সর্বশেষ সংবাদ-
জেলা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠনচোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ কাটিয়া রেজিস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দারা : মিথ্যা মামলার অভিযোগসাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতার মৃত্যুতে শােকসাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা: আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগশ্যামনগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ভারতীয় মদ জব্দআশাশুনিতে জলবায়ু-স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক যুব নেতৃত্বাধীন প্রচারনাসাতক্ষীরা জেলা স্কাউট ভবন এর উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণ কার্যক্রম উদ্বোধনখুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারশ্যামনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ‌দুর্নীতির অভিযোগল স্টুডেন্টস ফোরাম এর নবনির্বাচিত কমিটি নির্বাচন কমিশনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার আলীপুর স্থগিত ইউপি চেয়ারম্যান উপ-নির্বাচনী গণসংযোগকালে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের হামলায় বিএনপি প্রার্থীর এক কর্মী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার ভোমরা স্থল বন্দর সড়কের মাহমুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত ব্যক্তি হলেন, আলীপুর গ্রামের মাদ্রসা শিক্ষক মুজিবর রহমান (৫৫)। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রউফ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচনী গণসংযোগকালে আলীপুর থেকে মাহমুদপুর গ্রামে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে মাহমুদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে তার গণসংযোগে থাকা মুজিবর রহমানের মটর সাইকেলটি গতিরোধ করে আওয়ামীলীগ প্রার্থী  ডাঃ মশিউর রহমান ময়ূর ও তার কর্মী-সমর্থকরা। পরে তারা তাকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে এবং তার ব্যবহৃত মটর সাইকেলটি ভাংচুর করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।এ ঘটনা জানার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই আব্দুল মমিন। বিএনপি প্রার্থী আব্দুর রউফ আরো জানান, এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আওয়ামীলীগ প্রার্থী  ডাঃ মশিউর রহমান ময়ূর মাসুদুর রহমান বাপ্পি নামে তার একজন কর্মীকে ব্লেড দিয়ে মাথার চুল কেটে মাথায় ক্ষত করে হাসপাতালে ভর্তি করে পাল্টা তার ও তার কর্মী সমর্থকদের ( বিএনপি প্রাথী ও তার কর্মী-সমর্থকদের) নামে মামলা করার পায়তারা চালাচ্ছেন। এদিকে, আলীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মন্টু জানান, মাহমুদপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান বাবলুর ছেলে মাসুদুর রহমান বাপ্পি নির্বাচনী গনসংযোগে অংশ নিতে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ডাঃ মশিউর রহমান ময়ূরের বাড়ীতে যাওয়ার পথিমধ্যে বিএনপি প্রার্থীর  ৫/৬জন কর্মী-সমর্থক তার উপর আতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে বাপ্পি আহত হয়। তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

2-large
নিজস্ব প্রতিবেদক : বড় বন্ধুদের উপহার হিসেবে খাতা কলম পেল সদরের বাগডাঙ্গী স্কুলের ছোট বন্ধুরা। বড় বন্ধুদের কাছ থেকে খাতা কলম পেয়ে বেজাই খুশি বাগডাঙ্গী স্কুলের ৬৫ জন শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরা সদরের বাগডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট বন্ধুদের উপহার হিসেবে খাতা ও কলম প্রদান করেছে বড় বন্ধুরা। ছোট বন্ধুদের উপহার প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বড় বন্ধু নাহিদ সরদার, মো: আসাদুজ্জামান সদার, আব্দুর রহিম, শামছুন্নাহার মুন্নী, শেখ নাহিদ হাসান, নুরুল হুদা প্রমুখ। খাতা কলম পেয়ে ছোট বন্ধু ই¯্রাফিল, হৃদয়, মুহিত, মাহিম আনোয়ারা বলে, বড় বন্ধুরা এসো আমাদের খোঁজ খবর নেয়। কিছু দিন পর পর আমাদের খাতা এবং কলম দিয়ে যায় এতে আমরা খুব খুশি। বড় বন্ধুদের উপহার হিসেবে যে খাতা কলম পেয়েছি এখন থেকে সুন্দর করে খাতায় বেশি বেশি লিখবো। প্রসঙ্গত, এই কার্যক্রমের যার যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থী বড় বন্ধুর হাত ধরে। বড় বন্ধুদের এই কার্যক্রমের খবর পত্রিকা ও ফেইসবুকে দেখে বছরের নানা সময়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছিলেন একজন ডাক্তার, একজন ব্যাংকার, একজন পিটিআই ইন্সট্রাক্টর, একজন সাংবাদিক, একজন গবেষক, একজন শিক্ষক, একজন প্রবাসীসহ আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

4
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদাহ ইউনিয়নের মির্জানগর দাখিল মাদ্রাসা চত্বরে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সদর ২আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। মির্জানগর আর্দশ বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসার আয়োজনে উক্ত  সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অসলে, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মীর মাহমুদ হাসান লাকি, বাঁশদাহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এপিপি এড. আব্দুল লতিফ প্রমুখ। সভায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহবান জানানো হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

শ্যামনগর প্রতিনিধি: আবু জাফরের শিক্ষকতা কেবলই তার বাহ্যিক পরিচয়। সুন্দর মেক-আপ, গেট-আপ, পরিপাটি সাঁজ সজ্জা আর ভোলা ভালা ব্যবহার দিয়ে নিজেকে সে সমাজের কাছ একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে পরিচিত করে তুলেছে। শ্যামনগরের সোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু জাফর শিক্ষকতার আড়ালে নারী লিপ্সুর কাহিনী। তার এই সুন্দর চেহারার মধ্য লুকিয়ে রয়েছে চরম নিকৃষ্টতা। শিক্ষকতাকে পুঁজি করে যে ইতিপুর্বে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ ও বদলী বানিজ্যসহ নানা অপকর্ম করে গেছে নির্বিঘেœ।তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে আবু জাফর এখন নারীলোভী লম্পট হিসেবে সমধিক পরিচিত। বিষয়টি নিয়ে ইতিপুর্বে বিবাহিত এ শিক্ষকের পরিবারে অসংখ্যাবার বিচার সালিশ পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু তারপরও লাম্পট্যকে ত্যাগ করতে পারেনি নারী লোলুপ আবু জ্ফার।ইতিপুর্বে একাধিকবার তার স্ত্রী দু’সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পিতৃালয়ে যেয়ে ওঠে। পরে স্বজনদের মধ্যস্থতায় আবারও তাদেরকে জাফরের পরিবারে ফিরিয়ে আনা হয়। আব্দুল কাদের, জামসেদ আলীসহ অনেকেই অভিযোগ করেন,রমজাননগরের চাঁদখালী গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা নারী রোজিনা বেগমের নির্জন বাড়িতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে মেয়েদের এনে সে রাতভর ফুর্তি করে। এছাড়া উপজেলা সদরের উজ্জল শেখ এর গ্রামীন ফোনের কাষ্টমার কেয়ার সেন্টারে কাজ করার সময় ‘সিম রিপ্লেসমেন্ট’সহ নানা কারনে তার কাছে আসা নারীদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে পায়শই উত্যক্ত করার পাশাপাশি অনেকের সাথে গীভর সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ে তোলে। এধরনের এক ঘটনায় উপজেলার সোনার মোড় এলাকার জনৈক প্রবাসী হাসান মিয়ার স্ত্রী’র সাথেও অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে শিক্ষক নামের কলঙ্ক লম্পট আবু জাফর। এরশাদ, মিঠু, মোমিনসহ আরও অনেকে অভিযোগ করে জানায় শিক্ষকতা পেশায় যোগদানের পর সে সাতক্ষীরাতে পিটিআই প্রশিক্ষনে যায়। সেখানে অপর এক শিক্ষিকার সাথে অনৈতিক কাজের সময় হাতে নাতে এলাকাবাসীর হাতে ধৃত হওয়ার পর তার স্ত্রী রুনা বেগম সাতক্ষীরায় স্বামীর ভাড়া বাসায় যেয়ে থাকে শুধুমাত্র আবু জাফরের অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে দুরে সরিয়ে রাখতে।আরও অভিযোগ রয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় কৈখালীর একটি কেন্দ্রে দায়িত্ব পড়ে উক্ত আবু জাফরের। এসময় ব্যালট পেপার কাটার দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও উক্ত আবু জাফর সুন্দরী নারীদের হাতে অমোচনীয় কালি লাগানোর সুযোগ হাতছাড়া না করতে ঐ দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির সাথে ‘ডিউটি’ পরিবর্তন করে। এক পর্যায়ে ‘টার্গেট’ করা ঐ সুন্দরী নারীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তার সাথেও (স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগে) সম্পর্ক গড়ে তোলে। অভিযোগ রয়েছে শিশু রেজা এমপি কলেজের প্রভাষক প্রভাষ কুমারের স্ত্রীকে ডেপুটেশনে আবু জাফর তার কর্মস্থল সোরা বিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। এসময় বিয়ের প্রতিশ্র“তি দিয়ে কয়েক মাস অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার পর বিষয়টি উক্ত শিক্ষিকার স্বামীর গোচরীভুত হলে তাদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়। পরবর্তীতে ঐ প্রভাষক নিজ স্ত্রীকে জাফরের হাত থেকে রক্ষা করতে অন্যত্র বদলী করে নিয়ে যায়। বংশীপুর গ্রামের সোলায়মান ও শেখ হাফিজুরসহ অনেকেই জানায় গত কয়েক মাস পুর্বে বংশীপুরের জনৈক ধান ব্যবসায়ী বেলাল হোসেনের বাড়ির সামনের এক গৃহবধুরর সাথে আপত্তিজনক অবস্থায় হাতেনাতে ধৃত হয়ে আবু জাফর গনধোলাইয়ের শিকার হয়। এর আগে ভুরুলিয়া গ্রামের তার অতি নিকটাত্বীয় দুই বোনও জাফরের লেঅলুপ দৃষ্টি থেকে রেহাই পায়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমন ভুরি ভুরি নারী কেলেংকারীতে জড়িত শিক্ষক নামধারী লম্পট আবু জাফরের বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক আইনগত ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে ভুক্তোভোগীরা। এবিষয়ে শিক্ষক আবু জাফরের সাথে কথা বললে তিনি জানান ,আমার বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতের এক কর্মীসহ ৪৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১০ জন, কলারোয়া থানা থেকে ০৯ জন, তালা থানা ০১ জন, কালিগঞ্জ থানা ০৫ জন, শ্যামনগর থানা ০৮ জন, আশাশুনি থানা ০৭ জন, দেবহাটা থানা ০২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ০২ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

humayra-akter
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় এবং অগ্রগতি সংস্থার বাস্তবায়নে সাতক্ষীরা ও তালা উপজেলার ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়নে ২০১১ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করতে বিভিন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি ৩০টি বিদ্যালয়ের জে এস সি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ রেজাল্টধারী ৫জন মেধাবী বিজ্ঞান ছাত্রীদের মাঝে ২য় বার চেক প্রদান করা হয়। মেধাতালিকায় নির্বাচিত হয়েছে,কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী হুমাইরা আক্তার, আঃ করিম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী আজমিরা আক্তার, বাবুলিয়া জে এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী সানজিদা ইসলাম বন্যা,সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্রী তামান্না তাবাসসুম ও সাতানী ভাদড়া স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী হাসনা হেনা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বখাটে দমনের দাওয়াই

কর্তৃক daily satkhira

a912ca3fa160170582b565b9340b3f42-untitled-1ডেস্ক রিপোর্ট: খাদিজা ‘আব্বু’ ডেকেছেন। গত মঙ্গলবার তাঁর বাবা মাশুক মিয়া প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘খাদিজা আমাকে আজ আব্বু বলে ডেকেছে। খুব আস্তে। আমি নিজে শুনেছি।’সিলেটে ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের নৃশংস হামলার শিকার খাদিজা ৩ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে অচেতন পড়ে ছিলেন। কাজেই তাঁর মুখে এই ‘আব্বু’ ডাকে মেয়ের জ্ঞান ফেরার অপেক্ষায় থাকা বাবার প্রাণটা যেমন জুড়িয়েছে, তেমনি তাঁদের শুভাকাঙ্ক্ষী দেশের হাজারো মানুষ খুশি। সবাই চায়, মেয়েটি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাক। আরও চায়, হামলাকারী বদরুলের শিগগিরই শাস্তি হোক। এদিকে রাজধানীর মিরপুরের বিসিআইসি কলেজের ছাত্রী দুই যমজ বোনকে উত্ত্যক্ত ও মারধর করা বখাটে যুবক জীবন করিমকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তাই বলে বখাটের ছুরি কিন্তু থেমে নেই। গত সোমবার ঝিনাইদহ শহরে পূজা বিশ্বাস নামের এক স্কুলছাত্রীকে ছুরিকাঘাত করেছে লিটু নামের এক বখাটে। তাকে অবশ্য এর মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঝিনাইদহে কিছুদিন আগেও বখাটের উৎপাত সইতে না পেরে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। আজকাল পত্রিকার পাতা ওলটালেই বখাটেদের এমন অলক্ষুনে দু-চারটা খবর চোখে পড়েই। এই উৎপাত যেন ক্রমে বাড়ছে। বখাটে সে এক প্রাণী বটে! শরীরটা মানুষের, প্রাণটা হায়েনার। কর্মকাণ্ড সংক্রামক ব্যাধির মতো। একটি মেয়ের পেছনে লেগে তার পুরো পরিবারের আরাম হারাম করে দেয়। সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বখাটেদের এই উত্ত্যক্ত করার বিষয় সেভাবে নজরে আসে গত শতকের আশির দশকে। বখাটের মূল কাজ প্রকাশ্যে মেয়েদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করা। নারীকে স্রেফ পণ্য আর ভোগের বস্তু মনে করে তারা। আগে তাদের দৌরাত্ম্য ছিল সীমিত। শিস দিত, অশ্লীল মন্তব্য ছুড়ত, কয়েকজন মিলে উপহাস করত, ভুল বানান ও ভুল অশালীন বাক্যে প্রেমপত্র লিখে ছুড়ে দিত। চোরা-চোরা একটা ভাব নিয়ে এসব করত তারা। মেয়ের অভিভাবক বা স্বজন কিংবা পাড়ার ভাইদের দেখলে শিয়ালের মতো লেজ গুটিয়ে পালাত তারা। হালে তারা বুক ফুলিয়ে উত্ত্যক্ত করে। সঙ্গে কেবল সহযোগীই নয়, থাকে ধারালো অস্ত্রও। অপকর্মে প্রযুক্তিও কাজে লাগাচ্ছে তারা। মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে, পথে কিশোরী বা তরুণীকে নাজেহাল করার ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুকে পাঠিয়ে পান্ডাগিরি দেখাচ্ছে। নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে উত্ত্যক্তের শিকার মেয়েটিকে তারা দমিয়ে তো রাখেই, এর সঙ্গে মেয়েটির পুরো পরিবারকে ফেলে দেয় নির্ঘুম দুশ্চিন্তায়। মেয়ের অভিভাবকেরা ধনে–মানে দুর্বল হলে তো কথাই নেই। পদে পদে হেনস্তা হয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত। তাদের দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদ করতে গিয়ে কিশোরী বা তরুণীকে প্রাণটা পর্যন্ত দিতে হয়। যেমন দিয়েছে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী রিসা। মাদারীপুরের কালকিনিতে স্কুলছাত্রী নিতুর বেলায়ও ঘটেছে একই ঘটনা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উত্ত্যক্তের শিকার কিশোরী-তরুণীর স্বজন-শুভাকাঙ্ক্ষী বখাটের হামলার শিকার হন। প্রাণ খোয়ান। বিড়াল উৎপাত করলে তাকে তাড়ানো যায়। কুকুরের উপদ্রব দমনে পৌর কর্তৃপক্ষের লোকজন সুচ নিয়ে নামে। আর মশা-মাছির ওষুধ তো আছেই। কিন্তু বখাটের বেয়াড়াপনা দমানোর দাওয়াই কী? এ প্রশ্নের উত্তরে যাওয়ার আগে জেনে নিই বখাটে আসলে কারা? দেখা যাবে, অঢেল বিত্তের ভেলায় ভাসা কোনো ব্যক্তি আদুরে সন্তান, যে এসএসসি বা এইচএসসিতে সগৌরবে ডাব্বা মেরে মেয়েদের পেছনে ঘোরাটাকেই একমাত্র কাজ বলে বেছে নিয়েছে। আবার সে হতে পারে কোনো পরিবারে অনাদরে বেড়ে ওঠা তরুণ, যার মায়া-মমতাহীন জীবন অন্যের সুখ কেড়ে নেওয়ায় উদ্বুদ্ধ করেছে। আর এ ক্ষেত্রে পীড়ন করার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নিয়েছে আত্মরক্ষায় তুলনামূলকভাবে নাজুক কিশোরী বা তরুণীকে। বখাটে হতে পারে দিনের পর দিন বেকার থাকা কোনো তরুণ বা মাদকসেবী। সে হতে পারে বিকৃত মানসিকতাসম্পন্ন কেউ। বখাটে হতে পারে পথে-প্রান্তরে বেড়ে ওঠা এমন তরুণ, যার কোনো চালচুলোই নেই। অভিজ্ঞজনদের মতে, মূল্যবোধের অবক্ষয়, প্রকৃত শিক্ষার অভাব, সামাজিক অবক্ষয় ও বৈষম্য, বেকারত্ব ও হতাশা, সুস্থ সংস্কৃতির অভাব, মাদকদ্রব্যের অবাধ ব্যবহার, আইনগত ব্যবস্থা যথাযথ ও জোরালো না থাকা, রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্যমূলক সম্পর্কের কারণে বখাটেদের উত্ত্যক্ত করার মতো পরিবেশে সৃষ্টি হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বখাটেরা আইনের ফাঁকফোকর গলে জামিন পেয়ে যায়। এরপর থাকে পলাতক। আড়াল থেকে মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি দেখায় মেয়ের পরিবারের সদস্যদের। ফাঁসের মতো আটকে থাকা ঝামেলা খসাতে অনেক অভিভাবক আপস করে ফেলেন। বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেক বাদীপক্ষ মামলা চালানোর ম্যারাথনে ক্ষান্ত দেয়। এভাবে অনেক মামলা শেষ পরিণতি পর্যন্ত গড়ায় না। এতে সাজাও হয় না বখাটের। এসব দেখে অন্য বখাটেরা উসকানি পায়। কাজেই বখাটের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা দ্রুত কার্যকর হওয়াটা জরুরি। বখাটে যেহেতু এখন জ্বলন্ত সমস্যা, কাজেই আইনগত ব্যবস্থার বিষয়টি বিবেচনায় আনা প্রয়োজন। উত্ত্যক্তকারীর বিচার হতে পারে দ্রুত বিচার আদালতে। সাজা দীর্ঘ বা স্বল্পমেয়াদি, যা-ই হোক না কেন, অপরাধটি অজামিনযোগ্য বলে আইন চালু হলে এ ধরনের অপতৎপরতা কমে যাবে। আমাদের দেশে সামাজিক বিভিন্ন অপরাধ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে রয়েছে কমিউনিটি পুলিশিং। এর মাধ্যমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আস্থাভাজন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মাধ্যমে বখাটেপনা দমনে কোনো কমিটি করা যেতে পারে। ওই এলাকায় বখাটেদের দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে তৎপর থাকবে এই কমিটি। প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। উত্ত্যক্তকারীর উৎপীড়ন বা যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে চালাতে হবে ব্যাপক জনসচেতনতামূলক প্রচারণা। এর সঙ্গে সভা-সমাবেশ হতে পারে। বখাটে যদি উপলব্ধি করতে পারে, কিশোরী বা তরুণীকে উত্ত্যক্ত করার বিষয় কঠোর নজরদারির মধ্যে রয়েছে। এ জন্য কঠিন সাজাও পেতে হবে, তাহলে অবশ্যই হতোদ্যম হবে। বখাটে দমনের আরেকটি মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে আত্মরক্ষার কৌশল জানা। আমাদের দেশের মেয়েরা এখন আগের চেয়ে অনেক সচেতন। অনেক ক্ষেত্রেই তারা উদ্যমী ও সাহসী। সে ক্ষেত্রে বখাটের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে এসব মেয়েকে আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ কাজে লাগতে পারে। এ প্রশিক্ষণ হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক। আত্মরক্ষার জন্য আজকাল নানা রকম মনস্তাত্ত্বিক ও শারীরিক কৌশল প্রয়োগ করা হয়। মেয়েদের এসব জানা থাকলে অনেক ক্ষেত্রে সুফল বয়ে আনবে। যুক্তরাষ্ট্রে গত আগস্টে মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের এমন প্রশিক্ষণ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মূলত ক্যাম্পাসে যৌন হয়রানি ঠেকাতেই এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার বিষয়টি চালু করা হয়েছে। মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ হাজার ৭০০ নতুন শিক্ষার্থী এই প্রশিক্ষণ নেন। আমাদের দেশেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের কোর্স চালু করা যেতে পারে; বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য। এতে সরকারের যে খুব বেশি ব্যয় হবে, তা নয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

faed51c59761d3ef1cb924b984394a4e-salmankhanবিনোদন ডেস্ক: সালমান খানের বিশ্বস্ত দেহরক্ষী শেরার বিরুদ্ধে তাঁর এক পরিচিতজন মামলা করেছেন। সেই পরিচিত ব্যক্তিকে নাকি শেরা মেরে কাঁধের হাড় ভেঙে ফেলেছেন। এমনকি শেরার কাছে থাকা অস্ত্র দেখিয়ে ওই ব্যক্তিকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। শেরা প্রায় ১৮ বছর ধরে বলিউড তারকা সালমান খানের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করছেন। সালমান খানের ভাই সোহেল খান শেরাকে দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর থেকে সব সময় শেরা সালমানের সঙ্গেই থাকতেন। এমনকি এখন শেরাকে সাল্লু তাঁর পরিবারের একজন হিসেবেই মনে করেন। আর শেরা সালমানকে সব সময় সম্বোধন করেন ‘মালিক’ হিসেবে। সালমান খান তাঁর ব্যবসাসফল ছবি বডিগার্ড’ শেরাকে উৎসর্গ করেছিলেন।শেরার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার পর তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়। তবে শেরা এই মারপিটের বিষয় অস্বীকার করছেন। তিনি গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে কারও কোনো মারপিট হয়নি। শুধু ফোনে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছিল। তখন রাগের বশে অনেক কিছুই বলা হয়েছিল। কিন্তু আমি কারও গায়ে হাত তুলিনি।’ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest