সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালনসাতক্ষীরায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় ছাত্রদলের দোয়াফেসবুক পোস্ট মুছে ফেলাকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ে সংঘর্ষতালায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের পর তরুণীকে হত্যার অভিযোগক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার কমানোর দাবিতে শ্যামনগরে মানববন্ধনবেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় সাতক্ষীরায় দোয়াবারসিকের উদ্যোগে পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের ওরিয়েন্টেশনজামায়াত শুধু নিজেদের মানুষকেই চাকরি দেয়, তারা সার্বজনীন হতে শেখেনি: কাজী আলাউদ্দিনদেবহাটায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আহাদ আলীর রাস্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন উপকূলের মানুষের সংকট নিরসনের সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে নাগরিক সংলাপ

কা‌লিগ‌ঞ্জে সা‌বেক ইউপি সদস্য মুন্সী আফজাল হো‌সে‌নের ইন্তেকাল

ভ্রাম্যমাণ প্র‌তি‌নি‌ধি, কা‌লিগঞ্জ: কা‌লিগঞ্জ উপ‌জেলার মৌতলা ইউনিয়‌নের ২ নং ওয়া‌র্ডের সা‌বেক ইউপি সদস্য আফজাল হো‌সেন (৭০) বৃহস্প‌তিবার সকাল ১১ টায় হৃদ‌রোগ জনিত কার‌নে তার নিজস্ব বাসভব‌নে ইন্তেকাল ক‌রে‌ছেন। সে ম‌ৌতলা ইউনিয়‌নের মুন্সী পাড়া গ্রা‌মের মৃত মুন্স‌ী রাহবার হো‌সেনের ছে‌লে এবং বর্তমান ২নং ওয়া‌র্ডের ইউপি সদস্য মুন্সী ম‌শিউর রহমান পলা‌শের পিতা। পা‌রিবা‌রিক সু‌ত্রে জানা যায় আফজাল হো‌সেন সকা‌লে গোসল সে‌রে এসে ভিজা লু‌ঙ্গি উঠা‌নের দ‌ড়ি‌তে মেলা‌তে যায় এসময় সে মাথা ঘু‌রে মা‌টি‌তে প‌ড়ে যায় সা‌থে সা‌থে তার স্ত্রী এবং প‌রিবারের সদস্যরা ঘ‌রে নি‌য়ে আসে। চি‌কিৎসার জন্য স্থানীয় ডাক্তার নেছার আহ‌ম্মেদ খবর দি‌লে তি‌নি এসে তা‌কে মৃত ঘোষনা ক‌রেন। তি‌নি মৃতকা‌লে স্ত্রী দুই পুত্র ও তিন কন্যা সন্তান এবং না‌তি না‌তিন সহ অসংখ্যা গু‌ণি গ্রাহী রে‌খে গে‌ছেন। তার মৃত্যু‌তে প‌রিবার আত্বীয় স্বজন ও এলাকায় শো‌কের ছায়া বিরাজ কর‌ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নাইকোর সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

কানাডাভিত্তিক তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার যৌথ চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নাইকোর সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট ) এই রায় ঘোষণা করা হয়। বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা শুরু ১ নভেম্বর

অষ্টম শ্রেণির সমাপনী জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও মাদরাসার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১ নভেম্বর থেকে। শেষ হবে ১৮ নভেম্বর।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপ-কমিটি জেএসসি এবং মাদরাসা বোর্ড জেডিসি পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করেছে।

 জেএসসি-জেডিসির সবগুলো পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে।

এবার থেকে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এবং চারু ও কারুকলা বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হবে না।

জেএসসির বিস্তারিত সূচি
১ নভেম্বর বাংলা প্রথম পত্র, ২ নভেম্বর বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ৫ নভেম্বর ইংরেজি প্রথম পত্র, ৬ নভেম্বর ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র।

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, খ্রিস্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা ৭ নভেম্বর।

এছাড়া ৮ নভেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ৯ নভেম্বর বিজ্ঞান, ১১ নভেম্বর কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা (অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য), ১২ নভেম্বর গণিত, ১৩ নভেম্বর শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য (অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য) বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হবে।

১৪ নভেম্বর হবে কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, আরবি, সংস্কৃত এবং পালির পরীক্ষা।

১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং ১৮ নভেম্বর চারু ও কারুকলার (অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য) পরীক্ষা নেয়া হবে।

জেডিসি বিস্তারিত সূচি
১ নভেম্বর কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ, ২ নভেম্বর আকাইদ ও ফিকহ, ৪ নভেম্বর আরবি প্রথম পত্র, ৫ নভেম্বর আরবি দ্বিতীয় পত্র, ৬ নভেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ৭ নভেম্বর বাংলা প্রথম পত্র, ৮ নভেম্বর বাংলা দ্বিতীয় পত্র।

এছাড়া ৯ নভেম্বর কৃষি শিক্ষা ও গার্হস্থ্য অর্থনীতি, ১১ নভেম্বর গণিত, ১২ নভেম্বর কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা এবং শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য (অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের), ১৩ নভেম্বর ইংরেজি প্রথম পত্র, ১৪ নভেম্বর ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র, ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা ১৮ নভেম্বর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতীয় গরুতে দেশি খামারিদের আশাভঙ্গ

ঢালাওভাবে ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশ করছে। এ খবরে খামারিরা দারুণভাবে হতাশ। কোরবানি ঈদ সামনে রেখে দেশের সব খামারি ও কৃষক সারা বছর ধরে পশু লালন-পালন করেন। একটু লাভের আশায় তাদের এ পরিশ্রম। কিন্তু আশায় গুড়ে বালি পড়ছে ভারতীয় গরু আসার খবরে।

কৃষকরা বলছেন, ঢালাওভাবে ভারতীয় গরু এলে আমাদেরই সর্বনাশ হবে। লাভের গুড় ভারতীয় গরুতে খেয়ে যাবে। গরুর ব্যবসায় এবারও লোকসান হলে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে।

ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশের বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আইনুল হক বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ভারতীয় গরু প্রবেশ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

দেশের কৃষক ও খামারিদের স্বার্থে ভারতীয় গরু যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি মহাপরিচালককেও বিষয়টি দেখার অনুরোধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্তের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদেরও বিষয়টির প্রতি নজর দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় ভারতীয় পশু যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পক্ষ থেকে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে একজন সাংবাদিক জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। দেশটি থেকে গরু আসা অব্যাহত থাকলে কোরবানি পশুর দাম আরও কমবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।

অন্যদিকে ভারত থেকে গরু আসার কারণে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন জেলার খামার মালিকরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার অহেদপুর ও রঘুনাথপুর সীমান্তের দুটি বিট বা খাটাল দিয়ে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার গরু আসছে। খাটাল ছাড়াও সীমান্তের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বন্যার পানিতে গরু ভাসিয়ে নিয়ে আসছে চোরাকারবারিরা।

জেলার সর্ববৃহৎ তর্তিপুর পশুহাটসহ মনাকষা পশুহাট, খাসেরহাট, সোনাইচন্ডি পশুহাট, বটতলা হাট, রামচন্দ্রপুর হাটসহ বিভিন্ন পশুহাটে দেশি গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরু বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় গরু থাকায় দেশি গরুর দাম এবার গতবারের চেয়ে অনেক কম বলেও মনে করছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।

কাস্টমস সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের জুলাই ও আগস্ট- দুই মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে গরু এসেছিল প্রায় ১৩ হাজার। আর এ বছর শুধু জুলাই মাসে গরু এসেছে সাড়ে ৬৮ হাজার। জেলায় এ বছর কোরবানির জন্য যে সংখ্যক দেশি গরু রয়েছে; তা জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরে পাঠানো যাবে বলে খামার মালিকরা জানান।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের খামার মালিক হাসানুল হক বান্না জানান, এ বছর ২৬টি গরু কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য মোটাতাজা করেছেন। গরুর দাম ৭০ হাজার থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। গরুর খাবারের দাম ও শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর গরু লালন পালন খরচ বেশি হয়েছে।

জেলার রাজনগর, দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ ও তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান হাটসহ জেলার প্রধান গরুর হাটগুলো এখন ভারতীয় গরুর দখলে। ভারতীয় বড় আকারের গরুর আগ্রাসনে দেশি গরুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় কৃষক ও খামার মালিকদের।

শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ নয়, সাতক্ষীরাসহ দেশের অন্যান্য জেলায়ও ভারতীয় গরুর আধিক্যের কারণে স্থানীয় হাটগুলোতে বাইরে থেকে আসা বেপারিদের সংখ্যাও কম। উপযুক্ত দাম না পেয়ে ক্ষুব্ধ খামারি আর কৃষকরা গৃহপালিত গরু হাটে নিয়ে যাচ্ছেন না।

পঞ্চগড় : জেলার রাজনগর, শালবাহান, ভাউলাগঞ্জসহ বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে অধিকসংখ্যক ভারতীয় গরুর অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়েছে। ফলে কমে গেছে দেশি গরুর দাম।

সদর উপজেলার ৩নং সদর ইউনিয়নের ডুডুমারি এলাকার কৃষক ফয়জুল ইসলাম বলেন, কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য দুটি গরু প্রায় দুই বছর ধরে লালন-পালন করেছি। ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা করে প্রতিটি গরুর দাম হওয়ার কথা। কিন্তু ক্রেতারা ৫০ হাজার টাকার ওপর দাম বলছেন না। এই দামে বিক্রি করলে গরুর পেছনের খরচও উঠবে না।

স্থানীয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবির দাবি, পঞ্চগড়ে করিডোরের ব্যবস্থা না থাকায় ভারতীয় গরু কোনো সীমান্ত দিয়েই প্রবেশ করছে না। বিজিবি সদর দফতর থেকে গরু প্রবেশ ঠেকানো বন্ধে কোনো নির্দেশনাও তারা পাননি বলে পঞ্চগড় বিজিবি-১৮ সূ্ত্রে জানা যায়।

জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার কৃষক কামরুজ্জামান। কোরবানির জন্য প্রতি বছরই তিনি চার-পাঁচটি গরু মোটাতাজা করেন। এবারও পাঁচটি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন।

তিনি বলেন, এবার গরু পালনে খরচ অনেক বেশি পড়েছে। গরুর প্রধান খাবার ভূষির দাম অন্যান্য বারের তুলনায় এবার অনেক বেশি। সে হিসেবে গরু মোটাতাজা করতে খরচও অনেক বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, ভারতীয় গরু বাজারে এলে আমাদের মতো ছোট খামারিদের সর্বনাশ হবে। লাভের গুড় ভারতীয় গরুতে খেয়ে যাবে। মাঝখানে সর্বস্ব হারাতে হবে আমাদের।

কুষ্টিয়ার কাজী খামারের মালিক কাজী শওকত কোরবানি ঈদ সামনে রেখে এবার ১০০টি গরু প্রস্তুত করেছেন। তিনি বলেন, কোরবানির চাহিদা মেটানোর জন্য আমাদের দেশি গরুই যথেষ্ট। এ দেশে ভারতীয় গরুর কোনো প্রয়োজন নেই। দেশটি থেকে গরু আনা বন্ধে সরকারকেই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

ঢালাওভাবে ভারতীয় গরু এলে আমাদের খামারি ও কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলেও জানান তিনি।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডা. আবদুল হালিম এ প্রসঙ্গে বলেন, ভারতীয় গরু যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে এজন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা করছি তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

তিনি আরও বলেন, কিছু ভারতীয় গরু এলেও দেশি গরুর চাহিদা কমবে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে পাকিস্তানে চীনা সেনা মোতায়েন

উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-চীন সম্পর্ক। যুদ্ধের জন্য মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে দু’টি দেশ।
আর এরই মাঝে পাকিস্তানের ৩০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর বা সিপিইসি’র কাজ শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে পাকিস্তানে আরও বেশি চীনা সেনা মোতায়েন করা হতে পারে বলে মনে করছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক করিডরের নিরাপত্তায় পাকিস্তান তিনটি স্বতন্ত্র পদাতিক বিগ্রেড এবং দু’টি বাড়তি গোলন্দাজ রেজিমেন্টও তৈরি করেছে।

প্রকাশিত এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, সিপিইসি’কে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে পাকিস্তান। এই করিডরের মাধ্যমে বেলুচিস্তানের গোয়াদার বন্দরের সঙ্গে চীনের সিনজিয়াং অঞ্চলের সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হবে। আর তাই এই অর্থনৈতিক করিডরের নিরাপত্তায় পাকিস্তানের মাটিতে আরও চীনা সেনা মোতায়েন করা হতে পারে। যদিও ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক করিডের নিরাপত্তায় পাকিস্তানের বন্দরে ভিড়েছে বেশ কয়েকটি চীনা জাহাজ। এমনকি রয়েছে চীনা সেনাও।

প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানের মাটিতে আরও চীনা সেনা মোতায়েন করা হতে পারে। তবে কত সেনা আসতে পারে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতে এক ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার রায়ের আগে তুলকালাম

ভারতে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা জুড়ে যার লক্ষ লক্ষ অনুগামী, সেই বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের মামলার রায় ঘোষণার আগে ওই দুই রাজ্যে চরম সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে।

হরিয়ানার পাঁচকুলার একটি আদালত শুক্রবার এই মামলার রায় দেবে, তার আগেই ওই ধর্মগুরুর হাজার হাজার ভক্ত সেখানে গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন ও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন।

ওই দুই রাজ্য জুড়ে বাড়তি কয়েকশো কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে – প্রচুর লোককে গ্রেফতার করতে হতে পারে আশঙ্কায় পুলিশ একটি গোটা স্টেডিয়ামও অধিগ্রহণ করে রেখেছে।

কিন্তু কেন বাবা রাম রহিমের মামলার রায় নিয়ে এই নজিরবিহীন প্রস্তুতি?

আসলে ভারতের অজস্র গডম্যান বা ধর্মগুরুর মধ্যেও বাবা রাম রহিমের মতো বর্ণময় চরিত্র সম্ভবত আর একটিও নেই। তিনি একাধারে ধর্মপ্রচারক, সমাজ সংস্কারক, গায়ক, সিনেমার নায়ক ও পরিচালক।

হরিয়ানার সিরসায় তার ‘ডেরা সাচ্চা সওদা’ আশ্রমের প্রাঙ্গণে নিয়মিত বসে পপ কনসার্ট। সেখানে গান ডেরার প্রধান, গুরমিত রাম রহিম সিং নিজেই – তার তুমুল জনপ্রিয় ‘ইউ আর মাই লাভ চার্জারে’র মতো আরও অনেক গান!

‘এমএসজি : মেসেঞ্জার অব গড সিরিজে’র যে সিনেমাগুলোতে বাবা রাম রহিম নিজেই নায়ক গুরুজির অভিনয় করেছেন, হাজার হাজার গাড়ির কনভয় নিয়ে সেই ছবি দেখতে এমে তার ভক্তরা একাধিকবার দিল্লির কাছে গুরগাঁও অচল করে দিয়েছেন!

শিখ, হিন্দু, মুসলিম সব ধর্মের চেতনার মিশেলেই তৈরি হয়েছে তার কাল্ট – কিন্তু পনেরো বছর আগে নিজের আশ্রমেই দুজন ভক্ত মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

প্রায় দশ বছর ধরে শুনানির পর অবশেষে শুক্রবার সেই মামলায় পাঁচকুলার সিবিআই আদালত রায় ঘোষণা করবে বলে কথা রয়েছে – আর তাকে ঘিরেই তটস্থ হয়ে রয়েছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, “আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে কোনও বেচাল বরদাস্ত করা হবে না। এই মামলায় রায় দেবে সিবিআই আদালত – আর তা শুধু পাঞ্জাবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না – কিন্তু কেউ যদি রায়কে অজুহাত করে হাঙ্গামা তৈরি করতে চায় শক্ত হাতে আমরা তার মোকাবিলা করব।”

হরিয়ানার পুলিশ প্রধান বিএস সান্ধুও জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্র তাদের বাড়তি আধাসামরিক বাহিনী পাঠিয়েছে – রাজ্যেও সব পুলিশকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের কৌশল তৈরি – কেন্দ্রের পাঠানো আধাসেনা ও রিজার্ভ পুলিশ কোম্পানিদেরও রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পর পরিস্থিতি যাতে শান্তিপূর্ণ থাকে, তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”

 

ধর্ষণ মামলার রায় গুরুর বিপক্ষে গেলে বাবা রাম রহিমের শিষ্যরা ব্যাপক দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু করে দিতে পারে, সেই আশঙ্কা থেকেই এই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন।

ধর্মগুরুর ভক্তরা, যাদের তিনি ‘প্রেমী’ বলে ডাকেন – তারা এর মধ্যেই পাঁচকুলা-সহ বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করে তাদের ভাষায় ‘রোষ প্রদর্শন’ শুরু করে দিয়েছেন।

এমনই একটি বিক্ষোভে ডেরার মুখপাত্র সন্দীপ শর্মা বলেন, “দুই রাজ্যের প্রতিটি ব্লকেই এমন সমাবেশ হচ্ছে। আমরা দুশো লোক হবে ভাবছি, জুটে যাচ্ছে পাঁচশো লোক। বাবার অবমাননার কোনও চেষ্টা হলে তারা এভাবেই লাগাতার রোষ প্রদর্শন করে যাবে।”

২৫ আগস্ট রায় ঘোষণার দিন বাবা রাম রহিমকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁকে নিজের চোখে ‘দর্শন’ করার জন্যও প্রচুর ভক্ত সেখানে আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রায় বিরুদ্ধে গেলে তার লক্ষ লক্ষ প্রেমী ভক্ত সেদিন আইন অমান্য করতে পারে, এই আশঙ্কায় তাদের আটক করে রাখার জন্য তৈরি রাখা হয়েছে চন্ডীগড়ের কাছে তাউ দেবীলাল স্টেডিয়ামও।

আবার তিনি অব্যাহতি পেলে পাঞ্জাবের কট্টর শিখ সংগঠনগুলো প্রতিবাদে রাস্তায় নামবে – সেই আশঙ্কাতেও ভুগছে প্রশাসন!

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আওয়ামী লীগের কাঠগড়ায় প্রধান বিচারপতি, পরিণতি কি?

পহেলা জুলাই বিচারপতিদের অপসারণ করার ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করা সম্বলিত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা আওয়ামী লীগের তোপের মুখে পড়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের নেতা, এমপি, মন্ত্রীরা গত তিন সপ্তাহ ধরে সামাজিক-রাজনৈতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনেক ক্ষেত্রেই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে বক্তব্য দিচ্ছেন।
এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের অন্তত দুজন নেতা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়েছেন।
দেশের শীর্ষ আদালত এবং তার শীর্ষ বিচারকের সাথে সরকার বা কোনো রাজনৈতিক দলের এমন আচরণের নজির বাংলাদেশে বিরল।

কি চাইছে আওয়ামী লীগ?
আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা ইউসুফ হোসাইন বলেছেন, তারা এই রায়ের কিছু পর্যবেক্ষণ বাতিল দাবি করছেন।
“এক নাম্বার – কোন একক ব্যক্তির নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়নি, যেটাকে আমরা মনে করছি বঙ্গবন্ধুর প্রতি ইঙ্গিত করা হচ্ছে। এটা কোন অবস্থাতেই আমরা মেনে নিতে পারি না, দুই নম্বর, সংসদকে অকার্যকর, অথর্ব ইত্যাদি ভাষায় যেটা বলা হয়েছে, এটা অপ্রাসঙ্গিক।”

বিরোধী বিএনপি বলছে, আওয়ামী লীগ প্রধান বিচারপতিকে সরাতে চাইছে।
আওয়ামী লীগ এমন দাবি না তুললেও তাদের একজন প্রভাবশালী এমপি ফজলে নুর তাপস গতকাল (মঙ্গলবার) এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করেছেন।
তবে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতারা রায়ের কিছু পর্যবেক্ষণ নিয়ে তাদের ক্ষোভের কথা প্রকাশ করেছেন।

শীর্ষ আদালত এবং প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের উপর কি প্রভাব ফেলতে পারে?

রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষক আসিফ নজরুল বলছেন, এতে অনেকগুলো খারাপ নজির স্থাপিত হচ্ছে।
“আওয়ামীলীগের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, তারা রিভিউ পিটিশন করার চিন্তা করছে। সেই অবস্থায় আপনি যখন চিফ জাস্টিসের বাসায় গিয়ে দেখা করেন, আপনি মামলার একটি সংক্ষুব্ধ পক্ষ হয়ে, তার মানে তো আপনি মামলাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন”।
“দ্বিতীয়ত হচ্ছে, ব্যক্তিগতভাবে চিফ জাস্টিস সম্পর্কে যে সমস্ত অশালীন বক্তব্য দেয়া হচ্ছে জুডিশিয়ারি যদি এটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যায় তাহলে এই সরকারের বহু মন্ত্রীরই আর স্বপদে থাকার অধিকার থাকে না। আর যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে মনে হবে আদালত অবমাননা আইন, আইনের শাসন সমাজের অন্য মানুষদের জন্য। সরকারে যারা থাকে, যারা প্রভাবশালী তাদের জন্য নয়”।

তবে ব্যাপারটাকে ঠিক এভাবে দেখছেন না হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদিন মালিক। তার ভাষায় – অনেকে আবেগ-তাড়িত হয়ে অনুচিত কথা বলছেন ঠিকই কিন্তু পুরো বিতর্কটি গণতন্ত্রের জন্য সুখবর। “গণতন্ত্র মানে হচ্ছে তো আইনের শাসন। যখন আমরা রায় নিয়ে সমালোচনা করছি, তখন কিন্তু আমরা আইনটিকেই আমাদের আলোচনায় রাখছি … আইন, রায় এটাকে আমরা খুব সিরিয়াসলি নিচ্ছি, এটা কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য একটা ভাল দিক।”
সূত্র : বিবিসি বাংলা

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তদন্ত বন্ধে দুদককে আপিল বিভাগের চিঠি, সরকারে বিস্ময়

সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে আপিল বিভাগ। চলতি বছরের ২৮ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তী এ চিঠি পাঠান।

জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৮ জুলাই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে একটি নোটিস ইস্যু করে দুদক। একই বছরের ২৫ জুলাই দুদকের এ নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি হাই কোর্টে একটি রিট করেন। কিন্তু হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ তার সেই রিট আবেদন খারিজ করে দেন। জানা গেছে, বিএনপি শাসনামলে ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলার পর বিচারপতি জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু কমিটির সেই তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা রিপোর্টটি নাকচ করে দেন। আওয়ামী লীগ তার বিরুদ্ধে সভা-সমাবেশ করে। তারা অভিযোগ করেছিল, বিভিন্নভাবে প্রভাবিত হয়ে বিচারপতি জয়নাল আবেদীন রিপোর্টটি উপস্থাপন করেছেন। আওয়ামী লীগ তখন তার নীতি-নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর নোটিস করা হয় বিচারপতি জয়নালকে। এরপরই তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। তদন্ত চলাকালেই সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তীর স্বাক্ষর করা ওই চিঠি দুদক ও সরকারের ভিতরে বিস্ময় সৃষ্টি করে।

কী আছে সেই চিঠিতে : সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তীর স্বাক্ষর করা চিঠিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে দুদকের কোনো রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন হবে না বলে উল্লেখ করা হয়। নিচে চিঠিটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

‘‘উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের প্রেক্ষিতে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাননীয় বিচারপতি জনাব জয়নাল আবেদীন দীর্ঘকাল বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপীল বিভাগের বিচারক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালীন সময় তিনি অনেক মামলার রায় প্রদান করেন। অনেক ফৌজদারী মামলায় তার প্রদত্ত রায়ে অনেক আসামীর ফাঁসীও কার্যকর করা হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশেও সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মাননীয় বিচারপতি কর্তৃক প্রদত্ত রায় সকলের উপর বাধ্যকর। এহেন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ আদালতের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বিরুদ্ধে দুদক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তাঁর প্রদত্ত রায়সমূহ প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং জনমনে বিভ্রান্তির উদ্রেক ঘটবে।

অতএব মাননীয় বিচারপতি জনাব জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের কোনো রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন হবে না মর্মে সুপ্রীম কোর্ট মনে করে।

বিষয়টি আপনার সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে প্রেরণ করা হলো। (অরুণাভ চক্রবর্তী)” এদিকে দুদকের তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের এমন হস্তক্ষেপকে একটি বিরল ঘটনা হিসেবে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে বলে মনে করেন বিশিষ্টজনরা। তারা মনে করেন এটি একটি ন্যায়বহির্ভূত হস্তক্ষেপ। সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ এ চিঠির সঙ্গে একমত নন জানিয়ে বলেন, কোনো তদন্তে বাধার সৃষ্টি করা উচিত নয়। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। যে কারও বিরুদ্ধে তদন্ত করার এখতিয়ার রয়েছে দুদকের। তথ্য-প্রমাণাদি থাকলে অবশ্যই তদন্ত করা চলে। তিনি বলেন, বিচারপতি যে কোনো মামলায় আইনের ভিতরে থেকেই রায় দিয়ে থাকেন। আর যে কোনো রায় তিনি তো একা দেন না। রায় দিয়েছেন বলেই যে আইনের ঊর্ধ্বে থাকবেন এটা ঠিক নয়। আর এই চিঠি দেওয়া ঠিক হয়নি। আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম তদন্তে বাধার সৃষ্টি করাকে সম্পূর্ণরূপে সাংবিধানিক বিধানের লঙ্ঘন বলে মনে করেন। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের সংরক্ষক এবং অভিভাবক। সংবিধানে বলা হয়েছে, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সাংবিধানিকভাবেই কোনো অপরাধ বিষয়ে তদন্ত ও বিচার হওয়া বিধিসম্মত। সংবিধানের অভিভাবক হয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির দুর্নীতির তদন্তে বাধা সৃষ্টি করা সম্পূর্ণরূপে সাংবিধানিক বিধানের লঙ্ঘন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest