সর্বশেষ সংবাদ-
দৈনিক সাতনদী সম্পাদক হাবিব কারাগারেমুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় র‌্যালি ও আলোচনাসভাসাংবাদিক টিপুকে কারাদ্বন্ডাদেশ দেওয়া ইউএনও শেখ রাসেল রংপুর বিভাগে বদলীদেবহাটায় বাবার সঙ্গে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে ছেলের মৃত্যুবেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরায় সাতক্ষীরা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের শুভেচ্ছাপ্রযুক্তির সহায়তায় নারী ক্ষমতায়নে ফ্রিল্যান্সর প্রশিক্ষন শেষে ল্যাপটপ বিতরণদেবহাটার রুপসী ম্যানগ্রোভ পরিদর্শনে হাইকোর্টের বিচারপতি মাহমুদুল হকবুধবার কপিলমুনিতে তাফসীরুল, কোরআন মাহফিল ঘিরে সাজসাজ রববাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে উঠলো সাতক্ষীরার আমতালায় এক মহিলার লাশ উদ্ধার

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় প্রতিবন্ধীতা সনাক্তকরন ও প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ডিআরআরএ’র আয়োজনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের একীভূত স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসন সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সভাপতিদের নিয়ে প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ শাহ্জাহান আলীর সভাপতিত্বে প্রশিক্ষনের শুরুতে প্রকল্পের কর্মকান্ড সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন পিআইএইচআরএস প্রকল্পের জেলা ম্যানেজার আবুল হোসেন । প্রশিক্ষনের ট্রেইনার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের অকুপেশনাল থেরাপিষ্ট এবং কো-ফেসিলেটর আজিজুর রহমান (স্বাস্থ্য পরিদর্শক) এবং আব্দুল্লাহ গাজী (সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক)। এছাড়া প্রশিক্ষণে প্রতিবন্ধীতার উপর বিস্তারিত ধারনা প্রদান করা এবং সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের একীভূত স্বাস্থ্য ও পূর্নবাসন সেবার আওতায় নিয়ে আসার জন্য সকল ধরনের তথ্য প্রদান করা হয়। picx

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

55b793d19acf6668e8f4599d8b3a14a0-57834d35e2e85অপ্র‌তিম: ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া জন্মদিন পালন করায় আদালতে বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের আদালতে দণ্ডবিধির ১৯৮ ও ৪৬৯ ধারায় অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করা হয়।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আগামী ১৭ অক্টোবর সশরীরে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ মামলার বাদী ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম। তার আইনজীবী দুলাল মিত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ‘আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে খালেদা জিয়াকে আগামী ১৭ অক্টোবর সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলায় পাঁচ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।’

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯৬ সালের ১৫ আগস্ট থেকে জাতীয় শোক দিবসে ইচ্ছাকৃতভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া জন্মদিনের ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে তা পালন করছেন খালেদা জিয়া। এ অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার সদস্যদের নামে নানা রকম কুৎসা, বানোয়াট গল্প প্রচার ও গুজবের মাধ্যমে তাদের সম্মানহানি ঘটানো হয়। এভাবে কুরুচিকর বক্তব্যের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করাসহ স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধপরাধীদের নিয়ে আনন্দ উল্লাস করে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়—যা পৃথিবীর ইতিহাসে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের আইন, রাষ্ট্র এবং সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ড।

মামলায় আরও বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালের ২২ আগস্ট দৈনিক ইত্তেফাকের এবং ১৯৯৭ সালের ২৭ আগস্ট দৈনিক সংবাদে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। সেখানে লেখা হয় আসামি খালেদা জিয়ার অকৃতকার্য এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুসারে জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। দৈনিক ‘বাংলার বাণী’ পত্রিকায় খালেদা জিয়ার জীবনী প্রকাশ করা হয়। সেখানে লেখা হয় তার জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট।

এছাড়া খালেদা জিয়ার কাবিন নামায় জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ১৯৪৪ সালের ৯ আগস্ট এবং সর্বশেষ ২০১১ সালের তার মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে তার জন্মদিন উল্লেখ করা হয়েছে ৫ আগস্ট ১৯৪৬।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মীর কাসেম আলী

মীর কাসেম আলী

অপ্র‌তিম: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪ মিনিটে মীর কাসেমের পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন প্রধান  বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।

বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

গত রোববার এ বিষয়ে শুনানি শেষে রায়ের জন্য এই দিন নির্ধারণ করা হয়।

গত ২৪ আগস্ট মামলাটির শুনানি শুরু হয়। ওই দিন মীর কাসেমের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের করা সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি ঘোষণা করেন আদালত।

এর আগে ২৫ জুলাই রিভিউ শুনানির জন্য এক মাস সময় দেওয়া হয় মীর কাসেম আলীকে। তাঁর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন রিভিউ শুনানির জন্য দুই মাসের সময় আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এক মাসের সময় মঞ্জুর করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সময় আবেদনের বিরোধিতা করেন।

গত ১৯ জুন আপিল বিভাগের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন মীর কাসেম আলী। এতে ১৪টি আইনি যুক্তি তুলে ধরে তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।

জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় গত ৬ জুন প্রকাশ করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোর জসিমসহ ছয়জনকে হত্যার দায়ে গত ৮ মার্চ মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় বহাল রেখে আদেশ দেন আদালত। পরে ৭ জুন তাঁকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
মীর কাসেম আলী

মীর কাসেম আলী

স্বদেশ: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি মীর কাসেম আলীর রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) রায় ঘোষণা করা হবে আজ মঙ্গলবার। রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকবে কি না তা জানার অপেক্ষায় এখন সারা দেশের মানুষ।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। বেঞ্চের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে থাকবেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
গত রোববার এ বিষয়ে শুনানি শেষে রায়ের জন্য এই দিন নির্ধারণ করা হয়।
শুনানি চলার সময় খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতে জানান, যে অভিযোগে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি বহাল রাখা হয়েছে সে অভিযোগটি প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছিল প্রসিকিউশন। তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন এমন কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য আদালতে উপস্থাপন করতে পারেননি প্রসিকিউশন।
মীর কাসেম আলী একজন সমাজসেবক এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন জানিয়ে আদালতের কাছে তাঁর দণ্ড কমিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন খন্দকার মাহবুব।
অন্যদিকে শুনানি চলাকালে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, মীর কাসেম আলী চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলে যে নির্যাতনে অংশ নিয়েছেন তা দিবালোকের মতো সত্য এবং প্রসিকিউশন তা আদালতে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কোনো রায় দেওয়া হলে নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর অবিচার করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত ২৪ আগস্ট মামলাটির শুনানি শুরু হয়। ওই দিন মীর কাসেমের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের করা সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি ঘোষণা করেন আদালত। এর আগে গত ২৫ জুলাই রিভিউ শুনানির জন্য এক মাস সময় দেওয়া হয় মীর কাসেম আলীকে। তাঁর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন রিভিউ শুনানির জন্য দুই মাসের সময় আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এক মাসের সময় মঞ্জুর করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সময় আবেদনের বিরোধিতা করেন। গত ১৯ জুন আপিল বিভাগের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন মীর কাসেম আলী। এতে ১৪টি আইনি যুক্তি তুলে ধরে তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় গত ৬ জুন প্রকাশ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোর জসিমসহ ছয়জনকে হত্যার দায়ে গত ৮ মার্চ মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় বহাল রেখে আদেশ দেন আদালত। পরে ৭ জুন তাঁকে মৃত্যুর পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়।

মামলার সারসংক্ষেপ: ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাসেমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১০টি প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে দুটিতে (১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগ) মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া চারটি অভিযোগে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়।
১১ নম্বর অভিযোগে রয়েছে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমসহ ছয়জনকে আটক, নির্যাতন ও হত্যার বিষয়টি। এ অভিযোগে বিচারকরা সর্বসম্মতিক্রমে মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। ১২ নম্বর অভিযোগে রয়েছে রঞ্জিত দাস ও টুন্টু সেনকে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ। এ অভিযোগে বিচারকদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায় দেওয়া হয়। ১১ ও ১২ নম্বর ছাড়া বাকি ১২টিই অপহরণের পর আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ মীর কাসেমের বিরুদ্ধে।
প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে ২ নম্বরটিতে মীর কাসেমকে ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ৩, ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১০ নম্বর অভিযোগে তাঁকে সাত বছর করে মোট ৪২ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ১৪ নম্বর অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এই আটটি অভিযোগে তাঁকে ৭২ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তবে ১, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে এসব থেকে খালাস (অব্যাহতি) দেওয়া হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় মীর কাসেম আলীর পক্ষে আপিল করেন জয়নুল আবেদীন তুহিন। মীর কাসেমের পক্ষে ১৮১টি যুক্তি দেখিয়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে এ আপিল করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় ছাত্রসংঘের বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে গঠিত সশস্ত্র আলবদর বাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার হিসেবে মীর কাসেম আলী মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান, তা ট্রাইব্যুনালের রায়ে প্রমাণিত হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাসেম আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
এর আগে গত ৬ জানুয়ারি জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। এ মামলা এখন পূর্ণাঙ্গ রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে। এটি আপিলের ষষ্ঠ রায়।
এ ছাড়া আপিলে চূড়ান্ত পাঁচটি রায়ের পর চারটিতে জামায়াতের দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
আপিলের আরেক রায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। রায় রিভিউ চেয়ে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ এরই মধ্যে আবেদন দাখিল করেছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

e3ca05a9d8a07e7020ed03c5d9753baf-57c4a1b67fcfaঅপ্রত্রিম: না, কোনও রূপকথা নয়। কোনও মেগা সিরিয়াল-সোপ অপেরা অথবা প্যাকেজ নাটক কিংবা পরাবাস্তব সিনেমার কল্পিত দৃশ্যকাব্য অথবা জাদুবাস্তবতার নিরিখে লেখা উপন্যাসও নয়। এটি একটি বাস্তব ঘটনা, ৪ বছর বয়সী ছোট বোনকে বাঁচাতে গিয়ে ৮ বছর বয়সী বোন একরকম আত্মাহুতিই দিয়েছে।

ইতালির ভূমিকম্পে নিহত মানুষদের সারিবদ্ধ কফিনের মধ্যে থাকা এক বাক্সে বন্দি হয়ে রয়েছে স্বজনের জন্য আত্মাহুতির চিরায়ত মানবিক বোধের সেই গল্প। রয়েছে জীবনের জয়ী হওয়ার এক আখ্যান। সেই গল্প তুলে এনেছেন ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দেশটিতে উদ্ধারকর্মে অংশ নেওয়া মানুষেরা।

গত ২৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভূমিকম্পে প্রাণ হারানো প্রায় ৩শ’ মানুষের শোক নিয়ে শনিবার ৩৫ জনের গণ-শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। আসকোলি পিচেনো শহরের একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্সে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয় নিহতদের কফিন। এই কফিনগুলোর মধ্যে দুইটি সাদা বাক্সে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত শিশুদের দেহ রাখা আছে। একটি কফিনে চিরতরে ঘুমিয়েছেন এক আট বছরের শিশু জিউলিয়া রিনালদো। ছোট বোন জর্জিয়াকে বাঁচাতে গিয়েই নাকি সে নিজে মরেছে!

উদ্ধারকর্মীদের বিশ্বাস, জিউলিয়ার তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তেই বেঁচে যায় জর্জিয়া। সে নিজেকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বোনকে বাঁচাতে চেয়েছে। জিউলিয়ার কফিনের ওপর একটি ছোট নোট লিখে দিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। তারা লিখেছেন, ‘শোন, ছোট্ট সোনা, আমরা তোমাকে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে বের করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কি দুর্ভাগ্য, সময়মতো সেখানে পৌঁছাতে পারিনি।’

নোটটি লিখেছেন আন্দ্রিয়া নামের এক উদ্ধারকর্মী, যিনি জিউলিয়ার দেহ ও জর্জিয়াকে উদ্ধারের সময় সেখানে ছিলেন। আন্দ্রিয়া আরও লেখেন, ‘আমরা দুঃখিত, তোমাকে বাঁচাতে পারিনি। কিন্তু বিশ্বাস করো, তোমাকে বাঁচানোর জন্য যা যা প্রয়োজন সবই আমরা করেছি। আমি যখন বাড়ি ফিরেছি, তখনও জানি, উপর থেকে এক দেবদূত আমাকে দেখছে। জিউলিয়া, যদিও আমি তোমাকে চিনতাম না, কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসি।’

পিসকারা দেল ত্রন্তো গ্রামের বাসিন্দা ছিলো ওই দুই ছোট্ট মেয়ে। দুর্যোগের পর যখন উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছায়, ততক্ষণে কেটে গেছে ১৬ ঘণ্টা। শিকারী কুকুররা শুঁকে শুঁকে বের করে জর্জিয়ার অবস্থান। মেয়েটি  ভেঙ্গেচুরে যাওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের তলায় ১৬ ঘণ্টা ধরে মৃত বড় বোনের কোলের মধ্যে বেঁচে ছিল।

শনিবার, জিউলিয়ার শেষকৃত্যের দিন ছিল জর্জিয়ার জন্মদিন, পাঁচ বছরে পড়লো সে।

শেষকৃত্য সম্পাদনকারী বিশপ জিওভানি ডি’ইরকোল বলেন, ‘বড় বোনটি ছোট বোনকে বাঁচাতে চেয়েছিল। ছোট বোনকে পাওয়া গেছে ভীতসন্ত্রস্ত, পুরো মুখে ধুলো মাখা। যেন জীবন ও মৃত্যুর আলিঙ্গনে। তারপরও জীবনের জয় হয়েছে। কেননা, ভূমিকম্পের পর বেঁচে যাওয়া পুনর্জন্ম পাওয়ার মতোই সৌভাগ্যের বিষয়।’

উদ্ধারের পর থেকে জর্জিয়া এখনও কোন কথা বলেনি। তার ওপর দিয়ে যে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে গেছে, তার আঘাত এখনও সামলে উঠতে পারেনি পাঁচ বছরে পা দেওয়া ছোট্ট মেয়েটি। তবে কেবল বিশপ নন, অনেকেই এই ঘটনাকে বড় বোনের আত্মাহুতিতে ছোট বোনের পুনর্জন্মের মতো করেই দেখছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

160821144847_usain_bolt_640x360_ap-1অপ্র‌তিম: অলিম্পিকে মোট নয়টি সোনা জয় করেছেন জ্যামাইকান স্প্রিন্টার উসাইন বোল্ট।

কিন্তু বোল্টের সোনা জয়ের পেছনের রহস্য বের করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন ভারতের বিজেপির সংসদ সদস্য ও দলিত নেতা উদিত রাজ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতের দলিত নেতা উদিত রাজ মন্তব্য করেছেন, উসাইন বোল্টের এমন সোনা জয়ের সাফল্যের কারণ হলো তিনি গরুর মাংস খান- আর এই মন্তব্য ভাইরাল হয়ে পড়েছে।

গো-মাংস নিয়ে এমন মন্তব্যের কারণে মানুষের তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়তে হচ্ছে রাজকে।

রাজ টুইট বার্তায় লিখেছিলেন, “জ্যামাইকান উসাইন বোল্ট গরীব ছিলেন। তাঁর প্রশিক্ষক তাঁকে গরুর মাংস খেতে বলে এবং সে অনুযায়ী চলার কারণে অলিম্পিকে নয়টি সোনা জয় করতে পেরেছেন উসাইন বোল্ট”।

আর এরপরেই টুইটারে নানা ধরনের মন্তব্য আসতে থাকে।

একজন মন্তব্য করেন, “বিজেপির এই এমপি উসাইন বোল্টের নাম নিয়ে মানুষকে গরুর মাংস খেতে উৎসাহিত করছেন”।

দিলিপ জেইন নামে একজন লিখেন, “এটা একটা অর্থহীন টুইট, আশা করি রাজ তাঁর পরবর্তী টুইটে এর সংশোধন করবেন”।

তা অবশ্য করেছেন উদিত রাজ।

বিতর্ক জোরালো হবার পর গো-মাংস ও বোল্ট নিয়ে নিজের টুইটের ব্যাখাও দেন তিনি।

রাজ লিখেন, ”আমি গরুর মাংস খেতে মানুষকে উৎসাহ দেইনি। আমি শুধু বুঝানোর চেষ্টা করেছিলাম গরিব হয়েও উসাইন বোল্ট কিভাবে এতগুলো সোনা জয় করতে সক্ষম হলো”।

“বোল্টের সাফল্য দেখে যেন আমাদের খেলোয়াড়েরাও উৎসাহী হয় সেটাই আমি চাইছিলাম। বুঝাই চাইছিলাম, পরিকাঠামো ছাড়াও অর্থ না থাকলেও মনের জোর থাকলে সাফল্য পাওয়া যায়”-টুইটারে এমন ব্যাখ্যা দিয়েছেন উদিত রাজ।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

3f7273707db5e988478d379b5c12a93a-57c4794cd068eস্ব‌দেশ: চাঁদপুরে স্কুলের বেতন ও পরীক্ষার ফি দিতে না পারায় প্রকাশ্যে কান ধরে ওঠবোস করার অপমান সইতে না পেরে সাথী আক্তার (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার দুপুরে জেলা সদরের বাগাদী ইউনিয়নের মধ্য বাগাদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সাথী স্থানীয় বাগাদী গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা ওই স্কুলে ভাঙচুর করে ও সাথী আক্তারের সহপাঠীরা ফাতেমা বেগমকে দীর্ঘ সময় বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে।

সাথীর বাবা হতদরিদ্র দেলোয়ার হোসেন তালুকদার চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারে একটি তেলের আড়তে শ্রমিকের কাজ করে।

সাথীর সহপাঠী ও স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়নের মধ্য বাগাদী তালুকদার বাড়ির শ্রমিক দেলোয়ার হোসেন তালুকদারের ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া সাথী আক্তার গত ২৭ আগস্ট শনিবার পরীক্ষার প্রথম দিন বেতন ও পরীক্ষার ফি’র বকেয়া টাকা না দেওয়ায় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমা বেগম তাকে রোদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে কান ধরে ওঠবোস করান। এরপর সাথী বাড়িতে এসে বিষয়টি বাবা-মাকে জানান। কিন্তু পরদিন পূর্ণ বকেয়া টাকা না দিতে পারায় সাথী আর পরীক্ষা দিতে যায়নি। পরে অভিমানে বেলা ১১টার দিকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। বিষয়টি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ও সাথী আক্তারের সহপাঠীরা ফাতেমা বেগমকে দীর্ঘ সময় বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল গাজী বলেন, ‘স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় স্কুলে ভাঙচুরের খবর পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই। ঘটনাস্থলে গেলে ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা ওসির কাছে কান্নাকাটির ঘটনা সম্পর্কে জানান। মেয়ের বাবা বলেছেন, বেতনের জন্য রোদে দাঁড় করিয়ে রাখে। আজ (সোমবার) ৩৮০ টাকা তাকে দেই, কিন্তু ২০ টাকা কম ছিলো। এ জন্য সে আর আজ  পরীক্ষা দিতে যায়নি।

স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানায়, এই অফিস সহকারী ফাতেমা বেগম সকল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রায়ই খারাপ আচরণ করেন।

এদিকে চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অলিউল্লাহৎ বলেন, ‘স্কুলে ভাঙচুরের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, স্কুলে দাঁড় করিয়ে রেখেছে, তাই সে টাকা ছাড়া পরীক্ষা দিতে স্কুলে যাবে না। পরে সে সুইসাইড করে। তবে মামলা হবে, তদন্ত হবে এরপরই বিস্তারিত বলা যাবে।’

স্কুলের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি হজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকায় আছি। আপাতত আমার কাছে হজটাই মুখ্য।’

প্রধান শিক্ষকের অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব কে পালন করছেন তা জানতে চাইলে তিনি জানান, কাউকেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান করা হয়নি।

পরে তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। এটি মর্মান্তিক এবং অত্যন্ত দুঃখজনক। পারিবারিক সমস্যার কারণে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest