সর্বশেষ সংবাদ-
অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে যেকোনো `চ্যালেঞ্জ’ নিতে প্রস্তুত নতুন সিইসিসাতক্ষীরা জেলা স্কাউটস’র কমিটি গঠন জেলা প্রশাসক সভাপতি : সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনআশাশুনির বুধহাটা খেয়াঘাটে বেতনা নদীতে সাঁকো নির্মানকালীগঞ্জে কৃষিজমিতে লবণ পানি ঢুকিয়ে চিংড়ি চাষ বন্ধে উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময়তালার কপোতাক্ষ নদীর চর থেকে রাবেয়া বেগম নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধারসাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে শাহ আলম সভাপতি :ইমদাদুল সম্পাদকআসুন! নতুন স্বাধীনতা ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র গঠনের জন্য কাজ করি -ডা: গালিবদেবহাটা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় সভাসাতক্ষীরায় সাফজয়ী তিন নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা : প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা প্রদানতারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা অবহিতকরন ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনে গণসমাবেশ

_91178903_cauvery1ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে কাবেরী নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দুটি রাজ্যের মধ্যেকার এক পুরোনো বিবাদকে কেন্দ্র করে দাঙ্গায় একজন নিহত হবার পর বেঙ্গালুরু শহরে তিন দিনের কারফিউ জারি করা হয়েছে।
কাবেরী নদীর উৎস কর্ণাটক রাজ্যে হলেও তা তামিলনাড়ুর মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সাগরে মিশেছে। অভিন্ন এই নদীর পানি বন্টন নিয়ে দুই রাজ্যের মধ্যে কয়েক দশক ধরেই বিবাদ চলছিল। সোমবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এক রায় দেয় যে কর্ণাটক রাজ্যকে প্রতিবেশী তামিলনাড়ুতে আরো বেশি পরিমাণ পানি সরবরাহ করতে হবে। কিন্তু দুই রাজ্যই বলছে তাদের কৃষিতে সেচের জন্য এই পানি দরকার।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বেঙ্গালুরুতে দাঙ্গা শুরু হয়। তামিল নাড়ুর নম্বরপ্লেটওয়ালা বেশ কিছু বাসে এ সময় আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়।
বিক্ষুব্ধ কিছু লোক পুলিশের একটি জীপ ও মোটরবাইকেও আগুন লাগিয়ে দেয়।
এসময় পুলিশ গুলি করলে একজন নিহত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

_91095735_cyprus2ডেস্ক রিপোর্ট:  প্রতি বছর মধ্যপ্রাচ্য থেকে তিন হাজারের মতো দম্পতি সাইপ্রাসে যায় বিয়ে করার লক্ষ্যে।
ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা বাদে নাগরিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কেউ যদি সহজে বিয়ে করতে চান, বলা হয় তার জন্যে এটাই সবচে উৎকৃষ্ট জায়গা। এরকম একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন সংবাদদাতা ইউল্যান্ডে ক্নেল। তিনি বর্ণনা করছিলেন ওই বিয়ের দৃশ্য। বলছিলেন, তরুণ এক দম্পতি যখন পরস্পরের হাত ধরে লার্নাকায় বিয়ের একটি হলের ভেতরে হেঁটে যাচ্ছিলো তখন ছোট্ট এক স্পিকারে ভেসে আসছিলো প্রেমের সঙ্গীত। তারা হলেন র‍্যাচেল ও আব্দুল কাদের। তারা লেবাননের নাগরিক কিন্তু বিয়ে করার জন্যে তাদেরকে বিদেশে আসতে হয়েছে।
তাদের পরনে সনাতন বিয়ের পোশাক ছিলো না, ছিলো টি-শার্ট আর জিন্স। নিজেদের আরবি ভাষায় কথা না বলে বলছিলো ইংরেজিতে।
রেজিস্টার যখন তাদেরকে স্বামী স্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন তখন সেখানে একমাত্র উপস্থিত  সংবাদদাতাই তাদেরকে মোবারকবাদ বা শুভেচ্ছা জানান। তারপর তারা লজ্জা মাখানো মুখে একজন আরেকজনকে চুম্বন করেন।
লেবাননে এরকম প্রেম কাহিনি প্রচুর। সেদেশে ধর্মীয়ভাবেই আছে ১৮টি গোষ্ঠী। র‍্যাচেল একজন ম্যারোনাইট ক্রিশ্চিয়ান আর আব্দুল কাদের সুন্নি মুসলিম। দু’জনের কেউই তাদের পিতামাতার ধর্ম ছাড়তে চান না আবার তারা বিয়েও করতে চান ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই।
“আমি ঈশ্বরের নাম নিয়েই বিয়ে করতে চাই। কিন্তু আমাদের সামনে আর কোনো উপায় ছিলো না,” বললেন র‍্যাচেল।
তিনি বলেন, “লেবাননে সিভিল ম্যারেজের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় আমাদেরকে এখানে আসতে হয়েছে।”
প্রচুর সংখ্যায় বিদেশি সাইপ্রাসে আসেন শুধু বিয়ে করার জন্যে। শুধু মধ্যপ্রাচ্য থেকেই বছরে তিন হাজারের মতো।
তাদের বেশিরভাগই লেবানন ও ইসরায়েলের নাগরিক।_91095739_cyprus4_getty
তারা মনে করেন এখানে বিয়ে করা অনেক সহজ ও সস্তা। এবং সবচে বড়ো কথা এই বিয়ে নিজেদের দেশে আইনিভাবেও বৈধ।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে সময় লাগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট।
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে সিভিল ম্যারেজকে বৈধ করার জন্যে চেষ্টা চালানো হয়েছিলো কিন্তু ধর্মীয় নেতারা তাদের রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে সেগুলো নস্যাৎ করে দিয়েছেন।
কোনো কোনো দেশে মুসলিম অথবা শরিয়া আইনে বিয়ে হয়। অন্যান্যদের জন্যে আছে অটোমানের সময় বেঁধে দেওয়া নিয়ম কানুন। এর ফলে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠী তাদের নিজেদের মতো করে আদালত চালাতে ও পারিবারিক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারেন।
ফলে ইমাম, যাজক ও র‍্যাবাইরা বিয়ে ও বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করেন। তাদের মতে সৃষ্টিকর্তাই এসব নিয়ন্ত্রণ করেন।
ইসরায়েলি এক দম্পতি সাইপ্রাসে এসেছিলো বিয়ে করতে। কারণ তারা সেক্যুলার এবং সিভিল ম্যারেজকেই তারা অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
“ইসরায়েলে শুধু ধর্মীয়ভাবেই বিয়ে হতে পারে। যারা এভাবে বিয়ে করতে চান না তাদের সেখানে বিয়ে করার উপায় নেই,” বলছিলেন বর রাজ।
নববিবাহিত এই দম্পতি এখন আশা করছেন যে ইসরায়েলে বিবাহ সংক্রান্ত আইনের পরিবর্তন ঘটবে। না হলে এই দম্পতিরা বলছেন, তাদের সন্তান সন্ততিকেও হয়তো শুধু বিয়ে করার জন্যে বিদেশে চলে যেতে হবে।
তবে এ ফলে যে সাইপ্রাস অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
একই সাথে এই দেশটি পরিচিত হয়ে উঠছে ‘প্রেমের এক দ্বীপ’ হিসেবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

img_20160913_1821052জি.এম আবুল হোসাইন : সদর উপজলার মাধবকাটি ফুটবল মাঠে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। পঞ্চগ্রাম ক্লাব, মাধবকাটি বাজার কমিটি ও স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ (সনাস) এর যৌথ আয়োজনে এবং মিডিয়া পার্টনার “দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা’র সার্বিক সহযোগীতায় আসন্ন ১৫ই সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার বিকালে উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খলিলুর রহমান সানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দীন, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মো. ফারুক আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনিরা পারভিন, জেলা জাতীয় পার্টি’র সভাপতি শেখ আজাহার হোসেন, ঝাউডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজমল উদ্দীন, আগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. মজনুর রহমান মালি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করবেন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও সচেতন নাগরিক সমাজ (সনাস) এর সমন্বয়কারী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা মো.  আজিজুল হক (ডেভিড)।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

tala-picture-13-09-16সেলিম হায়দার, তালা: সাতক্ষীরার তালায় মাদরা গ্রামে বজ্রপাতে মিলন মন্ডল (১৫) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে তার পিতা বুধো মন্ডল (৫০) এবং ছোট ভাই রিপন ম-ল (১৩)।
ঈদের দিন মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে মাগুরা ইউনিয়নের দোয়ানিয়া খালে মাছ ধরার সময় আকষ্মিক বজ্রপাত ঘটলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় মাগুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গনেশ দেবনাথ জানান, মাদরা গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা বুধো মন্ডল তার দুই পুত্র মিলন মন্ডল ও রিপন মন্ডলকে সাথে নিয়ে গলাভাঙ্গা এলাকার দোয়ানিয়া খালে মাছ ধরছিল। মঙ্গলবার দুপুরে বৃষ্টির সময় আকষ্মিক সেখানে বজ্রপাত হলে মিলন মন্ডল মারা যায়। এছাড়া মিলনের বাবা বুধো মন্ডল এবং ছোট ভাই রিপন মন্ডল গুরুতর আহত হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মিলনের বাগান বাড়ির ভিতরে মঙ্গলবার সকালে সংসদ সদস্য রিফাত আমিন

মিলনের বাগান বাড়ির ভিতরে মঙ্গলবার সকালে সংসদ সদস্য রিফাত আমিন

নিজস্ব প্রতিবেদক: কি ছিল গাড়ির মধ্যে? মিলনের বাগানবাড়িতেই বা কি রাখা ছিল? যা বের করতে খোদ সংসদ সদস্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। শুধু তাই নয়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নিজে উপস্থিত থেকে এক ঘণ্টা চেষ্টা করেও তিনি বাগানবাড়ির মূল দরজার তালা ভাঙতে পারেন নি। এ সময় তিনি বলেছেন ‘গাড়ির মধ্যে আমার ছেলে রুমনের অনেক কাগজপত্র ও টাকা রয়েছে। তাছাড়া গাড়িটি তো মিলন আমার ছেলের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। এমনকি এই বাগানবাড়িতে থাকার লিখিত অনুমতিও দিয়েছে মিলন পাল’।
এদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে এলাকার পুরুষের প্রায় সবাই যখর ঈদের নামাজ পড়তে ঈদগাহে গিয়েছেন সেই সুযোগে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন ৩১২ এর সংসদ সদস্য মিসেস রিফাত আমিন তার ছেলে রাশেদ সরোয়ার রুমনসহ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ফের মিলন পালের বাগানবাড়িতে যান। তার উপস্থিতিতে বাড়ির গেটের তালা ভাঙা ও খোলা হয়। পরে তারা ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন কাগজপত্র ছাড়াও টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন সেখানে রাখা একটি অস্ত্রও নিয়ে যান তারা। এ সময় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ফেলে যান তারা।
গ্রামবাসীকে রিফাত আমিন বলেন  ‘আমি এসপি সাহেবের অনুমতি নিয়ে এসেছি’।

তবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন ‘আমি ওসির অনুমতি নিয়ে এসেছি। তাছাড়া ওসিকে ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সেলিম ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বলেও দিয়েছেন’। তবে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন এবং ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা দুজনেই বিষয়টি সম্পর্কে অস্বীকার করে বলেন ‘এটা মিথ্যা কথা। আমরা কাউকে এ ধরনের কাজের অনুমতি দেইনি’।
মিলন পাল বর্তমানে সোনা চোরাচালান মামলায় জেলে আটক রয়েছেন। তার বরাত দিয়ে মিলনের স্ত্রী শম্পারানী পাল বলেন ‘আমার স্বামী কারও  নামে গাড়ি  লিখে দেন নি, এম

প্রবেশ মুখের দরজার ভাঙা অংশ

প্রবেশ মুখের দরজার ভাঙা অংশ

নকি বাড়িতে থাকবার জন্য মৌখিক বা লিখিত কোনো অনুমতিও দেননি’। তিনি বলেন ‘সাংসদ বলেছেন গাড়িটি  বরং আমার রুমনের কাছে থাকুক। তোমার কাছে থাকলে ওসি সিজ করে নেবেন। এসব কারণে তিনি নিজে বাড়িতে ঢুকে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যান।’
স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত ৮ টায় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য মিসেস রিফাত আমিন তার ছেলে রাশেদ সরোয়ার রুমন ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অ্যাডভোকেট তামিম আহমেদ সোহাগসহ কয়েকজন মিলন পালের বাগানবাড়ি শহরতলির মাগুরা বাঁশতলার বিলাসবহুল বাড়িতে যান। তারা গেটের বাইরের তালা ভেঙে ফেলেন। কিন্তু ভিতর  থেকে তালা দেওয়ায় তারা ঢুকতে ব্যর্থ হন। মিলনের  ব্যবহৃত খয়েরি রংয়ের এলিয়ান প্রাইভেট কারটি কার শেডের ভেতরেই রয়েছে। সাংসদ বলেন এই গাড়িতেই রয়েছে মূল্যবান কাগজপত্র।
এদিকে সোমবার রাতেই সাংসদ নিজে ও তার পুত্র রুমন মিলন পালের সুলতানপুরের আরেক বাড়িতে যেয়ে সবাইকে ডাকাডাকি করে তাদের কাছে বাগানবাড়ির চাবি চান। কিন্তু তারা তা দিতে অস্বীকৃতি জানান।  মিলনের স্ত্রী শম্পা বলেন, “মঙ্গলবার ভোরে রুমন ও তার স্ত্রী বেলী তার শাশুড়ি কল্পনা রানী পালের কাছে ফের চাবি চেয়ে ব্যর্থ হন। এ সময় তারা  কল্পনা রানীর হাত ধরে টানা হেচড়া করেন।
এর কিছু সময় পর সকাল সাড়ে সাতটায় সাংসদ রিফাত আমিন ও তার ছেলে রুমনসহ  আবারও একটি

ভাঙা তালা এবং তালা ভাঙতে ও খুলতে ব্যবহারকৃত অস্ত্রপাতি

ভাঙা তালা এবং তালা ভাঙতে ও খুলতে ব্যবহারকৃত অস্ত্রপাতি

দল মিলন পালের বাগানবাড়িতে যেয়ে তালা ভেঙে/খুলে ভিতরে ঢোকেন। পরে তারা বিভিন্ন কক্ষে ঢুকে তাদের পছন্দমত জিনিসপত্র বের করে নেন বলে অভিযোগ করেছেন মিলনের স্ত্রী শম্পা রানী। তিনি বলেন তারা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তালা খুলে মূল্যবান কাগজপত্র ওলট পালট করেন। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী অবস্থানকালে রিফাত আমিন বারবার পুলিশের বরাত দিয়ে বলেন, “এসপির অনুমতি নিয়ে আমি এখানে এসেছি।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় তারা একটি কক্ষ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র বের করে নিয়ে যান। তবে রিফাত আমিন বলেন সেখানে টাকা  ব্যাগ ও  পোশাক ছিল। লাবসা ইউপি’র সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, সাংসদ রিফাত আমিন তাকে ফোন করে বলেন ‘আমি মিলনদের বাগান বাড়িতে এসেছি। আমার সাথে রুমন ও সোহাগসহ অনেকে আছে। আমার জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য আমি ওদের বাড়ি ঢুকতে চাই। আপনি আসুন’। আবদুল হান্নান বলেন ‘আমি যেতে রাজি নই বলে জানিয়ে দিয়েছি। এতে সাংসদ ক্ষুব্ধ হয়েছেন’।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান ,

মিলন পালের সেই গাড়িটি।

মিলন পালের সেই গাড়িটি।

তিনি বেলা ১১ টার দিকে খবর পেয়ে মিলন পালের ওই বাড়িতে যান। এ সময় গ্রামবাসী তাকে জানিয়েছেন সাংসদ রিফাত আমিন নিজে উপস্থিত থেকে এই বাড়ি থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে গেছেন।  দ্বিতীয় দফায় তার (ওসি) উপস্থিতিতে রুমনের স্ত্রী বেলী এলিয়ান গাড়ির কাঁচ ভেঙে জিনিসপত্র বের করে নেন।
এদিকে এসব ঘটনার পর সকালে সাতক্ষীরা জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারি স্বপন কুমার শীল, গোষ্ঠ বিহারী সরকার এবং  নিত্যানন্দ আমিনসহ কয়েক নেতা মিলনের বাড়িতে যান। তারা তালা ভাঙ্গাসহ বিভিন্ন বিষয় প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় তারা সাংসদ রিফাত আমিনের এই আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে মিলনের বাবা দেবদাস পাল বলেন, তার ছেলে জেলে আটক থাকার সুযোগে গত কয়েকদিন ধরে তার বাগান বাড়ির সম্পদ লুটপাট চলছে। তিনি বলেন এই বাড়ির খামারে থাকা ১৩ টি বড় জাতের গরু রুমন নিয়ে গেছে। এগুলো সে বিক্রি করে দিয়েছে। তিনি আরও জানান, ‘আমার ছেলেকে জেল থেকে মুক্ত করাতে রুমন তার সাংসদ মার কথা বলে ২০ লাখ টাকা নিয়েছেন। আরও ১০ লাখ টাকা এবং এলিয়ান প্রাইভেট কারটি চেয়েছেন’।

সোমবার সকালে গণপিটুনির পর আহত রুমন

সোমবার গণপিটুনির পর আহত রুমন

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, গত রোববার রাতে বেসামাল অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে এমপিপুত্র রুমন ভোমরায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এ সময় বিধ্বস্ত গাড়িটি ফেলে তিনি চলে আসেন সাতক্ষীরায়। এদিন  তিনি এক নারীসহ মিলন পালের ফাঁকা বাগানবাড়িতে রাত্রি যাপন করেন। সোমবার সকালে এ খবর জানাজানি হলে গ্রামবাসী ওই বাড়ি ঘেরাও করে। পরে তাকে জেলা যুবলীগ নেতা আবদুল মান্নানসহ কয়েকজন উদ্ধার করে আনার সময় রুমন গণপিটুনির শিকার হন। গ্রামবাসীর সন্দেহ এ সময় রুমন একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গরু বিক্রির টাকা বাগানবাড়িতে ফেলে আসেন। এরপর থেকে রুমন ও তার মা ওই বাড়িতে ফেলে আসা আগ্নেয়াস্ত্র এবং মিলন পালের খামারের গরু বিক্রির বিপুল অংকের টাকা বের করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ কারণে মঙ্গলবার সকালে সর্বশেষ অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে অস্ত্র ও গরু বিক্রির টাকা নিয়ে যান তারা।
এসব  বিষয়ে জানতে সাংসদ মিসেস রিফাত আমিনের সাথে সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে দুই দফা কথা হয়। তিনি বলেন ‘আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার। আমি এখন আওয়ামী লীগের জন্য অনেক কাজ করছি। তার জন্য আওয়ামী লীগের কিছু লোক সহ্য করতে পারছেন না। তাই তারা এসব অপপ্রচার দিচ্ছেন। আমি ভাবছি প্রধানমন্ত্রীকে বলে এদের সাইজ করে দেবো’। এদিকে আজ সকালে তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন ‘ওই বাড়ির মধ্যে আমার রুমনের জিনিসপত্র ছিল। তাই আনতে যাওয়া আরকি। কোথাও কোনো ভাংচুর করা হয়নি। তালা খোলা বা ভাঙা কিছুই করা হয়নি। এসব মিথ্যা কথা বলে কি লাভ হবে। সাতক্ষীরা থানার ওসি আমাকে অনুমতি দিয়ে বলেছেন আপনি গেট কিংবা দেয়াল ভেঙে আপনার ছেলের জিনিসপত্র নিয়ে আসেন, আমি কিছু বলবো না। তাছাড়া ঢাকা থেকে শেখ সেলিম ভাই তো ভিডিও কনফারেন্স করে যা বলবার বলেই দিয়েছেন’।
মিসেস রিফাত আমিন ১৩ টি বড় জাতের গরু বিক্রি করাসহ অন্য বিষয়  অস্বীকার না করেই বলেন ‘আমার ছেলে রুমন ও মিলন তো একসাথে  ব্যবসা করে’। অপরদিকে রুমন বলেন ‘আমি কোনো টাকা নেইনি। বরং আমিই মিলনকে জেল থেকে নিংস্বার্থভাবে মুক্ত করার চেষ্টা করছি’।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

web-02আসাদুজ্জামান: পরিবারের সাথে হাসি আনন্দে ঈদের সময় কাঁটাতে জাতীয় দলের ক্রিকেটার কার্টার মাস্টার মোস্তাফিজ তার নিজ বাড়ি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়ায়। তিনি মঙ্গলবার সকাল ৮টায় নিজ বাড়ির পাশে তেঁতুলিয়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদ ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেন। সেখানে অনুষ্ঠিত ঈদের জামায়াতের ইমামতি করেন, তেঁতুলিয়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা সফিউল্লাহ। এর আগে কার্টার মাষ্টার এই ঈদগাহ সম্প্রসারনের জন্য তিনি এক লক্ষ টাকা অনুদান দেন। নামাজ শেষে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম এই পেসার পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, শিশু-কিশোর, ভক্তসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের সঙ্গে ঈদেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ঈদে সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস মোস্তাফিজকে কাছে পেয়ে মোস্তাফিজের বাবা আবুল কাশেম গাজী, মা মাহমুদা খাতুন, ভাই-বোন, বন্ধু ও ভক্তরা বেশ আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। মা ব্যস্ত আছেন ছেলের পছন্দের খাবার তৈরির কাজে।
মোস্তাফিজের সেজ ভাই মোখলেছুর রহমান পল্টু  জানান, ঈদুল আযহা উদযাপন করতে গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে বাড়িতে এসে পৌছান মোস্তাফিজ। দুই লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করা গরু  কোরবানি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঈদগাহ সম্প্রসারণের জন্য এক লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে মোস্তাফিজ। আগামী ১৬ সেপ্টম্বর পর্যন্ত মোস্তাফিজ বাড়িতে থাকার পর আবারও  তিনি ঢাকায় ফিরে যাবেন।
কার্টার মাষ্টার মোস্তাফিজ জানান, পরিবার ও এলাকাবাসীর সাথে ঈদের সময়টা কাঁটাতে পেরে তিনি খুবই আনন্দিত। তিনি তার সকল ভক্ত, সতীর্থ ক্রিকেটার, সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ও দেশবাসীকে ঈদেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি সকলের কাছে তার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
এদিকে, জাতীয় দলে খেলা সাতক্ষীরার আরেক পেসার রবিউল ইসলাম শিপলু ঈদের নামায় আদায় করেন, সাতক্ষীরা মুনজিতপুরস্থ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এছাড়া জাতীয় দলের ওপেনার জেলার কৃতি সৌম্য সরকার শুক্রবার বিকালে সাতক্ষীরায় এসেছেন এবং তিনি ঈদের ছুটিতে সাতক্ষীরায় আছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

north-korea-flood-1024x576আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ায় ভয়াবহ বন্যার কারণে মানবিক দুর্যোগে পড়েছে হাজার হাজার লোক। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক রেডক্রস বলছে, দেশটির সরকার ১৩৩ জনের প্রাণহানি ও প্রায় ৪শ’ লোক নিখোঁজের কথা জানিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ায় রেডক্রস প্রতিনিধিদলের প্রধান ক্রিস স্টেইনস বলেন, দেশটিতে জটিল ও ভয়াবহ দুর্যোগ চলছে। তিনি বলেন, বন্যায় গৃহহীন লোকজন খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। তারা দ্বিতীয় দুর্যোগের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আর সেটি হলো জনস্বাস্থ্য।
জাতিসংঘ বলছে, দেশটির এক লাখ ৪০ হাজার লোকের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।উত্তর কোরিয়ায় জাতিসংঘ কর্মকর্তা মুরাদ শাহীন বলেন, দুর্যোগ পরিস্থিতি এতোটাই ভয়াবহ যে স্থানীয় কর্মকর্তাদের তা অভিজ্ঞতারও বাইরে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

webআসাদুজ্জামান: ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় ঈদ-উল-আযহা উদযাপিত হচ্ছে।
এ উপলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭ টায় শহরের মুনজিতপুরস্থ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নামাজে ইমামতি করেন পুরাতন কোর্ট জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাও. জালাল উদ্দীন।
এদিকে, আহলে হাদিস অনুসারীদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল পৌনে ৮ টায় শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে। এছাড়া সকাল সাড়ে ৮ টায় সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসা, সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম মাঠে, সকাল সাড়ে ৭ টায় পাওয়ার হাউস জামে মসজিদে, সকাল ৮ টায় কালেক্টরেট জামে মসজিদে, সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠ মসজিদে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দীয় ঈদগাহের ঈদের জামাতকে ঘিরে তৎপর ছিলেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে জামাতে অংশ নেন, জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শেখ নিজাম উদ্দীনসহ রাজনৈতিক, সামাজিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশগ্রহণ করে। ঈদের নামাজের পর দেশ-জাতির সম্মৃদ্ধি ও সকল মানুষের শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest