তিন মাসেও ভিসি ভবন ছাড়েননি আরেফিন সিদ্দিক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি হিসেবে গত ৪ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পেয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাকে এ পদে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ। তবে নিয়োগের তিন মাসেরও অধিক সময় অতিবাহিত হলেও ভিসি ভবনে উঠতে পারেননি আখতারুজ্জামান।

জানা গেছে, সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ভিসি ভবনটি না ছাড়ায় প্রো-ভিসির বাংলো (বাস ভবন) থেকেই অফিস করেন নতুন ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। ফলে কাজের ক্ষেত্রেও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে অধ্যাপক আখতারুজ্জামানকে।

ভিসি অফিস সংশ্লিষ্টরা জানান, অফিস সময় ছাড়াও একজন ভিসিকে বাস ভবনে বসেই অনেক কাজ করতে হয় । প্রো-ভিসির বাংলো অপেক্ষাকৃত ছোট হওয়ায় সেখানে সমস্যা হচ্ছে।

সম্প্রতি দুটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও গবেষকরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। এতে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি, জাতীয় অধ্যাপক, ইমেরিটাস অধ্যাপকসহ বিশিষ্টজনরা। ঐতিহ্য অনুযায়ী আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য ভিসির বাসভবনে ডিনারের আয়োজন করা হয়। কিন্তু আরেফিন সিদ্দিক বাসভবন না ছাড়ায় আয়োজনটি প্রো-ভিসির বাংলোয় ঘিঞ্জি পরিবেশে করতে হয়।

ওই ডিনারে উপস্থিত ছিলেন এমন দুজন কর্মচারী বলেন, জায়গা সঙ্কুলান না হওয়ায় সকল অতিথি একসঙ্গে ডিনারে অংশ নিতে পারেননি। ফলে দুই পর্বে ডিনারটি সম্পন্ন হয়। সামনে এ ধরনের আরও একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা আছে সেটি নিয়েও বর্তমান ভিসিকে বিভ্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে বলে মনে করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা যায়, ভিসি, প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ, প্রাধ্যক্ষদের বাসা ও বাংলো ‘ইয়ারমার্ক’ বাসা হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই এ সব বাসা এবং তা সংশ্লিষ্ট সব সুবিধাদি ওই পদে বহাল ব্যক্তিরা ভোগ করবেন।

জানতে চাইলে ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, অসুবিধাতো একটু হচ্ছেই। তবে তিনি (আরেফিন সিদ্দিক) যেহেতু আছেন তাহলে আর কী করার! যদিও অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, নতুন যিনি (আখতারুজ্জামান) এসেছেন তিনি তার বাসা থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এবং তাতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের একটি সূত্র জানায়, গত ৩০ অক্টোবর সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিককে প্রভোস্ট কমপ্লেক্সে একটি বাসা বরাদ্দ দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত এস্টেট ম্যানেজার সুপ্রিয়া দাস স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিককে জানানো হয়। চিঠিতে ভিসি ভবন খালি করার লক্ষ্যে শহীদ এম এ মুক্তাদির ভবনের (প্রভোস্ট কমপ্লেক্স) ৬ষ্ঠ তলার বাসাটি বরাদ্দ দেয়া হয় বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও ১৯৮৬ সনে সিন্ডিকেটে গৃহীত বাসা বরাদ্দের নীতিমালা অনুযায়ী নিজের নামে বরাদ্দকৃত বাসা বুঝে নিয়ে ভিসি ভবন বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝিয়ে দিতেও বলা হয় ওই চিঠিতে। কিন্তু নতুন বাসা বরাদ্দ পাওয়ার দুই সপ্তাহ পার হলেও ভিসি ভবন ছাড়েননি আরেফিন সিদ্দিক।

এদিকে বাসা বরাদ্দের চিঠি পাওয়ার ১০-১২ দিন পর ৬ষ্ঠ তলার বাসাটি নিতে অপরাগতা জানিয়ে ওই ভবনের সাত তলার বাসাটির জন্য আবেদন করেন বলেও প্রশাসনিক ভবন সূত্র জানিয়েছে।

জানা গেছে, ১৯৯২ সালে ভিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমদের পর থেকে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের আগ পর্যন্ত ঢাবিতে যে কয়জন ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের মধ্যে মেয়াদ শেষে সর্বোচ্চ ২৭ দিন পর ভিসি ভবনে অবস্থান করেছিলেন অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। আর সর্বনিম্ন ১০ দিন ছিলেন অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী। এছাড়া অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ ২০ দিনের মাথায় বাসা ছাড়েন। আর অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমদ নতুন ভিসি নিয়োগের পূর্বেই বাসা ছেড়ে দেন। কিন্তু অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক নতুন ভিসি নিয়োগের সাড়ে তিন মাস পরেও এখনো ভিসি ভবন ছাড়েননি।

জানতে চাইলে অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিনেন্সে এরকম কোনো বিধান নেই যে ভিসি কিংবা প্রো-ভিসিকে কখন বাসা ছাড়তে হবে।

তিনি বলেন, নতুন যিনি এসেছেন তিনি তার বাসা থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এবং এতে তার কোনো সমস্যা হচ্ছে না। বিকল্প সুরাহ হলে আমি ভিসি ভবন ছেড়ে দেব।

তবে বিকল্প সুরাহ বলতে তিনি কি বুঝিয়েছেন তা স্পষ্ট করেননি। কারণ ১৭ দিন আগেই তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত সবচেয়ে বড় বাসাগুলোর মধ্য থেকে একটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বৃদ্ধ বাবাকে রাস্তায় ফেলে চলে গেল প্রভাবশালী কোটিপতি সন্তান

ঢাকার লালবাগের এক কোটিপতি তার অসুস্থ বৃদ্ধ বাবাকে বাড়ি থেকে তুলে এনে নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফেলে চলে গেছে। এতে করে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে তাকে ভর্তি করলে রাতেই বৃদ্ধের মেয়ের ঘরের নাতি এসে তাকে নিয়ে যায়। তবে হাসপাতালের ডিউটিরত লোকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া বৃদ্ধকে তার নাতি নিয়ে গেছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমনটাই জানিয়েছেন।

শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার হতে কুড়িয়ে পাওয়া বৃদ্ধের খোঁজখবর নিতে গেলে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৃদ্ধসহ তার নাতনির নাম ঠিকানা জানাতে পারেনি।

এদিকে বৃদ্ধের চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে থাকা চিকিৎসক তাহমিনা নাজনীনের সঙ্গে শুক্রবার বিকেলে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বৃদ্ধের মেয়ের ঘরের নাতি এসে হাসপাতালে হৈচৈ করে নিয়ে গেছেন। তার নামটা মনে করতে পারছিনা। তবে বৃদ্ধের নাতনি জানিয়েছে বৃদ্ধের বাসা ঢাকার লালবাগে। বৃদ্ধের একমাত্র সন্তান রয়েছে। তাদের ঢাকা লালবাগে কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। তার ছেলেই তার নানাকে নারায়ণগঞ্জে এসে ফেলে চলে যায়। কি কারণে ফেলে রেখে গেছে তা কিছুই জানাইনি। তাদের নাম ঠিকানা খাতায় এন্ট্রি করে রাখা হয়েছে রাত ১০টার পর আসলে নিতে পারবেন।
নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোমেন বলেন, আমি শুক্রবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ বৃদ্ধে খবর নিতে গিয়ে জানতে পারি রাতের বেলায় বৃদ্ধের নাতি এসে তাকে নিয়ে গেছে। কোনো নাম ঠিকানা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নোট করেনি। বৃদ্ধের স্বজনরা অনেকটা রাগারাগি করে নাকি নিয়ে গেছে। শুধু জানিয়েছে বৃদ্ধের বাসা ঢাকার লালবাগে। তিনি একজন সচ্ছল পরিবারের। তাকে কেন ঢাকা হতে নারায়ণগঞ্জের শহিদ মিনারে ফেলে গেলো তা কিছু জানতে পারেনি তিনি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাড়া বেইলী টাওয়ারের সামনে ৭০ বছরের একজন বৃদ্ধকে দেখতে পায় লোকজন। তিনি কথা বলতে পারেন না। কিছু খেতেও পারেন না। হাটতে বসতে ওঠতে পারেন না। কে বা কাহারা তাকে ফেলে চলে যায়। সকাল হতে নারায়ণগঞ্জে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই বৃষ্টিতে ভেজা কাকের মতো হয়ে গেছে সেই বৃদ্ধ। পরে বৃদ্ধকে পড়ে থাকতে দেখে কজন লোক প্রথমে শহীদ মিনারের ভেতরে এনে একটি গাছের নিচে শুয়ে দেন। সেখানে পরে থাকা অবস্থায় অনেকেই খেতে দেন। সারাদিন শহীদ মিনারে পুলিশ দায়িত্বে থাকলেও তাকে চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করেনি। শেষ বিকেলে সন্ধ্যার দিকে কজন সংবাদকর্মীর খবরে চাষাড়া ফাঁড়ি পুলিশ এসে ওই বৃদ্ধকে নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৃদ্ধকে চিকিৎসা শুরু করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিপিএলে ১০ ভারতীয়সহ ৭৭ জুয়াড়ি আটক

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু হওয়ার পর থেকেই সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে, এ টুর্নামেন্ট ঘিরে সারাদেশে চলছে জুয়ার হিড়িক। সেটাকে আরও ভারি করে তুলেছে আসরের শুরুর দিকে জুয়াকে কেন্দ্র করে রাজধানী বাড্ডায় এক তরুণের খুনের ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। গ্যালারিতে বসে অনলাইনে জুয়া খেলার সময় ১০ ভারতীয়সহ মোট ৭৭ জুয়াড়িকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।

শুক্রবার সিলেট সিক্সার্স এবং রাজশাহী কিংসের ম্যাচের পর আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিপিএল এবং বিসিবির এই কর্মকর্তা।

জানা গেছে, বাড্ডায় জুয়া নিয়ে এক তরুণের খুনের ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে বিসিবির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা। তারা, খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, শুধুমাত্র মাঠের বাইরেই নয়, মাঠের মধ্যে গ্যালারিতে বসেই ক্রিকেট জুয়ায় মেতে উঠেছে একটি চক্র। তাদের ধরতেই মূলতঃ বিসিবির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট মাঠে নেমে পড়ে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার কারণে হয়তো তাদের ধরা কঠিন। তবে বিসিবি আড়ি পেতে হোক আর যে ভাবেই হোক, মাঠ থেকেই মোট ৭৭জন জুয়াড়িকে আটক করতে সক্ষম হয়।

ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, ৭৭ জন আটককৃত জুয়াড়ির মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন মোট ৬৫ জন। এছাড়া বিদেশি রয়েছেন ১২ জন। বিদেশিদের মধ্যে ১০ জনই ভারতীয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা ৬৫ বাংলাদেশিকে মাঠে বসে অনলাইনে জুয়া খেলার সময় আটক করেছি। যেহেতু আমরা পুলিশ কেস করতে পারি না, তাই তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করেছি। ৬৫ বাংলাদেশি ছাড়াও বিদেশি ছিল ১২ জন। যার মধ্যে ভারতীয়ই ছিল ১০ জন।’

বিপিএলের ম্যাচ চলাকালীন প্রতিটি বলের মাঝে যেটুকু সময় থাকে, তারই ফাঁকে অনলাইনে জুয়া খেলা হয় বলে জানান মল্লিক। তিনি বলেন, ‘মূলতঃ এরা অনলাইনে জুয়া খেলে। বিভিন্ন জুয়ার সাইটে মাঠে বসেই জুয়া খেলে। প্রতিটা বল করতে যে টুকু সময় লাগে তার মাঝেই এই কাজটা করে তারা। প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে গেছে, তাই এদের ধরা বেশ কঠিন। তবুও আমরা এদের খুঁজে বের করছি যতটা সম্ভব।’

জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে বিসিবি কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারছে না বলেও স্বীকার করেন এই বোর্ড পরিচালক। তার মতে, ‘যেহেতু আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কোন সুযোগ নেই, তাই আমরা তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করে দেই। পরে পুলিশ তাদেরকে অল্প শাস্তি দেয় হয়তো। তবে আমরা মাঠের মধ্যে কেউ কিছু করলে তাদের আমরা আটক করতে পারি।’

দেশে জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে কোন প্রচলিত কঠিন আইন নেই বলেও জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে মল্লিক বলেন, ‘সারাদেশে যে জুয়াটা হয়, তা নিয়ে আমাদের কোন ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ কিন্তু নেই। আর দেশে জুয়া নিয়ে প্রচলিত কোন কঠিন আইনও নেই। আপনাদের জানাচ্ছি, আমাদের স্টেডিয়ামের মধ্যে কিন্তু একটি দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট আছে। স্টেডিয়ামের মধ্যে যদি কিছু হয় তাহলে তারা সাথে সাথে ব্যাবস্থা নেয়।’

জুয়া থেকে তরুণদের সচেতন করতে বিসিবি মাঠে বিভিন্নভাবে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেও বলে জানান আইএইচ মল্লিক। তিনি বলেন, ‘বিষয়টা কি আসলে দেখেন, বিসিবি কিন্তু সচেতনতা তৈরি করা ছাড়া আর কিছু করতে পারে না। করার কোন সুযোগও নেই। আপনারা দেখবেন, আমরা অলরেডি বোর্ডে এবং স্কোরবোর্ডে জুয়া বিরোধী সচেতনাতামূলক বিভিন্ন লেখা দিচ্ছি।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেশ ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে- পারুলিয়ায় ডাঃ রুহুল হক এমপি

কেএম রেজাউল করিম/আরাফাত হোসেন লিটন: সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাঃ রুহুল হক এমপি বলেছেন, দেশ ও জনগনের কল্যানে কাজ করতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড যাতে মানুষের কাছে পৌছায় এবং সেবা যেন মানুষের দ্বারে দ্বারে যায় সেজন্য যুবলীগ সহ আওয়ামীলীগের সকল নেতাকর্মীকে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের বর্নাঢ্য আয়োজনে শুক্রবার পারুলিয়া শহীদ আবু রায়হান চত্বরে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখাকালে ডাঃ রুহুল হক উল্লেখিত কথাগুলো বলেন। শেখ হাসিনার সরকার, বার বার দরকার একথা তুলে ধরে রুহুল হক বলেন, একটি সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার সরকার বদ্ধপরিকর। মানুষের কল্যানের নেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, বাসস্থান নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। বিদ্যুৎ শতভাগ মানুষের ঘরে পৌছে গেছে বলে যোগ করেন তিনি। সরকারের সকল ওয়াদা পূরনের লক্ষ্যে সকলকে শেখ হাসিনার হাতকে মজবুত করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশ থেকে সকল জঙ্গী অপরাধী, সন্ত্রাস দূর করা হয়েছে। দেশের উন্নয়নে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে সেটা শক্ত হাতে মোকাবেলা করা হবে তিনি বলেন। দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুরের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক বিজয় ঘোষের সার্বিক পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান ও দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক জর্জকোর্টের পিপি আব্দুল গনি, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন, সাতক্ষীরা পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু, দেবহাটা উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আবু তাহের, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ, কুলিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কেক কেটে যুবলীগের জন্মদিন পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা আঃলীগ ও সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভোমরায় ছুটিতে বেড়াতে আসা পুলিশ ও সেনা সদস্যকে পিটিয়ে আহত করেছে স্থানীয় বিজিবি সদস্যরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোমরায় এক সেনা ও পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে জখম করার পর তাদেরকে বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে আটক রেখেছে বিজিবি’র এক হাবিলদারও গোয়েন্দা সংস্থার এক সদস্য। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর এলাকায় জাহাঙ্গীর মার্কেটের সামনে এ মারপিটের ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্য ইনজামামুল হককে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পদ্মশাঁখরা গ্রামের শ্যামল বিশ্বাসের ছেলে রাজু বিশ্বাস বর্তমানে কক্সবাজার সেনা ক্যাম্পে কর্মরত। একই উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে ইনজামামুল হক পুলিশ সদস্য হিসেবে খুলনায় কর্মরত। রাজু ও ইনজামামুল ছুটিতে বাড়ি আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শরা জানান, রাজু ও ইনজাজামামুল হক একটি মোটর সাইকেলে এসে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ভোমরা বন্দরের জাহাঙ্গীর মার্কেটের পাশে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় গোয়েন্দা সংস্থার (এফএস) সদস্য কাফি ও ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার হায়দার আলী সেখানে আসেন। কাফি কিছুক্ষণ পর ইনজামামুল হকের কাছে পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজেকে পুলিশ সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন। তাতে সন্তুষ্ট না হতে পেরে মাদকাসক্ত ভেবে ইনজামামুল হকের জামার কলার ধরে মারপিট করতে থাকেন কাফি। ইনজামামুল কাফিকেও পাল্টা আঘাত করায় হাবিলদার হায়দার আলীও তাকে মারপিট শুরু করেন। একপর্যায়ে রাজু বিশ্বাস মাটিতে ফেলে দেওয়া তার বন্ধু ইনজামামুল হককে বাঁচানোর চেষ্টা করতে গেলে তিনিও আহত হন। কিছুক্ষণ পর ইনজামামুল হক ও রাজুকে ভোমরা বিজিবি ক্য্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মেরিনা আক্তার ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মেদ বিজিবি ক্যাম্প থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরায় নিয়ে যান। পরে মারাত্মক অসুস্থ ইনজামামুল হককে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এবিষয়ে গোয়েন্দা কাফির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ভাই বিষয়টি নিয়ে ঝামেলায় আছি পরে কথা বলেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মেদ জানান, ইনজামামুল হককে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে ঘটনার তদন্ত করেছেন। শনিবার বৃহত্তর তদন্ত শেষে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ মত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন মাল্টি কমপ্লেক্সের ছাদ ঢালাই’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন মাল্টি কমপ্লেক্সের ছাদ ঢালাই এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে কড়াই থেকে ঢালাই এর নির্মাণ সামগ্রী ঢেলে ছাদ ঢালাই এর উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, বিশ্বমানবের কল্যাণে যাঁরা মানুষের উপকারার্থে জীবন উৎসর্গ করে সত্যের পথ দেখিয়েছেন, যাঁরা ইসলামের প্রচার-প্রসারে আত্মনিয়োগ করেছেন, তাঁদের মধ্যে একজন হলেন খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ (রহ.)। তিনি ১৮৭৩ সালে এ জেলার দেবহাটার অন্তগত নলতা গ্রামে জন্মগ্রহন করেছিলেন। তিনি একজন বিশিষ্ট সুফি সাধক, অলি ও কামেল ছিলেন। তারই ক্রয়কৃত মানব কল্যাণে দেওয়া স্মৃতি বিজরিত জমিতে আহ্ছানিয়া মিশন মাল্টি কমপ্লেক্সের কাজ সুন্দরভাবে দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে। নির্মাণ কাজে অনেক বাধা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু কারও কোন বাধা আমরা মানবোনা। কারণ আমরা কাগজপত্র ও দলিল এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্মাণ কাজ করছি। এসময় তিনি সুষ্ঠভাবে দ্রুত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হচ্ছে বলে সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, অধ্যাপ কাজী মোহাম্মদ অলিউন্ণাহ, সাধারণ সম্পাদক শেখ আজিজুল হক, কোষাধ্যক্ষ আবু দাউদ, কার্যকরী সদস্য আব্দুল খালেক, সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন মাল্টি কমপ্লেক্সের নির্মাণ সহযোগি মো. আবু শোয়েব এবেল, এজিপি এড. নওশের আলী, টেইলারিং মাস্টার মো. আক্তার হোসেন, নলতা আহ্ছানিয়া মিশনের সদস্য ডা. মো. নজরুল ইসলাম, ডা. মো. আকবর হোসেন, মো. খায়রুল ইসলাম, মো. একরামুল রেজা প্রমুখ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. জাহাঙ্গীর আলম জিয়া। এসময় সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাহিত্য বার্ষিকী ‘অরণি’ এর প্রকাশনা উৎসব

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : রসুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাহিত্য বার্ষিকী ‘অরণি’ এর প্রকাশনা উৎসব বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি একরামুল কবির খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন করেন জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ¯ি’ত ছিলেন বিদ্যালয় ম্যনেজিং কমিটির সদস্য মো: সামছুর রহমান, ফারহাদীবা খান সাথী, লিয়াকত আলী খান, সৈয়দ রেজাউল হোসেন, রোখসানা পারভিন। পত্রিকা সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আবুল বাসার স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, বিদ্যালয় বার্ষিকী একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতা চর্চার অন্যতম মাধ্যম। এর মধ্য দিয়েই একদিন বড় লেখক হয়ে ওঠে শিশুরা। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ-শেক্সপিয়রের নাম দুনিয়ার মানুষ জানে, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়র হলেই তাকে মানুষ চিনবে না। দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করলে তবেই নিজেকে অনেকদিন বাঁচিয়ে রাখা যায়। লেখাপড়ার পাশাপাশি রসুলপুর স্কুলের এই প্রথম পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগের জন্য তিনি প্রধান শিক্ষককে অভিনন্দন জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নজরুল ইসলামের ৬৬তম জন্মদিন আজ; সংবর্ধনায় প্রধান অতিথি ডা. রুহুল হক এমপি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : শুক্রবার সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলামের ৬৬তম শুভ জন্মদিন। এ উপলক্ষ্যে এন আই যুব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আজ (শুক্রবার) বিকাল ৪টায় ব্যাংদহা বাজারে সংবর্ধনা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য জননেতা ডা: আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি। উক্ত অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরার সর্বস্তরের মানুষকে উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন এন আই যুব ফাউন্ডেশনের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মাসুম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest