সর্বশেষ সংবাদ-
নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর বিলুপ্তির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভদৈনিক আমাদের মাতৃভূমি পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা  দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসা

কলারোয়ায় মসজিদে সোলার লাগিয়ে ঘুষ নেওয়া অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদে সংসদ সদস্য কর্তৃক বরাদ্দকৃত সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য আড়াই হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। জালালাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসলেম আহম্মেদ গত ২৮ সেপ্টেম্বর এ ঘুষ গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ।
জালালাবাদ দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কলারোয়া আলিয়া মাদ্রসার গণিতের শিক্ষক আহছানুর রহমান জানান, সাংসদ অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ তাদের মসজিদে একটি সোলার প্যানেল সংযোগের ব্যবস্থা করেন। সে অনুযায়ী গত ২৮ সেপ্টেম্বর বৃহষ্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পক্ষ থেকে ওই প্যানেল লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জালালবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসলেম আহম্মেদ। তিনি এ সোলার প্যানেল লাগানোর জন্য আড়াই হাজার টাকা দাবি করেন। বিষয়টি তিনি মসজিদ কমিটির অপর সদস্য মহিদুর রহমানও তাকে অবহিত করেন। একপর্যায়ে তিনি কলারোয়া থেকে মসজিদে ফিরে এসে জরুরি সভা ডাকেন। সভায় সহসভাপতি অজিয়ার রহমান, সদস্য আব্দুল গফফার, ইমাম মেহেদী হাসানসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ওই আড়াই হাজার টাকা মোসলেম আহম্মেদকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে মোবাইল করে জালালাবাদ বাজারে জাহাঙ্গীরের মুদির দোকানে বসে থাকা মোসলেম আহম্মেদের কাছে ওই টাকা তুলে দেন মহিদুর রহমান। পরবর্তীতে তারা জানতে পারেন যে, ওই টাকা নিয়ম বহির্ভুতভাবে পকেটস্থ করেছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা।
আহছানুর রহমানের অভিযোগ সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন কমিটির কয়েকজন সদস্যসহ এলাকার মুসল্লীরা। এ নিয়ে মুখ খুললে তাদেরকে নাশকতার মামলায় চালান দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে জালালাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসলেম আহম্মেদ জানান, এলাকার যারা জামায়াত শিবির করে তারা তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। ইউনিয়নে আরো ২৮টি সোলার প্যানেল সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে কোন টাকা নেওয়া হয়েছে কিনা জানলে মসজিদ কমিটি থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তিনি কোন ব্যক্তিকে নাশকতার মামলায় চালান দেওয়ার হুমকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় নজরুল হত্যার সন্দিগ্ধ আসামিসহ আটক ৪

দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় হত্যা মামলার সন্দিগ্ধ আসামিসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। দেবহাটা থনার পুলিশের বিশেষ অভিযানে তারা আটক হয়েছে। আটককৃতদেরকে রবিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। থানা সূত্র জানায়, শনিবার রাতে দেবহাটা থানার সেকেন্ড অফিসার ইয়ামিন আলী থানার আলোচিত সোর্স নজরুল হত্যা মামলার সন্দিগ্ধ একজন আসামকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে উপজেলার শাখরা বাজার এলাকার করিম সরদারের পুত্র আমির আলী (৩৫)। এছাড়া উপজেলার বড়শান্তা গ্রামের সুজিত সরকারের পুত্র শ্যাম সরকার (২০)-কে ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ এএসআই আল আমিন আটক করে। অপর অভিযানে, এসআই মাজরিহা হোসাইন সিআর মামলার আসামি নাজিরের ঘের গ্রামের আব্দুল মাজেদের পুত্র রফিকুজ্জামান(২২) এবং এসআই গনি মিয়া জিআর মামলার আসামি পারুলিয়া খাসখামার এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শাহিনুর (২৪) কে আটক করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জন্মদিনে পুতিন বিরোধী বিক্ষোভ: আটক ২৫০

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্মদিনে দেশব্যাপী বিক্ষোভ করেছে পুতিন বিরোধীরা। ওই ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আটক হয়েছে অন্তত আড়াইশ জন। দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, সমাবেশ করার জন্য তাদের কোনো অনুমতি ছিল না। ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে দেশটির ৮০টি শহরে বিক্ষোভে অংশ নেয় হাজার হাজার পুতিন বিরোধী বিক্ষুব্ধ জনতা। পুতিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনিকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া।

ক্রেমলিনসহ সবচেয়ে বড় সমাবেশ হয়েছে সেন্ট পিটার্সবার্গে। সমাবেশে বিক্ষোভকরীরা পুতিন সরকারের নামে দুর্নীতির নানা অভিযোগ লেখা প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করে। এছাড়া অ্যালেক্সি নাভালনির নাম উল্লেখ করে তারা স্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীরা সমাবেশে দুর্নীতিমুক্ত শাসনের দাবি জানায়। বিক্ষোভে অংশ নেয়া একজন বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা পথে নেমে এসেছি। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য রাশিয়ার রাজনীতির অচলাবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানানো।

অন্য অরেকজন বিক্ষোভকারী বলেন, দেশের অর্ধেক খরচের ভার আমাদের কাঁধেই চাপানো হচ্ছে। এটি মোটেই উচিত নয়। এ সরকার স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, সামাজিক ও অন্যান্য খাতে অর্থ ব্যয়ের পরিবর্তে প্রতিরক্ষা খাতেই বেশিরভাগ অর্থ খরচ করছে। আইন অমান্য করে সমাবেশের অভিযোগে ২০ দিন আগেই বিরোধী নেতা অ্যালেক্সিস নাভালনিকে গ্রেফতার করা হয়। এ বছর এটি তার তৃতীয়বারের মতো কারাবাস। দেশটির নির্বাচন কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব কারাদণ্ডের কারণে আগামী বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে নাভালনির অংশ নেয়া সম্ভব নাও হতে পারে। বিবিসি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লজ্জার হার বাংলাদেশের

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দুর্দশা চলছেই বাংলাদেশের। প্রথম টেস্টে ৩৩০ রানের বড় হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারল টাইগাররা। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ৫৭৩ রানের জবাবে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ১৪৭ রানে। ফলোঅনে পড়ে আজ দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানেই অলআউট হয় সফরকারী দলটি। ইনিংস ও ২৫৪ রানের হারে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ লজ্জা পেলেন মুশফিকরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়া পেসারদের জুজু চেপে ধরে টাইগার ব্যাটসম্যানদের। রাবাদা-ফেলুকায়োদের দাপটে স্বাভাবিক খেলাটাও খেলতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। সৌম্য, মুশফিক, মুমিনুলরা সবাই ব্যর্থ হয়েছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রথম টেস্টে দলে জায়গা করে নিতে পারেননি সৌম্য। চলমান দ্বিতীয় টেস্টে জায়গা পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল ইনজুরিতে পড়ার কারণে। কিন্তু নিজেকে প্রমাণ করার সে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না বাঁহাতি এই ওপেনার। প্রথম ইনিংসে ৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে সাজঘরে ফিরলেন মাত্র ৩ রান করে। কাগিসো রাবাদার স্টাম্পের বাইরের একটি বলে ব্যাট ছোঁয়াতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন দ্বিতীয় স্লিপে।

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আউট করতে টানা ছোট লেন্থের বল করে যান দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। সেই ফাঁদেই পা দেন মুমিনুল। রাবাদাকে হুক করতে গিয়ে কেশব মহারাজের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ১১ রান করেন মুমিনুল।

ইমরুল কায়েস প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও আস্থার সঙ্গেই খেলছিলেন। তবে ১৭তম ওভারে অলিভিয়ের বলটা ইমরুলের ব্যাটে লাগে উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে জমা পড়ে। আউট হওয়ার আগে ৩২ রান করেন টাইগার ওপেনার।

ভালো খেলছিলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও। প্রোটিয়া পেসারদের গোলাসম বাউন্সেও বুক চিতিয়ে লড়াই করেন তিনি। তবে ওয়েইন পারনেলের বলটা ব্যাটে লাগাতে পারেননি। সেটি আঘাত করে মুশির প্যাডে। বাংলাদেশ অধিনায়ককে লেগ বিফোর আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার। ২৬ রান করেন মুশি।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে টেনে নেওয়া লিটন দাস দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ হয়েছেন। ১৮ রান করে ফেলুকায়োর বলে বোল্ড হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এরপর সবোর্চ্চ ৪৩ রান করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ফেরান রাবাদা। দলীয় ১৪৫ রানে ফিরে যান সাব্বির রহমান। এর ফলেই বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধানে হারটা নিশ্চিত হয়ে যায়। এর পর রুবেল, তাইজুলদের ফেরাতে খুব একটা সময় নেননি রাবাদারা। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৭২ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেটে নেওয়া রাবাদা এই ইনিংসে নেন পাঁচ উইকেট। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো দশ বা এর বেশি উইকেট নিলেন রাবাদা। এ ছাড়া ফেলুকায়ো নেন তিন উইকেট।

এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে প্রায় একাই লড়াই করেছেন লিটন দাস। খেলেছেন ৭০ রানের ইনিংস। বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটি ইমরুল কায়েসের, ২৬ রানের। শেষ পর্যায়ে ১২ ও ১০ রানের ছোট্ট দুটি ইনিংস এসেছিল তাইজুল ইসলাম ও রুবেল হোসেনের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোনো ব্যাটসম্যানই পেরোতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ডিন এলগার, এইডেন মার্করাম, হাশিম আমলা ও ফাফ দু প্লেসির শতকে ভর করে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা সংগ্রহ করেছে ৫৭৩ রান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা সদর থানায় ডেলিভারি সার্ভিসের উদ্বোধন

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরা সদর থানায় সর্বসাধারণের সেবারমান দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ডেলিভারি সার্ভিসের শুভ উদ্ভোধন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন পিপিএম (সেবা) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে এর শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার, সদর সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ হুমায়ন কবির, বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ প্রমূখ।

প্রধান অতিথি এ সময় বলেন, আগে থানায় অভিযোগ করতে হলে কম্পিউটারের দোকান থেকে লিখে আনতে হতো। এতে অনেক সময় ব্যয় হতো। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়তো সাধারন মানুষ। অনেকের ডিউটি অফিসারের রুমে বসে সময় কাটাতে হতো। আর এ কারণে সদর থানায় আগত সর্বসাধারণের সেবার মান উন্নয়ন ও দ্রুতকরণের জন্য এই ডেলিভারি সার্ভিস চালু করা হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে সাতক্ষীরার সকল থানায় চালু করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
স্কুলছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও, ভয় দেখিয়ে দু’দফা গণধর্ষণ!

পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর নগ্ন ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দু’দফা গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী গ্রামের দাসপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
গত শুক্রবার ভিকটিমের মা বাদী হয়ে এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত মাসের ১৬ তারিখে স্কুল ছুটির পর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাড়ি ফিরছিল মেয়েটি। দাসপাড়া এলাকায় পৌঁছলে ওই গ্রামের সাগর রবি দাস, রাজু, শ্যামল ও সঞ্জীবন রবি দাস মেয়েটিকে মুখ চেপে ধরে জঙ্গলে নিয়ে বিবস্ত্র করে সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দল বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। পরে এ ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ করলে ধারণ করা ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ করে মেয়েটিকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখায় দুর্বৃত্তরা। এ কারণে সে সময় বিষয়টি প্রকাশ করেনি মেয়েটির পরিবার। কিন্তু চলতি মাসের ৩ অক্টোবর পুনরায় জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গিয়ে সাগর রবিদাস ও তার সহযোগীরা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। তাছাড়া এর আগে ধারণ করা ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয় বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা (নং-৪) দায়ের করেন। মামলায় একই গ্রামের রবি দাসের ছেলে সাগর রবি দাস, সাইজুদ্দিনের ছেলে রাজু , কাসেমের ছেলে শ্যামল, মন্টু রবি দাসের ছেলে সঞ্জীবন রবি দাসকে আসামি করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলম চাঁদ জানান, এঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঘর ভাঙল নোভার

ঘর ভাঙল নোভার

কর্তৃক Daily Satkhira

মডেল-অভিনেত্রী স্পর্শিয়া ও কণ্ঠশিল্পী মিলার বিচ্ছেদের রেশ কাটতে না কাটতে এবার ঘর ভাঙলো অভিনেত্রী নোভার। নির্মাতা রায়হান খানের সঙ্গে দীর্ঘ ৭ বছরের সংসার জীবনের ইতি টানলেন তিনি।
তবে বিচ্ছেদ দেড় মাস আগে হলেও এতদিন গণমাধ্যমের নজরে আসেনি।

রবিবার গণমাধ্যমকে নোভা বলেন, গত ২৬ আগস্ট আমাদের ডিভোর্স হয়েছে। খুব একটা সুখকর বিষয় নয় বলে এতদিন বিষয়টি কাউকে জানাতে চাইনি। তবে আশপাশের অনেকেই জেনে গিয়েছিলেন। পরে চিন্তা করলাম বিষয়টি নিয়ে যেন কোনো কাদা ছোড়াছুড়ি না হয় তাই খোলাসা করেই বলছি।

বিচ্ছেদের পেছনে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াটাকে সামনে এনে নোভা আরও বলেন, রায়হানের সঙ্গে সাংসারিক বিচ্ছেদ হয়েছে ঠিক। কিন্তু পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। ভালোবাসার জায়গাটা ছিল, আছে থাকবেই। তাই আমাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্বটাও অটুট থাকবে। যদি ভবিষ্যতে আমরা মনে করি গ্যাপ কাটিয়ে উঠতে পারবো তাহলে আবার একছাদের নিচে বসবাস করা শুরু করবো বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই অভিনেত্রী।

রায়হান খানের দ্বিতীয় স্ত্রী নোভা। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ২০১১ সালের নভেম্বরে নোভার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। যদিও বিয়ের আগে তাদের মধ্যে দেড় বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘ভূত তাড়ানোর’ নামে কিশোরীদের নিয়ে যা করছেন সাধু!

‘আমার পড়ালেখা করতে ভালো লাগে না। তাই মা-বাবা মনে করেছে, আমাকে ভূতে ধরেছে’, বলছিল বিশাখা। স্কুলপড়ুয়া কিশোরীটিকে একটি সারিতে বসিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে রয়েছে বিশাখার মতো আরো কয়েকজন কিশোরী। পরিবারের দাবি, তাদের ভূতে ধরেছে।

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুচিরাপল্লির আচাপ্পান মন্দিরের দৃশ্য এটি। ভূতে ধরেছে এমন কুসংস্কারে কিশোরীদের মন্দিরে এনে সার বেঁধে বসিয়ে রাখা হয়। তারপর চাবুক দিয়ে পেটানো হয় তাদের শরীরে। মার খেয়ে অনেকেই চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করে। আর এভাবেই সন্তান সুস্থ হবে বলে ধারণা তাদের মা-বাবার।

সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে বিশাখা কাঁদতে কাঁদতে বলে, ‘চাবুকের দাগ দেখে আমার বন্ধুরা এখন হাসাহাসি করবে।’

প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার কিশোরী ওই মন্দিরে চিকিৎসার জন্য যায়। চাবুকের বাড়ি খাওয়ার জন্য তাদের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বসে থাকতে হয়।

তবে চিকিৎসার জন্য চাবুক দিয়ে পেটানো কোনো অপরাধ নয় উল্লেখ করে মন্দিরের একজন সাধু বলেন, এই চিকিৎসা একটা প্রাচীন ঐতিহ্য। বহুদিনের বিশ্বাসকে পুঁজি করে ভক্তরা চিকিৎসা নিতে আসে। তাই এটা বন্ধ করা যাবে না।

ওই সাধুর সঙ্গে একমত পোষণ করে এক বৃদ্ধা বলেন, ‘শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতা, চাবুকের এক বাড়িতেই ঠিক হয়ে যাবে। আমি কয়েক বছর ধরে চাবুকপেটা খাচ্ছি। এতে আমার রোগ সেরে গেছে। চাবুকপেটায় আমার অগাধ বিশ্বাস।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest