সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জে পুকুরের পানিতে দুই শিশুর মৃত্যুদেবহাটায় ৪০ জন উপকার ভোগীর মাঝে ছাগল বিতরণদেবহাটার সরকারি কর্মকর্তা-সুধীজনদের সাথে ডিসির মতবিনিময়সাতক্ষীরার ১৮৫টি ভোটকেন্দ্রের স্কুল সংস্কারে বরাদ্দ প্রায় ৬৪ লাখ টাকাসাতক্ষীরা জেলা রোভারের ৪১ তম কোর্স ফর রোভারমেট এর মহাতাঁবু জলসাশ্যামনগরে বুনো শাকের রান্না প্রতিযোগিতাসাতক্ষীরায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে রাস্তা সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনতারেক রহমানের জন্মদিনে সাতক্ষীরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণদেবহাটায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভামহেশ্বরকাটি বাজারে বিএনপির প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিনের লিফলেট বিতরণ

এমপিও বাস্তবায়নের দাবিতে বেসরকারি কলেজ অনার্স-মার্স্টাস শিক্ষক সমিতির সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মার্স্টাস শিক্ষক সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে এমপিও বাস্তবায়নে করণীয় বিষয়ক শিক্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা সিটি কলেজের হল রুমে অনুষ্ঠিত সম্মেলন সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মার্স্টাস শিক্ষক সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি আনারুল ইসলাম। সাতক্ষীরা সিটি কলেজের প্রভাষক আমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্র্রিয় কমিটির সভাপতি নেকবর হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় সভাপতি গাজী মোজাম্মেল হোসেন, খুলনা জেলা সভাপতি সঞ্জয় কুমার দাস, সহ-সভাপতি অনুপ কুমার গাইন, কেন্দ্রিয় উপদেষ্টা পবিত্র কুমার মন্ডলসহ সাতক্ষীরা জেলা বিভিন্ন বেসরকারি কলেজের শিক্ষকমন্ডলী। এসময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে জেলা সহ দেশের বেসরকারি কলেজের অনার্স-মার্স্টাস পর্যায়ের শিক্ষকরা চরম দুর্দাশার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে রয়েছেন আর্থিক সংকটে। কলেজ থেকে যে সামান্য সম্মনি দেওয়া হয় তা যাতায়াতেই খরচ হয়ে যায়। তবুও তারা আশা করেন জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টিতে তারা অবশ্যই এমপিও ভুক্ত হবেন। সমাজে পরিবার পরিজন নিয়ে সুস্থ্যভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন।
বক্তারা আরো বলেন, জননেত্রীর কাছে গিয়ে কেউ খালি ফিরেছে এরকম নজির নেই। আমরা আশা রাখি আমাদের কেও খালি হাতে ফিরিয়ে দিবেন না মানবতার নেত্রী, জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি তার পিতার আদর্শে আদর্শিত হওয়ার কারণে জনগনের জন্য সব কিছু উজাড় করে দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা আশাকরি আমাদের দুঃখ দুর্দাশার কথা তিনি উপলব্ধি করতে পারেন। আমরা বিশ্বাস করি জননেত্রী আমাদের দিকে নেক নজর দিয়ে এ সমস্যা সমাধান করে শিক্ষক সমাজে আরো স্মরনীয় হয়ে থাকবেন। এছাড়া আগামী মাসে তাদের দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকায় একটি সমাবেশের আয়োজন করেছেন। সেখানে প্রধান অতিথি হিসাবে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি প্রদান করেছেন বলে তারা জানান।

 

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নারীসহ ১৭ জন রোহিঙ্গা ছিলেন মিয়ানমারের সংসদ সদস্য

বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারে দুই নারীসহ ১৭ জন রোহিঙ্গা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাদের একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। শুধু এমপি-মন্ত্রীই নন,মিয়ানমার সরকারের সচিবসহ শীর্ষ বিভিন্ন পদেও ছিলেন রোহিঙ্গারা। ১৯৯০ সালের নির্বাচনেও সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের চার জন প্রতিনিধি ছিলেন দেশটির পার্লামেন্টে। ১৯৯২ সালে রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। এরপর থেকে আর কোনও নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি তারা। গত মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে এই তথ্য জানান চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ে সংসদে প্রস্তাব উত্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রস্তাব উত্থাপনের পর নিজের বক্তব্যে দীপু মনি বলেন, ‘১৯৪৮ সালে বার্মার স্বাধীনতার ঠিক পূর্বমুহূর্তে ১৯৪৭ সালের নির্বাচনে এম এ গাফ্ফার এবং সুলতান আহমেদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৫১ সালে সাধারণ নির্বাচনে পাঁচ জন রোহিঙ্গা তৎকালীন বার্মার পার্লামেন্টে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন জুরা বেগম। তৎকালীন বার্মার নির্বাচিত প্রথম দুইজন নারীর একজন হলেন এই জুরা বেগম। ছয়জন এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৯৫৬ সালের সাধারণ নির্বাচন ও পরবর্তী যেসব উপনির্বাচন হয়েছিল তাতে। দেশটিতে ১৯৯০ সালে যে সাধারণ নির্বাচন হয়েছিল, তাতে রোহিঙ্গাদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ফর হিউম্যান রাইট চারটি আসনে জয়ী হয়। ওই চারজন এমপি হলেন, সামসুল আনোয়ারুল হক, ইব্রাহিম, ফজল আহমেদ ও নূর আহমেদ। দীপু মনি বলেন, ‘সুলতান মাহমুদ একজন রোহিঙ্গা রাজনীতিবিদ। তিনি বার্মা সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বও পালন করেছেন।’ দীপু মনি বলেন, তিনি মনে করেন ১৯৮২ সালে প্রণীত নাগরিকত্ব আইন দিয়ে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের সব অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়।

দীপু মনি আরও বলেন, এ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা বার্মার সংসদ নির্বাচিত সদস্য, তাদের সরকারে মন্ত্রী, সংসদীয় সচিবসহ আরও বহু সরকারি উচ্চপদে আসীন ছিলেন। বার্মার সামরিক শাসকেরা ১৯৬২ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে রোহিঙ্গাদের তাদের সব রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়।

দীপু মনি তার ব্ক্তব্যে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান নোবেলবিজয়ী অং সান সু চির সমালোচনা করে বলেন, ‘নোবেল বক্তৃতায় সু চি বলেছিলেন, “আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হওয়া উচিত এমন একটি পৃথিবী গড়ে তোলা, যা হবে বাস্তুচ্যুত, গৃহহীন ও আশাহত মানুষমুক্ত। একটি পৃথিবী যার প্রতিটি কোণ হবে সত্যিকারের অভয়াশ্রম।যেখানে বসবাসকারীদের থাকবে স্বাধীনতা এবং শান্তিতে বসবাস করবার সক্ষমতা।”’

মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বাঙালি অনুপ্রবেশকারী বা বাঙালি সন্ত্রাসী বলায় দীপু মনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ইতিহাস তা বলে না।’ একাধিক পুরনো রেফারেন্স উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘তারা দীর্ঘকাল ধরে আরাকানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। অষ্টম শতাব্দী থেকেই এই জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব সম্পর্কে ইতিহাস পাওয়া যায়।’

সম্প্রতি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর অব্যাহত নির্যাতন চরম আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৩ লাখ ৭৯ হাজার মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সবমিলিয়ে এখন শরণার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে নাগরিকত্ব অধিকার দিয়ে নিরাপদে বসবাসের ব্যবস্থা গ্রহণে মিয়ানমার সরকারের ওপর জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের জোরালো কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব পাস হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিয়ানমারের ওপর অবরোধ আরোপে ইইউ পার্লামেন্টে প্রস্তাব গ্রহণ

মিয়ানমারের ওপর অবরোধ আরোপের সুপারিশসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে একটি রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হাতে রোহিঙ্গা নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানানোর একদিন পরে বৃহস্পতিবার এই রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়।

রোহিঙ্গা বিষয়ে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে এক বিতর্কের পরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউরোপিয়ান কমিশনকে মিয়ানমার সরকারের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘন ঠেকানোর জন্য গৃহীত যৌথ রেজ্যুলেশনে চাপ বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়।

যৌথ রেজ্যুলেশনে শাখারভ পুরস্কারপ্রাপ্ত অং সান সু চি’কে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, এই পুরস্কার তাকেই দেওয়া হয় যে মানবাধিকার রক্ষা করবে, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেবে এবং আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান জানাবে। এছাড়া দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয় যারা এগুলি পালন করবে না তাদের শাখারভ পুরস্কার ফেরত দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে কিনা।

রেজ্যুলেশনে বলা হয়, ইইউ সদস্যরা ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের জন্য প্রস্তুত এবং মিয়ানমার যেসব বাণিজ্য সুবিধা পেয়ে থাকে সেটি পুনর্বিবেচনা করার বিষয়েও বলা হয়। ৫০ এর অধিক ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য এই যৌথ রেজ্যুলেশন সংসদে নিয়ে আসেন এবং বিতর্কের পরে এটি গৃহীত হয়।

পাশাপাশি রাখাইনে হত্যা, সহিংস ঘটনা, বেসামরিক নাগরিকের সম্পদ ধ্বংস এবং বাস্তচ্যুত হবার ঘটনায় ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণ বন্ধের জন্য মিয়ানমার সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি জোরালো আহ্বান জানায়।

এছাড়া, মিয়ানমার সরকার ও বিশেষ করে স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি’কে আহ্বান জানানো হয় সব ধরনের জাতিগত ও ধর্মীয় সহিংসতাকে নিন্দা জানানোর জন্য। বাংলাদেশ সীমান্তে ল্যান্ডমাইন সরিয়ে ফেলার জন্য তারা মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।

কফি আনান কমিশনের রিপোর্টের বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে রেজ্যুলেশনে দুঃখ প্রকাশ করে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১৮ মে অং সানর সুচির রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র বলেছিলেন, মিয়ানমারের সরকারের উচিৎ রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়া।

এছাড়া সহিংসতা বন্ধে ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের চীন ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শক্তিকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, ‘আসিয়ান ও আঞ্চলিক সরকারসমূহ যেন মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করে এবং সব বেসামরিক মানুষকে সুরক্ষা ও শরণার্থীদের সহায়তা দেয়।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত: প্রধানমন্ত্রীকে সুষমার ফোন

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সুষমা স্বরাজ শেখ হাসিনাকে ফোন করেন। এসময় রোহিঙ্গা সঙ্কটে বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানান সুষমা স্বরাজ। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেন সুষমা স্বরাজ। এসময় সুষমা স্বরাজ জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক চাপ দিচ্ছে তার দেশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুষমা স্বরাজ জানান, তার দেশও চায়, রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ হোক।’

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ভারত সরকারের পাঠানো ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। এসময় তিনিও জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘বিসর্জন’ দিয়ে আবারও সেরা অভিনেত্রী জয়া

আরও একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুয়েটসে অনুষ্ঠিত ‘ক্যালেডোস্কোপ ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০১৭’-তে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন এই অভিনেত্রী।

কলকাতার পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘বিসর্জন’ সিনেমার মাধ্যমে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করলেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরস্কারপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়া আহসান।

তিন দিনের এই উৎসব শুরু হয় গত ৮ সেপ্টেম্বর। সমাপনী দিন ১১ই সেপ্টেম্বরে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন আয়োজকরা। উৎসবে সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে ‘বিসর্জন’।

চলতি বছরের এপ্রিলে অপেরা মুভিজের ‘বিসর্জন’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন আবির চট্টোপাধ্যায়, জয়া আহসান এবং ছবির লেখক-পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। অবশ্য ছবি মুক্তির পরই অভিনয়ে নজর কেড়েছিলেন জয়া।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে একটি সমান্তরাল প্রেমের গল্প তুলে ধরা হয়েছে এ ছবিতে। এতে তার চরিত্রের নাম পদ্মা। ইছামতীর পাড়ে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের এক হিন্দু বিধবা তিনি। তার জীবনের লড়াই নিয়েই গল্প। ঘটনাক্রমে তার পরিচয় হয় নাসির আলীর (আবির) সঙ্গে। তারপর তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে সুন্দর সম্পর্ক।

ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছে ‘বিসর্জন’। ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত সেরা ছবিও হয়েছে এটি।

এর আগে ‘বিসর্জন’ ছবির জন্য ‘ইন্টারন্যাশনাল বেঙ্গলি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড’ (আইবিএফএ)-এর ক্রিটিক বিভাগে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন জয়া। এর পর আমেরিকায় এই পুরস্কার। চলতি বছর জুলাইয়ে সেরা বাঙালির খেতাবও পেয়েছেন জয়া।

বাংলাদেশে জয়ার হাতে থাকা ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে নূরুল আলম আতিকের ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ও ‘পেয়ারার সুবাস’, মাহমুদ দিদারের ‘বিউটি সার্কাস’ এবং অনম বিশ্বাসের ‘দেবী’।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ব্রাজিলকে সরিয়ে শীর্ষে জার্মানি, চারে আর্জেন্টিনা

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের থাকা উচিত সবার উপরে, কিন্তু র‌্যাংকিংয়ের হিসাবটা তা মানে না। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ও ফলের ওপর ভিত্তি করে ঠিক হয় র‌্যাংকিং। তাই বিশ্বকাপ জেতার পরও জার্মানিকে বেশিরভাগ সময় থাকতে হয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। মাঝে শীর্ষে ফিরলেও আবার নেমে যেতে হয় তাদের। ফিফার নতুন প্রকাশিত র‌্যাংকিংয়ের আবার শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছে জার্মানরা। ব্রাজিলকে সরিয়ে বসেছে তারা এক নম্বরে। আর্জেন্টিনা আবার নেমে গেছে চারে। আর সাত ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ এখন র‌্যাংকিংয়ের ১৯৬তম স্থানে।

ফিফার আগের র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে ছিল ব্রাজিল। তবে এ মাসের আন্তর্জাতিক ম্যাচের পারফরম্যান্সে তাদের নেমে যেতে হয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত নতুন র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে জার্মানি। জায়গা বদল হয়েছে আর্জেন্টিনারও, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টানা দুই ড্রয়ে আলবিসেলেস্তেরা নেমে গেছে চতুর্থ স্থানে। তাদের টপকে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে পর্তুগাল।

ইউরোপ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চেক প্রজাতন্ত্র ও নওয়ের বিপক্ষে জিতেছে জার্মানি। ওদিকে লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিল ড্র করেছে কলম্বিয়ার সঙ্গে। যাতে জার্মানি উঠে গেছে শীর্ষে, আর দুয়ে নেমে যেতে হয়েছে ব্রাজিলকে।

ফিফা র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ দশে বদল হয়েছে আরও। চার ধাপ এগিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে ইউরোপ অঞ্চল থেকে প্রথম দল হিসেবে রাশিয়া বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা বেলজিয়াম। এক ধাপ পিছিয়ে পোল্যান্ড নেমে গেছে ছয়ে। তিন ধাপ পিছিয়ে সুইজারল্যান্ড এখন সপ্তম স্থানে। ফ্রান্স আবার দুই ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছে আটে। চিলি ও কলম্বিয়াও দুই ধাপ পিছিয়ে রয়েছে যথাক্রমে নবম ও দশম স্থানে। ফিফা ডটকম

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘ডুব’ নিয়ে সেন্সর বোর্ডের নথি ফাঁস

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ডুব’ বড় পর্দায় আসবে ২৭ অক্টোবর। প্রয়াত নন্দিত কথাশিল্পী-নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের জীবনের স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে তৈরি হওয়ার বিতর্ক জড়িয়ে থাকায় ছবিটি নিয়ে সরকারি দফতরে চিঠি চালাচালি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এবার জানা গেলো, ছবিটির পাঁচটি দৃশ্য ছেঁটে ফেলতে হয়েছে। এ সংক্রান্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের একটি নথি ফাঁস হয় বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর)। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কে বা কারা ফাঁস করে দিয়েছে। এতে দেখা যায়, সাবেরী কর্তৃক নিতুর সঙ্গে জুতা পাল্টানোর দৃশ্য ও সংশ্লিষ্ট সংলাপ বাদ পড়েছে। দ্বিতীয় দৃশ্যের বিবরণে জাবেদ হাসানের সংলাপ, ‘এই গাড়ি, গাজীপুর চলো…’ বাদ দিতে হয়েছে।
কর্তন করা হয়েছে জাবেদ হাসানের মরদেহের পাশে নিতুর সঙ্গে তার শিশুসন্তানের দৃশ্যও। জাবেদ হাসানের কন্যা সাবেরীর সঙ্গে তার চাচার কথোপকথন অংশে ‘এখন নিতু তো বলছে নয়নতারায় কবর দিতে…’ শীর্ষক চাচার সংলাপসহ কবরের স্থান নির্ধারণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দৃশ্য ও সংলাপ কর্তন করা হয়েছে। একই সঙ্গে জাবেদ হাসানের মৃত্যুর পর অ্যাম্বুলেন্সে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়ার একটি দৃশ্যের পর অবশিষ্ট দৃশ্য ও সংলাপ কর্তন করা হয়েছে।
এসব দৃশ্য বাদ দেওয়ায় গত ৮ আগস্ট সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পায় ‘ডুব’। কয়েক মাস আগে হুমায়ূন পত্নী ও অভিনেত্রী-নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রিভিউ কমিটির অনাপত্তিপত্র স্থগিত হওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল সরগরম।
বাংলাদেশে বলিউড অভিনেতা ইরফান খান অভিনীত প্রথম ছবি ‘ডুব’। এতে তার সঙ্গে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, রোকেয়া প্রাচী ও কলকাতার পার্নো মিত্র।

চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি সেন্সর বোর্ডে জমা পড়ে ‘ডুব’। কিন্তু এর মধ্যে দেশ-বিদেশের একাধিক গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়— কিংবদন্তি সাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের জীবন নিয়ে সাজানো হয়েছে ছবিটি। এক্ষেত্রে হুমায়ূনপত্নী মেহের আফরোজ শাওন কিংবা তার পরিবারের কোনও সদস্যের অনুমতি নেওয়া হয়নি। এমন অভিযোগ করে ১৩ ফেব্রুয়ারি সেন্সর বোর্ডে আপত্তিপত্র পাঠান শাওন। মূলত এ কারণে সেন্সর বোর্ডে জমা পড়ার অগেই আটকে যায় ‘ডুব’। ১৬ ফেব্রুয়ারি তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে প্রিভিউ কমিটির অনাপত্তিপত্র স্থগিত হয়। অবশেষে প্রায় ছয় মাস পর সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পায় ‘ডুব’।
অন্যদিকে ছবিটির গল্প যে হুমায়ূন আহমেদের জীবনের একাংশ থেকে নেওয়া তা বরাবরই অস্বীকার করেছেন ফারুকী। তার বক্তব্য ছিল এমন— ‘আমার সিনেমার সব চরিত্র কাল্পনিক। এটা বায়োপিক নহে।’

বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে ছবিটি প্রযোজনা করেছে ভারতের এসকে মুভিজ ও ইরফান খানের প্রতিষ্ঠান। এতে গান থাকছে কেবল একটি। ‘আহা জীবন’ শিরোনামের গানটি লিখেছেন ও গেয়েছেন চিরকুট ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য শারমীন সুলতানা সুমি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
হারিয়ে গেছে ‘পথের পাঁচালী’

সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী ছবি ‘পথের পাঁচালী’র মূল প্রিন্ট পাওয়া যাচ্ছে না। ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ অব ইন্ডিয়ায় (এনএফএআই) এখন এর কোনও অস্তিত্ব নেই। অপু চরিত্রকে নিয়ে সত্যজিতের ট্রিলজির অন্য দুই ছবি ‘অপরাজিত’ ও ‘চারুলতা’র প্রিন্টও হারিয়ে গেছে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের। 

হারিয়ে যাওয়া চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ছবি রয়েছে। এ তালিকায় আরও উল্লেখযোগ্য— মৃণাল সেনের ‘ভুবন সোম’, গুরু দত্তের ‘কাগজ কে ফুল’, মেহবুব খানের ‘মাদার ইন্ডিয়া’, রাজ কাপুরের ‘মেরা নাম জোকার’ ও ‘আওয়ারা’।

শুধু ভারতীয় নয়, আন্তর্জাতিক অনেক ছবিও হারিয়ে গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এর মধ্যে আছে সের্গেই আইনস্টাইনের ‘ব্যাটেলশিপ পটেমকিন’, ভিত্তোরিও ডি সিকার ‘বাইসাইকেল থিভস’, আকিরা কুরোসাওয়ার ‘সেভেন সামুরাই’, রোমান পোলানস্কির ‘নাইফ ইন দ্য ওয়াটার’ ও আন্দ্রেজ ওয়াজদার ‘অ্যাশেজ অ্যান্ড ডায়মন্ডস’। নির্বাক যুগের ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক কয়েকটি ছবিও আছে হারিয়ে যাওয়া তালিকায়।

ভারতের তথ্য অধিকার (আরটিআই) আইনের অংশ হিসেবে এসব তথ্য জেনেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। তারা জানায়, পুনের বেসরকারি সংস্থা ক্যামিও ডিজিটাল সিস্টেমস প্রাইভেট লিমিটেড ২০১২ সালে এনএফএআই’র ১.৩ লাখ রিলে বারকোড দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল। এখন সেখানে সাড়ে ৫১ হাজার ক্যান ফিল্ম রিল এবং ৯ হাজার ২০০টিরও বেশি প্রিন্ট নেই। এছাড়া ৪ হাজার ৯২২টি ক্যানে ১ হাজার ১১২টি ছবির নাম রয়েছে, কিন্তু সেগুলো এনএফএআই’র নিবন্ধন তালিকাতেই নেই।

ছবি ছাড়াও ভারতের স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ের ঐতিহাসিক ঘটনার ফুটেজও পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে রয়েছে প্যারিসে মহাত্মা গান্ধীর সফর, করাচিতে ভারতের ন্যাশনাল কংগ্রেসের সমাবেশ, ১৯৬৯ সালে ভারত সফরকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের ভাষণ প্রভৃতি। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest