সর্বশেষ সংবাদ-
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরার মানুষের জনজীবনসাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়শ্যামনগরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলনআইন ও সলিশ কেন্দ্রের আয়োজনে শিশু যৌনশোষণ প্রতিরোধ বিষয়ক সাইকেল র‌্যালিযারা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সাথে জড়িত তারা বিএনপি’র কর্মী হতে পারে না- সাবেক এমপি হাবিবঢাকা পোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধির নিয়োগ পেলেন ইব্রাহিমকালিগঞ্জে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে হুমকিআশাশুনিতে শিক্ষা পদক বাছাই প্রতিযোগাতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাওচাষ প্রাথমিক বিদ্যালয়টানা বৃষ্টিতে আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসাতক্ষীরার বেতনা নদীর বেঁড়িবাধে ভাঙন : নি¤œাঞ্চল প্লাবিত

1472302066-Maradona-2খেলাধুলো: ডিয়েগো জুনিয়রের বাবার নাম শুনলে চমকে ওঠার কথা। আর কেউ নন, স্বয়ং আর্জেন্টিনার ফুটবল-ঈশ্বর ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তবে ছেলেকে এতদিন স্বীকৃতি দেননি ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার। অবশেষে মন গলেছে ম্যারাডোনার, ছেলেকে জড়িয়ে কেঁদে ভাসিয়েছেন তিনি।
আশির দশকে ইতালির নাপোলি ক্লাবে খেলার সময় ক্রিস্তিনা সিনাগ্রা নামে এক মডেলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ম্যারাডোনার। সেই সম্পর্কের জেরে ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বরে জন্ম হয়েছিল ডিয়েগো জুনিয়রের। ইতালির একটি আদালত ম্যারাডোনার ছেলে হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়েছেন তাঁকে। কিন্তু বিখ্যাত বাবার স্বীকৃতিই এতদিন পাননি। এমনকি ডিএনএ পরীক্ষা করতেও রাজি হননি আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক।
শেষ পর্যন্ত যে স্বীকৃতি পেলেন, সে জন্য সবচেয়ে বেশি অবদান ম্যারাডোনার বর্তমান প্রেমিকা রোসিও অলিভার। সম্প্রতি একটি নাচের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুয়েনস আইরেসে গিয়েছিলেন ডিয়েগো জুনিয়র। তখনই তাঁকে বাসায় ডিনারে আমন্ত্রণ জানান অলিভা। ম্যারাডোনার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের মেয়ে জানাকেও নিমন্ত্রণ করেছিলেন তিনি। ২০ বছর বয়সী জানার মা ভ্যালেরিনা সাবালাইনও আদালতের মাধ্যমে মেয়ের স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছেন।
নিজের বাসায় ছেলেমেয়েকে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ম্যারাডোনা। বিশেষ করে ডিয়েগো জুনিয়রকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি তিনি। ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘ছেলেকে পেয়ে আজ আমি ভীষণ খুশি। আমি তাকে ভালোবাসি আর সে অনেকটা আমার মতোই।’
সাবেক স্ত্রী ক্লদিয়া ভিল্লাফেনের ঘরে দালমা ও জিয়ান্নিনা নামে দুই মেয়ে আছে ম্যারাডোনার। সাবেক প্রেমিকা ভেরোনিকা ওহেদাও একটি ছেলেসন্তান উপহার দিয়েছেন তাঁকে। ডিয়েগো ফার্নান্দো নামের ছেলেটির বয়স তিন বছর।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

PIC_Sunil Banerjeeডেইলি সাতক্ষীরা ডেস্ক: ২৮ অগাস্ট। বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক সুনীল ব্যানার্জি দশম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৪৭ সালের ২০ এপ্রিল সাতক্ষীরা শহরের এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৩ সাল থেকে প্রত্যক্ষভাবে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন। বিসিএস পাশ করেও ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দেননি সুনীল ব্যানার্জি। এমন কী এল.এল.বি পাশ করে স্বাধীন আইন পেশায় যোগ না দিয়ে সাংবাদিকতাকেই তিনি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত তিনি অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলায় সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল দৈনিক জনকণ্ঠ। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অনুসন্ধানী রির্পোট লিখে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। ২০০৬ সালে একুশে গ্রন্থ মেলায় সুনীল ব্যানার্জির লিখিত বই ‘সাংবাদিকতায় বিড়ম্বনা’ পাঠক মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য, ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির আজীবন সদস্য ও কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর কার্যনির্বাহী পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন। অবিভক্ত সাংবাদিক ইউনিয়নের সাথেও তিনি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। গত ২০০৬ সালের ২৮ অগাস্ট ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরস্থ নিজ বাসভবনে তাঁর আকস্মিক মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। তাঁর স্ত্রী শিখা ব্যানার্জি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার। সুনীল ব্যানার্জির একমাত্র সন্তান সাংবাদিক শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ ভয়েস অব বাংলাদেশ-এর যুগ্ম বার্তা সম্পাদক এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসবিডি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম-এর প্রধান সম্পাদক।
বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সুনীল ব্যানার্জি’কে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মরণোত্তর বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছে। এর আগে মুক্তিযুদ্ধে অমূল্য অবদানের জন্য সুনীল ব্যানার্জিকে ২০১০ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মরণোত্তর স্বীকৃতি স্মারক প্রদান করা হয়।
প্রয়াত সুনীল ব্যানার্জির মৃত্যুবার্ষিকীতে দেশবাসীর কাছে তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

photo-1472308112খেলাধুলা: এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে দারুণ সূচনা করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী ইরানকে হারিয়ে দিয়েছে তারা। স্বাগতিক মেয়েরা এই ম্যাচে জিতেছে ৩-০ গোলে।

শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটির প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে ১৭ মিনিটে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন মার্জিয়া।

অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের ২০ মিনিটে মৌসুমী করেন গোলটি।

ইরানের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন তহুরা। ম্যাচ শেষ হওয়ার চার মিনিট বাকি থাকতে করেন এই গোলটি।

অবশ্য এই জয়ে একটি মধুর ‘প্রতিশোধ’ নিয়েছে বাংলাদেশ। দুই বছর আগে ঢাকায় এই ইরানের কাছে হেরে চূড়ান্তপর্বে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল তারা। অথচ এবার সেই ইরানকেই বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

এদিকে দিনের অন্য ম্যাচে চায়নিজ তাইপে ৭-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে কিরগিজিস্তানকে হারিয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

333333মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের ভাটপাড়ায়  ১০ হাজার মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি বেতনা নদীর উপর নব-নির্মিত ব্রিজের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বিকালে উপজেলা প্রশাসন(ত্রান শাখা)’র আয়োজনে বল্লী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে ও ফলক উন্মোচন করে নব-নির্মিত ব্রীজের উদ্বোধন করেন সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা তার পিতার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ শেষ করছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাস্তা ঘাট, ব্রীজ ক্যালভাট, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিদ্যুৎসহ প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ আবদুল সাদী। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  জেলা আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন, যুবলীগ নেতা মীর মহি আলম, সাবেক বল্লী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বল্লী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান লাল্টু, মো. শাহিদুল ইসলাম, ইউপি সদস্য সামছুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, ঠিকাদার আখিরুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ভাটপাড়া, নারানপুর, হাজিপুর, রায়পুর, আমতলাসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবী স্বপ্নের সেতু হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। মানুষ আনন্দে আতœহারা হয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ও সদর আসনের সংসদ সদস্য কে ধন্যবাদ জানান।
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু ক্যালভাট নির্মান প্রকল্পের আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের অর্থ্যায়নে ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভাট পাড়া-নারানপুর এলাকায়  বেতনা নদীর উপর ২৮ মিটার ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে। সমগ্র শেখ খায়রুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

মামলানিজস্ব প্রতিবেদক: ঘেরদখল, চাঁদাবাজিসহ ৫টি মামলার আসামি হয়েও শ্যামনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মহসিন উল মূলক রয়েছেন বহাল তরিয়তে। ইতিমধ্যে পাঁচটি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় পুলিশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রও দাখিল করেছে বলে জানা গেছে।
এতগুলো মামলা নিয়ে কীভাবে তিনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের মত পদে বহাল রয়েছেন তা নিয়ে শ্যামনগর উপজেলাবাসীর মধ্যে বইছে রীতিমত আলোচনার ঝড়। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগও দাখিল করেছেন স্থানীয় এক আ.লীগ নেতা।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্যামনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মহসিন উল মূলক পাঁচটি মামলার আসামি হয়েও স্বপদে বহাল থাকায় ঐ নেতা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর গত ২০ জানুয়ারি একটি লিখিত আবেদন দাখিল করেছেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয় বরাবর বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশও দেয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন, কোন জনপ্রতিনিধির নামে পুলিশ অভিযোগপত্রও দাখিল করলে এবং আদালত সেটি গ্রহণ করলে তিনি আইন অনুযায়ী আর ওই পদে থাকতে পারেন না।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার মন্ত্রানালয়ের উপ-পরিচালক মইনুল হোসেন জানান, শ্যামনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন উল মূলকের বিরুদ্ধে কয়টি মামলা রয়েছে এবং সেগুলো বিচারক আমলে নিয়েছেন কিনা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য আমরা জজ কোর্টের পি.পি এড. ওসমান গণির কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তিনি এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আমাদেরকে কিছু জানাননি। তিনি জানানোর পর আমরা এ বিষয়ে রিপোর্ট পাঠাবো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পি.পি এড. ওসমান গণি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “আগামিকাল(রবিবার) শ্যামনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন উল মূলকের বিরুদ্ধে মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাবলী জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানো হবে।
সূত্র আরো জানায়, ২০০৯ সালে জমিদখলের চেষ্টা ও মারপিটের ঘটনায় সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকার মৃত ছুরমান গাজীর ছেলে ছাত্তার গাজী বাদি হয়ে শ্যামনগর উপজেলার বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামের মৃত বরকতউল্লাহর ছেলে  মহসিন উল মূলক কে আসামী করে একটি মামলা করেন যার মামলা নং-৮২/২০০৯, তারিখ-২৭/৪/০৯।
একই বছরে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকার এড. বৃজেন্দ্র নাথ মন্ডলের স্ত্রী চন্দনারানী মন্ডল বাদী হয়ে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামের মৃত বরকতউল্লাহর ছেলে মহসিন উল মূলক কে আসামী করে একটি মামলা করেন যার মামলা নং-৮৮/২০০৯,তারিখ-১/০৫/০৯।
এদিকে ২০১১ সালে সাতক্ষীরা জেলা শহরের সুলতানপুর এলাকার মৃত শেখ নুরুল হকের ছেলে শেখ আবু বক্কর সিদ্দিক বাদি হয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামের মৃত বরকতউল্লাহর ছেলে মহসিন উল মূলকসহ কয়েকজনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা করেন যার মামলা নং-৯১/২০১১, তারিখ-১১/৫/১১।
অপরদিকে, ২০১৪ সালে জামায়াত শিবির ও বিএনপি ৩০/৪০জন ক্যাডার বাহিনী নিয়ে এক আওয়ামীলীগ নেতার বাড়ি ভাংচুর করার ঘটনায় একটি মামলা হয়। সাতক্ষীরা থানার মামলা নং-৩০,তারিখ-১৩/১/১৪। উক্ত মামলায় বর্তমান শ্যামনগর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন উল মূলকসহ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে রিপোর্ট প্রদান করেন।
এছাড়া শ্যামনগর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন উল মূলকসহ কয়েক আসামির বিরুদ্ধে একটি অপহরণ ঘটনার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন সাতক্ষীরা আদালতে প্রদান করে সি আই ডি খুলনা জোন। যার সি আর পি মামলা নং- ১১২০/০৮, তারিখ-১৮/০২/০৯।
এসব ঘটনায় বর্তমানে শ্যামনগর উপজেলায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সর্বত্রই এখন আলোচিত বিষয় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন উল মূলক। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি, এলাকার সাধারণ জনগণের মনে এখন একটাই প্রশ্ন ৫টি মামলার আসামি হয়েও   উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন উল মূলক কীভাবে স্বপদে বহাল আছেন?
এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মহসিন উল মূলক’র সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বর্তমানে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে শ্যামনগর উপজেলাবাসীর দাবি দ্রুত একাধিক মামলার আসামি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন উল মূলক’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Redনিজস্ব প্রতিবেদক: সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মৌলিক ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিসেস মনোয়ারা খাতুন এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক গাজী শাহাজান সিরাজ, মোঃ জহরুল ইসলাম, লতিফা খাতুন, যুব রেডক্রিসেন্ট টিচার্স ইনচার্জ মোঃ শাহাজান সিরাজ, প্রশিক্ষণে ৫৩জন ছাত্র-ছাত্রী স্বর্ত:স্ফুতভাবে অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণটি ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২৯ আগস্ট শেষ হবে। মৌলিক ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসাবে রয়েছেন সাতক্ষীরা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের যুব সদস্য মোসলেমা আক্তার মুন্নি, মোঃ মাসুদুর রহমান, মৌলিক ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণের কোর্স কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন ইউনিট যুব প্রধান এস এম আরিফুর রহমান।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Myerনিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা ওয়েল্ডিং ওয়ার্কসপ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লি: এর ৭ম বার্ষিকী সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় পুরাতন সাতক্ষীরাস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্কসপ ব্যবসায়ী সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সফিক উদ দৌলা সাগর, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ আব্দুস সেলিম, বাংলাদেশ জেডএন কর্পোরেশনের বিক্রয় ব্যবস্থাপক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল কাদের, সহ-সভাপতি আব্দুর রাশেদ, সহ-সভাপতি আব্দুর রাশেদ ও গোলাম মোস্তফা, কোষাধ্যক্ষ মোঃ জহরুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ, সদস্য শেখ ফারুক হোসেন, আব্দুস সামাদ, এস এম জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল মুজিদ, মোঃ মফিজুল ইসলাম, মোঃ বাবলুর রহমান বাবলু, মোঃ জাকির হোসেন ময়না। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সমিতির প্রচার সম্পাদক মোঃ হাফিজুল ইসলাম।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

satkhira khatalএম. বেলাল হোসাইন: সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সুভাষিনি গ্রামের রাজিয়া খাতুন। নিজের সংসারের কাজের ফাঁকে গরু ও ছাগল পালন করে থাকেন। প্রতি বছরের ন্যয় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দু’ মাস আগে গ্রামের হাট থেকে চারটি ছোট এড়ে বাছুর কিনেছিলেন। দাম পড়েছিল ৩৯ হাজার টাকা। পশু চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী মোটা তাজাকরণের কাজ করে যাচ্ছেন। ঈদের আগেই এ গরু এক লাখ ২০ হাজারের বেশি টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদি।
রাজিয়া খাতুন বলেন, অন্যবারে ভারতীয় গরুতে হাট বাজার ছয়লাপ হয়ে যায়। এবার ভারতীয় গরু আসা পুরাপুরি বন্ধ। তাই গরু বিক্রি করতে সমস্যা হবে না। লাভও হবে আশানুরুপ।
সাতক্ষীরা শহরের আনন্দপাড়ার আলিমা খাতুন। ঈদকে সামনে রেখে পুষেছেন তিনটি গরু। মোটা তাজাকরণের মাধ্যমে ঈদের আগে ওইসব গরু কেনার তিনগুণ দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদি। ভারতীয় গরু না আসায় বাজারে মাংসের দাম বেড়েছে। সেকারণে ফড়িয়াদের কাছে দেশী গরুর বিকল্প নেই। এ অবস্থা অব্যহত থাকলে তার মত অনেক নারীই গৃহস্থালির কাজের পাশাপাশি গবাদি পশু পালনে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।
ভারতীয় গরু না আসায় ঈদকে সামনে রেখে দেশী গরু মোটা তাজা করণ করে সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা শহরতলীর কাশেমপুরের নাসরিন খাতুন, কালিগঞ্জের বসন্তপুরের সুফিয়া খাতুন, শ্যামনগরের রমজাননগরের ফতেমা বেগমসহ অনেকেই এবার কোরবানি ঈদে ভাল দামে গরু বিক্রি করার প্রত্যাশা নিয়ে যার পর নেই খুশিতে রয়েছেন।
গত মঙ্গলবার এলাকার সবচেয়ে বড় গরুর হাট সাত মাইল হাটে এসেছিলেন চাঁদপুর জেলা সদরের রমজান আলী। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরই কয়েকজন ব্যবসায়ি মিলে চার থেকে পাঁচ হাজার গরু নিয়ে জান সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী খাটালগুলো থেকে। এবার খাটাল গুলোতে ভারতীয় গরু না আসায় খাঁ- খাঁ করছে। তাই বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়েও দেশীয় গরু কিনতে এ হাটে এসেছেন।
একইভাবে কথা বলেন ফেনির দাগনভূঁইয়া উপজেলার মহেশ্বরপুর গ্রামের সবেদ আলী। তিনি জানালেন, হাটে এসেছিলাম গরু কিনতে। রাস্তায় পুলিশ, শ্রমিক ও চাঁদাবাজদের যেহারে টাকা দিতে হয় তাতে কোন প্রকারে কিছু গরু কিনেই ফিরবেন।
একইভাবে কথা বলেন, ফেনী পৌরসভার তুহিন গাজী, লক্ষীপুরের সাহেব আলীসহ কয়েকজন গরু ব্যবসায়ি। তারা জানান, সীমান্তের খাটাল ও হাটগুলোতে ভারতীয় গরুর দেখা নেই। এরপরও খরচ করে এসেছেন। দাম বেশি পড়লেও কিছু গরু কিনে ফিরতে হবে। ভারত থেকে গরু আসা কমে যাওয়ায় জেলার বাজারগুলোতে গরুর মাংসের দাম বেড়ে ২২০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে বলে জানান তারা। সেক্ষেত্রে পবিত্র ঈদুল আযহায় দেশীয় গরু দিয়ে কোরবানির চাহিদা পূরণ হলেও সার্বিকভাবে গো মাংসের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
গত বৃহষ্পতিবার দেবহাটার পারুলিয়া হাটে গরু কিনতে আসা সাতক্ষীরা শহরের কামাননগরের বাবুল আক্তার জানান, ভারতীয় গরুর দেখা নেই। চারজন মিলে একটি গরু কিনতে এসেছিলেন। দেশি গরুর দাম দ্বিগুণ। বাধ্য হয়ে প্রত্যেকে ছাগল কোরবানির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একইভাবে বাজেট ফেল হয়ে যাওয়ায় বড় গরুর পরিবর্তে ছোট গরু কিনেই খুশি থাকতে হবে বলে জানালেন আবাদেরহাটে গরু কিনতে কলারোয়ার সরসকাটির মোশাররফ হোসেন, উফাপুরের  ফারুক হোসেন, সদর উপজেলা যোগরাজপুরের সাবান আলী, দেবনগরের আদর আলীসহ কয়েকজন।
সীমান্ত গ্রামবাসি জানায়, সাতক্ষীরার বৈকারী, কুশখালী, তলুইগাছা, কাকডাঙ্গা, ঘোনা, গাজীপুর, ভোমরা, মাদরা, হিজলদী, চান্দুড়িয়া, সোনাবাড়িয়া, কোমরপুর, ভাতশালা, কালিগঞ্জের খাঞ্জিয়া, দাদপুর, বসন্তপুর, শ্যামনগরের কৈথালি, রমজাননগরসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে কয়েক বছর ধরে প্রতিদিন ভারতীয় সিন্ধিয়া, ফ্রিজিয়ান, জার্সি, হরিয়ানা, নেপালি, সম্বলপুরিসহ বিভিন্ন জাতের গরু প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ হাজার করে বাংলাদেশে আসতো। ভারতীয় ব্যবসায়িরা এখানকার ব্যবসায়িদের সঙ্গে চুক্তি করেই তাদের গরু ঠেলে এ দেশে পাঠাতো।  এসব গরু বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৮ ব্যাটালিয়নের অধীনে থাকা ১৩টি ও নীলডুমুর ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধীনে থাকা ৪টি খাটালে রেখে চারটি শুল্ক করিডোরের মাধ্যমে ৫০০ টাকা হারে রাজস্ব নিয়ে বৈধতা পেতো।  কিন্তু ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা ও সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিজিবির অনীহার কারণে  বর্তমানে ভারতীয় গরু আসছে না বললেই চলে। ফলে সীমান্তের ১৭টি খাটাল এখন খাঁ- খাঁ করছে। তবে তারা দাবি করেন, ভাতশালা, তলুইগাছা ও সোনাবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে খুবই অল্প সংখ্যক ভারতীয় গরু অনিয়মিতভাবে আসছে।
পারুলিয়া গরুর হাটের ইজারাদার আবু তালেব মোল্ল্যা জানান, ভারতীয় গরু না আসায় জেলার বাইরে থেকে আসা ব্যবসায়িরা অনেকেই এখনো পর্যন্ত কোরবানির পশু কিনতে এ হাটে আসেনি। ফলে অন্যবারের তুলানায় তাদের ইজারার টাকা কম উঠবে।
সাতক্ষীরা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট এর সহকারি শুল্ক কর্মকর্তা সানাউল কবীর জানান , জেলার চারটি করিডোরের মাধ্যমে ২০১৪-১৫ অর্থ-বছরে সাত লাখ ৫০ হাজার ৯৯৪টি গরু এসছে। এ থেকে ৩৭ কোটি ৫৩ লাখ ৩৫ হাজার ১০০ টাকা রাজস্ব আদায় হয়।  ২০১৫-১৬ অর্থ-বছরে ৭৬ হাজার ৬৭০টি গরু থেকে তিন কোটি ৬১লাখ ২০ হাজার ৪৩০ টাকা আদায় হয়। চলতি অর্থ বছরে গত জুলাই মাসে মাত্র তিন হাজার ৮২০টি গরু  এসেছে। এভাবে চলতে থাকলে গত অর্থ-বছরের তুলনায় চলতি অর্থ-বছরে গরু আসার সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসবে।
এ ব্যাপারে বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৮ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর লোকমান হামিদ বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতীয় গরু আনতে না যাওয়ার জন্য বিজিবির পক্ষ থেকে রাখালদের কঠোর নিষেধ করা হয়েছে। এজন্য ভারতীয় গরু আসার সংখ্যা ক্রমশঃ কমে যাচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সমরেশ চন্দ্র দাস জানান, ভারত থেকে গরু  কম আসায় স্থানীয় খামারীরা লাভবান হবেন। এছাড়া সাতক্ষীরায় পারিবারিকভাবে খামারীরা যে পরিমান গরু পালন করছেন তাতে ঈদে গরুর চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে দাবি করেন তিনি।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest