সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলায় ৩৩ জনের জামিনসাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন, থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন আসামিরাভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যু

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ সাতক্ষীরার ডা: মোখলেছ সম্পাদক ডা: মনোয়ার

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ(স্বাচিপ) এর সাতক্ষীরা জেলা শাখার কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাচিপ এর সভাপতি অধ্যাপক ডা: এম ইকবাল আর্সলান এবং মহাসচিব অধ্যাপক ডা: এম এ আজিজ স্বাক্ষরিত এক পত্রে ডা: এস এম মোখলেছুর রহমানকে সভাপতি, ডা: মো: মনোয়ার হোসেন কে সাধারণ সম্পাদক, ডা: মো: শামছুর রহমান যুগ্ম সম্পাদক ও ডা: সুমন কুমার দাশকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৬ সদস্য বিশিষ্ট সাতক্ষীরা জেলা স্বাচিপের কমিটি অনুমোদন দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধুর নৌকা ও শেখ হাসিনার বিকল্প নেই- শিবপুরে এমপি রবি

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- নিয়ে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে সদরের শিবপুর ইউনিয়নের খানপুর ও বাঁশতলা এলাকায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরে উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছিল বলেই আজকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেশের বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে জঙ্গি দমন, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ, শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ প্রতিটি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে দেশের জনগণ আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে। দেশে আবারো জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। আবারো সারা দেশে বোমাবাজি হবে। তাই জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কি জনগণের সাথে থাকবে, না জঙ্গিবাদের সাথে থাকবে। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের শেষে যে নির্বাচন হবে তাতে জয়লাভ করে আওয়ামীলীগ সরকার আবার ক্ষমতায় যেতে পারলে দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকা-গুলো শেষ করার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের গতিকে আরো ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এই সরকারের গৃহীত প্রকল্পগুলো যথাসময়ে শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ’৯৬ সালে ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসার পর পরই আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নে অনেকগুলো প্রকল্প গ্রহণ করেছিল কিন্তু ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে না পারায় বিএনপি-জামায়াত সে সব উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন উল্লেখ করে বলেন, একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে যখন দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই আমাদের দেশের উন্নয়নের চাকা থেমে গিয়ে হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র এবং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পালা শুরু হয়ে দেশে একটা লুটপাটের রাজত্ব কায়েম হয়। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেই জাতির পিতার আদর্শ ও নীতি অনুসরণ করে দেশের সার্বিক উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং দেশ প্রথমবারের মত খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। তিনি বলেন, সে সময় ৫টি বছর মাত্র আমরা হাতে পেয়েছিল জননেত্রী শেখ হাসিনা। উন্নয়নের যে কাজগুলো তখন সারাদেশব্যাপী শুরু হয়েছিল কিন্তু দুর্ভাগ্য সেটাও থেমে যায় ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর। হত্যা, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাংলাভাই সৃষ্টি, লুটপাট ও দুর্নীতি- এছাড়া আর কোন উন্নয়ন তারা (বিএনপি-জামায়াত) করতে পারেনি। সে সময় বাংলাদেশের টানা ৫ বার দুর্নীতিতে শীর্ষস্থান দখলের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেন, এই অবস্থায় দেশকে তারা একটি অরাজকতার দিকে নিয়ে যায়। ফলে দুই বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকে এবং এই ৭ বছর দেশের উন্নয়ন সম্পুর্ন্নরুপে থেমে গিয়েছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করলে পুরনো উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো পুনরায় চালুর সঙ্গে সঙ্গে অনেকগুলো নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে। বর্তমান সরকারের আমলে দেশের জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষের আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেখছি যারা আগে একটা গাড়ি ব্যবহার করতো তারাই এখন একাধিক গাড়ি ব্যবহার করছে। এরফলে কিছুটা যানজট বৃদ্ধি পেলেও গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি মানুষের সেই অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি সূচক। তিনি বলেন, যত উন্নয়ন হবে ততই মানুষের সবকিছু ব্যবহারের সক্ষমতার বিকাশ ঘটবে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ একটি সন্মানজনক অবস্থায় আছে। সমগ্র বিশ্বে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের একটি রোল মডেল। আর এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। উন্নয়ন কর্মকান্ডকে এগিয়ে নেয়ায় সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকা জররিী এমন মন্তব্য করে এমপি রবি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলেই উন্নয়ন গতিশীল হয়। সেটা নিশ্চয়ই আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর যেসব উন্নয়ন কর্মকান্ড গ্রহণ করেছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা সেগুলো একে একে শেষ করেছেন। আর ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বলেই আজকের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়েছেন। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা বিজয়ী হতে পারলেই এই উন্নয়নের গতি আরো ত্বরান্বিত হবে। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধুর নৌকা ও শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ’
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক শেখ নুরুল হক, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, নির্বাহী সদস্য ও জজ কোর্টর অতিরিক্ত পিপি এড. আব্দুল লতিফ, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম রেজাউল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুলখা দাস, দপ্তর সম্পাদিকা তহমিনা ইসলাম, শিবপুর ইউনয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. শওকাত আলী, শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান মানি, খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম ইসলাম, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহারুল ইসলাম, কুশখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা রিয়াজুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা আব্দুস সবুর ও ইউপি সদস্য ইব্রাহীম খলিল প্রমুখ। এসময় দলীয় নেতৃবৃন্দ ও অসংখ্য সাধারণ নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মানব উন্নয়ন একটা বড় অংশ মহিলাদের উন্নয়ন – ডা. রুহুল হক এমপি

তরিকুল ইসলাম লাভলু : সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা শরীফ টাউনপাড়ায় সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক’র নিজস্ববাসভবনে ৬ নভেম্বর রবিবার বিকাল ৪ টায় নলতা ইউনিয়ন মহিলা আওয়ালীগের আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেন, মানব উন্নয়ন একটা বড় অংশ মহিলাদের উন্নয়ন। বাংলাদেশ আ’লীগ সরকার উন্নয়নের সরকার। শিক্ষা, চাকুরির ক্ষেত্রে মহিলাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাভাতা, উপবৃত্তি, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা আ’লীগ সরকারের অবদান। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে আপনাদের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। মাতৃত্বমৃত্যু কমাতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই দেশ ও জাতির উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে আবারো আ’লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে নলতা ইউনিয়ন মহিলা আ’লীগের সভানেত্রী মিসেস সাবিনা ইয়াসমিন লিপির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য এস.এম আসাদুর রহমান সেলিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, নলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফিরোজ শাহরিয়ার, সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিজুল ইসলাম,নলতা এ.এম.আর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও মহিলা আ’লীগের সকল পর্যায়ের সদস্যবন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে মাদকাসক্ত স্বামীকে পুলিশে দিলো স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মাদকাশক্ত স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করলো স্ত্রী। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার সদরের চন্ডীপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আটক মাদকাশক্ত স্বামীর নাম ফিরোজ গাজী। সে চন্ডীপুর গ্রামের মৃত নজির গাজীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, স্বামী ফিরোজ গাজী তার স্ত্রীর কাছে মাদক সেবনের জন্য টাকা চেয়ে না পাওয়ায় সে তার স্ত্রীকে ব্যপক মারপিট করে। এক পর্যায়ে সে তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। স্ত্রীর আতœ চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে এবং তার স্বামী ফিরোজকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
শ্যামনগর থানার ওসি তদন্ত শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে ফিরোজকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে সেখানকার বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মান্নান আলী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় ডিজিটাল হাজিরায় বিদ্যালয়ে বেড়েছে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি

কে এম রেজাউল করিম, দেবহাটা ব্যুরো : জেলার প্রথম শতভাগ ডিজিটাল হাজিরার আওতায় দেবহাটা উপজেলা। বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে প্রাথমিকস্থর থেকে ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যববহারের সাথে সাথে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে এ উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। আর এতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে আধুনিকায় পদ্ধতির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। যার ধারাবাহিকতায় শ্রেণি কক্ষে মাল্টিমিডিয়ায় ক্লাস নেওয়ার পাশাাশি নতুন যোগ হচ্ছে ডিজিটাল হাজিরার ব্যবস্থা। যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হাজিরা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি উপস্থিতর সংখ্যা বাড়াতে সাহায্যে করছে। সেই সাথে ঝরে পড়া শিশুর সংখ্যা কমিয়ে উপস্থিতির সংখ্যা বাড়াচ্ছে। পাঠদান ও সহজ পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে মাল্টিমিডিয়ায় ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রথামিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি এখন মোবাইল ব্যাংক শিওর ক্যাশের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এতে অভিভাবকদের ভোগান্তি পাশাপাশি বাড়তি সময় কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এমনকি বছরের প্রথম দিন শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান সরকার।
তারই ধারাবাহিকতায় দেবহাটা ঝরে পড়া রোধে গত ২৩ অক্টোবর সোমবার জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে দেবহাটায় ডিজিটাল হাজিরা উদ্বোধন করেন। পরে উপজেলা ২৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন এবং ৬০ প্রাথমিক বিদ্যলয়ে ১৯ ইঞ্চি মনিটর, ১৬জিবি পেনড্রাইভ বিতরন করা হয়।
ডিজিটাল হাজিরার বিষয়টি নিয়ে দেবহাটা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী তামান্না ইসলাম, ৪র্থ শ্রেণির লতা বিশ্বাস ও দেবজ্যেতি জানায়, প্রথমে ডিজিটাল হাজিরা দিতে তারা ভয় পেলেও বর্তমানে নিজেরা হাজিরা দিতে পারে। এতে তাদের ভিতর অনেক আনন্দ ও উৎসাহ কাজ করে। এমনকি সকাল হলে ডিজিটাল হাজিরা প্রদানের আনন্দে সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে আসে। তাদের ভিতর নতুন শক্তি ও সাহস সঞ্চয় হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপ কুমার দাশ বলেন, শিক্ষদের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীরা সময়মত বিদ্যালয়ে আসেন। কেননা জিডিটাল হাজিরায় কোন লুকোচুরি করার সুযোগ নেই। এতে করে অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের সময়মত বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তাতে বেড়েছে উপস্থিতির সংখ্যা।
এদিকে পারুলিয়া জেলিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত ঘোষ জানান, আমার বিদ্যালয়ে ৪ শতাধীক ছাত্র-ছাত্রীর জন্য একটি হাজিরা মেশিন হওয়ায় শিশুদের মধ্যে প্রতিযোগীতা চলতে থাকে। যাতে হাজিরা প্রদানে সময় বিলম্ব হচ্ছে। আরো একটি মেশিনের ব্যবস্থা করা হলে হাজিরা প্রদানে সময় নষ্ট কমানো সম্ভব হবে বলে দাবি করেন তিনি।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল-আসাদ জানান, ডিজিটাল হাজিরার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রাথমিক স্থর থেকে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করছে। সাথে সাথে সময়ের মূল্য ও নিয়মনীতি সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে। আগামী প্রজন্মকে সু-শিক্ষিত করতে বর্তমান সরকারের এটি একটি মহত উদ্যোগ। তিনি আরো বলেন, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিশুদের দৈনিক হাজিরা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জিডিটাল পদ্ধতিতে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সময় উপযোগী পদক্ষেপ এই ডিজিটাল হাজিরা। সাতক্ষীরার প্রথম দেবহাটা উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সুশৃংঙ্খল ভাবে শতভাগ ডিজিটাল হাজিরার নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এমনকি আমার অফিসেও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ডিজিটাল হাজিরার আওতায় নিয়ে এসেছি। আগামীতে উপজেলার প্রত্যেকটি দপ্তর ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এই হাজিরার আওতায় এনে প্রধান মন্ত্রীর স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে করতে নিরালস ভাবে কাজ করছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘বেতনা নদী বাঁচাও’ দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি : ‘মরা নদী বেতনা বাঁচাও’ দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সাতক্ষীরা জেলা সম্মিলিত ঐক্য পরিষদ। নদী তীরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার দাবিও করেছেন তারা।
সোমবার সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে বক্তারা বলেন, বেতনা নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় তীরবর্তী চারটি ইউনিয়নের ৭০ টি গ্রামের মানুষ ভোগান্তির মুখে পড়েছে। প্রতিবছর তারা জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে। সব ফসল তলিয়ে যাচ্ছে পানিতে। এর প্রভাব পড়েছে মানুষের আর্থ সামাজিক জীবনের ওপর। বেকার হয়ে পড়ছে শত শত মানুষ। এরই মধ্যে বেতনার তীর জুড়ে গড়ে উঠেছে ইট ভাটা। এতে পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিশুরা বৈরী পরিবেশের শিকার হচ্ছে।
অবিলম্বে বেতনা নদী খনন করে পানি প্রবাহ স্বভাবিক করার দাবি জানিয়ে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আবদুস সামাদ, আবিদুর রহমান, কওছার আলি, শাহজাহান গাজি, আবদুর রশীদ, মফিজুর রহমান প্রমুখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ৪ ভুয়া চিকিৎসককে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় প্রতারণার মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চক্ষু চিকিৎসা সেবার নাম করে মোটা অংকের অর্থ আদায়ের অভিযোগে চার ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপার্দ করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ২ টার দিকে সদর উপজেলার ব্রম্মরাজপুর বাজার থেকে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে পুলিশে সোপার্দ করে।
আটককৃতরা হলেন, ক্যাম্প ডাইরেক্টর এসকে আবু তালাহ সবুর, মো: মিজানুর রহামনা ও মার্কেটিং অফিসার ফয়সাল আহমেদ আহমেদ রনিসহ চার জন।
স্থানীয় ইউপি মেম্বর রেজাউল করিম মিঠু ও সাবেক ইউপি মেম্বর অজিয়ার রহমান জানান, রোববার সারাদিন ধুলিহর ও ব্রম্মরাজপুর বাজার এলাকায় মাইকিং করে বলা হয় ঢাকা নিউ লায়ন্স চক্ষু হসপিটালের ব্যাবস্থাপনায় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। সোমবার ডিবি ইউনাইটেড হাইস্কুলে যথারিতি চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। প্রথমে রুগি প্রতি ৩০ টাকা ফিস নিয়ে এই সেবা দেওয়া হবে বলে তারা জানায়। এরপর ঔষধ ও চশমা বাবদ জন প্রতি ৫’শত থেকে ৬’ শ টাকা নেয়া হবে।
মেম্বর রেজাউল করিম মিঠু আরও জানান, ১৫ দিন আগে এই প্রতারক চক্রটি ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদে এসে এশিয়া ডিজিটাল আই হসপিটালেন নাম করে চিকিৎসা দিয়ে যায়। সেখান থেকে তার প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, ধুলিহর গ্রামের মৃত জামালউদ্দিনের ছেলে সুজাউদ্দিনের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় জনতাকে নিয়ে সেখানে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করা হয় তারা কোন মেডিকেল থেকে পাশ করেছেন এবং সিভিল সার্জনের অনুমতি আছে কিনা। এতে তারা কোন সদুত্তর দিতে না পারায় তাদেরকে সদর থানা পুলিশে সোপার্দ করা হয়। তিনি আরও জানান, প্রতারক চক্রটি সুজাউদ্দিনকে ঢাকায় পাঠিয়ে লেন্স লাগোনোর নাম করে চিকিৎসা তো দেয়নি বরং তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা প্রতারনা করে নিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। তিনি জানান, জেলায় চারটি প্রতারক চক্র এমন কাজ করছে। যারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেয়ে সাধারন মানুষকে ঠকিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ চারজনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ইন্টারনেটে ভিডিও প্রকাশ, লম্পট আটক

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে এক লম্পট যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের নাটুয়ার বেড় নামক গ্রাম থেকে লম্পট নাজমুল হককে (২২) আটক করা হয়। সে ওই গ্রামের হান্নান মল্লিকের ছেলে।
পুলিশ ও ভিকটিমের স্বজনরা জানান, নূরনগর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্রী ও নাটুয়ার বেড় গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ের সাথে একই এলাকার নাজমুল হকের সাথে ৪ মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নাজমুল ওই ছাত্রীর সাথে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং অন্তরঙ্গ মুহুর্তগুলো ভিডিও ধারণ করে। কয়েক দিন আগে তাদের মধ্যে এ নিয়ে মন মালিন্য হলে ওই ধারনকৃত ভিডিও ইন্টানেটে ছেড়ে দেয় বখাটে নাজমুল। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে গত (৫ নভেম্বর) রোববার ধর্ষক নাজমুলের বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নংÑ৩। এর পরদিন সোমবার ভোরে পুলিশ ধর্ষক নাজমুলকে তার বাড়ি থেকে আটক করে।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ লস্কর জায়াদুল হক জানান, আটক নাজমুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণসহ মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তিনি আরো জানান, ধর্ষক নাজমুলকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। একই সাথে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest