সর্বশেষ সংবাদ-
কালিগঞ্জের সাবেক সমাজসেবা অফিসার শহিদুরের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর নামে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগসাতক্ষীরায় চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন: ভোলা জেলাকে ৪-১ গোলে হারাল সাতক্ষীরাদেবহাটার নোড়ারচকে নাটক সাজিয়ে অস্ত্র মামলায় বৃদ্ধাকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগসাতক্ষীরায় সংলাপ বক্তারা: আগামী নির্বাচনে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রæতি চায়হাসানের পরিবারের দাপট অব্যাহত: পাটকেলঘাটায় মানববন্ধনে প্রকাশ্য হামলাচতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিতে অম্লান চিকিৎসক ডা. আনিছুরসাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের অনুকুলে ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণশ্যামনগরে কাজী আলাউদ্দীনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পদেবহাটা উপজেলা জামায়াতের সুধী সমাবেশপ্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশ

হার্ট অ্যাটাক সাধারণ কোন রোগ না। আগে একটি নির্দিষ্ট বয়সের মানুষ এ রোগ থেকে বাঁচার জন্য সাবধানতা অবলম্বন করতো। কিন্তু এখন যে কোন বয়সের মানুষের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা রয়েছে। বুকে ব্যথা ছাড়াও কিছু লক্ষণ আছে যা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। তাই নিজে সুস্থ থাকতে এবং প্রিয়জনদের সুস্থ রাখতে জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ এবং প্রতিরোধের উপায়গুলো।

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ-

১) হার্ট অ্যাটাকের সবথেকে বড় লক্ষণ হল বুকে ব্যথা হওয়া। তাই আপনি যদি বুকে ব্যথা অনুভব করেন, কিংবা কোনও ব্যক্তিকে বুকে ব্যথায় কষ্ট পেতে দেখেন, তাহলে দেরি হয়ে যাওয়ার আগে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে যান।

২) ক্লান্তি-অবসাদও হার্ট অ্যাটাকের বড় লক্ষণ।

৩) বুকে ব্যথা হওয়ার সঙ্গে কিংবা ছাড়াই যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয় তাহলে অবশ্যই সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্সকের কাছে যান।

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়-

১) স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন মেনে চলা। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। প্রচুর পরিমানে ফল এবং সবজি খেতে হবে।

২) রক্তচাপ ঠিক রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। এর ফলে একদিকে যেমন রক্তচাপ সঠিক থাকে, তেমনই ওজনও সঠিক থাকে।

৩) তামাক জাতীয় দ্রব্য বর্জন করতেই হবে।

৪) তামাকের মতো অ্যালকোহলে প্রচুর পরিমানে ক্যালোরি থাকে। অতিরিক্ত মদ্যপান রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে মদ্যপান ত্যাগ করতে হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

পর্ণের সাম্রাজ্য দুনিয়া জোড়া৷ পর্ণ দেখেন না এরকম ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর৷ যদিও অনেকেই সে কথা স্বীকার করতে চাইবেন না৷

পর্ণ সিনেমায় যারা অভিনয় করেন, তাদের প্রায় প্রতিদিনই নানা রকম লজ্জাজনক পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। বিশেষ করে পর্ণ অভিনেত্রীদের। আইনগতভাবে একটি বৈধ পেশা হওয়া সত্ত্বে এবং সারা পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ এটা উপভোগ করার পরও তাদের প্রতি এক ধরনের অস্বাভাবিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে সবার। দিন দিন পর্ণ সিনেমার পেছনে মানুষের ব্যয় বাড়লেও সমাজে বিষয়টি এখন পর্যন্ত কঠোরভাবেই নিষিদ্ধ।

পর্ণ সিনেমা বিষয়ে সমাজে বিদ্যমান কলঙ্ক উপেক্ষা করে এই শিল্পে আসা মানে সম্ভবত সবচেয়ে কঠিন কাজটা করার দুঃসাহস দেখানো। অন্য যে কোনও পেশায় যাওয়াটা এর চেয়ে অনেক সহজ। এতকিছু সত্ত্বেও অনেকেই এই কাজে দশকের পর দশক ধরে টিকে আছে। শিল্পটিতে তৈরি হয়েছে অনেক সেলিব্রিটি। অনেকে নানা পুরস্কারও জিতেছেন। তৈরি হয়েছে তাদের একটি বড় ভক্তগোষ্ঠি।

এক সময় ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে এই পেশায় কাজ করার পর মার্কিন পর্ণ অভিনেত্রী লিসা অ্যান এবং জেসিকা ড্রেকের মতো অনেকেই এই শিল্পের বাইরে গিয়েও সফল হয়েছেন। সব কলঙ্ক আর গ্লানি উপেক্ষা করে ড্রেক যখন মূলধারার অভিনয় এবং মডেলিংয়ের জগতে আসেন তখনকার অনুভূতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘লজ্জা এবং কলঙ্কের কারণে আমরা এক সময় ভাবতাম অন্য কোথাও কাজ করার সুযোগ আমাদের নেই। আমরা নিজেরাই নিজেদের কাছে লজ্জিত থাকতাম। এটা করে আমরা আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করেছি।’

সামাজিক এসব কারণ ছাড়াও আরো একটি বিশেষ কারণ আছে, যে জন্য পর্ণ অভিনেত্রীদের তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে ভয়ানক লজ্জাকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। সেটা হচ্ছে তাদের মাতৃত্ব। পর্ণ শিল্পে নিজের অভিনয় সম্পর্কে অনেক অভিনেত্রীই ভাই-বোন, এমনকি মা-বাবার সঙ্গেও অনেক সময় আলোচনা করে থাকে। তবে এটা অনেক বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়ায় নিজের সন্তানের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে তারা যখন ইন্টারনেটের জগতে প্রবেশ করতে শেখে।

এ বিষয়ে মার্কিন গণমাধ্যম ডেইলি বিস্ট পত্রিকায় লেখা এক নিবন্ধে সাবেক পর্ণ অভিনেত্রী অরোরা স্নো জানান, একই সঙ্গে পর্ণ সিনেমায় অভিনয় করা এবং মা হওয়া সত্যিকার অর্থেই অত্যন্ত একটি কঠিন কাজ। স্নো লেখেন, ‘পর্ণ বিনোদনের জগতে কাজ করা মা-বাবাদের নিজেদের কাজ এবং বাড়ির মধ্যে একটি দেয়াল টেনে দিতে হয়। অনেক গোপন থাকতে হয় তাদের। সন্তানদের সঙ্গে বেশি আলাপ আলোচনা থেকে বিরত থাকতে হয়।’

এই রকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন এক সময়ের পর্ণ অভিনেত্রী লং জেন সিলভার। সত্তরের দশকে পর্ণ সিনেমার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। তার পর্ণ সিনেমায় কাজ করার সময়ের একটি ছবি একবার তার মেয়ে ইন্টারনেটে দেখে ফেলে। সে তার মাকে টেলিফোনে জিজ্ঞেস করে, ‘মা, তুমি কি কখনো লং জেন সিলভারের নাম শুনেছো?’

এ কথা শোনার পর ফোন কলটি কেটে দেন সিলভার। পরে মেয়েকে ফোন দিয়ে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি তোমার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলতে চাই।’ দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় যখন আশপাশের লোকজন বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নেয় না। একই সঙ্গে একজন নারীকে যৌনকর্মী এবং স্নেহশীল মা হিসেবে মেনে নিতে তারা প্রস্তুত থাকে না।

এক সময় প্রায় দুই দশক ধরে পর্ণ সিনেমায় কাজ করেছেন অ্যালানা ইভানস। তার কাজের কথা জানতে পেরে একবার তার সৎমেয়ের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছিল শিক্ষকরা। একবার এক অনুষ্ঠানে অ্যালানা ইভানসকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘একজন পর্ণ অভিনেত্রীর পক্ষে কতটা ভালো মা হওয়া সম্ভব?’ উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আমার দেহকে ব্যবহার করতাম আমার এবং আমার ছেলের খরচের জোগান দিতে। আমার ছেলে এটা সম্মানের চোখেই দেখতো। ও জানতো, আমি নিজের জন্য কিছু করছি না। ওর জন্যই করছি।’

পর্ণ জগতের আরেক খ্যাতনামা অভিনেত্রী সাভান্না স্যামসন। ৮০টিরও বেশি পর্ণ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। খ্যাতির শীর্ষে থাকাকালীন জন্ম নেয় তার দুই ছেলে। নিজের উপার্জিত অর্থ দিয়ে ছেলেদের জন্য বেশ বিলাসবহুল জীবন নিশ্চিত করতে পেরেছেন স্যামসন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার জীবনে যা কিছু করেছি সবই ওদের জন্য করেছি। এটা থেকে একদিন ওরা আরো বেশি উপকৃত হবে।’

বর্তমানে গুগল থেকে নিজের সব পর্ণ ছবি সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন স্যামসন। তিনি জানান, এটা তার নিজের জন্য নয়, বরং তার ছেলের জন্য। পর্ণ অভিনেত্রী স্টোর্মি ডেনিয়েলস ২০১২ সালে এক সাক্ষাৎকারে জানান, পর্ণ সিনেমায় অভিনয় করা সত্ত্বে তিনি তার ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে বসবাস করে আসছেন।

তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যখন তিনি পর্ণ শিল্প থেকে অবসরে যাবেন তখন তার ছেলে মেয়ে তাকে নিজের কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে কী উত্তর দেবেন? ডেনিয়েলস বলেন, ‘আমি তাদের বলব, তাদের মা এমন একটি কাজে জড়িত ছিল, যাতে অনেকেরই সম্মতি নেই। তবে তাদের মা এটা নিয়ে গর্বিত। এটা বড়দের জন্য করা তার কাজ।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

আমাদের দেশে পড়াশুনা শুরু করার পর থেকেই কতদিনে গ্রাজুয়েট টা সম্পন্ন করা যায়, তা নিয়ে থাকে ব্যাপক চিন্তা। অনেকেই বলেন, এখনকার দিনে কেবল গ্র্যাজুয়েশন করে কোনও ভালো চাকরি পাওয়া ‌যাবে না। অথচ, আমাদের চারপাশে এরকম অনেকেই আছেন, ‌যাঁরা, কেবল গ্র্যাজুয়েশন অর্থাৎ স্নাতক করেই মোটা বেতনের চাকরি করছেন, ‌বিদেশ ঘুরছেন। সাফল্যের কোনও শর্টকাট হয় না। তবুও এমন কিছু ক্ষেত্র রয়েছে ‌যেখানে কেবল স্নাতক করেই, অর্থাৎ মাস্টার ডিগ্রি না করেও জীবনে অনেক উন্নতি করা সম্ভব। পাঠকদের জন্য রইল এমন কিছু চাকরির খবর…

১. চিফ এক্সিকিউটিভ
প্ল্যান করুন, পরিচালনা করুন, প্রজেক্টের অপারেশন সংক্রান্ত সং‌যোগের দেখ ভাল।
বার্ষিক বেতনঃ ১,৮১,২১০ মার্কিন ডলার (২০১৬ সাল প‌র্যন্ত)
বিশ্বে চাকরির সু‌যোগঃ ৫৮,৪০০ (২০২৪ সাল প‌র্যন্ত)
অভিজ্ঞতা কমপক্ষে ৫ বছর

২. কম্পিউটার সিস্টেম ও ইনফরমেশন ম্যানেজার
একটি সংস্থার ইনফরমেশন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়তা ও কম্পিউটার সিস্টেম স্থাপনের দায়িত্ব থাকে এই ম্যানেজারদের ওপর
বার্ষিক বেতন- ১,৩৪,৭৩০ মার্কিন ডলার (২০১৬ সাল প‌র্যন্ত)
বিশ্বে চাকরির সু‌যোগ- ৫৯,৫০০ (২০২৪ সাল প‌র্যন্ত)
অভিজ্ঞতা কমপক্ষে ৫ বছর

৩. পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার
তেল ও গ্যাস নির্গমনের সবথেকে লাভজনক পদ্ধতি বাছাই করা কাজ
বার্ষিক বেতন- ১২৮,২৩০ মার্কিন ডলার
বিশ্বে চাকরির সু‌যোগ- ১৩,০০০
অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই

৪. মার্কেটিং ম্যানেজার
প্রোডাক্ট সংক্রান্ত সংস্থার দাবি ও লক্ষ্যপূরণের ‌যাবতীয় ‌দায়িত্ব মার্কেটিং ম্যানেজারের ওপর
বার্ষিক বেতন- ১৩১,১৮০ মার্কিন ডলার
বিশ্বে চাকরির সু‌যোগ- ৬৪,০০০
অভিজ্ঞতা কমপক্ষে ৫ বছর

৫. আর্কিটেকচারাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার
কোনও নতুন স্থাপত্য সংক্রান্ত ‌যাবতীয় তথ্য ও পরিকল্পনার দায়িত্ব
বার্ষিক বেতন- ১৩৪,৭৩০ মার্কিন ডলার
বিশ্বে চাকরির সু‌যোগ- ৫৪,৯০০
অভিজ্ঞতা কমপক্ষে ৫ বছর

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

এম.শাহীন গোলদার: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের সন্ত্রাস,নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ আভিযানে জামায়াতের ৪ কর্মীসহ ৬৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে আজ সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় এবং বিভিন্ন অভিযোগে ০৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানান,সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২৬ জন,কলারোয়া থানা ০৭ জন,তালা থানা ০৯ জন,কালিগঞ্জ থানা ০৫ জন,শ্যামনগর থানা ০৬ জন,আশাশুনি থানা ০৫ জন,দেবহাটা থানা ০৭ ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ০৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন-আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে এক সময় তার বিউটিশিয়ান আমেরিকা প্রবাসী রাবেয়া সুলতানা রুবিকে দেশে ফিরিয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদের চেষ্টা চলছে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই কর্মকর্তারা মনে করছেন তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
এর জন্য আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম জানান, গুরুত্বপূর্ণ এই মামলাটি অগ্রগতি নির্ভর করছে সালমান শাহর বিউটিশিয়ান রুবি, দেহরক্ষী আবুল, গৃহপরিচারিকা মনোয়ারা, সিকিউরিটি গার্ড খালেক ও রিজভী নামের এক ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ওপর। কিন্তু এদের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। পিবিআই-এর ঢাকা মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই মামলায় যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন তারা কেউ দেশে নেই। সালমান শাহর বাসার সেই সময়ের কাজের মেয়ে থেকে শুরু করে দারোয়ান সবাই আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডে বসবাস করছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। পিবিআই-এর উপ-মহাপরিদর্শক বনোজ কুমার গতকাল এই প্রতিবেদককে জানান, চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে আমরা রুবি নামে একজনকে খুঁজছিলাম। যে রুবি দাবি করছে সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে এই রুবি সেই রুবি কি না তা যাচাই-বাছাই চলছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ভিডিওতে দেওয়া তার বক্তব্য তদন্ত কাজে কতটুকু প্রাসঙ্গিক কতটা অপ্রাসঙ্গিক তা যাচাইয়ের জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তুমুল জনপ্রিয়তার মধ্যে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ শাহরিয়ার চৌধুরী ইমনের লাশ উদ্ধার করে, রুপালি পর্দায় যার নাম ছিল সালমান শাহ। ওই ঘটনাকে আত্মহত?্যা বিবেচনা করে পুলিশ সে সময় রমনা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করে। মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয় সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু পুলিশের এই তদন্ত প্রতিবেদন আস্থা পাননি সালমান শাহর বাবা কমরুদ্দীন আহম্মেদ চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। থানা, ডিবি, সিআইডি ঘুরে অপমৃত্যুর মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয় টানা প্রায় ১৪ বছর। প্রতিটির তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। এই তদন্ত প্রতিবেদনে নারাজি জানিয়ে পুনঃতদন্ত দাবি করা হলে সম্প্রতি মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশের নব গঠিত বিশেষায়িত ইউনিট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে। সামিরার বাবা জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা। মা থাইল্যান্ডের নাগরিক চট্টগ্রামের বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী লুসি। সালমানের মৃত্যুর তিন মাস পরেই ব্যবসায়ী মুস্তাক ওয়াইজকে বিয়ে করেন সামিরা। দ্বিতীয় বিয়ের পর দেশ ছেড়ে চলে যান থাইল্যান্ড। সেখানে সামিরার নতুন সংসারে তিন মেয়ে রয়েছে। সেখানে সামিরার ছোট দুই বোন ফাহরিয়া হক ও হুনায়জা শেখ তাদের স্বামী-সন্তান নিয়ে বাস করেন। নীলা চৌধুরীর সন্দেহের মধ্যে থাকা রুবি সোমবার এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেন সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা ও তার পরিবার মিলে সালমান শাহকে হত্যা করেছে। তার এই বক্তব্যে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। দুই দশক পর বিস্ফোরক বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাজির হওয়া রাবেয়া সুলতানা রুবিকে আমেরিকা থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার জবানবন্দি নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী। সালমান শাহর মৃত্যুর জন্য তার স্ত্রী সামিরা হক, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জনকে দায়ী করে আদালতে আবেদন করেছিলেন নীলা চৌধুরী। ওই ১১ জনের মধ্যে রুবির নামও রয়েছে। রুবির এই স্বীকারোক্তিকে অপরাধীদের স্বাভাবিক নিয়তি এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনার ফসল হিসেবে বর্ণনা করছেন নীলা। হীরার পরিবারের কোনো একটি ঘটনার কারণেই সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছিল বলে দাবি তার। বর্তমানে নীলা চৌধুরী লন্ডনে তার ছোট ছেলে শাহরানের কাছে আছেন। অন্যদিকে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সামিরার বাবা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা এতদিন পর রুবির এ ধরনের বক্তব্যের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বলিউড অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্তের বিরুদ্ধে আবারও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সশরীরে আদালতে হাজির না হওয়ায় মঙ্গলবার পাঞ্জাবের আদালত তার বিরুদ্ধে এই আদেশ দেন।

এক টেলিভিশন চ্যানেলে রাখির কিছু মন্তব্য ‘বাল্মীকী’ সংগঠনের ভাবাবেগে আঘাত করেছিল এই অভিযোগে গত বছরের ৯ জুলাই রাখির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন এক আইনজীবী। একই অভিযোগে চলতি বছরে তার বিরুদ্ধে আরও একবার গ্রেফতারি পরোয়ানা করেন লুধিয়ানার একটি আদালত।

মামলা চলাকালীন রাখি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন বলে আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন রাখির আইনজীবী। আদালত ৭ অাগস্টের মধ্যে কোর্টে আত্মসমর্পণ করতে হবে এই শর্তে জামিন দিতে রাজি হয়েছিলেন রাখিকে। কিন্তু কোর্টে উপস্থিতই থাকতে পারেননি বলে তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

প্রেগন্যান্সির সময়ে নারীদের খুবই সতর্ক এবং সাবধানে থাকতে হয়। এই সময়ে ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, আয়রন এসব কিছুই যথোপযুক্ত পরিমাণে খেতে হয়।
এইজন্য এসময় চিকিৎসকেরা বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

১। আপেল-

ক্লোরিন, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলিক অ্যাসিড এমনই বিভিন্ন প্রয়োজনীয় রসদে ভরপুর আপেল। তাই তালিকায় আপেল রাখতেই পারেন।

২। পেঁপে-

পাকা পেঁপেতে ক্যালশিয়াম, ক্লোরিন, আয়রন, ভিটামিন A এবং C প্রচুর পরিমাণে থাকে৷

৩। নাশপাতি-

এতে ফসফোরাস, ভিটামিন A , B1, B2 এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায়৷

৪। আঙুর-

ভিটামিন A , C, B কমপ্লেক্স প্রচুর পরিমাণে থাকে৷

৫। কলা-

পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফোরাস, ভিটামিন A , B1, C থাকে৷

৬। আম-

ভিটামিন A, E, C এবং আয়রন থাকে৷

এছাড়াও কমলালেবু, স্ট্রবেরি, তরমুজ, জামের মতো বেশ কিছু ফলও বেশ উপকারী। যদিও সব ফল সব মৌশুমে পাওয়া যায় না। তাই মৌশুম অনুযায়ী ফল নির্বাচন করে নেওয়া উচিৎ যা একজন গর্ভবতী নারীকে এবং তার মধ্যে থাকা বেবিকে আরও পুষ্টি দেবে। তবে অবশ্যই যে ফলে আপনার রুচি নেই তাকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়াই ভালো।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বছর পঁচিশের ক্লো আইলিং আদতে ব্রিটিশ মডেল। ফোটোশ্যুটের জন্য এক প্রকার জোর করেই যেন তাকে মিলানে পাঠানো হয়েছি।
ব্রিটেনের মডেলিং এজেন্সি তাঁকে বলে দিয়েছিল, মিলান পৌঁছে কোথায় যেতে হবে তাকে শ্যুটের জন্য।

এজেন্সির কথা মতো, মিলান গিয়ে তিনি পৌঁছে যান শ্যুটিংয়ের জন্য আগে থেকে ঠিক করা অ্যাপার্টমেন্টে। কিন্তু সেখানে পৌঁছেই ষড়যন্ত্রের শিকার হন ক্লো।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মিলানের আ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছনোর পরেই দু’জন লোক ক্লোকে অজ্ঞান করে বিবস্ত্র করে দেয়। এসেই অবস্থাতাতেই তার ছবি তোলে তারা। তার পরে একটি ব্যাগের মধ্যে তাকে ঢুকিয়ে গাড়ির ডিকিতে করে নিয়ে যাওয়া হয় অনেক দূরে। মিলান শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে, বোর্গিয়াল নামে একটি জায়গায়, এক পরিত্যক্ত বাড়িতে রাখা হয় ক্লোকে। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছ’দিন তাকে রাখা হয় ওই বাড়িতে।

এদিকে, ক্লো-এর ব্রিটিশ এজেন্সি তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে ৩ লক্ষ ডলার মুক্তিপণ চেয়ে ফোন পায় ক্লো-এর এজেন্সি। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা। কিন্তু পুলিশ কিছু করার আগেই, ক্লোকে মুক্তি দেয় অপহরণকারী লুকাজ পায়েল হের্বা। এবং পুলিশের হাতে ধরাও পড়ে।

কিন্তু এমন কী হল যে, টাকা না পেয়েও অপহরণকারীরা ছেড়ে দিল ক্লোকে। পুলিশসূত্রে জানা যায় যে, অপহরণকারী লুকাজ ‘ব্ল্যাক ডেথ’ নামে একটি ‘ডার্ক ওয়েব’ সংস্থার সদস্য। এবং তাদের গ্রুপের নিয়মানুসারে, কোনও মা-কে তারা অপহরণ করে না। লুকাজ জানত না যে ক্লো-এর দুই বছর বয়সী সন্তান রয়েছে।

তাই ক্লোকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারী লুকাজ। তবে ছাড়ার আগে ৫ লক্ষ ডলার মুক্তিপণ চায় সে। এবং হুমকি দেয়, কাউকে এই ঘটনার কথা না বলতে। প্রসঙ্গত, মিলানের ব্রিটিশ কনসুলেটে ক্লোকে পৌঁছে দিতে যায় লুকাজ নিজেই। এবং সেখানেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে সে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest