সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

শিক্ষিকাকে বাঁচাতে জীবন দিল কম্পিউটার বিজ্ঞানের ছাত্র তালহা

রাজধানীর টিকাটুলি এলাকার স্থানীয় ছেলে তালহা। মামা রাজনীতি করায় এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে তাদের। রোববার ভোরে এলাকার মোড়ে যখন বেসরকারি স্কুলের এক শিক্ষিকা ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন তখন থেমে থাকেননি তালহা।

এই ঘটনার প্রতিবাদে ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করে একজনকে রুখতে পেরে কিল ঘুষি মেরে মারাত্মক জখমও করে বসে। কিন্তু ছিনতাইকারী চক্রের অন্য দুই সদস্য তালহার উপর পাল্টা আঘাত করে। ছুরি দিয়ে এলোপাতারি কোপানোর কারণে মৃত্যু হয় তালহার। পুলিশ জানিয়েছে, ছিনতাইকারীদের ধরতে অভিযান চলছে।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবু তালহা (২২) তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। তার বাবা নূর উদ্দিন একজন ব্যবসায়ী। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বুররা থানায়। তারা টিকাটুলি কে এম রহমত লেনে থাকতেন।

ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন: রোববার ভোরে টিকাটুলি এলাকা দিয়ে রিক্সায় যাচ্ছিলেন একটি বেসরকারি স্কুলের একজন শিক্ষিকা ও তার ভাই। এসময় তিনজন ছিনতাইকারী তাদের পথরোধ করে। পেছনের রিক্সায় ছিলেন তালহা।

‘এক পর্যায় সে ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করে। এতে একজন ছিনতাইকারী পড়ে যায়। তাকে কিল ঘুষি মেরে মারাত্মক জখমও করে তালহা। একজন পড়ে গেছে দেখে ওই দু’জন আবার ফিরে তালহাকে ছুরি দিয়ে নির্দয়ভাবে কোপাতে থাকে। পরে তিন ছিনতাইকারীই দৌড়ে পালিয়ে যায়।’

ছুরিকাঘাতের পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তালহা নিজেই বাসায় যান। পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢামেকে নিয়ে আসে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তালহার ডান পায়ের উরুতে ছুরিকাঘাত করা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে ডাক্ত‍ারের বরাত দিয়ে ওসি জানান।

তিনি আরও জানান, ছিনতাইকারীদের ধরতে অভিযান এবং মামলার প্রক্রিয়া চলছে|

রোববার সকালে ওয়ারীর কে.এম দাস লেনে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সোয়া ৮টার দিকে তালহার মৃত্যু হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইয়াসিরের বিরল কীর্তির ম্যাচে লঙ্কার মহাবিপদ

পাকিস্তান। সকালে এক রকম তো বিকেলে আরেক রকম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪ রানের ভেতর প্রতিপক্ষের পাঁচ উইকেট ফেলে দিয়েছে দলটি। ওয়াহাব রিয়াজের আগুনে বোলিংয়ের আগে বিরল এক কীর্তি গড়েছেন স্পিনার ইয়াসির শাহ।

ইয়াসিরই প্রথম স্পিনার যিনি একটানা পাঁচ টেস্টে কমপক্ষে পাঁচ উইকেট করে নিলেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে টস জিতে ব্যাট নিয়ে প্রথম ইনিংসে ৪৮২ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাবে পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ২৬২ রানে।

দ্বিতীয় ইনিংসে বল করতে নেমেই কী এক জাদুমন্ত্রে বদলে যায় আজহার আলীরা। ৩ রানের মাথায় কুশল সিলভাকে দিয়ে শুরু করেন মোহাম্মদ আব্বাস। এরপর আঘাত হানেন ওয়াহাব রিয়াজ। আগের ইনিংসে ১৯৬ রান তোলা দিমুথ করুনারন্তেকে ৭ রানে সাজঘরে ফেরান। রিয়াজ পরে দ্রুত আরও দুজনকে ফেরান। মাঝখানে এক উইকেট নেন ইয়াসির। এই টেস্টে এখন পর্যন্ত সাতটি উইকেট নিলেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বার্সেলোনায় বিশাল সমাবেশ

কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার বিরোধিতা করে দেশের ঐক্যের পক্ষে সমাবেশ করেছে স্পেনের সাড়ে তিন লাখ মানুষ। কাতালোনিয়ার রাজধানী বার্সেলোনায় এক সমাবেশে স্পেনের একতার পক্ষে মিছিল করে নানামুখী স্লোগান তুলে ধরেন তারা।

কাতালোনিয়ার নেতারা আগামী সপ্তাহে স্পেন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করবেন, এমন ঘোষণার পর এটিই সবচেয়ে বড় সমাবেশ। অবশ্য বার্সেলোনার আগে শনিবারও স্পেনজুড়ে স্প্যানিশ ঐক্যের পক্ষে মিছিল-সমাবেশ হয়েছে।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয় বলেছেন: আইনগতভাবে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা রুখতে কোন পদক্ষেপই নাকচ করবেন না তিনি।

কিছুদিন আগে স্পেন সরকারের বিরোধিতার মুখেও কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে ২৩ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে স্টিফেন হকিংয়ের বদলে অভিনেতার ছবি!

শিক্ষা ডেস্ক : উচ্চ মাধ্যমিকের পদার্থ বিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র বইয়ে পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের জায়গায় একজন অভিনেতার ছবি ছাপিয়ে দেয়া হয়েছে। ওই অভিনেতার নাম এডি রেডমেইন। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড অনুমোদিত পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র বইয়ের ৬৩৪ নম্বর পৃষ্ঠায় স্টিফেন হকিংয়ের জায়গায় এ অভিনেতার ছবি দেয়া হয়।

বইটি যৌথভাবে রচনা করেন ড. শাহজাহান তপন, মুহম্মদ আজিজ হাসান এবং ড. রানা চৌধুরী। তবে ড. শাহজাহান তপন গত বছরের এপ্রিলের দিকে মারা গেছেন বলে জানা যায়।

অভিনেতা এডি রেডমেইন The Theory of Everything সিনেমায় স্টিফেন হকিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তার ছবিটি হকিংয়ের জায়গায় ছাপা হয়। এদিকে ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র সাহা বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। বিভিন্ন অজুহাতে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

বোর্ডের সদস্য (কারিকুলাম) ও সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) এবং প্রধান সম্পাদকদের মতামত জানতে চেয়েও পাওয়া যায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আম পাতায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ !

ফলের রাজা আম, স্বাদ ও গুণের অনন্যতায় এমন খেতাব ফলটির। আম পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।
পাকা হোক বা কাঁচা আম সবারই প্রিয় ফল। সুস্বাধু ও রসালো এই ফলটির স্বাস্থ্যকর উপকারীতা কম-বেশি সবাই জানি। কিন্তু রসালো এই ফলটির পাশাপাশি এর পাতাও বেশ উপকারী!

সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রাচীনকাল থেকেই এ পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। গবেষণায় দেখা গেছে, কচি আমপাতায় ট্যানিনস নামক অ্যান্থোসায়ানিডিন থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। এ পাতা শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ও হাইপারগ্লাইসেমিয়া কমাতে সাহায্য করে।

এছাড়া আমের পাতা উচ্চ রক্তচাপ হাঁপানি, ব্রংকাইটিস, স্থায়ীভাবে স্ফিত বা বর্ধিত শিরা, উদ্বিগ্নতা, অনিদ্রা, জ্বর, ডায়রিয়া ও ক্লান্তি দূর করার মহৌষধ হিসেবে প্রমাণিত।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আমপাতার চা কীভাবে তৈরি করবেন, তার প্রস্তুত প্রণালী দেওয়া হল-

উপকরণ: ১১-১২টি কচি আমপাতা ও দেড় গ্লাস পানি।

প্রস্তুত প্রণালী: প্রথমে আমপাতাগুলো ধুয়ে নিন। এরপর একটি পাত্রে দেড় গ্লাস পানি ঢেলে চুলায় ফুটতে দিন। এর ৫ মিনিট পর আমপাতাগুলো ওই পানিতে দিয়ে ১৫ মিনিট হালকা আঁচে ফুটতে দিন। এরপর চুলা বন্ধ করে সারা রাত এই মিশ্রণটি ঢেকে রাখুন।

পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে আমপাতার চা পান করুন। এই পানীয়টি এক মাস একটানা পান করতে হবে। তাহলে দেখবেন ডায়াবেটিস সব সময় আপনার নিয়ন্ত্রণেই থাকছে। এর সঙ্গে আপনার মেজাজও থাকবে চনমনে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর আসছে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা

রোহিঙ্গা নিধন ইস্যুতে মিয়ানমারের শীর্ষ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

ওয়াশিংটন, ইয়াঙ্গুন ও ইউরোপভিত্তিক বেশ কিছু কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মূলত রোহিঙ্গা নিধন বন্ধে বারবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, কানাডা ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো দাবি জানালেও এই সহিংসতা বন্ধে কর্ণপাত করেনি মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তাই এ ধরনের সিদ্ধান্তের কথা ভাবছে পশ্চিমা বিশ্ব।

নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে মিয়ানমার সেনা কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষিদ্ধ এবং এদের সঙ্গে আমেরিকানদের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

তবে রয়টার্স জানায়, এ বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলস এ জন্য আরও কিছু দিন সময় নিতে পারে। রাখাইনে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তা বাড়ানোরও আলোচনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে ইউরোপ, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার কারণে ওয়াশিংটন এ বিষয়ে সাবধানতার সঙ্গে এগোচ্ছে বলে জানায় রয়টার্স।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চলমান সহিংসতার কারণে এ পর্যন্ত সাড়ে ৫ লাখের মতো রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এখনও প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। জাতিসংঘ মনে করছে, আবারো বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢল নামতে পারে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সেনাবাহিনী প্রত্যক্ষভাবে দেশ শাসন থেকে সরে আসার পর ২০১২ সালে মিয়ানমারের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ইইউ। তবে নব্বইয়ের দশক থেকে চলে আসা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা এখনও রয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের ওপর থেকে বেশিরভাগ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা রেখেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিপ্লবের অগ্নিপুরুষ চে’র ৫০তম মৃত্যুদিবস আজ

ডেস্ক রিপোর্ট : চে গুয়েভারা বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে খ্যাতিমান সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের অন্যতম। আজ (৯ অক্টোবর) বিপ্লবের মহানায়ক চে’র ৫০তম মৃত্যুদিবস।
তাঁকে বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী, বিপ্লবের অগ্নিপুরুষ। এই মহান বিপ্লবীর মৃত্যুর পর তাঁর শৈল্পিক মুখচিত্রটি একটি সর্বজনীন বিপ্লবের মুখচ্ছবি হিসাবে বিশ্বপ্রতীকে পরিণত হয়।

এ মহান বিপ্লবীকে কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ‘চে গুয়েভারার প্রতি’ কবিতায় সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করেছেন এইভাবে- ‘চে তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয়/ আমার ঠোঁট শুকনো হয়ে আসে, বুকের ভেতরটা ফাঁকা/ আত্মায় অবিশ্রান্ত বৃষ্টিপতনের শব্দ/ শৈশব থেকে বিষণ্ন দীর্ঘশ্বাস…/ বলিভিয়ার জঙ্গলে নীল প্যান্টালুন পরা/ তোমার ছিন্নভিন্ন শরীর/ তোমার খোলা বুকের মধ্যখান দিয়ে/ নেমে গেছে/ শুকনো রক্তের রেখা…। ‘

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো সারা বিশ্বের লাখো, কোটি মানুষের স্মরণে এমনি রয়েছেন বিপ্লবী চে। এই মহান বিপ্লবীর জন্ম ১৯২৮ সালের ১৪ জুন। চে গুয়েভারার পুরো নাম আর্নেস্তো গেভারা দে লা সেরনা। জন্মসূত্রে চে গুয়েভারা আর্জেন্টিনার নাগরিক। পেশায় ছিলেন একজন ডাক্তার এবং ফিদেল কাস্ত্রোর দলে চিকিৎসক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি অনুকরণীয় এক বিপ্লবীতে পরিণত হন।

কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে সফল বিপ্লবের পর চে বলিভিয়ায় গিয়েছিলেন আরেকটি বিপ্লবের প্রত্যয় নিয়ে। বলিভিয়াতে থাকার সময় তিনি সিআইএ (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি) মদদপুষ্ট বলিভিয়ান বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। ১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবর, বলিভিয়ার শহর লা হিগুয়েরাতে বলিভিয়ার সেনাবাহিনী তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। মৃত্যুর পর তিনি সমাজতন্ত্র অনুসারীদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শে পরিণত হন।

চে গুয়েভারা একাধারে ইতিহাসের এক নন্দিত চরিত্র। বিভিন্ন জীবনী, স্মৃতিকথা, প্রবন্ধ, তথ্যচিত্র, গান ও চলচ্চিত্রে তাঁর চরিত্রের নানা দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তার মৃত্যুর ৫০ বছর পরও টাইম পত্রিকার বিংশ শতাব্দীর সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী ১০০ জন ব্যক্তির তালিকায় তাঁর নাম প্রকাশিত হয়। আবার গেরিলা যোদ্ধার পোশাকে ১৯৬০ সালের ৫ মার্চ ‘গেরিলেরো হেরোইকো’ নামে আলবের্তো কোর্দার তোলা চে’র বিখ্যাত ফটোগ্রাফটিকে ‘বিশ্বের সর্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ ফটোগ্রাফ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

খুব শৈশব থেকেই সমাজের বঞ্চিত, অসহায় ও দরিদ্রদের প্রতি ছিল তাঁর গভীর মমত্ববোধ। একটি সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারার পরিবারে বেড়ে উঠবার কারণে খুব অল্প বয়সেই রাজনীতি সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান লাভ করেন চে। সাংস্কৃতিক আবহে বেড়ে ওঠা চে’র পরিবারে ছিল তিন হাজারেরও বেশি বই। যা চে-কে করে তোলে সমাজসচেতন। সে সময় তিনি কার্ল মার্কস, উইলিয়াম ফকনার, এমিলিও সরগারির বইয়ের পাশাপাশি জওহরলাল নেহরু, আলবার্ট ক্যামাস, ভ্লাদিমির লেলিন, রবার্ট ফ্রস্টের বইও পড়েছেন। কোনো ধর্মে বিশ্বাসী না হয়ে এভাবেই নিজেকে একজন সমাজসচেতন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন।

যুবক বয়সে মেডিসিন বিষয়ে পড়ার সময় চে দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করেন। যা তাকে অসহায় মানুষের দুঃখ-কষ্ট অনুধাবন করার সুযোগ এনে দেয়। চে বুঝতে পারেন ধনী-গরিবের এই ব্যবধান ধ্বংস করে দেবার জন্য বিপ্লব ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তখন থেকেই তিনি মার্কসবাদ নিয়ে পড়ালেখা শুরু করেন এবং সচক্ষে এর বাস্তব প্রয়োগ দেখার জন্য গুয়াতেমালা ভ্রমণ করেন।

এই বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে রাষ্ট্রপতি জাকোবো আরবেনজ গুজমানের নেতৃত্বাধীন গুয়াতেমালার সামাজিক সংস্কার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৫৪ সালে সিআইএ-এর ষড়যন্ত্রে গুজমানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হলে চে’র বৈপ্লবিক আদর্শ চেতনা বদ্ধমূল হয়। পরবর্তীকালে মেক্সিকো সিটিতে বসবাসের সময় তাঁর সঙ্গে রাউল ও ফিদেল কাস্ত্রোর আলাপ হয়। চে তাঁদের ‘ছাব্বিশে জুলাই’ আন্দোলনে যোগ দেন। মার্কিন মদদপুষ্ট কিউবান একনায়ক ফুলজেনসিও বাতিস্তাকে উৎখাত করার জন্য সমুদ্রপথে কিউবায় প্রবেশ করেন। খুব অল্পদিনেই চে বিপ্লবী সংঘের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।
সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড পদে তাঁর পদোন্নতি হয় এবং বাতিস্তা সরকারকে উৎখাত করার লক্ষ্যে দুই বছর ধরে চলা গেরিলা সংগ্রামের সাফল্যের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

কিউবার বিপ্লবের পর চে নতুন সরকারে একাধিক ভূমিকা পালন করেছিলেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, বিপ্লবী আদালতে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্তদের আপিল পুনর্বিবেচনা ও ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড প্রদান, শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী হিসেবে খামার সংস্কার আইন প্রবর্তন, কিউবার জাতীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও সামরিক বাহিনীর ইনস্ট্রাকশনাল ডিরেক্টরের ভূমিকা পালন, এবং কিউবান সমাজতন্ত্রের প্রচারে বিশ্বপর্যটন করেন। এই পদাধিকারের কল্যাণে তিনি মিলিশিয়া বাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদানের সুযোগ পান। এর ফলে এই বাহিনী পিগ উপসাগর আক্রমণ করে তা পুনর্দখলে সক্ষম হয়। কিউবায় সোভিয়েত পরমাণু ব্যালিস্টিক মিসাইল আনার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এই সময় তিনি বিভিন্ন নিবন্ধ ও বই রচনা করেন। গেরিলা যুদ্ধের ওপর তিনি একটি ম্যানুয়েল রচনা করেন। পরে ১৯৬৫ সালে চে মেক্সিকো ত্যাগ করেন। তার ইচ্ছা ছিল কঙ্গো-কিনশাসা ও বলিভিয়াতে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।

বলিভিয়াতে থাকার সময় তিনি সিআইএ মদদপুষ্ট বলিভিয়ান বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের মদদপুষ্ট বলিভিয়ার তৎকালীন সামরিক জান্তা বারিয়েন্তোসের স্বৈরাচারী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে চে সহযোদ্ধাদের নিয়ে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। সামরিক জান্তার সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধরত অবস্থায় চে গুরুতর আহত হয়ে ধরা পড়েন। ১৯৬৭ সালের ৯ অক্টোবর, বলিভিয়ার শহর লা হিগুয়েরাতে বলিভিয়ার সেনাবাহিনী তার মৃত্যদণ্ড কার্যকর করে। শেষ হয়ে একটি ইতিহাস কিংবা আরেকটি ইতিহাসের জন্ম হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমুহকে ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার রাতে আবহওয়া অধিদপ্তরের এক সতর্কবার্তায় একথা জানানো হয়, লঘু চাপের প্রভাবে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দর সমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এতে বলা হয়, ‘লঘু চাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দর সমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে’।
সতর্ক বার্তায়- চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমুহকে ৩ (তিন) নম্বর পুনঃ তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়াও, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

সূত্র: বাসস

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest