সর্বশেষ সংবাদ-
অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভালাপা প্রকল্পের জেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডার পরামর্শ সভাসাতক্ষীরায় যৌথবাহিনির অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ তিনজন আটকসাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা

দেবহাটায় ট্রাক চাপায় হেলপারের মৃত্যু

 

দেবহাটা ব্যু‌রো : সাতক্ষীরার দেবহাটায় ট্রাক চাপায় একজনের মৃত্যু ঘটেছে। শনিবার সকাল ৫ টার দিকে উপজেলার পারুলিয়া সেকাই মোড় এলাকায় এঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকালে কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া গ্রামের রজব আলীর পুত্র ২ সন্তানের জনক রফিকুল ইসলাম ট্রাক হেলপার সেকাই মোড়ে ট্রাক রেখে পানি আনতে যায়। পানি নিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় কালিগঞ্জ থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা পড়ে যেয়ে চাকায় পিষ্ট হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে সে মারা যায়।তবে ঘাতক ট্রাককে আটক করা সম্ভব হয়নি। দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অসুস্থ অপু কলকাতায়; ছেলের দেখা পেলেন না শাকিব খান

চিত্রনায়ক শাকিব খানের একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়কে নিকেতনের বাসায় রেখে সকালে (শুক্রবার) কলকাতা গেছেন অপু বিশ্বাস। জানানো হয়েছে, অপু অসুস্থ; চিকিৎসা নিতে কলকাতা গেছেন তিনি। অপুর কলকাতা যাওয়ার বিষয়টি জানার পরও ছেলেকে দেখতে গিয়েছিলেন শাকিব। তবে ছেলের দেখা পাননি তিনি।

জানা গেছে, আজ রাত (শুক্রবার দিনগত) সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর নিকেতনের বাসায় ছুটে যান শাকিব। তবে ১৪ মাস বয়সী ছেলে জয়ের দেখা পাননি তিনি।

এ ব্যাপারে শাকিব খান বলেন, আমি নিকেতনের বাসায় গিয়ে দেখি ঘর তালাবন্ধ। এরপর ফিরে আসি। স্থানীয় হাউজিং সোসাইটি কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অপু কলকাতায় গেছে এটা লোকমুখে শুনেছি। শুনে অবাক হয়েছি। এতটুকু বাচ্চাকে রেখে সে হঠাৎ কলকাতায় চিকিৎসা নিতে কেন গেল এটাও আমার জানা নেই।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে বাথরুমে পা পিছলে পড়ে যান অপু বিশ্বাস। এতে সিজারের সময় করা সেলাই ফেটে রক্ত বের হয়। প্রাথমিকভাবে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার সকালে কলকাতায় পৌঁছান অপু। সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চিটাগং ভাইকিংস’র বিরুদ্ধে খুলনার দাপুটে জয়

হারের বৃত্তে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে চিটাগং ভাইকিংস। ছয় ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে তারা।
চলমান বিপিএলের ১৮তম ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় খুলনা টাইটান্স এবং চিটাগং ভাইকিংস। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্স ৫ উইকেটে হারিয়েছে চিটাগং ভাইকিংসকে।

টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন খুলনার দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। টস হেরে ব্যাট করা লুক রঞ্চির চিটাগং নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬০ রান। জবাবে ১৮.২ ওভার ব্যাট করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা টাইটান্স।

এদিন ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি চিটাগংয়ের। দলের প্রধান ব্যাটসম্যান লুক রঞ্চি ফিরে যান প্রথম ওভারেই। এরপর দলের হাল ধরেন এনামুল হক বিজয় ও সৌম্য সরকার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তাঁরা যোগ করেন ৯৫ রান।
দলীয় ১০১ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ৩৪ বলে ৩২ রান করে আউট হন সৌম্য সরকার। সৌম্য ফেরার পর পরই বিজয় ও সিকান্দার রাজাকে হারিয়ে বসে দলটি। ৪৭ বলে পাঁচটি ও তিন ছয়ে ৬২ রান করেন এনামুল হক বিজয়। শেষ পর্যন্ত ভ্যান জাইলের ১৫ বলে ২৩ ও নজিবুল্লাহ জাদরানের ১৫ বলে ২৪ রানে ভর করে ১৬০ রান সংগ্রহ করে চিটাগং ভাইকিংস।

খুলনার পক্ষে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আবু জায়েদ ৪ ওভার বল করে ২৬ রান খরচায় তুলে নেন ৩টি উইকেট। খুলনার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট।

১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে স্কোরকার্ডে ১৫ রান যোগ করতেই ফিরে যান মাইকেল ক্লিঙ্গার। এরপর তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে চার রান করেই সাজঘরে ফেরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ধীমান ঘোষ। তবে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে রানের চাকা সচল রাখেন বাঁহাতি প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান রুশো। তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার ২৬ বলে পাঁচ চার ও তিন ছয়ে করেন ৪৯ রান।

রুশোর বিদায়ের পর ১৯ রানের ব্যবধানে বিদায় নেন নাজমুল হাসান শান্তও। এরপর খুলনাকে পথ দেখান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আরিফুল হক। পঞ্চম উইকেটে দু’জন মিলে গড়েন ৭০ রানের জুটি। আরিফুল হককে ৩৪ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। এরপর কার্লোস ব্রাথওয়েটের এক চার ও এক ছয়ে সমতায় আসে খুলনা। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্রিস জর্ডানের বলে মাহমুদউল্লাহর বাউন্ডারিতেই নিশ্চিত হয় খুলনার জয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার

বিএনপির ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে পল্টন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হক বলেন, ‘ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পল্টন থানার দু’টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর অন্যান্য থানাতেও একাধিক মামলা রয়েছে।’

ছাত্রদলের ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মাহমুদ বলেন, ‘প্রেসক্লাবে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ছাত্র ফোরামের একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে অংশগ্রহণ করতে যাওয়ার পথে পল্টন মোড়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদককে ডিবি পুলিশ  গ্রেফতার করেছে।’

এদিকে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এক বিবৃতি তিনি বলেন, ‘সারাদেশে বিএনপি ও তার অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ধারাবাহিকতায় আকরামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূলত বর্তমানে চলমান ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদী তরুণ নেতৃত্বকে ধ্বংস করতেই সরকার ছাত্রদল নেতাদের গ্রেফতার করছে। তারই শিকার হলো আকরাম।’ ছাত্রদল নেতা আকরামের মুক্তির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফুলকপির অজানা ৫ অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণ

চলছে শীতকাল। বাজারে রমরমা শীতের সবজি। শীতের সবজির অন্যতম ফুলকপি। স্বাদের বাইরেও ফুলকপির রয়েছে কিছু অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণ।

আসুন জেনে নিই এমন পাঁচটি স্বাস্থ্যগুণের কথা:

১। কমে কোলেস্টেরল: নিয়মিত শীতকালে যদি ফুলকপি খান তাহলে, কমবে আপনার কোলেস্টেরল।

২। ওজন কমায়: ফুলকপি কিন্তু আপনাকে ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

৩। বাড়ায় হাড় ও দাঁতের শক্তি: ফুলকপি খেলে দাঁতের এবং হাড়ের জোর বাড়ে। অর্থাৎ, দাঁত এবং হাড় আরও বেশি শক্তিশালী হয়।

৪। প্রতিরোধ করে ক্যানসার: ফুলকপি ক্যানসার রোগকে প্রতিহত করতে পারে।

৫। হার্টের জন্যও ভালো: ফুলকপি খেলে আপনার হার্ট সতেজ এবং ভালো থাকবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শীতের দিনে রোজ স্নান নয়, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদেরই

হিমের পরশ গায়ে লাগলেই বুক দুরুদুরু। শুধু আমলকী বনের নয়, ছাপোষা মানুষেরও বটে। আসলে মাঘের শীত বাঘের গায়ে। কিন্তু মাঘ না হলেও শীতে কাবু মানুষ। শীতের রঙিন দিনে যতই খুশির পসরা সাজানো থাক না কেন, ভয়ের জায়গাও কিন্তু কম নয়। সবথেকে ভয় বোধহয় স্নানে। আট হোক কিংবা আশি, শীতের দিন স্নানের জলকে ভয় পান না এমন মানুষ বিরল। আর শীতকাতুরে হলে তো কথাই নেই।

তবে শীতের হাত থেকে পালাতে স্নানে ফাঁকি দেওয়ার যে প্রবণতা ছিল তা বোধহয় একেবারে অমূলক নয়। অন্তত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা তেমনটাই বলছেন। সারা পৃথিবী জুড়েই এ ব্যাপারে একমত চিকিৎসকরা। প্রতিদিন স্নান করলে ত্বকের বেশ ক্ষতি হতে পারে। আর তাই প্রতিদিন স্নানের বিরুদ্ধেই মত তাঁদের। শীতকালের সকালও তার ব্যতিক্রম নয়।

কিন্তু প্রতিদিন স্নান না করলে একটা নোংরা নোংরা ভাব ঘিরে ধরে আমাদের। তা কতটা খাঁটি? বস্টনের এক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন, প্রতিদিন স্নান করাটা অনেকটাই সামাজিক নিয়ম। এর সঙ্গে নোংরার কোনও সম্পর্ক নেই। কেননা শরীরের নিজস্ব ক্রিয়াই ত্বককে নোংরা হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। সেটা স্নান করলেও হয়, না করলেও হয়। সুতরাং নোংরা তাড়াতে স্নানের দাওয়াই ততটা কার্যকরী নয়। অবশ্যই একেবারে স্নান না করা পক্ষে সওয়াল করেননি তিনি। তবে তাঁর মতে, প্রতিদিন স্নান করতে হবে ত্বকের জন্য অন্তত এটা খুব একটা যুক্তিযুক্ত নয়।

ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে শীতের দিনে আমরা সাধারণত গরম জলে স্নান করে থাকি। তাতে শরীর আরাম পায় বটে। কিন্তু ত্বকের দফারফা। কেননা এর ফলে ত্বক শুকনো হয়ে যায় এবং স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারায়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, স্নানের সময় যেন এক্ষেত্রে বেশি না হয়।

প্রতিদিন স্নান না করার পক্ষে আরও একটি যুক্তি দেখাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সেটি হল ব্যাকটেরিয়ার ধ্বংস হওয়া। শরীর তার নিজের প্রয়োজনে কিছু ভাল ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয়। যা টক্সিনের হাত থেকে ত্বককে বাঁচায়। কিন্তু প্রতিদিন স্নানের ফলে সেগুলির মৃত্যু হয়। তাতে আখেরে ক্ষতি হয় শরীরেরই।

এছাড়া নখেরও ক্ষতি হয়। কেননা স্নান করার সময় নখ জল শোষণ করে। যা ধীরে ধীরে নখকে নষ্টের দিকে ঠেলে দেয়।

তাহলে শীতে স্নানের ভয় নেহাত অযৌক্তিক নয়। অন্তত বিশেষজ্ঞদের যুক্তিগুলো যে খানিকটা ঢাল হল, তা হয়তো শীতকাতুরে মাত্রই স্বীকার করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বড়দলে পাউবো’র বেড়িবাঁধে ফাঁটল, ঝুঁকিতে ১২ হাজার বিঘা ফসলি জমি

মোস্তাফিজুর রহমান : আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের মরিচ্চাপ নদীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের বভিন্ন জায়গায় একাধিক অভ্যন্তরীন ফাঁটলের কারনে ঝুকিতে প্রায় ইউনিয়নের ১২ হাজার বিঘা জমির ফসলি খেত। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা দেখেও না দেখার আর জেনেও না জানার ভান করে আছেন।
বড়দল ইউপি’র ০২ ওয়ার্ড মেম্বর দিলীপ কুমার মন্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে দেখা গেছে পাউবো’র বেড়ি বাঁধের কিছু করুন অভ্যন্তরীন ফাঁটলের চিত্র। ইউনিয়নের বামনডাংগা এলাকার চান্দি বামনডাংগা মৌজার মধু গাজীর মৎস্য সেটের পাশে বেড়িবাঁধে বৃহৎ অভ্যন্তরীন ফাঁটল। সেখান থেকে একটু দুরে ৭/২ পোল্ডারের নড়েরাবাদে নির্মিত টিটুখালী সুঁইচ গেটের দক্ষিণ পাশে অভ্যন্তরীন ফাঁটলসহ সুঁইচ গেটের দু’ পাশের মাটিতে ফাঁটল দেখা দিয়ে বসে গিয়ে সুঁইচ গেটটির অবস্থা লাজুক হয়ে পড়েছে। ইউনিয়নের চম্পাখালী এলাকায় শান্তির ঘেরের পাশের বেড়িবাঁধে অভ্যন্তরীন ফাঁটলটাও বেশ বড়। নড়েরাবাদ রহমান ফকিরের মৎস্য ঘেরের পাশে, ডুমুরপোতা আফিজুরের ঘেরের পঞ্চিম পাশেসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার পাউবো’র বেড়িবাঁধে দেখাগেছে একাধিক অভ্যন্তরীন ফাঁটল। ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, নড়েরাবাদ, বামনডাংগা, ডুমুরপোতা, গোয়ালডাংগা, ফকরাবাদ, বুড়িয়া ও জেলপোা বিলের প্রায় ১২ হাজার বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। জানাগেছে, বোরো মৌসুমে এসব এলাকায় বোরো ধানের চাষ ও আংশিক জমিতে মিষ্টি পানির মাছের চাষ করা হয়ে থাকে। উল্লেখিত বিল গুলোতে লোনা পানির মাছ চাষ করা হয় না বললেও চলে। মরিচ্চাপ নদীতে জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেয়ে অভ্যন্তরীন ফাঁটল গুলি আরও ভয়াবহ রুপ নিলে মারাত্বক ক্ষতির আশংখা করছে ইউনিয়নের প্রায় অধিকাংশ মানুষ। ইউপি সদস্য দিলীপ কুমার মন্ডল এ প্রতিবেদককে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের পাশে লিখিত এবং মৌখিক ভাবে বারবার ধর্না দিয়েছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ডিসি মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। বড় আকারের ক্ষতি হওয়ার আগে সংস্কারের পদক্ষেপ নিলে সেটা সহজ হবে অন্যথায় ইউনিয়নে ফসলি খেতের ভয়াবহ ক্ষতির আশংখা থেকেই যাবে। ইউনিয়নের একাধিক ধান চ্াষী জানান, উপজেলার একটি মাত্র ইউনিয়ন বড়দল যেখানে সবচেয়ে বেশি ধান চাষ হয়ে থাকে। এই ফাঁটলগুলি আশু সংস্কার করা হলে এলাকার চাষীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবি বেড়িবাঁধের ফাঁটল গুলি তাড়াতাড়ি সংস্কার করা হোক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
টক দই খান শরীরকে রাখুন সুস্থ

জানেন কি প্রতিদিন একটু একটু করে ক্ষয়ে যাচ্ছে আপনার শরীর? কমে যাচ্ছে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। রোজ টক দই খান। ভ্যানিশ হয়ে যাবে আপনার শরীরের হাজারো সমস্যা। এমনকি টক দই আপনাকে দিতে পারে দীর্ঘায়ু।

স্ট্রেসফুল লাইফ। শিফটের ডিউটিতে বায়োলজিক্যাল ক্লকের দফারফা। সারা বছর খুচখাচ কিছু না কিছু শরীর খারাপ লেগেই আছে। তার মানে কমছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কত ওষুধ খাবেন আর কত ভ্যাক্সিনই বা নেবেন! শরীর-মন ফিট রাখতে একটা জিনিস রেগুলার ট্রাই করতে পারেন। তা হল টক দই।

খাদ্যগুণের নিরিখে টক দই হল অলরাউন্ডার। ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন B2, ভিটামিন B12 — কী নেই টক দইয়ে! যত গুণ, তত উপকারিতা।

১) খাদ্যনালী বা অন্ত্রের মধ্যে থাকে মাইক্রোফ্লরা যা হজমে সাহায্য করে। টক দইয়ের মধ্যে থাকে GOOD ব্যাক্টেরিয়া যা অন্ত্রের মাইক্রোফ্লরাকে ভাল রাখে, ফলে  হজম ভাল হয়।

২) BAD FOOD HABIT এর কারণে অনেকেই গ্যাসট্রিক ও কোলনের সমস্যায় ভোগেন। টক দই এসব ক্ষেত্রে কার্যত ওষুধের মতো কাজ করে।

৩) কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়ারিয়া, ল্যাক্টোস সমস্যা, এসব তো আছেই, টক দই খুব ভাল কাজ করে কোলন ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও।

৪৫ হাজার জনের ওপর করা একটি গবেষণা, ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ক্যান্সার, তাতে প্রকাশিত হয়েছিল ওই রিপোর্ট। রিপোর্টে গবেষকদের দাবি, দইয়ের মধ্যে যে হেলদি ব্যাক্টেরিয়া আর প্রোবায়োটিকস থাকে, কলোরেক্টাল ক্যান্সার রোধে তা সাহায্য করে।

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড় খয়ে যায়। দুর্বল হয় হাড়ের গ্রন্থি। নিউ ইয়র্কের প্রখ্যাত হাড় বিশেষজ্ঞ JERI NIEVES এর দাবি, দইয়ের মধ্যে যেহেতু ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম দুই-ই থাকে, তাই তা অস্টিওপোরোসিস রোধে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিসে ওজন বৃদ্ধি। এই সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। টক দই শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট পুড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ওজন কমিয়ে বডি ফিট রাখতে সাহায্য করে।  সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, দইয়ের প্রোবায়োটিকস অন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকী খাদ্যনালীতে কোষ উত্‍পাদনেও বড় ভূমিকা নেয় প্রোবায়োটিকস

৮ আউন্স দইয়ে ৬০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। চিকিত্‍সা বিজ্ঞানীরা বলছেন, দইয়ের পটাসিয়াম, সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে, ঠিক থাকে স্নায়ুতন্ত্রও।

দইয়ে থাকে ল্যাক্টোবেসিলাস, অ্যাসিডোফিলাস এর মতো বিভিন্ন প্রোবায়োটিকস যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, বাসনার সেরা বাসা রসনায়। শারীর বিজ্ঞানের নিরিখে কথাটা দারুণ সত্যি। হজম ভাল হলে মন ভাল থাকে। অন্ত্রের সঙ্গে তাই মনের নিবিড় সম্পর্ক। টক দই অন্ত্রকে যেভাবে নানা দিক থেকে সুরক্ষিত রাখে, তাতে ভাল হজম আর ভাল মুড, দুটোই মেলে।

পার্কিনসনস, অ্যালজাইমার্স, অটিজমের মতো রোগের ক্ষেত্রে টক দইয়ের উপকারিতা অনেক। ক্রনিক ব্যথা দূর করতেও সাহায্য করে দই। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বারবার অ্যান্টিবায়োটিক খেলে অন্ত্রের খারাপ ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে ভাল ব্যাক্টেরিয়ারও মৃত্যু হয়। তাঁদের সাজেশন, কথায় কথায় ওষুধ না নিয়ে মেপে দই খান। বহু রোগ থেকে দূরে থাকবেন। দীর্ঘায়ু হবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest