সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটায় জাতীয় প্রাণি সম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণি সম্পদ প্রদর্শনীর উদ্বোধনসাতক্ষীরায় জাতীয় দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসাতক্ষীরার মিঠু খানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করল বিএনপিকালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন

অস্ট্রেলিয়ার তিন বছরের ভিসা পেলেন প্রধান বিচারপতি

অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটিতে যাওয়া প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অস্ট্রেলিয়া গমনের ভিসা পেয়েছেন।

আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিচারপতি সিনহা ও তার স্ত্রী সুষমা সিনহাকে তিন বছরের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ভিসা দেওয়া হয়ছে।
‘প্রধান বিচারপতি ও তার স্ত্রী শিগগিরই অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন। সেখানে বসবাসরত বড় মেয়ে সূচনা সিনহার কাছে উঠবেন তারা’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার গুলশান-২ এ অবস্থিত দেশটির ভিসা সেন্টারে গিয়ে ভিসার আবেদন করেন প্রধান বিচারপতি ও তার স্ত্রী সুষমা সিনহা। ওইদিন তাদের বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ভিসার আবেদন ও বায়োমেট্টিক প্রক্রিয়া সম্পন্নের পরই তাদেরকে তিন বছরের ভিসা দেয় অষ্ট্রেলিয়া দূতাবাস।

এদিকে শনিবার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. সজল কুমার ব্যানার্জি। এর আগে ৪ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে তার বাসায় গিয়েছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত ৩ অক্টোবর থেকে এক মাসের ছুটিতে যান প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। অসুস্থতার কারণে তিনি ছুটি নেন। ছুটিতে থাকাবস্থায় গত তিনদিন তিনি বাসভবনে ছিলেন। এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি দাবি করে যে প্রচণ্ড চাপ দিয়ে তাকে ছুটিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। তবে এই দাবিকে অস্বীকার করেন আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অস্ট্রেলিয়াকে ৯ উইকেটে হারাল ভারত

ওয়ানডে সিরিজে জেতার পর এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ম্যাচেই হারালো ভারত। শনিবার সাবেক ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির শহর রাঁচিতে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৬ ওভারে ৪৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা সহজেই পার করল টিম ইন্ডিয়া।
অস্ট্রেলিয়াকে হারাল ৯ উইকেটে।

স্টিভ স্মিথের কাঁধে হালকা চোট। অ্যাসেজের আগে তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ইতিমধ্যে দেশে ফিরে গিয়েছেন তিনি। তাই এদিন ব্যাগি গ্রিনের দায়িত্ব ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক। কিন্তু ওয়ানডে-র পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও নিজেদের দাপট বজায় রাখল ভারতীয় বোলাররা। শুরুতেই ভুবনেশ্বর তুলে নেন ওয়ার্নারের উইকেট। মাত্র ৮ রানেই ফিরে যান অজি অধিনায়ক।

যদিও অপরদিকে পালটা আক্রমণ করতে থাকেন অ্যারন ফিঞ্চ। তিন নম্বরে থাকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিলেও ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। ফের একবার যুজবেন্দ্র চাহালের বলে আউট হলেন তিনি। এর আগে ওয়ানডে সিরিজে বেশ কয়েকবার ম্যাক্সওয়েলকে আউট করেছিলেন এই লেগস্পিনার। এরপর ব্যক্তিগত ৪২ রানের মাথায় ফিরে যান অ্যারন ফিঞ্চও।

আর ডানহাতি এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান আউট হতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে অজিদের বাকি ব্যাটিং লাইন আপ। ভারতীয় বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে টিকতে পারেননি কোনও অজি ব্যাটসম্যানই। ১৮.৪ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার রান যখন আট উইকেটে ১১৮, তখনই অবশ্য বৃষ্টি থাবা বসায় খেলায়। বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় খেলা।

এরপর খেলা শুরু হলেও আর ব্যাটিং পায়নি অস্ট্রেলিয়া। বদলে ব্যাট করতে নামতে হয় বিরাটদের। আর ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ভারতের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৬ ওভারে ৪৮ রান। কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় ভারত।

প্রথম ওভার থেকে আসে মাত্র পাঁচ রান। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ছয় মারলেও দ্বিতীয় বলেই বোল্ড হন রোহিত শর্মা(১১)। কিন্তু শেষপর্যন্ত অধিনায়ক বিরাট কোহলি (২২) এবং শিখর ধাওয়ান (১৪) জুটি অতি সহজেই দলকে জয় এনে দেন। শেষপর্যন্ত তিন বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় টিম ইন্ডিয়া।

এদিনের জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন বুমরাহ ও কুলদীপ। তবে দুর্দান্ত বোলিং করেন বাকিরাও। দু’টি করে উইকেট পান জসপ্রীত বুমরাহ ও কুলদীপ যাদব। একটি করে পান পাণ্ডিয়া, চাহাল এবং ভুবনেশ্বর। এখন দেখার পালা স্টিভ স্মিথের অনুপস্থিতিতে আগামী ১০ অক্টোবর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা ক্যাঙারু বাহিনী।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া- ১৮.৪ ওভারে ১১৮/৮ (ফিঞ্চ ৪২, কুলদীপ ১৬/২)

ভারত- ৫.৩ ওভারে ৪৯/১ (বিরাট ২২, কুলটার নাইল ২০/১)

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চুলকানি দূর করার ঘরোয়া প্রতিকার

স্বাস্থ্য ও জীবন : গরম যখন বাড়ছে তখন বেশ কিছু ত্বকের সমস্যা দেহা দেয়। এই সময় ঘামের প্রকোপে আমাদের শরীরে বেশ কিছু ফাঙ্গাস এসে বাসা বাঁধে। যাদের করণে চুলকানির মতো কষ্টকর ত্বকের রোগ হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
ডার্মাটোফাইটোসিস নামে পরিচিত এই রোগ মূলত কিছু ফাঙ্গাসের কারণে হয়ে থাকে। এমন রোগ সাধারণত শরীরের যে কোনও অংশে হতে পারে। তবে নখ, ত্বক এবং স্কাল্পে বেশি হতে দেখা যায়। তবে মনে রাখা উচিত এই রোগ টা সাধারণত ছোঁয়াচে রোগ।
এক্ষেত্রে এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি দারুণ উপকারে লাগে, সেগুলি হল-
১। অ্যালো ভেরা : ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে শুধু নয়, ফাঙ্গাল ইনফেকশনের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি দারুন কাজে আসে। অ্যালো ভেরা পাতা থেকে পরিমাণ মতো জেল সংগ্রহ করে ক্ষত স্থানে সরাসরি লাগাতে হবে। প্রতিদিন এই ঘরোয়া চিকিৎসাটি করলে অল্প দিনেই চুলকানির এর মত রোগ দূর হবে।
২। লেবু : ভিটামিন সি সমৃদ্ধি লেবুতে আছে ব্লিচিং উপাদান যা ত্বকের চুলকানি রোধ করে থাকে। ত্বকের যে স্থানে চুলকানি অনুভূত হচ্ছে সেস্থানে লেবুর রস লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। কিছুক্ষণের মধ্যে চুলকানি দূর হয়ে যাবে।
৩। নারকেল তেল : নারকেল তেল ত্বকে ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পণ্য। যে কোন প্রকার চুলকানি, বা অন্য কোন কারণে ত্বকে চুলকানি হলে যেখানে চুলকাবে সেখানে নারকেল তেল দিয়ে দিন। এছাড়াও কুসুম গরম পানিতে নারকেল তেল মিশিয়ে গোসলও করে নিতে পারেন।
৪। অ্যাপেল সিডার ভিনিগার : আপেল সিডার ভিনিগারটিতে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ রয়েছে, যা এমন ধরনের সংক্রমণ কমাতে দারুন কাজে আসে। একটা ছোট পাত্রে অল্প করে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার নিন প্রথমে। তারপর তাতে তুলো ভিজিয়ে ক্ষত স্থান পরিষ্কার করুন। কিছুদিন এভাবে ব্যবহার করলেই দূর হবে চুলকানির মত মারাত্মক রোগ।
৫। তুলসী পাতা : কর্পূর সমৃদ্ধ তুলসী পাতা ত্বকের যেকোন ধরণের জ্বালা পোড়া ও চুলকানি কমাতে সহায়তা করে। কয়েকটি তুলসী পাতা নিয়ে যেখানে চুলকানি হয়েছে সেখানে পাতা গুলো কিছুক্ষণ ঘষুন। অথবা কিছু তুলসী পাতা পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি টান্ডা করুন এবং চুলকানি স্থানে ঘষুন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঐতিহাসিক ছবি করছেন সৃজিত, মূল চরিত্রে জয়া

বিনোদন ডেস্ক : ঐতিহাসিক ভাওয়াল সন্ন্যাসী মামলা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন চলচ্চিত্রে নির্মাণ করতে যাচ্ছেন টলিউড পরিচালক সৃজিত মুখার্জী। ‘এসভিএফ ফিল্মস’ এর ব্যানারে নির্মিতব্য এই ছবির মূল চরিত্র রাজকুমার রমেন্দ্রনারায়ণ রায়ের ভূমিকায় থাকবেন যিশু সেনগুপ্ত। আর তার বোনের চরিত্রে দেখা যাবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানকে।
ভাওয়ালের জমিদারের বর্ণাঢ্য জীবনের সমাপ্তি হয় মাত্র ২৫ বছর বয়সে এক বিশেষ অসুখে। সেসময় তার সৎকারও করা হয়। কিন্তু ১২ বছর পর তিনি আবারও ফিরে এলে শুরু হয় সম্পত্তি নিয়ে লড়াই আর সেই মামলা চলে ১৬ বছর ধরে।
এই গল্পের মূল চরিত্র চারটি। ভাওয়াল রাজা আর তার বোন ছাড়াও গল্পে আছে তার উকিল আর শ্যালক, রাজার স্ত্রীর চরিত্রটিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
জয়া আহসানের সঙ্গে সৃজিতের এটিই প্রথম কাজ নয়। এর আগে ২০১৫ সালে রাজকাহিনীতে অভিনয়ের মাধ্যমে সৃজিতের সঙ্গে প্রথম কাজ করেন জয়া। জয়াকে নিয়ে সৃজিতের প্রত্যাশা অনেক বেশি। সৃজিত তার অভিনয়ের একজন গুণমুগ্ধ ভক্ত এবং জয়াকে তিনি বাংলার সেরা তিন অভিনেত্রীর তালিকায় রাখতে চান। সৃজিতের বিশ্বাস ভাওয়ালের বোনের চরিত্রে দারুণভাবে মানিয়ে যাবেন জয়া।
সৃজিতের বর্তমান চলচ্চিত্র ‘উমা’র শ্যুটিং শেষ হলেই শুরু হবে এই ছবির কাজ। যৌথ প্রযোজনা হলে শ্যুটিং এর কিছু অংশ বাংলাদেশে হওয়ার সম্ভাবনাও আছে বলে জানান পরিচালক সৃজিত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতে পার্লারে যেতে পারবেন না মুসলিম নারীরা!

ইসলামের রীতি অনুযায়ী, মেয়েদের চুল কেটে ফেলা কিংবা রূপচর্চা নিয়মবিরুদ্ধ, আর তাই এবার যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য ভারতের উত্তর প্রদেশে মুসলিম নারীদের পার্লারে যাওয়ার উপর জারি হল নিষেধাজ্ঞা।

শনিবার উত্তরপ্রদেশের শাহারানপুর জেলার মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় দারুল-উলুম দেওবন্দ-এর পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে।
দারুল ইফতা নামে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সংগঠন এই ফতোয়া জারি করেছে।

ফতোয়ার ঘোষণা করেন সংগঠনটির প্রধান মৌলানা কাজমি। ফতোয়ায় জানানো হয়েছে, মুসলিম নারীদের রূপচর্চা ও চুল কাটার মতো কাজ ইসলামের নিয়মবিরুদ্ধ। তাই নারীদের পার্লারে যাওয়া উচিত কাজ নয়। শুধু তাই নয়, চুল কাটতেও পারবেন না কোনও মুসলিম নারী। এই ঘোষণায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

সম্প্রতি শাহারানপুরের এক ব্যক্তি দারুল-উলুম দেওবন্দ বিশ্ববিদ্যালয়কে করা একটি প্রশ্নে জিজ্ঞাসা করেন, ইসলামিক রীতিতে নারীদের ভ্রু প্লাক কিংবা চুল কেটে ফেলা কি বৈধ? ‘ইসলাম কি মহিলাদের রূপচর্চা এবং চুল কাটার অনুমতি দেয়?’ তাঁর এই প্রশ্নের জবাবে দারুল-উলুম দেওবন্দ বিশ্ববিদ্যালয় ফতোয়া জারি করে জানায়, এই ধরনের সমস্ত কাজ ইসলাম বিরুদ্ধ। আরও বলা হয়, ‘কোনও নারী যদি এই ধরনের কাজে যুক্ত হন, তাহলে স্পষ্টতই তিনি ইসলামের নিয়ম ভাঙবেন। ’

দারুল ইফতা সংগঠনটির মতে, ইসলামে মোট দশটি এমন কাজের উল্লেখ রয়েছে যা মুসলিম নারীদের কখনই করা উচিত নয়। এর মধ্যেই একটি কাজ হল এই ভ্রু প্লাক। এই প্রসঙ্গে কাজমি বলেন, ‘চুল কেটে ফেলা বা রূপচর্চা- মুসলিম নারীদের এগুলি কখনওই করা উচিত নয়। কারণ এর ফলে নারীদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। ’ তাঁর মতে, মুসলিম নারীদের অবশ্যই পার্লার জাতীয় জায়গা থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ রূপচর্চার কারণেই অন্যান্য পুরুষরা তাঁদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ওঠেন।

কাজমি আরও জানান, বর্তমানে বহু মুসলিম নারীই পার্লারে যাওয়ার ঝোঁক রয়েছে। তাই এই ধরনের ফতোয়া আরও আগে জারি করা উচিত ছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দেবহাটায় শিক্ষানবিশি প্রোগ্রামের কাজ এগিয়ে চলেছে – ইউএনও হাফিজ আল আসাদ

দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটা উপজেলাকে এ্যাপ্রেনটিচশীপ (শিক্ষানবিশি) প্রোগ্রাম চালু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ০৩.৮০৫.০০.০০.০০.০২১.২১.২০১৭-২৫৪০স্মারক সংখ্যা পত্রের সূত্র অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ জানান, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রুপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের অন্যতম বিষয় হল দক্ষ মানব সম্পদ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি। সবার জন্য যথাপোযুক্ত কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করা। রেমিটেন্স বৃদ্ধির লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হল কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা। যার মধ্যে ঝরে পড়া যুবকদের জন্য এ্যাপ্রেনটিচশীপ (শিক্ষানবিশি) প্রোগ্রামের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ। এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগে ২০১৬ সালে পাইলট আকারে দেশের ৩০ টি উপজেলায় ইনফরমাল সেক্টরে এ্যাপ্রেনটিচশীপ (শিক্ষানবিশি) প্রোগ্রাম চালু করা হয়। এই প্রোগ্রামের সফলতার ভিত্তিতে চলতি বছরে দেশের ৫০ টি উপজেলার সম্প্রসারনের উদ্যোগে নেয় হয়েছে। ইতোমধ্যে এটুআই প্রোগ্রাম থেকে উপজেলা ভিত্তিক একজন করে কো-অডিনেটর ও তাত্ত্বিক প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য উদ্যোক্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে আনুষ্ঠানিক ভাবে উপজেলা পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে যার মধ্যে দেবহাটা উপজেলাও রয়েছে। আর এতে উপজেলার বেকারী, কাঠমিস্ত্রী, কাঠের নকশার কাজ, ওয়েল্ডিং, মোটরসাইকেল মেরামত, বিউটি পার্লার, মোবাইল ফোন মেরামত ইত্যাদিতে কর্মক্ষেত্রে খুজে বের করা এবং আগ্রহী ২০টি কর্মক্ষেত চুড়ান্ত ভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। এই ২০টি কর্মক্ষেত্রের জন্য ৪০জন এ্যাপ্রেনটিচশীপ(শিক্ষানবিশি)হিসাবে উপজের কাছাকাছি স্বপ্ল শিক্ষিত বা পড়াশুনা সুযোগ পায়নি স্থানীয় বেকার যুবক-যুবতীদের চুড়ান্ত ভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে ২জন করে শিক্ষানবিশ ৬ মাস ব্যাপী সপ্তাহে হাতে কলমে কাজ শিখছে। পাশাপাশি ৪০ জন শিক্ষানবিশ ২০টি কর্মক্ষেত্রে ২জন করে শিক্ষানবিশ মাসে এক হাজার টাকা ভাতা পাবে। এই ভাতা প্রশিক্ষণকাল ৬ মাসের জন্য। আর এতে ঝড়ে পড়া, সুবিধা বঞ্চিত, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, বেকার-যুবক-যুবতীরা অগ্রাধিকার পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সতিন পুত্রের বিরুদ্ধে এক মায়ের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া সরকার পাড়ার মৃত বিশ্বনাথ দাশের প্রথম পক্ষের ছেলে বিপ্লব কুমার দাশের অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার সৎ মা রিনা রানী দাশ। শনিবার সাতক্ষীরায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এব্যাপরে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আইনি সহয়তা দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে রিনা রানী দাশ বলেন, আমার স্বামী বিশ্বনাথ দাশের প্রথম স্ত্রী প্যারালাইসিসে অক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী থাকায় ১৯৯৪ সালে ধর্মীয় বিধান মতে আমাকে বিয়ে করেন। এসময় স্বামীর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর বিপ্লব কুমার দাশ নামের ১৩ বছর বয়সী একটি ছেলে ছিল। বিয়ের পর থেকেই বিপ্লব ও তার অসুস্থ মায়ের সেবা যতœ করে সংসারটিকে আগলিয়ে রাখি। স্বামীর সাথে সংসার করাকালীন আমার গর্ভে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয় তার নাম রাহুল কুমার দাশ। আমার সতিনের অসুস্থ্যতা ও স্বামীর সরলতার সুযোগ নিয়ে বড় ছেলে বিপ্লব কুমার দাশ নেশাগ্রস্ত হয়ে নানবিধ অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। সংশোধনের জন্য কয়েক দফা তাকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু সেখান থেকে বের হয়ে পুনরায় সে অপরাধমূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকে। যে কারনে তার বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালান, মাদক সেবন ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তার এহেন কর্মকা-ের কারণে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে আমার স্বামী বিশ্বনাথ দাশ আতœহত্যা করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্বামীর মৃত্যুর এক সপ্তাহ না যেতেই বিপ্লব আমাকে ও আমার ছেলেকে এক বস্ত্রে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এর পর থেকে আমি ছেলেকে নিয়ে অতি কষ্টে ভাড়া বাড়িতে মানবেতর জীবন যাপন করছি। স্বামীর মৃত্যুর দেড় বছরের মধ্যে বিপ্লর কুমার দাশ ওয়ারেশ সূত্রে তার প্রাপ্যের সম্পত্তির অংশ বিক্রি করে সর্বশান্ত হয়। বর্তমানে সে আমার ছেলে রাহুল কুমার দাশের প্রাপ্য অংশ আত্মসাৎ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সেকারে বিপ্লব আমার ও আমার ছেলেকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করলে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে অসত্য, বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করে আমার বিরুদ্ধে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করায়। যার ফলে আমি সামাজিক ও মানসিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। বর্তমানে আমি ও আমার ছেলে রাহুল সতিনের ছেলে বিপ্লব কুমার দাশের দ্বারা বিভিন্ন প্রকার ক্ষয় ক্ষতিসহ জীবননাশের আশংকা করছি। তিনি এব্যপারে যাতে আইনগত ও আদালতের সহযোগিতা পেতে পারেন সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নলতায় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রবের চেহেলাম অনুষ্ঠিত

নলতা প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ উপজেলাধীন নলতা শরীফ শাহী জামে মসজিদে শুক্রবার বাদ আছর বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক আলহাজ্জ মো. আব্দুর রব (৬৮) এর চেহেলাম উপলক্ষে মিলাদ শরীফ ও দোয়া অনুষ্ঠান হয়েছে।
পারিবারিকভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নলতা শরীফের খাদেম মৌলভী আনছার উদ্দিন আহমেদ, মিশন কর্মকর্তা চৌধুরী আমজাদ হোসেন, ডা. আকবর হোসেন, আবুল ফজল শিক্ষক, মো. এনামুল হক খোকন, একরামুল রেজাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, মো. আনিছুজ্জামান খোকন, মরহুমের একমাত্র পুত্র রাজু, জামাতা আব্দুল খালেক, ভ্রাতা মেম্বর আব্দুল হান্নান, ভ্রাতা আবু হাসান শিক্ষক সহ মরহুমের বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, শুভাকাঙ্খী, প্রতিবেশীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মুসল্লী উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest