সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

কালিগঞ্জে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কালিগঞ্জ ব্যুরো : কালিগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান (৪৭) নামের এক গাঁজা ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। সে সাতক্ষীরা সদর থানার পুরাতন সাতক্ষীরা বদ্দিপুর কলোনীর আব্বাস আলী সরদারের ছেলে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কৃষ্ণনগর বাজারের সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গাঁজা বিক্রি হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৯‘শ গ্রাম গাঁজাসহ মোস্তাফিজকে হাতে নাতে আটক করে পুলিশ। এসময় তার কাছে থাকা শপিং ব্যাগের মধ্যে মবিলের পটের ভেতর হলুদ রংয়ের টেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ৯‘শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাদকদ্রব্য আইনে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল। অফিসার ইনচার্জ লস্কর জায়াদুল হক বলেন, মাদকের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা দেশ ও জাতির শত্রু। মাদক সেবী ও ব্যবসায়ী কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি মাদকদ্রব্য নির্মূলে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে যশোরে বাড়ি ঘেরাও

যশোরের ঘোপ নোয়াপাড়া রোড জামে মসজিদের পেছনে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি দোতলা বাড়ি ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

রবিবার রাত ২টা থেকে বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়িটি ঘিরে রেখেছে বলে জানা গেছে।
বাড়িটির মালিক যশোর জেলা স্কুলের শিক্ষক হায়দার আলি। যশোর কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাড়ির মালিক হায়দার আলি জানান, তার বাড়িতে দু’টি পরিবার ভাড়া থাকে। তিনি পাশের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। রবিবার দিবাগত রাত ৪ টার দিকে তিনি তার আত্বীয়ের কাছ থেকে জানতে পারেন যে, জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে তার বাড়িটি ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের সাথে কথা বলে যতটুকু জানতে পেরেছি তাতে করে তার বাড়ির পশ্চিম পাশের ভাড়াটিয়া মশিউর রহমান ও তার পরিবারকে সন্দেহ করছে পুলিশ। মশিউর রহমান তার স্ত্রী ও ৩ সন্তান নিয়ে সেখানে ভাড়া থাকতেন। তিনি একটি হার্বাল কোম্পানিতে চাকরি করতেন।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুর রহমান (ক সার্কেল) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সোমবার ভোর ৫টার দিকে এএসপি মাহবুবের নেতৃত্বে সোয়াটের একটি টিম যশোরে এসে পৌঁছেছে। টিমটি ইতোমধ্যে ওই এলাকা পরিদর্শনও করেছে। যেকোনো সময় অভিযান শুরু হতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রতনপুর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ বিক্ষোভ

কালিগঞ্জ ব্যুরো : কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রতনপুর বাজারের ব্যবসায়ী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে রতনপুর পূজা মন্ডপের সভাপতি মৃত হরিপদ ঘোষের ছেলে পল্লী চিকিৎসক পিনাক কুমার ঘোষ, রতনপুর বাজারের ব্যবসায়ি ও পুজা কমিটির উপদেষ্টা মৃত গৌরপদ বিশ্বাসের ছেলে দিলিপ বিশ্বাস, মৃত পুলিন বিষ্ট ঘোষের ছেলে পল্লী চিকিৎসক তপন ঘোষ, রতনপুর পুজা মন্ডপ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার সরকার, দেবব্রত মল্লিক, কিশোরী মোহন মন্ডলসহ একাধিক বক্তা বলেন, “আমাদের চেয়ারম্যান একজন ভাল মানুষ। ঐদিনে ঘটনায় চেয়ারম্যানের কোন দোষ আমরা খুজে পাইনি। আমাদের গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা বিধবা মহিলা ইতিপূর্বে একইভাবে আরো দুই ব্যক্তির নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল। এই মহিলা মিথ্যা মামলা দিয়ে অনেক মানুষকে হয়রানি করেছে ও করছে। যে মহিলাকে দিয়ে চেয়ারম্যানের নামে এই ধরণের মামলা করা হয়েছে এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ওই দিন চেয়ারম্যান ছিলেন বাড়ির পাশে স্কুলের একটি মিটিংয়ে। চন্ডিতলা গ্রামের একটি ছেলে এসেছিল চেয়ারম্যানের কাছে নালিশ জানাতে। ছেলেটিকে পল্লী চিকিৎসক তারাপদ মন্ডলের ছেলে সুদেব মন্ডল ও তার জামাতা বিশ্বনাথ মন্ডলের ছেলে তপন মন্ডল দুজনে মিলে চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে রাস্তার উপর মেরে রক্তাক্ত করেছিল। এ খবর চেয়ারম্যানের কাছে পৌছানোর পর তিনি গ্রাম পুলিশকে বলেন তাদের আটকে রাখতে। কিছুক্ষণ পর চেয়ারম্যান বাড়িতে ফিরে তুচ্ছ ঘটনার বিষয়টি উভয় পক্ষকে নিয়ে মীমাংসা শেষে বাড়িতে পাঠানো হয়। বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত ও ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে চেয়ারম্যানের আশরাফুল হোসেন খোকনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা একই ইউনিয়নের কাশিশ্বরপুর গ্রামের বিশ্বনাথ মন্ডলের কন্যা স্বামী পরিত্যক্তা কল্পনা মন্ডলকে বাদি করে সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আমলী-২ আদালতে চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের নামে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মুলক মামলা দায়ের করে। এদিকে বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দিন হাসানকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নিদ্দের্শ দেয়। বক্তারা আরো বলেন, আমাদের সামনেই ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছে। গত নির্বাচনে সকলের ভোটে সে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। তার চরিত্র, সততা ও দক্ষতাই আজ তাকে এই জায়গায় পৌছে দিয়েছে। আমরা ইউনিয়ন বাসি প্রশাসনের কাছে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আমরা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো।”

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যৌনতার জন্যই ট্রাম্পের সঙ্গে বিয়ে ভাঙে প্রথম স্ত্রী‌ ইভানার

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিয়ের পরেও প্রকাশ্যেই অন্য নারীর সঙ্গে যৌন আনন্দের কথা বলেছিলেন। কিন্ত সেটা মেনে নিতে পারেননি ট্রাম্পের প্রথম স্ত্রী ইভানা।
পরিণামে ভেঙে যায় বিয়ে। ১৯৭৭ সালে ইভানার সঙ্গে বিয়ে হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ১৯৯২ পর্যন্ত টিঁকে ছিল সেই বিয়ে।

ট্রাম্পের বিচিত্র যৌনতা নিয়ে কম চর্চা হয়নি। সম্ভবত আরও একটু যৌনতার খোরাক যোগাবে ইভানার লেখা বই ‘‌রেইজিং ট্রাম্প’‌। খুব শীঘ্রই বাজারে আসছে। তারই অংশবিশেষ প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। ১৯৮৯ সালের কথা। মার্লা ম্যাপেল নামে এক নারী ইভানার কাছে এসে বলেন, ‘‌আমি তোমার স্বামীকে ভালবাসি। তুমিও কি ভালবাসো?‌’‌

মার্লা ম্যাপেলের এমন কথায় অবাক হয়ে যান তিনি। সাদা চুলের সেই নারীকে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেন। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে তার সম্পর্ক আর স্বাভাবিক হয়নি। সে সময় নিউ ইয়র্কের ট্যাবলয়েডগুলো ট্রাম্পের বক্তব্যে হেডলাইন করে ‘‌শ্রেষ্ঠ যৌন আনন্দ আমি উপভোগ করেছি’‌ নামে। ইভানার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে ম্যাপেলকে বিয়ে করেন ট্রাম্প।

ইভানা নাকি দাবি করেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে তাকে চেক প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ‘‌ভাল আছি’‌ জানিয়ে সে প্রস্তাব ফেরান ইভানা। তবে এই নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস।

উল্লেখ্য, ইভানা ও ট্রাম্পের তিন সন্তান হলো ডোনাল্ড জুনিয়র, ইভাঙ্কা এবং এরিক। বিচ্ছেদের পরে জুনিয়র নাকি ট্রাম্পের সঙ্গে এক বছর কথা বলেনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘ওই ওড়নাতেই চলে গেল স্বর্ণা’

ছোট একটা ঘর। বিছানার ওপর ঝুলছে কাপড়ে বানানো একটা টিয়াপাখি। সাদা দেয়ালে রূপকথার রাজকুমারীর ছবি আঁকা। বুদ্ধিমান কার্টুন চরিত্র ডোরেমনও আছে। ফ্যানটা কিছুটা কালচে হয়ে গেছে। বোঝাই যায়, বেশ কয়েকদিন মোছা হয়নি। ওই ফ্যানেই ঝুলে ছিল কিশোরী স্বর্ণার নিথর দেহ!

স্বর্ণার গলায় প্যাঁচানো ছিল ওড়না। স্বর্ণার বাবা সুব্রত বর্মণ বলেন, ‘ওর আবদার ছিল এ রকম ওড়নার। আমি সিঙ্গাপুর থেকে এনেছিলাম। ওই ওড়না পেঁচিয়েই ও চলে গেল।’

স্বর্ণার আসল নাম অপূর্বা বর্ধন স্বর্ণা। গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডের নিজেদের বাসা থেকে স্বর্ণার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। মেধাবী ছাত্রী স্বর্ণা পড়ত হলিক্রস স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে।

স্বর্ণার বাবা সুব্রত বর্ধন একজন আইনজীবী। তিনি জানান, মেয়ের লাশ উদ্ধারের দিনই শুনতে পান ‘ব্লু হোয়েল’ নামের একটি সোশাল মিডিয়া নির্ভর গেমসের কথা। তিনি দাবি করছেন, ওই গেমসে অংশ নিয়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে তাঁর মেয়ে।

অভিযোগ উঠেছে ব্লু হোয়েল গেমসটি এতে অংশগ্রহণকারীদের আত্মহত্যা প্রবণ করে তোলে। বিশ্বের একাধিক দেশে এ গেমসে অংশ নেওয়া একাধিক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগও আছে।
স্বর্ণার লেখা ‘সুইসাইড নোটে’ ওই গেমসের একটি চিহ্ন আঁকা ছিল। এ ছাড়া ওর পায়েও এ ধরনের চিহ্ন আঁকা ছিল।
স্বর্ণার ঘরে বসেই মেয়ে সম্পর্কে বলছিলেন সুব্রত। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের মুখে কোনোদিন আমি এই গেমটির নাম শুনি নাই। কিন্তু মারা যাওয়ার দিন আমি এ সম্পর্কে শুনি। বাসায় ভিড়ের মধ্যে থেকে কেউ একজন বলে মনে হয় স্বর্ণা ব্লু হোয়েল গেমসে আসক্ত ছিল। আমার তো কোনো কিছুর অভাব নেই, যখন যেটা চাচ্ছে তখন সেটাই পাচ্ছিল। আমি তাঁর মধ্যে কোনো পরিবর্তন দেখি নাই। কেবল লক্ষ করতাম যে, রাত জেগে সে ফোন ব্যবহার করত। আর কিছু দিন থেকে ও শুধু ছাদে যেতে চাইত।’
সুব্রত বলেন, ‘ছাদে ও একা একা ঘুরত। এমনকি হঠাৎ হঠাৎ করে ওর ছাদে যাওয়ার নেশা উঠত, বলত পাপা কি সুন্দর আকাশে চাঁদ উঠছে চল ছাদে যাই। রাত ১১টার পরে অনেক বার আমি নিজেই তাঁকে ছাদে নিয়ে গেছি। পূর্ণিমার চাঁদ তাঁর খুব পছন্দ ছিল।’
বৃহস্পতিবারের ঘটনা নিয়ে কথা বলেন সুব্রত। তিনি বলেন, ‘স্বর্ণার ঘরের লক লাগানো থাকত না। ওই দিন ভোর ৬টার দিকে ওর মা ঘুম থেকে ওঠার পরে তাঁর রুমের লক লাগানো দেখতে পায়। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। পরে সে চাবি দিয়ে দরজা খোলে। এরপর দরজা একটু খানি খুলেই মেয়েকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় নাইলনের ওড়নায় পেঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে ওর মা। আমি গিয়ে দেখি, খাটের উপর বসানো একটি চেয়ার পড়ে আছে। চেয়ারটি খাটের পশ্চিম পাশে নিচে পড়লেই কাজের মেয়েটি জেগে উঠত। তা যাতে না হয় এবং কোনো শব্দ যাতে না হয় সে জন্য বিছানার ওপর ফেলা হয়েছে চেয়ারটি।’

সুব্রত বলেন, ‘আমি দ্রুত ওড়না কেটে মেয়েকে নিচে নামিয়ে খাটের উপরে শুয়ে দেই। ওর জিহ্বা বের করা ছিল, আর চোখগুলো কেমন ভাবে যেন তাকানো অবস্থায় ছিল। আর এই ওড়না আমি সিঙ্গাপুর থেকে কিনে এনেছিলাম।’

সুব্রত কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার মেয়ে সাজতে অনেক পছন্দ করত। ও একটি ওড়না চেয়েছিল, যা ও সব ড্রেসের সঙ্গে পরতে পারবে। আমি সিঙ্গাপুর থেকে ওই ওড়না এনে দেই। ওই ওড়নাতেই সে চিরতরে চলে যাবে এমন জানলে কখনোই আনতাম না ওই ওড়না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কিছুক্ষণের মধ্যে দেশ ছাড়ছেন প্রধান বিচারপতি

রবিবার (৮ অক্টোবর) রাতেই অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে রওনা হবেন তিনি। রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাসা থেকে বের হবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

জানা গেছে, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এসকিউ-৪৪৭ ফ্লাইটে করে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন। দেশের একটি স্বনামধন্য গণমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করে।

উল্লেখ্য, সস্ত্রীক অষ্ট্রেলিয়ার ভিসা পেয়েছেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। ভিসার আবেদন ও বায়োমেট্টিক প্রক্রিয়া সম্পন্নের পরই তাদেরকে তিন বছরের ভিসা দেয় অষ্ট্রেলিয়া দূতাবাস। বৃহস্পতিবার গুলশান-২ এ অবস্থিত দেশটির ভিসা সেন্টারে গিয়ে ভিসার আবেদন করেন প্রধান বিচারপতি ও তার স্ত্রী সুষমা সিনহা।

ওইদিন তাদের বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এরপরই তারা ভিসা পান বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করে। অষ্ট্রেলিয়ায় প্রধান বিচারপতির বড় কন্যা সূচনা সিনহা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। সেখানে যাওয়ার পর বিচারপতি সিনহা ও তার স্ত্রী কন্যার বাসায় অবস্থান করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘অধিনায়কত্ব ছাড়ার ব্যাপারে বিসিবির সিদ্ধান্ত মেনে নেব’

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দ্বিতীয় টেস্টেও বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের কাছে মাত্র আড়াই দিনে এ হার লজ্জারই বটে। তবে দলের এই ব্যর্থতার চেয়েও বড় আলোচনার বিষয় হচ্ছে, মুশফিকুর রহিমের অধিনায়কত্ব নিয়ে। শোনা যাচ্ছে অধিনায়কত্ব হারাতে পারেন তিনি। এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠতেই কোনো রাখঢাক করেননি বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক। অধিনায়কত্ব ছাড়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন বলেও জানিয়েছেন।

আজ সোমবার ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, ‘অধিনায়কত্ব ছাড়ার ব্যাপারে বিসিবি যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি তা মেনে নিতে প্রস্তুত। আমাকে সরানো হবে কি না এই সিদ্ধান্তের ভার বোর্ডের ওপর। তারাই আমাকে এই সম্মান দিয়েছে। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে। এখন তারা যদি সন্তুষ্ট না হয় তাহলে সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। তবে আমি চেষ্টা করেছি সততার সঙ্গে আমার সেরাটা দিতে।’

অবশ্য নিজে থেকে সরে যেতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক। বলেছেনও, ‘আমি কেন সরে যাব? অবশ্যই অধিনায়ক হিসেবে সব ব্যর্থতায় দায় আমার দিকেই আসবে। আমি সেটা নিচ্ছিও। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য অনেক সম্মানের। আমি গর্বিত। তবে এটা তো কোন ব্যক্তিগত কোনো খেলা না, দলীয় খেলা।’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। দলের এই বেহাল দশার কারণেই মুশফিকের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। শোনা যাচ্ছে আগামী ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের আগেই নতুন অধিনায়ক নির্বাচন করতে পারে বিসিবি।

অথচ টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মুশফিক। এখন পর্যন্ত ৩৪টি ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তাঁর অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ সাতটি জয় পেয়েছে, নয় ম্যাচে ড্র করেছে এবং ১৮ ম্যাচে হেরেছে।

এই কিছুদিন আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এর আগে গত বছর ইংল্যান্ডকেও হারিয়েছিল লাল-সবুজের দল। দুটি ম্যাচেই অধিনায়ক ছিলেন মুশফিক। অথচ অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শ্যামনগরে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক বেহাল দশা

শ্যামনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার জন গুরুত্বপূর্ণ শহিদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক বেহাল দশার কারনে চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার এলাকাবাসী। রাস্তাটি ১ কিলোমিটার এর মধ্যে বহু অংশ ভেঙে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি জমা হলে দুই তিন দিনের মধ্যে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় এলাকাবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। নূরনগর ও ভুরুলিয়া ইউনিয়ন এবং শ্যামনগর ইউনিয়নে তিন গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চলাচলের একমাত্র রাস্তা। স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা চলাচলের সময় জামা কাপড়ে কাদামাটি মেখে ক্লাস করতে ব্যাঘাত ঘটছে। এলকাবাসী রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest