সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়া

কৃত্রিম চিনিতেও সর্বনাশ!

ওজন বৃদ্ধি বা ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস রোগ যাতে না হয় এ জন্য আমাদের মধ্যে অনেকেই ডায়েট কোক বা কৃত্রিম চিনি অথবা কম ক্যালোরি আছে এমন খাওয়ারের দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরেকবার ভেবে নিন। কারণ সম্প্রতি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণার ফলফল আপনাকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে আরেকবার ভাবাবে।

গবেষণায় দেখা গেছে, আমাদের শরীরের মেটাবোলিজমে ক্যালোরি ছাড়া খাবার গ্রহণের পর বিশেষত কৃত্রিম চিনি দেওয়া কিংবা সাধারণ চিনি দেওয়া পানীয় গ্রহণের পর তেমন কোনও বিশেষ পার্থক্য দেখা যায় না। এছাড়া কৃত্রিম চিনি দেওয়া খাবার গ্রহণের পরও আমাদের ওজন বৃদ্ধি, কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং ডায়াবেটিস হয়েও পারে বলেও গবেষণা দেখা যায়।

গবেষণায় এই কৃত্রিম চিনি ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধেও ব্যর্থ বলেও উল্লেখ করা হয়।এই কৃত্রিম চিনি গ্রহণের চেয়ে নিয়মিত হাঁটা চলা এবং স্থাস্থ্যকর খাওয়ার গ্রহণ করাই ভালো বলে বলা হয়।

এছাড়া কৃত্রিম চিনি দেওয়া পানীয়তে থাকা এসপারটেম, সুক্রালোজ ও সেকারিন বরং আপনাকে ডায়াবেটিসের ঝুকিতে ফেলছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

তাই ডায়েট কোক বা ডায়েট পেপসি খাওয়ার আগে অবশ্যই ভেবে দেখুন এগুলো গ্রহণে আসলেই আপনার উপকার হচ্ছে কী?

সূত্র: বোল্ডস্কাই।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
অবশেষে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি পেলেন ‘বুড়ো’ আফ্রিদি!

বুড়ো হয়ে গেছে বলে যে আফ্রিদিকে পাকিস্তানের জাতীয় দল থেকে ছেটে ফেলা হল, সেই ৩৭ বছর বয়সী শহীদ আফ্রিদি পেলেন জীবনের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। ন্যাটওয়েস্ট টি-টুয়েন্টি ব্ল্যাস্টে আসরের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে রীতিমত ঝড় তুললেন সাবেক এই পাকিস্তানি অধিনায়ক।
ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে হ্যাম্পশায়ারের হয়ে এদিন ৪২ বলে সেঞ্চুরি করে ‘বুম’ ‘বুম’ খ্যাত তার নামের প্রতি সুবিচার করলেন। ৪৩ বলে ১০১ রান আফ্রিদি এদিন অর্ধশতক হাঁকান ২০ বলে।

চলতি বছরের শুরুতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেকে বিদায় বলে দেন আফ্রিদি। পাকিস্তানের হয়ে ২৭ টেস্ট, ৩৯৮ ওয়ানডে ও ৯৮টি টি-টোয়েন্টি খেলা আফ্রিদির টি-টোয়েন্টিতে কোনো সেঞ্চুরি নেই। খেলেছেন তিনি। তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে না হলেও অবশেষে এই সংস্করণে শতকের দেখাটা পেলেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৫০ বারের মতো পেছাল সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদন দাখিল

রাজধানীতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আবারও পিছিয়ে আগামী ৮ অক্টোবর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৫০ বারের মতো পেছাল।

বুধবার মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে থাকা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হক নতুন এদিন ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি। এ ঘটনায় রুনির ভাই শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই)। পরে মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওপর ন্যস্ত হয়। দুই মাসের বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
রোনালদোর ৫ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা বহাল

রেফারিকে ধাক্কা মারার শাস্তি হিসেবে চড়া মূল্য দিতে হলো ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে। কঠিন শাস্তি হিসেবে ৫ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ)। সেই রায়ের বিরুদ্ধেই আপিল করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু দেশটির ক্রীড়া আদালত সেই আবেদনে আর সাড়া দেননি। আগের রায়ই বহাল রেখেছেন।

এরফলে ক্লাবের পরের তিন খেলায় নিষিদ্ধ থাকছেন রোনালদো। লা লিগায় পঞ্চম সপ্তাহে রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে খেলতে পারবেন তিনি।

এদিকে ইন্সটাগ্রামে রায়ের পর ক্ষোভ এভাবেই ঝেরেছেন রোনালদো, ‘ধারণার বাইরে আরেকটা সিদ্ধান্ত দেওয়া হলো। অবিচারের পর অবিচার।’

এর আগে ন্যু ক্যাম্পে সুপার কাপের প্রথম লেগে মুখোমুখি হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা-রিয়াল। উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচটিতে রিয়াল জেতে ৩-১ ব্যবধানে। যেখানে সফরকারীদের দ্বিতীয় গোলটি করেছিলেন রোনালদো। দুর্দান্ত গোল করে পর্তুগিজ তারকা বুনো উল্লাসে মেতে ওঠেন তার জার্সি খুলে। স্বাভাবিকভাবেই হলুদ কার্ড দেখেন এই অপরাধে। ৮০ মিনিটের ওই ঘটনার মিনিট দুয়েক পর রোনালদো বার্সেলোনার ডি বক্সে ‘ডাইভ’ দিলে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের সঙ্গে দেখেন লাল কার্ড। ব্যাপারটা মোটেও ভালো লাগেনি তার, ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করেন রেফারি রিকার্দো দি বারগোসকে হাত দিয়ে ধাক্কা মেরে। দ্বিতীয় এই অপরাধেই কঠিন শাস্তি মেলে রোনালদোর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিশ্বের বৃহত্তম সিঙ্গারা তৈরি, ওজন ১৫৩ কেজি

বিশালকার সিঙ্গারা তৈরি করে বিশ্বরেকর্ড গড়ল জনপ্রিয় এশিয়ান স্ন্যাক্স। ১৫৩.১ কেজি ওজনের সিঙ্গারাটি তৈরি করা হয়েছে লন্ডনে।

মঙ্গলবার মুসলিম এইড ইউকে চ্যারিটির ১২ জন স্বেচ্ছাসেবী প্রথমে বিশাল সেই সিঙ্গারা তৈরি করেন ও তারপর পূর্ব লন্ডন মসজিদের ভ্যাটে সেটি ডিপ ফ্রাই করেন।

গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের কর্মকর্তারা গোটা প্রক্রিয়ার তদারকি করে সিঙ্গারাটিকে বিশ্বের বৃহত্তম সিঙ্গারা হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

এর আগের রেকর্ডটি ছিল ব্র্যাডফোর্ড কলেজের দখলে। ২০১২ সালের জুন মাসে উত্তর ইংল্যান্ডে ১১০.৮ কেজির সিঙ্গারা বানিয়েছিল তারা।

আয়োজক ফরিদ ইসলাম জানান, ‘আমার হৃদস্পন্দন বেড়ে গিয়েছিল। খুব চিন্তা হচ্ছিল। সিঙ্গারাটা ভেঙে যাবে মনে হচ্ছিল। একটা ফাটল ধরা পড়তেই আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ‘

১৫ ঘণ্টা ধরে তৈরি বিরাট সিঙারাটিকে প্রায় শতাধিক গৃহহীন মানুষকে ভাগ করে খেতে দেওয়া হয়। সূত্র: এনডিটিভি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলকাতার গণমাধ্যমে নেই নায়করাজের মৃত্যুর সংবাদ!

বাংলাদেশ ও কলাকাতা। দুই বাংলাই খ্যাতি অর্জন করেছেন প্রয়াত নায়করাজ রাজ্জাক। শুধু খ্যাতি নয়, কলকাতাতেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন এই নায়করাজ। গত ২১ আগষ্ট (সোমবার) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ৭৬ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

নায়করাজের মৃত্যুতে শোকাহত চলচ্চিত্র পরিবার। রাজ্জাকের মৃত্যুতে শোকাহত বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। অভিনয় জীবনে অনেক শিল্পীর সঙ্গে কাজ করেছেন এই অভিনেতা। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক।

দেশভাগের সময় এপারে এসেছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জন্ম নেওয়া আব্দুর রাজ্জাক। যিনি স্বীয় মেধা আর শ্রমে এরপর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের প্রবাদ পুরুষ হিসেবে, সবাই তাকে আদর আর শ্রদ্ধায় ডাকতো নায়করাজ! পরবর্তী সময়ে ঢাকার পাশাপাশি কলকাতার ছবিতেও দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেন তিনি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলা সিনেমার এই কিংবদন্তী অভিনেতা রাজ্জাকের মৃত্যুর সংবাদ কলকাতার প্রথম সারির অধিকাংশ গণমাধ্যমে নেই বললেই চলে।

আনন্দবাজার পত্রিকা, এবেলা, বর্তমান, সংবাদ প্রতিদিন, কলকাতা২৪, প্রভৃতি গণমাধ্যমে নায়করাজের মৃত্যুর কোনো সংবাদ ছাপা হয়নি। কেবল আজকাল, সংবাদ প্রতিদিন-এ দুটি খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি অভিনেত্রী জয়া আহসানের লেখা। অবশ্য আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন সংস্করণে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।

বরাবরই কলকাতার গণমাধ্যমে অবহেলিত বাংলাদেশের তারকা শিল্পীরা। যৌথ প্রযোজনাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কলকাতার শিল্পীদের নিয়ে ঢাকার গণমাধ্যমে মাতামাতি লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের আলোচিত তারকাদের বেলায়ও তারা থাকে নির্বিকার। কলকাতার পাঠক সমাজে প্রভাববিস্তারকারী বাংলা ভাষার জনপ্রিয় লেখক বাংলাদেশি হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুর সংবাদও সেখানকার পত্রিকাগুলোতে গুরুত্ব পায়নি।

এবার নায়করাজের মৃত্যুর পর বিষয়টি ফের আলোচনায় এলো। প্রসঙ্গত, একবার হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে আনন্দবাজার পত্রিকায় লেখা হয়েছিল বাংলাদেশি প্রবন্ধকার হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন। অথচ, ওই সময়টায় আনন্দবাজারের পূজাবার্ষিকীগুলো হুমায়ূনের উপন্যাস ছাড়া কল্পনাও করা যেতো না- এ ঘটনায় তখন ব্যাপক প্রতিবাদ-সমালোচনা হয়েছিল।

এদিকে, নায়করাজের মৃত্যুতে ব্যক্তিগতভাবে কলকাতার শিল্পীদের কেউ কেউ ফেসবুকে শোক জানিয়েছেন। এদের মধ্যে অন্যতম প্রসেনজিৎ। তিনি রাজ্জাক সম্পর্কে লিখেছেন, “তার সঙ্গে আমি অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। তার আকস্মিক মৃত্যু শুধু সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে শূন্য করে দেয়নি, আমার হৃদয়কেও শূন্য করে দিয়ে গেছে। আমার মন ভেঙে যাচ্ছে তার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে। ওপারে ভালো থাকবেন রাজ্জাক সাহেব।

প্রসঙ্গত:- মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময় নায়করাজ পৌঁছান তাঁর কর্মক্ষেত্র বিএফডিসিতে। ততক্ষণে তেতে উঠেছে রোদ্দুর। আলিফ মেডিকেল সার্ভিসের শীতল গাড়ি নায়ককে নিয়ে গিয়ে থামে এফডিসির প্রশাসনিক ভবনের সামনে। সেখানে প্রস্তুত মঞ্চ, শোকের কালো চাদরে ঢাকা। সেই মঞ্চে নামানো হয়নি নায়ককে। আজ তিনি পা রাখেননি কোথাও। মঞ্চে রাখা হয়েছে ফুল। শীতল গাড়িটি সামনে রেখেই জানাজায় দাঁড়িয়ে পড়েছেন চলচ্চিত্রের স্বজনেরা। অনেকের চোখেই জল।

শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকে দেখা যায় নায়করাজকে জানানো শ্রদ্ধার ফুলগুলো সরিয়ে সরিয়ে রাখছিলেন। জায়গা করে দিচ্ছিলেন অন্য ফুলগুলোর জন্য। সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান সারি বেঁধে নায়করাজকে একপলক দেখার জায়গা করে দিচ্ছিলেন সবাইকে। বড় পর্দার শত-শত মুখ তখন সেখানে, একটি মুখ এক পলক দেখার জন্য উন্মুখ।

এফডিসিতে পড়ানো হয় নায়করাজের জানাজার নামাজ। এই প্রিয় অভিনেতাকে শেষ বারের শ্রদ্ধা জানাতে এফডিসি প্রাঙ্গনে ছুটে আসেন সর্বস্তরের লোকজন। নায়করাজের জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, খ্যাতিমান অভিনেত্রী শাবানা, অভিনেত্রী রজিনা, অভিনেত্রী ববিতা, বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, চিত্র নায়ক শাকিব খানসহ অন্যান্য শিল্পীরা।

এফডিসি থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয় নায়করাজকে। সেখানে নায়কের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ ও বিশিষ্টজনরা।

আওয়ামী লীগের পক্ষে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। বিএনপির পক্ষে আসেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। শহীদ মিনারে সংগঠনগুলোর মধ্যে আসে বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, অভিনয় শিল্পী সংঘ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, এনটিভি, গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ টেলিভিশন, ওয়ার্কার্স পার্টি, দৃষ্টিপাত নাট্য সংসদ, মুক্তধারা সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, বাউল একাডেমি ফাউন্ডেশন, যুব সমিতি, সুবচন নাট্য সংসদ, দনিয়া সাংস্কৃতিক জোট, ডিরেক্টরস গিল্ড, এনটিভি, দেশ টিভি, প্রজন্ম ৭১, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিসহ আরও বেশ কিছু সংগঠন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাট পচানোর আধুনিক ও পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি-এস. এম ওসমান গণি

বাংলাদেশের যেসব অঞ্চলে পাটের প্রচুর চাষ হয়, সেসব অঞ্চলে পাট সংগ্রহের সময় পর্যাপ্ত পানি না থাকলে ভালো মানের পাটের আঁশ পাওয়া সম্ভব হয় না। অবশ্য পচনের জন্য পর্যাপ্ত পানি থাকা অঞ্চলেও যথাযথভাবে পাট না পচানোর ফলে পাটের আঁশের মান ভালো হয় না। সে জন্য চাষিরাও ভালো দাম পান না। পাট সংগ্রহের পর এর পচন প্রক্রিয়া বা জাগ দেয়া তিনভাবে করা যেতে পারে।
১. যে এলাকার পানি বেশ পরিষ্কার এবং হালকা স্রোত আছে এমন জলাশয়ে (যেমনন্ধ বিল বা খালে) পাটগাছ পচানো।
২. রিবন রেটিং পদ্ধতিতে কাঁচা পাটের ছাল ছাড়িয়ে বড় চাড়ি বা পাত্রে পাট পচানো।
৩. মিনি পুকুর বা গর্ত তৈরি করে রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট থেকে ছাড়ানো ছাল পচানো।
প্রথম পদ্ধতিতে পাট পচানোর আগে কাটা পাটগাছ ছোট-চিকন ও বড়-মোটা হিসেবে বাছাই করা দরকার। কারণ চিকন গাছের ছাল পাতলা তাই দ্রুত পচে এবং মোটা গাছের ছাল পুরু তাই দেরিতে পচে। এরপর বাছাই করা গাছগুলোকে ১০ কেজি ওজনের সমান করে আঁটি বাঁধতে হয়। আঁটি কখনোই শক্ত করে বাঁধতে হয় না। তাতে ভেতরের পাটগাছে পানি সহজে ঢুকতে পারে না বলে পচতে সময় বেশি লাগে বা কখনো কখনো পানির সংস্পর্শে আসে না বলে পচেই না। শক্ত করে বাঁধা আঁটির ভেতরে পাট পচনকারী জীবাণু বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যাকটেরিয়া ঢুকতে পারে না। দুই ধরনের আঁটিগুলোকে আলাদা জাগ দিতে হয়। জাগের ওপরে কখনোই মাটি বা কলাগাছজাতীয় কিছু দিয়ে পানির নিচে ডুবানোর ব্যবস্খা করা ঠিক নয়। এতে পাটের আঁশের রঙ নষ্ট হয়।
দ্বিতীয় পদ্ধতিতে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে কাঁচা পাটের ছাল ছাড়িয়ে সেগুলো গোলাকার মোড়া বেঁধে বড় মাটির চাড়ি বা বড় পাত্রে সাজিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে চাড়িটি ভরে দিতে হয়। এ রকম একটি বড় চাড়িতে প্রায় ৩০ কেজি ছাল পচানো যায়।

কম গভীরতাসম্পন্ন ছোট ডোবা বা পুকুর বা খালের পানিতে কাঁচা পাট থেকে ছাড়ানো ছাল গোলাকার করে মোড়া বেঁধে লম্বা বাঁশে ঢুকিয়ে বা ঝুলিয়ে পানিতে ডুবিয়ে দিতে হয়। বাঁশটি ডুবানোর জন্য দু’টি বাঁশের খুঁটি ডোবা, পুকুর বা খালের পানিতে দুই পাশে পুঁতে দিয়ে পাটের ছালের মোড়াসহ লম্বা বাঁশটি পানির নিচে বেঁধে দিতে হয়। এভাবে পচানো পাটের আঁশের মান বেশ ভালো হয়।

তৃতীয় পদ্ধতিতে বাড়ির আশপাশে বা ক্ষেতের পাশে ৫ মিটার লম্বা ও ২ মিটার চওড়া এবং ১ মিটার গভীর গর্ত খুঁড়ে গর্তের নিচ থেকে চার দিকের দেয়াল পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে গর্তটি ভর্তি করে সেখানে কাঁচা পাটগাছ থেকে ছাড়ানো ছাল রেখে দিতে হয়। যদি পাওয়া যায় তাহলে কচুরিপানা দিয়ে ছালের মোড়াগুলো ঢেকে দেয়া যেতে পারে। এ পদ্ধতিকে পলিথিন ট্যাংক পদ্ধতি বলা হয়। পলিথিনের এ গর্তে কিছু পাট পচানো পানি দিলে দ্রুত পচন নিশ্চিত হয়। এ জন্য একটা ছোট হাঁড়িতে দুই থেকে তিনটি পাটগাছ কেটে টুকরো করে বা গাছের ছাল আগেই পচিয়ে নিয়ে পরে ওই পচা পানি ব্যবহার করা যায়।
পাটগাছ প্রথম পদ্ধতিতে পচানোর আগে কিছু কাজ করতে হয়। ক্ষেতে থেকে কাটার পর কাটা পাটগাছ তিন থেকে চার দিন ক্ষেতেই স্তূপ করে রাখলে পাতা ঝরে যায়। পাতাগুলো জমিতে ছড়িয়ে দিলে পচে ভালো সারের কাজ করে। এ সময়ের মধ্যে গাছগুলোও কিছুটা শুকিয়ে যায়। শুকানোর ফলে গাছগুলো পানিতে ডুবানোর সাথে সাথে বেশ পানি শুষে নেয়। এতে পচনপ্রক্রিয়া দ্রুত হয়।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় পদ্ধতিতে পাটগাছ থেকে ছাল ছাড়ানোর জন্য একটা পৌনে দুই মিটার লম্বা বাঁশ নিতে হয়। বাঁশের ওপরের দিকে আড়াআড়িভাবে কাটতে হয়, যাতে কাটা অংশটি দেখতে ‘ইউ’ বা হুকের মতো দেখায়। এরপর প্রয়োজনমতো উচ্চতা রেখে বাঁশের খুঁটির গোড়ার অংশ মাটিতে শক্ত করে পুঁতে দিতে হয়। এভাবে পাশাপাশি তিন থেকে চার ফুট পরপর প্রয়োজনমতো এমন কয়েকটি খুঁটি পোঁতা যেতে পারে। এরপর মাটিতে পোঁতা বাঁশের হুকগুলোর সাথে মাটির সমান্তরালে আরেকটি বাঁশ দিয়ে আড়া বাঁধতে হয়, যাতে জমি থেকে কেটে আনা পাটগাছ দাঁড় করিয়ে রাখা যায়। ওই পাটগাছগুলোর গোড়ার ৮ থেকে ১০ সেন্টিমিটার অংশ একটি শক্ত কাঠের বা বাঁশের গোড়া দিয়ে তৈরী হাতুড়ির সাহায্যে থেঁতলে দিতে হয়।

থেঁতলানো পাটগাছের গোড়ার ছাল হাত দিয়ে দুই ভাগ করে হুকের দুই পাশে ও গাছের গোড়া হুকের ভেতরে ধরে জোরে টান দিলে পাটের ছাল পাটের কাণ্ড বা পাটখড়ি থেকে আলাদা হয়ে যায়। হাতে পাটের ছাল থেকে যায় এবং পাটখড়ি সামনের দিকে চলে যায়। এভাবে তিন থেকে চারটি পাটগাছের ছাল এক সাথে পাটখড়ি থেকে আলাদা করা যায়। পরে ছালগুলো গোল করে মোড়া বেঁধে দ্বিতীয় বা তৃতীয় পদ্ধতিতে পচানো যায়। বর্তমানে বাঁশের বদলে লোহার যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে একই রকমের রিবনার যন্ত্র তৈরি করা হয়েছে।

অনেক সময়ই আঁশ ছাড়ানোর পর দেখা যায়, গোড়ার দিকের কিছু ছাল আলাদা না হয়ে যুক্ত রয়ে গেছে। এই ছালযুক্ত অংশ পরে কেটে বাদ দিতে হয়। সমস্যাটি সহজেই দূর করা যায় নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করলে।
১. পাতা ঝরানোর পর পাটগাছের গোড়ার দিকের প্রায় ৪৫ সেন্টিমিটার তিন থেকে চার দিন পানির নিচে ডুবিয়ে রেখে তার পর জাগ দিতে হয়। এতে গোড়ার অংশ অনেক নরম হয় এবং ছাল ছাড়ানোর সময় গোড়ার আঁশ সহজেই আলাদা হয়।
২. পাটগাছের গোড়ার ৪৫ সেন্টিমিটার একটি কাঠের হাতুড়ির সাহায্যে হালকা করে থেঁতলে নিয়ে আঁটিগুলো পানিতে ডুবিয়ে দিতে হয়। তবে একটা কথা অবশ্যই মনে রাখতে হয়, দু’টি পদ্ধতি কখনোই একসাথে ব্যবহার করা যায় না। যেকোনো একটি পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়। পানিতে জাগ তৈরির সময় প্রথম সারিতে লম্বালম্বিভাবে আঁটিগুলো পাশাপাশি রাখার পর দ্বিতীয় সারিতে আঁটিগুলো আড়াআড়িভাবে রাখতে হয়। তৃতীয় সারিতে আবার প্রথম সারির মতো লম্বালম্বিভাবে রাখতে হয়। ওপর-নিচে তিন থেকে চারটির বেশি সারি করা ঠিক নয়। এভাবে জাগ তৈরি করলে জাগের মধ্যে সহজেই পানি এবং পাট পচনকারী ব্যাকটেরিয়া জীবাণু প্রবেশ ও চলাচল করতে পারে। এতে পাটপচন সহজ হয়।

বদ্ধ জলাশয়ে পাট পচানোর ব্যবস্খা করলে প্রতি ১০০ আঁটির জন্য এক কেজি ইউরিয়া সার ব্যবহার করলে পাট পচন দ্রুত হয়। এতে পাটের আঁশের রঙ ও মান ভালো হয়। ইউরিয়া সার কোনো একটি পাত্রে গুলে নিয়ে পচনপানিতে মিশিয়ে বা সরাসরি জাগের ওপরও ছিটিয়ে দেয়া যেতে পারে। চাড়িতে বা পলিথিন ট্যাংকে পাট পচানোর সময় প্রতি ১০০ মণ বা তিন হাজার ৭৩২ কেজি কাঁচা পাটের ছালের জন্য ০.৫ কেজি ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে হয়।

পাট বেশি পচলে আঁশ বেশ নরম হয়ে যায়, আবার কম পচলে আঁশ গায়ে ছাল লেগে থাকে। তাই এমন সময়ে পাটের পচনপ্রক্রিয়া থামানোর প্রয়োজন হয়, যখন আঁশগুলো একটার সাথে আরেকটা লেগে থাকে না, কিন্তু শক্ত থাকে। জাগ দেয়ার ৮ থেকে ১০ দিন পর থেকেই হাত দিয়ে পরীক্ষা করে দেখা উচিত। দুই থেকে তিনটি পচা পাটগাছ জাগ বা ছালের মোড়া থেকে বের করে ধুয়ে আঁশ পরীক্ষা করে পচনের শেষ সময় ঠিক করা যায় বা বের করা যায়। পচা পাটের মধ্যাংশ থেকে দুই থেকে তিন সেন্টিমিটার পরিমাণ ছাল কেটে ছোট একটি স্বচ্ছ শিশির ভেতরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ঝাঁকিয়ে যদি দেখা যায়, আঁশগুলো বেশ খানিকটা আলাদা হয়ে গেছে তখন বুঝতে হয় পচনপ্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। একটা কথা মনে রাখা খুব প্রয়োজন, বেশি পচনের চেয়ে একটু কম পচনই ভালো। সঠিক সময়ে আঁশ ছাড়ালে কাটিংসের পরিমাণ কম হয়। আঁশ ছাড়ানোর সময় গোড়ার পচা ছাল হাত দিয়ে টেনে ফেলে দিলেও কাটিংসের পরিমাণ কমানো যায়। উন্নত মানের আঁশ পেতে হলে অবশ্যই প্রচলিত পদ্ধতিতে জলাশয়ে গাছসহ জাগ না দিয়ে রিবন রেটিংয়ের মাধ্যমে ছাল ছাড়িয়ে নিয়ে জাগ দিয়ে আঁশ সংগ্রহ করতে হয়।

এস. এম ওসমান গণি: উপ-কৃষি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কোর্টে বাল্যবিবাহের প্রস্তুতিকালে হাতেনাতে ধরা

শহর ডেস্ক : সাতক্ষীরা কোর্টে বাল্যবিবাহ দিতে এসে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের কাছে হাতেনাতে ধরা খেল এক পরিবার।
সরেজমিনে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলার বড় রাজনগর গ্রামের মতিয়ার মোড়ল এর পুত্র সবুজ হোসেন(২৯) এর সাথে যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার বাকড়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের প্রবাসী তৌফার সরদার এর শিশুকন্যা শিমুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী লিজা খাতুন(১৫) কে সাতক্ষীরা কোর্ট এ বাল্যবিবাহ দিতে নিয়ে এসে জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদেও কাছে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এই পরিবার।
জানা যায়, এসময় তারা কোর্ট এফিডেফিটের জন্য ১৫০/= টাকার স্ট্যাম্পে এফিডেফিট সংক্রান্ত লেখা প্রস্তুত করার শেষে হাতেনাতে ধরে ফেলেন জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট শাহনওয়াজ পারভীন মিলি, অ্যাডভোকেট সেলিনা আক্তার শেলী ও সাকিবুর রহমান।
এ সময় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি কোর্ট এফিডেফিটের জন্য প্রস্তুুত স্ট্যাম্পটি জব্দ করেন। এসময় এফিডেফিট সংশ্লিষ্ট মুহুরি বলেন কোর্ট এফিডেফিটের পর পৌর ৮নং ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রার সাইদুজ্জামান বিবাহ রেজিস্ট্রি করাবেন বলে জানান। এ ব্যাপারে বাকড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইসরাঈল জানান, উভয় পরিবারের সাথে গত এক বছর ধরে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে বলে আমি জানি, তবে তাদের বিয়ের ব্যাপারে কিছু জানি না। তাছাড়া তিনি তাদেও ছেড়ে দেওয়ার জন্য জেলা বাল্যবিবাহ কমিটির সদস্যদের নিকট বার বার অনুরোধ করেন এবং বলেন তাদের যেন কোন ক্ষতি না হয়।
এ ব্যাপারে শিমুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিয়ার রহমান বলেন, আমি এই মেয়েকে চিনি এবং তার বয়স ১৫+। এসময় মেয়ের চাচা এবং ছেলের বাবা উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া মেয়ে জন্ম নিবন্ধন কার্ড দেখাতে ব্যর্থ হয় এছাড়া ভূয়া একটি টিকা কার্ড দেখান।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী উক্ত বাল্যবিবাহটি প্রতিরোধ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নজরদারিতে উভয়কে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং প্রস্ততকৃত এফিডেফিটটি জব্দ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest