সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়া

চিরনিদ্রায় শায়িত নায়করাজ রাজ্জাক

ক্যামেরার সামনে আর দাড়াবেন না বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক। করবেন না অভিনয়। রাজ্জাক ভক্তরা আর নতুন করে দেখবেন না তাদের প্রিয় অভিনেতার মুখ। চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা চলচ্চিত্রের দিকপাল, মুকুটহীন সম্রাট নায়করাজ রাজ্জাক।

বুধবার সকাল সোয়া ১০টা ২০ মিনিটে বনানী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাজ্জাক।

সেখান থেকে মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ শেষবারের মতো নিয়ে যাওয়া হয় গুলশানের বাসভবন ‘লক্ষ্মীকুঞ্জ’-তে।

মরদেহ সেখানে পৌঁছতেই স্বজনদের কান্না-আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে আশপাশ। সেখান থেকে বেলা ১১টায় মরদেহ নিয়ে আসা হয় তার প্রিয় কর্মস্থল এফডিসিতে।

শেষবারের মতো নায়করাজের এফডিসিতে আগমনে শোকার্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আগত শিল্পী-কলা-কুশলীরা ক্ষণে ক্ষণে কেঁদে ওঠেন।

এফডিসি থেকে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয় রাজ্জাকের মরদেহ। তার অনেক আগেই সেখানে আসতে শুরু করেন রাজ্জাকের ভক্ত-অনুরাগীরা। হাজার হাজার মানুষ ফুল হাতে অপেক্ষা করতে থাকেন তাদের প্রিয় অভিনেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।

সেখানে শ্রদ্ধা জানানো শেষে গুলশানের আজাদ মসজিদে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে আবারও তার লাশ রাখা হয় হাসপাতালের হিমঘরে। তার মেঝ ছেলে বাপ্পির জন্য অপেক্ষা করা হয়।

বুধবার তার ছেলে কানাডা থেকে দেশে ফেরার পর বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে বনানী কবরস্থানে রাজ্জাকের দাফন সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, রাজ্জাক পশ্চিমবঙ্গের (বর্তমান ভারতের) কলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় স্বরসতী পূজা চলাকালীন সময়ে মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের জন্য তার গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁকে বেছে নেন নায়ক অর্থাৎ কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শিশু-কিশোরদের নিয়ে লেখা নাটক বিদ্রোহীতে গ্রামীণ কিশোর চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়েই নায়ক রাজের অভিনয়ে সম্পৃক্ততা।

তিনি ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান। প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে “ঘরোয়া” নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান। সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের তেরো নাম্বার ফেকু ওস্তাগড় লেন চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে সবার কাছে নিজ মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক।

পরবর্তীতে কার বউ, ডাক বাবু, আখেরী স্টেশন-সহ আরও বেশ ক’টি ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করে ফেলেন। পরে বেহুলা চলচ্চিত্রে তিনি নায়ক হিসেবে ঢালিউডে উপস্থিত হন সদর্পে। তিনি প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র।

১৯৯০ সাল পর্যন্ত বেশ দাপটের সাথেই ঢালিউডে সেরা নায়ক হয়ে অভিনয় করেন রাজ্জাক। এর মধ্য দিয়েই তিনি অর্জন করেন নায়করাজ রাজ্জাক খেতাব। অর্জন করেন একাধিক সম্মাননা। এছাড়াও, রাজ্জাক জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
তিন খানের সেরা কে?

বলিউডে গত আড়াই দশক ধরেই চলছে খানদের রাজত্ব। বক্স-অফিস কখনো দখলে থাকছে শাহরুখ খানের, কখনো বা সালমান খানের। আবার কখনো বিগত সব রেকর্ড দুমড়েমুচড়ে নতুন রেকর্ডের মালিক হচ্ছেন আমির খান। তাই বলিউডের নায়কদের ঘোড়দৌড়ে এগিয়ে আছেন এই তিন ঘোড়া। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয়, এই তিনজনের মধ্যে সেরা কে? তাহলে এই তিন নায়কের বিশাল ভক্তদের মধ্যে লেগে যায় তর্কযুদ্ধ।

কিন্তু তর্কে কি আর সমাধান হয়। কারণ, অভিনয় দক্ষতা বা স্টাইলে কেউ কারো থেকে পিছিয়ে নন। কিন্তু এক জায়গায় এসে তিনজনের মধ্যেই তৈরি হয় ব্যবধান। সেটি হলো বক্স-অফিসের আয়। বলিউড লাইফ ডটকমের সৌজন্যে আমরা উপস্থাপন করছি এই তিন তারকার সেরা ছবিগুলোর আয়ের পরিসংখ্যান। তিন খানের সেরা কে, তার বিচার করবেন আপনারাই।

সেই নব্বইয়ের দশক থেকে বলিউডে আমাদের একের পর এক হিট ছবি দিয়ে চলেছেন তিন খান। তখনো বিতর্ক ছিল তিন খানের মধ্যে সেরা কোন খান। সেই বিতর্ক নতুনভাবে হালে পানি পায়, যখন ২০০৭ সালে শাহরুখ খানের ‘ওম শান্তি ওম’ আয় করে ৭৮ কোটি রুপি। সে বছর সর্বোচ্চ আয়ের তালিকায় ‘ওম শান্তি ওম’ প্রথম স্থান দখল করে। পরের বছর শাহরুখ ‘রাবনে বানাদি জোড়ি’ নিয়ে দর্শকের সামনে এলেও ‘গজনি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সে রেকর্ড ভেঙে ১০০ কোটি রুপির নতুন এক ক্লাব খুলে বসেন আমির। বলা বাহুল্য, সর্বোচ্চ আয়ের তালিকায় ‘গজনি’ সে বছর প্রথম স্থান দখল করে। শুরু হয়ে যায় এক নতুন যুদ্ধ। যুদ্ধের নাম, বক্স-অফিসের আয়ে সেরা কোন খান।

১০০ কোটির ক্লাবে হয়তো সুখ পাচ্ছিলেন না আমির। তাই ২০০৯ সালে ‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবির মাধ্যমে ২০০ কোটি রুপির নতুন এক ক্লাব খোলেন আমির। ভারতে প্রথম কোনো ছবির আয় ২০০ কোটি ছাড়ায়। বিপুল জনপ্রিয়তা পাওয়া ছবিটির আয় থামে ২০২ কোটি রুপিতে এসে। খানদের যুদ্ধে এবার যোগ দেন সালমান খান। তাঁর অভিনীত ‘দাবাং’-এর আয় ছাড়ায় ১০০ কোটি রুপি।

‘দাবাং’ দিয়ে প্রবেশ করে ‘বডিগার্ড’ ও ‘এক থা টাইগার’ ছবির মাধ্যমে প্রায় দুই বছরের জন্য বক্স-অফিসটাকে নিজের দখলে নেন সালমান খান। এর মাঝে আমির খানের ‘তালাশ’ ও ‘ধোবি ঘাট’ মুক্তি পেলেও ধোপে টিকেনি একটিও। ‘রা ওয়ান’ ও ‘ডন-২ : দ্য কিং ইজ ব্যাক’-এর মাধ্যমে ১০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেন শাহরুখ খান।

এর মধ্যে অনেক ছবি ১০০ কোটি স্পর্শ করলেও আমির খানের ২০০ কোটির রেকর্ড ভাঙতে পারছিলেন না কেউ। ২০১৩ সালে সবচেয়ে বড় আঘাত হানেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ দিয়ে তিনি ছাড়িয়ে যান আমির খানের ‘থ্রি ইডিয়টস’কে। ‘থ্রি ইডিয়টসে’র রেকর্ড ভেঙে যাওয়াটা হয়তো পছন্দ হয়নি আমিরের। তাই ২০১৩ সালে ‘ধুম-৩’ দিয়ে ‘চেন্নাই এক্সপ্রেসে’র রেকর্ড ভাঙেন আমির।

শুধু ‘চেন্নাই এক্সপ্রেসে’র রেকর্ড ভেঙেই ক্ষান্ত হননি আমির, পরের বছর ‘পিকে’ ছবি দিয়ে ৩০০ কোটি রুপির নতুন ক্লাব খোলেন আমির। পরের বছর ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ দিয়ে আমিরের ৩০০ কোটির ক্লাবে যোগ দেন সালমান খান, কিন্তু ব্যর্থ হন ‘পিকে’র রেকর্ড ভাঙতে। অবশেষে ২০১৬ সালে নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙেন আমির। ‘দঙ্গল’ ছবিটি দিয়ে প্রায় পৌনে ৪০০ কোটি রুপির ব্যবসা করেন তিনি।

এ বছর এখনো খানদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন শাহরুখ খান। তাঁর অভিনীত ‘রইস’-এর আয় তিনি নিজেও ছাড়াতে পারেননি। মুখ থুবড়ে পড়েছে তাঁর ‘যাব হ্যারি মেট সেজাল’। আর ১০০ কোটি রুপি আয় করলেও বক্স-অফিস আলোকিত করতে পারেনি সালমানের ‘টিউবলাইট’। তবে দিওয়ালিতে আমিরের ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ এবং বছরের শেষে সালমানের ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ বদলে দিতে পারে সমীকরণ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মালদ্বীপের পার্লামেন্ট বন্ধ করে দিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী

মালদ্বীপের পার্লামেন্ট ভবন বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী। দেশটির বিরোধীদলের অভিযোগ, পার্লামেন্টের সদস্যরা প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের সরকারের নির্বাচিত স্পিকারকে অভিশংসন করতে উদ্যোগ নিলে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা এসে আইনপ্রণেতাদের সরিয়ে নেয় এবং পরে পার্লামেন্ট ভবন বন্ধ করে দেয়।

দেশটির বিরোধী দল মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা যায়, সেনানিয়ন্ত্রিত রায়ট বাহিনী ও বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এসে পার্লামেন্টের সদস্যদের বের করে দিচ্ছে। এরপর এমডিপির অফিশিয়াল ফেসবুকে পেজে প্রকাশিত আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায় পার্লামেন্ট সদস্যরা আবার ফিরে এসে ভবনের সামনে রায়ট পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন। পার্লামেন্ট সদস্যদের অভিযোগ তাঁরা পুনরায় ফিরে এসে ভবনে প্রবেশ করতে চাইলে রায়ট পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় এবং লাঠিপেটা করে।

আজ মঙ্গলবার সকালের এই সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন রাজনীতিবিদ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এমডিপি। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।

আজ মঙ্গলবার সকালে পার্লামেন্ট ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সদস্যরা স্পিকার আবদুল্লা মাসেহকে ইমিপিচের প্রক্রিয়া শুরুর প্রস্তাব তোলেন। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেই স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির অভিযোগ অগ্রাহ্য করার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে গতকাল সোমবার বিরোধীদলের আইনপ্রণেতারা তাঁর বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব এনেছিলেন।

এদিকে এমডিপির এক পার্লামেন্ট সদস্য বিবিসিকে জানান, মঙ্গলবার সকালে স্পিকার মাসেহ সংসদ অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণ পর আবার তা বন্ধ করে দেন যেন সদস্যরা অভিশংসন প্রস্তাবে অনাস্থা ভোট দিতে না পারেন।

এর পরই সাদা পোশাকের নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মকর্তারা এসে রাজনীতিবিদদের পার্লামেন্ট থেকে বের করে দেন। এরপর রায়ট পুলিশ এসে পার্লামেন্ট কমপ্লেক্সের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

বিবিসি জানিয়েছে ২০০৮ সালে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর সেনানিয়ন্ত্রিণ নিরাপত্তাবাহিনী নানাভাবে হস্তক্ষেপ করেছে। গত মাসেও দেশটির বিশেষ বাহিনীর সাদা পোশাকের কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের বিরুদ্ধে আনা একটি অনাস্থা প্রস্তাব রুখে দিয়েছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
যোগীর রাজ্যে গরুর ওপর ‘এসিড’ নিক্ষেপ

ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রায় তাজমহল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কারমানা এলাকায় ১৫টি গরুর ওপর দুর্বৃত্তরা এসিড নিক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২৯ ধারা অনুযায়ী একটি এফআইআর করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম অপইন্ডিয়া ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, এসিড হামলার পর কারমানায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো এ হামলার জন্য সংখ্যালঘুদের দায়ী করেছে।

পুলিশের ধারণা, দুধ থেকে ফ্যাট আলাদা করতে যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, সেটি ছোড়া হয়েছে গরুগুলোর ওপর। তবে কেউ কেউ ধারণা করেছেন, ক্ষেত খাওয়ায় গরুগুলোর ওপর এসিড ছুড়েছে গ্রামের বাসিন্দারা।

ভারতে গরুর ওপর এসিড ছোড়ার ঘটনা নতুন নয়। চলতি বছরের মে মাসে গুজরাটের পারবান্দর এলাকায় কয়েকটি গরু, বাছুর ও ষাঁড়ের ওপর এসিড নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। একই মাসে হরিয়ানায় ক্ষেত খাওয়া কিছু গরুর ওপর এসিড ছুড়ে মারে একটি গ্রামের কিছু বাসিন্দা।

গত বছরের জুনে ইন্দোরে একটি বাছুরের ওপর এসিড নিক্ষেপ করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। একই বছরের জুলাইয়ে মথুরায় কিছু বাছুরের ওপর এসিড ছোড়া হয়। এতে একটি বাছুর মারা যায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ইন্দোনেশিয়ার ছয় প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার ছয়টি প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। ভয়াবহ এই দাবানলের কারণে ওই প্রদেশগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির সরকার।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের (বিএনপিবি) বরাতে এ খবর জানিয়েছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।

বিএনপিবির মুখপাত্র সুতপো পারো নাগরহো বলেন, চলতি বছরের শুষ্ক মৌসুমে দেশটির ৫০০টির বেশি জায়গায় আগুন লেগেছে। এবং সেই আগুন ছড়িয়ে দাবানলে রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে ছয়টি প্রদেশেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ড ও দাবানলে ২০ হাজার হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিএনপিবির মুখপাত্র সুতপো। আগামী অক্টোবর পর্যন্ত এই দাবানল জ্বলতে পারে বলে জানিয়েছে সরকারি অধিদপ্তরটি।

সরকারি সূত্রে আরো জানা গেছে, দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ২১টি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পানি ছিটানো হচ্ছে। রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে মেঘকে ঘনীভূতকরণ প্রক্রিয়া ‘ক্লাউডসিডিং’-এর মাধ্যমে বৃষ্টি নামানোর চেষ্টাও চালাচ্ছে দেশটির দমকল বাহিনী। আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকল বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে পুলিশ ও সামরিক বাহিনী।

এদিকে এক খবরে আরব নিউজ জানায়, ইন্দোনেশিয়ায় বাগান মালিক ও গ্রামের কৃষকরা প্রায়ই আগুন লাগিয়ে চাষের জমি পরিষ্কার করে থাকেন। প্রাচীনকাল থেকেই এ ব্যবস্থা প্রচলিত। আর এই আগুন লাগিয়ে জমি পরিষ্কারের কারণে দেশটির বিভিন্ন জায়গায় গ্রীষ্মকালে আগুন লাগে। স্থানীয় অধিবাসীদের এভাবে জমি পরিষ্কারে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সাধারণত লাভ হয় না।

এর আগে ২০১৫ সালে এক ভয়াবহ দাবানলে দেশটির ৬৪ লাখ একর জমি পুড়ে যায়। সেই বছরের দাবানলের কারণে তৈরি হওয়া ধোঁয়ার কারণে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিবেশী দেশ সুমাত্রা, বর্নিও, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ থাইল্যান্ডে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিহারে বন্যায় মৃত বেড়ে ৩০০, ঘরে ঘরে কান্নার রোল

দুই সপ্তাহ ধরে চলছে প্রবল বৃষ্টিপাত। মধ্যে কেবল একদিন থেমেছিল। আর অস্বাভাবিক এই বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা পানিতে আক্ষরিক অর্থেই ভেসে গেছে ভারতের বিহার রাজ্য।

বিহারের গ্রাম ও শহর সবই এখন পানিতে ডুবে আছে। রাজ্যের প্রধান নদী কোশি ও মহানন্দার পানি বিপৎসীমা পেরিয়েছে বহু আগেই। একের পর এক ভেঙে পড়েছে লোকালয় রক্ষা বাঁধ।

অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে বন্যার পানির তোড়ে চোখের সামনে স্বজনকে ভেসে চলে যেতে দেখেও অনেকে কিছু করতে পারেননি। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিই এখন ভারতের বিহার রাজ্যে।

কেবল সরকারি হিসাবেই বিহারের বন্যায় সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০ জনে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিহারে বেড়েই চলছে মৃতের সংখ্যা। রাজ্যটির ১৮টি জেলার প্রতিটি থেকে বন্যায় মৃতের খবর এসেছে। এর মধ্যে আররিয়া জেলায় মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখানে নিহত হয়েছেন ৭৮ জন। এ ছাড়া সীতামারিতে ৪২, চম্পারনে ৩১, কাটিহারে ২৬, মধুবনিতে ২৫, সুপুলে ২১, দারভাঙা জেলায় ১৯ ও সারান জেলায় ছয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর। রাজ্যটির প্রত্যন্ত ও পাহাড়ি এলাকায় মানুষ মারা গেছে বেশি।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী বিহার রাজ্যের ১৮ জেলার প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষ বন্যার কবলে। তাদের মধ্যে প্রায় আট লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে বিভিন্ন আশ্রয়শিবির ও নিরাপদ আশ্রয়ে গেছেন। মানবেতর অবস্থায় আছে আরো অন্তত ৩০ লাখ মানুষ। পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজ্যে মোট সাড়ে তেরশ ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।

এদিকে, ভয়াবহ এ বন্যার পর বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। হেলিকপ্টারে করে দুর্গতদের অবস্থা দেখে গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এ দুর্যোগে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
স্কুলে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, প্রধান শিক্ষক গ্রেপ্তার

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের পদুচেরির একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাঁচ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই প্রধান শিক্ষকের বয়স ৪২ বছর।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, গত ১৮ আগস্ট প্রথম শ্রেণিপড়ুয়া ওই শিশুটি সেথুর গ্রামে অবস্থিত বেসরকারি স্কুলটিতে পড়তে গিয়েছিল। ক্লাসশেষেও ওই শিশুটি ফিরে না আসায় বাবা-মা স্কুলে গিয়ে শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় একটি পরিত্যক্ত কক্ষে পড়ে থাকতে দেখেন।

পরে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, ধর্ষণের শিকার হয়েছে শিশুটি। আর জ্ঞান ফিরে আসার পর শিশুটি জানায়, প্রধান শিক্ষক তার ওপর নির্যাতন করেছে।

এর পর শিশুটির বাবা-মা ও এলাকাবাসী ওই প্রধান শিক্ষককে ধরে পুলিশে দেন। ওই শিশুকন্যার বাবা-মায়ের অভিযোগের পর পদুচেরির ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গতকাল গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রধান শিক্ষক ওই ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাকে আদালতে তোলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পদুচেরির এক পুলিশ কর্মকর্তা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হাইড্রলিক হর্ন বন্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ

শব্দদূষণ রোধে ঢাকায় যানবাহনে হাইড্রলিক হর্ন ব্যবহার বন্ধে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কাজী রেজা উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বুধবার রুলসহ কয়েকটি নির্দেশনা দেন। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

শব্দদূষণ রোধে হাইড্রলিক হর্নের ব্যবহার বন্ধে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গতকাল মঙ্গলবার রিটটি করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

আদেশের বিষয়টি জানিয়ে মনজিল মোরসেদ বলেন, হাইড্রলিক হর্ন আমদানি বন্ধে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাজারে যেসব হাইড্রলিক হর্ন রয়েছে, তা সাত দিনের মধ্যে জব্দ করতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ২৭ আগস্টের পর কোনো যানে হাইড্রলিক হর্ন ব্যবহার করা হলে তা জব্দে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest