সর্বশেষ সংবাদ-
শ্যামনগর উপজেলায় নাগরিক প্লাটফর্মের সাথে যুব ফোরামের তথ্য বিনিময়সাতক্ষীরায় মরিচ্চাপ ফিস এন্ড ফিড এর উদ্বোধনশ্যামনগর উপজেলায় যুব ফোরামের ত্রৈমাসিক সভাদেবহাটায় আমাদের টিমের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণপ্রচন্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে সাতক্ষীরায় মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্টজনগণ যাকে চাইবেন, তিনিই নির্বাচিত হবেন-সাতক্ষীরায় নির্বাচন কমিশনার হাবিব খানসাতক্ষীরায় হিট স্ট্রোকে এক শিক্ষকের মৃত্যু : সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রিসাতক্ষীরায় রাসায়নিক দ্রব্যে পাকানো ৬ হাজার কেজি গোবিন্দভোগ আম বিনষ্টশ্যামনগরে শরীরে পেট্টোল ঢেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগতীব্র তাবদাহে সাতক্ষীরায় সুপেয় খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার প্রবীণ সাংবাদিক অ্যাডভোকেট এ কে এম শহীদুল্লাহ’র একমাত্র ছেলে মো: আসাদুল্লাহ মনু নিউমনিয়ার আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: আসাদুজ্জামানের তত্বাবধানে তিনি চিকিৎসাধীন। গত দুই সপ্তাহ ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক পুত্র আসাদুল্লাহ মনুকে দেখতে যান। সাংবাদিক তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং তার সুচিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের সুদৃষ্টি কামনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক দৃষ্টিপাতের সম্পাদক জি এম নূর ইসলাম, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যনার্জি, সময় টিভি’র সাতক্ষীলা প্রতিনিধি মমতাজ আহমেদ বাপী, আরটিভি’র জেলা প্রতিনিধি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার এম. কামরুজ্জামান, দৈনিক যুগের বার্তার সম্পাদক আবু নাসের মোহাম্মদ আবু সাঈদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কালিদাস কর্মকার, দৈনিক যশোরের জেলা প্রতিনিধি সেলিম রেজা মুকুল, দৈনিক কল্যাণের জেলা প্রতিনিধি কাজী শওকত হোসেন ময়না, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির জেলা প্রতিনিধি শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, দৈনিক প্রবর্তনের জেলা প্রতিনিধি কাজী জামাল উদ্দিন মামুন, দৈনিক ভোরের ডাকের জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মাদ আলী সুজন, দৈনিক পিপলস টাইমের জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক যুগের বার্তার মফ;স্বল বার্তা সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার বার্তা সম্পাদক ও ঢাকা টাইমস টুয়েন্টি ফোর’র জেলা প্রতিনিধি এম. বেলাল হোসাইন।প্রসঙ্গত, অসুস্থ আসাদুজ্জামান মনু সাতক্ষীরা প্রেসেক্লাবের সাংবাদিক এম কামরুজ্জামানের একমাত্র শ্যালক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

4444বাল্যকাল থেকে শুনে আসছি, শিক্ষা জাতির মেরুদ-। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। সত্যিই তাই। আর সেজন্য আমাদের দেশের পবিত্র সংবিধানেও শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সংগত কারণেই দেশের সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ হওয়া উচিত ছিল অনেক আগেই। যাইহোক, বঙ্গবন্ধু’র আমলে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় একযোগে জাতীয়করণ করা হয়েছে। তারপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় আসলেও এটাতে কেউ আর হাত দেয় নি। কিন্তু বর্তমান সরকারের অক্লান্ত প্রচেষ্টা এবং সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে দেশ এখন নিম্নমধ্য আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বর্তমান সরকার ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একযোগে জাতীয়করণ করেছে। এখন প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল শ্রেণিতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করা হচ্ছে। প্রত্যক স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসার অবকাঠামো বৃদ্ধিসহ মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আরো কত কি। এগুলো নি:সন্দেহে খুবই চ্যালেঞ্জিং এবং দুঃসাহসিক কাজ। তবুও সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে এখনো জাতীয়করণের আওতায় আনা হলো না। অনেকেই বলতেই পারেন, সরকার যত দিচ্ছে, জনগণ তত চাচ্ছে। বিষয়টিকে এভাবে দেখা আদৌ উচিত হবে কিনা তা একবার ভাবা দরকার। মৌলিক অধিকার হিসেবে সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করা এখন সময়ের সবচাইতে আলোচিত দাবি। বর্তমান  সরকার দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্কুল এবং কলেজ জাতীয়করণ করার অংশ হিসেবে প্রতিটি উপজেলায় তাইই করা হচ্ছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, সমাজের প্রভাবশালী মহলের বিশেষ করে কতিপয় সুবিধাবাদী জনপ্রতিনিধি এবং রাজনীতিবিদের প্রভাবে বিছিন্নভাবে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করা হচ্ছে যা কোনো কোনো ক্ষেত্রে জাতীয়করণের সকল শর্তÑ এমন কি কখনো কখনো কোনো শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। আবার অন্য একটি কুচক্রী মহলের কুপ্রভাবের ফলে জাতীয়করণকৃত হওয়ার জন্য সকল শর্ত পূরণ করে তালিকাভুক্ত থাকা যোগ্য বা উপযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও জাতীয়করণের তালিকা থেকে অজানা কারণে বাদ পড়ছে। যেটি আমরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লক্ষ্য করেছি এবং এখনো করছি। যা আদৌ কাম্য নয়। তবে স্বচ্ছতার সাথে মোটেও যে হচ্ছে না তা কিন্তু নয়। তবে তার সংখ্যা নিয়ে জনমনে নানা ধরনের প্রশ্ন রয়েছে। এর ফলে জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মুখে দেখা যাচ্ছে উজ্জ্বল হাসির বর্ণছ্বটা। অপর দিকে জাতীয়করণের আশায় থাকা এমপিওভুক্ত ও দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার আলো ছড়ানো নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের হতাশার পরিমান দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্লাস বন্ধ রেখে জাতীয়করণের দাবিতে হচ্ছে মানববন্ধন, বিক্ষোভ বা অনশনের মত নানা ধরনের কর্মসূচি। যা কখনো কখনো সংঘর্ষে রূপ নিচ্ছে। যার প্রমাণ কিছু দিন পূর্বে ময়মনসিংহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর রাষ্ট্রীয় পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে নিহত হন একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় কলেজ শিক্ষক। যা সরকারের জন্য মোটেই স্বস্তিকর নয়। এখন একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার প্রশ্ন, জাতীয়করণের শর্ত পূরণ করুক বা নাই করুক বিছিন্নভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ না করে বৈধভাবে সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে সরকারের বাঁধা কোথায়? সকল শিক্ষকদের যোগ্যতাতো একই। তাহলে কি ভাববো বিছিন্নভাবে জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি না করাটা ভুক্তভোগী শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় অযোগ্যতা? যদি তাই হয়, সরকার তাহলে ঢালাওভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি দিয়েছে কেনো? আর ঐসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের অনুমতি দিচ্ছে কেনো? তাহলে মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বেতন না পাওয়া শিক্ষকদের উপায় কী? এদিকে আবার সরকার মহাশয় বলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশনি করতে পারবে না। সরকারতো এখন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদেরকে সরকারি বেতনের শতভাগ প্রদান করছে। বাকি আছে কিছু বাড়তি ভাতা। কিন্তু দেশের এমন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে যার একটার আয় দিয়ে অন্য দশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ঐ বাড়তি ভাতাগুলো দেওয়া কোনোভাবেই অসম্ভব নয়। তাহলে আপত্তিটা কোথায়? ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাবেক শিক্ষা সচিবের নিকট দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের উদ্যেশ্যে সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসেব চেয়েছিলেন। এতে করে স্পষ্টতই বোঝা যায়, আমাদের শিক্ষাবান্ধব বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে কতটাই আন্তরিক। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কতিপয় অসাধু আমলার কারণে প্রধানমন্ত্রী’র সেই সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করার মহতি উদ্যোগ আর আলোর মুখ দেখতে পাচ্ছে না। এখন স্বভাবইত প্রশ্ন উঠেছে, সরকার আমলাদেরকে চালাচ্ছে নাকি আমলারা সরকারকে চালাচ্ছে? তবুও দেশের মানুষ আশা করে অতি দ্রুত এই সরকারের পরবর্তী অর্থবছরের মধ্যেই দেশের সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করা হবে। দেশের গরিব-মেহনতী-কৃষক-দিনমজুরের সন্তানেরা বিনামূল্যে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে। সাথে সাথে জাতি গড়ার কারিগর আমাদের পিতৃতুল্য শিক্ষকবৃন্দ পাবেন সঠিক বেতন ও মর্যাদা। অন্যথায় একই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্বেও সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে রয়ে যাবে একটি আকাশ-পাতাল বৈষম্য। এতে করে সরকারি সুযোগ থেকে বঞ্চিত শিক্ষকদের মনে ক্ষোভের আগুন দিন দিন বাড়তেই থাকবে। পাশাপাশি মেধাাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতার মত এই মহান পেশায় আশার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ফলশ্রুতিতে অদূর ভবিষ্যতে শিক্ষা সেক্টর মেধা শূন্য হয়ে পড়বে। ভুগতে হবে গোটা বাঙালি জাতিকে।
লেখক: সাবেক সদস্য, কেন্দ্রীয় ছাত্র মৈত্রী এবং সাবেক সাধারণ  সম্পাদক, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র মৈত্রী ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

wwwwwনিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার প্রবীণ সাংবাদিক অ্যাডভোকেট এ কে এম শহীদুল্লাহ’র একমাত্র ছেলে মো: আসাদুল্লাহ মনু নিউমনিয়ার আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: আসাদুজ্জামানের তত্বাবধানে তিনি চিকিৎসাধীন। গত দুই সপ্তাহ ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক পুত্র আসাদুল্লাহ মনুকে দেখতে যান। সাংবাদিকবৃন্দ তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং তার সুচিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক দৃষ্টিপাতের সম্পাদক জি এম নূর ইসলাম, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যনার্জি, সময় টিভি’র সাতক্ষীলা প্রতিনিধি মমতাজ আহমেদ বাপী, আরটিভি’র জেলা প্রতিনিধি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার এম. কামরুজ্জামান, দৈনিক যুগের বার্তার সম্পাদক আবু নাসের মোহাম্মদ আবু সাঈদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কালিদাস কর্মকার, দৈনিক যশোরের জেলা প্রতিনিধি সেলিম রেজা মুকুল, দৈনিক কল্যাণের জেলা প্রতিনিধি কাজী শওকত হোসেন ময়না, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির জেলা প্রতিনিধি শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, দৈনিক প্রবর্তনের জেলা প্রতিনিধি কাজী জামাল উদ্দিন মামুন, দৈনিক ভোরের ডাকের জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মাদ আলী সুজন, দৈনিক পিপলস টাইমের জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক যুগের বার্তার মফ;স্বল বার্তা সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার বার্তা সম্পাদক ও ঢাকা টাইমস টুয়েন্টি ফোর’র জেলা প্রতিনিধি এম. বেলাল হোসাইন।

প্রসঙ্গত, অসুস্থ আসাদুজ্জামান মনু সাতক্ষীরা প্রেসেক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম কামরুজ্জামানের একমাত্র শ্যালক।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

younus-khanসিডনি টেস্টে ইউনিস খানের জোড়া রেকর্ডেও অস্বস্তিতে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের ৮ উইকেটে করা ৫৩৮ রানের জবাবে ২৭১ রান করতেই ৮ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেট হাতে রেখে অজিদের চেয়ে এখনো ২৬৭ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা।

বুধবার দিনের শেষে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে রান ছিল ২ উইকেটে ১২৬। এদিন কাজের কাজ করেন অভিজ্ঞ ইউনিস খান। নিজের ৩৪তম টেস্ট শতরান করেন তিনি। দিন শেষে ১৩৬ রানে অপরাজিত থেকে একাই টানেন দলকে। আজ সকাল থেকে সিডনিতে বৃষ্টি। খেলা শুরু হল বেশ দেরিতে। গতকালের অপরাজিত ব্যাটসম্যান আজহার আলি এদিন ৭১ রানে রান আউট হন। অধিনায়ক মিসবা (‌‌১৮)‌‌ ও আসাদ শাফিকও (‌‌৪)‌‌ রান পাননি।

সেঞ্চুরির সাথে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে বিরল এক রেকর্ড গড়েন ইউনিস খান। টেস্ট ক্রিকেটের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ১১টি দেশে সেঞ্চুরি করেন ইউনিস। সেই সঙ্গে সুনীল গাভাস্কার, ব্রায়ান লারাদের মতো কিংবদন্তিদেরও টপকে গেছেন এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান।

তিনি ভারতের কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড়কে টপকে যান। দ্রাবিড় টেস্টের পূর্ণ সদস্য ১০টি দেশে সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন। তবে ১০টি পূর্ণ টেস্ট সদস্য দেশের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতেও সেঞ্চুরি করেন ইউনিস। পাকিস্তানের দ্বিতীয় হোম ভেন্যুতে ইউনিসের খেলার সৌভাগ্য হলেও দ্রাবিড়ের সেখানে খেলা হয়নি।

নতুন এই কীর্তি গড়ার পর আরও একটি মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে ইউসি খান। এখন তার অপেক্ষা টেস্টে ১০ হাজার রান স্পর্শ করার। এই ম্যাচের আগে ১১৪ টেস্টে ৯৭৮৯ রান করেছেন ইউনিস। এই ম্যাচে এখনো পর্যন্ত করেছেন ১৩৬ রান। আর মাত্র ৭৫ রান করলেই ১০ হাজারী ক্লাবে প্রবেশ করবেন তিনি।

ইউনিস খান ছাড়াও ১০টি দেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন শ্রীলঙ্কান গ্রেট কুমার সাঙ্গাকারা এবং মাহেলা জয়াবর্ধনে। পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইউসুফও এই কাতারে রয়েছেন। তবে সাঙ্গাকারা ওয়েস্ট ইন্ডিজে, ইউসুফ ও জয়াবর্ধনে দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনো সেঞ্চুরি করতে পারেননি।

এই ম্যাচে সেঞ্চুরির মাধ্যমে সাদা পোশাকে ৩৪টি শতকের মালিক হলেন ইউনিস। টেস্টে সর্বোচ্চ ৫১ সেঞ্চুরি নিয়ে সবার শীর্ষে ভারতীয় ব্যাটিং ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকার। ৪৫টি শতক নিয়ে এই তালিকায় দুইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অল-রাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস। ৪১ সেঞ্চুরি নিয়ে তিনে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক দলপতি রিকি পন্টিং।

সাঙ্গাকারা ৩৮টি শতক নিয়ে তালিকায় রয়েছেন চার নম্বরে। আর পাঁচ নম্বরে থাকা দ্রাবিড়ের শতকের সংখ্যা ৩৬টি। ৩৪ শতক নিয়ে এই তালিকায় ছয় নম্বরে ইউনিস খান। এই সেঞ্চুরি দিয়ে টপকে এসেছেন ভারতের কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার (৩৪), ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা (৩৪), শ্রীলঙ্কার জয়াবর্ধনে (৩৪) আর অজি তারকা স্টিভ ওয়াহদের (৩২) মতো ব্যাটিং জিনিয়াসদের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

satkhira-picনিজস্ব প্রতিবেদক: ৫ জানুয়ারি সরকারের তিন বছর পূর্তি ও গণতন্ত্র রক্ষা দিবস উপলক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায় বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের একাংশের আয়োজনে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন, প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা সদর আসনের সাংসদ মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ নেতা মহিতুল আলম, ফিরোজ কামাল শুভ্র, অ্যাডভোকেট আজহার হোসেন, শেখ হারুন উর রশিদ, নূরুল হক, মুশফিকুর রহমান মিল্টন প্রমুখ। র‌্যালি শেষে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সি প্রশংসা করেন এবং তার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে কাজ করার আহবান জানান।
এদিকে, একই স্থানে বিকেল তিন টায় সমাবেশ করবে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে অপর একটি অংশ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

5-4-7দেবহাটা ব্যুরো: গণমাধ্যম কর্মীদের উপর নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে এবং সাতক্ষীরার বাঁশদহায় সাংবাদিক জুলফিকার আলীর উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে দেবহাটার কর্মরত সাংবাদিবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার দেবহাটা প্রেসক্লাব ও রিপোর্টাস ক্লাবের আয়োজনে  উপজেলার পারুলিয়া বাসস্টান্ড চত্বরে বেলা ১১ থেকে শুরু করে ঘন্টাব্যাপী এ মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তব্য রাখেন দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল ওহাব, সহ-সভাপতি রাশিদুল আলম রশিদ, প্রচার সম্পাদক মোমিনুর রহমান, দেবহাটা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব লিটু, প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য রিয়াজুল ইসলাম রানা, এস এম নাসিরউদ্দীন, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরার দেবহাটা ব্যুরো প্রধান কে এম রেজাউল করিম প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা প্রেসক্লাবের দিপঙ্কর বিশ্বাস, রিপোর্টাস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক এম.এ মামুন, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পদক নাজমুল হোসেন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক আরিফুল ইসলাম, গোপাল কুমার, আরাফাত হোসেন, ফারহাদ হোসেন সবুজ, ফিরোজ আলমসহ সকল কর্মরত সাংবাদিবৃন্দ।
এসময় বক্তরা বলেন, দেশব্যাপী একের পর এক গণমাধ্যমের উপর নিপীড়ন ও কর্মরত সাংবাদিকদের উপর হামলা নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি সাংবাদিক জুলফিকার আলীর নির্যাতনের ঘটনায় বাঁশদহা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মোশারফ হোসেনসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া এভাবে যদি গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের উপর হামলা করা হয় তাহলে সংবাদমাধ্যম তার নিজস্ব স্বাধীনতা হারাবে। বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে গণমাধ্যম কর্মীদের অবদান কোন অংশে কম নয়। কিন্তু এভাবে গণমাধ্যমের উপর নিপীড়ন নির্যাতন করা হলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ব্যাহত হতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট বিভাগে সরকারের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ অতি দ্রুত গণমাধ্যম ও তাদের কর্মীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করার অনুরোধ জানানো হয় প্রতিবাদ সমাবেশে। এছাড়া সমাবেশে দক্ষিণের মশালের সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর উপর হুমকিরও নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1483591963অভিজ্ঞতা ছাড়াই জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্কয়ার গ্রুপের শাখা প্রতিষ্ঠান ‘স্কয়ার হারবাল অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যালস লিমিটেড’। ‘এক্সিকিউটিভ, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ভ্যালিডেশন’ পদে এই নিয়োগ দেওয়া হবে।

যোগ্যতা

আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। নতুন প্রার্থীদের আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি যোগাযোগে দক্ষ ও মাইক্রোসফট অফিস অ্যাপ্লিকেশন চালনায় পারদর্শী হতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ওয়েবসাইট (bit.ly/2isR3jM) থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার সুযোগ থাকছে ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭ পর্যন্ত।

বিস্তারিত জানতে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখুন

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

sabinaছোটবেলায় পাড়ার মোড়ে অথবা গ্রামের মাঠে ক্রিকেট খেলার সময় আঙুলের কড়ে গুনে রানের হিসেব রাখতে হিমশিম খেতে হয়েছে কম-বেশি সবাইকে। ক্রিকেট মাঠে স্কোরারকে তাই পুরোটা সময় ব্যস্ত থাকতে হয়। তবে ফুটবলে এতশত হিসেব রাখার বালাই প্রায় নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে ‘প্রায়’ শব্দটা ব্যবহার করতে হলো কারণ মাঠে যদি থাকেন সাবিনা খাতুনের মতো একজন, তবে গোলের হিসেব রাখতে গিয়ে স্কোরার কিংবা সাধারণ দর্শক হাঁপিয়ে উঠবেন বলা চলে। প্রত্যেক ম্যাচে চার-পাঁচ গোল করাকে নিতান্তই সাধারণ(!) বানিয়ে ফেলেছেন বাংলাদেশের গোলমেশিন সাবিনা খাতুন।

সাবিনা খাতুন সম্পর্কে প্রথমেই বলতে হয় তার অবিশ্বাস্য গোল করার ক্ষমতা। এক ম্যাচে হ্যাটট্রিক, কিংবা বড়জোর পাঁচ গোল যেখানে অসাধারণ বলা যায় হয় সেখানে ১৬ গোল করার কৃতিত্ব আছে এই ফরোয়ার্ডের। এইতো সেদিন আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাফ উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একাই করেছেন পাঁচ গোল।

সাতক্ষীরার মেয়ে সাবিনার শুরুটা ২০০৯ সালে। সিটিসেল জাতীয় মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার পর ধারবাহিকভাবে খেলেছেন ঢাকা মহানগর মহিলা ফুটবল লিগে; কেএফসি জাতীয় মহিলা ফুটবলে হয়েছেন সেরা খেলোয়াড়। ২০১৪ সালের শেষ নাগাদ ঘরোয়া ফুটবলের শতাধিক গোল করেন সাবিনা, হয়ে যান জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

২০১৪ সালে পাকিস্তানে মহিলা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপের বিপক্ষে জয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু’গোল করেন সাবিনা। এর মাধ্যমেই মালদ্বীপ ফুটবল কর্তাদের নজরে আসেন তিনি। এরপর দেশের প্রথম প্রমীলা ফুটবলার হিসেবে দেশের বাইরের লিগে খেলার সুযোগ পান সাবিনা। এর আগে কাজী সালাউদ্দিন, কায়সার হামিদ, প্রয়াত মোনেম মুন্না এবং মামুনুল দেশের বাইরে খেলার ডাক পেলেও নারী হিসেবে সাবিনাই প্রথম।
তবে প্রথমবারেই বিদেশি লিগে খেলতে গিয়ে সাবিনা যে কৃতিত্ব করেছেন তা বোধহয় রূপকথাকেও হার মানায়। মালদ্বীপে পুলিশ ক্লাবের পক্ষে অভিষেকেই করেছেন চার গোল, পরের ম্যাচে একাই করেছেন ১৬ গোল (৫টি হ্যাট ট্রিক!)। এর আগে ঢাকার মাঠে একবার এক ম্যাচে ১৪ গোলের রেকর্ড ছিল এই স্ট্রাইকারের। মালদ্বীপে মোট ছয় ম্যাচে সাবিনা গোল করেছিলেন ৩৭ টি এবং এর পাঁচটিতেই ছিলেন ম্যাচসেরা।

ঢাকা মোহামেডানসহ ক্লাব পর্যায়ে একের পর এক বিস্ময় উপহার দেয়া এই ফরোয়ার্ড জাতীয় পর্যায়েও সমান উজ্জ্বল। এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে পাঁচ গোল করেছেন, দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষেও দলের মূল ভরসার নাম সাবিনা খাতুন। এস এ গেমস, অলিম্পিক প্রি কোয়ালিফাইং কিংবা এএফসি ওমেন্স এশিয়ান কাপ ২০১৪ বাছাইপর্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ম্যাচে বরাবরই গোল করেছেন তিনি, অসাধারন পারফরম্যান্স এবং নেতৃত্বগুণের কারণে বর্তমান বাংলাদেশ প্রমীলা ফুটবল দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন।

ব্রাজিলের তারকা মার্তাকে আদর্শ মানেন সাবিনা। ‘স্কার্ট পরা পেলে’ হিসেবে পরিচিত মার্তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে একটি দেশের প্রমীলা ফুটবলের সমার্থক হয়ে গেছেন সাবিনা। ফুটবল ভক্তদের কাছে ‘বাংলার মেসি কন্যা’ নামে পরিচিত এই ফুটবলার নৈপুন্য দিয়েই তার এই নামটি স্বার্থক করে তুলছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest