সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশদিনে ভোট, রাতে নয় আমার ভোট আমি দেব : আফরোজা আব্বাস অন্যায় কাজে কাউকে প্ররোচিত করবো না, উন্নয়নই হবে মূল লক্ষ্য : সাবেক এমপি হাবিবশোভনালীতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন ডেস্ক উদ্বোধনআশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনজবাবদিহিতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে গোলটেবিল সভাতালায় টিআরএম কার্যক্রমের বকেয়া ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলনপুজামণ্ডপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে ব্যবস্থা: সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারজলবায়ু পরিবর্তনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে শ্যামনগরে এনগেজ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা

মুমিনুলের বাদ পড়া নিয়ে হাজারো প্রশ্ন?

২০১৩ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া মুমিনুল হক এই প্রথমবারের মতো দল থেকে বাদ পড়লেন। আর তার বাদ পড়ার বিষয়টি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ক্রিকেট ভক্তরা।
অবশ্য না মেনে নেওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে ভক্তদের। কারণ এই লিটল মাস্টারের ব্যাট থেকে ক্যারিয়ারের ২২ টেস্টে গড় রান এসেছে ৪৬.৮৮ করে। এসেছে ১১টি হাফ সেঞ্চুরি ও ৪টি সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারের শুরুতে কেউ কেউ তাকে ডন ব্র্যাডম্যানের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন। আর এই মুমিনুলই বাদ পড়লেন পারফরম্যান্সের অজুহাতে!

‘সৌম্য সরকার কোনো যুক্তিতে মুমিনুল হক কিংবা মাহমুদুল্লাহর চেয়ে টেস্টে ভালো ব্যাটসম্যান কেউ কী বুঝাতে পারবেন?’ ফেসবুকে এভাবেই মন্তব্য প্রকাশ করছেন নয়ন নামের এক ক্রিকেট প্রেমী।

মেহেদি হাসান নামে একজন স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘আমাদের ডন ব্র্যাডম্যান মমিনুল হক। টেস্টে এই লিটল মাস্টারের ব্যাটিং গড় ছিলো প্রায় ৬৩। আর তাকেই স্কোয়াডে রাখলেন না নির্বাচকরা। ‘

ইশতিয়াক নামের একজন লিখেছেন,’মুমিনুল হক এর মতন খেলোয়াড় ১৪ জনের স্কোয়াডেই নেই… ভাবতে খুব খারাপ লাগতেছে যে এখন বাংলাদেশের সবচে বেশি গড় কিন্তু তার। ‘

এরকম হাজারো সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সবই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের স্কোয়াড থেকে মুমিনুল ও মাহমুদউল্লাহর বাদ পড়া নিয়ে।

এদিকে, টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুল হকের বাদ পড়ায় দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। ক্রিকেটপ্রেমীদের পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের কাছেও মুমিনুলের বাদ পড়া ছিল প্রধান একটি প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের জবাব দিতে সংবাদ সম্মেলনে হিমশিম খেত হল প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিনকে। বলা বাহুল্য যে, নির্বাচক হিসেবে প্রথমবার এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়লেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।

মুমিনুল বাদ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক বলেন, পারফর্মেন্সের জন্যই বাদ পড়েছেন মুমিনুল। তার ভাষায়, ‘মুমিনুলের সামগ্রিক যে ফর্ম, আমাদের কাছে যে পরিসংখ্যান আছে… জানুয়ারি থেকে শ্রীলঙ্কা সিরিজ পর্যন্ত, ছয় ইনিংসে ওর একটি মাত্র ফিফটি। এ পারফরম্যান্সের জন্যই ওকে রাখা হয়নি। তারপরও আমাদের পরিকল্পনায় আছে, প্রস্তুতির মধ্যেই আছে। যখন-যাকে দরকার, তখন ব্যবহার করা হবে। ‘

এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের বাদ পড়ার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সেই প্রশ্নও ওঠে সংবাদ সম্মেলনে। কিন্তু মিনহাজুল আবেদিন তা সরাসরি নাকচ করে দেন।

তিনি বলেন, একমাত্র কারণ হলো পারফর্মেন্স। কিন্তু ঘরের মাঠে ইংল্যন্ডের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ইনিংস ছিল মুমিনুলের। আর অজিরাও খেলতে এসেছে বাংলাদেশেই। এটা মনে করিয়ে দিতেই প্রধান নির্বাচক বললেন, ‘সেটা এক বছর আগে, এরপর আমরা বেশ কিছু টেস্ট খেলেছি। সামগ্রিক পারফরম্যান্স বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘
এমন সময় প্রশ্ন আসে, মুমিনুলকে বাদ দেওয়া আসলে কার সিদ্ধান্ত? নির্বাচকমন্ডলী নাকি টিম ম্যানেজম্যান্টের? এই প্রশ্নটির উত্তর বেশ সাবধানেই দিলেন তিনি। বললেন, ‘আমাদের প্রধান কোচ কিন্তু নির্বাচক প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত। টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলেই পারবে না। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘

প্রশ্নোত্তর পর্বের এক পর্যায়ে কিছুটা রেগে গিয়ে মিনহাজুল আবেদিন বলেন, আপনারা মুমিনুলকে নিয়ে যদি এভাবে জিজ্ঞেস করেন, তাহলে কিন্তু উত্তর দিতে পারব না। কারণ অনেক কিছু আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একজনকে নিয়ে এভাবে জিজ্ঞেস করতে পারেন না।

এক পর্যায়ে তাকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় ১৯৯৯ বিশ্বকাপের কথা। ওই বিশ্বকাপের দল থেকে প্রথমে বাদ পড়েছিলেন তখনকার জাতীয় দলের ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদিন। শেষ পর্যন্ত জনতার দাবি আর সংবাদমাধ্যমের চাপে তাকে বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। সেই ঘটনা যদি সমালোচনার জন্ম দিয়ে থাকে তাহলে আজ মুমিনুলের বাদ পড়া সমালোচনার জন্ম দেবেনা কেন?

মিনহাজুল সরাসরি প্রশ্নটির কোনো উত্তর না দিয়ে অনেকটা অধৈর্য্য হয়ে বললেন, এভাবে আমাকে বললে সেটা ঠিক হবে না। আমাদের প্রধান কোচ এখানে আছেন, উনাকেও ব্যাপারটি জিজ্ঞেস করতে পারেন।

কিন্তু সাংবাদিকদের তোপ থামল না। সর্বশেষ দুই টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি মুমিনুল। কিন্তু তার আগের ১১ টেস্টে টানা পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস আছে তার। যেটা একটা রেকর্ডও বটে। এছাড়া তার জায়গায় যে দুজনকে ভাবা হচ্ছে, সোম্য আর সাব্বির, তারাও তো দীর্ঘদিন ফর্মহীনতায় ভুগছিলেন। তাদের ফর্মে ফেরানোর জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাহলে মাত্র দুটি ম্যাচের জন্য বাদ পড়বেন মুমিনুল?

জবাবে আবারও পরিসংখ্যানের আশ্রয় নিলেন প্রধান নির্বাচক। বললেন, ‘মুমিনুলের প্রসঙ্গে আপনারা ওর পরিসংখ্যানের দিকে যাচ্ছেন না। গত এক বছরে ওর গড় ২৮-এ নেমে এসেছে। ও যেভাবে ওর ক্যারিয়ার শুরু করেছিল, সেই মাত্রায় কিন্তু নেই। একজন ক্রিকেটারকে নিয়ে এরকম আলোচনা আসলে ঠিক নয়। ওকে নিয়ে কিন্তু আমাদের সামনে অনেক চিন্তা ভাবনা আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ওকে যেন নিতে পারি সেজন্য আলোচনা করছি। এমন নয় যে ওর ক্যারিয়ার আমরা এখানেই শেষ করে দিচ্ছি। ‘

শেষের দিকে মিনহাজুল আরও বললেন, তারা মুমিনুলের ফর্ম ফিরিয়ে আনতে খুব চেষ্টা করছেন। দেশের মাটিতে মুমিনুল দুর্দান্ত খেলেছে সেটাও মেনে নিলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, মুমিনুলকে কিন্তু মোরালি আমরা সব সময় সাপোর্ট করেছি। আমি, হাবিবুল বাশার সুমন সব সময় ওকে সাপোর্ট করি, আলোচনা করি। ওর ব্যাটিং দেখি। যথেষ্ট আলোচনা করি। শ্রীলঙ্কা থেকে ওকে ফিরিয়ে আনি ওকে আমরা ইমার্জিং কাপে খেলার সুযোগ তৈরি করে দেই। বিকল্প হিসেবে সবসময় ওকে চিন্তা ভাবনা করেছি। সামনে দেখবেন আমরা ওকে নিয়ে কী করি। হয়ত পরের সিরিজেই ওকে দেখতে পারেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এবার গরুর উপর নিষ্ঠুরতার অভিযোগে বিজেপি নেতা গ্রেফতার!

গরুর উপর নিষ্ঠুরতার অভিযোগ এনে ভারতে বন্ধ করা হয়েছে গরু জবাই। এমনকি এর জন্য ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও কট্টরপন্থী হিন্দু মৌলবাদী সংগঠনের তথাকথিত গো-রক্ষক বাহিনীর হাতে বহু নিরপরাধ মানুষ হতাহত হয়েছেন।
সামান্য অজুহাতে মুসলিম এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে তারা।

কিন্তু এবার ছত্তিশগড় রাজ্যের খোদ এক বিজেপি নেতাকেই পুলিশ গরুর উপর নিষ্ঠুরতার দায়ে গ্রেফতার করেছে। খবর বিবিসির

হরিশ ভার্মা নামের ওই নেতা একদিকে যেমন একটি পৌর এলাকার সহ-সভাপতি, তেমনই সরকারি অনুদান নিয়ে গোশালাও চালাতেন। সরকারি অনুদানের টাকার সম্পূর্ণ সদ্বব্যহারও তিনি করেননি বলেও অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশের কাছে।

ছত্তিশগড়ের পুলিশ বলছে, রাজ্য গো সেবা কমিশনই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল যে -ভার্মা দুর্গ জেলায় যে গোশালাটি পরিচালনা করেন সেখানে গত কয়েকদিনে অন্তত ত্রিশটি গরু মারা গেছে।

সেই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পরেই পশু নির্যাতন রোধ আইন, গবাদি পশু রক্ষা আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারা অনুযায়ী হরিশ ভার্মাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

গো হত্যার অভিযোগ ছাড়াও ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে গো সেবা কমিশন এটাও বলেছে, গোশালায় থাকা প্রায় ৫০০ গরু দেখভালের জন্য যে সরকারি অনুদান দেয়া হয়েছিল ভার্মাকে, সে অর্থও নয়ছয় করেছেন তিনি।

ভারতে এখন প্রায় ২৫ হাজার গোশালা রয়েছে, যার একটা খুব ছোট অংশই সরকারি অনুদান পায়। বাকি প্রায় ৯৫ ভাগ গোশালা হয় বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বা স্থানীয় কৃষকরা পরিচালনা করেন।

এগুলিতে যেমন নানা ধরণের গরু প্রজনন ও বিক্রির ব্যবস্থা থাকে, তেমনই বয়স হয়ে যাওয়া যেসব গরুকে পালন করতে অপারগ হন কৃষকরা- সেগুলো ওই গোশালাগুলিতে রেখে আসা হয়।

ভারতীয় গোরক্ষা দলের প্রধান পওয়ন পন্ডিত বলছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে গত তিন চার বছরে প্রায় ৫ হাজার নতুন গোশালা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে।

তবে ছত্তিশগড়ের গোশালায় গরু-মৃত্যু নিয়ে পন্ডিত বলছেন- দেশের হাজার হাজার গোশালার মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটিতেই এরকম ঘটনা ঘটলেও এটা ব্যতিক্রম সার্বিক চিত্র নয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রধান বিচারপতিও রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পেয়েছিলেন : খাদ্যমন্ত্রী

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ১৯৯৯ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম।

বিচারপতিদের রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া উচিত নয়, প্রধান বিচারপতির দেওয়া এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (প্রধান বিচারপতি) যে কথাগুলো বলছেন, বিশেষ করে বিচার বিভাগে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে আইন হওয়া উচিত, এই হওয়া উচিত, সেই হওয়া উচিত, ইমপারশিয়াল হওয়া উচিত, রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ না হওয়া উচিত। তিনিও কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় ১৯৯৯ সালে নিয়োগ পেয়েছিলেন।’

‘তিনি রাজাকার না বলেই, বা মুক্তিযুদ্ধে বিরোধী শক্তির প্রতিনিধিত্ব করেন না বলেই কিন্তু আমরা বিচারপতি নিয়োগ করেছিলাম এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছিলাম।’

কামরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘এই পাঁচ মাস, সাত মাস তিনি আরো প্রধান বিচারপতি হিসেবে আসীন আছেন, তিনি একটি গ্রুপের ১/১১-এর কুশীলবদের ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করছেন, এটা বহুল প্রচলিত। আজকের বাজারে এ কথাটা আছে এবং এ কথাটা যদি সত্যি হয়, তাহলে তাঁর কাছ থেকে আরো বড় আঘাত সামনে আসতে পারে।’

সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, ‘জানি না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শ করে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু একটা বিহিত, ব্যবস্থা করা উচিত।’

শনিবারের আলোচনা সভায় সাবেক বিচারপতি বর্তমানে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হক বলেন, ‘যে জজ সাহেব অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে, যদি এটা অনুরাগ বা বিরাগ বলে মনে করেন আপনারা, যে কথাগুলো আমি বললাম যে, পার্লামেন্ট ইজ ইমম্যাচিওর, ডেমোক্রেসি ইজ ইমম্যাচিওর, পার্লামেন্ট আমাদের ডাইরেকশন শোনেনি… এ কথাগুলো যদি অনুরাগ-বিরাগের মধ্যে চলে আসে, তাহলে সেই জজ সাহেবের পজিশনটাই বা কী হবে। তিনি কি আর ওর্থ বাউন্ড থাকছেন কি না। সেটাও আপনারা বিচার বিবেচনা করে দেখুন।’

সাবেক এই বিচারপতি আরো বলেন, প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতিরা রাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কিছু করবেন না বলে যে শপথ গ্রহণ করে থাকেন, সেই শপথ ভঙ্গ করলে তারা ওই পদে আর বহাল থাকতে পারেন না। ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের মধ্য নিয়ে সে রকমই একটি পরিস্থিতি প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতির বেলায় হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ভারতে ট্রেনের বগির উপরে বগি, নিহত ২৩

ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলায় যাত্রীবাহী একটি ট্রেনের বগি উল্টে অন্তত ২৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে আরো অন্তত ৪০ জন। ১৪টি বগি উল্টে অপর বগির উপর উঠে যাওয়ায় ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে সংবাদসংস্থা এএনআই।

শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে রাজ্যের মুজাফফরনগর জেলায় এ দুর্ঘট্না ঘটে। হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, উত্তরপ্রদেশের পুরী-হরিদ্বার-কলিঙ্গগামী উৎকল এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেনের ১৪টি বগি উল্টে গেছে। মুজাফফরনগরের খাওতলি স্টেশনে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এক বিবৃতিতে প্রথমে ট্রেনের বগি উল্টে ২৩ জন নিহত ও ৪০০ জনের আহতের তথ্য জানায়। পরে টাইপিংয়ের ভূলেই আহত ৪০ জনের স্থলে ৪০০ লেখা হয়েছে বলে দু:খ প্রকাশ করে সংশোধনী দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

ট্রেন লাইনচ্যুতে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুর্ঘটনার কারণ শনাক্তে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির রেলওয়ে মন্ত্রী সুরেশ প্রভু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক টুইটে তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের গাফিলতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দুর্ঘটনাস্থলে দুই মন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন। ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ট্রেনের এ দুর্ঘটনায় ১১ জনের প্রাণহানি ও ৪০ জনের আহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রেনের বগির নিচে অনেকেই আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। দুর্ঘটনার পর ওই রেললাইনে চলাচলকারী ট্রেনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে পড়েছে।

দেশটির বিরোধীদলীয় নেত্রী সোনিয়া গান্ধী দুর্ঘটনাস্থলের আশ-পাশের লোকজনকে উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে হতাহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা আ ’লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : মহান স্বাধীনতার স্থপতি, শতাব্দীর মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫টায় সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে এ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। আলোচনা সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করেন নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, ‘১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী দুস্কৃতিকারী সদস্যরা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যায় সংযোজিত হয়েছিল। সেদিন ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, আরিফ, বেবি ও সুকান্ত, আবদুল নাঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণিকেও হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিলকেও সেদিন ঘাতকদের হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছিল। ১৫-ই আগস্টে এ জাতি যা হারিয়েছে সে ক্ষতি কখনও পুরণ হবার নয়। তবে সেই সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বাঙালী জাতির ভাগ্যন্নোয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রুপকার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। সেদিনের শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।’ আলোচনা সভায় সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বাঙালি জাতি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এ দিন নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তার পরিবারের সদস্যদেরকে। ঐ দিন এ জাতি যা হারিয়েছে সে ক্ষতি কখনও পুরণ হবার নয়। সমগ্র জাতি আজ শোকাহত ও মর্মাহত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শাহাদাৎ বরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ ও তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ১৫ আগষ্টের ষড়যন্ত্রকারীরা আজো সক্রিয়। বাঙালী জাতির অধিকার নিশ্চিত করতে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করে ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যে কারণে তার জনপ্রিয়তা সহ্য হয়নি এদেশে ঘাপটি মেরে থাকা পাকিস্থানী এজেন্টদের। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার বাঙালির ভাগ্যন্নোয়নে নিরলসভাবে কাজ করে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তাই এখনও ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’ এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক, এ্যাড. এস.এম হায়দার, যুগ্ম সম্পাদক শেখ সাহিদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ ফিরোজ আহমেদ স্বপন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, জেলা শ্রমিকলীগ নেতা শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন, জেলা শ্রমিকলীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ সরদার, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা ও পৌর কাউন্সিলর জ্যোন্সা আরা, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোস্তাক আলী, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ ক্বারী শেখ ফিরোজ আহমেদ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক পিপি এড. ওসমান গনি, সদস্য এ্যাড. আব্দুল লতিফ, এ্যাড. আজহারুল ইসলাম, আসাদুল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এড. স.ম গোলাম মোস্তফা, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ হায়দার আলী তোতা, প্রচার সম্পাদক শেখ নুরুল হক, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা স্মৃতি সংসদ জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ জয়নুল আবেদীন জসি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদিকা লায়লা পারভীন সেজুতি, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাদাৎ হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য ওবায়দুর রহমান লাল্টু, শাহনওয়াজ পারভীন মিলি, সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু, জজকোর্টের এপিপি এ্যাড. তামিম আহমেদ সোহাগ, জেলা তরুণলীগের সভাপতি শেখ তৌহিদুর রহমান চপল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভির হুসাইন সুজন, সাধারণ সম্পাদক এহছান হাবিব অয়ন, জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি মীর আজহার আলী শাহিন, সাধারণ সম্পাদক শেখ তৌহিদ হাসান, পৌর যুবলীগের আহবায়ক মনোয়ার হোসেন অনু, যুগ্ন আহবায়ক তুহিনুর রহমান তুহিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী আক্তার হোসেনসহ জেলা আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরায় নিটল মটরসের গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিটল মটরসের গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে তুফান কনভেনশনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির সাতক্ষীরা শাখার সি ই ও মোস্তাক আহম্মেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নিটল মটরস গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহম্মদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আবু আহমেদ, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি শেখ ছাইফুল করিম সাবু, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ট্রাক মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল মোমেন খান চৌধুরী প্রমুখ। এসময় প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। বাংলাদেশ না হলে আমরা শিল্পপতি হতে পারতাম না আর আমরা শিল্পপতি না হলে নিটল মটরসের জন্ম হতো না। তার অবদান চিরস্মরণীয়। যা বাঙালি জাতী আজীবন মনে রাখবে। এছাড়া গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোম্পানি গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী স্লাপাই দিবে। সাতক্ষীরার গ্রাহকদের জন্য তিনি ৬টি ফ্রি সার্ভিস সেন্টার ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগে মাছ ধরার সময় আটক ৩

শ্যামনগর ব্যুরো : সাতক্ষীরা রেঞ্জ পশ্চিম সুন্দরবনের গহিনে ছোট কেয়াখালী নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরার সময় সরঞ্জাম সহ ৩ ব্যক্তিকে আটক করেছে বুড়িগোয়ালিনী বন স্টেশন অফিসের সদস্যরা। গতকাল শনিবার বেলা ১ টার দিকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো- শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী গ্রামের মৃত দলিল উদ্দীন গাজীর ছেলে করিম গাজী(৪৫) এবং একই এলাকার সবদুল গাজীর ছেলে আক্তারুল গাজী (৩৫) ও আব্দুল মজিদ গাজীর ছেলে আকছেদুল গাজী(৩৪)। এ সময়ে তাদের ব্যবহৃত ২ বোতল বিষ সহ ব্যবহার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। বুড়িগোয়ালিনী বন স্টেশন কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তীতে ঘটনাস্থল অভিযান চালিয়ে সরঞ্জাম সহ তাদের আটক করে বন আইনে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শোয়েইব খান সত্যতা নিশ্চিত করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নরেন্দ্র মোদি নিখোঁজ! বারাণসীতে পোস্টার

ভারতের বারাণসীর বেশ কিছু জায়গায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিখোঁজ পোস্টারে ছেয়ে যায়। এমন ঘটনার পর পুলিশ পোস্টার সরিয়ে নিলেও, এই নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক।
প্রধানমন্ত্রীকে কালিমালিপ্ত করতে বিরোধীদের মদতে কেউ এই কাজ করছে বলে অভিযোগ বিজেপির। গত লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সময় নরেন্দ্র মোদি বারাণসীর জন্য অনেক কথা বলেছিলেন। তিন বছর পরও বারাণসীর হাল না ফেরায় হতাশায় কেউ এমন করতে পারে বলে পাল্টা জবাব দিয়েছে বিরোধীরা।

এলাকার জনপ্রতিনিধিকে দেখতে না পেলে নিখোঁজ পোস্টার সাঁটানো এখন নতুন চল। কয়েক দিন আগে আমেঠিতে রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রে হয়েছিল। মথুরার সাংসদ হেমা মালিনীর ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। এবার বিড়ম্বনার শিকার নরেন্দ্র মোদি। নিজের নির্বাচনী এলাকাতেই অস্বস্তিতে পড়লেন তিনি। শুধু ছবি সাঁটিয়ে থামা নয়, বিদ্রুপে ভরিয়ে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। একটি জনপ্রিয় গানের অনুকরণে পোস্টারে লেখা হয়, ‘জানি না কোন দেশে তুমি চলে গেছ। ‘ এক্ষেত্রে মোদির ঘনঘন বিদেশযাত্রা যে নিশানা, তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে পোস্টার লেখা হয় যদি প্রধানমন্ত্রীকে না পাওয়া যায় তাহলে পুলিশে এফআইআর করতে হবে। দেশটির পুলিশ অবশ্য দ্রুত পোস্টারগুলি ছিঁড়ে ফেলেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest