সর্বশেষ সংবাদ-
ভারতীয় পর্ন ভিডিওতে সাংবাদিকের ছবি জুড়ে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবিকালিগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দূধর্ষ ডাকাতিজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণভোমরার ইউপি চেয়ারম্যানকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলেন ইউনিয়নবাসীআশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণদেবহাটায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে থানায় মামলাস্বৈরাচার ঠেকিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার এনসিপিরসাতক্ষীরায় দ্রুতগামী পিকআপের চাপায় ভ্যান চালকের মৃত্যুকোন সাংবাদিক যেন হয়রানির শিকার না হয়–সাতক্ষীরায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব দীর্ঘদিন কাজ করেও সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি বিআরটিএ’র সীল মেকানিকদের

প্যারাডাইস কেলেঙ্কারিতে কাঁপছে বিশ্ব

বিশ্বের ২৫ হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক লেনদেন ও মালিকানা সংক্রান্ত গোপন তথ্যভাণ্ডার ফাঁস হয়ে গেছে। ১৮০টি দেশের ধনী, সুপরিচিত ও প্রভাবশালীদের এই তথ্যভাণ্ডার তাদের গোপন বিনিয়োগ, অর্থ পাচারসহ কর ফাঁকির বিষয় প্রমাণ করে।
বেশির ভাগ তথ্যই বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদদের, যারা কর থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন ট্যাক্স হ্যাভেনে (কর দিতে হয় না কিংবা খুবই নিম্ন হারে কর দেওয়া যায় এমন দেশ) বিনিয়োগ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তাই এই কেলেঙ্কারির নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্যারাডাইস পেপারস’। স্থানীয় সময় রবিবার এই পেপারস সবার সামনে ফাঁস হওয়ার পর সারা বিশ্বেই হৈচৈ পড়ে গেছে। ফাঁস হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর অনেক ব্যক্তির গোপন তথ্য। গোপন নথিতে উঠে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মতো হাইপ্রোফাইল মানুষের গোপন তথ্য। প্যারাডাইস পেপারসে ১৪ জন বর্তমান ও সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানসহ বিশ্বের কমপক্ষে ৪৭টি দেশের ১২৭ জন রাজনীতিক এবং সরকারি কর্মকর্তার সম্পদ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের দলিল রয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার প্রকাশিত ওই নথিতে আরও উঠে এসেছে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মরিসিও ম্যাকরি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট ও আবুধাবির আমির খলিফা জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো প্রসেনকো, কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী পল মার্টিন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজ, কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস, লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন সারলেফ, জর্দানের রানী নুর আল হুসেইন, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ বিন আবদুল আজিজসহ শতাধিক ব্যক্তির নাম। শুধু তাই নয়, ভারতেরও সাত শতাধিক ব্যক্তির নাম রয়েছে এ তালিকায়। প্যারাডাইস পেপারসে বলা হয়েছে, করের হাত থেকে বাঁচতে দেশের বাইরের বিভিন্ন স্থানে অর্থ খাটিয়েছেন এই আলোচিত বিত্তশালীরা। কর দিতে হয় না বা নামমাত্র কর দিয়ে বিনিয়োগ করা যায় এমন স্থানগুলোই বেছে নিয়েছেন তারা। অনেকেই এসব লেনদেন করেছেন সবার চোখের আড়ালে। অর্থ আয়ের জন্য এমন গোপন বিনিয়োগের সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম এরই মধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। সামনে আরও নাম প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। গত বছর ফাঁস হওয়া পানামা পেপারসের মতো এবারও এসব নথি প্রথমে আসে জার্মান দৈনিক সুইডয়চে সাইটংয়ের হাতে। পরে সেসব নথি ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) হাতে তুলে দেয় তারা। ১ কোটি ৩৪ লাখ গোপন নথির এই ডাটাবেজে রয়েছে ১ হাজার ৪০০ গিগাবাইটেরও বেশি ডাটা। নথিগুলোর প্রায় ৬৮ লাখ এসেছে অফশোর আইনি সেবা সংস্থা অ্যাপলবাই এবং করপোরেট সেবা সংস্থা এস্টেরা থেকে। ২০১৬ সালে এস্টেরা আলাদা হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান দুটি একসঙ্গে অ্যাপলবাই নামে কর্মকাণ্ড চালাত। আরও ৬০ লাখ নথি ১৯টি আদালতের করপোরেট রেজিস্ট্রি থেকে বের করা হয়েছে। আদালতগুলোর বেশির ভাগই ক্যারিবীয় অঞ্চলের। বাকি অল্প কিছু নথি পাওয়া গেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক আন্তর্জাতিক ট্রাস্ট এবং করপোরেট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান এশিয়া সিটি ট্রাস্ট থেকে। প্যারাডাইস পেপারসে ফাঁস করা নথিতে রয়েছে ১৯৫০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ৭০ বছরের তথ্য। এসব নথি পেয়েছে বিবিসি, গার্ডিয়ানসহ বিভিন্ন দেশের ১০০টি সংবাদমাধ্যম। ৫ নভেম্বর আইসিআইজে তাদের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিলুপ্তির পথে দক্ষিণ বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেঁজুর গাছ!

তরিকুল ইসলাম লাভলু: ষড়ঋতুর দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। বছরের একেক সময় একেক ঋতুর রূপ ধারণ করে এই সোনার বাংলাদেশ। তেমনই একটি মিষ্টি ঋতুর নাম শীত কাল। এক সময় শীতের মৌসুমে গাছিরা খেঁজুর গাছ থেকে রস বের করার একটি মনমুগ্ধ সুন্দর দৃশ্য আমাদের নজর কেড়ে নিত। পল্লীগায়ের এমন মন জুড়ানো দৃশ্য এখন আর আগের মত চোঁখে পড়ে না।
সুষ্ঠ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ও উপর্যুপরী কর্তনের ফলে দিনে দিনে বিলুপ্ত হতে চলেছে দক্ষিণ বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেঁজুরের গাছ। খেঁজুরের গাছ মূলত এ দেশের একটি মূল্যবান বৃক্ষসম্পদ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের রসনা তৃপ্তিতে খেঁজুর গাছ থেকে আমরা প্রতি শীত মৌসুমে পেয়ে থাকি সুস্বাদু গুড় আর পাটালীসহ স্বাদে ভরা অনেক রকম খাদ্য। যার ভিতরে অন্যাতম খেঁজুরের রসের সুস্বাদু পায়েস আর রসে ভিজানো শীতের পিঠা। নবান্ন উৎসবে আকর্ষণীয় খাবার প্রস্তুতের অতি প্রয়োজনীয় উপাদান সর বা গুড়ে আমরা পেয়ে থাকি এই খেঁজুর গাছ থেকে। পিঠা-পুলি-পায়েস রাঁধতে খেঁজরের রস বা গুড়ের কোন জুড়ি নেই। খেঁজুরের রস বা গুড় বেশ অর্থকরী ফসল হিসেবেও বিবেচিত। বিশেষ করে খেঁজুরের রস দিয়ে তৈরি সুস্বাদু গুড়, পাটালী দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়ে থাকে। এছাড়া ফল হিসেবে খেঁজুরও বেশ মজাদার ও সুস্বাদু খাদ্য। সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে শীত মৌসুমে অনেক পরিবার অন্ন-বস্ত্রের সংস্থান হয় এই খেঁজুর গাছ থেকে। কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা গ্রামের রহমত উল্যাহ নামের এক খেঁজুরগাছী এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি প্রতি মৌসুমে খেজুরের রস এবং গুড় বিক্রি করে আর্থিকভাবে অনেক লাভবান হই এবং এখান থেকে আমার পরিবারের অনেক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আসে। অন্যর গাছ বর্গা নিয়ে তা থেকে উপার্জিত গুড় বা রস বাজরে বিক্রি করে বেশ স্বচ্ছন্দে সংসার চলে আমার। তবে গত কয়েক বছরে ইট ভাটা মালিকেরা খেঁজুর গাছ কেটে তাদের ভাটার জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করার কারণে এখন আর খেঁজুর গাছের তেমন দেখা একটা মেলে না।
অতি প্রয়োজনীয় খেঁজুর গাছের রস ও গুড় দিয়ে এত সুস্বাদু খাবার তৈরি হলেও বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চল থেকে প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী খেঁজুর গাছ। নানা প্রয়োজনে উপর্যূপরী কর্তন করা হচ্ছে খেঁজুর গাছ। ইটের ভাটার জ্বালানি হিসেবে খেঁজুর গাছ কেটে উজাড় করে দেওয়া হচ্ছে, আবার কখনও বসতবাড়ি তৈরির উদ্দেশ্যে জাইগা স্বল্পতার কারণে কেটে ফেলা হচ্ছে খেঁজুর গাছ। নির্বিচারে খেঁজুর গাছ কাটা হলেও নতুন করে এর চারা পোপনের কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছেনা। প্রাকৃতিকভাবে যা জন্মাচ্ছে তাও আবার সুষ্ঠু রক্ষণা-বেক্ষণের অভাবে ছাগল-গরু খেয়ে নষ্ট করে ফেলছে। যার ফলে বর্তমানে এ গাছের সংখ্যা প্রায় শূণ্যেও কোটায় এসে দাড়িয়েছে। গ্রাম বাংলার অতি প্রয়োজনীয় এই বৃক্ষটি এভাবে নির্বিচারে নিধন হতে থাকলে এক সময় ঐতিহ্যবাহী এই খেঁজুর গাছ দক্ষিণাঞ্চল থেকে একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাই বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার উদ্যেগে নতুন করে চারা রোপনের উদ্যোগ গ্রহণসহ সুষ্ঠু সক্ষণা-বেক্ষণের মাধ্যমে এবং এর কর্তনের উপর আইনি বিধি নিষেধ আরো কওে গ্রাম বাংলার মানুষের অতি প্রয়োজনীয় এই বৃক্ষ সম্পদকে রক্ষা ও সম্প্রসারণ একান্ত আবশ্যক।
আসুন আমরা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য খেঁজুর গাছ নিধন বন্ধ করি, খেঁজুর গাছ রোপণ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জে মাদকের ছড়াছড়ি মামলা হলেও পলাতক থাকছে গড ফাদাররা

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের অভিযানে মাদক উদ্ধার হলেও ব্যবসায়ীরা থাকছে ধরা ছোয়ার বাইরে থানায় মামলা হলেও গড ফাদাররা থাকছে পলাতক। খানজিয়া, শুইলপুর, বসন্তপুর ও উকশা সীমান্ত দিয়ে হঠাৎ করে ভারত থেকে আসছে মাদকের অনেক বড় বড় চালান। পুলিশের অভিযানে গত ১ মাসে ধরা পড়েছে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ফেনসিডিল, মদ ও গাঁজা। তবে যেটুকু ধরা পড়েছে তার বহুগুণ ঢুকে গেছে দেশের অভ্যন্তরে।
থানা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এসব মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে আছে এলাকার গোটা কয়েক জন ব্যক্তি। তারা এই মাদক ব্যবসা করেই বিপুল সম্পতির মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে কোটিপতি জহুর আলী ও আমজাদ অন্যতম তাদের রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট। সম্প্রতি জহুর আলী থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে ভবিষ্যতে আর মাদক ব্যবসা করবে না বলে অঙ্গীকার করে। এরপরও সে কালিগঞ্জ থানায় ৩ হাজার বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার মামলার আসামী হয়ে এলাকার বাইরে অবস্থান করলেও সেখান থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তার মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে জহুর আলীর স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (৩৮), ছেলে শাহীন আলম (২৫) ও ভাই মাসুদ (৩৫)। তাছাড়া জহুর আলীর স্ত্রী, ছেলে এবং ভাইয়ের নামে রয়েছে একাধিক মাদক মামলা। বর্তমান তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা ও মাসুদের নামে ৩ হাজার বোতল ফেনসিডিল মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও তার স্ত্রী নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছে।
কিন্তু পুলিশ তাকে অজ্ঞাত কারণে গ্রেফতার করছেনা বলে জানা যায়। সম্প্রতি ৫৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ পুলিশের হাতে আটক হয় জহুর আলীর ছেলে শাহীন। তাদের যাবতীয় মাদক ব্যবসার কাজে সহযোগিতা করেন নলতার জনৈক খালেক নামের এক ব্যাক্তি। এই মাদক ব্যবসায়ী জহুর হয়েছে জিরো থেকে হিরো। তার শুইলপুর ও খুলনার রূপসা এলাকায় রয়েছে বিশাল আকৃতির বাড়ি। এছাড়াও নলতায় তিনি নির্মাণ করছে একটি মার্কেট। কোটি কোটি টাকার সম্পদ তিনি অর্জন করেছে মাদক ব্যবসার মাধ্যমে। অপরদিকে মাদকের জগতে কোটিপতি আমজাদ একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। ফেনিসিডিল, ইয়াবাসহ নানা প্রকার মাদকের ব্যবসা করে সে তৈরি করেছে আলীশান বাড়িসহ কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। ৩ হাজার বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কোটিপতি আমজাদ ও এজাহারনামীয় আসামি হলেও তাদেরকে এখনও আটক করা সম্ভব হয়নি।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত অক্টোবরে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে প্রায় ৪ হাজার বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল, ১ কেজি গাঁজা ও ৪ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার হয়েছে। এসব মাদক মূলত: খানজিয়া, শুইলপুর, বসন্তপুর ও উকশা সীমান্ত দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে ঢুকেছে। অধিকাংশ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও মাদক চোরকারবারীরা থেকে যাচ্ছে নিরাপদে। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লস্কর জায়াদুল হক জানান, ৮ অক্টোবর রাতে উপজেলার শুইলপুর সীমান্তে একটি আম বাগান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৬৫০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় মামলা হলেও আসামি আটক করা সম্ভব হয়নি। ১৯ অক্টোবর ভোরে কালিগঞ্জে বাগনলতা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি ড্রামের ভিতর থেকে পাওয়া যায় ৩ হাজার বোতল ফেনসিডিল। এব্যাপারে মামলা হলেও কেউ আটক হয়নি। ২৮ অক্টোবর রাতে শুইলপুর সীমান্তের বাগবাটির জালালতলা থেকে আরও ১২৫ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ৩০ অক্টোবর ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের উজায়মারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখে একটি ধান ক্ষেত থেকে ৪ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার হয়েছে। এখানেও মাদক চোরাকারবারীদের চিহিৃত করা সম্ভব হয়নি। ১০ অক্টোবর রাতে ৯০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক হয় গৌর বিশ^াস (৩৬) ও রফিকুল ইসলাম (৩২) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ী। এছাড়াও ৮ অক্টোবর সকালে উপজেলার কৃষ্ণনগর বাজার এলাকা থেকে ১ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ মোস্তাফিজুর রহমান (৪৭) নামে এক ব্যক্তি আটক হয়। থানার অফিসার ইনচার্জ আরও জানান, শুইলপুর ও খানজিয়া এলাকা দিয়ে মূলত: বেশীরভাগ মাদক দেশের অভ্যন্তরে ঢুকছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদকের অংশ বিশেষ আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে কালিগঞ্জ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মাদক দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের ঘটনায় বিজিবি’র উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন সচেতন মহল। তারা বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিজিবি’র চোখ ফাঁকি দিয়ে চোরাকারবারীরা ভারত থেকে মাদক নিয়ে আসে। সন্ধ্যার পর বেড়ীবাঁধ এলাকায় ওই চক্রের আনাগোনার কারণে ভারত থেকে মাদক পার হচ্ছে এমনটাই ধারণা করছে স্থানীয়রা। কয়েক মাস যাবত মাদক কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সম্প্রতি এই মাদক চোরাকারবারীরা বেশ তৎপর হয়েছে। প্রায় সময়ই ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক আটকের ঘটনাই তার প্রমাণ। একাধিক সূত্র জানায়, সন্ধ্যার পরপরই সীমান্ত নদীর বেড়ীবাঁধে মাদক পাচারকারী চক্রের সদস্যরা অবস্থান নেয়। সুযোগ বুঝে ভারতের এজেন্টদের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মাদক নদী পার করিয়ে নেয়। এরপর তারা নানা পদ্ধতিতে রাজধানীসহ দেশের অভ্যন্তরে পাচার করে থাকে। এসব মাদকের অতি সামান্য অংশই আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী আটক করতে সক্ষম হয়।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) শুইলপুর ক্যাম্পের নায়েক আহম্মেদ আলী জানান, মাদক পাচারের বিষয়ে আমরা কঠোর ভূমিকা পালন করছি সাথে সাথে সিমান্ত এলাকায় আমাদের টহল আরো জোরদার করা হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যম দিয়ে আমরা মাদক চোরাকারবারীদের চিহিৃত করে তাদের দমন করার চেষ্টা করছি।এদিকে এই ভাবে যদি মাদক চোরাকারবারীরা অনায়াসে বড় বড় চালান ভারত থেকে এনে দেশের অভ্যন্তরে পাচার করতে সক্ষম হয় তাহলে যুব সমাজ ধংসের মুখে পতিত হবে এমনটাই ধারণা করছে সচেতন মহল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১১ হাজার রুপিতে বিক্রি হলো ‘রাম রহিম ও হানিপ্রীত’

ভারতে ১১ হাজার রুপিতে বিক্রি হলো রাম রহিম ও হানিপ্রীত। তবে নাম দুটি শুনে ভড়কে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। আদতে তারা মোটেও ধর্ষক ‘ধর্মগুরু’ গুরমিত রাম রহিম সিং বা তাঁর পালিত কন্যা হানিপ্রীত ইনসান নয়, বরং তাঁদের সঙ্গে মিলিয়ে নাম রাখা দুটি গাধা।

ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের উজ্জয়িনী বার্ষিক গাধা মেলায় ওই গাধা দুটি বিক্রি করা হয়। গাধা দুটি ১১ হাজার রুপিতে কিনে নেন রাজস্থান রাজ্যের এক ব্যবসায়ী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গুজরাট থেকে গাধা দুটিকে বিক্রির উদ্দেশ্যে মধ্যপ্রদেশে নিয়ে যান হরিওম প্রজাপতি নামের এক ব্যক্তি। তিনি গাধা দুটির নাম রাখেন রাম রহিম ও হানিপ্রীত। এর পর গাধা দুটি গাধা মেলায় নিয়ে দাম হাঁকেন ২০ হাজার রুপি। কিন্তু ওই দামে কেউ গাধা দুটি কিনতে রাজি হয়নি।

হরিওম জানান, গাধা দুটির নাম রাম রহিম ও হানিপ্রীত রাখায় কেউই কিনতে রাজি হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত রাজস্থানের এক ব্যবসায়ী গাধা দুটির সর্বোচ্চ মূল্য ১১ হাজার রুপি দিতে চাওয়ায় তাঁর কাছেই গাধা দুটিকে বিক্রি করেন হরিওম।

হরিওম আরো জানান, গাধা দুটির নাম রাম রহিম ও হানিপ্রীত রাখার পর সেগুলো বিক্রি করে বোঝাতে চেয়েছেন কৃতকর্মের ফল মানুষকে কীভাবে ভুগতে হয়।

মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর শিপ্রা নদীর তীরে বসে পাঁচ দিনের এই মেলা। এই মেলায় মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, গুজরাট ও মধ্যপ্রদেশ থেকে পশু কিনে বিক্রি করা হয়। মেলায় সাধারণত গাধার মূল্য ঠিক হয় জাত ও শারীরিক কাঠামোর ভিত্তিতে। বিক্রেতারা তাঁদের গাধাগুলোকে জনপ্রিয় নানা নামে নামকরণ করেন। এবারের মেলায় জিএসটি, সুলতান, বাহুবলি নামেও গাধা উঠেছিল।

গত ২৫ আগস্ট হরিয়ানার পঞ্চকুলার আদালতে দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন ‘ধর্মগুরু’ রাম রহিম। এরপর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ভক্তরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়, গাড়ি ভাঙচুর করে ও বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে। এতে ৪১ জন নিহত হয়। আহত হয় ২০০ জনের মতো। ২৫ আগস্টের সহিংসতার পেছনে তাঁর নিজের হাত ছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন হানিপ্রীত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে এক ইমামের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার দেবহাটায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মসজিদের এক ইমামের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম সিদ্দিকুর রহমান (৬৫)। তিনি সদর উপজেলার বাঁকাল ইসলামপুর গ্রামের আব্বাসউদ্দীন গাজীর ছেলে। সোমবার দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, নিহত সিদ্দিকুর রহমান দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। মসজিদের পানির লাইনের মটোরে পানি উঠানোর জন্য তিনি দুপুরে বিদ্যুৎ লাইন দিতে গেলে আকষ্মিক বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে দেবহাটা থানার এসআই ইয়ামিন আলী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হন্তান্তর করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মনিরুজ্জামান বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জ উপজেলায় আয়কর মেলা উদ্বোধন

কালিগঞ্জ ব্যুরো : কালিগঞ্জ উপজেলায় দুই দিন ব্যাপি আয়কর মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপ-কর কমিশনার সার্কেল-১৬, কালিগঞ্জ কর অঞ্চল খুলনার আয়োজনে মেলার উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ ওয়াহেদুজ্জামান। এসময় তিনি বলেন, যারা দেশকে ভালবাসেন তারা আয়কর পরিশোধ করেন। তবে কর দেওয়ার ক্ষেত্রে পূর্বের চেয়ে এখন অনেকে উৎসাহিত হচ্ছে। প্রচার ও প্রচারনায় কম থাকার আয়কর থেকে পিছিয়ে রয়েছে ব্যবসায়িবৃন্দ। মানুষ কর দিতে চায়, কিন্তু না বোঝার কারণে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়ে। শিক্ষক ও চাকুরীজীবিরা ইতিমধ্যে টিআইএন ফাইল খুলে কর প্রদান শুরু করেছে। আমরা বৈদেশিক অর্থের মুখোপেক্ষি হতে চাইনা, বিগত দিনের চেয়ে আমরা এখন অনেক বেশী সচেতন। সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে যারা করের আওতায় আছেন তারা সময় মত কর পরিশোধ করবেন। “উদ্ভাবনে বাড়বে কর, দেশ হবে স্বর্নিভর” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে উপ-কর কমিশনারের কার্যালয় সার্কেল-১৬ কর অঞ্চল খুলনা এর সহকারী কর কমিশনার শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপকর কমিশনারের কার্যালয় সার্কেল-১৬, কালিগঞ্জ কর অঞ্চল খুলনা এর পরিদর্শক আবু সাঈদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসান, অফিসার ইনচার্জ লস্কর জায়াদুল হক, আয়কর আইনজীবি সমিতি সাতক্ষীরার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম খান চৌধুরী, নাজিগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি শেখ ফিরোজ কবির কাজল। অনুষ্ঠানে অন্যান্যেদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুবর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গৌতম লস্কর প্রমুখ। আয়কর মেলায় টিআইএন রেজিস্ট্রশন/রি-রেজিসেট্রশন, নতুন করদাতাদের টিআইএন সনদ প্রদান, আয়কর রিটান ফরম পুরন, আয়কর রিটান দাখিল, ব্যাংক বুথে আয়কর প্রদানসহ মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা ও প্রতিবন্ধী করদাতাদের জন্য রয়েছে পৃথক পৃথক ব্যবস্থা। ভালুকা চাদপুর আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সূধিজন উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ সাতক্ষীরার ডা: মোখলেছ সম্পাদক ডা: মনোয়ার

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ(স্বাচিপ) এর সাতক্ষীরা জেলা শাখার কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাচিপ এর সভাপতি অধ্যাপক ডা: এম ইকবাল আর্সলান এবং মহাসচিব অধ্যাপক ডা: এম এ আজিজ স্বাক্ষরিত এক পত্রে ডা: এস এম মোখলেছুর রহমানকে সভাপতি, ডা: মো: মনোয়ার হোসেন কে সাধারণ সম্পাদক, ডা: মো: শামছুর রহমান যুগ্ম সম্পাদক ও ডা: সুমন কুমার দাশকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৬ সদস্য বিশিষ্ট সাতক্ষীরা জেলা স্বাচিপের কমিটি অনুমোদন দেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধুর নৌকা ও শেখ হাসিনার বিকল্প নেই- শিবপুরে এমপি রবি

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- নিয়ে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে সদরের শিবপুর ইউনিয়নের খানপুর ও বাঁশতলা এলাকায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরে উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছিল বলেই আজকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেশের বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে জঙ্গি দমন, বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ, শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ প্রতিটি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে দেশের জনগণ আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে। দেশে আবারো জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। আবারো সারা দেশে বোমাবাজি হবে। তাই জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা কি জনগণের সাথে থাকবে, না জঙ্গিবাদের সাথে থাকবে। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের শেষে যে নির্বাচন হবে তাতে জয়লাভ করে আওয়ামীলীগ সরকার আবার ক্ষমতায় যেতে পারলে দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকা-গুলো শেষ করার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের গতিকে আরো ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এই সরকারের গৃহীত প্রকল্পগুলো যথাসময়ে শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ’৯৬ সালে ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসার পর পরই আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নে অনেকগুলো প্রকল্প গ্রহণ করেছিল কিন্তু ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে না পারায় বিএনপি-জামায়াত সে সব উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন উল্লেখ করে বলেন, একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে যখন দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই আমাদের দেশের উন্নয়নের চাকা থেমে গিয়ে হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র এবং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পালা শুরু হয়ে দেশে একটা লুটপাটের রাজত্ব কায়েম হয়। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেই জাতির পিতার আদর্শ ও নীতি অনুসরণ করে দেশের সার্বিক উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং দেশ প্রথমবারের মত খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। তিনি বলেন, সে সময় ৫টি বছর মাত্র আমরা হাতে পেয়েছিল জননেত্রী শেখ হাসিনা। উন্নয়নের যে কাজগুলো তখন সারাদেশব্যাপী শুরু হয়েছিল কিন্তু দুর্ভাগ্য সেটাও থেমে যায় ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর। হত্যা, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাংলাভাই সৃষ্টি, লুটপাট ও দুর্নীতি- এছাড়া আর কোন উন্নয়ন তারা (বিএনপি-জামায়াত) করতে পারেনি। সে সময় বাংলাদেশের টানা ৫ বার দুর্নীতিতে শীর্ষস্থান দখলের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেন, এই অবস্থায় দেশকে তারা একটি অরাজকতার দিকে নিয়ে যায়। ফলে দুই বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকে এবং এই ৭ বছর দেশের উন্নয়ন সম্পুর্ন্নরুপে থেমে গিয়েছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করলে পুরনো উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো পুনরায় চালুর সঙ্গে সঙ্গে অনেকগুলো নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে। বর্তমান সরকারের আমলে দেশের জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষের আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেখছি যারা আগে একটা গাড়ি ব্যবহার করতো তারাই এখন একাধিক গাড়ি ব্যবহার করছে। এরফলে কিছুটা যানজট বৃদ্ধি পেলেও গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি মানুষের সেই অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি সূচক। তিনি বলেন, যত উন্নয়ন হবে ততই মানুষের সবকিছু ব্যবহারের সক্ষমতার বিকাশ ঘটবে। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ একটি সন্মানজনক অবস্থায় আছে। সমগ্র বিশ্বে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের একটি রোল মডেল। আর এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। উন্নয়ন কর্মকান্ডকে এগিয়ে নেয়ায় সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকা জররিী এমন মন্তব্য করে এমপি রবি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলেই উন্নয়ন গতিশীল হয়। সেটা নিশ্চয়ই আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর যেসব উন্নয়ন কর্মকান্ড গ্রহণ করেছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা সেগুলো একে একে শেষ করেছেন। আর ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বলেই আজকের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়েছেন। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা বিজয়ী হতে পারলেই এই উন্নয়নের গতি আরো ত্বরান্বিত হবে। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধুর নৌকা ও শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ’
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক শেখ নুরুল হক, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, নির্বাহী সদস্য ও জজ কোর্টর অতিরিক্ত পিপি এড. আব্দুল লতিফ, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম রেজাউল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুলখা দাস, দপ্তর সম্পাদিকা তহমিনা ইসলাম, শিবপুর ইউনয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. শওকাত আলী, শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান মানি, খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম ইসলাম, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহারুল ইসলাম, কুশখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা রিয়াজুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা আব্দুস সবুর ও ইউপি সদস্য ইব্রাহীম খলিল প্রমুখ। এসময় দলীয় নেতৃবৃন্দ ও অসংখ্য সাধারণ নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest