সর্বশেষ সংবাদ-
সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন, থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন আসামিরাভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব 

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে অস্ত্র ও গুলিসহ বনদস্যুকে আটক

আসাদুজ্জামান : সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বড়কেয়াখালী খাল থেকে দুটি অস্ত্র ও গুলিসহ এক বনদস্যুকে আটক করেছে র‌্যাব। সোমবার দুপুরে শ্যামনগর উপজেলাধীন খোলপেটুয়া নদী সংলগ্ন সুন্দবনের বড়কেয়াখালী খাল থেকে র‌্যাব ৮ এর সদস্যরা তাকে আটক করে। আটক বনদস্যুর নাম শরিফুল ইসলাম (২৫)। তিনি শ্যামনগর উপজেলার পার্শ¦খালী গ্রামের মোফাজ্জেল গাজীর ছেলে। এসময় তার কাছ থেকে একটি পাইপ গান, একটি কাটা রাইফেল ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
র‌্যাব জানায়, সুন্দবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বড়কেয়াখালী খালে বনদস্যু জোনাব বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের-৮ এর সদস্যরা সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে দুটি অস্ত্র ও গুলিসহ বনদস্যু শরিফুল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করা হয়। তবে, আটক বনদস্যু শরিফুল ইসলামের সঙ্গীরা এ সময় পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করতে পারেননি র‌্যাব সদস্যরা।
র‌্যাব-৮এর উপ-অধিনায়ক মেজর সোহেল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে শ্যামনগর থানায় হস্তাস্তর করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিচারক বদলে খালেদা জিয়ার আবেদন আপিল বিভাগে খারিজ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার এই লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়ে গতকাল রোববার শেষ হয়েছিল। বিচারক আজ আদেশের দিন রেখেছিলেন।

পাশাপাশি লিভ টু আপিলের আরেকটি অংশ রাষ্ট্রপক্ষের ১১ সাক্ষীকে জেরার বিষয়ে আজ শুনানি শুরু হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

গত ২২ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের নয় সাক্ষীকে জেরা ও দুই সাক্ষীকে পুনরায় জেরা-সংক্রান্ত খালেদা জিয়ার করা আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দুই সাক্ষীর পুনরায় জেরার প্রয়োজন নেই বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

দুদকের আইনজীবী জানান, ১১ সাক্ষীর বিষয়ে গত ২৭ জুলাই বিচারিক আদালত খালেদা জিয়ার আবেদন নাকচ করে দেন। পরে দুই সাক্ষীর পুনরায় জেরা এবং নয় সাক্ষীর মূল জেরা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। গত ২২ অক্টোবর হাইকোর্ট দুই সাক্ষীর পুনরায় জেরার প্রয়োজন নেই বলে আদেশ দেন। তবে নয়জনের বিষয়ে এ মামলার অপর আসামি বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ক্ষেত্রে যে জেরা করা হয়েছে, তা খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে (অ্যাডপ্ট) বলেছেন আদালত।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলাটি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলার বিচার এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে গির্জায় বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ২৬

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে গির্জায় এক বন্দুকধারীর গুলিতে ২৬ জন নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উইলসন কাউন্টির সাদারল্যান্ড স্প্রিং শহরের ফার্স্ট ব্যাপ্টিস্ট চার্চে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট ২৬ জনের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে বলেছেন, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো প্রায় ২৫ জন। টেক্সাসের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা এটি।

ঘটনার পরপরই হামলাকারীও নিহত হয়েছে। তবে পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে, নাকি সে আত্মঘাতী হয়েছে—তা নিশ্চিত নয়।

লাস ভেগাসে একটি গানের অনুষ্ঠানে বন্দুকধারীর হামলায় ৫৮ জন নিহত হওয়ার এক মাসের মাথায় চার্চে এ হামলার ঘটনা ঘটল।

টেক্সাসের ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক সেফটির আঞ্চলিক পরিচালক ফ্রিম্যান মার্টিন জানিয়েছেন, রোববার ছুটির দিন বলে গির্জায় বেশ কিছু লোকজন ছিল। যাঁরা হতাহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫ থেকে ৭০ বছর বয়সী লোকজন রয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন ১২ দিনের এশিয়া সফরে রয়েছেন। তিনি জাপান থেকে এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক টুইটে বলেছেন, ‘ঈশ্বর নিশ্চয়ই সাদারল্যান্ড স্প্রিংসের মানুষের সহায়ক হবেন। ঘটনাস্থলে এফবিআই এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। আমি জাপান থেকেই পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছি।’হামলাকারীর বর্ণনা দিতে গিয়ে ফ্রিম্যান মার্টিন বলেন, সন্দেহভাজন ওই হামলাকারী একজন শ্বেতাঙ্গ তরুণ, তার বয়স হবে ২৫-এর মতো। তার পরনে কালো রঙের পোশাক ছিল। তার নাম ডেভিন প্যাট্রিক ক্যালি।

একটি গাড়িতে করে হামলাকারী চার্চের সামনে নেমেই একটি আধুনিক এসল্ট-স্টাইল রাইফেল থেকে গুলি ছুড়তে শুরু করে। গুলি করতে করতেই সে চার্চের ভেতর ঢুকে পড়ে। হামলায় উপস্থিত লোকজন এলোপাতাড়ি ছোটাছুটি করে পালানোর চেষ্টা করেন।

হামলাকারী ক্যালি চার্চের ভেতরে গুলি চালিয়ে বাইরে বের হয়ে আবার গুলি চালায় এবং একটি গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন স্থানীয় একজন অধিবাসী ধরে ফেলার চেষ্টা করলে রাইফেল ফেলেই সে গাড়িতে চড়ে বসে। তখন তার পিছু ধাওয়া করেন ওই অধিবাসী, পরে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। চার্চ থেকে কিছুটা দূরে গাড়ির মধ্যে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।

হামলাকারী ক্যালি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে, নাকি নিজেই আত্মহত্যা করেছে—এ ব্যাপারটি এখনো নিশ্চিত নয়।

ফার্স্ট ব্যাপ্টিস্ট চার্চের যাজক ফ্রাঙ্ক পেমোরয় এবিসি নিউজকে জানান, তাঁর ১৪ বছর বয়সের মেয়ে আন্নাবেল্লিও ওই হামলায় নিহত হয়েছে।

শেরিফ জো টেককিট জানান, আহতদের সবার পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতদের মধ্যে ২৩ জনের লাশ চার্চের ভেতর, দুজনের বাইরে ও একজন হাসপাতালে মারা গেছেন।

ফার্স্ট ব্যাপ্টিস্ট চার্চের বিপরীতে একটি গ্যাসস্টেশন রয়েছে। সেখানকার ক্যাশিয়ার এনবিসি নিউজকে জানিয়েছেন, তিনি ২০টি গুলির শব্দ শুনেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নুরনগরে হাবিবপুর মাদ্রাসার ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করেছেন শিক্ষক

নুরনগর থেকে পলাশ দেবনাথ : শ্যামনগর উপজেলার নুরনগরের হাবিবপুর দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিশু ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সূত্রে জানাযায় অত্র মাদ্রসার কেরাত বিভাগের ছাত্র মো. সোহেল রানা (১১)-কে একদিন মাদ্রাসায় অনপুস্থিত থাকার কারণে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে। সোহেল অত্র মাদ্রাসার বোডিং-এ থেকে মাদ্রাসায় কেরাত বিভাগে লেখাপড়া করে। মাদ্রাসা গত ৫দিন ছুটি ছিল, মাদ্রাসার সকল ছাত্ররা ছুটি কাটিয়ে শনিবার মাদ্রাসার বোডিং আসছে। কিন্তু সোহেল শনিবার মাদ্রাসায় অনপুস্থিত ছিল যার কারণে মাদ্রাসার কারী আঃ হান্নান মোল্যা শিশু সোহেলকে অমানবিকভাবে পিটিয়ে জখম করেছে। সোহেল নুরনগর ইউনিয়নের দক্ষিন হাজীপুর গ্রামের মোঃ হোসেন আলী গাজীর পুত্র। শিশুটির পিতা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন আমার ছেলেকে এভাবে হুজুর কেন মারলো তার বিচার চাই। এলাকার সচেতন মহল বলছেন কোমলমতি শিশুদের উপর এহেন আচরণ ন্যাক্কারজনক। এবিষয়ে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ মুফতি ইকবাল সোবহানের কাছে মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে তিনি শিশু সোহেল নির্যাতনের ঘটনাটি এড়িয়ে যেতে অনুরোধ জানান। এবিষয় এলাকার সাধারণ মানুষ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এবং বিচারের দাবি জানিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা পলিটেকনিকে ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ‘পলিটেকনিক রাইডার্স’ জয়ী

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াছির আরাফাতের সভাপতিত্বে খেলাটি উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি এম আজিজুর রহমান। খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এহসান হাবীব অয়ন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবীব লিমু, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান শাওন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রমজান আলী রাতুল প্রমূখ। পলিটেকনিক রাইডার্স নির্ধারিত ৮ উইকেটে ‘কম্পিউটার ৯’ স্টারকে পরাজিত করে। খেলা শেষে অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সরকারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার প্যারাডাইজ পেপারস কেলেঙ্কারি: নাম আছে ট্রাম্প, ট্রুডো ও রানি এলিজাবেথের

আবারও ধাক্কা খেল বিশ্ব। আরেকটি আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হলো আজ। কার নাম নেই এ কেলেঙ্কারিতে? ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প, এমনকি বিশ্বজুড়ে মহা নায়ক বনে যাওয়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো! প্রায় ১৪ কোটি গোপন নথি ফাঁস হওয়া এই কেলেঙ্কারির নাম দেওয়া হয়েছে প্যারাডাইজ পেপারস।

পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির ধাক্কা এখনো সামলে নিতে পারেনি অনেক দেশ। এক বছর আগের সে কেলেঙ্কারির নাম আবারও তুলতে হয়েছে আজ। গতবারের মতোই এবারও যে হাটে হাড়ি ভেঙেছে জার্মান দৈনিক জিটডয়েচ সাইতং। বারমুডায় অবস্থিত অ্যাপলবাই নামের এক আইনি সহযোগী সংঘটনের গোপন নথি জোগাড় করে সেটা তারা দিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী সাংবাদিক সংঘটনকে (আইসিআইজে)। ৬৭টি দেশের ৩৮০ জন সাংবাদিক ১ কোটি ৩৪ লাখ ডকুমেন্টস এখন তদন্ত করে দেখছে।

অধিকাংশ তথ্যই বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদদের। যারা কর থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন ট্যাক্স হেভেনে (কর দিতে হয় না কিংবা খুবই নিম্ন হারে কর দেওয়া যায় এমন দেশ) বিনিয়োগ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তদন্তের এখনো শুরু মাত্র। তাই পুরো তথ্য পাওয়া এখনো সম্ভব নয়। তবে এর মাঝেই চমকে দেওয়ার মতো কিছু তথ্য দিয়েছে বিশ্বের বড় বড় সব সংবাদমাধ্যম।

এক নজরে প্যারাডাইজ পেপারস

৩৮২ তদন্ত করছেন ৬৭টি দেশের ৩৮২ জন সাংবাদিক
১২০ ১২০ জন রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনেতার নাম এসেছে
১০৪ ১.৪ টেরাবাইট তথ্য ফাঁস হয়েছে
১৯ ১৯টি ট্যাক্স হেভেন অর্থ পাচার করা হয়েছে
অর্থ পাচারে সহযোগিতাকারী দুটো প্রতিষ্ঠানের নাম জানা গেছে

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ

গোপন নথিতে দেখা গেছে কেম্যান আইল্যান্ড ও বারমুডায় রানির নামে আলাদা তহবিল সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রায় ১ কোটি পাউন্ড পরিমাণের গোপন অর্থের হিসেব পাওয়া গেছে। এ দুটো জায়গায় রানির ৫০ কোটি পাউন্ডের ব্যক্তিগত সম্পত্তি দেখভাল করে ডাচি অফ ল্যাঙ্কাস্টার। ডাচি দাবি করছে, তারা বিনিয়োগ বিষয়ক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জড়িত ছিল না। এবং রানি নিজে এ ব্যাপারে জানেন এমন কোনো ইঙ্গিতও দেওয়া হয়নি।

এই বিনিয়োগে বেআইনি কিছুর ইঙ্গিত মেলেনি, বা বলা হয়নি রানি কর দিচ্ছেন না। কিন্তু রাজপরিবারের কারও অন্য দেশে বিনিয়োগ করা নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রাইট হাউস নামে একটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে। যারা দরিদ্রদের নিষ্পেষিত করছে বলে অভিযোগ আছে। প্রায় ১ কোটি ৭৫ লাখ পাউন্ড কর বকেয়া আছে এই প্রতিষ্ঠানের। ৬ হাজার লোক তাঁদের চাকরি হারিয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প

ট্রাম্প প্রশাসনে বাণিজ্যসচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত উইলবার রস। জনশ্রুতি আছে নব্বইয়ের দশকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছিলেন বলেই রসের এমন অবস্থান প্রাপ্তি। বিভিন্ন নথিতে দেখা গেছে রস এমন এক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত, যারা রাশিয়ান সংস্থাকে তেল ও গ্যাস শিপিং করে। যে প্রতিষ্ঠানে অংশীদার ভ্লাদিমির পুতিনের জামাই এবং আরও দুজন ব্যক্তি যারা যুক্তরাষ্ট্রের চোখে অপরাধী।

এমনিতেই ট্রাম্প ও রাশিয়ার মধ্যকার গোপন আঁতাত নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনেক ঝড় তোলা হয়েছে। এবার রসের এমন তথ্য কীসের ইঙ্গিত দেয়, সেটা সময়ই বলে দেবে।

জাস্টিন ট্রুডো

কানাডীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনে আর্থিকভাবে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন স্টেফান ব্রনফম্যান। মাত্র দুই ঘণ্টায় ট্রুডোকে আড়াই লাখ ডলার তহবিল এনে দিয়েছিলেন ব্রনফম্যান। কিন্তু গোপন নথিতে দেখা যাচ্ছে, ব্রনফম্যান ও তাঁর প্রতিষ্ঠান কেম্যান আইল্যান্ডে প্রায় ৬ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছেন। অথচ ট্রুডো বারবারই ‘অফশোর’ (কর থেকে বাঁচার জন্য বিদেশে বিনিয়োগ) বিনিয়োগের বিপক্ষে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন। ট্রুডোর জন্য এটা বিরাট বড় এক ধাক্কা।

গতবার পানামা কেলেঙ্কারিতে লিওনেল মেসির নাম এসেছিল। এবারও ফুটবল বাদ পড়েনি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব এভারটন এফসিতে বিনিয়োগ করা বড় একটা অংশ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।  সূত্র: বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস, আইসিআইজে।

অ্যাপলবাই লিকসে যে দেশের নাগরিকদের নাম পাওয়া গেছে

তালিকায় থাকা ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দেশ
৩১,১৮০ যুক্তরাষ্ট্র
১৪,৪৩৪ যুক্তরাজ্য
১২,০১৭ বারমুডা
৮,৬৪০ ক্যামান আইল্যান্ডস
৭,০৬৫ হংকং
৫,৯২৪ চীন
৩,১৭৬ কানাডা
৩,০৫৪ আইল অব ম্যান
২,৩৬৩ সুইজারল্যান্ড
২,১৬৬ ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোহিঙ্গারা গণহত্যার শিকার, পাশে আছি বাংলাদেশের- বিশ্বনেতারা

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো হত্যা-নির্যাতনের ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) ৬৩তম সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা। তাঁরা দেশে ফিরে গিয়ে তাঁদের জাতীয় ও প্রাদেশিক পার্লামেন্টে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা উত্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
একই সঙ্গে চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সিপিএ সম্মেলনে বিশেষ রেজুলেশন (সিদ্ধান্ত প্রস্তাব) গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন সিপিএ চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সিপিএ সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কোনো এজেন্ডা না থাকলেও প্রতিনিধিদের বিশেষ আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সিপিএর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। গতকাল রবিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সিপিএ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ব্রিফ করেন। এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিফিংয়ে উপস্থিত একাধিক সংসদ সদস্য জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিং শেষে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এ বিষয়ে সিপিএভুক্ত দেশগুলোর জাতীয় ও আঞ্চলিক পরিষদে আলোচনা এবং মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানান। এ সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) মতো সিপিএ সম্মেলনে একটি রেজুলেশন গ্রহণের অনুরোধ জানান। এরপর আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ১৮ দেশের প্রতিনিধি সিপিএ চেয়ারপারসনের প্রস্তাব অনুযায়ী রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে নিজ নিজ দেশের পার্লামেন্টে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দেন। তাঁরা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধানের দেওয়া প্রস্তাবের আলোকে সিপিএ সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের রেজুলেশন গ্রহণের পক্ষে ঐকমত্য প্রকাশ করেন।
এ সময় সিপিএ চেয়ারপারসন প্রস্তাবটি বিবেচনার আশ্বাস দেন। তিনি এ বিষয়ে নির্বাহী কমিটিতে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে প্রতিনিধিদের জানান। ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘যেকোনো বিরোধ নিষ্পত্তিতে বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী। রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারের সৃষ্টি। তাদেরই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। মিয়ানমারের কারণে আজ আমরা সংকটের মুখোমুখি। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের কারণে আমাদের কঠিন চাপে পড়তে হয়েছে। এ সংকট নিরসনে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। ’ এ সময় অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টির এমপি মার্গারেট কোয়ার্ক রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারত ও চীন কিভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে? জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরের সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। চীন ইতিমধ্যে সহায়তা পাঠিয়েছে।

ব্রিফিং শেষে আলাপকালে বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্ট সদস্যরা বাংলাদেশের পক্ষে তাঁদের অবস্থানের কথা জোরালোভাবে তুলে ধরেন। মালদ্বীপের স্পিকার আব্দুল্লাহ মাসেহ মোহাম্মদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে মিয়ানমারে এ ধরনের নির্যাতন হচ্ছে, যা জঘন্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘন। এটা গণহত্যা। এটা বন্ধ করতে হবে। এ জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সিপিএ সম্মেলনে আমাদের প্রস্তাব পাস করতে হবে। ’

যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য জন ফকস বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ যা করছে তা প্রশংসার যোগ্য। মিয়ানমার যা করেছে তা যে গণহত্যা, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এই সম্মেলনে কোনো একটা প্রস্তাব না এনে বাংলাদেশ ত্যাগ করাটা বাংলাদেশের ওপর অবিচার করা হবে। সম্মেলনে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিরা কক্সবাজারে গিয়ে রোহিঙ্গাদের দুরবস্থা দেখে আসতে পারেন বলে তিনি প্রস্তাব দেন। আগামী ২৩ নভেম্বর হাউস অব লর্ডসে তিনি বিষয়টি তুলবেন বলেও শ্রতিশ্রুতি দেন।

পাকিস্তানের পার্লামেন্ট সদস্য নাফিজা শাহ বলেন, ‘পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার খর্বের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের প্রতি আমরা আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করি। বাংলাদেশ একটি কঠিন সময় অতিক্রম করছে, এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে চাই। আমরা চাই মিয়ানমার সরকার দ্রুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়াসহ সব অধিকার নিশ্চিত করবে। ’

সাউথ ওয়েলসের পার্লামেন্ট সদস্য মো. আজগর বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যাটি আমি বুঝি। বাংলাদেশের ওপর যে চাপ এখন চলছে সেটাও সহজে অনুমান করা যায়। এ বিষয়টি নিয়ে সম্মেলনে একটি প্রস্তাব আনা হোক। কমনওয়েলথ একটি বড় প্ল্যাটফর্ম, যেখান থেকে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা যেতে পারে। ’

কানাডার সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান বলেন, ‘মিয়ানমারে যা হয়েছে তা গণহত্যা। আমরা চাই, এ সমস্যার সমাধান হোক। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া হোক। ’ তিনি বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ব্যাপক প্রশংসা করেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার ডেপুটি স্পিকার লেসা সেলোনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি আমরা একাত্মতা প্রকাশ করি। রাখাইনের ঘটনার নিন্দা জানাই। ’ চলমান সংকট নিরসনে মিয়ানমারের প্রতি চাপ অব্যাহত রাখতে তিনি সব দেশের প্রতি আহ্বান জানান।

মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট সদস্য ড. মো. হাতা রামলি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারে প্রতিনিধিদল পাঠাতে পারি। সেখানে আমাদের বার্তা পৌঁছাতে পারি, যাতে তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়। তাদের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করে এবং সব ধরনের নির্যাতন বন্ধ করে। ’

ক্যামেরুনের এমপি নোয়াম তেবো জন বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতি আমরা আন্তরিক সহমর্মিতা জানাই। নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মহানুভবতা দেখিয়েছে। তবে বাংলাদেশের পক্ষে একা এই চাপ সহ্য করা কঠিন হবে। দ্রুত সংকট নিরসন হবে বলে আমি আশাবাদী। ’

এদিকে গতকাল দিনের কার্যসূচি শেষে বিআইসিসি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর ব্রিফিংয়ে রোহিঙ্গাদের ইতিহাস তুলে ধরেছেন। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের সে দেশের নাগরিক বলে অস্বীকার করলেও রোহিঙ্গারা যে সেখানে পার্লামেন্ট সদস্য ছিল তার তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরেছে। জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পাঁচ দফা প্রস্তাবের আলোকে তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সিপিএ প্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন। বলেন, প্রতিনিধিদের সবাই এ ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁরা রাখাইনে হত্যা-নির্যাতনের ঘটনাকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি তাঁরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাজী নাবিল বলেন, ‘ইতিমধ্যে সিপিএ প্রতিনিধিদের অনেকেই কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। তার পরও যাঁরা ক্যাম্প পরিদর্শনে যেতে চান, তাঁদের জন্য জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সংকট নিরসনে ইতিমধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও সে দেশ সফর করেছেন। আমরা আশা করছি, দ্রুত এ সংকট নিরসন হবে। ’

সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, তানভীর ইমাম ও পংকজ দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।

এশিয়া গ্রুপের বৈঠক : সম্মেলন চলাকালে গতকাল বিকেলে এশিয়া গ্রুপের একটি রিজিওনাল বৈঠকেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরা হয়। এ সময় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, এ সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি, তাই তাদেরই এর সমাধান করতে হবে। পূর্ণ নাগরিকের মর্যাদা দিয়ে নিঃশর্তভাবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি মিয়ানমার সরকারের প্রতি চাপ বাড়াতে এশিয়াভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুটি রেজুলেশন আকারে গ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঝাল খাবার খাওয়া কি আদৌ উচিত?

ঝাল, মশলা সহযোগে বানানো খাবার ছাড়া তো আমাদের মুখেই উঠেনা। কিন্তু এমন খাবার খাওয়াটা কি আদৌ উচিত? এ বিষয়ে হওয়া গবেষণা এবং চিকিৎসকেদের মতামত নিয়ে আলোচনা করা হবে, তবে তার আগে জানার চেষ্টা চালাবো কেন আমরা এমন ঝাল খাবার খেতে পছন্দ করি।
বেশ কিছু কেস স্টাডিতে একটা কথা সামনে এসেছে যে ঝাল খাবার খাওয়ার অভিজ্ঞতাকে অনেকে রোলার-কোস্টার রাইডের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন।

আসলে সবই জানেন ঝাল খেলে হুস-ফাস করতে হবে। হবে অল্প-বিস্তর কষ্টও। তবু সেই অভিজ্ঞতা পেতে সবাই মুখিয়ে থাকেন। আর যদি বাঙালির কথা বলেন তো, তাহলে বলতে হয়, আমাদের জিনেই রয়েছে তেল-ঝালের প্রতি এক অমোঘ প্রেম। কিন্তু প্রশ্ন হল এমন ঝাল দেওয়া খাবার খেলে কি শরীরে বিবিধ অঙ্গের ক্ষতি হয়ে থাকে? গবেষকদের মতে ঝাল খাবার খেলে শরীরের নানা উপকার হয়। যেমন…

১. ওজন কমে:
একেবারে ঠিক শুনেছেন! নিয়মিত ঝাল খাবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকতে বাধ্য হয়। কারণ লঙ্কার শরীরে উপস্থিত ক্যাপসিসিন নামক উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর মেটাবলিজেম রেট এতটা বাড়িয়ে দেয় যে ফ্যাট জমার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে ফ্যাট বার্ন করার প্রক্রিয়াকেও ত্বরান্বিত করে।
ফলে ওজন বাড়ার কোনও আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত, ঝাল খাবার খাওয়ার পর প্রায় ২০ মিনিট পর্যন্ত ক্যাপসিসিন শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদকে গলাতে থাকে। তাই তো চটজলদি ওজন কমাতে লঙ্কা দিয়ে বানানো ঝাল জাল খাবার খাওযার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

২. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:
সমগ্র বিশ্বজুড়ে হওয়া একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যেসব দেশের নাগরিকেরা বেশি মাত্রায় ঝাল খেয়ে থাকেন, তাদের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। কারণ লঙ্কা দিয়ে বানানো ঝাল খাবার খেলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। সেই সঙ্গে হার্টের অন্দরে হওয়া ইনফ্লেমেশনও কমে। ফলে নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৩. ক্যান্সার রোগ দূরে থাকে:
আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চের প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে কাঁচা লঙ্কায় উপস্থিত ক্যাপসিসিন, ক্যান্সার সেলেদের মেরে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ঝাল খাবার তৈরি করার সময় ব্যবহৃত হলুদ এবং সরষের তেলও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয়। গবেষণা অনুসারে হলুদ এবং সরষের তেল ক্যান্সার সেলের গ্রোথ আটকাতে এবং টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, আমরা অনেকেই খাবারের স্বাদ বাড়াতে গোলমরিত ব্যবহার করে থাকে। এই মশলাটিও ক্যান্সার রোগের প্রতিরোধে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।

৪.ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:
ঝাল খাবার খাওয়া মাত্র সারা শরীর গরম হয়ে যায়। ফলে রক্তের প্রবাহ বাড়ে যাওয়ার কারণে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় নেমে আসতে সময় নেয় না। প্রসঙ্গত, লঙ্কায় উপস্থিত ভিটামিন এ এবং সি-ও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাকে মজবুত করতে এবং সংক্রমণকে দূরে রাখতেও সাহায্য় করে।

৫. মানসিক অবসাদ দূর করে:
বেশ কয়েকদিন ধরেই মনটা কেমন দিশেহারা। সেই সঙ্গে হাসিও যেন দূর পালিয়েছে! তাহলে আর সময় নষ্ট না করে পছন্দের ঝাল খাবার খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন নিমেষে মন ভাল হয়ে যাবে। কারণ এমন ধরনের খাবার খাওয়া মাত্র আমাদের মস্তিষ্কে সেরাটোনিন নামক “ফিল গুড” হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে মন খারাপের কালো মেঘ কাটতে সময় লাগে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest