সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় কৃষকের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বদরুজ্জামান বদু নির্বাচনী গণসংযোগসাতক্ষীরায় রাসায়নিক মিশ্রিত ৯ মেট্রিক টন গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভাসাতক্ষীরায় কায়পুত্র সম্প্রদায়ের ভ‚মি সংক্রান্ত বিষয়ে এ্যাডভোকেসি সভাবিএনপির কানাডা পশ্চিম শাখা শাখার সাধারণ সম্পাদক হলেন সাতক্ষীরার মুজিবর রহমানশ্যামনগর উপজেলায় নাগরিক প্লাটফর্মের সাথে যুব ফোরামের তথ্য বিনিময়সাতক্ষীরায় মরিচ্চাপ ফিস এন্ড ফিড এর উদ্বোধনশ্যামনগর উপজেলায় যুব ফোরামের ত্রৈমাসিক সভাদেবহাটায় আমাদের টিমের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

কলারোয়া প্রতিনিধি : শারদীয় দুর্গোৎসবে কলারোয়া পৌরসদরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করলেন সাতক্ষীরা-১ (কলারোয়া-তালা) আসনের সাংসদ এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। বৃহস্পতিবার দিনভর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহত্তম এ ধর্মীয় উৎসবের মহা অষ্টমী দিনে তিনি এসব পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে উপজেলার প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপে আইন শৃঙখলা রক্ষাসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে পূজা মন্ডপের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব দেব নাথ, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মনোরঞ্জন সাহা, উপজেলা আ.লীগের সাবেক আহবায়ক সাজেদুর রহমান খাঁন চৌধুরী মজনু, উপাধ্যক্ষ মইনুল হাসান, এমপি’র পিএস জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ। পরিদর্শন ও মতবিনিময়কালে উপজেলার ৩৯টি পূর্জা মন্ডপে উৎসবমুখোর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য পূজা ম-পে নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনী ও মন্ডপের সভাপতি, সেক্রেটারিসহ সেচ্ছাসেবীদের’কে বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ প্রদান করেন এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কাজে এলো না পাণ্ডে-কেদার ঝড়। বিরাটদের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩৩৫ রানের পাহাড় সমান টার্গেট তাড়া করতে নেমে আট উইকেট হারিয়ে ৩১৩ রানেই থেমে যায় ভারত। এর ফলে নয় ম্যাচ পর থামে কোহলির জয়ের রথ।

বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে তা করেও দেখালেন স্টিভ স্মিথরা।

নিয়মরক্ষার ম্যাচে শুরুতে দুই অজি ওপেনার ফিঞ্চ ও ওয়ার্নারই ২৩০ রানের পার্টনারশিপ করেন। সেঞ্চুরি করে দলকে অনেকটাই টেনে নিয়ে যান ডেভিড ওয়ার্নার। তার ১২৪ রানের সাজানো ইনিংস শেষ হয় কেদার যাদবের বলে। এদিকে মাত্র ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি হারান ফিঞ্চ। তার উইকেট তুলে নেন উমেশ যাদব।

এই ম্যাচে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে উমেশের অবদান অনস্বীকার্য। ১০ ওভার বল করে ৪ উইকেট নেন তিনি। রানও ৭ প্রতি ওভার। বাকি প্রত্যেকেই অত্যাধিক মাত্রায় রান দেন।

শেষ ম্যাচে ইন্দোরের বাইশ গজে ১২৪ রানের ইনিংস খেলেন অজি ওপেনার। এদিন অবশ্য মাত্র ছয় রানের জন্য সেঞ্চরি হাতছাড়া করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : ‘রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার বিশ^ শান্তির দর্শণ, জনগণের ক্ষমতায়ন সুদৃঢ় করাই আমাদের অঙ্গিকার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মানবতাবাদী নেত্রী বিশ^ শান্তির দূত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭১ তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের হলরুমে জেলা যুবলীগের আয়োজনে জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশে^র দরবারে মানবতার বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিত করেছেন অসহায় রোহিঙ্গাদের পাশে দাড়িয়ে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গার মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন তাই সারা বিশ^বাসী তাকে মানবতাবাদী নেত্রী বিশ^ শান্তির দর্শণ হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামীতে শান্তিতে নোবেল পেতে যাচ্ছেন। আমরা বাঙালী জাতি আজ গর্বিত।’ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাদাৎ হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু, সাধারণ সম্পাদক তুহিনুর রহমান তুহিন ও সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. গোলাম কিবরিয়া বাবু প্রমুখ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পাওয়ার হাউজ জামে মসজিদের ইমাম জাহাঙ্গীর আলম। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মইনুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দীর্ঘদিন বিচারকাজ বন্ধ থাকার পর সচল করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের মাধ্যমে এ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম সচলের উদ্যোগ নিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।

আইন মন্ত্রণালয় ও সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা যায়, পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে বর্তমান ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি শাহীনুর ইসলামকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এবং সদস্য হিসেবে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আমির হোসেন এবং সদ্য অবসরে যাওয়া নিম্ন আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদনক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের তৈরীকৃত এ প্রস্তাবনাটি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতি তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করবেন। এবং আইন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবেন।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পথে। আশা করি শীঘ্রই ট্রাইব্যুনালের পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শেষ হবে।’

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ বলেন, ট্রাইব্যুনালের কাজ ত্বরান্বিত করতে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে কয়েকজন বিচারকের নাম অনুমোদন করা হয়েছে। এটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল ঘুরে জানা যায়, দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান না থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম। কোরাম সংকটের কারণে রায়ের অপেক্ষায় থাকা একটি মামলার রায় ঘোষণা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। আর ঝুলে আছে ৩৩ মামলার কার্যক্রম।

বিচার কার্যক্রম না চললেও কারাগারে বন্দি আছেন ৮৮ আসামি। আসামিদের বয়স ৭০ থেকে ৮০ বছর। প্রত্যেকে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন বলে দাবি করেছেন তাঁদের আইনজীবীরা।

শুধু তাই নয়, মামলার কার্যক্রম না থাকায় আতঙ্কে রয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের (প্রসিকিউশন) সাক্ষীরা। ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম না থাকায় এরই মধ্যে সাতটি মামলার সাক্ষীদের দীর্ঘদিন ঢাকায় রাখার পর গ্রামের বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গ্রামে চলে যাওয়ায় এই সাক্ষীদের আবার হাজির করা কঠিন বলে আশঙ্কা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে তিনজন বিচারপতি ছাড়া রায় ঘোষণার সুযোগ নেই। গত ১৩ জুলাই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ার উল হক মারা যান। এরপর এক মাস পেরিয়ে গেলেও ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এর আগে তিনি অসুস্থ থাকায় দীর্ঘদিন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ ছিল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি আনোয়ার উল হক মারা যাওয়ার কয়েক মাস আগে থেকেই কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তিনি হাসপাতালে থাকা অবস্থায় ট্রাইব্যুনালের দুই বিচারপতি শুধু বিভিন্ন মামলার নতুন তারিখ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এখনো সে রকমই। কোনো কার্যক্রম শুরু করতে পারছেন না। ট্রাইব্যুনালের নিয়ম অনুযায়ী কোনো রায় বা মামলার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হলে তিনজন বিচারপতির সমন্বয়ে কোরাম পূরণ করতে হয়। কিন্তু ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ার উল হক মারা যাওয়ার পর থেকে কোরাম সংকট দেখা দিয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে ৩৩টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি সাক্ষ্য পর্যায়ে, ১০টি মামলার অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে এবং ১৬টি মামলা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া একটি মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা দেড় শতাধিক। এর মধ্যে ৮৮ আসামি কারাগারে আটক রয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালের অচলাবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রাইব্যুনালের ডেপুটি রেজিস্ট্রার কেশব রায় চৌধুরী বলেন, ‘চেয়ারম্যান মারা যাওয়ার পর থেকে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম অকেজো অবস্থায় রয়েছে। এখানকার সব কর্মকর্তা-কর্মচারী রুটিন অনুযায়ী শুধু অফিস করে যাচ্ছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে ত্বরান্বিত করতে শিগগিরই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া উচিত।’

ডেপুটি রেজিস্ট্রার আরো বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যান যখন অসুস্থ ছিলেন, তখন থেকেই ট্রাইব্যুনাল অকেজো। নিয়ম অনুযায়ী তিনজন রায় দিতে হয়। দুজন শুধু শুনানি। একেবারে স্থবির অবস্থা চলছে। টুকটাক কাজ চলছে।’

এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের অন্তত ২০টি মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান না থাকায় বিচারপ্রার্থী ও আসামি উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে বিচারহীনতায় অনেক বয়স্ক আসামি দিনের পর দিন জেলে পড়ে আছেন। বর্তমানে আটক আসামিদের সবাই ৭০ থেকে ৮০ বছর বয়সের। সবাই বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল বন্ধ থাকায় বিচার চাওয়ার জায়গা নেই। জামিন চাওয়া যাচ্ছে না। এ অচলাবস্থার নিরসন হওয়া উচিত।’

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম না থাকায় প্রসিকিউটরের সদস্যরা অলস সময় পার করছেন। অন্যদিকে অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ আসামি রয়েছেন, যাঁরা বিচারহীনতার কারণে দিনের পর দিন কারাগারে রয়েছেন। তাঁদের মামলার কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না।’

তুরিন আফরোজ জানান, বর্তমানে চিফ প্রসিকিউটরসহ মোট ১৮ জন রাষ্ট্রপক্ষ প্রসিকিউটর রয়েছে। তিনি বলেন, ‘যদি নতুন করে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ থাকা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ জামায়াতের সাবেক এমপি আবদুল আজিজের (ঘোড়ামারা আজিজ) মামলাটির কার্যক্রম আবার শুরু করতে হবে। অর্থাৎ আইন অনুযায়ী এ মামলার যুক্তিতর্ক পুনরায় করতে হবে।’

ট্রাইব্যুনালের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, আইন মন্ত্রণালয় ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

চলতি বছর সাত বছর পূর্ণ করল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। নানা প্রতিকূলতা ও বাধা পেরিয়ে দীর্ঘ এ সময়ে ট্রাইব্যুনাল ২৯ মামলায় অর্ধশতাধিক আসামির বিচার শেষে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ছয় যুদ্ধাপরাধীর চূড়ান্ত দণ্ড কার্যকর হয়েছে। তাঁরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা, সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।

এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের ৯০ বছরের দণ্ড মাথায় নিয়ে বন্দি অবস্থায় মারা গেছেন গোলাম আযম। আমৃত্যু কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে আছেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।

তদন্ত সংস্থায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে ৫৩১টি। তবে প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় ধীরগতিতে এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, সর্বোচ্চ আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে ১৯টি আপিল। তবে সাত বছরে এসে ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রমে এখন অনেকটা অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, শীর্ষ অপরাধীদের বিচার শেষ হয়ে যাওয়ায় ট্রাইব্যুনালের এখন আর সেই জৌলুস নেই।

২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১ পুনর্গঠন করে ট্রাইব্যুনাল-২ নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর কারণ সম্পর্কে তখন আইন মন্ত্রণালয় জানায়, মামলার সংখ্যা কম থাকায় একটি ট্রাইব্যুনাল নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তবে এটি বিলুপ্ত হচ্ছে না। প্রয়োজন হলে আবার এটিকে সক্রিয় করা হবে।

প্রথম ট্রাইব্যুনাল গঠনের দুই বছর পর বিচারে গতি আনতে ২০১২ সালের ২২ মার্চ দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল। সাত বছরে তদন্ত সংস্থা ৪৯টি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এখনো বিপুলসংখ্যক (৭৫ জন) সাজাপ্রাপ্ত আসামি পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের যথাযথ তৎপরতা নেই।

এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেয়াদ আল মালুম বলেন, ‘চুয়াল্লিশ বছর পর বিচার শুরু হয়। এতে দেশের শহীদ পরিবারগুলো আশায় বুক বাঁধে। এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে ২৯টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এ ছাড়া তদন্ত সংস্থা প্রতি মাসে তিন থেকে চারটি নতুন করে প্রসিকিউশনে জমা দিচ্ছে। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল বন্ধ। আমরা মনে করি, ট্রাইব্যুনালকে সচল করা উচিত।’ তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান আনোয়ার উল হক মারা যাওয়ার পর পাঁচটি মামলার সাক্ষীকে প্রসিকিউশন টিম দীর্ঘদিন ঢাকায় রাখার পর গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছে। এই সাক্ষীদের পরবর্তী সময়ে হাজির করা কঠিন হয়ে পড়বে। কেননা, দেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি হচ্ছে। গ্রামে গিয়ে সাক্ষীরা প্রতিনিয়ত ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

তোষিকে কাইফ/তরিকুল ইসলাম লাভলু : ধর্ম যার যার উৎসব সবার এবং অশুভ শক্তিকে দমন করে শুভ শক্তির উদয় হোক এমনি প্রত্যয়ে ঘরে ঘরে খ্্্্ুঁশির আমেজ নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় দেবহাটার ২১ টি পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করলেন সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি।
তিনি আরও বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ক্ষেত্রে দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। নানামুখী সাফল্যে বাংলাদেশ ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশের কাতারে দাঁড়াবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। দক্ষিণাঞ্চলে পদ্মাপারের মানুষ আমরা চিরকাল অবহেলিত ছিলাম। এই এলাকায় যখনি আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন তখনি আপনাদের উন্নতি হয়েছে। কাজেই আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা চাই। আগামী নির্বাচন সামনে। ২০১৯ সালে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমরা যাতে আমাদের উন্নয়নের কাজ অব্যাহত রাখতে পারি তার জন্য আপনাদের কাছে নৌকায় ভোট চাই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে ২০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে।
এছাড়া যার যার ধর্ম পালনে যাতে কোনো ধরণের বিঘœ না ঘটে সেজন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের আযান ও নামাজের সময় পূজা মন্ডপগুলোতে নিরবে উৎসব পালন, পূজাকে কেন্দ্র করে কোনো জুঁয়ার আসর না বসানো,শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা সম্পন্ন করতে বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মন্ডপগুলোতে নারী-পুরুষ চলাচলে বাড়তি দৃষ্টি রাখা, নিরাপত্তার প্রয়োজনে পূজার সময় গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে এক অপরের মধ্যে সম্প্রীতির ভাব বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি উদাত্ম আহবান জানিয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী কামাল, দেবহাটা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম খোকন,দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্জ মো.মুজিবর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান মনি,সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুুখপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, দেবহাটা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি সদস্য নির্মল কুমার মন্ডলসহ আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

এম বেলাল হোসাইন/বশির আহমেদ : ঘন ঘন লোড শেডিং দিয়ে সাতক্ষীরার জনজীবন বিষিয়ে তোলা আবাসিক প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। বুধবার বিকালে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির একটি নির্দেশে আবাসিক প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয় এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ বিভাগের এস.ডি.ই খালিদক হাসানকে ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রকৌশলী হিসাবে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা ও ডেইলি সাতক্ষীরায় ঘন ঘন লোড শেডিং নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। আর এ কারণে আবাসিক প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে খালিদ হাসানকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে সদ্য যোগদানকৃত আবাসিক প্রকৌশলী খালিদ হাসান বলেন, কি কারণে তার বদলি করা হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে কোম্পানির সদর দপ্তরের একটি অর্ডারে তাকে বদলি হয়েছে এটুকু বলতে পারি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কক্সবাজারের ইনানীতে রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকা ডুবে ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে নয়জন শিশু ও পাঁচজন নারী।

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে ইনানী সমুদ্রসৈকত এলাকা পর্যন্ত পৌঁছালে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢেউয়ের তোড়ে নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকাটিতে অন্তত অর্ধশত রোহিঙ্গা ছিল বলে জানা গেছে।

ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্টালিন বড়ুয়া জানান, মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাটি বঙ্গোপসাগরের ইনানী সৈকত পয়েন্ট পর্যন্ত পৌঁছালে ঢেউয়ের আঘাতে ডুবে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় ২৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু ১৪ জন রোহিঙ্গার মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নয়জন শিশু ও পাঁচজন নারী রয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, নজিরবিহীনভাবে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে একটি সুপরিকল্পিত ষঢ়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এবং এই পত্রিকাগুলো সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির হওয়ায় একটি স্বার্থানেষ্বী মহল ‌’শকুনি’ মামার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সংবাদপত্রগুলোর কণ্ঠরোধ করে সাময়িকভাবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ টাইব্যুনালে বিচারাধীন সাতক্ষীরার শীর্ষ ৪ মানবতাবিরোধী ও তাদের দোসরদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। এই বিচার চলাকালীন যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে বিঘ্ন সৃষ্টি করাই এই চক্রটির মূল লক্ষ্য। একই সাথে সাতক্ষীরার মানুষের বিপুল পরিমাণ অর্থ নানাভাবে লুণ্ঠন করা, প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে ঘুষ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে যেন কেউ মুখ খুলতে না পারে এবং তাদের অপকর্মকে পাঠকের সামনে তুলে ধরতে না পারে সেজন্য এই চক্রটি গভীর ষঢ়যন্ত্রে লিপ্ত।

সাতক্ষীরা জেলার প্রায় সকল সম্মানিত সংসদ সদস্য ও জেলায় স্থানীয় সরকারের সর্বোচ্চ পদে আসীন জনপ্রতিনিধি কারও প্রতি নূন্যতম শ্রদ্ধা না দেখানো এই চক্রটির বিরুদ্ধে মফস্বলের সকল সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সর্বস্তরের রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও কুশপুত্তলিকা দাহের মত কর্মসূচি দেয়ার সময় সম্ভবত সমাগত।

সাতক্ষীরা জেলার ২২ লক্ষ মানুষকে যখন-তখন অপমানজনক কথা বলা, সাংবাদিক ও সংবাদপত্র সম্পর্কে নিয়মিত বিষোদগার করা- এই অপশক্তিকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে না পারলে এই জেলার সমস্ত অগ্রগতি ব্যাহত হবে। এই অপশক্তির কারণে সাতক্ষীরা জেলায় বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। স্বাধীনতাবিরোধী এই চক্রটি বর্তমান সরকারকে অজনপ্রিয় করার ষঢ়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সাতক্ষীরায় একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সময় এসেছে এদের বিষদাঁত ভেঙে দেয়ার।
সকলে প্রস্তুত থাকুন, রাজপথে এদের বিচার হবে। ২০১৩ সালের স্মৃতি অনেকে ভুলে গেলেও আমরা ভূলিনি। এই সাতক্ষীরার রাজপথে স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে সেদিনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। সেদিনের সেই অপশক্তি যেমন আমাদের কাছে পরাজিত হয়েছিল আজকের এই নয়া রাজাকার চক্রও পরাজিত হবেই। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।
জয় বাংলা।

হাফিজুর রহমান মাসুম

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest