সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতসাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চিশতি’র মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধগ্রীন কোয়ালিশন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের কমিটি গঠনগণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের বিক্ষোভসাতক্ষীরায় প্রকাশ্যে চেতনানাশক স্প্রে করে এক নারীর গহনা ও মোবাইল ছিনতাইসাতক্ষীরায় উপকূলীয় এলাকায় ক্রীড়া উৎসব১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণার দাবিসড়ক দুর্ঘটনায় আহত জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারিসাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নির্বাচন : জামায়াত সমর্থিত ৫টি পদে বিজয়সাতক্ষীরায় মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত দুই শিক্ষক ভ্রাতা চাকুরি ফিরে পেতে মরিয়া

কালিগঞ্জে সততা স্টোরের উদ্বোধন

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : তরুণ প্রজম্মের শিক্ষার্থীদের সততা, নিষ্ঠাবোধ সৃষ্টি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা গড়ে তোলার ব্যতিক্রমধর্মী সততা স্টোরের উদ্বোধন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা ও সততা চর্চার উদ্দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা স্টোর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে দূর্নীতি দমন কমিশন। বিদ্যালয়ের সততা স্টোর তৈরির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে নৈতিকতা ও আদর্শ গঠনের দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করবে। কালিগঞ্জ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১টায় সততা স্টোরের ফিতাকেটে অনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন, দুদক খুলনার বিভাগীয় উপ-পরিচালক মুহাঃ আবুল হোসেন। উদ্বোধনের পর তিনি ঐ দোকান থেকে নগদ টাকায় কলম, রাবার ক্রয় করেন। উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মনসুর আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকতা নূর আহমেদ মাছুম, অফিসার ইনচার্জ লস্কর জায়াদুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বরুণ কুমার দত্ত। আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি মোস্তফা আক্তারুজ্জামান পল্টু, এ্যাডঃ জাফরুল্লাহ ইব্রাহীম। এসময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা দুদকের সহকারী পরিচালক ফয়সাল কাদের, রেডিও তেহেরানের সংবাদ উপস্থাপক আব্দুর রশিদ, শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য প্রভাষক জিএম আতিয়ার রহমান, প্রভাষক আকরাম হোসেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিএম আবু আব্দুল্লাহ, সৈয়দ মোমেনুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ঈদুল আযহার বিশেষ নাটক “এখন তুমি কেমন আছ”

শেষ হলো কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাসের উপন্যাস অবলম্বনে ঈদুল আযহার বিশেষ নাটক “এখন তুমি কেমন আছ”-এর নির্মাণ কাজ। নাটকটি চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন নির্মাতা হাসান রেজাউল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, উত্তরার ২টি শুটিং হাউজ, দড়্গিন খান সহ বিভিন্ন লোকেশানে নাটকটির দৃশ্য ধারণ হয়। এর আগে এই লেখকের একটি ছোট গল্প নির্মাণ হলেও উপন্যাস থেকে এই প্রথম নাটক নির্মাণ হয়েছে। নাটকের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে প্রেম আর দ্বন্ধ বিদ্যমান। প্রেম, ভালোবাসা, দ্বন্ধ নিয়ে দুটো সময়কে উপস্থাপন করাহয় এই নাটকে।

নাটকটির তমোনাশ চরিত্রে অভিনয় করেন তৌকির আহমেদ, বহ্নি চরিত্রে বিজরী বরকত উলস্নাহ, দীপ চরিত্রটি করেন এফ এস নাঈম ও বহ্নির মেয়ে দীপা চরিত্রে অভিনয় করেন জাকিয়া বারী মম। এছাড়া আরো অভিনয় করেছেন মাজনুন মিজান, মোহাম্মদ বারী, নীলা ইস্রাফিল সহ অনেকে।

এ বিষয়ে নির্মাতা হাসান রেজাউল বলেন, হরিশংকর জলদাস উপন্যাস চমৎকার। আমি বরাবরই তাঁর লেখার ভক্ত। এই নাটকে দুটি সময়কে উপস্থাপন করা হয়েছে। আজ থেকে ৯০ দশকের প্রেম ও আধুনিক সময়ের প্রেম। আসছে ঈদে স্যাটেলাইট চ্যানেল এনটিভিতে নাটকটি সম্প্রচার হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
‘ভারত’ ও ‘পাকিস্তান’ যখন সন্তানের নাম!

উরি হামলা, ভারতের পাল্টা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারতে কাজ করা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা, ক্রমাগত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন থেকে কাশ্মীরে একের পর এক বিচ্ছেদের উসকানি। প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ঐক্যের স্বপ্ন দেখছেন গুরমিত নামের এক ভারতীয়। নিজের সন্তানের নাম ‘ভারত’ ও ‘পাকিস্তান’ রেখে নতুন করে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন তিনি

দেশভাগ হয়তো দেখেননি বছর চল্লিশের গুরমিত। কিন্তু চুরাশির দাঙ্গার সাক্ষী ছিলেন তিনি। নিজের চোখে দেখেছেন সেই নৃশংসতা। জানেন ঘৃণার কী নির্মম পরিণতি হতে পারে। তাই আর দুই দেশের মধ্যে ঘৃণা চান না তিনি। চান সম্প্রীতি, ভালবাসা আর আপন করে নেওয়ার ক্ষমতা। আর এই কারণেই নিজের দুই ছেলের নাম ভারত ও পাকিস্তান রেখেছেন গুরমিত। যাতে দু’জনের নাম একসঙ্গে নেওয়া হয়। আর মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া যায়।

এর জন্য কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি গুরমিতকে। প্রতিবেশী, আত্মীয়দের থেকে তো কথা শুনতে হয়েছে, আবার ছেলেদের স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হয়েছে এই বিরল নামের জন্য। শেষে পাকিস্তানের নাম পাল্টে শুধুমাত্র স্কুলের জন্য করণদীপ করতে হয়েছে। তবে বাড়িতে দুই ছেলেকে ভারত-পাকিস্তান নামেই ডাকেন পাকিস্তানের বাসিন্দা। এমনকী, নিজের কাঠের আসবাবপত্রের দোকানের নামও ‘ভারত-পাকিস্তান উডওয়ার্কার’ রেখেছেন গুরমিত। একটাই লক্ষ্য, সম্প্রীতির এই বার্তা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। চল্লিশ বছরের গুরমিতের মতে, হিংসা কেবলমাত্র ক্ষতিই করতে জানে। এর মাধ্যমে কোনও সৃষ্টিশীল কাজ সম্ভব নয়। তা সম্ভব একমাত্র ভালবাসার মাধ্যমে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
বিরাটকে টপকে যাওয়ার পথে কুক!‌

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম দিবারাত্রের টেস্টে ইংল্যান্ডের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক ২৪৩ রানের ইনিংস খেলে ৬ পয়েন্ট পেয়েছেন। যার ফলে আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে কুক খুব শীঘ্রই বিরাট কোহলিকে টপকে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই মুহূর্তে কুক ৮ পয়েন্টে পিছিয়ে আছেন বিরাট কোহলির থেকে। এই ফর্মে খেলতে পারলে ইংরেজ ব্যাটসম্যান কুক যে বিরাট কোহলিকে টপকে যাবেন, এমন সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে অনেক সমালোচকদের মুখে। এই মুহূর্তে বিরাট কোহলিই একমাত্র ব্যাটসম্যান, যিনি তিন ঘরানার ক্রিকেটে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৫ জনের মধ্যে আছেন। এর আগে ২০১৩ সালে টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৫ জনের মধ্যে ছিলেন কুক।

এদিকে খুব ভাল ফর্মে থাকা ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট ১৪ পয়েন্ট পেয়েছেন তার ১৩৬ রানের ইনিংসের জন্য। রুটের মোট পয়েন্ট এখন ৯০৫। তিনি পিছিয়ে আছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের চেয়ে। ক্রমতালিকায় শীর্ষে আছেন স্টিভ স্মিথই, ৯৪১ পয়েন্ট পেয়ে। সামনেই রয়েছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২ টেস্টের সিরিজ। মনে হয়, বাংলাদেশ সফরেও স্মিথ বড় রান করে ১ নম্বর জায়গাটা ধরে রাখতে পারবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
শাড়ি পরেই ৪২ কিলোমিটার দৌড় ভারতীয় নারীর!

যে সকল শাড়ি পরেন তাদের অধিকাংশই জানেন শরীরে শাড়ি জড়িয়ে রাস্তায় হাঁটা কতটা বিপজ্জনক। শাড়ি পরে হাঁটা-চলাতে তেমন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
কিন্তু শাড়ি পরে যে ম্যারাথনে দৌড়ানো সম্ভব তা দেখিয়ে দিলেন ভারতের জয়ন্তী সম্পত কুমার।

এমন কঠিন একটি কাজ অতি সহজেই করে দেখিয়েছেন এই ভারতীয় নারী। প্রায় ২০,০০০ প্রতিযোগীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ৪২ কিলোমিটার পথ শাড়ি পরেই অতিক্রম করেছেন তিনি। শাড়ি পরেই লড়েছেন গতির সঙ্গে। আর ছুঁয়েছেন ফিনিশিং লাইন।

শাড়ি পরাতে বর্তমানে বেশ অনীহা দেখা যাচ্ছে ভারতের আজকের প্রজন্মের মধ্যে। এই উৎসাহ ফিরিয়ে আনতেই শাড়ি পরে ম্যারথনে দৌড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন হায়দ্রাবাদের এই নারী। শাড়ি পরা নারীদের দৌড় দেখার জন্য অনেকেই ভিড় জমিয়েছিলেন ম্যারাথন স্থলে। কেউ কেউ আবার জয়ন্তীর উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর জন্য ধুতিও পরে এসেছিলেন।

ফের এভাবেই শাড়ি পরে দৌড়তে চান জয়ন্তী। এবার তিনি গিনেস বুকে নাম তুলতে চান। শাড়ি পরে দৌড়ে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করার রেকর্ড পেতে চান হায়দরাবাদের মহিলা। তবে এর জন্য প্রয়োজন ডাক্তারের ফিট সার্টিফিকেট। তা জোগাড় করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন জয়ন্তী। নতুন করে শুরু করেছেন প্র্যাকটিস। শাড়ি পরেই অসাধ্য সাধন করতে হবে তাকে। এই মর্মেই যেন নিয়েছেন শপথ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কলারোয়ায় ফেনসিডিলসহ ভ্যান চালক আটক

কলারোয়ায় ১‘শ বোতল ফেনসিডিলসহ এক ভ্যানচালককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের মদনপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক আ.রাজ্জাক (৩৮) ওই ইউনিয়নের কাঁদপুর গ্রামের মৃত এলাই বক্সের ছেলে।
থানা সূত্র জানায়- কলারোয়া থানার এসআই বিপ্লব রায়, এএসআই আব্দুর রহমান, এএসআই রফিক, এএসআই ইছাহাক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মদনপুর গ্রামের পাকা রাস্তা থেকে এক ব্যাটারী চালিত ভ্যান আটক করে। পরে ওই ভ্যানে তল্লাসী চালিয়ে অভিনব কায়দায় ভ্যানের নিচে সেটকরা একটি হাটবোর্ডের ভিতর থেকে ১‘শ পিচ ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এসময় ওই ভ্যানসহ ভ্যানের চালক আ. রাজ্জাককে আটক করে পুলিশ। সে দীর্ঘদিন ধরে এই ভ্যানে ফেনসিডিল নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় ও পাঠিয়ে থাকে বলে জানালেন থানার এএসআই আব্দুর রহমান।
এ ঘটনায় কলারোয়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা গেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
ধুলিহরে তিন সহোদরকে চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ওরফে বাবু সানার বিপক্ষে কথা বলার অপরাধে তিন সহোদরকে চুরির অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার ও শনিবার দু’দফায এ ঘটনাটি ঘটে। আহত তিন সহদোর হলেন, সদর উপজেলার ধুলিহর সানাপাড়া গ্রামের মৃত ইমান আলী কারিকরের পুত্র কেসমত আলী, রহমত আলী ও সাবুর আলী। ভীত সন্ত্রস্ত এই সহোদররা ভয়ে মুখ খুলতেও সাহস পাচ্ছেন না।
অভিযোগ উঠেছে- সাবুর আলীর ভাই কেসমত আলীকে গত বৃহস্পতিবার সকালে চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে ছাগল চুরির অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে বেত দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন। এরপর কেসমত আলীর ছোট ভাই রহমত আলী বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে তাকেও ধরে নিয়ে যাওয়া হয় ইউনিয়ন পরিষদে। পরে দুপুরে কেসমত আলী ও রহমত আলীকে ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্পের এ,এস,আই সৈয়দ আলীর কাছে দিলে তিনি তাদের ক্যাম্পে নিয়ে আটকে রাখেন। পরবর্তীতে দেন দরবার শেষে ওই দিন রাত ১১ টার দিকে পুলিশকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে মুচলেকার মাধ্যমে তারা ক্যাম্প থেকে মুক্তি পান।
এর একদিন পর গত শনিবার সাবুর আলী এই বিষয়টি এলাকার জনৈক ব্যক্তির সাথে গল্প করাকালে চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই মিন্টু শুনতে পেয়ে চেয়ারম্যানেকে বিষয়টি জানান। চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিক দফাদার জহির ও গ্রাম পুলিশ মিন্টু সাহা (ভোম্বল)-কে দিয়ে সাবুর আলীকে তার বাড়ি থেকে চেয়ারম্যানের বাড়িতে ডেকে আনে। এসময় তাকে চেয়ারম্যানের বাড়ির একটি কক্ষে আটকিয়ে নির্মমভাবে উপর্যুপরি ৩টি লাঠি দিয়ে পেটায়। চেয়ারম্যান বাবু সানার দেহরক্ষী সোহরাব তাকে এ ৩টি লাঠি সরবরাহ করে।
সাবুর আলী জানান, মারপিট করার সময় চেয়ারম্যান বলে, তুইও চোর, তোর নামে জামাতের মামলা রয়েছে, তোকে আরো ৪/৫টি মামলা দিয়ে চালান করবো। এ সময় সে কয়েকবার চেয়ারম্যানের পা জড়িয়ে ধরে অনুনয় বিনয় করে বলে ‘আমার কিছু নেই, আমি দেশ ছেড়ে চলে যাবো। তখন চেয়ারম্যান বলে ‘আজকেই চলে যেতে পারবি’। এসব বলতে বলতে তাকে লাথি মারে ফেলে দিয়ে বেধড়ক পিটাতে থাকে। মারপিটে সাবুর আলীর ডান হাতের কবজিতে চোট পায়। এছাড়া সারা শরীর থেতলে যায়। চেয়ারম্যান ছেড়ে দেওয়ার সময় সাবুর আলীকে আরো বলে ‘এই কথা যদি কেউ শোনে তাহলে তোর হাড় একটা একটা করে বেছে ফেলবো’। চেয়ারম্যানের ভয়ে সাবুর আলী কাউকে কিছু না জানিয়ে স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক মফিজুল ইসলামকে দেখিয়ে ব্যান্ডেজ ও হাত প্লাস্টার করিয়ে নেন।
সাবুর আলী আরো জানান, ২০১৩ সালে সুন্দরবনে পিকনিকে গিয়ে চেয়ারম্যান বাবু সানার সাথে হরিণের মাংস নিয়ে গোলযোগ হয়। এরই জের ধরে সে তার নামে নাশকতার মামলা দেয়। কান্নাজড়িত কন্ঠে আরো জানায়, যে মার আমাকে মেরেছে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেন না। হাতে পায়ে ধরে অনুরোধ করেও নিজেকে রক্ষা করতে পারিনি। আমরা গরিব মানুষ। আমাদের বিচার কেউ করবে না। এলাকার কোন মানুষ বলতে পারবে না আমি কোন দল করি। অথচ মিথ্যা মামলায় জেল খেটে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। চেয়ারম্যান কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ভয়ে এসব পত্রিকায় না লেখার জন্য এই প্রতিবেদককে তিনি অনুরোধ জানান। চেয়ারম্যান জানতে পারলে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে তার।
ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্পের এ,এস,আই সৈয়দ আলী বলেন, কিসমত ও রহমত আলীর বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ ছিলো, তাদের আটক রাখা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সেটা তারা স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি ঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।
সাবুর আলীর ভাই কেসমত আলী তাদের তিন ভাইকে চেয়ারম্যান বাবু সানা চুরির অপবাদ দিয়ে মারপিট করে আহত করেছেন বলে স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান বাবু সানার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “সাবুর আলীকে মারপিট করার ঘটনা মিথ্যা। আমি তাকে মারপিট করিনি। তার ভাই কিসমত মটর ও ছাগল চুরি করেছিল। চুরি করে যাওয়ার সময় কিসমতের জামা রেখে যায়। এলাকাবাসী ওই জামা দেখে চিনতে পারে। তাই তাদের ধরে ক্যাম্পে দেওয়া হয়। ক্যাম্পে জরিমানা দিয়ে তারা চলে আসে। এছাড়া সাবুর আলীর সাথে কোন কিছুই ঘটেনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
কালিগঞ্জের বড়শিমলা কারবালা হাইস্কুলের বেহাল দশা পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, কালিগঞ্জ: নানা অব্যবস্থাপনা ও স্থানীয় গ্রুপিংয়ে জর্জরিত কালিগঞ্জের বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। অবকাঠামো ও শিক্ষক স্বল্পতায় পড়াশুনার পরিবেশ বিঘিœত হলেও কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি এখনও বিদ্যালয়ের অগ্রগতি বাঁধাগ্রস্ত করতে কাল্পনিক অভিযোগ নিয়ে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিন স্কুলে যেয়ে জানা যায়, ১৯৬৯ সালে ভাড়াশিমলার কিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির প্রচেষ্টায় বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর প্রায় অর্ধশত বছর পার হলেও অবকাঠামো ও শৌচাগার সংকটসহ বিভিন্ন সংকটের মুখে পড়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘিœত হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৩শ’ শিক্ষার্থী ওই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে। বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের অভিভাবক প্রতিনিধি শেখ মোজাহিদুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, আবুল হোসেন, অভিভাবক অসীম ঘোষসহ এলাকাবাসী জানান, মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তি ছাড়া অধিকাংশ মানুষ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে চিন্তাভাবন করেনা। তারা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত। এমনকি তাদের ছেলেমেয়েরা এই স্কুলে ভর্তি না করিয়ে অন্য স্কুলে পড়ালেখা করাচ্ছে।
তারা আরও জানান, প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান খান ২০০০ সালে অবসরে যান। দীর্ঘ ১৭ বছর প্রধান শিক্ষক না থাকায় ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠান। এর আগে থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদটিও শূন্য। তাছাড়া ২০১১ সালের পর থেকে কিছু ব্যক্তির দলাদলির মধ্যে পড়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা যায়নি। আহবায়ক কমিটি দিয়ে কোনো রকমে প্রতিষ্ঠান খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলেছে। প্রশাসনিক দু’টি পদ শূন্য থাকায় এবং ম্যানেজিং কমিটি না থাকার খারাপ ফল তীলে তীলে ভোগ করছে এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের পর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গত ০৫/০৮/১৭ তারিখে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক ও অফিস সহকারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগকৃতরা গত ১৭/০৮/১৭ তারিখে যোগদানের পর প্রধান শিক্ষক গাজী মিজানুর রহমান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলীর তত্ত্বাবধানে নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কিন্তু এলাকার একটি মহল অর্থবাণিজ্য করতে না পেরে স্কুলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এখানে নানাভাবে অস্থিতিশীল পরিবেশ যারা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে তারা কেউই অভিভাবক না। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।
স্কুল চলাকালে ১০ম শ্রেণির ছাত্র গৌতম কুমার সাহা ও সাকলাইন মোস্তাক, ৮ম শ্রেণির ছাত্রী মেহেরুন নেছা মীম, সাদিয়া আক্তার, সৃষ্টিরেখাসহ আরও কয়েকজন জানান, নতুন হেডস্যার যোগদানের পর থেকে ঠিকমতো ক্লাস হচ্ছে। তারা এখন খুব খুশী। এভাবে পড়াশুনা হলে ভাল রেজাল্ট করে বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে পারবে বলে তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। এসময় তারা বলে, স্কুলে মাত্র একটা বাথরুম হওয়ায় তাদের বেশ সমস্যা হচ্ছে। বর্ষাকালে স্কুলের সামনে পানি জমে যায়। শ্রেণিকক্ষ কম থাকায় গ্রুপ সাবজেক্টে ক্লাস করতে অসুবিধা হয়। তারা জরুরি ভিত্তিতে এসব সমস্যা দুর করে পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানায়।
বিদ্যালয়ের হিন্দু ধর্মের শিক্ষক স্বপ্না রানী সরকার জানান, তিনি ২০১২ সাল থেকে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। প্রশাসনিক পদ শূণ্য থাকায় এবং শিক্ষক কম থাকায় পড়াশুনার বেশ সমস্যা হচ্ছিল। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হওয়ার পর বিদ্যালয়ের পরিবেশ আমুল পরিবর্তন হয়েছে। সঠিক দিক নির্দেশনা পড়ে শিক্ষার্থীরা পূর্নোদ্দমে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করেছে। খুব শীঘ্রই বিদ্যালয়টি পড়ালেখা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জন করে এলাকার অভিভাবকদের মাঝে আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বড়শিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ্ব খান আসাদুর রহমান জানান, “আমি সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে স্কুলের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। সেই লক্ষ্যে সরকারি বিধি মোতাবেক অত্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশে নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ চারটি পদে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। খুব শীঘ্রই পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জন করার পাশাপশি বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশের উন্নতি হবে বলে আশা করছি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest