাতন হয়েছে, আমার ২০ বছরের অভিজ্ঞতায় এ রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি খুব একটা হইনি।’

‘রোহিঙ্গা নারীরা ব্যাপক ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধষণের পর অধিকাংশ নারীকেই যে হত্যা করা হয়েছে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’

রোহিঙ্গা ধর্ষিত নারীদের চিকিৎসা দিচ্ছে মেডিসিনস স্যানস ফ্রান্ট্রিয়ারস (এমএসএফ)। রোহিঙ্গা নারীরা নিশ্চিতভাবে ব্যাপক ধর্ষণের শিকার হয়েছে উল্লেখ করে এমএসএফের সমন্বয়ক কেইট হুয়াইট বলেন, ‘সহিংসতা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আমরা কমপক্ষে ২৩ জন ধর্ষিতাকে চিকিৎসা দিয়েছি। এদের মানসিক অবস্থা খুবই কাহিল।’

‘ধর্ষিতার লাশ দাফন না করেই পালাই’

তামি গ্রামের আরেক নারী মোহসিনা বেগম বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনারা ঘরে ঢুকে আমাদের ১৯ বছর বয়সী বোনকে তুলে নিয়ে যায়। সে দেখতে খুব সুন্দর ছিল। গ্রামের চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় তাকে ফিরিয়ে আনি। কিন্তু ফিরিয়ে আনার আগ পর্যন্ত তাকে সেনারা আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে। পরে যখন আমরা পালিয়ে আসতে থাকি তখন রাস্তায় সে মারা যায়। তার লাশ দাফন না করেই আমরা পালিয়ে আসি।’

‘ধর্ষণের পর পেটায়, তারপর আগুন দেয়’

৩০ আগস্ট সহিংসতার শিকার হয় তুলা তোলি গ্রামের রাজুমা বেগম (২০)। তিনি বলেন, ‘সেনারা আমার ছেলেকে কেড়ে নেয়। তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় মাটিতে। পরে তার গলা কেটে ফেলে সেনারা।’

‘এরপর আমাকেসহ আরো চার নারীকে একটি ঘরের নিয়ে যায় সেনারা। সেখানে তিনজন নারী, একজন কিশোরী এবং ৫০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা ছিল। ওই বৃদ্ধাকে ছাড়া সবাইকে ধর্ষণ করে সেনারা। দুই থেকে তিন ঘণ্টা ধরে দুই সেনা আমাকে ধর্ষণ করে।’

‘ধর্ষণের পর লাঠি দিয়ে তারা আমাদের পেটাতে থাকে। তারা ভাবে আমরা মারা গেছি। এর পরও মৃত্যু নিশ্চিত করতে ঘরের ভেতর আমাদের আটকে রেখে আগুন ধরিয়ে দেয়।’

‌‘মনে হচ্ছিল, আমি মারা যাচ্ছি’

রাখাইনের বুথেডংয়ের চপ্রাং গ্রাম থেকে আসা ৪৫ বছর বয়সী ইয়াসমিন (ছদ্মনাম)। ১৯ দিন আগে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন স্বামীসহ ১১ সন্তান নিয়ে। প্রথমে তিনি ধর্ষিত হওয়ার বর্ণনা না দিতে চাইলেও স্বামীর অনুমতি নিয়ে জানান সেই ভয়ংকর মুহূর্তগুলোর কথা।

ইয়াসমিন বলেন, ‘গ্রামে ঢুকে সেনারা বলে তোমাদের কাছে অস্ত্র থাকলে আত্মসমর্পণ কর। যখন গ্রামবাসী বলে অস্ত্র নেই, সেনারা সবাইকে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন করতে শুরু করে।’

‘আট সেনা আমার ঘরে ঢুকে এবং চার, ছয় ও আট বছর বয়সী সন্তানদের লাথি ও ছুরি মারতে থাকে। সন্তানদের বাইরে ফেলার পর বিভিন্ন বয়সী পাঁচজন সেনা আমাকে ধর্ষণ করতে থাকে। আর তিন সেনা বাইরে প্রহরা দেয়। ওই ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা আমি মুখে বলতে পারব না। তখন মনে হচ্ছিল, আমি মারা যাচ্ছি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জ আ ’লীগ নেতা সাঈদ মেহেদির পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন

কালিগঞ্জ ব্যুরো : কালিগঞ্জ উপজেলা আ ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী সনাতন ধর্মলম্বীদের দুর্গাপূজার নবমীতে কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার শারদীয় দুর্গাপূজার বিভিন্ন মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেনে। শুক্রবার বিকেল থেকে রাতভর তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর, ইছাকুড় হাট খোলা সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ, নকিপুর সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ, পশ্চিম আটুলিয়া সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ, দক্ষিণ পশ্চিম আটুলিয়া সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ, নওয়াবেঁকী বড় কুপট সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ, দক্ষিণ বড় কুপট সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ, আড়পাংগাশিয়া সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ, আড়পাংগাশিয়া পি.এন.হাইস্কুল সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ, আড়পাংগাশিয়া মিস্ত্রী ভবন সার্বজনীন পূজা মণ্ডপসহ শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। পূজা মণ্ডপ পরিদর্শকালে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীরা তার সফর সঙ্গী হিসেবে সাথে ছিলেন। শনিবার বিকালে কালিগঞ্জ উপজেলার ১১১টি দেবদেবী মূর্তি দ্বারা আকর্ষণীয় মৌতলার পরমানন্দকাটী সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপ, গোবিন্দকাটী সার্বজনীন দুর্গা পূজা ম-পসহ বেশ কয়েটি পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগে সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান দলীয় নেতাকর্মীদের বহর নিয়ে উপজেলার ১২ ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ঘুরে ঘুরে পুরিদর্শন করেন ও মন্দির কমিটির লোকজনদের সাথে কুশাল বিনিময় করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শিল্পী ঐক্যজোটের নলতা শাখা উদ্বোধন

নলতা প্রতিনিধি : মানবতার কল্যানে দেশজুড়ে কাজ করে চলেছে শিল্পী ঐক্যজোট। নতুন প্রতিভা অন্বেষণ ও দুস্থদের সেবায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছে শিল্পী ঐক্যজোট। আর এ লক্ষ্যে দেশের ৪২ টি জেলা ও প্রায় ৪০ টি উপজেলায় শিল্পী ঐক্যজোটের কমিটি গঠিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় ৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে শিল্পী ঐক্যজোটের নলতা শাখা শনিবার বিকাল ৫ টায় নলতা করিম সুপার মার্কেটের ২য় তলায় অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। শিল্পী ঐক্যজোটের নলতা শাখার সচিব, সঙ্গীত শিক্ষক ও সাংবাদিক সোহরাব হোসেন সবুজের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে নলতা শাখার উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট নাট্যপরিচালক জি.এম সৈকত। এরপর নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জি.এম সৈকত শিল্পী ঐক্যজোটের আদর্শ, উদ্দেশ্য এবং কার্যক্রম সদস্য ও উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের সামনে তুলে ধরেন। প্রধান অতিথির সৃষ্টিশীল বক্তব্যে নলতা শাখার সদস্য ও উপস্থিত সুধীবৃন্দ মুগ্ধ হন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন-শিল্পী ঐক্যজোটের নলতা শাখার আহবায়ক ও প্রবীণ সংস্কৃতিকর্মী শান্তি চক্রবর্তী, বেতার কন্ঠশিল্পী আব্দুর রাজ্জাক, সাতক্ষীরা জেলা শাখার সমন্বয়ক ডাঃ আব্দুস সালাম খান, দেবাহাটা উপজেলা শাখার সমন্বয়ক নিলয় আহমেদ সবুজ, সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম লাভলু, আহছানিয়া দরবেশ আলি ক্যাডেট স্কুলের উপ-অধ্যক্ষ শাহিনুর রহমান, শষী, আকরাম হোসেন, কন্ঠশিল্পী সুদর্শন বিশ্বাষ, পূর্নিমা বিশ্বাষ, কবি সন্তষ কুমার বিশ্বাষ, ডাঃ জাহিদুর রহমান প্রমূখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আসাদুজ্জামান : হিন্দু সম্প্রদয়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পুজার আজ শনিবার ছিল শেষ দিন। এবারও বিজয়া দশমীতে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সীমান্ত নদী ইছামতিতে স্ব স্ব জলসীমানার মধ্যে থেকে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হয়েছে। এর ফলে তেমন জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি শত বছরের ঐতিহ্যবাহী দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলা। সকাল থেকে ইছামতি নদীর দু’পারে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হলেও স্ব স্ব জলসীমার মধ্যে নৌকা ভাসানোর কারনে দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলায় কিছুটা হলেও ভাটা পড়ে। আর এর ফলে অনেকটা হতাশ হয়ে ফিরে যান দু’বাংলার মানুষ।
তবে, এবারের এ মিলন মেলায় সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দীন, পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, অফিসার বিজিবির উপ-অধিনায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল আসাদ, কালিগঞ্জ পুলিশের এ এসপি সার্কেল মির্জা সালাউদ্দীন প্রমুখ।
সাতক্ষীরা শহর থেকে ইছামতির পাড়ে দু’বাংলার মিলন মেলায় অংশ নিতে উপস্থিত হওয়া শংকর বিশ্বাস জানান, বিজয়া দশমীতে এপার বাংলা-ওপার বাংলার মানুষ কিছুটা সময়ের জন্য একাকার হয়ে যেত। কিন্তু গত ৩/৪ বছর ধরে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে বিজয়া দশমীর আনন্দ উৎসব থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হয়। যার যার জলসীমানায় বিজয়া দশমীর আনন্দ উৎসব করতে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দেবহাটা সীমান্তের ওপারে ভারতের টাকি বিএসএফ ক্যাম্প ও এপারের বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্তে কড়া নজরদারি করছে।
কিন্তু এবারও দুই বাংলার সীমান্ত জুড়ে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হলেও তারা মিলন মেলার উৎসবে মেতে সেভাবে উঠতে পারেনি। দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের কঠোর নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করায় ইছামতি নদীতে নৌকা, লঞ্চ নিয়ে স্ব স্ব জলসীমার মধ্যে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠতে হয়েছে।
স্ব-স্ব দেশের সীমানার মধ্য থেকেই আনন্দ উৎসব পালন করতে হয়েছে। অনেকেই নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এ ব্যাপারে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল আসাদ জানান, সীমান্ত নদী ইছামতিতে স্ব স্ব জলসীমানার মধ্যে থেকে প্রতিমা বিসর্জন দিলেও দুই বাংলার মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে মিলন মেলার আনন্দ উপভোগ করেছেন। তিনি আরো জানান, এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর উভয় দেশের সীমান্ত এলাকায় সীমান্তবর্তী জনসাধারনের অবাধে গমণাগমন, বিচরনসহ যে কোন প্রকার অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা রোধ কল্পে কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে এই পতাকা বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠক থেকে সিদ্ধা›ত নেয়া হয়, শারদীয় দূর্গাপূজা বিসর্জনের দিন উভয় দেশই সীমান্ত নদী ইছামতিতে নিজেদের সীমানায় দূর্গা বিসর্জন দেবেন। নৌকা বা ট্রলার নিযে কেউ কোন সীমান্ত অতিক্রম করবেননা। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের অনুমতি নিয়ে ইছামতি নদীতে নামতে হবে। বিকেল ৬ টার পর কেউ নৌকা ও ট্রলার নিয়ে আর নদীতে থাকতে পারবেননা ।
উলে¬খ্য ঃ অবিভক্ত বাংলার এককালের ইছামতি নদী কালের প্রবাহে আজ দুইটি দেশের সীমানা নির্ধারণ করেছে। দেশ বিভাগের পর ভারতে আশ্রয় গ্রহণকারী বয়সের ভারে নুহ্য যারা এখনও জীবিত আছেন, তারা আজ জীবন সায়াহ্নে এসেও মাতৃভূমির মাটি একবারের মত স্পর্শ করার জন্য এই দিনটির অপেক্ষা করে থাকেন। বিজয়া দশমীতে ইছামতি নদীতে এসে তাই তারা সে সাধ পূর্ন করার চেষ্টা করে থাকেন। বিজয়া দশমী উপলক্ষে সাতক্ষীরা সীমান্তের ইছামতি নদীর আর্ন্তজাতিক সীমানা মুছে দু’বাংলার মানুষ কিছুক্ষণের জন্য একাকার হয়ে যান। দ’ুদেশের মানুষের আবেগ আর উচ্ছাসের কাছে হার মানে সীমান্তের বেড়াজাল। ভারতের কলকাতা থেকে জাহাজ ভাড়া করে মানুষ আসত এই মিলনমেলায়। দুপুরের সাথে সাথে নদী গর্ভে ভরে যেত দুই পারের নৌকা, ট্রলার, কার্গো, লঞ্চ এবং জাহাজে। কেউ আসত স্বপরিবারে, আবার কেউ আসত বন্ধুদের নিয়ে এই মিলন মেলা উপভোগ করার জন্য। প্রতিমা বিসর্জন কালে সীমান্তের ইছামতি নদীতে ভারতের টাকী ও বাংলাদেশের টাউন শ্রীপুর এলাকা পরিণত হতো দুই বাংলার মানুষের এক মিলন মেলায়। তবে গত ৩/৪ বছর ধরে এটির ব্যতিক্রম হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে খাদ্যসহায়তা দেবে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।

আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সঙ্গে ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিসলে সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উভয়েই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নাগরিকদের বর্তমান পরিস্থিতি, খাদ্যসহায়তা, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি নিয়ে মতবিনিময় করেন। ডব্লিউএফপি শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের আলাদা করে বিশেষ ধরনের পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করবে বলে মন্ত্রীকে জানান।

ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালককে মন্ত্রী জানান, ইউনিসেফ রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করবে। এ সময় মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশে রাখা সম্ভব না। মিয়ানমারকে তার নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে এমনিতেই খাদ্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী। তাই দ্রুত এই নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারের আহ্বান জানান মন্ত্রী।

ডেভিড বিসলে মন্ত্রীকে জানান, খাদ্যসহায়তা অব্যাহত রাখতে এরই মধ্যে তিনি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কূটনৈতিক তৎপরতা মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৯৬ রানের জবাবে ৩২০ রানে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। টাইগারদের চেয়ে ১৭৬ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামবে প্রোটিয়ারা। তামিম-মুশফিকেরদের সামনে রানের পাহাড় দাঁড় করাতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখবে না এলগার-মার্করামরা। প্রথম ইনিংসের চেয়ে ভালো ব্যাটিং-বোলিং করতে না পারলে এই টেস্টে বাংলাদেশের হারটা মোটামুটি অবশ্যম্ভাবীই বলা যায়।

প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৯৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। এর জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি, ৩৬ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১২৭ রান। তারা উইকেট হারায় তিনটি।

তৃতীয় দিনের শুরুতে ভালোই খেলছিলেন তামিম ও মুমিনুল। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫৫ রান যোগ করেন তাঁরা। ৪৬তম ওভারে অভিষিক্ত ফেলুকায়োর বলটা তামিমের ব্যাটে লেগে জমা হয় কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে। ৩৯ রান করেন দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান। এরপর আবার প্রতিরোধ গড়েন মুমিনুল হক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৬৯ রান যোগ করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত লড়াইটা চালিয়ে যেতে পারেননি মুমিনুল। কেশব মহারাজের বলে আউট হন তিনি।

এই ম্যাচে দারুণ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহও। সাব্বির রহমানকে নিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। কিন্তু জুটিটা ভাঙেন অলিভেয়র। দলীয় ২৯২ রানে উইকেটের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া একটি বল টেনে আনতে গিয়ে বোল্ড হন সাব্বির। তখন তাঁর ঝুলিতে ছিল ৩০ রান। অল্প কিছুক্ষণ পর মাহমুদউল্লাহ ফিরে যান মরকেলের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে। তার আগে ৬৬ রানের একটি ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়ার তিন রানের ব্যবধানে দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৩২০ রানের বেশি করতে পারেননি সফরকারীরা।

এর আগে গতকাল ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই উইকেটের দেখা পায় স্বাগতিকরা। রাবাদার বুলেট-গতির শর্ট বলে আউট হন ইমরুল। স্লিপে দারুণ ক্যাচ নেন এইডেন মার্করাম। এরপর ভালোই খেলছিলেন লিটন দাস। দ্রুতই কয়েকটি চার মেরে ২৫ রানে পৌঁছে যান তিনি। তবে ১১তম ওভারে মরকেলের আউট সুইংগারে হাশিম আমলার কাছে ধরা পড়েন তিনি।

প্রোটিয়া পেসারদের দাপটে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬৭ রান যোগ করেন তাঁরা। তবে ইনিংসটাকে খুব বেশিদূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি মুশি। দলীয় রান যখন ১০৩, কেশব মহারাজের বলটাকে ভালোভাবে ঠেকাতে পারেননি তিনি। বলটা ব্যাটের কোনো ছুঁয়ে জমা হয় এইডেন মার্করামের হাতে। ৫৭ বলে ৪৪ রান করেন বাংলাদেশ দলপতি। এরপর তামিম ও মুমিনুল দিনের বাকি সময়টাতে আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest