সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরার ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপির ২ বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলসাতক্ষীরা-০১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আ’লীগ নেতা মুজিবের মনোনয়ন জমাসাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনা

J9LiCG_355সরকার নিম্ন আদালতের মতো উচ্চ আদালতও নিজেদের কব্জায় নিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের আপিল শুনানিকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার যুক্তি খন্ডন শুরু করেন। বেলা ১১টা পর্যন্ত শুনানি চলার পর আধাঘণ্টার বিরতি দিয়ে সাড়ে ১১টা থেকে আবার শুরু হয়েছে শুনানি। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আপিলের এই শুনানি চলছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। অন্যদিকে রিটকারীর পক্ষে আছেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

শুনানিতে আদালত আরো বলেন, নিম্ন আদলতের ৮০ পার্সেন্ট সুপ্রিমকোর্টের নিয়ন্ত্রণে নেই। আপনি বলছেন, বিচার বিভাগ কার্যকর, এক জেলায় ৫ মাস ধরে জজ নেই। বিচার বিভাগ কার্যকর হলো কিভাবে?

২০১৬ সালের ৫ মে সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুই বিচারপতি ১৬তম সংশোধণী অবৈধ ঘোষণা করলেও এক বিচারপতি ওই সংশোধনী বহাল রেখে রিট আবেদন খারিজ করেন। কিন্তু নিয়মানুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে যে রায় দেয়া হয় সেটাই চূড়ান্ত রায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

uFJIF9_92গত আট বছর ধরে সারাদেশে মোট সতের হাজার ছয়’শ পনেরটি পদে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক পদ শূন্য আছে। এরমধ্যে খুব শীঘ্রই ষোল হাজার শূন্য পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাথে মতবিনিময় ও শিক্ষক পদোন্নতি অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পিএসসির নির্দিষ্ট কোটার বাহিরে ৬৫ শতাংশ শূন্যপদ পূরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রথম পর্যায়ে ঢাকা জেলার ৮৭ জন সহকারী শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়া হয়।

মন্ত্রী জানান, সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে থেকে জ্যেষ্ঠতার নির্ধারণের বিষয়ে উচ্চ আদালতে মামলা থাকায় গত আট বছর ধরে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া সম্ভব হয়নি। এমনকি শূণ্য পদের ৩৫ শতাংশ পিএসসি’র মাধ্যমে নিয়োগের কথা থাকলেও হয়েছে ১২ শতাংশের কম। ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতে ব্যাহত হয়েছে। তাই শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা সহ সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে খুব কম সময়ের মধ্যে ষোল হাজার শূণ্যপদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, পদোন্নতির জন্য পিএসসিতে যে তালিকা দেয়া হয়েছে তাদের অনেকের চাকুরিই শেষ হয়ে যাচ্ছে। একারণে আমরা দ্রুততম সময়ের মাঝে এসব শিক্ষকদের পদোন্নতি দিবো। আলোচনা করার পর অর্থমন্ত্রী শিক্ষকদের নিয়োগ সহায়তায় আশ্বস্ত করেছেন। উচ্চ আদালতে মামলা ও শিক্ষকদের মাঝে রেশারেশির কারনে এসব শূণ্যপদ পূরণ করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান মন্ত্রী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Copy of 112233মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম কর্তৃক দারিদ্র বিমোচন প্রকল্পের আওতায় মহিলা সেলাই প্রশিক্ষর্ণার্থীদের মাস ব্যাপী সেলাই প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর লিয়াকত পারভেজ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল লতিফ, দৈনিক প্রথম আলো’র নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, আলহাজ্ব ডা. আবুল কালাম বাবলা, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, আব্দুল খালেক, আব্দুর রশিদ, অধ্যাপক রফিউদ্দীন, আব্দুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ৩টি ব্যাচের মোট ১২ জন প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

DSC04245মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : ‘সাবধানে গাড়ি চালান, নিরাপদে থাকুন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে জন-সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সাতক্ষীরা সার্কেলের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় এ আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল লতিফ খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। এসময় তিনি বলেন, ‘জনসচেতনতায় পারে সড়ক দূর্ঘটনা রোধ করতে। এজন্য পেশাজীবী গাড়ী চালকসহ সকলকে সম্মিলিতভাবে সড়ক দূর্ঘটনা রোধে সচেতনতা সৃষ্টি এবং সকল নিয়মের অনুশাসন মেনে চলার আহবান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তাওহীদুর রহমান, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) খুলনা বিভাগের উপ পরিচালক (ইঞ্জি:) মো. জিয়াউর রহমান, জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আবু আহমেদ, দৈনিক প্রথম আলো’র নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জী, সাতাক্ষীরা জেলা পুলিশ পরিদর্শক (যানবাহন) তপন কুমার মজুমদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ট্রাংক ট্রাংকলরী কাভার্ট ভ্যান ইউনিয়নের সভাপতি মো. আজিজুল হক আজিজ, সাধারণ সম্পাদক শাহাঙ্গীর হোসেন শাহীন, মটরযান পরিদর্শন মো. আমির হোসেন, ম্যাকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট মো. আবু জামাল, অফিস সহকারী নাসির উদ্দীন, নারকেলতলা ট্রাংক-ট্যাংলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের কাদু, বিআরটি এর শেখ আমিনুর হোসেন প্রমুখ।

সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সাতক্ষীরা সার্কেলের প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ চৌধুরী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

IMG_20170511_175623জিল্লুর রহমান/ মোসলেম আহমেদ/ সোহেল পারভেজ/আজহারুল ইসলাম : বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সাতক্ষীরা জেলার প্রাণকেন্দ্রে একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ। উচ্চ শিক্ষার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছানোর লক্ষ্যে, বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য এবং এতদাঞ্চলে শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ হিসাবে গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে ১৯৯৮ সালে এ কলেজে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অর্থনীতিতে স্মাতক শ্রেণি চালু করা হয় এবং ২০১০-১১ সেশন থেকে স্মাতকোত্তর শ্রেণি চালু করা হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অর্থনীতি বিভাগ এ কলেজে অত্যন্ত গৌরবের সাথে সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বিভাগের ফলাফল অত্যন্ত চমৎকার ও ঈর্ষণীয়। ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষে সাতক্ষীরা কলেজের ছাত্র মফিজুল ইসলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিষয়ে সম্মলিত মেধাক্রমে ১ম স্থান অধিকার করেন।
২০০৩-২০০৪ শিক্ষাবর্ষে আহসান হাবীব সারা বাংলাদেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিষয়ে ২য় স্থান লাভ করেন। বর্তমানে এ বিভাগে ৪ জন শিক্ষক এবং ১ জন শিক্ষিকা তাদের দক্ষতা মেধা ও কঠোর পরিশ্রম দ্বারা এ বিভাগের গৌরবকে ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিভাগটিতে ৩ টি ক্লাসরুম, ১টি অফিসকক্ষ আছে। বিভাগটিতে প্রায় ৭৫০ জন ছাত্র- ছাত্রী অধ্যয়নরত।অর্থনীতি বিভাগের বর্তমান (ভারপ্রাপ্ত) বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এ বিভাগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলস ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, এ বিভাগ থেকে গত পরীক্ষায় স্মাতক সম্মান ২০১৪ সালের শিক্ষাবর্ষে ৪০ জন এবং ১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে ১৮জন ফাষ্ট ক্লাস পেয়েছে।আশাকরি আগামীতে আরও ভালো ফলাফল হবে।

এ বিষয়ে কয়েকজন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর কাছে জিজ্ঞাসা কররে তারা বলেন, আমাদের শিক্ষক- শিক্ষিকাবৃন্দ তাদের মেধা ও দক্ষতার সাথে পাঠদান করেন। যদি আমাদের একটি ভাল সেমিনার কক্ষ এবং ক্লাসরুম গুলো  পাশাপাশি হতো তাহলে আমাদের খুব সুবিধা হয়। এ বিভাগের ফলাফল ফলপ্রসু হওয়ার কারণে অর্থনীতি বিভাগের প্রতি ছাত্র- ছাত্রীদের আগ্রহ দিনদিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু আমাদের ক্লাসরুমে বিছিন্ন থাকায় এবং সেমিনার কক্ষটি ব্যবহার করতে না পারায় বিভিন্ন সময় সমস্যার সম্মুখীন হই।

জিল্লুর রহমান/ মোসলেম আহমেদ/ সোহেল পারভেজ/আজহারুল ইসলাম : ডেইলি সাতক্ষীরা’র মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান ইন্টার্নশিপ কর্মসূচির ইন্টার্ন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

def566b962db88d269fac3d0907546a1-5923d367bc410সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার (২৩ মে) সারাদেশে  প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা। বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) ঘোষণা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে প্রাইভেট প্রাকটিস বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা।

রোগীদের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন, রোগীদের এই দুর্ভোগের জন্য তারা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কিন্তু নিজেদের নিরাপত্তার জন্য একুটু (প্রাকটিস বন্ধ রাখা) করতে বাধ্য হয়েছেন। তারা আরও জানান, বহির্বিভাগের চিকিৎসা বন্ধ রাখা হলেও জরুরি বিভাগের চিকিৎসা চলছে।

মঙ্গলবার সকালে গ্রিনরোডের সেন্ট্রাল হাসপাতাল, ল্যাবএইড, গ্রিন লাইফসহ আরও কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে থাকা চিকিৎসকরা বিএমএ’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জরুরি চিকিৎসা ছাড়া রোগী দেখছেন না।

সেন্ট্রাল হাসপাতালে রংপুর থেকে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী জানান, তিনি গত পরশু (রবিবার) রাত ১১টা পর্যন্ত হাসপাতালে থেকে আজকের (মঙ্গলবার) সিরিয়াল দিয়ে গেছেন দেশের নাম করা একজন গাইনি চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু আজ এসে শুনেন যে, ডাক্তার বসবেন না। এটা হয়রানি ছাড়া কিছু না। তিনি আরও জানান, ডাক্তার দেখাতে রংপুর থেকে ঢাকায় আসা এত সহজ না। তাকে কর্মক্ষেত্র থেকে ছুটি নিয়ে আসতে হয়েছে।

গ্রিনরোডের গ্রিন লাইফ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, এক ব্যক্তি রিসিপশনে গিয়ে মেডিসিন বিভাগের এক চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাচ্ছেন। কিন্তু রিসিপশন থেকে তাকে বলা হয়,  সারাদেশে আজ চিকিৎসকরা চেম্বারে বসবেন না। আজকে কোনও ডাক্তার দেখানো যাবে না।

এ হাসপাতালেই ছোট বোনকে নিয়ে আসা মামুন বলেন, ‘নিজের ক্লাস বাদ দিয়ে বোনকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে এসেছিলাম। কিন্তু ডাক্তার দেখাতে পারিনি। জানি না কিসের জন্য ডাক্তাররা ধর্মঘট ডেকেছেন। তবে অন্যান্য সব পেশার মানুষদের মতো ডাক্তাররাও ধর্মঘট ডেকে পরিচয় দিলেন যে, তারা আর মহৎ পেশায়  নিয়োজিত নেই। ডাক্তারি এখন আর নোবেল প্রফেশন নয়। চিকিৎসকরা রোগী না দেখে তাদের শপথ ভঙ্গ করছেন।’

সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে গত ২০ মে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এর কার্যনির্বাহী পরিষদ সারাদেশের চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখার এই ঘোষণা দেয়। এছাড়াও গত ২১ মে থেকে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত তারা সকাল ৮ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কালো ব্যাজ ধারণের সিদ্ধান্ত নেন।

রাজধানীর গ্রিন রোডে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ঢাবি শিক্ষার্থী আফিয়া জাহিন চৈতি মৃত্যুর ঘটনায়  গত ১৮ মে  ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন ঢাবি প্রক্টর আমজাদ আলী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল অনুষদের ডিন ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহকে এক নম্বর আসামি করে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। এর পরপরই সেন্ট্রাল হাসপাতালের পরিচালক ডা. এম এ কাশেম ও ডা. সাজিদ হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে সব চিকিৎসকরাই জামিন নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আফিয়া জাহিন চৈতি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বুধবার (১৭ মে) সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি হলেও তাকে ক্যান্সারের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। পরদিন বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের সহপাঠীরা ওই হাসপাতালে এসে ভাঙচুর করেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1495471313আবার খবরের শিরোনামে এলেন ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু স্বামী ওম। এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে জনতার হাতে মার খেয়েছেন তিনি। আর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনাটি দেখলেন সংগঠকরা।

অব্শ্য এর আগেও অনেক বিতর্কে জড়িয়েছেন এই স্বঘোষিত সাধু। অর্ধনগ্ন নারী শিষ্যর সঙ্গে যোগ বা অন্তর্বাসের উপকারিতা বোঝাতে গিয়ে মার খেয়েছিলেন। এর আগে রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস’-এ যোগ দিয়েও নানা বিতর্কে সেধে অংশ নেওয়া তো রয়েছেই।

তবে এবার স্বামী ওম মার খেলেন প্রায় বিনাদোষেই। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, গত শনিবার দেশটির রাজধানী দিল্লির বিকাশনগর এলাকায় নাথুরাম গডসের জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল ওম স্বামীকে। সঙ্গে ছিলেন আরো অনেক অতিথি।

অনুষ্ঠানের দিন যথাসময়ে হাজির সাধুবাবা। এর মধ্যে অনুষ্ঠান মঞ্চে তাঁকে স্বাগতও জানানো হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে আয়োজক ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত নারীরা ওম স্বামীর উপস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। জবাবে প্রত্যুত্তর দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলের মঞ্চের দিকে যেতে উদ্যত হন ওম স্বামী।

কিন্তু মঞ্চের কাছাকাছি যেতেই জনতার মধ্যে থেকে কিছু লোক এগিয়ে এসে তাঁকে মারতে শুরু করে। মারের চোটে খুলে আসে চুল। আর কিছু বুঝে ওঠার আগেই বেধড়ক মার খেয়ে অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন বিগ বসের এই আলোচিত-সমালোচিত প্রতিযোগী।

মারার সময়ে জনতা চিৎকার করছিল, নাথুরামের মতো ব্যক্তির জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে স্বামী ওমের মতো দূরাচারীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এ সময় জনতা স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুকে বেরিয়ে যেতে বলে।

এদিকে ঘটনাটিকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে ক্ষমা চেয়েছেন আয়োজকরা। আর ওম স্বামীর দাবি, তাঁর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত মহল এই হামলা চালিয়েছে। তিনি আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে।

https://www.youtube.com/watch?v=xWrElJ9Hqok

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1495521292মহাশক্তিধর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তিনি। কিন্তু তাতে কী আসে যায়। বউয়ের মন জুগিয়ে চলতে হয় তাঁকেও। এর প্রমাণ মিলল সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে।

‘অশান্ত’ বিশ্বের জন্য একটু ‘শান্তি’ খুঁজতে সৌদি সফরে গিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর গতকাল সোমবার পা রাখেন বন্ধুদেশ ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মেলানিয়া। বিমান থেকে নেমে লালগালিচার ওপর দিয়ে হাঁটার সময় হয়তো ভালোবেসেই স্ত্রীর হাত ধরতে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু মেলানিয়া মোটেও সাড়া দিলেন না তাতে। বরং ট্রাম্পের বাড়িয়ে দেওয়া হাতে ছোট্ট একটা চাপড় মেরে প্রত্যাখ্যান করলেন।

তবে কী কারণে পতির ভালোবাসার ডাক ফিরিয়ে দিলেন এই মডেল সুন্দরী তার কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। হয়তো কোনো কারণে মি. প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফার্স্ট লেডির মান-অভিমান চলছিল। এমনও হতে পারে, সংকীর্ণ গালিচায় পাশাপাশি হাঁটা সম্ভব না বলে হাতে চাপড় দিয়েছিলেন তিনি।

তবে ট্রাম্পকে একেবারেই বঞ্চিত করেননি মেলানিয়া। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর স্ত্রী সারার সঙ্গে বিদায় নেওয়ার সময় ট্রাম্পের হাতে সামান্য স্পর্শ করেছিলেন তিনি।

https://www.youtube.com/watch?v=slo71FaJjfY

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest