সর্বশেষ সংবাদ-
চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভা

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ঐতিহাসিক দলিল ঘোষিত হওয়ায় সাতক্ষীরায় আনন্দ মিছিল

এম বেলাল হোসাইন/ মো. বশির আহমেদ : ইউনেস্কো ঘোষিত “ঐতিহাসিক ৭ই এর মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ঐতিহাসিক দলিল ঘোষিত হওয়ায়” সাতক্ষীরায় আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে সমাবেশ শেষে জেলা যুবলীগের আয়োজনে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় পার্কে এসেই শেষ হয়।

জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আনন্দ মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আ ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ, শেখ সাহিদ উদ্দীন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ওসমান গনি পিপি, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম শওকত হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন। সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ময়নুল ইসলামের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন পৌর যুবলীগের আহবায়ক মনোয়ার হোসেন অনু, যুগ্ম আহবায়ক তুহিনুর রহমান তুহিন, যুবলীগ নেতা শেখ সাগরসহ জেলা, সদর, পৌর ও ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তারা বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ভাষণ। এই ভাষণের মাধ্যমে সমগ্র বাঙালি জাতি অনুপ্রাণিত হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বতঃফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। ৩০ লক্ষ বাঙালি ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের স্বাধীনতা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাঙালি জাতির নেতা ছিলেন না। তিনি ৭মার্চের এই ভাষণের মাধ্যমে সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সুন্দরবনের রাস উৎসব বৃহস্পতিবার শুরু

সুন্দরবনের আলোরকোলে দেড়শ বছরের পুরানো ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৩ দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হচ্ছে। প্রতি বছর কার্ত্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথিতে সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোরকোলে এই রাস উৎসব হয়ে আসছে।
বসছে মেলা। দিনেদিনে এই উৎসব হয়ে উঠেছে একটি সার্বজনীন। আগামী শনিবার ভোরে বঙ্গোপসারে দিনের প্রথম জোয়ারের পূর্ণ স্নানের মধ্যদিয়ে এই উৎসব শেষ হবে। রাস উৎসবকে ঘিরে সুন্দরবন বিভাগসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা কঠোর সতর্কতামুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা রাস উৎসবের উদ্বোধন করবেন বলে আয়োজক কমিটি জানিয়েছে। এছাড়া মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং দুবলারচর রাস উৎসব জাতীয় কমিটির আহবায়ক নারায়ণ চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বাগেরহাট -৪ আসনের এমপি ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট -৩ আসনের এমপি তালুকদার আব্দুল খালেক, বাগেরহাট- ২ আসনের এমপি মীর শওকাত আলী বাদশা এবং খুলনা -২ আসনের এমপি মিজানুর রহমানের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

সুন্দরবনের রাস উৎসবে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী, পুরুষ ও দর্শনার্থীসহ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটে। উৎসব দেখতে আসেন অসংখ্য পর্যটকরাও। পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা।
এদিকে এ উৎসবে অংশ নিতে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের জন্য সুন্দরবন বিভাগ আটটি পথ নির্ধারণ করেছে। প্রবেশ দ্বারগুলো হচ্ছে, ঢাংমারী, বগী, কচিখালী, শরণখোলা স্টেশন, বুড়িগোয়ালিনি, কৈখালী, কয়রা কাশিয়াবাদ এবং নলিয়ান। এসব পথে বন বিভাগ, র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ড বাহিনীর টহল দল তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। এদিকে রাস মেলায় হরিণসহ অন্য বন্যপ্রাণী নিধন প্রতিরোধে আশংকায় সুন্দরবন বিভাগসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সুন্দরবন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর থেকে সুন্দরবনের দুবলার চরে রাস মেলায় আগতদের দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যারা রাস পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে পূজা অর্চনা করবেন তাদেরকে পুণ্যার্থী ধরা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের ৩ দিনের জন্য জনপ্রতি অনুমতি ফি ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অপরদিকে মেলা উপভোগ করার জন্য আগতদের দর্শনার্থী ধরা হয়েছে। দর্শনার্থীদের ৩ দিনের জন্য জনপ্রতি অনুমতি ফি ২১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে আকার ভেদে বিভিন্ন নৌযানের জন্য আলাদা আলাদা ফি।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান জানান, এবার রাস উৎসবে যেতে ৮টি নিরাপদ রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের ২ থেকে ৪ নভেম্বর এই তিন দিনের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে এবং প্রবেশের সময় সুন্দরবন বিভাগকে নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে। যাত্রীরা নির্ধারিত রুটে পছন্দ মতো একটি মাত্র পথ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন এবং দিনের বেলায় চলাচল করতে পারবেন। সুন্দরবন বিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার থামানো যাবে না। প্রতিটি ট্রলারের গায়ে রং দিয়ে বিএলসি/সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে। পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে প্রাপ্ত সনদপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। পরিবেশ দূষণ করে এমন বস্তু, মাইক বাজানো, পটকা ও বাজি ফোটানো, বিস্ফোরক দ্রব্য, দেশীয় যেকোনও অস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র বহন থেকে যাত্রীদের বিরত থাকতে হবে।
খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক (সিএফ) আমির হোসাইন চৌধূরী জানান, রাস উৎসবকে ঘিরে হরিণসহ বিভিন্ন বণ্যপ্রাণী চোরা শিকারীদের অপতৎপরতার ও সম্ভাব্য নাশকতা সৃষ্টির আশংকা মাথায় রেখে এবার বন বিভাগসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তিনি আরো জানান, রাস উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাবা-মার কাছ থেকে পালিয়ে ফ্রান্সগামী বিমানে ৭ বছরের শিশু!

টিকিট, পাসপোর্ট কিছুই নেই। অথচ সুজারল্যান্ডের জেনেভা বিমান বন্দরে বাবা-মার কাছ থেকে পালিয়ে ফ্রান্সগামী বিমানে উঠে পড়ল ৭ বছরের এক মেয়ে ।
নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা, চেকিং সবই টপকে গেছে সে। আর এ ঘটনায় রীতিমতো অবাক কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, গেল রবিবার জেনেভার সেন্ট্রাল রেলস্টেশন থেকে আচমকাই বাবা-মার কাছ থেকে পালিয়ে যায় মেয়েটি। ওই স্টেশন থেকে একটা স্টেশন পরেই বিমানবন্দর। বাবা-মা সুইস পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ভিডিও থেকে তার পুরো গতিবিধি জানতে পেরেছে। বিমানবন্দরের মুখপাত্র বার্ট্রান্ড স্টেমপফ্লি এ কথা জানিয়েছে।

প্রথমে নিরাপত্তা গেট পেরিয়ে যায় সে। এক নজরে তাকে কোনও এক যাত্রীর সন্তান বলেই মনে হচ্ছিল।
এরপর বাইরে আসার দরজা দিয়ে বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকে পড়ে। ছোটখাটো চেহারার মেয়েটি নজরেই পড়েনি নিরাপত্তারক্ষীদের। এরপর বিমানের এক কর্মীকে অনুসরণ করে বিমানের দিকে এগোয় মেয়েটি। পরে পিছু ফিরে দাঁড়ায়। এরপর যাত্রীদের ভিড়ের মধ্যে মিশে যায় সে। এমন ভাব করে যেন সে তার বাবা-মাকে খুঁজছে।

দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় বিমানে উঠে পড়ে মেয়েটি। সেই সময় এক আধিকারিক তাঁকে লক্ষ্য করেন এবং পুলিশের হাতে তুলে দেন। কোন বিমান পরিবহণ সংস্থার বিমানে মেয়েটি উঠে পড়েছিল, তা জানাননি স্টেমপফ্লি। তবে জানা গেছে, বিমানটির গন্তব্য ছিল ফ্রান্স।

স্টেমপফ্লি জানিয়েছেন, এমন ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে চা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়ম কঠোর করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তালা-কলারোয়ার বর্তমান ও সাবেক সাংসদ ব্যর্থ -দাবি আ ’লীগ নেতা নুরুলের

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি দশম সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা ১ আসনে জয় লাভ করলেও ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ জনগণের আশা আকাক্সক্ষা পূরণ করতে পারেন নি। একই সময়কালে এখানকার যথাযথ উন্নয়ন তো হয়নি উপরন্তু নানামুখী দুর্নীতি হয়েছেÑ এমনটা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করলেন তালা উপজেলা আ ’লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম। তার দাবি এই আসনে ইতিপূর্বে মহাজোটের সাংসদ ইঞ্জি. মুজিবুর রহমানও ব্যর্থ ছিলেন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাশা করে এসব বক্তব্য তুলে ধরেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন ২০০৮ এর নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী হিসাবে সাতক্ষীরা-১ (তালা কলারোয়া) আসনে তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমান জয়ী হয়েছিলেন। তিনি যোগাযোগ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানও হন। তা সত্ত্বেও তিনি জনগণের আকাংক্সক্ষা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে দাবি করেন শেখ নুরুল ইসলাম।
বুধবার সাতক্ষীরায় এক অনির্ধারিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক কালের চিত্র সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক শাকিলা ইসলাম জুঁই, খলিসখালি ইউপি চেয়ারম্যান ও বিটিভির সাতক্ষীররা প্রতিনিধি মোজাফফর রহমান ছাড়াও অনেক সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী উপিস্থিত ছিলেন।
শেখ নুরুল ইসলাম বলেন ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার গ্রাম পুটিয়াখালিতে অবস্থান নেওয়া বিপুল সংখ্যক ভারতগামী হিন্দু উদ্বাস্তুকে পাক হানাদারবাহিনী লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। গ্রামবাসী অজ্ঞাত পরিচয় এমন ৭৯ জনের মরদেহ মাটিচাপা ও কপোতক্ষ নদীর পানিতে ভাসিয়ে দেন। একই দিনে ভারতগামী উদ্বাস্তুদের সহায়তা দেওয়ার কারণে পাকহানাদাররা তার বাবা শেখ আবদুর রহমান ও বড় ভাই শেখ জালালউদ্দিনকে বাড়ি থেকে ধরে এনে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করেছিল। তিনি নিজেকে সেই শহিদ পরিবারের গর্বিত সন্তান দাবি করে শেখ নুরুল ইসলাম আরও বলেন ১৯৯২ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বঙ্গবন্ধুকন্য শেখ হাসিনা শহিদদের জন্য তালার পারকুমিরায় একটি স্মৃতিফলক স্থাপন করেন। কিন্তু আজ অবধি তা স্মৃতিসৌধে উন্নীত হয়নি বলে হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন এই ব্যর্থতা ২০০৮ এর মহাজোট সাংসদ, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান ১৪ দলীয় জোট সাংসদের।
শেখ নুরুল ইসলাম আরও বলেন ২০১৪ এর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেছিলেন। এমনকি তার অনুকূলে নৌকা প্রতীকও বরাদ্দ হয়েছিল। তিনি বলেন পরে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তালা-কলারোয়ার এই আসনটিতে পরিবর্তিত মনোনয়ন দেওয়া হয় ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহকে। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের সমুদয় ভোট নিয়ে জয়লাভ করলেও আজ অবধি নিজদলের উল্লেখযোগ্য ভোট ব্যাংক তৈরি করতে পারেননি। তিনি আরও বলেন ১৪ দলীয় এই প্রার্থীর কারণে দলগতভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবারও এই আসনে ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী অথবা মহাজোটগতভাবে জাতীয়পার্টির প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হলে আওয়ামী লীগ যেমন তা মেনে নিতে পারবে না, তেমনি তার বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারেন দলীয় নেতাকর্মীরা। বর্তমান সাংসদের আমলে সাতক্ষীরার তালা কলারোয়া আসনের মানুষ উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে। ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা আওয়ামী লীগকে পেছনে ফেলে নিজ দলের গুটিকয়েক লোক নিয়ে কাজ করে আসছেন বলে তার দাবি।
তিনি বলেন এই সময়ে টিআর, কাবিখা, কপোতাক্ষ খনন, স্কুল কলেজে নিয়োগ, সোলার প্যানেল প্রকল্পসহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে।
শেখ নুরুল ইসলাম বলেন, আমি এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। মনোনয়ন পেলে আমি জনগণের পূর্ণ সমর্থন লাভ করবো। এ জন্য সংবাদকর্মীদের সহায়তা প্রয়োজন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পদ্মাপাড়ে গিয়ে কলাই-রুটি খেলেন ওবায়দুল কাদের

রাজশাহী এসে মঙ্গলবার বিকেলে বলেছিলেন কাল (বুধবার) কলাইয়ের রুটি খেতে যাবো। সকালে সেই কথা রাখলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল সাড়ে ৬টা। রাজশাহী মহানগরী শ্রীরামপুর পদ্মার পাড়। শহররক্ষা বাঁধের ওপর দোকান বিছিয়ে কেবলই কালাই-রুটিতে তা দেওয়া শুরু করেছেন দোকানিরা। এ সময় হাঁটতে হাঁটতে সেখানে উপস্থিত হন সেতুমন্ত্রী।

ওপরে চট টাঙানো। নিচে প্লাস্টিকের চেয়ার। তার ওপরেই বসে পড়লেন মন্ত্রী। গরম গরম কালাই-রুটি খেলেন আর আদা চা পান করেলেন। এ সময় তেমন কেউ না থাকলেও কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রাণ খুলে কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দুইদিনের রাজশাহী সফরের দ্বিতীয় দিনের সকালটা ছিল এমনই। বুধবার সকালে সেতুমন্ত্রী রাজশাহী সার্কিট হাউস থেকে হাঁটতে বের হন। আর হাঁটতে হাঁটতে তার চিরচেনা স্বভাবে ফিরে আসেন। মিশে যান সাধারণ মানুষের সঙ্গে। কথা বলেন সমসাময়িক রাজনীতি, অর্থনীতিসহ নানান বিষয় নিয়ে। সকাল বেলায় তাকে কাছে পেয়ে তরুণরা মোবাইল ফোনে সেলফিও তোলেন মন্ত্রীর সঙ্গে।

সকালের এই আড্ডায় মন দিয়ে শোনেন সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকার কথা। এ সময় পদ্মাপাড়ের স্থানীয় মানুষ তাকে কাছে পেয়ে বিভিন্ন অভাব-অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। সব শোনার পর সবাইকে আশ্বস্তও করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি রাজশাহীর প্রেমে পড়ে গেছি, না এসে পারব না। আবারও আসবো। আর এবার এলেও কালাই-রুটি খাব। ’

পরে মন্ত্রীও তার কালাই-রুটি দিয়ে নাশতার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টু্ইটারে পোস্ট করেন।
এর আগে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী এসে বলেছিলেন, আবার কখনও রাজশাহী আসলে কালাই-রুটি খাবেন। আট মাস পর আবার আসলেন। পদ্মাপাড়ে গিয়ে চটের নিচে বসে কালাই-রুটি খেলেন। মেতে উঠলেন আড্ডায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জমজম কূপ সংস্কার করছে সৌদি আরব

সৌদি আরবের মক্কায় মসজিদুল হেরামের ভেতরে অবস্থিত পবিত্র জমজম কূপ সংস্কার করছে দেশটি। মক্কা ও মদিনার দুই পবিত্র মসজিদের পরিচালনা কমিটির প্রধান আবদুর রহমান আল সুদাইস সোমবার এই ঘোষণা দেন।

সৌদি আরবের গণমাধ্যম সৌদি গেজেট জানিয়েছে, সংস্কারকাজটি করতে সাত মাস সময় লাগবে। আগামী বছরের রমজানের আগেই এ সংস্কারের কাজ শেষ হবে।

আল সুদাইস জানান, দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক ও সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ জমজম কূপ সংস্কারের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, সংস্কারের কাজটি দুই ভাগে করা হবে। প্রথম দিকে, জমজমের পূর্বদিকে মাতাফ এলাকা থেকে পানি সংগ্রহের জন্য পাঁচটি সেবাকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এসব সেবাকেন্দ্রের প্রস্থ হবে আট মিটার ও দৈর্ঘ্য হবে ১২০ মিটার। শেষ দিকে, সংস্কারকাজের ইট ও ধাতব পদার্থ অপসারণ এবং এলাকাটি জীবাণুমুক্ত করা হবে।

সৌদি আরবের জিওলজিক্যাল সার্ভের আওতায় জমজম স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রয়েছে। সেখান থেকে কূপের পানির মান, গভীরতা, তাপমাত্রার বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।কাবা শরিফ থেকে ২০ মিটার দূরে অবস্থিত এই জমজমকে মনে করা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো কূপ। পাঁচ হাজার বছর ধরে এই কূপ থেকে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই কূপ থেকে প্রতি সেকেন্ডে ১৮ দশমিক ৫ লিটার পানি উত্তোলন করা হয়। যদিও জমজমের গভীরতা ৩০ মিটার।

প্রতিদিন এই কূপ থেকে ১২০ টন পানি মদিনায় মসজিদে নববীতে নিয়ে যাওয়া হয়। ট্যাংকে করে পরিবহনের মাধ্যমে খুব সতর্কতার সঙ্গে তা সরবরাহ করা হ্য়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে: স্বামীসহ ১৩ জনকে হত্যা !

ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়ার পর পাকিস্তানের এক তরুণী তার শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিষাক্ত লাসসি খাইয়ে দেয়ার পর তার স্বামীসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মুজফফরগড় জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আসিয়া বিবি নামে ওই তরুণীকে তার কথিত প্রেমিকসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে আসিয়াকে জোর করে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়। এর পর গত সপ্তাহে সে তার স্বামীকে বিষ মেশানো দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে, কিন্তু সে চেষ্টা সফল হয় নি।

এর পর আসিয়া দই দিয়ে তৈরি লাসসিতে ওই বিষ মিশিয়ে দেয় এবং স্বামীর পরিবারের সবাইকে তা পরিবেশন করে – বলছে পুলিশ। বিষাক্ত লাসসি খেয়ে আসিয়ার স্বামীসহ ১৩ জন মারা যায় এবং অন্য ১৪ জন এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছে – বলছেন পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াইস আহমেদ।

আহমেদ জানান, আসিয়া এবং তার কথিত প্রেমিক ছাড়াও এ পরিকল্পনায় সহায়তা করার অভিযোগে তার এক খালাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কদমতলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিকদের পরিচিতি সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা সদর কদমতলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিকদের পরিচিতি ও এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সন্ধায় কদমতলা বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে ক্লাবের সভাপতি মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেনের পরিচালনায় পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সহ-সভাপতি সদরুল হাসান, আবু রায়হান, সহ-সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজান আলি, অর্থ-সম্পাদক রফিকুল আলম, ক্রীড়া সম্পাদক আঃ রাজ্জাক, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান, সদস্য মনিরুল ইসলাম, মজ্ঞুরুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, জাহারুল ইসলাম প্রমূখ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest