সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

ঘুষ চাইলে জুতাপেটা করার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক : ‘কেউ ঘুষ চাইলে তাকে জুতাপেটা করুন। ‘ সরাসরি এই পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। সোমবার সিঙ্গারেনি কোলিয়ারিস কোম্পানি লিমিটেডের এক কর্মীসভায় এ কথা বলেন তিনি।

গত সপ্তাহেই সিঙ্গারেনি কোলিয়ারিসের শ্রমিক সংগঠনের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এসেছে টিআরএস সমর্থিত তেলেঙ্গানা বগ্গু গনি কর্মিকা সংঘম। হায়দরাবাদের প্রগতি ভবনে তাদের একটি অনুষ্ঠানে চন্দ্রশেখর রাও বলেন, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে চাকরি ক্ষেত্রে নিজের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা পেতে আপনাদের ঘুষ দিতে বাধ্য করা হয়। সিক লিভ বা মেডিকেল স্কিমের পাওনা টাকা পেতে আপনারা ঘুষ দিতে বাধ্য হন। কাল থেকে যে ঘুষ চাইবে, তাকে জুতাপেটা করবেন।

দুর্নীতিগ্রস্ত আধিকারিকদের কোনও মতেই বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছে টিআরএস। এবার থেকে কেউ ঘুষ চাইলে তাকে উচিত মত জবাব দিতে পরামর্শ দিয়েছেন চন্দ্রশেখর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম ; বদলে যাচ্ছে সুন্দরবন

বদলে যাচ্ছে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন। প্রাকৃতিক এ বনের নতুন আকর্ষণ আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার।
সবুজে ঢাকা সাতক্ষীরার সুন্দরবন সংলগ্ন খোলাপেটুয়া নদীর পাড়ে ২৫০ বিঘা জমির ওপর এ ট্যুরিজম সেন্টারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনায় পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) গড়ে উঠেছে। ২০১৬ সালের ১৯ নভেম্বর উদ্বোধন করা হয় এটি।

সুরঞ্জনা,

তোমার হৃদয় আজ ঘাস

বাতাসের ওপারে বাতাস

আকাশের ওপারে আকাশ।

কবি জীবনানন্দ দাশের জনপ্রিয় কবিতা ‘আকাশলীনা’ এখন শুধু বইয়ের পাতায় নয়, ভর করেছে সুন্দরবনের নিবিড় প্রকৃতিতেও। বন বিভাগ জানায়, দেশের ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের প্রতি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ রয়েছে। বছরজুড়েই ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা সুন্দরবন দেখতে আসেন। দর্শনার্থীদের ভ্রমণ আরও আনন্দময় করে তুলতে সরকারের বিশেষ উদ্যোগে এই ইকো ট্যুরিজম সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। এ পর্যটন কেন্দ্রের সামনেই রয়েছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন-সুন্দরবন। এখানে রয়েছে ট্রেল, জেটি ও নদীতে নৌ-ভ্রমণের জন্য বোট। দূরের পর্যটকদের জন্য রয়েছে আবাসিক ব্যবস্থা। পূর্ণিমার রাতে সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্যময় এই স্থানটি পর্যটকদের কাছে লোভনীয়। অল্প সময়ে সুন্দরবন দেখতে এটি আদর্শ পর্যটন কেন্দ্র। এখানে একটি রেস্টুরেন্ট, পার্কিং স্থান, ছোট জাদুঘরসহ পর্যটকদের জন্য হরেক রকম সুবিধা রাখা হয়েছে। নামমাত্র প্রবেশ মূল্য দিয়ে ভিতরে ঢোকা যায়। পর্যটকরা ভিতরে ঢুকেই প্রথমে দেখতে পাবেন জীবনানন্দ দাশের কবিতা ‘আকাশলীনা’ বিল বোর্ডে লেখা। এ ছাড়া বাঁশের পাটাতনে তৈরি সড়ক পথে এগিয়ে যেতেই চোখে পড়বে গোলপাতার তৈরি ঘর। কেওড়া গাছ ঘিরে আকর্ষণীয় গল্প ও আড্ডার স্থান। কেওড়া গাছে ঝুলে থাকা বানর। বাঁশের মাচায় ঘাপটি মেরে বসে থাকা কৃত্রিম বাঘ। এ ছাড়াও হাতের ডানে রয়েছে ফিশ মিউজিয়াম। উপকূলীয় অঞ্চলের মত্স্য সম্পদ পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতেই এ মত্স্য জাদুঘরটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে রয়েছে সামুদ্রিক প্রাণী অক্টোপাস, রুপালি, হরিণা চিংড়ি, কাঁকড়া, কাইন, ভাঙন মাছ থেকে শুরু করে উপকূলীয় অঞ্চলের শতাধিক মাছ ফরমালিনে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। হাতের বাম পাশেই রয়েছে বিলাসবহুল আবাসিক রুম। রুমগুলোর নামও প্রকৃতি থেকে নেওয়া— বন বিলাস, কেওড়া, সুন্দরী ও গোলপাতা রেস্ট হাউস। এখানে খুব আরামে রাত যাপন করতে পারবেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটক ও দর্শনার্থীরা। ইকো ট্যুরিজম সেন্টারের সামনে রয়েছে খোলপেটুয়া নদীর ওপর বাঁশের পাটাতন দিয়ে তৈরি বেশ কিছু চমৎকার টংঘর। টংঘরগুলোর নামও বেশ চমৎকার। কোনোটির নাম প্রাণ জুড়ানী, প্রকৃতি। আবার কোনোটির নাম মনজুড়ানী। যেখানে বসে দর্শনার্থীরা আড্ডা দেওয়ার পাশাপাশি সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় দুই গাজা ব্যবসায়ীর ৬ মাসের কারাদণ্ড

কলারোয়া ডেস্ক : কলারোয়া সীমান্তে দুই গাজাসেবীকে ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর ভাদিয়ালি গ্রামের মোসলেম মোল্লার ছেলে জাহিদ হোসেন (১৯) ও একই গ্রামের মোনতাজ মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (১৮)। উদ্ধার করা হয় ১ কেজি গাজা।
জানা গেছে- সোমবার সকালে উপজেলার ভাদিয়ালী গ্রামের কালিবাড়ী ১৩/৩ এস আরবি নামক স্থান থেকে তাদের ১ কেজি গাজাসহ আটক করে বিজিবি। পরে সেখানে সাতক্ষীরা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে মো: আবু তালেব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটকদের ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির ল্যান্স নায়ক ফারুক হোসেন, সাংবাদিক এসএম ফারুক হোসেন প্রমুখ।
উদ্ধারকৃত গাজা জনসম্মুখে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় ইয়াবাসহ তিন ব্যক্তি আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক : কলারোয়া থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।
রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৬৬পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট।
আটককৃতরা হলো- কলারোয়া পৌর সদরের ঝিকরা গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে রিংকু (৩৪) ও একই গ্রামের ওজিয়ার রহমানের ছেলে আক্তারুল ইসলাম (৩০)। তাদের কাছ থেকে ৫৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। অপরদিকে ১০ পিস ইয়াবাসহ উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের নাথপুর গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে সোহাগ হোসেন (২৭)কে আটক করে পুলিশ।
কলারোয়া থানার সেকেন্ড অফিসার আমিনুর রহমান জানান, ওসি বিপ্লব কুমার নাথের নির্দেশে তার নেতৃত্বে উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে ৬৬ পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে কলারোয়া থানায় মামলা হয়েছে বলে ওসি (তদন্ত) জিয়াউর রহমান জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
টানা বর্ষণে শ্যামনগরে পাউবো বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে

মনিরুজ্জামান মুকুল : টানা কয়েক দিনের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও নিম্মচাপ সৃষ্টিতে জোয়ারের পানি প্রবল তুফান হওয়ায় খন্ড খন্ড স্থানে ধসে পাউবো বেবিবাঁধ হুমকির মুখে। মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোবাইল ফোনে জানান, তার এলাকার বড় ভেটখালি মোস্তফা সরদারের বাড়ির সামনে, পারশেখালী জুম্মান গাজী জামে মসজিদের সামনে, দক্ষিণ কদমতলা হাফেজ আবু দাউদের বাড়ির সামনে, মথুরাপুর জেলে পাড়ার সামনে, সিংহরতলী প্রথম আলো সাইক্লোন সেন্টার থেকে ভোলা মন্ডলের বাড়ি পর্যন্ত পাউবো ভেড়ি বাধ খন্ড খন্ড স্থানে ভংঙ্গন সৃষ্টি হওয়ায় জনমনে আতংক বিরাজ করছে। চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জানান, ২০ ফুট ভেড়ি বাধ ভাংঙ্গন সৃষ্টি হওয়ায় আছে ৪ থেকে ৫ ফুট। বড় কোন দূর্যোগ হলে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংঙ্খা। বুড়িগোয়ালিনি ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল মোবাইল ফোনে জানান তার এলাকার পাউবো বেড়িবাধ ব্যাপক হুমকির মুখে। দূর্গাবাটি সাইক্লোন সেন্টারের সামনে, দূর্গাবাটি মুজিবর হাজীর মৎস ঘের থেকে আঃ হাকিমের মৎস ঘের পর্যন্ত, দাতিনাখালী মোড়ল বাড়ির সামনে, আজিজ দফাদারের বাড়ির সামনে, নীলডুমুর ফরেষ্ট অফিসের সামনে, জাপান কাঁকড়া হ্যাচারির সামনে এছাড়া বহু স্থানে পাউবো বেড়িবাঁধ ব্যাপক হুমকির মুখে। গাবুরা ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আঃ রহিম মোবাইল ফোনে জানান, তার এলাকায় পারশেমারি টেকের হাট নামক স্থানে পাউবো বেড়িবাধঁ ভেঙ্গে এলাকায় পানি ডুকে পড়ে পর দিন সকালে পাউবো কর্মকর্তা ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভাঙন স্থান সংস্কার করা হয়। গাবুরা একটি ছোট দীপ চার পাশে কপোতক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর প্রবল ¯্রােত ঢেউয়ের আঘাত ও বৈরি আবওহায়ায় পাউবো বেড়িবাধ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। গাবুরা, মুন্সিগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনি ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমিরসহ ৯ নেতা আটক

জামায়াতে ইসলামীর আমির মকবুল আহমাদসহ দলটির নয়জন নেতাকে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপকমিশনার নাজমুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আটক জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে গোপনে বৈঠক করে নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগ উঠেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁদের ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে।

সূত্র : প্রথমআলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাংলাদেশে ব্লক করা হচ্ছে ‘ব্লু হোয়েল গেম’, সতর্ক নজরদারি

ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে ব্লক করা হচ্ছে আলোচিত গেম ব্লু হোয়েলের লিংক। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে গেমটির ব্যাপারে নজরদারি বাড়িয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সম্প্রতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ব্লু হোয়েল গেম নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে পাওয়া অভিযোগ এবং বন্ধের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ব্লু হোয়েলের মতো যত ক্ষতিকারক গেম আছে সে সম্পর্কে পারিবারিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে সবাইকে সচেতন করতে হবে।’ এ ব্যাপারে তিনি দেশের সব গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
পলক বলেন, ‘আমরা ব্লু হোয়েল গেমটিকে শতভাগ ফলো করছি। অনেক ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। ফেসবুক, মেসেঞ্জারে এসএমএস দিচ্ছে, নক করে গেমটি খেলতে প্রলুব্ধ করা হচ্ছে- যার সবকিছুই সঠিক নয়। আমরা সব সময় দেখছি, লিংকগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে, রিমুভ করা হচ্ছে। আমরা গোয়েন্দা সংস্থা, বিটিআরসিকে (টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা) বলেছি, সেগুলো ব্লক করতে। পাশাপাশি আমাদের আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বিভাগের যে বিডি-সার্ট আছে তারাও গেমটির প্রতি নজর রাখছে।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গেমটির ভয়ঙ্কর দিক হলো এর অ্যাপ। বলা হচ্ছে, অ্যাপটি স্মার্টফোনে একবার ইনস্টল হয়ে গেলে তা আর রিমুভ করা যায় না। ফলে নোটিফিকেশন আসতেই থাকে। যা এক পর্যায়ে বিরক্তির চূড়ান্ত পর্বে নিয়ে গেমটি খেলতে বাধ্য করে। এছাড়া, এ সংক্রান্ত বিভিন্ন লিংক বা সাইটে (অচেনা, অজানা) ক্লিক করলেই বিপদ। সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, গুগলের প্লে স্টোর বা অ্যাপলের অ্যাপস্টোরে গেমটি সাধারণভাবে পাওয়া যায় না। ডার্ক ওয়েবে গেমটি পাওয়া যেতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র সচিব সরওয়ার আলম বলেন, ‘আমরা আরও আগে থেকেই কাজ শুরু করেছি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করছে। তারা যদি আমাদের আগে জানাতে পারেন, তাহলে আমরা তা বন্ধ করে দেবো। এছাড়া, আমাদের (বিটিআরসি) সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারাও ব্লু হোয়েল গেম নিয়ে কাজ করছেন।’
প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে ব্লু হোয়েল গেমের নাম ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে এটি চ্যালেঞ্জ দেওয়া এবং তা আদায়ের গেম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তবে সব আলোচনাকে ছাপিয়ে গেছে এই গেমের সঙ্গে আত্মাহুতির বিষয়টি উঠে আসায়। যে কারণে ব্লু হোয়েল গেমকে অনেকে সুইসাইড গেমও বলছেন।
এই গেমের শুরুতে একটি গ্রুপ গঠন করা হয়। যেখানে একজন থাকেন তত্ত্বাবধায়ক এবং কয়েকজন সদস্য থাকেন। ৫০ দিনের এ খেলায় নির্দিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক প্রতিদিন অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে একটি কাজ বা চ্যালেঞ্জ দেন। গেমে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই সেই কাজটি করতে হয়।
শুরুর দিকে এসব কাজ নির্দিষ্ট গান শোনা, গভীর রাতে হাঁটাহাঁটি করা, ভয়ঙ্কর সিনেমা দেখা ইত্যাদির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও ৫০তম ধাপটি হলো আত্মহত্যার চেষ্টা করা। এই চেষ্টা করেও যিনি বেঁচে যাবেন, তিনি অথবা তারাই হবেন চ্যাম্পিয়ন। গেমের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি কাজের ছবি তুলে তা গ্রুপের সবাইকে দেখাতে হয়।
অবশ্য অংশগ্রহণকারীরা কিভাবে এই গেমটি খেলেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। কেউ কেউ বলেন, এই গেম খেলতে হলে স্মার্টফোনে কিছু অ্যাপ ইনস্টল করতে হয়। আবার কারও মতে, ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে দেওয়া হয়ে থাকে। তারপর নিয়মিত সেসব প্ল্যাটফর্মেই চলে গেমের কার্যক্রম।
এদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে ব্লু হোয়েল নামে কোনও গেম আছে কিনা তা নিশ্চিত নয়। তারপরও সারাবিশ্বে এটা ছড়িয়ে পড়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। আমেরিকা ও ইউরোপের স্কুল এবং পুলিশ বিভাগ এ গেমের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে কাজ শুরু করেছে। ওই অঞ্চলের পুলিশ সন্তানদের ওপর কড়া নজর রাখতে অভিভাবকদের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, ব্লু হোয়েল গেমের উৎপত্তি রাশিয়ায়। আর এ গেম খেলে এ পর্যন্ত ১৩০ জন মারা গেছেন এবং অন্তত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাদেরের বক্তব্যের সময় ছাত্রলীগের স্লোগান, বিক্ষোভ

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ করেছে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগ। নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের মুসলিম হল মিলনায়তনের সামনে এ বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রলীগ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রয়াত আতাউর রহমান খান কায়সারের স্মরণে এক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়ে গাড়িতে ওঠার পর সন্ধ্যায় এ বিক্ষোভ হয়।

সোমবার চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ যৌথভাবে মুসলিম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রয়াত আতাউর রহমান খান কায়সারের স্মরণসভার আয়োজন করে। ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেওয়া শুরু করলে নগর ছাত্রলীগ মুহুর্মুহু স্লোগান দিয়ে নগর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাসের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের দক্ষিণ নালাপাড়া এলাকার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুরুতর আহত করা হয় ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্তকে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নগরের সদরঘাট থানায় অজ্ঞাত সাত-আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহত সুদীপ্ত বিশ্বাসের বাবা মেঘনাদ বিশ্বাস।

ছাত্রলীগের বিক্ষোভের মুখে ওবায়দুল কাদের স্মরণসভায় বলেন, চট্টগ্রামের সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতার স্মরণসভা এটা। এখানে একটা আবেগ ও সেন্টিমেন্ট আছে। তোমাদের (ছাত্রলীগ) কোনো কথা থাকলে আমার সঙ্গে পরে বলতে পারো। এই স্মরণসভার গাম্ভীর্য ও মর্যাদা তোমাদের রক্ষা করতে হবে।

প্রসঙ্গ না ঘুরিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আবার বলেন, ‘চট্টগ্রামে মাঝেমধ্যে আমাদের তরুণদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য রক্তক্ষরণ ঘটে। আমি জানি না, কেন এসব হয়।’ এরপর ছাত্রলীগ আবার মুহুর্মুহু স্লোগান দিয়ে সুদীপ্তর খুনিদের বিচারের দাবি তুললে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের খেই হারিয়ে যায়। আবার ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার কথা শুনতে হবে, ডিসিপ্লিন (শৃঙ্খলা) মানতে হবে। নইলে আমি কথা বলব না।’

স্লোগান বন্ধ হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কয়েক দিন আগে (শুক্রবার সকালে) যে ঘটনা (সুদীপ্ত হত্যাকাণ্ড) ঘটেছে, আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশ কমিশনার ও প্রশাসন—সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এসব ঘটনায় ক্ষমা করে দেওয়ার সংস্কৃতি দেখতে চাই না। আমি বলেছি, যারাই হত্যাকারী হোক, তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে, শাস্তি দিতে হবে। তাদের বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। এখানে কোনো আপস নেই। এ ধরনের ঘটনার উপযুক্ত বিচার ও শাস্তি হলে ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি কমে যাবে।’
সেতুমন্ত্রী প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করুন। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। কারণ, সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই। সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্তরা দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় মঞ্চে এবং নেপথ্যে যারা জড়িত এবং তারা যতই প্রভাবশালী হোক, কাউকে ক্ষমা করা যাবে না।

ওবায়দুল কাদের বক্তব্য শেষ করে মুসলিম ইনস্টিটিউটের সামনে থাকা গাড়িতে উঠলে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী পথে দাঁড়ান। তাঁরা সুদীপ্ত হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দিয়ে বলেন, ‘প্রতিবাদের শেষ পথ/ অস্ত্র হাতে রাজপথ’। এ সময় ছাত্রলীগের নগর কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের সঙ্গে জ্যেষ্ঠ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা বিক্ষোভকারীদের গাড়ির সামনে থেকে হঠাতে হিমশিম খান। তবে গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করা হয়নি। ধীরগতিতে গাড়ি আঙিনা থেকে রাস্তায় আনা হয়। এরপর ওবায়দুল কাদের চলে যান।

সুদীপ্ত খুনের তদন্তে অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নগরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ‘প্রায় সব আসামিকে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। পুলিশের কয়েকটি টিম রাত-দিন মাঠে কাজ করছে। আসামিরা ধরা পড়বেই।’

ছাত্রলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছিলেন, চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার এলাকার এক আওয়ামী লীগ নেতার অনুসারীরা সুদীপ্ত হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন। ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি মন্তব্যের কারণে ওই আওয়ামী লীগ নেতা সুদীপ্তকে খুন করিয়েছেন।

সূত্র : প্রথমআলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest