সর্বশেষ সংবাদ-
অপরিপক্ষ আম খাদ্য হিসাবে গ্রহণে সাতক্ষীরার ডিসি’র সতর্কতাআলীপুর ইউপিতে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা রউফ বিজয়ীআশাশুনির মরিচ্চাপ সেতুর অধিকরনকৃত জমি জবরদখল: অবৈধ স্থাপনা নির্মানের হিড়িকসাতক্ষীরায় ঘরে-বাইরে তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত: বিপাকে নি¤œ আয়ের মানুষকালিগঞ্জে রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ৪শ’ কেজি আম জব্দব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনার ভিডিও করায় সাংবাদিকদের মারপিটের অভিযোগ ডা; ফয়সালের বিরুদ্ধেতাপদাহে রিকশাচালক-পথচারী‌দের‌ মাঝে ড্রিম সাতক্ষীরার পা‌নি ও স্যালাইন বিতরণআন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসাতক্ষীরা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস চত্বরে মরা শিশু গাছে ঝুঁকি বাড়ছেকলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন লাল্টুর গণ সমাবেশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :  মঙ্গলবার ‘জলবায়ু অর্থায়ন ও প্রকল্প বাস্তবায়নে চাই স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং জন অংশগ্রহণ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশণাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর অনুপ্রেরনায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও সাতক্ষীরা জেলায় কর্মরত বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠনের সাথে জলবায়ু বিষয়ক নেটওয়ার্কিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সনাক সাতক্ষীরার জলবায়ু বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক কল্যাণ ব্যানার্জি’র সভাপতিত্বে বক্তারা প্রাণসায়র খাল রক্ষায় গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে পরিকল্পনা গ্রহণসহ অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি পরিকল্পনা গ্রহণের বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেন। প্রাণসায়র খাল রক্ষার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনসহ সাতক্ষীরা পৌরসভা, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদ এর সমন্বয়ে একটি যৌথ পরিকল্পনা প্রণয়ন, জন অংশগ্রহণের অংশ হিসেবে নাগরিক সংলাপ আয়োজন, খালপাড়ের দোকান ও বাসিন্দাদের খালে ময়লা না ফেলতে একটি নোটিশ প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রস্তাব করা হয়। গণ-সচেতনতা বাড়াতে ব্যাপক প্রচারের জন্য মাইকিং, ফেস্টুন, লিফলেট প্রচার করার প্রস্তাব করা হয়। সম্প্রতি জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রাণসায়র খাল রক্ষায় ক্ষুদ্র পরিসওে হলেও যে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে তার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। পাশাপাশি সাতক্ষীরা জেলায় জলবায়ু অর্থায়নে গৃহীত সকল প্রকল্পে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়। সনাকের সভায় স্বদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মাধব দত্ত, ব্র্যাক এর জেলা প্রতিনিধি মো. রেজাউল করিম খান, লাইট হাউজ’র ডিআইসি ম্যানেজার মোহাম্মদ সনজু মিয়া, ওয়ার্ল্ড ভিশন এর প্রকল্প কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, অনন্য স্বদেশ এর নির্বাহী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, বারসিক এর গবেষণা সহকারি আসাদুল ইসলাম, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক আশেক-ই-এলাহী, বরসা’র সহকারি পরিচালক মো. নাজমুল আলম, সুশীলনের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার জি, এম, মনিরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় সনাক সদস্য প্রফেসর আব্দুল হামিদ, ভারতেশ^রী বিশ^াস, মো. অলিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জেলা পরিষদ থেকে শিশুদের জন্য আলাদা বাজেট করা হবে -মো. নজরুল ইসলাম

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় শিশুবান্ধব স্থানীয় সুশাসন প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ও সেবা প্রদানকারীগণের সাথে তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য, শিশু অধিকার, শিশু বান্ধব বাজেট এবং সেবা মনিটরিং শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২১ জুন) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বেকিং দ্য সাইলেন্স’র আয়োজনে ও সেভ দ্য চিলড্রেন’র সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বেকিং দ্য সাইলেন্স’র সাতক্ষীরা অফিস ইনচার্জ মো. শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেন সজল প্রমুখ। আলোচনা সভায় বক্তার বলেন, শিশু বাজেট বাস্তবায়নে এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে বাজেটে শিশুদের অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শিশুদের সহায়তা প্রদানের জন্য আলাদা বাজেট রাখতে হবে। প্রতি তিন মাস পর পর শিশুদের জন্য বরাদ্দকৃত বাজেটের টাকা কিভাবে খরচ করবে এ বিষয়ে শিশুদের মতামত নিতে হবে। এসময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা পরিষদের মতো আগামী দিনে জেলা পরিষদে শিশুদের জন্য আলাদা বাজেট রাখা হবে। সব শিশুর জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো টয়লেট ব্যবস্থা উন্নতকরণ, সুপেয় পানিসহ শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া শিশু অধিকার আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও শিশুশ্রম বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর ফারহা দিবা থান সাথী, অনিমা রাণী ম-ল, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান ঈসরাইল গাজী প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান, সচিব, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পুলিশের এক এএসপিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা!

রাজধানীর রূপনগর এলাকায় বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিরুলিয়া ব্রিজের ৫০০ গজ উত্তরে একটি জঙ্গল থেকে হাইওয়ে পুলিশের এএসপি মিজানুর রহমানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মিজানুর রহমান সাভারে কর্মরত ছিলেন।
মিজানুরের মরদেহ জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন টহল পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মিজানুর রহমানের লাশ উদ্ধার করে রূপনগর থানায় নিয়ে আসে। তিনি সাদা পোশাকে থাকায় প্রথমে তাকে শনাক্ত করা যায়নি।
পরে লাশের সঙ্গে উদ্ধার করা দু’টি মোবাইল থেকে তার স্বজনদের ফোন দিয়ে এএসপি মিজানুর রহমানের পরিচয় জানা যায়।
রূপনগর থানার ওসি সৈয়দ সহিদ আলম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফেসবুকে লাইক পেতে শিশুর সাথে বাবার এ কেমন আচরণ?

আলজেরিয়ার এক বাবা তার বাচ্চা শিশুকে ১৫তলা ভবনের জানালা দিয়ে দুলানোর ছবি তুলেছেন যাতে করে তিনি ফেসবুকে ১ হাজার ‘লাইক’ পান।

গত সোমবার শেয়ার করা সে ছবিতে বাবা ক্যাপশন লিখেন, ‘১০০০ লাইক চাই, তা না হলে তাকে ফেলে দেব কিন্তু!’

বাবা যখন ফেসবুকে হাজার ‘লাইক’র কথা ভাবছিলেন, তখন বাচ্চাটির মুখে ভয় আর বিস্ময়ের অভিব্যক্তি। এই ছবি দেখে অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী বাবার বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন।

তাদের মতে, বেশি ‘লাইক’ পাওয়ার আশায় শিশুটিকে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় ফেলে দেয়া হয়। কোনোভাবে ১৫তলা ওই ভবনটির জানালায় ছবি তোলার সময় হাত ফসকে গেলে শিশুটির নিশ্চিত মৃত্যু হতো।

সাম্প্রতিক সময়ে সেলফি তোলার সময় বা ছবি তোলার সময় প্রাণহানির ঘটনা অহরহই ঘটছে। অনেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিও হালকা জনপ্রিয়তার আশায় এরকম অস্বাভাবিক কাজ করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নিজের মেয়েকে নিয়ে যা বললেন শ্রীদেবী!

জাহ্নবির বিয়ে হলে তিনি বেশি খুশি হতেন। দেশের আর পাঁচটা মায়ের মতো মেয়ের ঘর, সংসার দেখতে চান শ্রীদেবী। আর তাই অভিনয়ের চেয়ে জাহ্নবির বিয়ে দেখতে পেলে, বেশি খুশি হতেন তিনি।

সম্প্রতি করণ জোহরের সিনেমা স্টুডেন্ট অফ দা ইয়ার-এ লঞ্চ করা হবে শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবিকে। বলিউডে ডেবিউ করার জন্য একেবারে তৈরি শ্রীদেবীর মেয়ে।

এ বিষয়ে বলিউডের ‘হওয়া হাওয়াই গার্ল’-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অভিনয় মতেই খারাপ জিনিস নয়। তাঁর পরিচয়ও তৈরি হয়েছে এই বলিউডে। জাহ্নবি অভিনয় করতে চায়, সে তো ভাল। কিন্তু, ওর বিয়ে দেখতে পারলে শ্রীদেবী আরও খুশি হতেন।

তবে, মেয়েরা যাতে খুশি হবে, ভাল থাকবে, সেই কাজে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। জাহ্নবি এবং খুশিকে সব সময় খুশি দেখতে চান বলেও মন্তব্য করেন শ্রীদেবী।

সম্প্রতি সাইফ আলি খানের কন্যা সারা আলি খানও বলিউডে অভিষেক করছেন। ‘কেদারনাথ’ সিনেমার হাত ধরেই বলিউডে অভিষেক হচ্ছে সারার।

যদিও, বাবা হিসেবে সারার ওই সিদ্ধান্তে বেশ চিন্তিত সাইফ। এমনকি, অভিনয় না করে, নিজের কেরিয়ার সারা অন্যভাবে গড়ে তুলতে পারত বলেও মন্তব্য করেন সাইফ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের শতাধিক দোকানে আগুন

সৌদি আরবের রিয়াদে একটি মার্কেটে আগুন লেগে দুইশরও বেশি দোকান পুড়ে গেছে, এগুলোর বেশিরভাগের মালিকানাই বাংলাদেশিদের। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ‘বাথা মার্কেট’ নামে পরিচিত বিপণিবিতানটিতে আগুন লাগে বলে সেখানকার একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী প্রবাসী বাংলাদেশি হাসান তালুকদার জানান।

তিনি জানান, দুই ঘন্টা পর রাত সাড়ে ৮টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা না গেলেও বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে এর সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

আসন্ন রোজার ঈদের পর লন্ডন সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার সফরের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি তবে আগামী জুলাই মাসের মাঝামাঝিতে তিনি লন্ডন সফর করবেন বলে বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

বর্তমানে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। আসন্ন সফরে তার কাছেই উঠবেন খালেদা জিয়া।

জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপার্সনের এবারে লন্ডন সফরের রাজনৈতিক তাৎপর্যও অত্যধিক। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে বিএনপি কোন প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে, আন্দোলন কর্মসূচি কি হবে, নির্বাচন নিয়ে পর্যবেক্ষক মহল ও আন্তর্জাতিক মহলের মনোভাব ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হতে পারে দলের এ দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে। এছাড়া খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।

বিএনপির এক নেতা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে তার চোখে কিছু সমস্যা হচ্ছে। এর আগেও তিনি লন্ডনে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে চিকিৎসার জন্য চেয়ারপারসন লন্ডন যাওয়ার চিন্তাভাবনা করলেও তার এই সফরকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন বিএনপির নেতারা।

প্রসঙ্গত, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায় ১০ বছর ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন। এক-এগারোর সরকারের সময়ে কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। তখন থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। তার সাথে আছেন স্ত্রী জোবায়দা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। দুই মাসের বেশি সময় তখন তিনি লন্ডনে ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি -সংসদে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বেসরকারি খাতকে দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি ধরে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ খাতের উন্নয়নে আর্থিক নীতি নির্ধারণ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গঠনে আমাদের সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বিদেশী বিনিয়োগ আনতে আমরা ব্যাপক কর্মসুচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে আমরা একশত বিশেষ অর্থনৈতিক আঞ্চল গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। যেখানে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ হবে। শিল্প কলখারখানা গড়ে উঠবে এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে টেবিলে উত্থাপিত সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের (চট্টগ্রাম-৪) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে শিল্প বিকাশ ও বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যমান বিনিয়োগ পরিবেশ আরও উন্নত করার লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন, শিল্পে বিভিন্ন পরিসেবা, ভূমির নিশ্চয়তা, প্রতিযোগিতামূলক প্রণোদনা এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রদানসহ বিনিয়োগ বান্ধব আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত মোট ৪টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের চূড়ান্ত লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। এগুলো হল: ১. মেঘনা ইকোনমিক জোন, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ, ২. আবদুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল, গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ, ৩. আমান ইকোনমিক জোন, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ, ৪. বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল, কোনাবাড়ী, গাজীপুর।

এছাড়া ১০টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। এগুলো হল: ১. মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ, ২. এ কে খান বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল, পলাশ, নরসিংদী, ৩. আরিশা বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল, কেরানীগঞ্জ-সাভার, ঢাকা, ৪. ইউনাইটেড আইটি পার্ক সিটি লিঃ, বাড্ডা, ঢাকা, ৫. ইষ্ট-ওয়েষ্ট স্পেশাল ইকোনমিক জোন, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা, ৬.বসুন্ধরা স্পেশাল ইকোনমিক জোন, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা, ৭. সোনারগাঁও ইকোনমিক জোন, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ, ৮. আকিজ ইকোনমিক জোন, ত্রিশাল, ময়মনসিং, ৯. কুমিল্লা ইকোনমিক জোন, মেঘনা, কুমিল্লা, ১০. সিটি ইকোনমিক জোন, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।

সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের মে মাস হতে ২০১৭ পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারের মেয়াদে দেশে মোট ১৩ হাজার ৫৯৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। পুরানো বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিভিন্ন সময়ে অবসরে যাওয়ার কারণে বর্তমানে জাতীয় গ্রীডে ১৩ হাজার ১৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যুৎতের স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ১৫ হাজার ৩৫১ মেগয়াওয়াটে উন্নীত হয়েছে।

বিভিন্ন সরকারের মেয়াদে জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হওয়ার বিদ্যুতের পরিমাণ তুলে ধরেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২-১৯৮১ সালে ২৮৬ মেগাওয়াট, ১৯৮২-১৯৯০ সালে ১ হাজার ৫৮৮ মেগাওয়াট, ১৯৯১ সালের মার্চ-১৯৯৬ সালের মার্চ পর্যন্ত ৫৮৮ মেগাওয়াট, ১৯৯৬ সালের জুন হতে ২০০১ সালের জুলাই পর্যন্ত ১ হাজার ২০৮ মেগাওয়াট, ২০০১ সালের অক্টোবর হতে ২০০৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট, ২০০৬ সালের অক্টোবর হতে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৪৬ মেগাওয়াট এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারী হতে ২০০৭ সালের মে পর্যন্ত ৮ হাজার ৩৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ ও ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে প্রায় ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ পরিকল্পনায় জানুয়ারি ২০১৭ হতে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৬ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে গৃহিত পরিকল্পনার অগ্রগতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমানে সরকারি খাতে ৬ হাজার ৭০৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৬টি এবং বেসরকারি খাতে ৪ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ মোট ১১ হাজার ৩৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহ ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে বলে আশা করা যায়।

তিনি বলেন, সরকারি খাতে ২ হাজার ৭৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮টি এবং বেসরকারি খাতে ২ হাজার ৮৪৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সর্বমোট ৪ হাজার ৯১৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্দেশ্যে দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি খাতে ৬ হাজার ৪১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। আগামী জুলাই ২০১৮ নাগাদ ভারত থেকে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির কার্যক্রম চলছে। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে ২০২৩ সালের মধ্যে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট এবং ২০২৪ সালের মধ্যে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest