সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জের সাবেক সমাজসেবা অফিসার শহিদুরের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগসাতক্ষীরায় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন: ভোলা জেলাকে ৪-১ গোলে হারাল সাতক্ষীরাদেবহাটার নোড়ারচকে নাটক সাজিয়ে অস্ত্র মামলায় বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগসাতক্ষীরায় সংলাপ বক্তারা: আগামী নির্বাচনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রæতি চায়হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদরের বিভিন্ন নি¤œাঞ্চল ও সড়কের বেহাল দশা সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। তিনি মঙ্গলবার বিকালে মাধবকাটি বাজার এলাকায় সাধারণ মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি বলেন, জেলার সকল সড়কের বেহালদশা আমাকে খুবই কষ্ট দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে ম্লান করে দিচ্ছে এই যোগাযোগ ব্যাবস্থা। জেলার প্রধান প্রধান সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। চলতি বর্ষা মৌসুম শেষ হলে সকল সড়কের কাজ শুরু হবে। জেলার অনেক নিম্মাঞ্চল অপরিকল্পিত মৎস্য ঘের ও অপরিকল্পিত বসত বাড়ি নির্মাণের কারণে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তাই সকলকে সজাগ থাকতে হবে এবং জনগণের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এসময় তিনি রামেরডাঙ্গা বাজারসহ কয়েকটি এলাকার রাস্তা-ঘাট ও স্কুল-কলেজ পরিদর্শন করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে শোক র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় নওয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আয়োজনে গাজীরহাট বাজারে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নওয়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাব্বির হোসেনের সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান। নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহমুদুল হক লাভলু, সাধারণ সম্পাদক আলগীর হোসেন সাহেব আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম হাফিজসহ সকল ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। এ সময় ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

দারুচিনি শুধু রান্নার স্বাদ আর গন্ধ বাড়াতেই সাহায্যই করে না, এর রয়েছে অনেক গুণও। আপনার অসুখ সারাতেও এটি সমান কার্যকর। জ্বর, পেটব্যথা বা এজাতীয় সমস্যা সারাতে দারুচিনি খেতে পারেন। দারুচিনিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং কয়েক ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল। এমনি এমনি বা রান্নার মসলা হিসেবে তো দারুচিনি খাওয়া যায়ই, পাশাপাশি খেতে পারেন চায়ের সঙ্গে। দারুচিনিতে প্রচুর মিনারেল ও ভিটামিন রয়েছে। এতে সামান্য প্রোটিনও আছে।

টাইপ-টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুচিনি খুব উপকারি। কারণ, এটি রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

দারুচিনিতে রয়েছে প্রচুর ম্যাঙ্গানিজ। মজবুত হাড়, রক্ত ও দেহের অন্যান্য টিস্যু গঠনে সাহায্য করে। বাতের ব্যথায় দারুচিনির তেল বা চা উপকারি। ব্যথা কমাতে দারুচিনি ও মধু দারুণ কাজ করে। হাড়ের জোড়ায় ব্যথা হলে হালকা গরম পানিতে এক চামচ মধু ও দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় আস্তে আস্তে মালিশ করলে ব্যথা কমবে।

দেহের রক্ত তরল থাকতে সাহায্য করে দারুচিনি। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ প্রায় ১০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে দারুচিনি। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

পৃথিবীর সেরা সাত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় রয়েছে দারুচিনি। শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষত সারিয়ে তুলতে এই মশলা কার্যকর।

খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে দারুচিনি খেলে উপকার পাওয়া যায়। পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস দমন করে। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসাবে কাজ করে। দারুচিনি ও মধু পেটে ব্যথা কমায়। অ্যাসিডিটি দূর করে।

গ্যাস্ট্রিক আলসার, মেলানোমা বা ত্বকের মেলানিন কোষ মিলে যে টিউমার হয়, তার সম্ভাবনা কমায় দারুচিনি। লিউকোমিয়া ও লিমফোমা ক্যান্সারের কোষগুলোর প্রভাব কমায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ভারতের বিখ্যাত ‘মুঘলসরাই’ রেল স্টেশনের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের পর এবার মহারাষ্ট্রে স্কুলের পাঠ্যবই থেকেও মুঘল আমলের ইতিহাস অনেকটাই মুছে দেওয়া হয়েছে।

বিজেপি-শাসিত ওই রাজ্যে সপ্তম ও নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এখন থেকে মুঘল ইতিহাসের বদলে মারাঠা বীর শিবাজী মহারাজের কাহিনীই বেশি করে পড়বে।

বিরোধী দলগুলো বলছে, এটা ভারতের ইতিহাস থেকে মুঘল শাসনের পর্বটাই মুছে দেওয়ার চেষ্টা – যদিও বিজেপি এর মধ্যে অন্যায় কিছু দেখছে না। বরং মুঘল শাসনেররও আগে ভারতের যে ‘গৌরবের ইতিহাস’ আছে, পাঠ্যবইতে সেটার ওপরই জোর দেওয়ার কথা বলছে তারা।

ভারতীয় রেলের প্রায় জন্মলগ্ন থেকে মুঘলসরাই একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ রেল জংশন – এশিয়ার সবচেয়ে বড় রেল ইয়ার্ডও আছে এখানেই।

দিল্লি-কলকাতা রুটের মাঝপথে এই স্টেশনটির নাম বদলে বিজেপির তাত্ত্বিক গুরু দীনদয়াল উপাধ্যায়ের নামে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে – গত সপ্তাহে সে কথা জানাজানি হওয়ার পরই পার্লামেন্টে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিলেন বিরোধী সদস্যরা।

সেই বিতর্ক না-থিতোতেই এখন জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের স্কুল শিক্ষা পর্ষদ তাদের ইতিহাসের পাঠ্যবই থেকে মুঘল জমানার অধ্যায় প্রায় পুরোটাই ছেঁটে ফেলেছে – তার জায়গায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কংগ্রেস জমানার বফর্স কেলেঙ্কারি, ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা এবং আরও বেশি করে শিবাজী মহারাজের বীরগাথা।

কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ারের মতে, এগুলো ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের কোণঠাসা করার ন্যারেটিভেরই অংশ।

তিনি বলছেন, “আফশোস এখানেই – মুঘলসরাই স্টেশন ভারতের ইতিহাসের একটা অংশ – কিন্তু এখন এরা বলার চেষ্টা করছেন মুসলিমরা আসলে ভারতীয়ই ছিলেন না। সেই আমলে আমরা ছিলাম গোলাম, আর সেই ইতিহাসই এরা পাল্টাতে চান। ভারতীয় মুসলিমদের বিজাতীয় প্রমাণ করার যে যুদ্ধে তারা নেমেছেন, এগুলো তারই হাতিয়ার।”

বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহার অবশ্য বলতে দ্বিধা নেই, মুঘল জমানার ইতিহাস ভারতের আসল ইতিহাসই নয়।

তিনি বিবিসিকে বলছিলেন, “বাবর-আকবর-হুমায়ুন দেশ নয়। তারা আক্রমণকারী, বাইরে থেকে এসে এ দেশ শাসন করেছে। তো সেই মুঘল ইতিহাস বা ব্রিটিশ শাসনের পরাধীনতার ইতিহাস যদি পড়ানো হবে, মুঘলদের আগের ইতিহাস কেন পড়ানো হবে না? কেন শুধু আমরা গত সাতশো বছরেই আটকে থাকব?”

“আমার প্রশ্ন হল, ভারত তো শুধু সাতশো বছরের দেশ নয় – অনেক প্রাচীন দেশ। আজকের বহু সভ্য দেশ যখন অসভ্য ছিল, তখন থেকেই এখানে জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চা চলছে। সুতরাং আমরা মনে করি ভারতবাসী যদি পূর্বপুরুষদের সেই গৌরবের ইতিহাস জানতে পারে, দেশকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।”

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুঘল যুগের ইতিহাস পড়ান অধ্যাপক শিরিন মাসুদ – তিনি কিন্তু সতর্ক করে দিচ্ছেন নতুনভাবে এই ইতিহাস লেখার চেষ্টা আর রাস্তা-স্টেশনের নামবদলের বিপদ সম্পর্কে।

তার কথায়, “মহারাষ্ট্রে পাঠ্যপুস্তকে বদল নিয়ে বলা হচ্ছে, স্থানীয় ইতিহাসও স্কুল পর্যায়ে ছাত্রদের জানা দরকার। বেশ মানলাম, কারণ সর্বভারতীয় স্তরে স্থানীয় ইতিহাস তেমন জানার সুযোগ নেই। কিন্তু এভাবে দেশের প্রতিটা অঞ্চল যদি তাদের স্থানীয় দৃষ্টিভঙ্গী থেকে ইতিহাসকে দেখতে শুরু করে সেটা কিন্তু আখেরে মোটেই ভাল হবে না।”

“আর এই যে নাম বদলের প্রবণতা – যেভাবে আগে আওরঙ্গজেব রোডের নামও বদলানো হয়েছে – এই ছোট ছোট ঘটনাগুলো জুড়েই কিন্তু বড় আকার নেয়। একটা স্তরে আপনি বলতে পারেন এর মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছি, কিংবা বলতে পারেন পুরনো অন্যায়ের প্রতিকার করছি – কিন্তু কীভাবে আপনি ঐতিহাসিক তথ্য বা বাস্তবতাকে অস্বীকার করবেন?”, বলছিলেন ড: মাসুদ।

কংগ্রেস আমলেও দিল্লির বিখ্যাত কনট প্লেসের নাম বদলে রাখা হয়েছিল রাজীব চক। সেই দৃষ্টান্ত দিয়ে বিজেপি আবার প্রশ্ন তুলছে, কেন বিরোধীদের আপত্তি শুধু মুঘলদের স্মৃতিজড়িত নাম বদলানোতেই?

রাহুল সিনহার কথায়, “ব্রিটিশ আমলের নাম বদলে ভারতীয় লোকের নামে রাখলে যদি অসুবিধা না-থাকে, তাহলে মুঘল আমলের নাম বদলালে অসুবিধা কোথায়? অসুবিধা এখানেই যে ওতে ভোটের সুড়সুড়ি আছে।”

“ব্রিটিশদের নাম ফেলে দিতে কোনও অসুবিধা নেই, কারণ ইংরেজের নামে এ দেশে কোনও ভোট নেই। কিন্তু মুঘলদের নাম ফেলতে গেলেই ত্রাহি-ত্রাহি রব উঠবে, কারণ তখন ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে একটা সম্প্রদায়ের ভোট আদায় করা যাবে না”, বলছেন মি সিনহা।

ইতিহাস বলে, ভারত প্রায় ৭৬৬ বছর মুসলিম শাসনের অধীনে ছিল। একুশ শতকের ভারতে এখন সেই পর্বটাকেই ম্লান করে দেওয়ার সচেতন চেষ্টা চলছে – আর স্পষ্টতই তার পেছনে আছে ধর্মীয় রাজনীতির অঙ্ক।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

লাক্সতারকা সাবিনা রিমা অভিনয় করেছেন একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে। যার নাম হৃদয়ের আয়না। এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের টাইটেল গান ‘হৃদয়ের আয়না’ প্রকাশ হয়েছে রোববার। রোমান্টিক এই গানটি দিয়ে নজর কেড়েছেন রিমা।

তার সঙ্গে পারফর্কম করেছেন সাগর, যিনি ‌‘শেষ চুম্বন’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা আশিকুর রহমান। আর ‘হৃদয়ের আয়না’ গানে গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আকাশ সেন ও তিশা।

রিমা বলেন, ‘এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির গল্প শোনার পরেই কাজটি করতে রাজি হয়ে যাই। এরই ইউটিউবে প্রকাশ হবার পর থেকেই খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদের পুরো টিম স্বল্পদৈর্ঘ্যটি তৈরির সময় অনেক পরিশ্রম করেছেন। খুব শিগগিরই স্বল্পদৈর্ঘ্যটি ইউটিউবে প্রকাশ করা হবে।’

লাক্স প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার আগে একুশে টিভির মুক্ত খবরের উপস্থাপিকা ছিলেন সাবিনা রিমা। এরপর ২০১২ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপার স্টার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নতুন করে শুরু করেন পথচলা। সাইফ চন্দনের ‘ছেলেটি আবোল-তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল’ ছবিতেও দেখা গিয়েছিল তাকে। বর্তমানে রিমা দীপ্ত টিভির দুইটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করের ১% হিসাব থেকে এক কোটি টাকা হস্তান্তর করেছেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার। যৌথ একাউন্ট বদলে একক স্বাক্ষরে গত এক বছরে এ টাকা ঘস্তান্তর করা হয়। গত ৩১ জুলাই তালা উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি সামনে আসলে আলোচনার ঝড় ওঠে।
সরকারি নীতিমালা থেকে জানাযায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের ইপ শাখা কর্তৃক জারীকৃত ২০০৫ সালের নীতিমালায় অনুসারে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করের ১% হিসাবে প্রাপ্ত টাকা ব্যয়ের জন্য স্থানীয় তফসীল ভূক্ত যে কোন ব্যাংকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর সংক্রান্ত একটি হিসাব খুলবেন। উক্ত হিসাব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীর যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলী জমাকৃত অর্থ উপজেলাধীন সকল ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে বণ্টন করবেন। নীতিমালা মেনে ২০০৫ সাল থেকে ২০১৬ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত তালা সোনালী ব্যাংকে কর হিসাব নামে একাউন্টটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীর যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হতো। কিন্তু ২০১৬ সালের ১৬ মে’র পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার যৌথ একাউন্ট বদলে একক স্বাক্ষরে উক্ত একাউন্ট পরিচালিত করেন। ২০১৭ সালের ২৯ জুন পর্যন্ত একক স্বাক্ষরেই এ হিসাবটি পরিচালিত হয়। যার হিসাব নং-১৭০২।
হিসাব বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৬ মে থেকে ২০১৭ সালের ২৯ জুন পর্যন্ত স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করের ১% হিসাব একাউন্ট থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের একক স্বাক্ষরে এক কোটি ৭ লাখ টাকা ঘস্তান্তর করা হয়েছে। যার মধ্যে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সব্বোর্চ ১৪ লাখ টাকা এবং সর্বনি¤œ ৭৩ হাজার ৮৩ টাকা এক চেকের মাধ্যমে ঘস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই তালা উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উক্ত হিসাব একক ক্ষমতায় পরিচালনার বিষয় এবং এস্টিমেট তৈরি না করার বিষয়ে আলোচনা হয়। যে সব ইউনিয়নকে দেওয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশই উপজেলা প্রকৌশলীর কাছ থেকে এস্টিমেট না করে কাজ শেষ করেছেন। সমন্বয় সভায় তালা উপজেলার স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করের ১% হিসাবের টাকা খরচ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এ বিষয়ে মাগুরার ইউপি চেয়ারম্যান গনেশ দেবনাথ বলেন, কিছু বরাদ্দ পেয়েছি। কিন্তু এস্টিমেটের অভাবে কাজ পেন্ডিং রয়েছে।
এ বিষয়ে তালা উপজেলার জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু বলেন, বরাদ্দ পেয়েছি। আমি এস্টিমেট করে কাজ শেষ করেছি। তবে তিনি কি পরিমাণ বরাদ্দ পেয়েছেন সে বিষয়ে কিছু জানাতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিপু বলেন, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করের ১% এর কিছু বরাদ্দ পেয়েছি। ইতোমধ্যে কাজ শেষ করেছি। কিন্তু এখনও বিল পরিশোধ করতে পারছি না। উপজেলা প্রকৌশলী কাজের এস্টিমেট না করে দেওয়ায় বিল উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না।
তালা সোনলী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ভবেষ চন্দ্র মৃধা বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, এটি উপজেলা প্রশাসনের নিজস্ব একাউন্ট, তাই তার স্বাক্ষরেই এ একাউন্ট পরিচালিত হচ্ছে।
তালা উপজেলা প্রকৌশলী কাজী আবু সাঈদ মোঃ জসীম বলেন, বিগত দিনে সরকারি পরিপত্র অনুসারে একাউন্টটি পরিচালিত হতো। কিন্তু গত এক বছর সরকারি পরিপত্রের তোয়াক্কা না করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একক স্বাক্ষরে ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা হস্তান্তর করা হচ্ছে। বিষয়টি জানার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করেছি।
তালা উপজেলা চেয়াম্যান ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুসারে একাউন্টটি যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার একক স্বাক্ষরে একাউন্টটি পরিচালনা করে গত এক বছরে প্রায় কোটি খানেক টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। ৩১ জুলাই তালা উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় এবিষয়ে আলোচনা উঠলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোন সঠিক উত্তর দেন নি।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেন বলেন, টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন মূলক কর্মকা- পরিচালনা করার জন্য। নীতিমালা অনুসারে এ টাকা খরচ করা হবে। তবে একক স্বাক্ষরে টাকা হস্তান্তরের বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবার পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
এসময় তিনি বলেন, ‘তোমরা আমাকে দাদু বলে ডাকবে। তোমাদের যেকোন সমস্যা হলে আমাকে জানাবে। আমি তাৎক্ষণিক তোমাদের সকল সমস্যার সমাধান করার ব্যবস্থা নেব।’
মঙ্গলবার সকালে এতিম শিশুদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে তিনি সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবারে যান। এসময় তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং শিশু পরিবারের কর্মকর্তাদের ডেকে দ্রুত সকল সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি শিশু পরিবারের উপ-তত্বাবধায়ক মো. মিজানুর রহমানসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আশাশুনি ব্যুরো : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপি’র আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক ও দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহীন ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আদালত কর্তৃক একটি মামলায় ওয়ারেন্টের আসামি হওয়ায় পুলিশ তাকে মঙ্গলবার দুপুরে স্কুলের পাশ্ববর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তবে তার বিরুদ্ধে আর কোন অভিযোগ রয়েছে কিনা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest