সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরা জেলা কিন্ডার গার্টেন এ্যাসোসিয়েশনের ফলাফল প্রকাশExploring the Flavorful Journey of Ground Beef Enchiladasজেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার

Satkhira photo Press Conference, 21.05.17.docপ্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা শহরব্যাপী মটর ভ্যান-রিক্সা বিরোধী অভিযানের কারণে সহাস্রাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অবিলম্বে মটর চালিত ভ্যান রিক্সা বিরোধী অভিযান বন্ধ করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন সাতক্ষীরায় মটর চালিত ভ্যান রিক্সা উচ্ছেদ প্রতিরোধ সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরায় এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব এ্যাডঃ ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, গত ১৫ মে থেকে সাতক্ষীরা শহরব্যাপী চলছে মটরভ্যান বিরোধী এক নৈরাজ্যকর সাড়াশী অভিযান। ইতিমধ্যে শত শত মটর ভ্যান আটক করার পাশাপাশি অনেককে মারপিট ও লাঞ্চিত করা হয়েছে। ফলে সাতক্ষীরা শহর এখন মটর ভ্যান শুন্য হয়ে পড়ায় বেকার হয়ে হাজার হাজার শ্রমিক পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বর্তমান জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন এই জেলায় আসার পর থেকে মটর রিক্সা-ভ্যানের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে দাবি দাওয়া নিয়ে গেলে তিনি শহরে প্যাডেল চালিত রিক্সা চলা চলের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এজন্য তিনি নিজে ২’শ রিক্সা, সদর এমপি এক’শ রিক্সা এবং সমাজাসেবা অধিদপ্তর থেকে ভ্যানের বডি পরিবর্তনের সহায়তা করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কারো রিক্সা প্রদান বা কারো ভ্যানের বডি পরির্বতনে সহায়তা করা হয়নি। এছাড়া শারীরিক সক্ষমতা না থাকায় অধিকাংশ চালকরা এখন আর প্যাডেল চালিত রিক্সা ভ্যান চালাতে চায় না। আবার অনেকে খন্ডকালিন মটর ভ্যান চালিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখা পড়া করছে।
তিনি বলেন, এই জেলায় ২২ লাখের মধ্যে শহরে প্রায় দেড় লাখ মানুষের বসবাস। শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। প্রতিদিন বিভিন্ন কর্মকান্ডের কারনে প্রায় ২/৩ লাখ মানুষ এই শহরে চলাচল করে। তাদের অধিকাংশই এই মটরভ্যান ব্যবহার করে। ১৫ মে থেকে মটর ভ্যান বিরোধী অভিযানের কারনে এসব মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা এখন সময়মত কোচিংয়ে যেতে পারছে না। মটর চালিত রিক্সা ভ্যান না থাকার করানে বাচ্চারা সময় মত বাড়ি ফিরতে পারছে না। ফলে দুচিন্তায় থাকতে হচ্ছে অভিভাবকদের। গ্রাম থেকে সবজিসহ অন্যান্য পন্য শহরে আনতে না পারায় বাড়ছে দ্রব্যমূল্য।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় প্যাডেল চালিত রিক্সা ভ্যান এখন মটর ভ্যানে পরিণত হয়েছে। এই মটর রিক্সা ভ্যানের কারনে মানুষ এখন দ্রুত চলাচল করতে পারছে। সব কিছু যখন ইন্টারনেটের গতিতে চলছে ঠিক তখনই সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এই জেলার মানুষকে মধ্যযুগীয় গরুরগাড়ি, ঠেলাগাড়ি ও প্যাডেল চালিত ভ্যান রিক্সায় ফিরিয়ে আনতে চান।
ভ্যান রিক্সা উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মটর চালিত ভ্যান রিক্সা বিরোধী অভিযান ও হয়রানি বন্ধ, বিনা পয়সায় আটক মটর চালিত ভ্যান রিক্সা ছেড়ে দেয়া এবং রেজিস্ট্রেশন প্রদান করে মটর চালিত ভ্যান রিক্সা  আধুনিকরণে প্রয়োজনী পদক্ষেপ গ্রহণসহ পাঁচ দফা দাবি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1495339348বিচ্ছেদের পরও যে সাবেক স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকতে পারে, সেটাই প্রমাণ করে দিলেন হৃতিক রোশন ও সুজান। তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল ২০১৪ সালে। তখন দুজনের সম্পর্ক তিক্ততার মধ্য দিয়ে গেলেও পর্যায়ক্রমে সেটা বন্ধুত্বে রূপ নেয়। একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন পার্টিতে তাঁদের দেখা যেত। সুজান হৃতিকের জন্মদিন ও তাঁর বোন সুনয়না রোশনের জন্মদিনেও উপস্থিত ছিলেন। তাই বলা যায়, ঘর ভাঙলেও বন্ধুত্ব ভাঙেনি হৃতিক-সুজানের।

বন্ধুত্ব গাঢ় হওয়ার প্রমাণ মিলছে ফিল্মফেয়ারের খবর থেকে। সেখানে জানা যায়, সম্প্রতি জুহুতে সুজানের জন্য একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন হৃতিক। বিচ্ছেদ ঘটলেও এখনো হৃতিকের জীবনে সুজান ও তাঁদের দুই ছেলে অবিচ্ছেদ্য অংশ। সে জন্যই নিজের বাংলো থেকে মাত্র ১৫ মিনিট দূরত্বে সুজানের জন্য এই ফ্ল্যাট কেনেন হৃতিক।

ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে এরই মধ্যে খবর বেরিয়েছে, এক ছাদের নিচেই নাকি থাকছেন হৃতিক ও সুজান। তবে বিষয়টি তাঁরা গোপন রাখছেন। এখন দেখার বিষয়, ভবিষ্যতে হৃতিক ও সুজানের এই বন্ধুত্ব আবারও দাম্পত্যে গড়ায় কি না।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

xfull_1937958468_1495379940.jpg.pagespeed.ic.AjdCmqqqbbডেস্ক: আজই নির্ধারণ হয়ে যাবে ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলে তিন জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ট্রফি জিতবে নিউজিল্যান্ড। অথচ এই সিরিজের অন্যতম ফেবারিট ছিল বাংলাদেশই। আয়ারল্যান্ড প্রসঙ্গ বাদ দিলে তুলনামূলক কম শক্তির নিউজিল্যান্ডকে টপকে ট্রফি জিতবে বাংলাদেশ এমনটাই প্রত্যাশা ছিল ক্রিকেট ভক্তদের। সেই প্রত্যাশায় শুরুতেই ধাক্কা লাগে যখন বৃষ্টির কারণে আয়ারল্যান্ড-বাংলাদেশ ম্যাচ ড্র হয়। এরপর নিউজিল্যান্ডের কাছে ৪ উইকেটের হারে সেই আশা পুরোই ফিকে হয়ে যায়।

সেক্ষেত্রে নিয়মানুযায়ী সিরিজের ট্রফির নিষ্পত্তি হয়ে যাবে আয়ারল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়েই। আর নিউজিল্যান্ড জিতে গেলে শেষ ম্যাচে কিউইদের হারালেও লাভ হবে না বাংলাদেশের।

আইরিশদের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে টম ল্যাথামের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩৪৪ রান সংগ্রহ করেছে কিউইরা। এত রান তাড়া করে আগে কখনোই জিততে পারেনি দুর্বল আয়ারল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়ায় সেই প্রমাণই দিচ্ছে আইসিসির সহযোগি দেশটি।

রানের পাহাড় টপকানোর লক্ষ্যে খেলতে নামা আইরিশদের সংগ্রহ ১৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭১ রান। অর্থাৎ বাংলাদেশের আশা শেষ করে জয় ও ট্রফি দুটোর দ্বারপ্রান্তেই রয়েছে নিউজিল্যান্ড।

বাংলাদেশের কাছে যে কয়টি জিনিস এখনো অধরা, তার মধ্যে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি। অবশ্য ক্রিকেট ইতিহাসে একটিই ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ সেটা ২০০৭ সালে। তবে সেই সিরিজে প্রতিপক্ষ ছিল বারমুডা ও কানাডা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

pornপর্নো ছবির প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি প্রেমের সম্পর্ক থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে রাখে। শুধু তা-ই নয়, এই আসক্তি এতটাই ভয়ংকর যে এতে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি তৈরি হয় এবং প্রেমিকার কাছে নিজেকে তাচ্ছিল্যের পাত্র বলে মনে হয়। এটা কিছুটা পুরোনো গবেষণা। তবে এবার নতুন গবেষণা বলছে, পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্তির কারণে পুরুষদের জননতন্ত্রের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে কেউ নপুংসক হয়ে যেতে পারেন।

আমেরিকান ইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের এক গবেষণায় এ ফল পাওয়া গেছে বলে গবেষকেরা দাবি করেছেন।

সম্প্রতি নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণা প্রতিবেদনটি গত ১২ মে আমেরিকান ইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ১১২তম বৈজ্ঞানিক সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। গবেষকেরা ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী তিন শতাধিক পুরুষ যাঁরা সান দিয়েগো ইউরোলজি ক্লিনিকে জননতন্ত্রের চিকিৎসা নিয়েছেন তাঁদের ওপর এই গবেষণাটি করেছেন।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত পুরুষেরা পর্নো দেখে যতটা উপভোগ করেন, বাস্তবে শারীরিক সংসর্গের সময় তাঁরা ততটা উপভোগ করতে পারেন না।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরিপ চালানো তিন শতাধিক পুরুষের মধ্যে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ পর্নো দেখে নিয়মিত স্বমেহন করার পর শারীরিক সংসর্গ করেন। প্রতি চারজনে একজন বলেছেন, তাঁরা সপ্তাহে অন্তত একবার পর্নো দেখেন। আর ২১ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ বলেছেন, তাঁরা সপ্তাহে তিন থেকে পাঁচবার দেখেন। সপ্তাহে ছয় থেকে ১০ বার দেখেন পাঁচ শতাংশ পুরুষ এবং ৪ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ সপ্তাহে ১১ বারের বেশি পর্নো দেখেন।

নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির পুরুষ প্রজনন স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ও ইউরোলজির অধ্যাপক জোসেফ অ্যালুকাল বলেন, স্ক্রিনে দেখা উদ্দীপক কখনো কখনো নারী ও পুরুষের যৌন উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় ঠিকই। কিন্তু যদি কেউ পর্নোগ্রাফিতে মাত্রাতিরিক্ত সময় ব্যয় করেন এবং নিয়মিত স্বমেহন করেন তাহলে বাস্তব জীবনে তিনি শারীরিক সংসর্গে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।

জোসেফ অ্যালুকাল বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের সমস্যা নারীদের ক্ষেত্রে খুব কমই ঘটে। আর এতে পুরুষদের জননতন্ত্রের কার্যক্ষমতা হারিয়ে যেতে পারে। মনে রাখতে হবে—যৌনতা শুধু শারীরিক ব্যাপার নয়, এটা মানসিক ব্যাপারও বটে।

সান দিয়েগোর নাভাল মেডিকেল সেন্টারের ইউরোলজিস্ট ম্যাথিউ ক্রিস্টমান বলেন, পর্নো ছবির প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্তিতে পুরুষদের প্রজননতন্ত্রের কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সমূহ ঝুঁকি থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন পুরুষ শারীরিক সংসর্গের সময় যতটা উত্তেজিত থাকেন, পর্নো দেখার সময় তার চেয়ে বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। আর কারণেই তা সহ্য ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় প্রজননতন্ত্রের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যদিও ৪০ থেকে ৭০ বছর বয়সী পুরুষদের এই সমস্যা এমনিই হতে পারে।

গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গবেষকেরা ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী নারী যাঁরা পর্নো ছবি দেখায় আসক্ত, তাঁদের ওপরও জরিপ চালিয়েছেন। তবে এ ক্ষেত্রে তাঁদের প্রজননতন্ত্রের কার্যক্ষমতা হ্রাস হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

korean-cheerleadersগত মার্চে ‘টেক ইন এশিয়া’ তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দৃষ্টি ই-কমার্স থেকে অন্যান্য দিকে ঘুরে যাচ্ছে। নতুন যেসব ক্ষেত্রে ব্যবসা সরে যাচ্ছে সেই তালিকার প্রথমেই রয়েছে সম্ভবত ক্রীড়াক্ষেত্র।

এর মানে এই নয় যে এখনো ক্রীড়াক্ষেত্র কম লাভজনক। ২০১৫ সালে এশিয়া-প্যাসিফিকের ক্রীড়া সংস্থার মোট রাজস্ব আয় ছিল ২৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি একটি উল্লেখযোগ্য বাজার; যা মিডিয়া এবং স্পন্সরদের মনোযোগ সৃষ্টি করে। সেইসঙ্গে এই শিল্প পোশাক বিক্রয় থেকে শুরু করে ক্রীড়াবিদ্যা অর্জন ও অন্যান্য বিশ্লেষণের দাবি রাখে।

স্পোর্টস মানুষের চিন্তার চেয়েও বেশি বিচিত্রমুখী হতে পারে। এখানে কোচিং থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয় বিশ্লেষণের সুযোগ রয়েছে। আর এটা এশিয়াতেও হতে পারে। এই ধারণাগুলোর উপর ভিত্তি করেই ক্রীড়াপ্রযুক্তি শিল্প চালিত হচ্ছে এবং সারাবিশ্বের খেলাধুলার পারফরম্যান্সের উন্নতিই এর মোক্ষম উত্তর।

ক্রীড়া সামগ্রীর উৎপাদন ও বিপণনের অন্যতম প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। যারা শুধু ইউরোপ এবং লাতিন আমেরিকাকে টার্গেট করেই বিনিয়োগ করেছিল। তারা এখন এশিয়াতেও নজর দিয়েছে। এই কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডি ডাসলার একটি নতুন খসড়াও দাঁড় করিয়েছেন। বার্লিন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তারা তাদের প্রসারণকে দ্রুততর করতে চায়। তবে এমনটা তাদের প্রথম নয়, বরং ইউরোপেও ব্যবসা বিস্তারে পণ্যের মান বৃদ্ধি করতে চায় তারা।

একটা সময় ছিল যখন ক্রীড়াঙ্গনে প্রযুক্তির ব্যবহার তেমন ছিল না। কিন্তু এখন সেটা পাল্টেছে। বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ক্রীড়াঙ্গনে প্রযুক্তির ব্যবহার বহুগুণে বেড়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহার অ্যাথলেটদের পারফরম্যান্সেও প্রভাব ফেলেছে। এর ব্যবহারে অ্যাথলেটদের ইনজুরি কমিয়ে কর্মক্ষমতা বাড়িয়েছে।

ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার, মনোযোগ আকর্ষণের কায়দা বা চাতুরীর চেয়ে আরও বেশি কিছু। ‘টেক ইন এশিয়া’র প্রতিবেদনে উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, বাস্কেটবলের খেলোয়াড় কোবি ব্রায়েন্ট ও স্টিফেন কারিরা বিজ্ঞাপনের চেয়ে জুতা পায়ে খেলা বা অনুশীলনে বেশি উপকৃত হয়েছেন।

এশিয়ার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্র ক্রমবর্ধমান ভাবে বাড়ছে। চীন, ভারত, সাউথ কোরিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মতো দেশে ক্রীড়াক্ষেত্রে ইনজুরি আঘাত বাড়ছে। তাতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ক্রীড়াঙ্গনে ওষুধ শিল্পের বাজার ৯.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

যদিও নর্থ আমেরিকা ও ইউরোপে তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী স্পোর্টস ব্র্যান্ডের নাম রয়েছে, তবে পূর্ব এশিয়ায়ও শক্তিশালী ফ্যান সংস্কৃতি রয়েছে- বিশেষ করে বেসবলের মত খেলায় সেটা দেখা যায়। জাপান, কোরিয়া এবং তাইওয়ান তো বেসবলকে তাদের ‘জাতীয় চিত্তবিনোদন’ হিসেবে দেখে। তাদের সমর্থকরাও মাঠে সেটা ভালভাবে প্রমাণ করে।

শুধু পুরুষ নয়, এশিয়াতে নারী ক্রীড়াবিদের সংখ্যাটাও বাড়ছে চোখে পড়ার মত হারে। সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ভারত ও ইন্দোনেশিয়াতে অর্ধেকেরও বেশি নারী তাদের ব্যয় করে খেলাধুলার পণ্য-সামগ্রী ক্রয়ের পেছনে। সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভারতের ক্রীড়াঙ্গনে লিঙ্গ বৈষম্য সবচেয়ে কম।

এটি কোনও আশ্চর্য হওয়ার মতো বিষয় নয় যে, সামাজিক মাধ্যম এবং প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এশিয়ায় অর্থায়ন করতে চাচ্ছে। ক্রিকেটের বাইরেও এখানে প্রচুর বিনিয়োগ হচ্ছে। ভারতের মুম্বাই ভিত্তিক বিভিন্ন কোম্পানি ফুটবল, টেনিস এবং বাস্কেটবলেও অনেক বিনিয়োগ করছে। কাজ হচ্ছে ফর্মুলা ওয়ান নিয়েও।

আর চলতি বছর সিঙ্গাপুর ভিত্তিক স্পোর্টহিরো গ্রুপ তো ক্রীড়াক্ষেত্রে তাদের বিনিয়োগ ২.৫ মিলিয়ন বাড়িয়েছে। আর মার্কিন জায়ান্ট কোম্পানি রেজার মোট যে ১৪টি স্পোর্টস টিমকে স্পন্সর করে তার ৬টিই এশিয়ার।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

trump5মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প খারাপের বিরুদ্ধে ভালোর যুদ্ধের ঘোষণায় জঙ্গিবাদের তীব্র নিন্দা করেছেন। জঙ্গিবাদকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, পবিত্র ভূমি থেকে ওদের (জঙ্গিদের) উচ্ছেদ করো, পৃথিবী থেকে ওদের সরিয়ে দাও। সৌদি আরবকে মহান বিশ্বাসের পবিত্র ভূমি বলে অভিহিত করেন ট্রাম্প। আরব আমেরিকান ইসলামিক সম্মেলনে রবিবার এমন বক্তব্য ট্রাম্পের।

বিভিন্ন ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠির বিষাক্ত প্রচারণার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা সৃষ্টিকর্তার প্রতি নিবেদিত নয়, তারা সন্ত্রাসের প্রতি নিবেদিত। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকলে তাদের হারানো যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ আমাদের হারাতে পারবে না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম বিদেশ সফরে ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবে আসেন। এর পর তিনি ইসরায়েল, ভ্যাটিকান সিটিতেও যাবেন তিনি। ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনের মাহমুদ আব্বাসের সাথেও দেখা করবেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই কোন নির্দিষ্ট ধর্ম বিশ্বাসের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না। এই যুদ্ধ ভালো এবং মন্দের মধ্যে যুদ্ধ। আইএস এর বিরুদ্ধে সমন্বিতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণে সবার সহযোগিতা চান ট্রাম্প। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় নেতাদের এগিয়ে আসতে আহবানও জানান তিনি।

জঙ্গি গোষ্ঠিগুলো স্বপ্নগুলোকে হত্যা করে বলে মন্তব্য করেন তিনি। শুভ শক্তি শক্তিশালী হলে জঙ্গিবাদকে হারানো যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ এখন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পরেছে। এই পবিত্র ভূমিতে ছড়িয়ে পড়েছে। জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় আমেরিকা আপনাদের পাশে থাকতে চায়।

জঙ্গিবাদের নৃশংসতার বিরুদ্ধে তিনি বলেন, বর্বরতা কোন সম্মান এনে দেয় না। সন্ত্রাসের পথ জীবনকে অর্থহীন করে তোলে। আশা ও সম্মানের সাথে বাঁচার কথা বলেন তিনি।

মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধ ইতিহাসের কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার কথায় এসেছে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ার কথা। ‘সভ্যতার সূতিকাগার’ ইরাকের কথা বলেন, আরব আমিরাতের অসাধারণ নির্মাণ শৈলীর কথা বলেন ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যের অসাধারণ সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, এই অঞ্চলের ৬৫ শতাংশ মানুষের বয়স ৩০ বছরের নিচে।

এই আশা ও সম্ভাবনা রক্ত ও সন্ত্রাসের শিকার উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, এই সহিংসতার সাথে থাকা যায় না। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মধ্যপ্রাচ্যকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাদেরই ঠিক করতে হবে তারা ভবিষ্যতের জন্য কি সিদ্ধান্ত নেবে।

আমেরিকার একার পক্ষে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তা সম্ভব হবে যদি মধ্যপ্রাচ্য এদের তাড়িয়ে দেয় এই পবিত্র ভূমি থেকে, এই বিশ্ব থেকে।

এই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠিগুলোর অর্থায়ন বন্ধের ব্যাপারেও কথা বলেন তিনি। বক্তব্যে শরণার্থীদের দুরবস্থার কথাও বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সৌদি আরবের রিয়াদে দুই দিনের আরব আমেরিকান ইসলামিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। ‘একতায় আমাদের জয়’ স্লোগান নিয়ে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জঙ্গিবাদে অর্থায়নের উৎস খুঁজে বের করে তা বন্ধ করার বিষয়ে সম্মেলনে আলোচনা হবে।

সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরব গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ৫৬টি আরব ও মুসলিম প্রধান দেশের নেতারা।

এর আগে এই সম্মেলনে ট্রাম্প যেই ভাষণটা দিচ্ছেন তার একটি কপি ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1
কালিগঞ্জ ব্যুরো: আওয়ামী তরুণলীগ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যেগে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় খানবাহাদুর আহছানউল্লা সেতু সংলগ্ম বঙ্গবন্ধু‘র ম্যুরালের পাদদেশে উপজেলা তরুণলীগের সভাপতি শেখ শাহা জালালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনের সঞ্চালনায় পথ সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী তরুণলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিএম শফিউল্লাহ, সহ-সভাপতি আসাদুল হক, কার্যকরী সদস্য ইসমাইল হোসেন, জেলা তরুণলীগের সভাপতি শেখ তৌহিদুজ্জামান চপল, সিনিয়ার সহ-সভাপতি জাকির হোসেন খান, শামছুদ্দীন মালেক বাবলু, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন, উপজেলা তরুণলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের প্রমুখ। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ও ইউনিয়ন তরুণলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2
কালিগঞ্জ ব্যুরো : কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউপি সদস্য সাইলুজ্জামান খানের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সভাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেল ৪ টায় চাম্পাফুল ইউনিয়নের কালিবাড়ি বাজারে হঠাও সন্ত্রাসী বাঁচাও দেশ, শ্লোগানে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ইউপি সদস্যের উপর হামলার প্রতিবাদে কালিবাড়ী বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চাম্পাফুল ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য ঠাকুর দাশ সরকার, ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য আবু বক্কার গাইন, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রাধারানী অধিকারী, রাফেজা খাতুন, ১ নং ওয়ার্ড সদস্য গোলাম কায়েস, ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সত্তার, ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য আবু বক্কার সরদার ও সন্ত্রাসী হামলার শিকার ২ নং ওয়ার্ড সদস্য সাইলুজ্জামান খান প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আশাশুনি এলাকার কদমদহ গ্রামের সবুর গাজীর পুত্র আক্তার হোসেন (১৪) ও একই গ্রামের হাফিজুল ইসলামের পুত্র হাসান (১৫) দীর্ঘদিন যাবৎ চাম্পাফুল ইউনিয়নের সাইহাটি খা পাড়া গ্রামের স্কুল ছাত্রীদের উপর ইভটিজিং ও মাদক দ্রব্যের সাথে জড়িত থাকায় এলাকাবাসী তাদের কে আটক করে ইউপি সদস্য সাইলুজ্জামানের কাছে নিয়ে যায়। এসময় ইউপি সদস্য ২ বখাটে দের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে তাদের ইন্ধনে আশাশুনি এলাকার নবাব ওরফে নফা ও খোকন ডাকাতের নেতৃত্বে ইউপি সদস্যের উপর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়। বক্তারা সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির দাবি জানান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest