সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনা

photo-1495804833স্বাস্থ্য ডেস্ক : গ্রিন টি পান করতে অনেকেই পছন্দ করেন। এটি শরীরের বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এর মধ্যে রয়েছে আরো অনেক উপকারী গুণ। তবে অতিরিক্ত কোনো খাবার শরীরে জন্য ভালো নয়। গ্রিন টির বেলাতেও বিষয়টি তাই।
এক কাপ গ্রিন টি শরীরের উপকারের জন্য যথেষ্ট। খুব বেশি হলে দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি পান করা যেতে পারে। তবে পাঁচ কাপ অথবা এর বেশি গ্রিন টি পান ক্ষতির কারণ হতে পারে।
জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট ফেমিনাতে প্রকাশ হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।

গর্ভাবস্থা
সন্তানসম্ভবা হলে বা গর্ভধারণ করার পরিকল্পনা থাকলে খুব বেশি গ্রিন টি পান এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ, এর মধ্যে থাকা ক্যাফেইন ভ্রূণের বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করে। এমনকি ক্যাফেইন আছে এমন কোনো খাবার গর্ভাবস্থায় গ্রহণের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।

রক্তস্বল্পতা
যাদের রক্তস্বল্পতা রয়েছে বা আয়রনের ঘাটতি রয়েছে তারা গ্রিন টি পানে সতর্ক হোন। এই ভেষজ বেভারেজ খাদ্য থেকে আয়রনকে শোষণ করে নেয়। তাই রক্তস্বল্পতার সময় গ্রিন টি বেশি খেলে অবস্থার আরো অবনতি হতে পারে।

ইনসোমনিয়া
ক্যাফেইন ঘুমের সমস্যা করে। তাই ঘুমের সমস্যা বা ইনসোমনিয়ায় ভুগলে গ্রিন টি পান কম করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1495814331স্পোর্টস ডেস্ক : মুক্তির প্রথম দিনেই ঝড় তুলেছে ভারতের ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের জীবন নিয়ে তৈরি চলচ্চিত্র ‘শচীন : অ্যা বিলিয়ন ড্রিমস’। শুক্রবার ভারতের প্রেক্ষাগ্রহে মুক্তি পায় বহুল প্রতীক্ষিত এই চলচ্চিত্রটি। প্রথম দিনেই বাজিমাত করে দিয়েছে শচীনের এই বায়োপিক। শুক্রবার মুক্তির প্রথম দিনেই ১৮ কোটি রুপি ব্যবসা করেছে ছবিটি।
ভারতের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র বিশ্লেষক তারান আদর্শের মতে, প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে ক্রিকেট ঈশ্বরকে নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি। টুইটারে তারান বলেন, ‘অভিজ্ঞতা, বিনোদন, রোমাঞ্চ নিয়ে দারুণ শুরু করল শচীন বিলিয়ন ড্রিমস।’ ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, মুক্তির প্রথম দিনেই ১৮ কোপি রুপি ব্যবসা করেছে শচীনের চলচ্চিত্রটি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘শচীনের বায়োপিক মুক্তি পাওয়ায় অবশেষে বাহুবলি তার তেজ হারাতে শুরু করেছে। প্রথম দিনে সিনেমা প্রেমীদের মধ্যে শচীনের চলচ্চিত্র নিয়ে দারুণ উন্মাদনা লক্ষ করা গেছে।’ তবে প্রথম দিনটায় মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিক ‘এম এস ধোনি : দি আনটোল্ড স্টোরি’র কাছে হেরে গেছে শচীনের বায়োপিক। মুক্তির প্রথম দিনেই ২১ কোটি রুপি ব্যবসা করেছিল ‘ধোনি’।
মুক্তির প্রথম দিন যেমনই করুক না কেন তবে সমালোচকদের দৃষ্টিতে অনেক আগেই ব্লক ব্লাস্টার হিট শচীনের বায়োপিক। চলচ্চিত্রটি দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন অমিতাভ বচ্চন, আমির খান থেকে শাহরুখ খান, মুকেশ আম্বানির মতো সেলিব্রিটিরা। প্রিমিয়ার শো দেখে বেরিয়ে অমিতাভ বচ্চনের বক্তব্য, ‘আমি শচীনকে বলছিলাম, এই ছবিটা দেশের প্রত্যেক মানুষকে দেখানো উচিত। শচীনকে নিয়ে আমরা গর্বিত বলে নয়, সে দেশকে কতটা গর্বিত করেছে, সেটা বোঝানোর জন্য।’
মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান বলেন, ‘আমি শচীনের বিশাল ভক্ত। যে কোনো শচীনভক্তই ছবিটা দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বে। তার জীবন এবং ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু মুহূর্ত আমরা পর্দায় দেখতে পেলাম।’
শচীনের বায়োপিক দেখে উচ্ছ্বসিত মন্তব্য করেছেন শাহরুখ খান। তিনি বলেন, ‘এই ফিল্মের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আমার অভিনন্দন। শুধু এই দেশেই নয়, বিদেশেও মানুষ অনুপ্রাণিত হয় শচীন টেন্ডুলকারকে দেখে। ছবিটা চমৎকার হয়েছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

cad5c41981d3db664910fd3c91cfe8ea-5927ee5bcc465বিনোদন ডেস্ক : বহুদিন ঢাকার শাকিব খানে নতুনত্ব নিখোঁজ। তার সঙ্গে সম্প্রতি যুক্ত হলো ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক নেতিবাচক কিছু ঘটনা। এটাও সত্যি, এখনও তিনিই দেশের এক নম্বর নায়ক। সিনেমা ব্যবসায় দিন শেষে শেষ ভরসা তার কাছেই।
তবে ঢাকায় শাকিবের চলমান টলমল কিংবা একঘেঁয়ে ইমেজে আবারও নতুন বার্তা নিয়ে এলেন ‘কলকাতা’র শাকিব! হুম, ঠিকই পড়েছেন- ‘কলকাতা’র শাকিব খান।
গেল বছর প্রথম ধাক্কাটা দেন কলকাতার শ্রাবন্তীকে নিয়ে ‘শিকারি’ দিয়ে। চুলের স্টাইল, পাতলা শরীর আর স্টাইলিশ গেটআপের সেই শাকিব খানকে দেখে ঢালিউড দর্শক-সমালোচকরা রীতিমতো তাজ্জব বনে গেছেন! সেই ছায়ায় এরপর দেশে আরও বেশ ক’টি সিনেমা মুক্ত হয়েছে শাকিব খানের। নাহ্, কলকাতার সেই শাকিবকে আর পাওয়া যাচ্ছিলো না।
অতঃপর বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ফের চমকে দিলেন শাকিব খান। এবারও সেই ‘কলকাতার’ শাকিব। সেখানকার নতুন ছবি ‘নবাব’ এর প্রথম ট্রেলার দিয়ে এবার দ্বিগুন চমকে দিলেন কলকাতা ‘প্রবাসী’ ঢাকার খান। এবারও একেবারে নতুন লুক। এবার তিনি টলিউডের শুভশ্রীকে নিয়ে ‘নবাব’ সাজে এসেছেন। মুখে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি, স্টাইলিস গোঁফ, হালকা গড়ন, প্রেমিকার সঙ্গে রোমান্টিক আলাপ আর কণ্ঠে তার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের স্লোগান!
সত্যিই, ঈদের ছবি ‘নবাব’ ট্রেলারে পাওয়া গেছে চোখ ধাঁধানো নতুন শাকিবকে।
ছবিটি পরিচালনা করেছেন কলকাতার জয়দ্বীপ মুখার্জি। এতে শাকিব খানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন শুভশ্রী। সঙ্গে আছেন বাংলাদেশের অমিত হাসান, ভারতের খরাজ মুখার্জি, রজতাভ দত্ত, মেঘলা, সব্যসাচী চক্রবর্তী প্রমুখ।
এসকে মুভিজের প্রযোজনায় বাংলাদেশের হয়ে ছবিটি পরিবেশনা করবে জাজ মাল্টিমিডিয়া। আগামী রোজার ঈদেই ছবিটি বাংলাদেশে এবং জুলাইয়ে ভারতে মুক্তি পাচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ca93ce2a0f7a1ad5647465c4e4dfb55f-5928411141309বিনোদন ডেস্ক : দেশে নেমে এসেছে রোজার আমেজ। দিন পেরোলেই শুরু মুসলিম ধর্মের সিয়াম সাধনার মাস। এমন একটি সময়ে (২৬ মে সন্ধ্যা) প্রকাশ পেয়েছে জিৎ-নুসরাত ফারিয়ার বিশেষ একটি গান। দুই বাংলার আলোচিত মুক্তি প্রতীক্ষিত ছবি ‘বস- টু’র এই গানটির শিরোনাম ‘আল্লাহ মেহেরবান’।
স্বাভাবিক, গানের শিরোনাম শুনে যে কেউ মিলিয়ে নেবেন এটি রোজার মাসকে লক্ষ্য করেই প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। যাকে বলে ইভেন্ট অরিয়েন্টেড প্রমোশন। বাণিজ্যিক ছবিতেও তো, ধর্মীয় ভাবধারার গান হতে পারে। যদিও গানটি মুক্তির ২৪ ঘন্টা আগেই গণ্ডগোল পাকিয়ে গেল অন্তর্জালে। ২৫ মে ফেসবুকে এটি মুক্তির আগাম খবর জানালো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। যেখানে গানের শিরোনামের সঙ্গে নুসরাত ফারিয়ার বেশ খোলামেলা একটি ছবি সংযুক্ত ছিল। অন্তর্জালে বিষয়টি নিয়ে খটকা আর সমালোচনা শুরু তখন থেকেই।
যে সমালোচনার আগুনে ঘি পড়েছে শুক্রবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় গানটির ভিডিও প্রকাশের পর থেকে। যেখানে গানের শিরোনাম, কথা অথবা ভাবধারার সঙ্গে ফারিয়ার খোলামেলা উপস্থিতি দারুণ সাংঘর্ষিক বলেই মনে করছেন বেশিরভাগ সিনেমাপ্রেমী ও সমালোচক। অবাক বিষয় হলো, গানটির সঙ্গে জিৎ-এর কালো কাবলি-পাগড়ি-ড্রেসআপ এবং উপস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক অথবা মার্জিত। ফলে গানটিতে বাংলাদেশের মেয়ে নুসরাত ফারিয়ার এমন খোলামেলা উপস্থিতি কতটা প্রাসঙ্গিক আর কতটা উদ্দেশ্যমূলক- সেটি নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে প্রচুর।
এ নিয়ে অন্তর্জালের কমেন্ট বক্সে ভালোই তোপের মুখে আছেন নুসরাত ফারিয়া ও মুক্তি প্রতিক্ষীত ‘বস- টু’ সংশ্লিষ্টরা। যদিও ফারিয়ার ভাষ্য বেশ ডিপ্লোমেটিক। বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘সমালোচিত বলেই আলোচিত।’
তবে গানের শিরোনাম এবং রোজাকেন্দ্রিক এই সময়টাকে ‘স্কিপ’ করে গেলে- প্রাঞ্জলের কথায়, জিৎ গাঙ্গুলীর সুর-সংগীতে, নাকাশ ও জনিতার গাওয়া গানটি এক কথায় অসাধারণ। এতে ফারিয়া দারুণ সাবলীল এবং সেট-কোরিওগ্রাফি অদ্ভুত সুন্দর।

বাবা যাদব পরিচালিত এ ছবিতে জিতের বিপরীতে ঢাকার নুসরাত ফারিয়া ছাড়াও অভিনয় করেছেন কলকাতার শুভশ্রী।
সিনেমাটি বাংলাদেশের জাজ মাল্টিমিডিয়া ও জিতের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জিৎস ফিল্ম ওয়ার্কস প্রাইভেট লিমিটেডের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে।
২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পায় জিৎ ও শুভশ্রী অভিনীত ছবি ‘বস: বর্ন টু রুল’। এটি ছিল তেলেগু ছবির রিমেক। আগের ছবিটির দ্বিতীয় কিস্তি ‘বস- টু’। এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, অমিত হাসান, সীমান্ত প্রমুখ।

https://www.youtube.com/watch?v=BJYC0eWgmNI

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2d746e3c6f8afc7f80a81ada3a387d3a-59283411ab9c3ন্যাশনাল ডেস্ক : পদমর্যাদা নির্ণয় না করেই দায়িত্ব-কর্তব্য নির্ধারণ করা হলো জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের। শপথ নেওয়ার ৫ মাসের মাথায় বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যদের দায়িত্ব ও কার্যাবলি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেক স্বাক্ষরিত ‘জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যগণের দায়িত্ব ও কার্যাবলি বিধিমালা-২০১৭’-এ পরিষদের চেয়ারম্যানের ৭টি কাজ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বিধিমালায় পরিষদের সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইনের অধীনে গঠিত বিভিন্ন কমিটি ও স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের। তবে, কোনও জেলা পরিষদে স্থায়ী কমিটি গঠিত না হলে, সে ক্ষেত্রে সদস্যদের ১৫টি কাজ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সদস্যদের কর্তব্যের বেশিরভাগই সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণমূলক। পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যদেরও সামাজিক সচেতনতামূলক ৫টি কাজ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরে ১১ জানুয়ারি পরিষদের চেয়ারম্যান ও ১৮ জানুয়ারি পরিষদের সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যরা শপথ নেন। আইন অনুযায়ী একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত আসনের নারী নিয়ে জেলা পরিষদ গঠিত হয়।

বিধিমালার বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন শুক্রবার বলেন, ‘আইনের আলোকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও অন্য সদস্যদের দায়িত্ব-কার্যাবলি ঠিক করে বিধিমালা জারি করেছে মন্ত্রণালয়। এখন থেকে এই বিধিমালার আলোকে পরিষদের সবাই স্ব-স্ব অধিক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবেন।’ পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মর্যাদা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাদের মর্যাদা এখনও ঠিক করা হয়নি। যখন হবে, তখন জানতে পারবেন।’

অবশ্যই সম্প্রতি স্থানীয় সরকার সচিব আবদুল মালেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের মর্যাদা প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘সংসদ সদস্যরা জেলা পরিষদের উপদেষ্টা হিসেবে আছেন। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের মর্যাদা ঠিক করা হবে। তবে, এটুকু বলতে পারি যে, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের মর্যাদা ডিসিদের নিচে হবে না।’

বিধিমালার বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামরুজ্জামান টুকু বলেন, ‘এতদিন আমরা আইনের আলোকে দায়িত্ব পালন করছি। শুনেছি বিধিমালা হয়েছে। কিন্তু এখনও হাতে পাইনি। আশা করছি, এতে অনেক বিষয় স্পষ্ট করা হবে।’

পদমর্যাদার বিষয়ে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ টুকু বলেন, ‘বিধিমালার থেকে আগে দরকার ছিল আমাদের পদমর্যাদা। পরিষদের চেয়ার‌ম্যান হিসেবে আমরা দায়িত্ব পালন করছি ঠিকই, কিন্তু আমাদের অবস্থান কোথায় সেটা জানি না।’

পদমর্যাদার কারণে অনেক সময় রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে বিব্রত হতে হয় মন্তব্য করে শেখ টুকু বলেন, ‘মর্যাদা পাব কি পাব না, এসব চিন্তা করে অনেক সময় জেলার সরকারি অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতে বাধ্য হচ্ছি আমরা।’
প্রসঙ্গত, জেলা পরিষদ আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০১৬)এর কয়েকটি ধারায় জেলা পরিষদের কার্যক্রমের কথা বলা হয়েছে। পরিষদের বাধত্যমূলক ও ঐচ্ছিক এই দুই ধরনের কাজ রয়েছে। বাধ্যতামূলক কার্যাবলির মধ্যে রয়েছে (১) জেলার সব উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা, (২) উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা, (৩) সাধারণ পাঠাগারের ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ, (৪) উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা বা সরকারের  সংরক্ষিত নয়, এমন জনপথ, কালভার্ট ও ব্রিজ নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন, (৫) রাস্তার পাশে ও জনসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে বৃক্ষরোপণ ও সংরক্ষণ, (৬) জনসাধারণের ব্যবহারার্থে উদ্যান, খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত স্থানের ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ, (৭) সরকারি, উপজেলা পরিষদ বা পৌরসভার রক্ষণাবেক্ষণে নয় এমন খেয়াঘাটের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ, (৮) সরাইখানা, ডাকবাংলা, বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ, (৯) জেলা পরিষদের অনুরূপ কার্যাবলি সম্পানরত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা, (১০) উপজেলা ও পৌরসভাকে সহায়তা-উৎসাহ দেওয়া, (১১) জেলা পরিষদের ওপর সরকারের অর্পিত উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ও (১২) সরকারের  আরোপিত অন্যান্য কাজ।
আর ঐচ্ছিক কাজের মধ্যে রয়েছে, শিক্ষা, সাংস্কৃতি, সমাজকল্যাণ, অর্থনৈতিক কল্যাণ, জনস্বাস্থ্য, গণপূর্ত ইত্যাদি। এছাড়া কয়েকটি ক্ষেত্রে টোল আদায়ের কাজও পরিষদের রয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Moinur Pic-- 26-05-17-- (1)
মইনুল ইসলাম : আশাশুনির বুধহাটা ও হাবাসপুরের যৌথ উদ্যোগে ৮দলীয় গাঁদনদাড়ি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় হাবাসপুর মাঠে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গাঁদনদাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধহাটা যুবলীগ সেক্রেটারি শাহজুদ্দীন সাজু’র সভাপতিত্বে উত্তেজনাপূর্ণ খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আ ব ম মোছাদ্দেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফিংড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সামছুর রহমান। সাংবাদিক এস এম শাহিন আলমের পরিচালনায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এড. শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুর রব, ফিংড়ী ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক অজয় দাশ, আ’লীগ নেতা ছাত্তার গাজী, আবঃ সেনা কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, যুবলীগ নেতা হুমায়ন কবির, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম, আজহারুল ইসলাম, আবুল কালাম, খলিলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। খেলায় ফিংড়ী ইউনিয়নের হাবাসপুর যুব কমিটির গাঁদনদাড়ি দল ১-০ সেটে ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বর জাকিরুল হকের দলকে পরাজিত করে। খেলা শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি বিজয়ী দলকে ২১ইঞ্চি ও অপর দলকে ১৪ইঞ্চি কালার টেলিভিশন পুরস্কৃত করেন। ঐতিহ্যবাহী গাঁদনদাড়ি খেলায় মাঠে দর্শক ছিলো চোখে পড়ার মত।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Moinur Pic-- 26-05-17-- (2)
মইনুল ইসলাম : আশাশুনির বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আ ব ম মোছাদ্দেক শুক্রবার সকাল ১১টায় নিজ বাস ভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। তৎক্ষনাত তাকে খুলনা ইসলামী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হঠাৎ এমন অসুস্থ্যতায় তার শারীরিক সুস্থ্যতা কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন আশাশুনি রিপোটার্স ক্লাব। বিবৃতিদাতারা হলেন আশাশুনি রিপোটার্স ক্লাব সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র সহ সভাপতি আইয়ুব হোসেন রানা, সহ সভাপতি আকাশ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মাষ্টার সুব্রত দাশ, সাংঠনিক সম্পাদক শেখ বাদশা, অর্থ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক প্রভাষক মোখলেছুর রহমান ময়না, ক্রিয়া সম্পাদক জি এম আজিজুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক এম এম নূর আলম, সদস্য অধ্যক্ষ আলমিন হোসেন ছট্টু, বাহাবুল হাসনাইন,  প্রভাষক শেখ হেদায়েতুল ইসলাম, আবু ছালেক, উত্তম কুমার দাশ, সত্যরঞ্জন সরকার, বাপন মিত্র ও তপন রায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

555555
মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরা সদরের কুশখালি ইউনিয়নের আড়ুঁয়াখালি এলাকায় খাল খনন কাজ পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। শুক্রবার বিকালে সরেজমিনে যেয়ে তিনটি ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি ও চাষাবাদের ফসল রক্ষা করতে ঐ খাল খনন করা। এসময় খাল খননে তাদের মাঝে আনন্দের উচ্ছাস বইতে শুরু করে। সাধারণ জনগণ ঐ এলাকায় অবৈধভাবে ও অপরিকল্পিত ঘের তৈরীর হোতা কাদের বাহিনীর দ্বারা নির্যাতনের বিভিন্ন বর্ণনা দেন। ঐ কাদের বাহিনীর কারনে প্রতিবছর তিনটি ইউনিয়নের মানুষ পানি-বন্দি ও ফসলের ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখিন হয় তার চিত্র তুলে ধরেন এবং পরবর্তীতে আর পানি-বন্দি না হতে হয় সেবিষয়ে সাংসদের কাছে দাবী জানান। পরে কুশখালি ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, ‘নিরীহ মানুষকে কষ্ট দিয়ে যারা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে ও ফসলের ক্ষতি করে অপরিকল্পিতভাবে ঘের করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এসময় কুশখালি ইউনিয়ন, শিবপুর, বৈকারী ও ঘোনা ইউনিয়নের মানুষের পানিবন্দি হওয়া ও ফসলের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে এই খাল খননের ব্যবস্থা করেছেন বলে ঐ তিন ইউনিয়নের মানুষ বাংলার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন এবং সাংসদ রবির জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করেন। মৃগীডাঙ্গা ব্রীজ হতে ভাড়–খালি পুজিমারি খাল পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, মীর তানজীর আহমেদ, সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাঈল গাজী, ইউপি সদস্য আলী হোসেন, শফিকুল ও মহিলা ইউপি সদস্য ইতিসহ ঐ তিন ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest