সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার

f157106d69223e2f7eed6aafafa3eb55-59231cae6bfe5গত এক সপ্তাহের লোডশেডিংয়ে জনজীবনের নেমে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। এতে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। এ নিয়ে লেখালেখি চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অথচ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বলছে, দেশের কোথাও কোনও লোডশেডিং নেই। লোডশেডিংয়ের পরিমাণ শূন্য। বিষয়টি নিয়ে সোমবার জরুরি বৈঠকে বসে বিদ্যুৎ বিভাগ। বৈঠকে পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) আবুল বাশার খান বলেন, ‘বিতরণ সীমাবদ্ধতা ও কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।’ এছাড়া গ্যাসের স্বল্পতাকে উৎপাদন কম হওয়ার জন্য দায়ী করেন তিনি। তার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি—ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) প্রতিনিধিরা। তাদের দাবি,  উৎপাদন স্বল্পতার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। বৈঠক ‍সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমেদ কায়কাউসসহ বিদ্যুৎ বিভাগ, পিডিবি ও বিতরণ কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু ঢাকা বা আশেপাশের অঞ্চলগুলোয় নয়, সারাদেশেই অসহনীয় লোডশেডিং চলছে। আর গরম বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলেও চলছে ব্যাপক লোডশেডিং। দিনের ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। বাকি সময় অন্ধকারে থাকতে হয়।

জানতে চাইলে ডিপিডিসির পরিচালক (অপারেশন) হারুন অর রশীদ বলেন, ‘গত কয়েকদিনের ঝড়ে ডিপিডিসি বিদ্যুৎ বিতরণের তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো সংরক্ষণের কাজ চলছে। শিগগিরই সব ঠিক হয়ে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রবিবার কিছুটা লোডশেডিং ছিল।’

উল্লেখ্য, চলতি মাসের ২ তারিখে কালবৈশাখী ঝড়ে জাতীয় গ্রিডের একটি অংশের সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  ওই লাইন মেরামত করতে গেলে আরেকটি লাইন বিকল হয়ে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৩৫টি জেলা দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীন ছিল। ওই গ্রিড লাইন-বিপর্যয়ের পর ৩৬টি জেলায় বিপর্যয় সৃষ্টি হয়।  যা এখনও অব্যাহত আছে। পুরোপুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা যায়নি।

এদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে আনুষ্ঠানিক দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবররাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’

পিডিবির ওয়েবসাইটে কোনও লোডশেডিং নাই!
এদিকে সারাদেশে যখন লোডশেডিংয়ে মানুষ অতিষ্ঠ, তখন পিডিবির ওয়েব সাইট বলছে, সারাদেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ শূন্য। রবিবার রাত আটটার সময় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ওয়েবসাইটে বিদ্যুৎ উৎপাদন সংক্রান্ত তথ্যে দেখা যায়, বিদ্যুতের চাহিদা আট হাজার ৮০০ মেগাওয়াট । উৎপাদনও আট হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। এই হিসাব অনুযায়ী চাহিদা ও সরবরাহ সমান। অর্থাৎ দেশের কোথাও কোনও লোডশেডিং নেই।’

এদিকে, সোমবারের বৈঠকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন বলেন, ‘রবিবার আরইবির চাহিদা ছিল ৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট কিন্তু সরবরাহ পেয়েছে ৩ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। এতে স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুতের লোডশেডিং করতে হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুত জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘আগামী চার দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির  উন্নতি হবে। টাওয়ার ভেঙে যাওয়া, ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণে থাকা ও গ্যাসের স্বল্পতার জন্য চাহিদামতো বিদ্যুৎ দেওয়া যাচ্ছে না। চার দিনের মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণে থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আসবে।’ রমজানে বিদ্যুৎ সরবরাহ ভালো থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা উচিত। লোড ম্যানেজমেন্টে লোড শেডিং সমানুপাতিক হারে করতে হবে।  প্রতিটি বিতরণ সংস্থার ডিম্যান্ড অনুসারে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা প্রয়োজন। লোড শেডিং করতে হলে আগেই গ্রাহকদের জনাতে হবে।’ রোজার সময় সার্বিক পরিস্থিতি উন্নত করতে সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করাসহ  মন্ত্রণালয় থেকে পর্যবেক্ষণের  নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এদিকে, বিদ্যুৎ সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণরত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণ করার জন্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শেখ ফয়েজুল আমীন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া  এলএনডিসি বিতরণ সংস্থাগুলোকে কিভাবে, কী পরিমাণ বিদ্যুৎ দিচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণ করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যুগ্ম সচিব এ কে এম হুমায়ুন কবীরকে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে যে ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে, মেঘনাঘাট- ৪৫০ মেগাওয়াট, সামিট বিবিয়ানা-৩৪১ মেগাওয়াট, খুলনা সিপিপি-৭২ মেগাওয়াট, সিরাজগঞ্জ-২১০ মেগাওয়াট, আশুগঞ্জ সাউথ ৩৬০ মেগাওয়াট, আশুগঞ্জ-৭৫ মেগাওয়াট, ঘোড়াশাল-১ এ ৪০ মেগাওয়াট, ঘোড়াশাল-৫ এ ১৯০ মেগাওয়াট, শান্তাহার পিকিং ৫০ মেগাওয়াট এবং হাটহাজারি পিকিং ৯৮ মেগাওয়াট।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় এক হাজার ৮৮৬ মেগাওয়াট উৎপাদন কম হচ্ছে। এছাড়া গ্যাসের স্বল্পতার কারণে আরও ৮৯৩ মেগাওয়াট উৎপাদন কম হচ্ছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
লম্পট ভোলা

লম্পট ভোলা

কেএম রেজাউল করিম : বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। বছরের প্রথম দিন ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তার পাশাপাশি প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় মাল্টিমিডিয়ায় ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এমনকি ঝরে পড়া শিশুর সংখ্যাও একেবারে কমে দাঁড়িয়েছে। সবমিলে শিক্ষায় এক নব জোয়ার লেগেছে। আর ঠিক সেই সময়ে কতিপয় কিছু ব্যক্তির কারণে আজ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তেমনি একটি ঘটনা যেটি ঘটনা ঘটেছে দেবহাটার সূবর্ণাবাদ গ্রামে। সেখানে এক লম্পট শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকা-ে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। দিনে দিনে তার অসামাজিক কর্মকা-ে এলাকাজুড়ে ছি ছি পড়ে গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সূবর্ণাবাদ গ্রামের গুরু চরণ মন্ডলের পুত্র ভোলা মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে তার কাছে প্রাইভেট পড়তে আসা ছাত্রীদের ফুঁসলিয়ে তাদের সাথে অনৈতিক কর্মকা-ে লিপ্ত হয়। সাম্প্রতিক তার এই কর্মকা- সমাজের মানুষের কাছে প্রকাশ হলে উঠতি বয়সের ছাত্রীরা তার কাছ থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করেছে। কিন্তু তার এই জঘন্যতম কর্মকা-ের শিকার হয় ২য় শ্রেণির ছাত্রী থেকে বিভিন্ন বয়সী ছাত্রীরা।
২য় শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়, ভোলা মাস্টার তাকে একটি ভিডিও (পর্নগ্রাফি)দেখায়। ভিডিও তে যা যা করেছে তাকে তাই করতে বলে। এমনকি লম্পট ভোলার যৌন অঙ্গে হাত দিতে বলে।
অপরদিকে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক আরও এক ছাত্রী জানায়, ভোলা তাকেও ভিডিও দেখিয়ে সেখানে যা যা আছে তাকে তাই করতে বলে। তাকে বলে আগামি বছরে তো তোকে বিয়ে দেব। তুই তো অনেক রোগা। তুই যদি আমার সাথে এ কাজ করিস তাহলে তোর শরীর ভালো হবে, স্বামীর কাছে অনেক আদর পাবি। তাছাড়া একাজ করলে আমি তোকে টাকা দেব। তুই টাকা দিয়ে ছাদে বসে দই কিনে খেতে পারবি।
সম্প্রতি এক ছাত্রী ভোলার কাছে পড়তে গেলে ভোলা জোরপূর্বক খাটে ফেলে শরীরের বিভিন্ন স্পার্শকাতর স্থানে হাত দেয়। ওই ছাত্রী কোনরকমে ভোলার কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে খাটের নিচে লুকিয়ে চিৎকার করতে থাকলে ভোলা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রীর মা’র সাথে বললে তিনি ভোলার বাড়িতে গিয়ে নালিশ জানান। তবে এতে কোন ফল পাননি। পরে বিষয়টি সাংবাদকর্মীদের কাছে পৌঁছালে তারা মেয়েটির বাড়িতে গেলে সহযোগিতা চেয়ে তিনি কান্ন্ায় ভেঙে পড়ে। পরে ভোলার বাড়িতে পৌঁছলে তার স্ত্রী আগে থেকে টের পেয়ে তাকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। তার স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি স্বামীর কাজে সাহায্যে করেন কিনা জানতে চাইলে বিভিন্নভাবে এড়িয়ে যান।
এবিষয়ে ভোলার সাথে পরবর্তিতে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। সংবাদকর্মীদের দেখে পালিয়ে যাওয়ার কথা জানতে চাইলে বলেন, ভয়ে পালিয়েছেন তিনি। তবে তিনি সংবাদকর্মীদের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ম্যানেজ করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য অচিন্তকে দিয়ে চেষ্টা চালান।
এঘটনায় দেবহাটা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি ন্যাক্কারজনক। তবে আমি এখনো পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। তবে দোষির শাস্তির হবে।
শিক্ষা জাতির মেরুদ- আর শিক্ষক হলেন পরম শ্রদ্ধার পাত্র। কিন্তু শিক্ষক যখন এমন ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে তখন সমাজের সাধারণ মানুষের ঠাঁই কোথায়Ñ এমন প্রশ্ন গোটা সূবর্ণাবাদ এলাকাবাসীর। তাদের একটাই দাবি এমন লম্পট চরিত্রহীন শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তি। যাতে আর কোন শিক্ষক এমন জঘন্য কাজ না করেন। এ বিষয়ে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

সাবেক-রাষ্ট্রপতি-হুসেইন-মুহম্মদ-এরশাদজাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‘ধর্ষণ এখন জাতীয় ক্রীড়ায় পরিণত হয়েছে। আর এটি হয়েছে দেশে বিচারহীনতার কারণে। কারণ, তারা জানে ধর্ষণ করলে বিচার হবে না, শাস্তি হবে না।’

আজ সোমবার বিকেলে রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলনে এইচ এম এরশাদ এ কথা বলেন। নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামের সামনের সড়কে ওই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

দেশে এককেন্দ্রিক সরকার ভেঙে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে এরশাদ নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন চেয়েছেন। তিনি বলেন, যেভাবেই নির্বাচন করুন না কেন, অতীতের প্রতিটি নির্বাচন বিতর্কিত হয়েছে। তাই নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে।

এইচ এম এরশাদ বলেন, ‘এককেন্দ্রিক সরকার ভেঙে জনগণের সরকার করতে হবে। নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে। যেভাবে নির্বাচন করেন না কেন প্রত্যেকটা নির্বাচন বিতর্কিত।’

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে এরশাদ বলেন, ‘সরকারি ব্যাংক খালি। ৭৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।’ তিনি জনগণের টাকা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে এবং দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

এরশাদ বলেন, ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠা করব। আমার সময় কেউ মরে নাই। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই দেখি মানুষ গুম হয়েছে। মায়েরা কাঁদছে। মায়েদের বুক খালি হচ্ছে।

চোখের জলে ভাসছে দেশ। কেউ পরোয়া করে না। মায়ের কান্না বৃথা যেতে পারে না।’

নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টি এখন রাজনীতিতে বড় ফ্যাক্টর। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জাতীয় পার্টি প্রস্তুত। আমরা এখন ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। মানুষের ভালোবাসা আছে, এই ভালোবাসা নিয়ে আগামীতে সরকারও গঠন করবে জাতীয় পার্টি।’

এরশাদ বলেন, ‘অনেক নির্যাতন করা হয়েছে আমাকে। নিঃশেষ করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। অনেক ঝড় গেছে। কিন্তু এখনো কর্মীরা আমাকে ছেড়ে যায়নি। আমি বেঁচে আছি। এখন জাতীয় পার্টি ইজ এ বিগ ফ্যাক্টর ইন পলিটিকস।’

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কিছুদিন আগে বিএনপি তাদের ভিশন দিয়েছে। অনেক আগেই আমরা ভিশন দিয়েছি। আমরা বলেছি, প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে। উপজেলা চেয়ারম্যানদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে উপজেলা পরিষদকে কার্যকর করতে হবে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

222112221কে এম রেজাউল করিম : বিশিষ্ট নাট্যকার, প্রযোজক ও পরিচালক হিসাবে সন্মাননা পেলেন সাতক্ষীরার দেবহাটার কৃতি সন্তান জি.এম সৈকত। ২১ মে ঢাকার সেগুনবাগিচার কচিকাঁচার মেলায় অগ্ন বার্তার ২৩ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে সন্মাননা হিসাবে তিনি এ ক্রেস্ট পান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি। সে দেবহাটার কুলিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের রাধাকান্ত মোহন দারের পুত্র। তিনি ২০০০ সালে অভিনয় জগতের যাত্রা শুরু করেন। পাশাপাশি ২০০১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেন। এছাড়া ২০০৯ সাল থেকে পরিচালক হিসাকে কাজ করে যাচ্ছেন। পরিচালকের পাশাপাশি দুঃস্থ, অসুস্থ ও অসহায় শিল্পীদের পাশে থাকার অঙ্গিকার নিয়ে ২০১৫ সালে মানবতার কল্যানে শিল্পী ঐক্য জোট নামে একটি সংগঠন তৈরি করে যা ইতি মধ্যে দেশের ৪২টি জেলাতে ও ৪টি দেশের বাইরে পরিচালনা করছেন। এছাড়া শিল্পী ঐক্য জোটের ক্রেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডিএ তায়েব ও সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন জিএম সৈকত। ইতি পূর্বে বিনোদন বিচিত্রা, সালমানশাহ এ্যাওয়ার্ড সহ বিভিন্ন এ্যাওয়ার্ড ও পদক লাভ করেন। বিশিষ্ট নাট্যকার, প্রযোজক ও পরিচালক হিসাবে সন্মাননা ক্রেস্ট পাওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন দেবহাটা শিল্পী ঐক্য জোটের আহবায়ক কৌলশ স্বর্ণকার, সদস্য সচিব নিলয় আহম্মেদ সবুজ সহ সকল সদস্য বৃন্দ। বর্তমানে এই মহান মানব সাতক্ষীরার প্রতিভাবান ছেলে-মেয়েকে জাতীয় পর্যায়ে কাজ কারার সুযোগ করে দিচ্ছেন। বিশেষ করে অসহায়, অসুস্থ, দারিদ্র শিল্পীদের পাশে তিনি দাড়াতে চান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

iskendar copyসাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অর্নাস ৪র্থ বর্ষের  ছাত্র হাফেজ ইসকেন্দার আলীকে মেস থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৪ মে রাত দুইটার দিকে শহরের আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন হাজী মেস থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সাতক্ষীরা কজলেজের পদার্থ বিদ্যা বিভাগের অর্নাস ৪র্থ বর্ষের মেধাবি ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নে পাখিমারা গ্রামে। পিতা নুরইসলাম সরদার। ৮দিন অতিবাহিত হলে ও তার কোন খোজ পায়নি পরিবার। ফলে চরম উৎকন্ঠায় রয়েছে পরিবারটি। নিখোঁজ ইসকেন্দার আলীর ভাই মেরাজ জানান, গত ১৪ মে। রাত আনুমানিক দুইটার দিকে তার ভাইকে মেস থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ পরিচয়ে। সেখান থেকেতার ভাইকে কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে রবিবার সদর থানা একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নং ১০৬৪, তারিখ ২১ মে’১৭।
ইসকেন্দার আলীর সহপাঠি আরিফ বিল্লাহ জানান, ১৪ মে রাত ১টার দিকে তারা ঘুমাতে যায়। সকালে উঠে দেখে তাদের মেসের রুম গুলাতে বাইরে থেকে তালা দেয়া। ধারণা করছে ঘুমানোর কিছু পর পরই তাকে তুল নিয়ে যাওয়া হয়। হাজী মেসের ১০২ নং রুমে থাকতেন ইসকেন্দার আলী। আরিফ বিল্লাহ থাকতে ১০৪ নং রুমে। আরিফ বিল্লাহ আরো জানান, তার বন্ধু ইসকেন্দার আলী খুব ভাল ছেলে ছিল। সে নিয়মিত নামাজ পড়ত। কুরআন তেলওয়াতের পাশাপাশি বিভিন্ন ইসলামী বই পড়ত। তার মুখে দাড়িও ছিল। তার বন্ধু এবার রমজানে কুরআনের খতম পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সদর থানার কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার জানান, অভিযোগটি শুনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাতক্ষীরা সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মারুফ আহমেদ জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

002বি. এম. আলাউদ্দীন : আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাংগা গ্রামের  অপরাজেয় প্রতিবন্ধী খায়রুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে তার সাথে সাক্ষাত করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান (বাবু)। অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি সাতক্ষীরায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি অপরাজেয় প্রতিবন্ধী খায়রুলের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন এবং সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক এর সাথে ফোনে খায়রুলের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথা বলেন।
এসময় তার সাথে ছিলেন, ডেইলি সাতক্ষীরার সাতক্ষীরার সম্পাদক ও প্রকাশক হাফিজুর রহমান মাসুম,  সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাসান হাদী, জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রানা ও ব্রক্ষ্মরাজপুর আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হুদা ।
খায়রুলের সুবিধার্তে কি ধরনের সাহায্য করা যায় এবিষয়ে আ. লীগ নেতা বাবু বিভিন্ন জনের সাথে মতবিনিময় করেন।
003প্রতিবন্ধী খায়রুল প্রতিনিধি দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমার একটি সরকারি চাকরি হলে আমার অনেক উপকার হবে। আমি সমাজের কারোর বোঝা হয়ে বেঁচে  থাকতে চাই না।” উত্তরে উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু বলেন, “আপনার বিষয়ে আমরা এমপি সাহেবের সাথে কথা বলে এসেছি আপনার চাওয়া-পাওয়া তাকে জানাব এবং অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার চলাচলের  জন্য একটি মানসম্পন্ন হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বিভিন্ন সরকারি নিয়োগে প্রতিবন্ধী কোটায় আবেদন করতে বলেন।
পরবর্তীতে আসাদুজ্জামান বাবু খায়রুলেন মায়ের সাথে সাক্ষাত করে তার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরকারি অনুদানের বিষয়ে বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম মোল্ল্যা সাথে ফোনে কথা বলেন।
প্রতিনিধি দলকে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন বড়দল যুবলীগ নেতা ও সাংবাদিক বি এম আলাউদ্দীন এবং গোয়ালডাংগা আল্ আমিন যুব সংগের সভাপতি ও সাংবাদিক এস,এম শরিফুল ইসলাম (শরীফ)।

 

উল্লেখ্য, খায়রুল ইসলাম সংসারের ঘানি টানার জীবনযুদ্ধের মধ্যেও কান্তিহীন পড়ালেখার মাধ্যমে মাস্টার্স পাশ করে সুস্থ মানুষদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। সৎ উদ্দেশ্য ও অদম্য ইচ্ছা থাকলে অনেক অসাধ্যকেও জয় করা সম্ভব তার উৎকৃষ্ট প্রমান খায়রুল।
আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের মোহাম্মদ আলি সরদারের পুত্র খায়রুল ইসলাম। তার বর্তমান বয়স ২৭ বছর। তিনি জন্মগত ভাবে প্রতিবন্ধী। দু’টি পা সম্পূর্ণ অচল। দু’হাতেও স্বাভাবিক কিছু করার সক্ষকতা নেই তার। এখন মুখে ভাত তুলেও খেতে পারেননা। কোন রকমে কলম চালাতে পারেন; তাও অতি কষ্টে। ২৭ বছর আগে তার জন্ম হয় পিতার ভিটা টেকাকাশিপুর গ্রামে। শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেওয়ায় তার মাতার উপর নেমে আসে অভিশাপ। পিতা মোহাম্মদ আলি তার মা আমিরুন নেছাকে তালাক দিয়ে বিদায় করে দেন। তিন মাসের শিশুকে নিয়ে মা গোয়ালডাঙ্গায় পিতার ভিটায় আশ্রয় নেন। আর্থিক অনটনের মধ্যে কষ্টকর জীবন-যাপনের পথ ধরে তার বেড়ে ওঠা। সংসার নির্বাহের জন্য পরের বাড়িতে কাজ করতেন। প্রতিবন্ধী ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়ে ভবিষ্যৎ জীবনকে অন্ধকারমুক্ত করা যায় কিনা সে মনোস্কামানা নিয়ে ছেলেকে মাদরাসায় পাঠানো শুরু করেন। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ালেখাকালীণ খরচ যোগানোর তাগিদে টিউশনি শুরু করে খায়রুল। এভাবে নিজের খরচ নিজে যোগানোর মাধ্যমে গোয়ালডাঙ্গা শুক্কলিয়া দাখিল মাদরাসায় পড়ালেখা করে ২০০৫ সালে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয় খায়রুল। সাধারণ পরীক্ষার্থীদেরকে তাক লাগিয়ে দিয়ে খায়রুল ৩.৬৭ পেয়ে কৃতিত্ব অর্জন করেন। এরপর বড়দল আলিম মাদারাসায় ভর্তির পর খরচ বেড়ে যাওয়ায় টিউশনিতে আরও বেশী সময় দিতে হতো। কিন্তু না সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিল। চলাফেরায় দুর্বলতা বেড়ে গেল। তখন বিয়ারিং এর গাড়িতে চড়ে চলাচল শুরু করলেন। জীবনযুদ্ধের মাঝে আবার লেখাপড়ায় সফলতা অর্জন করলেন তিনি; ২০০৭ সালে ২.১৭ পেয়ে আলিম পাশ করলেন। এরপর বড়দল আফতাব উদ্দিন কলেজিয়েট স্কুল হতে এইচএসসি এবং ২০০৯ সালে ফাজিল পাশ করেন ২.১৭ পেয়ে। চরম অভাব ও চলাচলে প্রতিবন্ধীকতা এবং স্বাভাবিক জীবন যাপনে প্রতিকূলতা থাকা স্বত্তেও লেখাপড়া থামেনি। ২০১৩ সালে আশাশুনি কলেজ হতে ইসলামের ইতিহাসে ফার্স্টকাশ নিয়ে অনার্স পাশ করেন। অদম্য আগ্রহ সহকারে তিনি খুলনা বিএল কলেজ থেকে মাস্টার্স (ইসলামের ইতিহাস) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২০১৬ সালে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এছাড়া সাতক্ষীরা আলিয়া মাদরাসা হতে ২০১৭ সালে হাদিস গ্রুপ থেকে কামিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। আবার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে মৎস্য চাষ ও খাদ্য উৎপাদন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। লেখাপড়ায় ঈর্ষণীয় সফলতা পেয়ে জীবনে বড় কিছু হওয়ার আগ্রহ বেড়ে গেলেও তার জীবনের বড় বিপত্তি শুরু হয় ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ। এদিন রাতে মাথার পাশে জ্বলন্ত গ্লোব রেখে মশারি টানিয়ে ঘুমিয়ে যান। কোন এক সময় মশারিতে আগুন লেগে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তার সমস্ত শরীর আগুনে ঝলছে যায়। তাকে নেওয়া হয় প্রথমে আশাশুনি হাসপাতালে এবং পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। এখানে তাকে ৮ মাস ধরে চিকিৎসা নিতে হয়। চিকিৎসা শেষে পোড়া ঘা শুকিয়ে গেলেও তার পঙ্গুত্ব কয়েকগুণ বেড়ে যায়। হাত-পা চালানোর শক্তি বহুগুণ হারিয়ে যায়। এখন অন্যের সহযোগিতা ছাড়া নিজেকে পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে গেছ। মোজাহার উদ্দীন মাল্টিক্রাফট সেন্টারে শিশু শিক্ষার ছোট্ট একটি চাকুরি পেলেও সেটি টিকিয়ে রাখতে পারেননি। বর্তমানে টিউশনির ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাও ধরে রাখতে পারছেননা। বর্তমানে একটি পুরনো হুইল চেয়ারে চড়ে তার চলাচল। যেটি ২০০৭ সালে ঋশিল্পী দিয়েছিল। তেতুলিয়া আশ্রয়ন আবাসনে বসবাসকারী অসহায় খায়রুল এখন ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে খুবই চিন্তিত। তারপরও তার অসীম আগ্রত তাকে থামিয়ে রাখতে পারছেনা। তার ইচ্ছা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেয়া। তিনি বলেন সমাজের বোঝা হয়ে থাকার মধ্যে কোন তৃপ্তি নেই। কিন্তু প্রতিবন্ধিতা তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। তবুও তিনি হতাশ হতে রাজি নন। তার প্রত্যাশা বিসিএস দিয়ে একটি অবলম্বন তার ভাগ্যে জুটাতে চান তিনি। জীবনকে যতটুকু সম্ভব স্বাভাবিক করতে সচেতন মানুষের সহানুভূতিপূর্ণ ব্যবহার প্রত্যাশা করা তার জন্য বেশি কিছু চাওয়া নয় বলে মনে করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Coxsbazar-DCকক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের অর্থ-আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে সোমবার দুপুরে কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক মো. তৌফিক আজিজ এ আদেশ দেন বলে জানান দুদক কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিরাজ উল্লাহ।

তিনি জানান, অর্থ-আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে উচ্চ আদালত দু’সপ্তাহের মধ্যে তাকে নিন্ম আদালতে আত্ম-সমর্পণের নির্দেশ দেন।

কিন্তু রুহুল আমিন উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ৩ সপ্তাহ পর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করায় বিচারক এ আদেশ দেন বলে জানান সিরাজ।

সিরাজ উল্লাহ বলেন, মহেশখালীতে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ২০১৪ সালের নভেম্বরে ক্ষতিগ্রস্তদের জমির বিপরীতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় ২৩৭ কোটি টাকা। এসব ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য অনিয়মের মাধ্যমে ২৫টি অস্তিত্বহীন চিংড়ি ঘেরের বিপরীতে ৩৬ জনের একটি সিন্ডিকেট অন্তত ৪৬ কোটি ২৪ লাখ ৩ হাজার ৩২০ টাকা আত্মসাতের অপকৌশলের আশ্রয় নেন।

তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা কথিত ক্ষতিগ্রস্তদের নামে ভুয়া চেকের মাধ্যমে তোলা হয়। এছাড়া আরও ২৬ কোটি ৩১ লাখ ৯৫ হাজার ৫ টাকা চেকের মাধ্যমে উত্তোলনের প্রক্রিয়ায় ছিল। এসব টাকা তোলার জন্য চক্রটি ৫টি চেকও ইস্যু করেছিল।’

সিরাজ জানান, এ নিয়ে আদালতের কাছে অভিযোগ করা হলে ৫টি চেকের বিপরীতে ক্ষতিপূরণের নির্ধারিত ২৬ কোটি ৩১ লাখ ৯৫ হাজার ৫ টাকা উত্তোলনের কাজ আটকে দেয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে নিজেরা বাঁচতে চিংড়ি ঘেরের মালিকানা দাবি করে ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলনকারী বিরুদ্ধে ২০টি মামলা করেন সেই সময়কার ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এলএও) মাহবুবর রহমান।

‘মামলাগুলো তদন্ত করতে গিয়ে ২০টি মামলাকে একটি মামলায় একীভূত করা হয়। পরে মামলাগুলোর অভিযোগপত্র তদন্ত আদালতের কাছে জমা দেয় দুদক। মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাফর আলম, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এলএও) মাহবুবর রহমান এবং ভূমি অধিগ্রহণ শাখার প্রধান হিসাব কর্মকর্তা আবুল কাশেম মজুমদারসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীটে অভিযোগ তোলা হয় বলে জানান পাবলিক প্রসিকিউটর।

এর আগে দুদকের এ মামলায় পৃথকভাবে আদালত কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক জাফর আলম, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এলএও) মাহবুবর রহমান ও ভূমি অধিগ্রহণ শাখার প্রধান হিসাব কর্মকর্তা আবুল কাশেম মজুমদারসহ আরও ৪ জনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছিলেন বলে জানান আইনজীবী সিরাজ উল্লাহ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Tala Pic 22.05.17তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : তালায় বে-সরকারী সংস্থা জাগরনী  চক্র ফাউন্ডেশন’র বাস্তবায়নে ও  ইউনিসেফ’র অর্থায়নে ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষাদানের জন্য  উপজেলায় ৭৮টি এবিএল স্কুলের কার্যক্রম চলছে। সোমবার (২২ মে) সকালে তালা উপজেলার নওয়াপাড়া এবিএল স্কুলের কার্যক্রম ও লেখাপড়ার মান পরিদর্শনে আসেন ইউনিসেফের একটি প্রতিনিধি দল।
এসময়  প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব ছিলেন ইউনিসেফ কো-ফাউন্ডার কেয়ার অব ফাউন্ডেশন টেশা কাটরিনা পেজ, পাটরিজিয়া সোপিয়া-জার্মান,  এমএস ভিরা-জার্মান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউনিসেফ এডুকেশন হেড পাওয়ান কুচিটা, ইউনিসেফের এডুকেশন স্পেশালিষ্ট ইকবাল হোসেন, ইউনিসেফ প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম, ইউনিসেফ’র খুলনা হেড ফিল্ড অফিসার মোঃ কপিলউদ্দিন, ইউনিসেফ এডুকেশন অফিসার মোঃ তানভিরুল ইসলাম, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক সেলিম চৌধুরী, প্রজেক্ট ডিরেক্টর ফিরোজ রহমান, জেলা কো-অর্ডিনেটর বদরুল আলম, উপজেলা কো-অর্ডিনেটর নাজমা খাতুন প্রমুখ ।

এসময় প্রতিনিধি দলটি এবিএল পরিদর্শন শেষে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং  এবিএল স্কুলের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে শিক্ষার গুনগত মান অব্যহত রাখতে অভিভাবকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest