সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি  মাদক বিক্রিকালে গ্রেফতার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আল আমিনআশাশুনিতে যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট নির্বাহী কমিটির নির্বাচন: ৭টি পদের বিপরীতে ২৬ টি মনোনয়নপত্র বিক্রিজুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও গণভোটের দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভআশাশুনিতে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মশালা  সাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্নকলারোয়ায় মাছ ধরতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না কিশোর নয়নেরসাতক্ষীরায় পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনবৃত্তি উৎসবের নামে সাতক্ষীরায় চলছে কোচিং সেন্টারের রমরমা বাণিজ্য: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

নেইমারকে ছাড়াই পিএসজির গোল উৎসব

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আন্ডারলেখটের বিপক্ষে আঘাত পাওয়ায় লিগ ওয়ানের ম্যাচে অঁজির বিপক্ষে মাঠে নামেননি নেইমার। সঙ্গে ছিলেন না ডি মারিয়া, মার্কিনিয়োস ও মোত্তা। তবে তার অভাব বুঝতে দেননি পিএসজির হয়ে লিগ ওয়ানে শততম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করা কাভানি ও এমবাপে। তাদের দুর্দান্ত পারফর্মেন্সে দুর্বল অঁজিকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পিএসজি।

প্রতিপক্ষের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ চার সদস্যকে ছাড়া মাঠে নামলেও ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে দলকে লিড এনে দেন এমবাপে। ডান দিক থেকে দানি আলভেজের দারুণ ক্রসে ভলিতে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ১৪ মিনিটে ব্যবধান দিগুণ করেন ড্রাক্সলার। আলভেজের বাড়ানো বল প্রথম ছোঁয়াতেই গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠান জার্মান এই মিডফিল্ডার।

ম্যাচের ৩০ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে পিএসজির হয়ে শততম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন কাভানি। এমবাপে ব্যাকহিল থেকে পাওয়া বলে ডান পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন মৌসুমের শুরু থেকেই দারুণ ফর্র্মে থাকা এই খেলোয়াড়। সুইডেনের জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে পিএসজির জার্সিতে ফরাসি লিগে একশ গোল করলেন ৩০ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।

বিরতি থেকে ফিরে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন কাভানি। ম্যাচের ৬০ মিনিটে ড্রাক্সলারের বাড়ানো বলে লিগে নিজের ত্রয়োদশ গোলটি করেন কাভানি। এতে গোলদাতার তালিকার শীর্ষে থাকা মোনাকোর রাদামেল ফালকাওকে ছুঁয়ে ফেলেন উরুগুরের এই স্ট্রাইকার।

ম্যাচের ৮৪ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে নিজের দ্বিতীয় ও দলের পঞ্চম গোল করেন এমবাপে। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার লুকাস মৌরার পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষককে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে লিগে নিজের চতুর্থ গোল করেন ফরাসি এই তারকা। বাকি সময় আর গোল না হলে জয়ের আনন্দেই মাঠ ছাড়ে এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত অপরাজিত পিএসজি। ১২ ম্যাচে ১০ জয় ও দুই ড্রয়ে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে উনাই এমেরির দল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মুনরোর সেঞ্চুরিতে ভারতকে হারাল নিউজিল্যান্ড

ভারতের সামনে ছিল ইনিংস জয়ের হাতছানি আর কিউইদের জয় দিয়ে সমতায় ফেরার লক্ষ্য। এ লড়াইয়ে কলিন মুনরোর দুর্দান্ত সেঞ্চুরি আর ট্রেন্ট বোল্টের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারতকে ৪০ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে কিউইরা।

টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই ওপেনার গাপটিল ও মুনরো। উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ১০৫ রান। মার্টিন গাপটিল ৪৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। এরপর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (১২) বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে না পারলেও তৃতীয় উইকেটে টম ব্রুসের সঙ্গে গড়েন ৫৬ রানের জুটি।

২৬ বলে ফিফটি করার পর ৫৪ বলে ৭টি করে চার-ছয়ে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে একই বছরের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান মুনরো। ক্রিস গেইল, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও এভিন লুইসের পর চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে একাধিক সেঞ্চুরির মালিক হলেন তিনি। তার অপরাজিত ১০৯ রানের উপর ভর করে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৬ রান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে ট্রেন্ট বোল্টের বোলিং তোপে পরে স্বাগতিক ভারত। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফিরিয়ে দেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা (৫) ও শিখর ধাওয়ানকে (১)। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। কিন্তু চার বলের ব্যবধানে আইয়ার (২৩) ও হার্দিক পান্ডিয়ার (১) উইকেট হারায় ভারত।

এরপর ধোনিকে সঙ্গে নিয়ে ৫৬ রানের জুটি গড়েন কোহলি। তবে ৪২ বলে ৬৫ রান করা কোহলিকে ফিরিয়ে ভারতকে বড় একটা ধাক্কা দেন মিচেল স্যান্টনার। শেষ দিকে ৩৭ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৯ রান করেন ধোনি শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে। আগামী মঙ্গলবার সিরিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে দল দুটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রাজশাহীকে হারিয়ে দারুণ শুরু রংপুরের

রাজশাহী কিংসকে হারিয়ে বিপিএলে দারুণ সূচনা পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। মোহাম্মদ মিঠুন, শাহরিয়ার নাফিস ও রবি বোপারার ব্যাটে ভর করে ড্যারেন স্যামির দলকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। প্রথমে ব্যাটিং করে ১৫৪ রান তোলে রাজশাহী। জবাবে ৭ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর।

বিপিএলের পঞ্চম আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় দেশের উত্তরাঞ্চলের দুই বিভাগ রাজশাহী ও রংপুর। টস হেরে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৪ রান করেছে রাজশাহী কিংস। সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেছেন রনি তালুকদার। এ ছাড়া ড্যারেন স্যামি ২৯ ও জেমস ফ্রাঙ্কলিন করেছেন ২৬ রান।

১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫ রানেই অ্যাডাম লিথ ও জনসন চার্লসকে হারিয়ে বসে রংপুর। সেখান থেকে তৃতীয় উইকেচ জুটিতে ৭৫ রান যোগ করেন মিঠুন ও নাফিস। দলীয় ৯০ রানে কেসরিক উইলিয়ামসের বলে অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরেন লুক রাইট। ৩৩ বলে তিন ছয় এক চারে ৪৬ রান করে আউট হন মিঠুন।

দলীয় ১১৩ রানে ফ্রাঙ্কলিনের বলে বোল্ড হন শাহরিয়ার নাফিস। ৩৪ বলে ৩৫ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। এরপর বরি বোপারা ও থিসারা পেরেরার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে সহজ জয় পায় রংপুর। বোপারা ৪০ ও পেরেরা ১৯ রান করেন।

রাজশাহীর মেহেদী হাসান মিরাজ, ফ্রাঙ্কলিন, উইলিয়ামস ও ফরহাদ রেজা নেন একটি করে উইকেট।

এর প্রথম টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই মুমিনুল হককে ফেরান সোহাগ গাজী। এরপর অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় রাজশাহী। দ্বিতীয় উইকেটে লুক রাইট ও রনি তালুকদার যোগ করেন ৪৯ রান। এতে রাইটের অবদান মাত্র ১১ রান। দলীয় ৬১ রানে লুক রাইটকে ফেরান নাজমুল ইসলাম অপু।

তবে রনি তালুকদারের ৪৭, শেষের দিক ড্যারেন স্যামির ১৮ বলে ২৯, ফ্রাঙ্কলিনের ২২ বলে ২৬ ও শেষ ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের ৫ বলে ১৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটে ১৫৪ রান করে রাজশাহী কিংস।

রংপুর রাইডার্স একাদশ : জনসন চার্লস, শাহরিয়ার নাফীস, রবি বোপারা, ডেভিড উইলি, মোহাম্মদ মিঠুন, নাজমুল হোসেন, রুবেল হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, অ্যাডাম লিথ, লাসিথ মালিঙ্গা।

রাজশাহী কিংস একাদশ : লুক রাইট, জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন, মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, ড্যারেন স্যামি, সামিট প্যাটেল, ফরহাদ রেজা, রনি তালুকদার, নিহাদ উজ জামান ও কেসরিক উইলিয়ামস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস: কমছে সঞ্চয়, বাড়ছে ঋণ

অনলাইন ডেস্ক : খরচের চাপ বেড়ে যাওয়ায় বাকিতে কেনাকাটা বাড়ছে পাড়া বা মহল্লার মুদি দোকানগুলোতে। ডিপার্টমেন্ট স্টোরেও ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটা বেড়েছে।
স্বল্প আয় দিয়ে কোনো রকমে মাস পার করতে পারলেও অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা মোকাবেলার খরচ মেটানো বা সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য কিছু টাকা সঞ্চয়ের কথা ভাবতেও পারছে না সীমিত আয়ের লোকজন। ক্রেতারা বলছে, সব কিছুর দাম বেশি, খরচ বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। তা ছাড়া নতুন নতুন খরচের খাতও তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অথচ আয় বাড়ছে না এক টাকাও। এই পরিস্থিতিতে সঞ্চয় করা তো দূরের কথা, জমানো টাকাই ভেঙে খেতে হচ্ছে অনেককে।
মোটা বা চিকন সব ধরনের চালের দাম বাড়তি কয়েক মাস ধরে। সরকারের পক্ষ থেকে খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রি করা হয়ে থাকে কোথাও কোথাও। তবে সাধারণ চালের বদলে শুধু আতপ চাল বিক্রি করা হচ্ছে বলে উদ্যোগটি জনপ্রিয় হচ্ছে না। পেঁয়াজের দামও প্রায় তিন-চার মাস ধরে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় ওঠানামা করছে।
বেশির ভাগ সবজি ও তরিতরকারি ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে যখন তখন, নানা অজুহাতে। সয়াবিন তেলের দামও কিছুদিন ধরে বাড়তি। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। জানুয়ারি মাস আসার আগেই বাসাভাড়া বাড়ানোর আলাপ পেড়ে রাখছেন কোনো কোনো বাড়িওয়ালা।
খরচের চাপে যে বেসামাল স্বল্প আয়ের লোকজন—এটা শহরের পাড়া বা মহল্লার মুদি দোকানগুলোতে কথা বললে যে কেউ বুঝতে পারবে। রাজধানীর গুলশান থানার ঘনবসতি এলাকা নদ্দা-কালাচাঁদপুরে স্বল্প আয়ের ক্রেতাদের জন্য গড়ে উঠেছে কাঁচাবাজারসহ ছোট-বড় বেশ কিছু বিপণিবিতান। পাড়া বা মহল্লার অলিগলিতে রয়েছে ছোট-বড় মুদি দোকান। নদ্দার মুদি দোকান বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আরিফ হোসেন বলেন, গত কয়েক মাসে তাঁর দোকানে বাকি কেনাবেচা বেড়েছে দ্বিগুণের চেয়েও বেশি। তা ছাড়া নগদ কেনাবেচাও কমে গেছে তাঁর দোকানে। ওই দোকানি বলেন, “আগে যে ক্রেতা মাসে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা বাকি নিত এখন নিচ্ছে তিন থেকে চার হাজার টাকা। সময়মতো টাকা পরিশোধও করছে না। টাকা চাইলে বলে, ‘ভাই, কী করব, টাকা নাই। ’” ওই দোকানি আরো বলেন, ‘বেচাকেনা কমে যাওয়ায় আমার দোকানের মুনাফাও কমে গেছে। আগে যে ক্রেতা একবারে দুই কেজি করে পেঁয়াজ নিত এখন সে নিচ্ছে এক কেজি করে।’
বারিধারায় বিদেশি একটি কম্পানির কর্মকর্তাদের আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস চালান মো. আলফত আলী। জাপানি একটি সংস্থার কার্যালয়েও একটি গাড়ি ভাড়ায় খাটাতেন তিনি। কিন্তু গত বছর জঙ্গি হামলায় জাপানের নাগরিক কুনিও হোশি মারা যাওয়ার পর থেকে ওই প্রতিষ্ঠানে আর গাড়ি ভাড়ায় খাটাতে পারছেন না তিনি। তা ছাড়া বর্তমানে যে অফিসের কর্মকর্তাদের আনা-নেওয়া করছেন সেখান থেকেও আগের মতো আয় আসছে না তাঁর। একই সঙ্গে আয় কমে যাওয়া এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় উভয় সংকটে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষটি। আলফত আলী জানান, তাঁর একটি মাত্র মেয়েকে গত বছর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছেন। যাওয়া-আসার জন্য মেয়েকে রিকশাভাড়া দিতে হয় প্রতিদিন ১০০ টাকা করে। দুপুরের খাবারের জন্য আলাদা করে কিছু টাকাও দিতে হয় তাঁকে। এসব খরচের পাশাপাশি বর্তমানে সংসারে বাড়তি খরচের চাপ সৃষ্টি করছে তরিতরকারি, চাল, ডালসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি।
গত বৃহস্পতিবার দিলকুশায় একটি ব্যাংক শাখায় মাসিক সঞ্চয়ী স্কিম ডিপিএস ভাঙাতে আসেন আদর আলী। আড়াই বছর ধরে ৫০০ টাকা করে প্রতি মাসে জমা করেছেন তিনি। আদর আলী বলেন, ‘তিন বছর মেয়াদে জমা করতে পারলে ভালো মুনাফা পেতাম। কিন্তু টাকার টানাটানিতে মেয়াদপূর্তি হওয়ার আগেই ডিপিএসটা ভাঙিয়ে ফেলতে হলো আমাকে।’
ব্যাংকগুলো ঘুরে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, এই গ্রাহকের মতো অনেকেই এখন ডিপিএস ভাঙাচ্ছে। এর ফলে দেশের ব্যাংকগুলোতে ডিপিএসসহ অন্যান্য মেয়াদি আমানত আগের মতো আর বাড়ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্ট মাস শেষে দেশের ব্যাংকগুলোতে মেয়াদি আমানতের স্থিতি ছিল সাত লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। এক বছর আগে অর্থাৎ ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে এর পরিমাণ ছিল সাত লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকগুলোর মেয়াদি আমানত বেড়েছে মাত্র ৮.৭৩ শতাংশ। ২০১৬ সালের আগস্টে এই হার ছিল ১২.০৮ শতাংশ। এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে মেয়াদি আমানত বৃদ্ধির হার কিভাবে কমছে। কেবল মেয়াদি আমানতই নয়, তলবি বা যেকোনো সময় তুলে নেওয়ার আমানত বৃদ্ধির হারও কমছে। গত আগস্টে তলবি আমানত বৃদ্ধির হার ছিল ১০.৮০ শতাংশ। অথচ এক বছর আগে (আগস্ট ২০১৬) তলবি আমানত বৃদ্ধির হার ছিল ২৩.৮২ শতাংশ।
ব্যাংকে সঞ্চয় প্রবণতা কমে যাওয়ার অন্য একটি কারণ হলো আমানতের সুদহার কমে যাওয়া। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমানতের বিপরীতে ৬ থেকে ৭ শতাংশ সুদ পাওয়া গেলেও চলতি বা সঞ্চয়ী হিসাবের সুদহার মাত্র ৩ থেকে সাড়ে ৩ শতাংশ। দুই-তিন বছর ধরেই এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। যে কারণে অনেকেই এখন ব্যাংকে আমানত রাখতে চাচ্ছে না। যাদের আগে থেকেই মোটামুটি একটি সঞ্চয় রয়েছে তাদের অনেকেই এখন ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিয়ে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করছে। এতে ব্যক্তি বিনিয়োগের পথ সংকুচিত হচ্ছে, বেসরকারি খাতের উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে, কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি জনগণের প্রকৃত আয় কমিয়ে দিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে তোলে এবং সঞ্চয় কমিয়ে ফেলে, যেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বন্যার পর থেকে চালের দামটা বেড়ে গেছে। তবে এর জন্য আমি সরকারের ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতাকেই দায়ী করব। কেননা সরকারের গুদামে যখন চাল না থাকে তখন ব্যবসায়ীরা এটা নিয়ে বড় ধরনের ব্যবসায় মেতে ওঠে। কিন্তু সরকারের গুদামে চাল থাকলে মূল্যস্ফীতির সময়ও চালের দাম বাড়ে না। ২০১০ সালে আমরা দেখেছি তখন মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি থাকলেও চালের দাম কম ছিল। কারণ সরকারের গুদামে পর্যাপ্ত চাল মজুদ ছিল। ’

এদিকে মুদি দোকানের মতো সুপারশপগুলোতে বাকিতে কেনাকাটা বাড়ছে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। গত আগস্টে স্থানীয় ডিপার্টমেন্ট স্টোর, সুপারশপসহ বিভিন্ন ধরনের বিপণিবিতানের পয়েন্ট অব সেল বা পস মেশিনে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে দুই কোটি ২১ লাখ ৯২ হাজার ৬২০টি বিল পরিশোধ করা হয়েছে। টাকার পরিমাণ ছিল মোট ৬৩৬ কোটি টাকা। অথচ জুলাই মাসেও ক্রেডিট কার্ডে এত টাকা বাকিতে কেনাকাটা করা হয়নি। ওই মাসে কেনাকাটা হয় ৫৫০ কোটি টাকার মতো। তা ছাড়া লেনদেনের সংখ্যা ছিল খুবই কম, মাত্র আট লাখ ৭০ হাজার ২৬৭টি। অর্থাৎ জুলাই মাসে যে লেনদেনগুলো হয়েছিল সেগুলো মূলত বড় অঙ্কের কেনাকাটা। আজকাল অনেকেই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আসবাব, টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটরসহ বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে। তবে এখন অনেকেই সুপারশপ বা চেইনশপগুলো থেকে মুদিপণ্য কিনছে। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আগস্টে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের সংখ্যা বেশি হলেও টাকার পরিমাণ সেই তুলনায় খুব বেশি নয়। একটি লেনদেনে গড় টাকার পরিমাণ ২৮৭ টাকা। দেশের সবচেয়ে বড় সুপারশপ স্বপ্নের (এসিআই লজিসটিকস লি.) হেড অব মার্কেটিং আফতাবুল করিম তানিম বলেন, ‘ক্রেডিট কার্ডে স্বপ্নের কেনাকাটার বিল পরিশোধ হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। এটা ধীরে ধীরে বাড়ছে। ’
দেশে সরকারি সঞ্চয় বরাবরই ঋণাত্মক। ক্রমবর্ধমান বাজেট ঘাটতির কারণে দেশকে ঋণ করে চলতে হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশজ সঞ্চয়ের অন্যতম জোগানদার হলো বেসরকারি খাত। কিন্তু আয় কম হওয়ার ফলে বেসরকারি খাতের সঞ্চয়ও কম। তবে বলিষ্ঠ রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির প্রভাবে ২০০৪-০৫ অর্থবছর থেকে জাতীয় সঞ্চয় হার উৎসাহব্যঞ্জক গতিধারা বজায় রেখে চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের আবাসন খাতে ব্যাংকগুলোর অতিমাত্রায় বিনিয়োগের ফলে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর-পরবর্তী সময়ে সৃষ্ট আর্থিক সংকট এবং আন্তর্জাতিক শেয়ারবাজারে দরপতন থেকে শুরু হওয়া বিশ্বমন্দায় উন্নয়নশীল দেশগুলো প্রাথমিক অবস্থায় গুরুতর ধাক্কা না খেলেও পরবর্তী সময়ে নানা ধরনের সংকটে পড়ে। বাংলাদেশ বৈদেশিক বাণিজ্যের ওপর অনেকখানি নির্ভরশীল। ২০০৯, ২০১০ সময়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বৈশ্বিক আর্থিক মন্দার ঢেউ লাগতে শুরু করলেও বাংলাদেশ ছিল এর প্রভাব থেকে অনেকটাই মুক্ত। গবেষকরা বলছেন, উচ্চ রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির কারণে ওই সময় দেশের অভ্যন্তরীণ সঞ্চয় ভালো অবস্থানে ছিল, যা দেশটির সামষ্টিক অর্থনৈতিক সক্ষমতাকে বেগবান করে। ব্যক্তিপর্যায়ে আর্থিক সংকট মোকাবেলার সক্ষমতা থাকায় ওই বার মন্দার হাত থেকে বেঁচে যায় গোটা অর্থনীতি। অবশ্য কিছুটা হোঁচট খেয়েছিল রপ্তানি খাত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সময়োপযোগী পদক্ষেপে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণ গুটিয়ে নেওয়ায় মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণেও চলে এসেছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাপান দিয়ে ট্রাম্পের দীর্ঘ এশিয়া সফর শুরু

জাপান সফরের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ১২ দিনের এশিয়া সফর শুরু করেছেন। তাঁর সময়ে তো বটেই, গত ২৫ বছরের মধ্যে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের এটি দীর্ঘতম এশিয়া সফর।

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থকে জানানো হয়েছে, ট্রাম্পের এই সফর ১১ দিনের জন্যই নির্ধারিত ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) সম্মেলনে যোগদানের জন্য সফরে আরো একদিন যোগ করা হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ সফর নিয়ে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যেমন ব্যাপক আগ্রহ আছে, ঠিক তেমনি সফর নিয়ে নানা সমীকরণ মেলাতেও ব্যস্ত রয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর সফরে চীন ও ভিয়েতনামের মতো দুটি কমিউনিস্টশাসিত দেশ ছাড়াও ঘনিষ্ঠ মিত্র জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ও ফিলিপাইন সফর করবেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প জাপানের উদ্দেশে উড়ালের আগে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঙ্গরাজ্য হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে যান। সেখানে তিনি সামরিক কমান্ডের একটি ব্রিফিংয়ে অংশ নেন। পরে স্থানীয় সময় শনিবার তিনি পার্ল হারবারে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪১ সালে জাপানি বোমা হামলায় নিহত সেনাদের স্মরণে নির্মিত অ্যারিজোনা মেমোরিয়াল পরিদর্শন করে শ্রদ্ধা জানান।

পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেখান থেকেই জাপানের উদ্দেশে রওনা দেন। স্থানীয় সময় দুপুরে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বহনকারী বিশেষ বিমান রাজধানী টোকিওর পশ্চিমে ইয়োকোতা মার্কিন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।

বিমানে ভ্রমণের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই সফরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা হবে—এমনটাই তিনি আশা করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, পুতিন উত্তর কোরিয়াকে বোঝাতে সক্ষম হবেন।

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধকরণ, দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে কোরীয় উপদ্বীপে প্রবল উত্তেজনার মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্প জাপান দিয়ে তাঁর সফর শুরু করেছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে এশিয়ার দিকে যাত্রা শুরু করেন ট্রাম্প। পুরো সফরটিতে ট্রাম্পের সঙ্গে থাকছেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প।

বিবিসির খবরে বলা হয়, এশিয়া সফরের মাধ্যমে বন্ধু দেশ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরো উন্নত করবেন ট্রাম্প। পাশাপাশি অস্ত্র সমৃদ্ধকরণে উত্তর কোরিয়ার বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে চাপ দেবেন আঞ্চলিক পরাশক্তি চীনকে।

এশিয়া সফরে ট্রাম্পের কর্মসূচি

৫ নভেম্বর : সফরের প্রথম দেশ জাপানে প্রবেশ করবেন ট্রাম্প। সেখানে পৌঁছে প্রথমেই মন দেবেন গলফ খেলায়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও পেশাদার গলফ খেলোয়াড় হাইদেকি মাৎসুইয়ামার সঙ্গে মাঠে থাকবেন বেশ কিছুক্ষণ। তারপর আবের সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন ট্রাম্প।

৭ নভেম্বর : এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কর্মসূচি থাকবে দক্ষিণ কোরিয়ায়। আলোচনা করবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের সঙ্গে। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টও পরিদর্শন করবেন ট্রাম্প।

৮ নভেম্বর : সফরের তৃতীয় দেশ চীনে পা রাখবেন ট্রাম্প। সেখানে বেশ কয়েকটি বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। আলোচনায় বসবেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে।

১০ নভেম্বর : চীন ভ্রমণের পর ট্রাম্প এদিন পৌঁছাবেন ভিয়েতনামে। দেশটির দানাং শহরে অনুষ্ঠিত এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনে অংশ নেবেন তিনি।

১১ নভেম্বর : দানাং থেকে ট্রাম্প ভিয়েতনামের রাজধানী হানোই শহরে যাবেন। আলোচনায় বসবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ট্রান দাই কুয়াং ও অন্য নেতাদের সঙ্গে।

১২ নভেম্বর : সফরের শেষ দেশ হিসেবে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় প্রবেশ করবেন ট্রাম্প। সেখানে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশসন (আসিয়ান) ৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক গালা ডিনারে অংশ নেবেন।

১৩ নভেম্বর : ম্যানিলায় আসিয়ানের সম্মেলনে অংশ নেবেন ট্রাম্প। এরপর ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্পের এশিয়া সফর শেষ হবে।

এর আগে ১৯৯১ ও ১৯৯২ সাল মিলিয়ে এমন দীর্ঘ সময় নিয়ে এশিয়া সফরে যান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। তবে সেবার জাপানে একটি ভোজ চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন বুশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সৌদিতে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে ১১ রাজপুত্র, ৪ মন্ত্রী আটক

অনলাইন ডেস্ক : সৌদি আরবে ১১ রাজপুত্র, চারজন বর্তমান মন্ত্রী ও বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীকে আটক করেছে নবগঠিত দুর্নীতিবিরোধী একটি কমিটি।

স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রাজ ফরমান জারি করে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে নতুন এই কমিটি গঠিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ব্যক্তিকে আটক করা হলো।

আটক ব্যক্তিদের নাম জানা যায়নি।

বিবিসির নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিবেদক ফ্রাঙ্ক গার্ডনার জানান, সংস্কার কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গে নিজের ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করছেন যুবরাজ মোহাম্মদ।

আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আছে কি না, সে বিষয়ে জানা যায়নি। তবে সৌদি আরবভিত্তিক টেলিভিশন আল-আরাবিয়ার খবরে বলা হয়েছে, জেদ্দায় ২০০৯ সালের বন্যা এবং ২০১২ সালে সৌদিজুড়ে মার্স ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে নবগঠিত কমিটি।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) খবরে বলা হয়, দুর্নীতিবিরোধী নতুন কমিটি যে কারো বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং কোনো ব্যক্তির ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে।

এদিকে সৌদি আরবের ন্যাশনাল গার্ড ও নৌবাহিনীর প্রধানকে সরিয়ে নতুন মুখ আনা হয়েছে।

এসপিএ জানায়, ন্যাশনাল গার্ডবিষয়ক মন্ত্রী রাজপুত্র মিতেব বিন আবদুল্লাহ এবং নৌবাহিনীর কমান্ডার অ্যাডমিরাল আবদুল্লাহ বিন সুলতান বিন মোহাম্মদ আল-সুলতানকে বরখাস্ত করেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ আল সৌদ।

এ দুজনের বরখাস্তের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সক্রেটিস নির্দোষ, মৃত্যুর ২৪১৫ বছর পরে রায় দিল আদালত

গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস। খ্রিস্টপূর্ব ৪৭০ সালে গ্রিসের এথেন্সে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি।
তরুণদের ভুলপথে চালিত করা, ধর্মের অপব্যাখ্যা এবং দুর্নীতিকে প্রশয় দেওয়ার মতো অভিযোগ আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। বছরের পর বছর জেল খাটার পরে অনেকেই বেকসুর খালাস পান। ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদণ্ডের পরেও অপরাধী প্রকৃত দোষী কি না, তা নিয়ে তর্ক চলতেই থাকে। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার প্রায় ২৪১৫ বছর পরে কেউ যদি নির্দোষ প্রমাণিত হন? চমকে উঠছেন তো? তাহলে সাজাপ্রাপ্তের নামেও আরও বড় চমক রয়েছে। কারণ মৃত্যুদণ্ডের ২৪১৫ বছর পরে গ্রিসের একটি আদালত জানাল, সক্রেটিস নির্দোষ ছিলেন।

সক্রেটিস এমন এক দার্শনিক চিন্তাধারার জন্ম দিয়েছিলেন, যা দীর্ঘ ২০০০ বছর ধরে পশ্চিমী সংস্কৃতি, দর্শন ও সভ্যতাকে প্রভাবিত করেছে। কিন্তু প্রাচীন গ্রিসের শাসকরা সক্রেটিসের তত্ত্বগুলিকে মানতে চায়নি।

এথেন্সের তৎকালীন আরাধ্য দেবতাদের নিয়ে প্রকাশ্যেই প্রশ্ন তুলেছিলেন সক্রেটিস। তাঁর বিরুদ্ধে অত্যাচারী শাসকদের সমর্থনেরও অভিযোগ আনা হয়েছিল।
যদিও বলা হয় যে, সক্রেটিস নির্দোষ হলেও মুখ বুজে বিচারকদের রায় মেনে নিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে পালানোর সুযোগ পেলেও এথেন্স ছেড়ে যাননি তিনি।

তাছাড়া, তরুণদের বিপথে নিয়ে যাওয়া, নতুন দেবদেবীদের সম্পর্কে প্রচার করা-সহ সক্রেটিসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর স্বপক্ষে আদালতে কোনও যুক্তিগ্রাহ্য প্রমাণ বিচারপর্বে তুলে ধরা যায়নি বলেই অভিযোগ ওঠে।

হেমলক বিষপান করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ মাথা পেতে নিয়েছিলেন সক্রেটিস। তিনি সত্যিই দোষী ছিলেন কি না, সেই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য এথেন্সের ওনাসিস ফাউন্ডেশনের একটি আদালতে ফের নতুন করে বিচারব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বিচারেই সক্রেটিসকে সম্পূর্ণ নির্দোষ বলে রায় দিয়েছে ওই আদালত।

সক্রেটিসের সমর্থনে তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘‘কোনো ব্যক্তির অভিমত অপরাধ হতে পারে না। সক্রেটিস সত্যের সন্ধান করতেন। আর তা করতে গিয়েই তিনি তাঁর নিজস্ব মত তুলে ধরতেন। তবে আমার মক্কেলের একটাই দোষ, তিনি উস্কানিমূলক কথা বলে মানুষকে খ্যাপাতেন। আর সবসময় বাঁকা বাঁকা কথা বলতেন। যেমন- তিনি বলতেন, ‘দেখাও তোমাদের গণতন্ত্র কতটুকু খাঁটি ও বিশ্বাসযোগ্য’ ইত্যাদি। ’’ কিন্তু তিনি আরও বলেন যে সাধারণ মামলাকে জটিল করার জন্য মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি দেওয়াটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। ’’

সক্রেটিসের হয়ে এই মামলায় ফ্রান্সের এই বিখ্যাত আইনজীবী সওয়াল করেন। উল্টোদিকে গ্রিস-সহ বেশ কয়েকটি দেশের আইনজীবীরা সক্রেটিসের বিরোধিতা করেন। এই মামলার বিচারের জন্য আমেরিকা ও ইউরোপীয় বিচারকদের সমন্বয়ে একটি প্যানেল তৈরি করা হয়। দীর্ঘ বাদানুবাদের পরে সক্রেটিসের আইনজীবীর যুক্তিতেই সিলমোহর দেন বিচারকরা। গত বছর নিউইয়র্কের একটি আদালতেও সক্রেটিস নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন ২৫ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন আগামী ২৫ নভেম্বর। শনিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে একথা জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। কমিটির শীর্ষ নেতাদের অনেকেই বিবাহিত এবং কেউ কেউ সন্তানের পিতাও হয়েছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে অনেক প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো ওই পত্রে বলা হয়েছে- “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যে, সাতক্ষীরা জেলা শাখাকে আরও গতিশীল ও বেগবান করার লক্ষ্যে আগামী ২৫ নভেম্বর ২০১৭, শনিবার, সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। অতএব আগামী ২৫ নভেম্বর ২০১৭, শনিবার, সাতক্ষীরা সম্মেলনের সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ ও সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest