সর্বশেষ সংবাদ-
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরার মানুষের জনজীবনসাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়শ্যামনগরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলনআইন ও সলিশ কেন্দ্রের আয়োজনে শিশু যৌনশোষণ প্রতিরোধ বিষয়ক সাইকেল র‌্যালিযারা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সাথে জড়িত তারা বিএনপি’র কর্মী হতে পারে না- সাবেক এমপি হাবিবঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধির নিয়োগ পেলেন ইব্রাহিমকালিগঞ্জে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে হুমকিআশাশুনিতে শিক্ষা পদক বাছাই প্রতিযোগাতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাওচাষ প্রাথমিক বিদ্যালয়টানা বৃষ্টিতে আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসাতক্ষীরার বেতনা নদীর বেঁড়িবাধে ভাঙন : নি¤œাঞ্চল প্লাবিত

স্ব‌দেশ: নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া বড় কবরস্থানের একটি বাড়িতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানোর সময় গুলশান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরীda1bdd7f9e712e5f7bb5e467820c814d-579b8c78c30faসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম ও নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন  একথা জানিয়েছেন।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখা যৌথভাবে ‘অপারেশন হিট স্ট্রং ২৭’ নামে এ অভিযানটি চালায়। সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

তামিম চৌধুরীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এর আগে পুলিশ ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সানোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখা যৌথভাবে এ অভিযান শুরু করেছে। অভিযান শুরুর পরপর বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়।

ঘটনাস্থলে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন বলেন, ‘পাইকপাড়া বড় কবরস্থান এলাকার তিনতলা ওই ভবনের তৃতীয় তলাতেই জঙ্গিরা অবস্থান করছে। সকালে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে জঙ্গি সদস্যরা তাদের সব ডক্যুমেন্ট ও আলামত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। আমাদের ধারণা, তিন তলাতে জঙ্গিদের একটি বড় টিম অবস্থান করছে। সকাল সাড়ে ৯টায় পুলিশটের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও ডিএমপি পুলিশ, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ও র‌্যাবের সহযোগিতার অপারেশন শুরু হয়েছে।’

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও র‌্যাবের অতিরিক্ত সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে পুলিশের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, ‘গুলশানের ঘটনার আটকৃতের তথ্যের ভিত্তিতে এখানে অভিযান চলছে।’

ওই বাড়ি হতে কয়েকশ গজ দূরে পুলিশ বেষ্টনী দিয়ে এলাকাবাসীর চলাচল বন্ধ করে দেয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1472212739স্বদেশ:তাঁদের কাজই প্রতারণা করা। কখনো এডিসি জেনারেল, কখনো মন্ত্রীর পিএস আবার কখনো সরকারি সচিব পরিচয় দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করাই তাঁদের কাজ।
আবার কখনো কখনো হাসপাতালে স্বজন ভর্তি, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কিংবা মৃত্যুর সংবাদ দিয়েও স্বজনদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেন এই প্রতারকচক্রের সদস্যরা। অভিযোগের ভিত্তিতে গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তাসংলগ্ন তেলিপাড়া ও দিঘিরচালায় অভিযান চালিয়ে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এই প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব ১-এর গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউল ইসলাম। শুক্রবার সকালে র‍্যাবের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আটকরা হলেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানার মহিষামুড়ী এলাকার বাসিন্দা মো. রাশেদ (৩০) এবং লক্ষ্মীপুরের রামগতি থানার রঘুনাথপুর গ্রামের পারভীন আক্তার সুমি (২৫)। র‍্যাবের অভিযোগ, তাঁরা গাজীপুরের জয়দেবপুরে ভাড়া বাসায় থেকে প্রতারণা করে আসছিলেন। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল সেট, ৪৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ সময় চক্রের আরেক সদস্য টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর থানার চরপাতলাকান্দি গ্রামের মো. রাজু আহমেদ (৩৫) পালিয়ে যান। আটকদের বিরুদ্ধে মো. লাভলু মিয়া ওরফে লাবু মিয়া বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা একটি করেছেন। তাঁদের টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র‌্যাব আটকদের প্রতারণার কৌশলের কথা উল্লেখ করে জানায়, চক্রের সদস্যরা আগেভাগে এলাকার বিভিন্ন পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে থাকেন। যেসব পরিবারের সদস্যরা বাইরে থাকে, তাঁদের মুঠোফোন নম্বর জোগাড় করেন তাঁরা। পরে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রথমে পরিবারের বাইরে থাকা ব্যক্তিকে কিছুক্ষণের জন্য তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ রাখতে বলেন। এই ফাঁকে ওই ব্যক্তির বাড়ির লোকজনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন প্রতারকরা।
তাঁরা তখন জানান, পরিবারের সদস্য সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অমুক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসার জন্য বিকাশে দ্রুত টাকা পাঠাতে হবে। না হলে রোগী মারা যেতে পারে। এ সময় তারা ঘটনাটি প্রমাণের জন্য একজন ভুয়া পুলিশ সদস্যের নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন। এই নম্বরটিতে তারা নিজেরাই কথা বলে। উদ্বেগে পরিবারের সদস্যরা আহত ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য বিকাশে টাকা পাঠায়। টাকা পাওয়ার পরই সব নম্বর বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

ইতহাসও ঐতিহ্য: বিশ্বে প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাসের কথা উঠলে ইসলাম, হিন্দু, খ্রিস্টান বা বৌদ্ধধর্মের কথাই আগে মনে আসে। এর সঙ্গে যোগ করা যাক ইহুদি, পার্সি, জৈন বা শিখ ধর্মানুসারীদের কথা। এর বাইরে অন্যান্য ধর্মের কথা আমরা বিশেষ জানি না বললেই চলে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই প্রচলিত ধর্মগুলোর বাইরেও বিশ্বে আরো বেশ কিছু ধর্ম আছে, যেগুলো বহু প্রাচীন। আবার বেশ কিছু ধর্ম আছে, যার অনুসারীর সংখ্যা নিতান্তই হাতেগোনা। এমনই কিছু ধর্মের কথা জানিয়েছে লিস্টভার্স ডটকম।

1472105389-Mandaesmইয়াজদানিজম: ইরাক, ইরান আর তুরস্কজুড়ে বিস্তৃত জাগরোস পর্বতমালায় প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই ধর্মের উদ্ভব। এটি আবার ‘ইয়ারাসিম’, ‘ইয়াজিদিজম’ আর ‘ইশিকিজম’—এ তিনটি শাখায় বিভক্ত। মূলত কুর্দি জনগোষ্ঠীর মানুষ ইসলাম গ্রহণের আগে এই ধর্ম পালন করতেন। এমনকি এখনো সংখ্যাগরিষ্ঠ কুর্দিরা ইসলাম গ্রহণ করলেও তাদের সংস্কৃতিতে ইয়াজদানিসমের প্রভাব লক্ষণীয়। একেশ্বরবাদী এই ধর্মের পবিত্র গ্রন্থের নাম ‘কিতেবা চিলুই’। বর্তমানে ৮ থেকে ১৫ লাখ মানুষ ইয়াজদানিসমের অনুসারী। ২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট নামধারী জঙ্গিগোষ্ঠী এই ধর্মের অনুসারীদের ওপর ব্যাপক নিধনযজ্ঞ চালালে আন্তর্জাতিক মহল ইয়াজিদিদের নিরাপত্তা নিয়ে সোচ্চার হয়ে ওঠে।

রাস্তাফারিয়ানিজম: ১৯৩০ সালে ইথিওপিয়ায় সম্রাট হাইলে সেলাসি ক্ষমতায় বসেন। ওই একই সময় জ্যামাইকাতে রাস্তাফারিয়ানিজমের উদ্ভব হয়। এই ধর্মের অনুসারীদের মতে, ইথিওপিয়া থেকেই মানবজাতির উদ্ভব ও বিকাশ, সেখানকার রাজা তাই রাস্তাফারদের কাছে যারপরনাই পবিত্র মানুষ হিসেবে বিবেচিত। অ্যামহারিক ভাষায় ‘রাস’ মানে হলো রাজা, আর ‘তাফারি’ হচ্ছে হাইলে সেলাসির পুরো নামের প্রথম অংশ। রাস্তাফারিয়ানদের একটি বিচিত্র ব্যাপার হচ্ছে, তাঁরা সাধনার অংশ হিসেবে গাঁজার ব্যবহারকে বৈধ দৃষ্টিতে দেখেন। বর্তমানে বিশ্বে কমবেশি ১০ লাখের মতো রাস্তাফার আছেন। বিশ্বখ্যাত গায়ক বব মার্লেও একজন রাস্তাফার ছিলেন।

কেমেটিজম: আনুবিসসহ প্রাচীন মিসরীয় দেবদেবীদের আমরা অনেকেই চিনি। বইপত্র বা চলচ্চিত্রে প্রায়ই এঁদের উল্লেখ দেখা যায়। রোমান, আরব আর ফরাসি শাসনের প্রভাবে এসব দেবদেবী একরকম লুপ্ত হয়ে গিয়েছিলেন বলা চলে। মূলত মার্কিন ইজিপ্টোলোজিস্ট তামারা সিউদার হাত ধরে ১৯৭০ ও ৮০-এর দশকে কেমেটিজমের উদ্ভব। এরা আবার নানা ভাগে বিভক্ত। প্রাচীন মিসরের আরেক নাম ছিল কেমেট।

উইক্কা: জেরাল্ড গার্ডনার নামক এক ব্রিটিশের হাত ধরে ১৯৫০-এর দশকে উইক্কা ধর্মের উৎপত্তি। নানা শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত এই ধর্মের অনুসারী সংখ্যা এখন প্রায় দেড় লাখ। প্রাচীন পৌত্তলিক কিছু ধারার সঙ্গে আধুনিক কিছু চিন্তাভাবনার সমষ্টিতে এই ধর্মের সৃষ্টি। ‘বুক অব শ্যাডোস’ হচ্ছে তাঁদের পবিত্র গ্রন্থগুলোর মধ্যে একটি। উইক্কানরা বিশ্বাস করে, ঈশ্বর দুজন—একজন দেবতা আর একজন দেবী। চন্দ্র ও সূর্যকলা অনুসারে তাঁদের আরাধনা করেন উইক্কানরা। এই উৎসবের নাম যথাক্রমে এসবাথ ও সাবাথ। অঞ্চলভেদে উইক্কানদের উপাসনার ধরনে নানা বিভিন্নতা দেখা যায়।

কাওদাইজম: ১৯২৬ সালে ভিয়েতনামের তায়নিন শহরে এ ধর্মের জন্ম। এই ধর্মে উপাস্য ঈশ্বরের নামও কাও দাই। অহিংসা, ভোগবাদের প্রতি বিতৃষ্ণা এবং পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের ওপর জোর দেয় এই ধর্ম। ফাপ চান থ্রুয়েন, তান লুয়াতসহ বেশ কিছু ধর্মগ্রন্থ মেনে চলেন কাও দাই ধর্মের উপাসকরা। তায় নিন শহরের বিশাল কাও দাই মন্দির হলো এই ধর্মের তীর্থস্থান। বিশ্বে এই ধর্মের উপাসকের সংখ্যা প্রায় ছয় লাখ।

ম্যান্ডিজম: একেশ্বরবাদী এই ধর্মের উদ্ভব দক্ষিণ লেভান্তে। ফিলিস্তিন, জর্ডান, ইসরায়েল নিয়ে গঠিত এলাকাকে দক্ষিণ লেভান্ত বলা হয়। প্রাচীনত্বের বিচারে এটি খ্রিস্টান ধর্মের সমসাময়িক। বর্তমানে বিশ্বে মাত্র ৭০ হাজারের মতো ম্যান্ডেজিমের উপাসক আছেন। ২০০৩-এর যুদ্ধের আগে এঁদের প্রায় সবাই ইরাকে বসবাস করতেন। নিভৃতচারী এই ধর্মের অনুসারীদের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না। এই ধর্মের অনুসারীরা মান্ডাইক নামের এক প্রাচীন, লুপ্তপ্রায় ভাষায় কথা বলে থাকেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1472185204স্বাস্থ্য কথা: পানি ছাড়া বেঁচে থাকাই মুশকিল। কেবল বেঁচে থাকার জন্যই নয়, সুস্বাস্থ্যের জন্য পানি পান করা প্রয়োজন। শরীরে পানির স্বল্পতা হলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে না। শরীরের প্রতিটি কোষ, প্রতিটি অঙ্গের জন্য পানি জরুরি।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করলে কী হয়? এ বিষয়ে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে একটি প্রতিবেদন।
•    পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
•    পানিস্বল্পতা ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলে। পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে কাজ করে। পানি পান না করলে ত্বকে বলিরেখা ও দাগ পড়ে।
•    পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পানি পান হজমকে ভালো করে।
•     পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করলে শরীর অবসন্ন লাগে। তাই কর্মক্ষম থাকতে হলে পানি পান করুন।
•    গ্যাসট্রাইটিস, বুক জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যাও হয় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানির অভাবে।
•    পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করলে শরীর থেকে দূষিত পদার্থগুলো ভালোভাবে দূর হয় না। এতে শরীরের ভেতরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার হয়। প্রদাহ, ব্যথা, কিডনির সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
•    শ্বাসতন্ত্রে কখনো কখনো সমস্যা হয় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করলে। পানি পান শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা কমায়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

স্ব‌দেশ: ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ায় কুষ্টিয়ায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকায় পদ্মার পানি বিপজ্জনক হারে বাড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের আশঙ্কা, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে। কারণ, প্রতি তিন ঘণ্টায় সেখানে ২ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে। এরই মধ্যে অবশ্য দৌলতপুর উপজেলার ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।

এদিকে রাজশাহীতেও পদ্মার পানি বাড়ছে। পাউবো’র স্থানীয় কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, সেখানেও আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে (শুক্রবার সন্ধ্যা) পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। সেখানে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

পাউবো’র স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, পদ্মায় পানির বিপদসীমা হলো ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। সেখানে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় পানি প্রবাহিত হচ্ছিল ১৪ দশমিক ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। অর্থাৎ, বিপদসীমা থেকে দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার দূরে।

পাউবোর পানি পরিমাপ কাজে নিয়োজিত এক কর্মকর্তা জানান, প্রতি তিন ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, ১৮ আগস্ট পদ্মায় পানির মাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার। ১৯ আগস্ট ছিল ১৩ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। ২৫ আগস্ট ছিল ১৩ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার।

পদ্মার সঙ্গে-সঙ্গে এর প্রধান শাখা গড়াই নদেও পানি বাড়ছে। পাউবো বলছে, পদ্মা নদী ও গড়াই নদের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও বাঁধগুলোতে নজর রাখা হচ্ছে।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নৈমূল হক বলেন, ‘যে গতিতে পানি বাড়ছে, তাতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে। ভারতের বিহার রাজ্যে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। ভারত তাদের ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়েছে। এসব কারণে পদ্মায় পানি বেড়ে যাচ্ছে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চল পানি পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী পরিচালক কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ফারাক্কায় প্রতি বছরই কয়েকটি করে গেট খুলে দেওয়া হয়। এবার তার চেয়ে বেশি গেট খুলে দেওয়ায় পানি বাড়ার হার বেশি।’

এদিকে পদ্মায় পানি বাড়ায় দৌলতপুরের চিলমারী ও রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ। এসব গ্রামের প্রায় প্রতিটি ঘরেই পানি ঢুকেছে। এতে করে ঘরে মজুদ রাখা পাট, ধান ও মরিচসহ অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে খাবার পানির সংকট।

চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ বলেন, ‘পদ্মার পানি বাড়ায় চিলমারীর ১৮টি গ্রামের ৪০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে তারা।’

  1. রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন জানান, সেখানকার চরাঞ্চলের ১২টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুজিব উল ফেরদৌস জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের পুরো বিষয়ের ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে চিলমারীতে ছয় টন চাল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী প্রস্তত আছে বলেও দাবি করেন তিনি।

অন্যদিকে রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, রাজশাহীতে পদ্মার বিপদসীমা হলো ১৮ দশমিক ৫০ মিটার। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় সেখানে পানির উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ৩১ মিটার। অর্থাৎ, বিপদসীমা থেকে ১৯ সেন্টিমিটার কম। শুক্রবার সকাল ৯টায় সেখানে পানির এই উচ্চতা ছিল ১৮ দশমিক ২৮ মিটার। তার মানে, সেখানে ৯ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা ৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

IMG_291337854634251-picsayডি. এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন : শ্যামনগরে পানিতে ডুবে মিম নামের দেড় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের নিজদেব পুর গ্রামের খালেক গাজীর কন্যা।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, দুদিন আগে উপজেলার শ্রীফলকাটী নানা নুর ইসলামের বাড়ীতে বেড়াতে এসেছিল মায়ের সাথে শিশু মিম। আজ শুক্রবার দুপুরে ভাত খাওয়ার পর নানা নাতী এক সাথে ঘুমায়। মিম ঘুম থেকে উঠে সকলের অজান্তে খেলা করার এক পর্যায় বাড়ীর পাশের পুকুরে পড়ে মারা যায়। এলাকাবাসী পুকুর থেকে মিমকে উদ্ধার করে বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার মালিহা তাকে মৃত্যু বলে ঘোষনা করে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Zahid satkhiraএম. বেলাল হোসাইন: সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পর শিশু জাহিদ হাসানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের বেতনা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে পাশের গ্রাম মাটিয়াডাঙ্গায় ফুটবল খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ১৩ বছরের শিশু জাহিদ হাসান। তারপর থেকে সাতক্ষীরা সদরের নেহালপুর স্লুইস গেট এলাকা থেকে শুরু করে আশাশুনি সোদকোনা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার নদীতে নিখোঁজ জাহিদ হাসানের লাশ খোজা হয়। এছাড়া তার আতœীয় স্বজনের বাড়িতেও খোঁজ খবর নেয়া হয়। নিহত জাহিদ হাসান সদর উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুর রহমান ঢালী ও তাসলিমা খাতুনের একমাত্র পুত্র।
তাসলিমা খাতুন জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশি খলিলুর রহমানের ছেলে মিলন(১৩) আব্দুস সালামের ছেলে আদিল(১৩), আব্দুর রহিমের ছেলে সুজন(১২)সহ কয়েকজন এসে ফুটবল খেলার কথা বলে জাহিদ হাসান কে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে নিখোঁজ হয় জাহিদ হাসান। সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বিকেল থেকে রাত শেষে আবার সকাল হলেও জাহিদ হাসান বাড়ি না ফেরায় তাকে খোজাখুজি করা হয়। খেলার পর মিলন এসে জাহিদের বলটি বাড়িতে দিয়ে যায়। কিন্তু জাহিদের কোন খবর সে বলতে পারেনি। এরপর শুক্রবার গ্রামবাসি বেতনা নদীর নেহালপুর স্লুইস গেট সংলগ্ন এলাকা থেকে জাহিদের লাশ উদ্ধার করে। ইতোমধ্যে পুলিশও খবর পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নেয়। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সম্ভবত: খেলা করতে গিয়ে নদীতে লাফালাফি করছিল শিশুরা। এতে জাহিদ হাসান পানি থেকে উঠতে না পেরে মারা যায়। এঘটনায় শুক্রবার সকালে জিডি করা হয়। জিডি মূলে পুলিশ খোঁজ খবর নিতে থাকা অবস্থায় শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে তার লাশ  উদ্ধার করা হয়। লাশ ময়না তদন্ত করা হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

6023মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: “সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে প্রবীণ আবাসন কেন্দ্রের অসহায় বৃদ্ধদের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে নতুন পোশাক বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে আরা প্রবীণ আবাসন কেন্দ্রে রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা’র সভাপতি রোটাঃ মুফতি মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে এ ঈদের পোশাক বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট রোটাঃ এনছান বাহার বুলবুল, সেক্রেটারী রোটাঃ মো. মনিরুজ্জামান টিটু, রোটাঃ পিপি ভূধর সরকার, রোটাঃ পিপি সৈয়দ হাসান মাহমুদ, রোটাঃ মোশারফ হোসেন মন্টু, রোটাঃ এড. শাহনওয়াজ পারভীন মিলি, রোটাঃ বিশ্বজিৎ সাধু, রোটাঃ ফারহা দিবা খান সাথী, রোটাঃ পুলক কুমার পাল, রোটাঃ আব্দুল লতিফ, রোটাঃ ফারুকুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরা’র নির্বাহী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ। রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা’র পক্ষ থেকে  প্রবীণ আবাসন কেন্দ্রের ৯ জন বৃদ্ধকে ঈদের পাঞ্জাবী ও ২ জন বৃদ্ধ মহিলাকে শাড়ী দেওয়া হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রোগ্রাম চেয়ারম্যান রোটাঃ পিপি মো. মাগফুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest