সর্বশেষ সংবাদ-
গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়াসাতক্ষীরায় অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের দ্রুত এমপিওর জন্য মতবিনিময় Master Your Game with These Winning Strategies at Kyngs Casinoসাতক্ষীরার চারটি আসনই ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে – হাবিবুল ইসলাম

কলারোয়ায় চেয়ারম্যান রবিউলের নেতৃত্বে জমি দখল ও মারপিটের অভিযোগ

আসাদুজ্জামান : রামদা ও বল্লমের মুখে নারী পুরুষসহ পরিবারের দশজনকে বাড়ির মধ্যে আটকে রেখে মারপিট করে সাতক্ষীরার কলারোয়ার আবদুল খালেকের পৈতৃক জমি দখল করে নিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আর লাইসেন্স করা অস্ত্র উঁচিয়ে এ ঘটনার প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দিয়েছেন কলারোয়ার যুগিখালি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান।
দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার বাকিবিল্লাহ, আলতাফ হোসেন এবং জামায়াত ও শিবির থেকে হঠাৎ আওয়ামী লীগে যোগদানকারী লাঠিয়ালদের নিয়ে বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলে এই দখলী তা-ব। তারা খালেকের জমিতে জোর করে প্রাচীর নির্মান করে। এ সময় আবদুল খালেক ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ির মধ্যে আহত অবস্থায় অবরুদ্ধ হয়েছিলেন।
তবে যুগিখালি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান বলেন, আমি কোনো সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্ব দেইনি। গোলমালের খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। সাথে পুলিশ ছিল। আমাদের সামনে কোনো মারপিটও হয়নি। এ ঘটনা নিয়ে আমরা আগে কয়েকবার সালিশ করেছি। মোকাররম আলি তার পৈতৃক জমিতে প্রাচীর দিচ্ছিলেন’।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কামারালি গ্রামের বাবর আলির ছেলে মোকাররম আলি ও তার ভাই আবদুস সোবহানের ছেলে আবদুল খালেকের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধ শেষ পর্যন্ত দেওয়ানি মামলায় ঠেকেছে। এরই মধ্যে নাশকতার একটি মামলায় কিছুদিন আগে আবদুল খালেক জেলে গেলে সেই সুযোগে চেয়ারম্যান রবিউল হাসানের নির্দেশে প্রতিপক্ষের মোকাররম আলি সেখানে ইটের প্রাচীর তৈরির উদ্যোগ নেয়। আবদুল খালেক বলেন, মঙ্গলবার চেয়ারম্যান কয়েক গ্রামে খবর দিয়ে তার সহযোগী জামায়াত ও শিবির থেকে হঠাৎ আওয়ামী লীগে নাম লেখানো শতাধিক ক্যডার ভাড়া করে আনেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের জড়ো করা হয়। বুধবার ভোরে তারা শুরু করে প্রাচীর নির্মান।
আবদুল খালেক অভিযোগ করে বলেন এতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে রবিউল বাহিনীর সিরাজুল, মাসুদ, আলতাফ , আরশাদ, মোকাররম, বাকিবিল্লাহ, যুবলীগের রেজাউলসহ ৫০ জনের বেশি লাঠিয়াল রামদা, ড্যাগার বল্লম ও ইটপাটকেল নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় চেয়ারম্যান রবিউল হাসান ঘটনাস্থলে বসে থেকে তার লাইসেন্সকৃত অস্ত্র দিয়ে হুমকি প্রদর্শন করেন। তিনি খালেক ও তার সমর্থকদের মাথা ইট দিয়ে থেতলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে ক্যাডাররা খালেকের বাড়ির ভেতর ঢুকে গিয়ে শুরু করে মারপিট ও তান্ডব। এতে গুরুতর আহত হন আবদুল খালেক, আবদুল আলিম, সুজন, আজিজুল, আবু তালেব, আকলিমা খাতুন, রওশনারা খাতুন, মঞ্জুয়ারা বেগম, বিলকিস বেগমসহ অনেকেই। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান বাহিনীর সন্ত্রাসীদের মহড়ার মুখে তারা চিকিৎসা নেওয়ার জন্য কলারোয়া হাসপাতালে যেতে পারেন নি। সকাল থেকে বিকাল অবধি তারা সবাই নিজেদের ঘরে অবরুদ্ধ ছিলেন।
জানতে চাইলে প্রতিপক্ষের মোকাররম আলি বলেন, আবদুল হামিদ তার অংশের দেড় শতক জমি বিক্রি করেছিলেন মোকাররমের বাবা বাবর আলির কাছে। কিন্তু ওই জমি দখল নেওয়া যাচ্ছিল না। তিনি বলেন, আজ চেয়ারম্যান রবিউল হাসান ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ৪০ জন লোক এনে আমার জমি দখল করিয়ে দিয়েছেন। চেয়ারম্যানকে দিতে হয়েছে দুই লাখ টাকা।
তবে চেয়ারম্যান এসব কথা অস্বীকার করলেও দখলে নেতৃত্ব দেওয়া চেয়ারম্যান সহযোগী সোহাগ বলেন, দখল দিতে চেয়ারম্যান মোকাররমের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নিয়েছেন। অথচ আমাদের ৪০ জনের প্রত্যেককে দিয়েছেন ৫০০ টাকা করে। দুপুরে তারা সবাই ঘটনাস্থলে বসে খাবার খেয়ে আবার কাজ শুরু করেন।
জোর করে জমি দখল এবং প্রাচীর তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, বিষযটি মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করেন নি। তিনি বলেন এখানে আওয়ামী লীগের দুই নেতা দুই পক্ষ নিয়ে আমাদের চাপের মধ্যে রেখেছেন। এখন দেখছি শাঁখের করাত। আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে ৮ টি নাশকতার মামলা রয়েছে।
কলারোয়ার সরসকাঠি পুলিশ ক্যাম্প ইন চার্জ উপপরিদর্শক ( এসআই) তারেক বলেন খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। জমি মোকাররমের প্রাপ্য জানিয়ে তিনি বলেন, আমার সামনে কোনো সন্ত্রাসী কাজ করে নি কেউ।
আবদুল খালেক সাংবাদিকদের জানান, তিনি তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আতংকের মধ্যে রয়েছেন। চেয়ারম্যান পুরো ঘটনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার বাহিনী নিয়ে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় ২দিন ব্যাপী তথ্য মেলার উদ্বোধন

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় ২দিন ব্যাপি তথ্য মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সাতক্ষীরা’র যৌথ আয়োজনে এ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। আলোচনা সভায় সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সাতক্ষীরা’র সভাপতি ও সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার একি মিত্র চাকমা, সনাক সদস্য প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. দিলারা বেগম, সাবেক ফিফা রেফারী তৈয়েব হাসান বাবু প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন টিআইবি’র সাতক্ষীরা এরিয়া ম্যানেজার আবুল ফজল মো. আহাদ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে বিদ্যালয়ের হলরুমে নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আমিনুর রহমান উল্লাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মহিউদ্দিন। এসময় তিনি বলেন, ‘মেয়েরা হচ্ছে মায়ের জাত। একটি নারী শিক্ষিত হলে একটি পরিবার শিক্ষত হয়। তাই নারীদেরকে যুগপোযোগি শিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে। একজন শিশুর প্রথম শিক্ষক হিসেবে শিক্ষা দেয় তার মা। তিনি আরো বলেন, নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এস.এস.সি, জে.এস.সি ও পি.এস.সিতে সদর উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ফলাফলে প্রথম হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান এবং ভাল ফলাফল অব্যাহত রাখতে শিক্ষকদের আরো মনোযোগি হওয়ার আহবান জানান।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার একি মিত্র চাকমা। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. সেলিমুল ইসলাম, শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম, আফসারুজ্জামান বাবু, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য রহমত সরদার, শিক্ষক তৈবুর রহমান, জাহিদ হাসান, সিরাজুল ইসলাম, শামীম পারভেজ, নওরোজ, কবির আহম্মেদ, দেবব্রত কুমার, রাবেয়া খাতুন, শাহীনা পারভীন, লিপিকা রাণী, সাবিনা শারমিন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নাজমুল লায়লা বিথি ও ফারুক হোসেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আক্তারুজ্জামান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
দুধের সাথে ডিম খেলে কী হয়?

দুধ
দুধ থেকে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন পাওয়া যায়। ল্যাকটোজে (দুধের একটি উপাদান) অস্বস্তি না থাকলে দুধ পানে কোনো অসুবিধা নেই।

ডিম
ডিমকে বলা হয়, ‘পাওয়ার হাউস অব নিউট্রিশন’। অর্থাৎ পুষ্টির শক্তির ঘর। প্রাণিজ প্রোটিনের মধ্যে ডিম হলো আদর্শ প্রোটিন। এখানে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি শরীরের অনেক উপকারে আসে। ডিম শুধু আদর্শ প্রোটিনই নয়, বরং অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে এতে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। এটি হৃদরোগের বিরুদ্ধে অনেক কার্যকরী।

দুধের পর ডিম খাওয়া নিয়ে সমাজে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক প্রবাদ চালু রয়েছে। অনেকেই বলে থাকেন দুধের পর নাকি মাংস বা ডিম জাতীয় প্রোটিন খাওয়া ভালো নয়। এতে নাকি শরীর খারাপ হতে পারে।

তবে গবেষকরা বলছেন, দুধের পরে বা সঙ্গে ডিম খাওয়া মোটেই খারাপ নয়। বরং ডিমের প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাট এবং দুধের প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম একসঙ্গে খাওয়া হলে শরীরের পক্ষে উপকার অনেক বেশি। তবে কাঁচা দুধ বা কাঁচা ডিম খেলে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, এতে ফুড পয়েজিনের সম্ভাবনা থাকে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘আপনার লজ্জা পাওয়ার কথা, রাষ্ট্র কী করে?’ -অ্যাটর্নি জেনারেলকে প্রধান বিচারপতি

আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে বিচারিক আদালতে শুনানির দিন হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। মামলার তারিখে আদালতে রানাকে হাজির করা হয় না জানিয়ে এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে করা অ্যাটর্নি জেনারেলের আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বিষয়টি আদালতের নজরে আনার পর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এতে তো আপনারই লজ্জা পাওয়ার কথা। রাষ্ট্র কী করে?’

আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ তিন সদস্যের আপিল বিভাগ বিভাগের বেঞ্চ জামিন বিষয়ে আপিল আদালতের দেয়া আদেশ সংশোধন চেয়ে এমপি রানার করা এক আবেদনের শুনানিকালে এ মন্তব্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রানার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমি শুনেছি, আদালতে ধার্য তারিখে তাকে (রানা) আনা হয় না।’

এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এতে তো আপনারই লজ্জা পাওয়ার কথা। রাষ্ট্র কী করে?

এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল রানাকে আদালতে ধার্য তারিখে আদালতে হাজিরের নির্দেশনা চান। আদালত আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করে ধার্য তারিখে রানাকে বিচারিক আদালতে হাজিরের আদেশ দেন।

গত ৮ মে এই মামলায় রানার জামিন চার মাসের জন্য স্থগিত করে আপিল বিভাগ। পাশাপাশি এ সময় পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখা হয়।

আওয়ামী লীগের আগের আমলে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জিতে যান রানা। পরে তাকে দলে নেয় আওয়ামী লীগ। আর ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তবে খুনের মামলায় নাম আসার পর গত ১৬ জানুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

গত ১৩ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় রানার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয় হাইকোর্ট। এ সময় কেন আমানুর রহমান খানকে জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন বিচারক।

জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদ হত্যাকাণ্ডের মামলায় ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে আত্মসমার্পণ করে জামিন আবেদন করেন রানা। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া তার জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে শহরের কলেজপাড়া এলাকার নিজ বাসার কাছ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাসহ ১৪ জনকে আসামি করে গত ৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গত ৬ এপ্রিল আসামিদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেন আদালত। টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক আমিনুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন রানার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান মুক্তি, জেলার সাবেক ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আনিসুল ইসলাম রাজা, কবির হোসেন, সাবেক কমিশনার মাসুদ মিয়া, চান, নুরু, সানোয়ার হোসেন, দাঁতভাঙা বাবু, ফরিদ হোসেন, আবদুল হক ও সমির হোসেন। আসামিদের মধ্যে আনিসুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী ও সমির হোসেন আগেই গ্রেপ্তার হয়ে টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন। আসামি ফরিদ হোসেন কিছুদিন আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। আর আসামি আবদুল হক পলাতক অবস্থায় কয়েক মাস আগে দুষ্কৃতকারীদের হাতে নিহত হন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
চিরনিদ্রায় শায়িত নায়করাজ রাজ্জাক

ক্যামেরার সামনে আর দাড়াবেন না বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক। করবেন না অভিনয়। রাজ্জাক ভক্তরা আর নতুন করে দেখবেন না তাদের প্রিয় অভিনেতার মুখ। চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা চলচ্চিত্রের দিকপাল, মুকুটহীন সম্রাট নায়করাজ রাজ্জাক।

বুধবার সকাল সোয়া ১০টা ২০ মিনিটে বনানী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজ্জাক।

সেখান থেকে মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ শেষবারের মতো নিয়ে যাওয়া হয় গুলশানের বাসভবন ‘লক্ষ্মীকুঞ্জ’-তে।

মরদেহ সেখানে পৌঁছতেই স্বজনদের কান্না-আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে আশপাশ। সেখান থেকে বেলা ১১টায় মরদেহ নিয়ে আসা হয় তার প্রিয় কর্মস্থল এফডিসিতে।

শেষবারের মতো নায়করাজের এফডিসিতে আগমনে শোকার্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আগত শিল্পী-কলা-কুশলীরা ক্ষণে ক্ষণে কেঁদে ওঠেন।

এফডিসি থেকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয় রাজ্জাকের মরদেহ। তার অনেক আগেই সেখানে আসতে শুরু করেন রাজ্জাকের ভক্ত-অনুরাগীরা। হাজার হাজার মানুষ ফুল হাতে অপেক্ষা করতে থাকেন তাদের প্রিয় অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।

সেখানে শ্রদ্ধা জানানো শেষে গুলশানের আজাদ মসজিদে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে আবারও তার লাশ রাখা হয় হাসপাতালের হিমঘরে। তার মেঝ ছেলে বাপ্পির জন্য অপেক্ষা করা হয়।

বুধবার তার ছেলে কানাডা থেকে দেশে ফেরার পর বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বনানী কবরস্থানে রাজ্জাকের দাফন সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, রাজ্জাক পশ্চিমবঙ্গের (বর্তমান ভারতের) কলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় স্বরসতী পূজা চলাকালীন সময়ে মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তার গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁকে বেছে নেন নায়ক অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা নাটক বিদ্রোহীতে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়ক রাজের অভিনয়ে সম্পৃক্ততা।

তিনি ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান। প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে “ঘরোয়া” নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের তেরো নাম্বার ফেকু ওস্তাগড় লেন চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক।

পরবর্তীতে কার বউ, ডাক বাবু, আখেরী স্টেশন-সহ আরও বেশ ক’টি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করে ফেলেন। পরে বেহুলা চলচ্চিত্রে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে উপস্থিত হন সদর্পে। তিনি প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র।

১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সাথেই ঢালিউডে সেরা নায়ক হয়ে অভিনয় করেন রাজ্জাক। এর মধ্য দিয়েই তিনি অর্জন করেন নায়করাজ রাজ্জাক খেতাব। অর্জন করেন একাধিক সম্মাননা। এছাড়াও, রাজ্জাক জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তিন খানের সেরা কে?

বলিউডে গত আড়াই দশক ধরেই চলছে খানদের রাজত্ব। বক্স-অফিস কখনো দখলে থাকছে শাহরুখ খানের, কখনো বা সালমান খানের। আবার কখনো বিগত সব রেকর্ড দুমড়েমুচড়ে নতুন রেকর্ডের মালিক হচ্ছেন আমির খান। তাই বলিউডের নায়কদের ঘোড়দৌড়ে এগিয়ে আছেন এই তিন ঘোড়া। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয়, এই তিনজনের মধ্যে সেরা কে? তাহলে এই তিন নায়কের বিশাল ভক্তদের মধ্যে লেগে যায় তর্কযুদ্ধ।

কিন্তু তর্কে কি আর সমাধান হয়। কারণ, অভিনয় দক্ষতা বা স্টাইলে কেউ কারো থেকে পিছিয়ে নন। কিন্তু এক জায়গায় এসে তিনজনের মধ্যেই তৈরি হয় ব্যবধান। সেটি হলো বক্স-অফিসের আয়। বলিউড লাইফ ডটকমের সৌজন্যে আমরা উপস্থাপন করছি এই তিন তারকার সেরা ছবিগুলোর আয়ের পরিসংখ্যান। তিন খানের সেরা কে, তার বিচার করবেন আপনারাই।

সেই নব্বইয়ের দশক থেকে বলিউডে আমাদের একের পর এক হিট ছবি দিয়ে চলেছেন তিন খান। তখনো বিতর্ক ছিল তিন খানের মধ্যে সেরা কোন খান। সেই বিতর্ক নতুনভাবে হালে পানি পায়, যখন ২০০৭ সালে শাহরুখ খানের ‘ওম শান্তি ওম’ আয় করে ৭৮ কোটি রুপি। সে বছর সর্বোচ্চ আয়ের তালিকায় ‘ওম শান্তি ওম’ প্রথম স্থান দখল করে। পরের বছর শাহরুখ ‘রাবনে বানাদি জোড়ি’ নিয়ে দর্শকের সামনে এলেও ‘গজনি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সে রেকর্ড ভেঙে ১০০ কোটি রুপির নতুন এক ক্লাব খুলে বসেন আমির। বলা বাহুল্য, সর্বোচ্চ আয়ের তালিকায় ‘গজনি’ সে বছর প্রথম স্থান দখল করে। শুরু হয়ে যায় এক নতুন যুদ্ধ। যুদ্ধের নাম, বক্স-অফিসের আয়ে সেরা কোন খান।

১০০ কোটির ক্লাবে হয়তো সুখ পাচ্ছিলেন না আমির। তাই ২০০৯ সালে ‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবির মাধ্যমে ২০০ কোটি রুপির নতুন এক ক্লাব খোলেন আমির। ভারতে প্রথম কোনো ছবির আয় ২০০ কোটি ছাড়ায়। বিপুল জনপ্রিয়তা পাওয়া ছবিটির আয় থামে ২০২ কোটি রুপিতে এসে। খানদের যুদ্ধে এবার যোগ দেন সালমান খান। তাঁর অভিনীত ‘দাবাং’-এর আয় ছাড়ায় ১০০ কোটি রুপি।

‘দাবাং’ দিয়ে প্রবেশ করে ‘বডিগার্ড’ ও ‘এক থা টাইগার’ ছবির মাধ্যমে প্রায় দুই বছরের জন্য বক্স-অফিসটাকে নিজের দখলে নেন সালমান খান। এর মাঝে আমির খানের ‘তালাশ’ ও ‘ধোবি ঘাট’ মুক্তি পেলেও ধোপে টিকেনি একটিও। ‘রা ওয়ান’ ও ‘ডন-২ : দ্য কিং ইজ ব্যাক’-এর মাধ্যমে ১০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেন শাহরুখ খান।

এর মধ্যে অনেক ছবি ১০০ কোটি স্পর্শ করলেও আমির খানের ২০০ কোটির রেকর্ড ভাঙতে পারছিলেন না কেউ। ২০১৩ সালে সবচেয়ে বড় আঘাত হানেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ দিয়ে তিনি ছাড়িয়ে যান আমির খানের ‘থ্রি ইডিয়টস’কে। ‘থ্রি ইডিয়টসে’র রেকর্ড ভেঙে যাওয়াটা হয়তো পছন্দ হয়নি আমিরের। তাই ২০১৩ সালে ‘ধুম-৩’ দিয়ে ‘চেন্নাই এক্সপ্রেসে’র রেকর্ড ভাঙেন আমির।

শুধু ‘চেন্নাই এক্সপ্রেসে’র রেকর্ড ভেঙেই ক্ষান্ত হননি আমির, পরের বছর ‘পিকে’ ছবি দিয়ে ৩০০ কোটি রুপির নতুন ক্লাব খোলেন আমির। পরের বছর ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ দিয়ে আমিরের ৩০০ কোটির ক্লাবে যোগ দেন সালমান খান, কিন্তু ব্যর্থ হন ‘পিকে’র রেকর্ড ভাঙতে। অবশেষে ২০১৬ সালে নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙেন আমির। ‘দঙ্গল’ ছবিটি দিয়ে প্রায় পৌনে ৪০০ কোটি রুপির ব্যবসা করেন তিনি।

এ বছর এখনো খানদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন শাহরুখ খান। তাঁর অভিনীত ‘রইস’-এর আয় তিনি নিজেও ছাড়াতে পারেননি। মুখ থুবড়ে পড়েছে তাঁর ‘যাব হ্যারি মেট সেজাল’। আর ১০০ কোটি রুপি আয় করলেও বক্স-অফিস আলোকিত করতে পারেনি সালমানের ‘টিউবলাইট’। তবে দিওয়ালিতে আমিরের ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ এবং বছরের শেষে সালমানের ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ বদলে দিতে পারে সমীকরণ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মালদ্বীপের পার্লামেন্ট বন্ধ করে দিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী

মালদ্বীপের পার্লামেন্ট ভবন বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী। দেশটির বিরোধীদলের অভিযোগ, পার্লামেন্টের সদস্যরা প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের সরকারের নির্বাচিত স্পিকারকে অভিশংসন করতে উদ্যোগ নিলে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা এসে আইনপ্রণেতাদের সরিয়ে নেয় এবং পরে পার্লামেন্ট ভবন বন্ধ করে দেয়।

দেশটির বিরোধী দল মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা যায়, সেনানিয়ন্ত্রিত রায়ট বাহিনী ও বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এসে পার্লামেন্টের সদস্যদের বের করে দিচ্ছে। এরপর এমডিপির অফিশিয়াল ফেসবুকে পেজে প্রকাশিত আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় পার্লামেন্ট সদস্যরা আবার ফিরে এসে ভবনের সামনে রায়ট পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন। পার্লামেন্ট সদস্যদের অভিযোগ তাঁরা পুনরায় ফিরে এসে ভবনে প্রবেশ করতে চাইলে রায়ট পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় এবং লাঠিপেটা করে।

আজ মঙ্গলবার সকালের এই সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন রাজনীতিবিদ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এমডিপি। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।

আজ মঙ্গলবার সকালে পার্লামেন্ট ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সদস্যরা স্পিকার আবদুল্লা মাসেহকে ইমিপিচের প্রক্রিয়া শুরুর প্রস্তাব তোলেন। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেই স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ অগ্রাহ্য করার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে গতকাল সোমবার বিরোধীদলের আইনপ্রণেতারা তাঁর বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব এনেছিলেন।

এদিকে এমডিপির এক পার্লামেন্ট সদস্য বিবিসিকে জানান, মঙ্গলবার সকালে স্পিকার মাসেহ সংসদ অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণ পর আবার তা বন্ধ করে দেন যেন সদস্যরা অভিশংসন প্রস্তাবে অনাস্থা ভোট দিতে না পারেন।

এর পরই সাদা পোশাকের নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মকর্তারা এসে রাজনীতিবিদদের পার্লামেন্ট থেকে বের করে দেন। এরপর রায়ট পুলিশ এসে পার্লামেন্ট কমপ্লেক্সের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

বিবিসি জানিয়েছে ২০০৮ সালে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর সেনানিয়ন্ত্রিণ নিরাপত্তাবাহিনী নানাভাবে হস্তক্ষেপ করেছে। গত মাসেও দেশটির বিশেষ বাহিনীর সাদা পোশাকের কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের বিরুদ্ধে আনা একটি অনাস্থা প্রস্তাব রুখে দিয়েছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest