সর্বশেষ সংবাদ-
দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদযাপনসাতক্ষীরায় ১২০ লিটার ভেজাল দুধ জব্দ: দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-সাতক্ষীরায় ৪ টি অস্ত্র, ২৯ রাউন্ড গুলি ও তিনটি ম্যাগাজিন জব্দসাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান শামস্ : কোহিনুরকালিগঞ্জ সীমান্ত থেকে ১১টি এয়ারগান,৬ হাজার ৯শ রাউন্ড গুলি জব্দসদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহাগের মনোনয়নপত্র বৈধসাতক্ষীরা কম্পিউটার সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটির সংবর্ধনাবঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট সাতক্ষীরা জেলা শাখার নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভাআশাশুনি থেকে জেলি পুশরত চিংড়িসহ নারী শ্রমিক আটকসাতক্ষীরায় ৭২০ কেজি আম, ৪০৯ কেজি চিংড়ী জব্দ : ১লক্ষ ৫ হাজার টাকা জরিমানা

সাতক্ষীরায় জাতীয় পার্টি জেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : জাতীয় পার্টি সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২৬ রমজান জেলা জাতীয় পার্টির আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেনর সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ দীদার বখত। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মাতলুব হোসেন লিয়ন, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু, কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির সদস্য আব্দুস সাত্তার মোড়ল, জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি সরদার মুজিদ, জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান বিপুল, ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসরাইল গাজী, মাহবুবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক কাজী আবু তাহের, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সেক্রেটারী আনোয়ার জাহিদ তপন, শহিদুল ইসলাম, কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, জেলা যুব সংহতির সভাপতি সাখাওয়াতুল করিম পিটুল, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের, দপ্তর সম্পাদক কবিরুল ইসলাম ডাবলু, সাইফুল ইসলাম, এড. আব্দুর রশিদ, আশিকুর রহমান বাপ্পি, বদরুজ্জামান বদু, আজাদ হোসেন টুটুল, হিমেল, সুমন প্রমুখ। এসময় ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ইফতার পুর্বে দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের ইফতার মাহফিল ও হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের ম্যানেজিং কমিটির ইফতার মাহফিল ও ৬জন হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২৬ রমজান সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন মিলনায়তনে সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের কার্যকরি পরিষদের সদস্য মোঃ আব্দুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের প্রতিনিধি অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলাম, সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শেখ আজিজুল হক, সহ সভাপতি শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, যুগ্ম সম্পাদক কাজী সিরাজুল হক, সহ সম্পাদক মুজিব হোসেন নান্নু, কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব আবু দাউদ, সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল খালেক, এ.এস.এম আজিজ হাসান, কাজী ছুফীউল্যা ফারুকী (আবু কাজী), আলহাজ্ব শেখ আবুল কালাম, আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার, মোঃ গোলাম মোস্তফা, মো. হাদিউজ্জামান, আলহাজ্ব এড. মোনায়েম খান চৌধুরী, মোঃ নজরুল ইসলাম, কাজী আমিরুল হক (আহাদ) প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশন একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রহ.) এর প্রতিষ্ঠাতা। এ প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য ¯্রষ্টার ইবাদত ও সৃষ্ট্রের সেবা করা। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, পবিত্র রমজান আত্মসংযমের মাস। এই মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। রমজানের রোজা পালনের মাধ্যমে আমাদের তাকওয়া অর্জন করতে হবে। একই সাথে এ প্রতিষ্ঠানের ভাবমূতি ক্ষুণœ হোক এমন কিছু করা যাবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মিশনের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম জিয়া।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জে আত্মসমর্পণকারী বনদস্যুদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জে আত্মসমর্পণকারী বনদস্যুদের মাঝে সেমাই-চিনিসহ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। র‌্যাব ৮ এর সহকারী পুলিশ সুপার জসিম ও হাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে এ সকল ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন।
র‌্যাব জানায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে র‌্যাবের মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে আত্মসমর্পণকারী বনদস্যুদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণের জন্য মুন্সিগঞ্জে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। এসময় আত্মসমর্পণকারী বনদস্যুদের মধ্যে সাবেক বাহিনী প্রধান আলম, মজনু, খোকনসহ ৪৬ জন আতœসমর্পণকারী বনদস্যু উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
এখন জামাই আদর ভোটের পরে জামাই বাঁদর- সুভাষ চৌধুরী

বাতাস জানান দিচ্ছে সংসদ নির্বাচন আসছে। চারদিকে হৈ হুল্লোড় শুরু হয়েছে। এখন বসন্ত কাল না হলেও বসন্তের কোকিলরা গাছে গাছে প্রাণ খুলে উড়ে বেড়াচ্ছে। আর মাঝে মাঝে কুহু ডাক দিয়ে আমাদের জানিয়ে দিচ্ছে যে নির্বাচন এলো আরকি। তোমরা বসে থেকো না। কোকিলদের এই সুমধুর সুর শুনতে  কার না ভালো লাগে। বসন্ত যবে আসে আসুক, কোকিল তো এসেছে। আসলে প্রতি পাঁচ বছর পর আমরা কোকিলের এই ডাক শুনতে পাই তা কালে হোক আর অকালেই হোক, বসন্তে হোক বা নাই হোক। সেই ২০১৪ সালের  ৫ জানুয়ারির আগে ২০১৩ সালে শুনেছিলাম কোকিলের ডাক। এবার একটু আগামই শুনতে পাচ্ছি। প্রিয় পাঠক আমি যে কোকিলদের  কথা বলছি তাদের পরিচয়টা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। এই কোকিলরা এখন ঘরে ঘরে মাঠে মাঠে ফোনে ফোনে। এমনকি কানে কানে। বলতে পারেন গাছে গাছেও। তাদের ডাক হচ্ছে ‘সামনে নির্বাচন । আমি কিন্তু অমুক দলের প্রার্থী। এ দল মনোনয়ন না দিলে ওই দল থেকে দাঁড়াবো। তাও যদি না হয় তাহলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমি’।
বলছেন আমাকে নেত্রী এলাকায় যেয়ে ভোটারদের সাথে সময় কাটানোর কথা বলেছেন। এলাকায় কাজ করবার কথা বলেছেন। কোকিলরা আরও বলছেন ‘সংসদ নির্বাচন করে জনগণের সেবায় বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই। আমাকে জিততেই হবে। কি আমাকে করতে হবে বলুন’। সমাজে অবশ্য এমন অনেক কোকিল মেলে , যারা ক’দিনের জন্য আমাদের মাঝে আসেন আর আমাদের কিছু ভালো মন্দ খাইয়ে দিয়ে  চলে যান। আবার কোনো কোনো কোকিল থেকেই যান। তারা ভোট করে জেতেন অথবা হারেন। এমন কোকিলরা কিন্তু আমাদের মতো আমজনতার সাথে মিলে মিশে থাকেন। আর আমি আজ যে কোকিলদের কথা বলছি সেসব কোকিলরা সিজন্যাল। তারা সিজন হলে এই গাঁও গ্রামে আসেন। হুড খোলা গাড়ি ঘোড়া নিয়ে ঘুরে বেড়ান। হাত উঁচু করে হাসি ছড়িয়ে দেন। কুশল বিনিময় করেন। গাড়ি থেকে নেমে হ্যান্ড শেক করেন। বুকে বুক মেলান। কানে কানে বলেন আমি কিন্তু প্রার্থী। তারপর একদিন ভোট করে জামানত খুইয়ে  মাথা  নিচু করে আমাদের বেঈমান গাল দিয়ে চলে যান। আর মনোযোগী হন তার নিজের পেশায়।
আমি কিছুদিন ধরে সাতক্ষীরায় এমন এক সিজন্যাল কোকিলের আনাগোনা দেখতে পাচ্ছি। সাতক্ষীরার দুটি সংসদীয় আসনকে টার্গেট করেছেন তিনি। একটি হচ্ছে সাতক্ষীরা সদর। অপরটি হচ্ছে সাতক্ষীরার আশাশুনি, দেবহাটা এবং কালিগঞ্জের একাংশ নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা ৩ সংসদীয় আসন। আমি যতদূর জানি তিনি এ দুটিতে ট্রাই করে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি টিকে থাকতে পারবেন কিনা, মনোনয়ন দেীড়ে তিনি ফার্স্ট হবেন না ভিমড়ি খেয়ে পড়বেন তা জানিনা। মনোনয়ন পেলে জিততে পারবেন, না হারবেন নাকি ধপাস করে নিচে পড়ে যাবেন তাও অবশ্য বলা কঠিন। কারণ সেসব তো ভোটারদের বিষয়। তারা কাকে  মেনে নেবেন না নেবেন তা তাদের ব্যাপার। আমার আলোচ্য বিষয়ও সেটা নয়। আমাকে এ দুটি আসন থেকে সম্মানিত ভোটাররা বেশ কিছু সংবাদ দিয়ে আমাকে সাহায্য করেছেন।  তারা আমাকে বলেছেন ‘আগে বলুন আপনি কি হিন্দু না মুসলমান’। আমি জবাবে বলেছি তাতো আমার নামই বলে দিচ্ছে। তারা বলেন তাহলে আপনি পাবেন একটি ওয়াল ক্লক (দেওয়াল ঘড়ি)। আর আপনার মুসলমান বন্ধুরা পাবেন একটি করে জায় নামাজ, একটি তসবিহ ও একটি টুপি। সম্মানিত ভোটাররা আমাকে জানালেন তবে আপনারা সবাই পাবেন ঈদের  শুভেচ্ছা কার্ড। আমি এর হেতু খুঁজতে শুরু করলাম।  জানতে পারলাম শুধু ঈদের আগে এই গিফটই শেষ নয়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ভদ্রলোক ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর। একটি নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর। এসব ছাড়াও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গবর্নিং বডির শীর্ষ পদও রয়েছে তার। জানতে পারলাম এমন একজন পদমর্যাদা সম্পন্ন শিক্ষানুরাগী এখন ভোটারদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন জায়নামাজ অথবা দেওয়াল ঘড়ি। সেই সাথে ঈদ কার্ড। এরই মধ্যে তিনি দেবহাটার সখিপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চিফ গেস্ট হয়েছিলেন। সেখানে জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা উপস্থিত ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। আমি বললাম ভালই তো। এ নিয়ে সমালোচনার কি আছে। সম্মানিত ভোটাররা আমাকে বললেন এটা সমালোচনা নয়। সামনে তো ভোট। তাই ক্ষেত্র প্রস্তুত করা আরকি। আগেই না আলোচনা হলো বসন্তের কোকিল নিয়ে। একাজ তো বসন্তের কোকিলদেরই।  তারা আরও বললেন এখানেই শেষ নয়। এখন চলছে প্রতি ইউনিয়নে দুঃস্থ মানুষের সম্মানে ইফতারি দেওয়া। দুঃস্থদের তালিকা করে তাদের সবাইকে ইফতারি দিয়ে নিজের নাম প্রচার খাতায় তুলছেন তিনি। আর আমাদের মতো কিছু কলম ঘুরানো মানুষ আছে তাদের দ্বারস্থ হয়ে ‘আমার নামটি লিখো’ বলে আবদার করছেন।
এতো সব শুনে আমি কিন্তু একেবারে অবাক হই নি। কারণ এমন তো দেখেই আসছি। ভোটের আগে ‘জামাই আদর’ বলে কোলাকুলি আর ভোটের পরে ‘জামাই বাঁদর’ বলে ঠেলাঠেলি দেখে আসছি বহুকাল। ভোট আসার আগেই এসে যায় বসন্তের কোকিল। কুহু বলে সাড়া দেয়। আমাদের কতো কিছু দেয়। এমনকি  কাপড় চোপড়  শাড়ি ব্লাউজ ¯েœা পাউডার খোপার কাঁটা কতকিছু কিনে দেয়। শুধু একট্ইা চাওয়া একটি ভোট। আসলে আমজনতার কপালই মন্দ। ভোটের পরে  জিতে গিয়ে কোনো কোকিল হয়ে ওঠেন ভিভিআইপি। তার সাথে আর দেখা করা, কথা বলা যায়না। তখন তার সাথে হ্যান্ড শেক করতে গেলে সিকিউরিটি তেড়ে এসে হাত সরিয়ে দেয়। বলে স্যারের হাতে ময়লা লেগে যাবে। আর কোনো কোকিল আমজনতার কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে মাটিতে ধপাস করে পড়ে যায়। আর আমজনতাকে গালাগাল দিয়ে বলে শালারা সব বেঈমান। এতো দিলাম এতো খাওয়ালাম এতো  করলাম  আমি অথচ আমারে ভোটটা  দিলো  না।
পাঠক  ভোটে কোন কোকিলের ভাগ্যে কি আছে জানিনা। তবে ভোট শেষে আমরা সবাই যে ‘জামাই বাঁদর’ হয়ে যাবো তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ বিজয়ী ভিভিআইপি তখন আমাকে চিনতে পারবেন না। আর পরাজিত কোকিলরা ভোট না পেয়ে বলবেন সব শালা বেঈমান। তাই বলি বসন্তের কোকিল থেকে সাবধান। সিজন্যাল কোকিল থেকে  সব সময় দুরে থাকাটাই শ্রেয়।
লেখক : সাতক্ষীরা ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, দৈনিক যুগান্তর ও এনটিভি

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় দুুঃস্থদের মাঝে জেলা পরিষদ সদস্য আমজাদ হোসেনের ঈদ সামগ্রী বিতরণ

কলারোয়া ডেস্ক : কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের অর্থ-বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্জ্ব শেখ আমজাদ হোসেন বলেছেন- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুুর রহমানের সুযোগ্য কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার জনগণের উন্œয়নের সরকার। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলার মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফুটেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বিকভাবে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আর এই উন্নয়নের ধারবাহিকতাকে ধরে রাখতে হলে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে পুনরায় শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্র্বাচিত করতে হবে।
বৃৃহস্পতিবার সকালে ট’ বাজারে অবস্থিত শেখ আমজাদ হোসেনের নিজস্ব অফিস কার্যালয়ে গরিব, অসহায়, দুুঃস্থ, মেহনতি মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। এলাকার ২০০ জনের বেশি অসহায়, গরিব, দুুঃস্থ, মেহনতি মানুষের মাঝে নিজ হাতে শাড়ি, লুঙ্গি ও যাকাতের নগত অর্র্থ প্রদান করেন জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্জ্ব শেখ আমজাদ হোসেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার, শেখ রাজিব হোসেন ও শেখ মিঠুসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি প্রমুখ। এছাড়া আজ শুক্রবার সকালে একই কার্যালয়ে অসহায়দের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে আমজাদ হোসেন জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
পাইকগাছায় পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিরোধের অবসান

পাইকগাছা ব্যুরো : পাইকগাছায় অবশেষে এমপির মধ্যস্থতায় ও প্রশাসনের সহায়তায় পুলিশ-হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসানের দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের পর এক পর্যায়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হওয়ায় সকল শ্রেণিপেশার মানুষ এমপিসহ সংশ্লিষ্টদের স্বাগত জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ বুধবার সকালে থানা পুলিশের সদস্য বাপ্পী কর্তব্যরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে স্ত্রী ও এক পুলিশ সদস্য তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সঞ্জয় ঐ পুলিশ সদস্যের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুললে এক পর্যায়ে ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও সংবাদকর্মীরা হাসপাতালে জড়ো হলে পরিস্থিতি ভিন্ন মাত্রায় রূপ নেয়। জানা গেছে, পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যার যার অবস্থান থেকে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন এবং সর্বশেষ এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও পর্যন্ত গড়ায়। গতকাল সকালে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক উভয়পক্ষকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শান্তিপূর্ণ সমাধান করে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফকরুল হাসান, পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ, ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, ওসি (তদন্ত) জাবিদ হাসান, ওসি (অপারেশন) প্রবীন চক্রবর্তী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, এমপিপুত্র শেখ মনিরুল ইসলাম, ডাঃ নিতিশ কুমার গোলদার, ডাঃ সুজন সরকার, ডাঃ সঞ্জয় মন্ডল, ডাঃ মশিউর রহমান মুকুল, ডাঃ আহসানারা বিনতে ময়না, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মন্ডল সহ সাংবাদিকবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
নলতায় নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনায় বাংলালিংক এবং গ্রামীণ ফোনের গ্রাহকরা

তরিকুল ইসলাম লাভলু : মোবাইল সেবার ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও সেবার মানের ক্ষেত্রে অনেকটা পিছনের দিকে পড়ে গেছেন সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার ইন্দ্রনগর, কাজলা, কাশিবাটি, মাটিকোমরাসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের বাংলালিংক এবং গ্রামীণ মোবাইল গ্রাহকরা। নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনায় ভুগছে এসব এলাকার হাজার হাজার গ্রাহক।
প্রতি নিয়ত কলড্রপ, নি¤œমানের ভয়েস সেবা, আর নেটওয়ার্ক আসা/যাওয়ার ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে এসব এলাকার হাজার হাজার বাংলালিংক এবং গ্রামীণ মোবাইল গ্রাহকরা।
এমনই একজন গ্রাহক, শরিফুল ইসলাম প্রিয়জনের সাথে জরুরি কথা বলা প্রয়োজন কিন্তু দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে অপর প্রান্তের প্রিয়জনের কথা বুঝতে পারছেন না তিনি। সংযোগ পাওয়া গেলেও পরস্পরের কথা স্পষ্ট শোনা যাচ্ছেনা। আর এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে এসব এলাকায় ব্যাবহারকারী গ্রামীণ এবং বাংলালিংক গ্রাহকদের। এ কারণে অনেক গ্রাহকরা গ্রামীণ এবং বাংলালিংক গ্রাহকরা এই  অপারেটর বাদ দিয়ে বিকল্প মোবাইল অপারেটরের কথা ভাবতে শুরু করেছেন। আবার কেউ কেউ বাংলালিংক সিম বন্ধ করে দিয়ে রবি সিমের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ভাল থাকায় তারা রবি সিম ব্যবহার করতে শুরু করেছে বলে জানা যায়। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে এসব এলাকার অনেক গ্রাহকেরা স্থায়ীভাবে বাংলালিংক এবং গ্রামীণ সিম বন্ধ করে দেওয়ার কথাও ভাবছেন।
ভুক্তভোগী ইন্দ্রনগর গ্রামের জহিরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, আঃ সালাম, জামাল,করিম, মাহবুব, মাটিকোমরা গ্রামের লাভলু আক্তার, ইদ্রিস,আঃ খালেক, সাইফুদ্দিন, কাজলা গ্রামের সফিকুল, সাদিকুল, সিদ্দিকুর রহমান, আবু রাসেলসহ অনেকেই জানান,তাদের গ্রামে গ্রামীণ,বাংলালিং,রবির কোন নেটওয়ার্ক না থাকায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে কোন যোগাযোগ করতে পারছেননা। এই নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনার হাত থেকে রেহাই পেতে একাধিকবার কাস্টমার সার্ভিসে অভিযোগ করেছেন কিন্তু কোন সুফল পাওয়া যায়নি বলেও জানান। এব্যাপারে জানতে চাইলে নলতা হাটখোলার গ্রামীণ কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের তত্ত্বাবধানে থাকা লাভলু আকতার জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হলে মাপজরিপ করে দেখা যায়, নলতায় যে টাওয়ার আছে তার গেজে যে ক্ষমতা তার থেকে অভিযুক্ত এলাকাগুলো দুরত্ব বেশি। যার কারনে এই সমস্যা। তাই গ্রামীণ ফোন কোম্পানির টেরিটোরি অফিসার,এরিয়া ম্যানেজার কোম্পানির পক্ষ থেকে টাওয়ার বাসানোর উদ্দ্যোগ নেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত তার কোন সুস্থ ব্যবস্থা হয়নি।
তবে খুব তাড়াতাড়ি যেন বাংলালিংক এবং গ্রামীণ সিমের এসব এলাকার নেটওয়ার্কেরে উন্নয়ন হয় সে দিকে একটু নজর দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন এসব এলাকার হাজার হাজার গ্রাহকেরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ফেরদৌসের সঙ্গে অপু-পরীমনি

একসঙ্গে পর্দায় হাজির হচ্ছেন ফেরদৌস, অপু বিশ্বাস ও পরীমনি। তবে তা ছোটপর্দার জন্য। না, নাটকে নয়। তারা আসছেন একটি অনুষ্ঠানে নিজেদের কথা বলতে।

‘তারকার সাথে উৎসবের দিনে’ শিরোনামে আড্ডা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হচ্ছেন। এটি প্রচার হবে বাংলাভিশনে।
চ্যানেল কর্তৃপক্ষ জানায়, তরুণ প্রজন্মের কাছে তাদের কাজ ও ব্যক্তিজীবনের গল্প তুলে ধরা হবে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এই তিন অতিথির তারকা হওয়ার গল্পও থাকছে। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন তানিয়া হোসাইন। প্রযোজনায় আছেন শাহীদ সম্পদ।
ঈদের দিন বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে প্রচার হবে এটি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest