সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

আবার রোহিঙ্গাবাহী নৌকাডুবি, ১২ লাশ উদ্ধার

বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় আবার রোহিঙ্গাবাহী নৌকা ডুবে গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত আটজনকে।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদের ঘোলার চর পয়েন্টে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা জানান, ৩০ থেকে ৩৫ জনকে নিয়ে নৌকাটি মিয়ানমারের মংডুর নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে বাংলাদেশের শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্টে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। এ সময় উত্তাল সাগরে শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদের ঘোলার চর পয়েন্টে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও শাহপরী দ্বীপে দায়িত্বরত স্টেশন কোস্টগার্ড।

টেকনাফ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, নৌকাডুবির খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্টগার্ড ও পুলিশের সদস্যরা ঘোলারচর ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালান। এখনো ১২ থেকে ১৫ রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধারকৃতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সে দেশের সেনাদের নির্যাতনের কারণ এবং খাদ্যাভাবে রোহিঙ্গারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখনো নাফ নদ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে পালিয়ে আসছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১০১ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক দৌড় প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ জয়!

‘কে বলে ঠাকুমা তোমার বয়স পেরিয়ে গেছে আশি’ বাংলা গানটা নিশ্চয়ই মনে আছে! তবে এই ঠাকুমার বয়স আশি বছরের নয়, শতায়ু তিনি। ১০১ বছরের ঠাকুমা কিন্তু এখনও জিমে যান, খাবার খান অন্যান্য অ্যাথলেটদের মতো।
জানলে অবাক হবেই চণ্ডীগড়ের এই বৃদ্ধা ওয়ার্ল্ড মাস্টার গেমের বিজেতা। বৃদ্ধার নাম মান কৌর।

সম্প্রতি সংবাদ শিরোনামে এসেছেন ঠাকুমা। একটি প্রতিযোগিতায় যাওয়ার অংশ গ্রহণ করার জন্য তাকে ভিসা দিতে চাইছিল না চীন।

প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে তিনি আনন্দ পাল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন ১০১ বছরের মান কৌর। ১০১ বছরের মান কৌর। তার ছেলে গুরদেব সিং জানিয়েছে, বর্তমান অ্যাথেলিটদের মতোই খাবার খান তার মা। তার ডায়েট চার্টে থাকে রুটি, সোয়া মিল্ক, ফলের সরবত ও কানাডা থেকে আসা বিশেষ ধরনের দুধ।

মায়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে মন কৌরের ছেলে জানিয়েছেন, সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড মাস্টার গেমে নিউজিল্যান্ডে যোগ দিতে গিয়ে তিনি দেখতে পেয়েছিলেন তার মা কতটা বিখ্যাত। প্রতিযোগিতায় সোনার মেডেল জয়ের পরে নিউজিল্যান্ড সরকার তাদের বিশেষ প্রাতঃরাশে ডেকেছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমারে যা ঘটছে, তাতে বুক ভেঙ্গে গেছে: আমির খান

মিয়ানমারে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর বর্বর নির্যাতনের স্বীকার রোহিঙ্গাদের দুর্দশা প্রসঙ্গে বলিউড সুপারস্টার আমির খান বলেছেন, মিয়ানমারে যা ঘটছে তাতে বুক ভেঙে গেছে। বিশ্বের যেকোন জায়গায় মানুষ যখন নির্যাতনের শিকার হন, যেকোন জায়গায় এই ধরনের ট্র্যাজিক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যখন মানুষকে যেতে হয়, তা দেখে হৃদয় মুচড়ে ওঠে।

তুর্কি সরকারের বিশেষ আমন্ত্রণে ইস্তাম্বুল এবং আঙ্কারা সফরকালে এক সংবাদ সম্মেলনে আমির খান এ কথা বলেন। এই সফরে তিনি তুর্কী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ানের সাথেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

আমির আরও বলেন, আমি আশা করবো এবং প্রার্থনা করবো মানুষ হিসেবে আমরা যেন এর অবসান দেখতে পাই। তুর্কী সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণায় বলা হয়, এই সফরে সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও আমির খান সে দেশের চলচ্চিত্র অভিনেতা, পরিচালক-প্রযোজক এবং চলচ্চিত্র বিষয়ক শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পৃথিবীর মতোই শক্তিশালী বায়ুমণ্ডল ছিল চাঁদে: নাসা

প্রায় ৪শ কোটি বছর আগে চাঁদে বায়ুমণ্ডল ছিল। আর চাঁদের এ বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মতোই শক্তিশালী ছিল- এমনটাই দাবি করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

চাঁদকে এতোদিন বায়ুমণ্ডলহীন একটি উপগ্রহ হিসেবে জেনে এসেছে মানুষ। সম্প্রতি সে ধারণায় নাটকীয় পরিবর্তন এনেছে নাসার নতুন এ গবেষণায়।

চাঁদের ভূ-পৃষ্ঠ সদা পরিবর্তনশীল। এর পৃষ্ঠের বৃহদাকার গহ্বরগুলোই এর প্রমাণ। কিছু গহ্বর উল্কার আঘাতে তৈরি হয়েছে। আর কিছু গহ্বর তৈরি হয়েছে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে। ৩শ থেকে ৪শ কোটি বছর আগে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে অতিদ্রুত চাঁদের ভূ-পৃষ্ঠে লাভা ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিপুল বাষ্প নির্গত হয়। বেশিরভাগ বাষ্পই মহাশূন্যে হারিয়ে যায়। আর কিছু বাষ্প চাঁদের উপরিভাগে থেকে যায়। এভাবেই চাঁদের বায়ুমণ্ডল সৃষ্টি হয়েছিল। চাঁদের ভূ-পৃষ্ঠ থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করে এতে কার্বন মনোক্সাইডসহ বায়ুমণ্ডলের কিছু পরিবর্তনশীল উপাদানের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। সম্প্রতি ‘আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্স লেটারস’ জার্নালে নাসার গবেষক ডেবরা নিডহামের একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হলে এসব তথ্য জানা যায়।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সদর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপ্লবজিৎ কর্মকার’র দুর্নীতির তদন্ত শুরু

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিপ্লবজিৎ কর্মকার-এর অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, খামারিদের সাথে দুর্ব্যবহার ও প্রকল্পের টাকা লুটপাট প্রভৃতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। মন্ত্রণালয় বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে এই তদন্তের ভার দিয়েছে। তিনি অনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরুছেন।
গত ৫ অক্টোবর বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইফুজ্জামান খান জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে দিনভর তদন্ত কাজ পরিচালনা করেন। খামারি, ভূক্তভোগী এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত থেকে বিপ্লবজিৎ কর্মকারের অনৈতিক কর্মকা-ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এ সময় সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সমরেশ চন্দ্র দাশ উপস্থিত ছিলেন। খামারি তুজলপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম লিখিত অভিযোগে বলেন, তার তিনটি গরু রোগে আক্রান্ত হয়। অসুস্থ হবার পর তাৎক্ষণিকভাবে ডা. বিপ্লবজিৎ কর্মকারকে মোবাইলে যোগাযোগ করেন। কিন্তু বিপ্লবজিৎ কর্মকার চিকিৎসার জন্য তার বাড়িতে যাননি এবং কোন লোকও পাঠাননি। ফলে পরের দিন গরু তিনটি চিকিৎসার অভাবে মারা যায়। এতে জাহাঙ্গীরের ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। ডাঃ বিপ্লবজিৎ কর্মকার তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তিনি তার এই ক্ষতির জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। বিভিন্ন অভিযোগ করেন খামারি রাজু। তদন্তানুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিরা ডা. বিপ্লবজিৎ কর্মকারের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ উপস্থাপন করেন। তারা বলেন, ডা. বিপ্লবজিৎ কর্মকার প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের টাকা, করেনটাইন স্টেশনের টাকা, ঘাস চাষ প্রকল্পের টাকাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপ্লবজিৎ কর্মকার অর্জিত টাকা দিয়ে শহরতলীর বিনেরপোতা এলাকার গোপিনাথপুর গ্রামে জমি কিনেছেন। হাতুড়ে প্রাণি চিকিৎকদের দিয়ে উপজেলার প্রাণিসম্পদ সেবা চলতে থাকায় চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগদানের পর থেকে বিপ্লবজিৎ কর্মকার অফিসের টাকা হরিলুট করে যাচ্ছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সমরেশ চন্দ্র দাশ নাকি তার ভয়ে কিছুই বলতে পারেন না। কারণ বিপ্লবজিৎ কর্মকার একজন মন্ত্রীর ভয় দেখান। তিনি মন্ত্রীর নাকি খুব কাছের লোক। মন্ত্রীর বাড়ি ও তার বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলায় এবং একই এলাকায়। এভাবেই তিনি তার অফিসসহ জেলা অফিসে প্রচ্ছন্ন প্রভাব বিস্তার করে রেখেছেন। প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বিপ্লবজিৎ কর্মকার করেন্টাইন স্টেশন, ঘাস চাষ প্রকল্প, ভেড়া পালন প্রকল্প, ভবন সংস্কার, এনএটিপি’র ভ্রমণ ভাতা, প্রভৃতি টাকার ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে আসছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করে নিয়েছেন পারিতোষিক। কখনোই তিন নিজে মাঠ পরিদর্শনে যান না ভ্যাকসিন ও মেডিসিন দেয়া হয় না খামারিদের কাছে। উচ্চ মূল্যে বিক্রি করেন হাতুড়ে ডাক্তারদের কাছে। আবার টেন্ডার ছাড়াই তিনি নিজ হাত করেছেন অফিস ভবন সংস্কার। এভাবেই তিনি আত্মসাৎ করেছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। এ সব টাকায় তিনি কিনেছেন গোপিনাথপুর গ্রামে বাড়ি করার জন্য জমি।
জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক একজন কর্মচারি জানান, এ সব বিষয় নিয়ে কেউ কথা বলতে গেলে বিপ্লবজিৎ কর্মকার তাকে ধমকান। কর্মচারীদের সাথে করেন দুর্ব্যহার। ভয় দেখান বদলি করে দেবার। একই কারণে তদবির করে এই অফিসের কম্পাউন্ডার ইসমাইল হোসেনকে বদলি করে দিয়েছেন কালিগঞ্জ প্রাণিসম্পদ অফিসে।
গরু, ছাগল, ভেড়া, কবুতর, কোয়েল পাখি, হাঁস ও মুরগির খামারিদের অনেকেই এ প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা বিপ্লবজিৎ কর্মকার একদিনও তাদের খামার পরিদর্শন করেননি। তারা তার কাছে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা চাইলেও এতে তিনি কান দেন না। পুরো সদর উপজেলা প্রাণি চিকিৎসা সেবা চলছে ব্র্যাক এবং বিভিন্ন কোম্পানির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে। এ কারণে উপজেলায় ভেঙে পড়েছে প্রণি চিকিৎসা সেবা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলে সারাক্ষণ ‘হানি হানি’ চিৎকার রাম রহিমের!

রাম রহিম যখন জেলে যান, তখন তিনি হানিপ্রীতকে তার সঙ্গে থাকতে দেয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, হানি নাকি তার ফিজিওথেরাপিস্ট।
জেলে রাম রহিম কথা বলার জন্য যে দু’টি ফোন নাম্বার ছিল, তার মধ্যে একটি হানিপ্রীতের। গত ৪০ দিন ধরে ওই নাম্বার বন্ধ। পুলিশকে বলে দেওয়া হয়েছিল, হানিপ্রীতের ফোন হারিয়ে গেছে। তাই হানিপ্রীতকে ফোনে না পেয়ে জেলে সারাক্ষণ রাম রহিম ‘হানি হানি’ করে চিৎকার করছেন।

জানা যায়, বাবা’র কোমরে ব্যথা হচ্ছে খুব। হানিপ্রীতের তা একেবারেই সহ্য হচ্ছে না। তাই যে ভাবেই হোক বাবার সঙ্গে তাকে দেখা করতেই হবে। এমনই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন হানিপ্রীত ইনসান। ডেরা প্রধান রান রহিম ইনসানের দত্তক কন্যা হানিপ্রীত আপাতত পুলিশের হেফাজতে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। জেলের মধ্যে বাবাকে খুব মিস করছেন হানি। বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য চেষ্টার কোন কসুর করছেন না। তিনি তো এও বলেছেন, বাবার নাকি পিঠে খুব ব্যথা। পিঠে ম্যাসাজ দিতে দেওয়ার জন্য অন্তত তাকে যেতে দেওয়া হোক।

গত ৪দিন ধরে হানিপ্রীতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মহিলা পুলিশ। তাদেরই নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন হানিপ্রীত। এমনকি তাকে পরীক্ষা করতে আসা লেডি ডাক্তারকেও বাদ দেননি। তাঁকেও বলেছেন তিনি বাবার সঙ্গে দেখা করতে চান। থানায় তো একথা এখন সকলেই জানে। চাউর হয়ে গেছে বাবার স্মৃতি ছাড়া একটা মুহূর্তও কাটতে চায় না হানিপ্রীতের। তার উপর তিনি জানিয়েছেন বাবার নাকি কোমরে ব্যাথা। উনি খুব কষ্টে আছেন। তাই বাবার সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বুধহাটায় প্রধান শিক্ষককে জখমের ঘটনায় মামলা

আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের পাইথালী বাজারে ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন সানা কতৃক পাইথালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে মারপিট ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উপজেলার শিক্ষক সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। থানায় দায়েরকৃত এজাহারে সূত্রে জানাগেছে, বুধহাটা ইউনিয়নের ০৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন সানা প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলামের কাছে স্কুলের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগ করতে গেলে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। গত ৭ অক্টোবর নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে স্কুলে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগ দেওয়া হয়। ঐ দিন দুপুরে তিনি স্কুলে গিয়ে চাঁদার টাকা দাবী করলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে টাকা দিব কি করে বললে, তিনি হুমকী দিয়ে চলে যান। এদিন সন্ধ্যায় প্রধান শিক্ষক বাজারে গেলে মেম্বার প্রধান শিক্ষককে পথ আটকে টাকা দাবী করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে শিক্ষককে বেদম মারপিট করা হয়। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে রাতেই আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত শিক্ষক বাদী হয়ে থানায় এজাহার (নং ৪ তাং ৭/১০/১৭) রুজু করেন। শিক্ষককে প্রকাশ্য বাজারে নির্মম ও চরম অমর্যাদাকর অবস্থায় মারপিটের ঘটনায় শিক্ষক সমাজ ও এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রশাসনের নিকট আসামীকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও সচেতন মহাল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পুলিশের পিটুনিতে আসামির চাচা নিহত, পুলিশ অবরুদ্ধ

এক আসামিকে ধরতে গিয়ে কালাই থানা পুলিশের অমানবিক পিটুনিতে আসামির চাচা সাইদুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘিরে রেখেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী রুমা খাতুন জানান, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামে সোমবার ভোরে কালাই থানা পুলিশের এসআই আসাদ ও রফিকুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হারুঞ্জা গ্রামের শাহপাড়ায় নারী নির্যাতন মামলার আসামি শাপলাকে ধরতে যায়। এসময় পুলিশ বাড়ি ঘেরাও করে খোঁজাখুজি করতে থাকে। এ নিয়ে পুলিশের সাথে বাড়ির লোকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে প্রতিবেশী ও তার চাচা সাইদুর রহমান এগিয়ে এসে পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।

এর জেরে সাইদুরকে পুলিশ বেদম প্রহার করে। এতে ঘটনাস্থলে সাইদুরের মৃত্যু হয়। সাথে সাথে পুলিশ সাইদুরকে চিকিৎসার কথা বলে হাসপাতালে আনে। এ সকাল সাড়ে ৮টায় রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হাসপাতালের মধ্যে পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।

কালাই থানার অফিচার্জ ইনচার্জ নূরুজ্জামান চৌধুরী মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest