সর্বশেষ সংবাদ-
তালায় খাবারের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে দুর্ধর্ষ চুরিকোটি টাকা চাঁদার দাবিতে অপহরণ করে নির্যাতনের অভিযোগ: সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও পিপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাসমাজকে এগিয়ে নিতে হলে নারীকেও এগিয়ে নিতে হবে- সাতক্ষীরার ডিসিসাতক্ষীরার জুলাই যোদ্ধা মোহিনী অদম্য নারী পুরস্কারে ভূষিতসাতক্ষীরায় প্রতিপক্ষের হামলায় জখম-২সখিপুরে জামায়াতের এমপি প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের পথসভাসাতক্ষীরায় বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণনানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উদযাপনজাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন: সাতক্ষীরায় নবাগত এসপিআশাশুনির আনুলিয়া ও কাপসন্ডায় সড়ক নির্মান কাজে দুর্নীতির অভিযোগ

_91630733_08-10-16-gazipur_jmbdeath-1ডেস্ক রিপোর্ট: গাজীপুর এবং টাঙ্গাইলে সোয়াট এবং র‌্যাবের অভিযানে একদিনে ১১ জঙ্গি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরের একটি আস্তানায় বিশেষ বাহিনী সোয়াটের অপারেশন ‘স্পেট-এইটে’ নিহত হয়েছে নিউ জেএমবি প্রধান মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি ফরিদুর রহমান আকাশসহ ৭ জন। গুলিবিদ্ধ হয়েছে এক সোয়াট সদস্য। কাছেই আরেক জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত হয়েছে আরও দুই জঙ্গি। এছাড়াও টাঙ্গাইলের কাগমারা মির্জাঘাটে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ জঙ্গি নিহত হয়েছে।

বগুড়ায় আটক এক জঙ্গি জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে জানায়, গাজীপুর শহরে অন্তত দুটি জঙ্গি আস্তানায় একে-ফোর্টি সেভেনসহ বিপুল অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুদ করেছে জঙ্গিরা। সেখানেই অবস্থান করছে নিউ জেএমবির নতুন প্রধান ফরিদুর রহমান আকাশ।

গাজীপুর:
গাজীপুর শহরের ভেতরে হাড়িনাল পাতারটেক এলাকায় দুটি আস্তানা সনাক্ত করে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণে কাজ করা ল’ফুল ইন্টারসেপশন সেল (এলআইসি)।

সকালে বড় আস্তানাটি ঘিরে ফেলে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। হ্যান্ড মাইকে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে জঙ্গিরা। শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে চলে গোলাগুলি।

এর মধ্যে দফায় দফায় সংলাপ চলে পুলিশ ও জঙ্গিদের মাঝে। বিশেষ বাহিনী সোয়াটকেও ডাকা হয়। কমান্ডো অভিযান শুরুর আগে জঙ্গিদের জন্য খাবার ও পানি সরবরাহ করে পুলিশ। এক পর্যায়ে প্রবেশপথে গ্যাস সিলিন্ডার বসিয়ে ব্যারিকেড দেয় জঙ্গিরা। গ্যাস গ্রেনেড নিয়ে শুয়ে পড়ে মেঝেতে। ভবন উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি আসে জঙ্গিদের পক্ষ থেকে। পরে কৌশল পাল্টে কমান্ডো অভিযান চালায় সোয়াট।

জঙ্গি অভিযানে নিহত আকাশসহ ৭ জনের লাশ ওই বাসার বিভিন্ন জায়গায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিটের এডিশনাল এসপি সানোয়ার হোসেন বলেন, আপাতত এই মুহূর্তে আমরা বলতে পারি যে নিউ জেএমবির শক্তিমত্তা অলমোস্ট নাইনটি নাইন পারসেন্ট আমরা রিডিউস করে দিতে পেরেছি।

ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা শতভাগ জঙ্গি নির্মুল করতে পারিনি। দুয়েকজন হয়তো এদিক সেদিক রয়ে গিয়েছে। যারা এদিক সেদিক ছিলো তারা কিন্তু সংঘবদ্ধ হওয়ার প্রচেষ্টা নিচ্ছিলো এই আকাশের নেতৃত্বে। এটাই আমাদের ধারণা ছিলো।

গাজিপুর, টাঙ্গাইল এবং আশুলিয়ায় অভিযানের উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর পাশাপাশি আরও কয়েকটা অভিযান হয়েছে। সেগুলোও সফল অভিযান হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের গোয়েন্দা ও পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত সক্রিয়, সক্ষম ও দক্ষ। কাজেই মেজর জিয়া, লেফট্যানেন্ট জিয়া আমাদের কাছে বিষয় না। আমাদের কাছে বিষয় জঙ্গি জঙ্গিই। আমরা যেকোন মূল্যে জঙ্গি ধরার প্রচেষ্টা নিচ্ছি।

ওই অভিযান চলার সময়ে কাছের জোড় পুকুর পাড়ে আরেকটি জঙ্গি আস্তানা ঘিরে ফেলে ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিট। প্রায় একই সময়ে সেখানে আসে র‌্যাব। তাদের অভিযানে নিহত হয় দুই জঙ্গি। উদ্ধার করা হয় অস্ত্র ও বিস্ফোরক। দুটি অভিযানে মোট ৯ জঙ্গী নিহত হয় বলে জানিয়েছে গাজীপুর জেলা পুলিশ।

টাঙ্গাইল:
একইদিন টাঙ্গাইলের কাগমারা মির্জাঘাটে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২ জঙ্গি নিহত হয়েছে, আহত হয়েছেন র‌্যাবের দুই সদস্য। সেখান থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে র‌্যাব জানিয়েছে, দুর্গাপূজা এবং আশুরায় জঙ্গিদের বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল।

টাঙ্গাইলের কাগমারায় আজাহার মুন্সির তিনতলা বাড়িতে জঙ্গিদের আস্তানা রয়েছে এমন খবরে শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেসময় জঙ্গিরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। দুই পক্ষের মধ্যে বেশকিছু সময় ধরে গুলি বিনিময়ে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানায় র‌্যাব। জঙ্গিদের বড় ধরণের হামলার প্রস্তুতি ছিল বলেও র‌্যাব জানিয়েছে।

অভিযানে জঙ্গি আস্তানা থেকে ১টি পিস্তল, ১টি রিভলবার, ৫ রাউন্ড গুলি, ২টি ল্যাপটপ এবং মোবাইল ছাড়াও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
প্রশ্নপত্রে বঙ্গবন্ধুর নামের বানান ও বাংলাদেশ বানানে অমার্জনীয় ভুল

প্রশ্নপত্রে বঙ্গবন্ধুর নামের বানান ও বাংলাদেশ বানানে অমার্জনীয় ভুল

কেএম রেজাউল করিম: নিজের দেশের নাম, জাতির জনকের নাম সঠিক বানানে লিখতে পারেন না প্রশ্ন প্রণেতারা! অথবা লিখতে পারলেও যে নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা প্রয়োজন তা করেন না প্রশ্ন প্রণেতা শিক্ষকবৃন্দ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের বানান তারা লেখেনÑ ‘শেখ মুজিবুর হরমান’ এবং বাংলাদেশ বানান তাদের কাছে ‘বাংলাদেশেল’! প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে শিশুর শিক্ষার মূল ভিত গড়ার সময়। সেই শিক্ষা ব্যবস্থা মনিটরিং-এর দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যক্তিরা সে দায়িত্ব পালনে কতটা খামখেয়ালি তার প্রমাণ এসব নি¤œমানের প্রশ্নপত্র।
দেবহাটা উপজেলায় চলতি বছরের চূড়ান্ত মডেল টেস্টের পরীক্ষায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির ভুলে ভরা প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আর এতে করে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এতে উপজেলার ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা হতাশ হয়ে পড়েছে।
দেবহাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী চূড়ান্ত মডেল টেস্টের প্রশ্নে বাংলাদেশের নাম ও স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের বানান ভুলসহ অসংখ্য ভুলে ভরা ছিল।
দেবহাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি কর্তৃক পরিচালিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর মডেল টেস্টের “বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়” পরীক্ষার প্রশ্নের প্রথম পাতায় ১ দাগের সঠিক উত্তরে টিক এর ২য় দাগে প্রশ্ন ছিল-বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৭১ সালের মুজিবনগর সরকারের এই পদমর্যদায় কে ছিলেন? সেখানে চারটি উদ্দীপক দিয়ে সঠিক উত্তরে টিক দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সঠিক উত্তর বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রথম উদ্দীপক (ক)“ শেখ মুজিবর হরমান,” ৩য় দাগে “বাংলাদেশেল” দেখে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বুঝতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কমিটির কাছে একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে বলা হয়। কিন্তু এরকম একাধিক স্থানে ভুলে ভরা প্রশ্নে কীভাবে পরীক্ষার্থীরা সঠিক উত্তর প্রদান করবে এবং কি বা তারা শিখবে। বর্তমানে সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানোর কথা বললেও কিছু মুষ্টিমেয় ব্যক্তির কারণে ব্যাহত হচ্ছে এই মহতি উদ্যোগ। শুধু তাই নয় ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ের পরীক্ষার প্রশ্নে ভুল হলেও সমাধানের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে দেবহাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবাশীষ সিংহর নিকট জানতে চাইলে ভুলে ভরা প্রশ্নের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমাদের চোখে ভুল ধরা পড়ার সাথে সাথে প্রতিটি কেন্দ্র সংশোধন করে দিয়েছে। আগামীতে যাতে ভুল না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকব।”
এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবক ও সচেতন মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কালিগঞ্জ ব্যুরো: যথাযথ ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য ও উৎসব মূখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে কালিগঞ্জের ৫২ মণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা পালিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মহাপঞ্চমী বিহিত পূজা ও দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে এই উৎসবের শুরু হয়। শনিবার নবপত্রিকা প্রবেশ ও মহাসপ্তমী বিহীত পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার সকল পূজা মণ্ডপে মহাসপ্তমীতে ছিল দেবী ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়। এছাড়াও সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আজ রোববার মহা অষ্টমীতে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক সনৎ কুমার গাইন জানান, চলতি বছর উপজেলার ৫২ টি মন্ডপে আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে। প্রতিটি মন্ডপে পুলিশ, আনছার সদস্য ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পূজার জন্য ইতোমধ্যে প্রতিটি মণ্ডপকে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান। সরেজমিন উপজেলা সদরের বাজারগ্রাম, উত্তর কালিগঞ্জ বাজার, বাস টার্মিনাল সংলগ্ন কালীতলা, কুশলিয়া রথখোলা, বিষ্ণুপুর উদয় বাবুর বাড়ি, রায়েরহাট, পারুলগাছা সার্বজনীন পূজা মন্ডপে বর্ণিল আলোক সজ্জা দেখা গেছে। প্রতিটি মন্ডপে দর্শনার্থীগণ আরতী ও অন্যান্য ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান উপভোগ করছেন। কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কালিগঞ্জ ইউনিটের কমান্ডার শেখ ওয়াহেদুজ্জামান শনিবার উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় পূজা উদযাপন পরিষদ কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তার সঙ্গে ছিলেন। তিনি বিভিন্ন মণ্ডপে যেয়ে পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দের  সাথে মতবিনিময় করেন এবং সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামে সাবিনা খাতুন (৩২) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।। নিহতের ভাই আনসার আলী সাংবাদিকদের জানান, বিগত ১৬ বছর পূর্বে কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি গ্রামের মোঃ কিতাব আলীর ছেলে সবুর খানের সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের লোভী স্বামী সবুর খান তার বোনের উপর অত্যাচার নির্যাতন করত। সংসারের কথা মাথায় রেখে মুখ বুজে তার বোন নির্যাতন সহ্য করে যেত। একে একে তাদের ঘরে তিন কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। নাবালিকা কন্যাদের বয়স যথাক্রমে ১২, ৮ ও ৬ বছর। সময় গড়িয়ে গেলেও সাবিনার উপর তার স্বামীর নির্যাতনের মাত্রা কমেনি বরং বেড়েছে। বিভিন্ন সময় যৌতুকের টাকা চাওয়ায় স্বামীর সাথে সাবিনার কলহ লেগে থাকত। সম্প্রতি সাবিনা তার চিকিৎসার জন্য একটি এন জি ও থেকে ১৫হাজার টাকা লোন উত্তোলন করে। চিকিৎসার নাম করে তার স্বামী সেখান থেকে ৯ হাজার টাকা নিয়ে নেয় পরে বাকি ৬ হাজার টাকা জোরপূর্বক সাবিনার কাছ থেকে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে কলহ বিবাদের সৃষ্টি হয়। নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে সন্ধ্যায় পরিবারের সবার অজান্তে ঘরের আড়ার সাথে রশিতে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।ঘটনা ঘটার পর  প্রতিবেশীরা জানতে পেরে থানার পুলিশকে সংবাদ দেয়। কলারোয়া থানার এসআই ইয়াছিন সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনা স্থলে পৌছে  গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে কলারোয়া থানায় নিয়ে আসেন। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এমদাদুল হক শেখ জানান, গৃহবধূ সাবিনার লাশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

1-copy
তালা প্রতিনিধি : ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ -শ্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তালা সদর ইউনিয়নে হতদরিদ্রের মাঝে সূলভ মূল্যে দশ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয় কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শনিবার বিকালে তালা উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ও ফেয়ারপ্রাইজের ১০ টাকা দরে চাউলের কার্ড উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা-১(তালা-কলারোয়া)আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি সরদার মশিয়ার রহমানের পরিচালনায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফরিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক প্রণব ঘোষ বাবলু,তালা থানা সেকেন্ড অফিসার ওহিদ জেএসডির কেন্দ্রীয় নেতা মীর জিল্লুর রহমান,তালা সদর ইউনিয়নের সভাপতি শাহাবুদ্দীন বিশ্বাস,সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খাঁ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন তালা থানা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেনসহ ৯টি ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক,ইউপি সদস্যবৃন্দ। প্রকাশ,তালা সদর ইউনিয়নে ১হাজার ৬’শ ৪৪ জন কার্ডধারীর ১০টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাউল নির্দিষ্ট ডিলারের কাছ থেকে কিনতে পারবেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

বাবুল আক্তার : পাইকগাছার প্রতিমা ঢালী ওরফে খাদিজা মৃত্যুর এক মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনও মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করতে পারেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে কথিত স্বামী মহিতোষকে দায়ী করলেও এলাকাবাসী মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিমার পিতা ৭ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছে। সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার দারুণমল্লিক গ্রামের খাদিজা খাতুনের ঝুলন্ত লাশ ৭ সেপ্টেম্বর নিজ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়। ইতোপূর্বে প্রতিমা ঢালী এফিডেভিটের মাধ্যমে খাদিজা নামে সাতক্ষীরার খলিলের সহিত বিবাহ হয়। সেখানে সে প্রায় দেড় বছর সংসার করে বলে স্বামী খলিল ও এলাকার একাধিক সূত্রে জানা যায়। তাদের নিয়ে দেলুটী ইউপিতে শালিস হয় বলে ইউপি পরিষদ সদস্যরা জানিয়েছেন। মুসলিম থেকে নিজ ধর্মে ফিরেছে কিনা তাও কেউ বলতে পারেনি। এ ঘটনার কিছু দিন পর নোয়াই গ্রামের কাদের গাজীর পুত্র খোকন এর সহিত বারোআড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পে আটক হয়। সেখান থেকে প্রতিমার মামা তাদের ছাড়িয়ে আনে। খোকনের সহিত প্রতিমার বিবাহ হয়েছিল কিনা তাও কেউ বলতে পারিনি। এদিকে প্রতিমার মা উষা রানী ঢালী বলেন, মহিতোষের পিতা অরবিন্দুর সাথে আমাদের ধর্ম আত্মীয়তা পাতানো ছিল কয়েক বছর পূর্বে। সেখান থেকে আমি ও আমার মেয়ে প্রতিমা তাদের ওখানে যাতায়াত করি। মহিতোষ আমার কন্যাকে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ করেছে কিন্তু কখনও শাখা সিদুর পরায়নি। দিনের বেলায় সে কখনও আমার বাড়ী আসেনি। মাঝে মধ্যে রাতে আসতো এবং রাত শেষ হওয়ার আগেই চলে যেত। ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ ৬ সেপ্টেম্বর রাত অনুমান ৯ টায় মহিতোষকে সাথে নিয়ে আমার কন্যা বাড়ীতে আসে। সকালে আমি শাড়ী বিক্রি করতে যাই। ফিরে এসে তালাবদ্ধ ঘরে প্রতিমার ঝুলন্ত লাশ দেখি। এ সময় মহিতোষের খোজ খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে মহিতোষের গ্রাম দক্ষিণ কাইনমুখীতে তাদের বিয়ের ঘটনা কেউই বলতে পারিনি। প্রতিমার পিতা দীর্ঘদিন ছোট স্ত্রীকে নিয়ে খুলনায় থাকে। এ ঘটনায় সে বাড়ী এসে মহিতোষ সহ ৭ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করে। কিন্তু পুলিশ আজও তার মৃত্যু কাহিনী উদঘাটন করতে পারেনি। তদন্ত কর্মকর্তা এস,আই গৌতম জানায়, মৃত্যুর কাহিনী উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। দ্রুত সম্ভব হবে।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

4
তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলার সাবেক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ সাইফুল আলমের ২২তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে তালার রহিমাবাদ পারিবারিক কবরস্থান সংলগ্ন মসজিদে উপজেলা ছাত্রদল দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক মির্জা আতিয়ার রহমান, তালা সদর বিএনপি’র সভাপতি মো.আবুল কালাম বিশ্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ-উল ইসলাম,কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হাসান, ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদুর রহমান, মৎস্যজীবী আহবায়ক গাজী মাহাবুবুর রহমান, জাসাস এর সভাপতি সেলিম হায়দার, স্বেচ্ছাস্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, বাস্তহারা দলের সভাপতি আবুল কালাম, ছাত্রনেতা,ফরাদ হোসেন রনি, মোতাহার,তালা সরকারি কলেজ সাবেক সদস্য সচিব জিএম ফারুক, তালা সরকারি কলেজ সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন মোড়ল,ছাত্রনেতা সুমন, মফিজুল ইসলাম, হাসান, ইমরান, আব্দুল্লাহ আল মামুন সৈকত,আলিফ,সরদার কামরুল,কালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নেতৃবৃন্দরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। উল্লেখ্য ১৯৯৪সালে ৮ই অক্টোবর ছাত্রদলের উদ্যোগে নবীনদের আগমনে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল তালা সরকারি কলেজ মাঠে প্রবেশ করার সময় বিপদগামী কিছু দূর্বৃত্তদের বোমা হামলায় সাবেক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিহত হন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলার তিন বছর মেয়াদী অগ্রধিকার ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শীর্ষক অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভায় জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগ খুলনার উপ পরিচালক অচিন্ত্য কুমার পোর্দ্দার, স্থানীয় সরকার বিভাগ সাতক্ষীরার উপ পরিচালক এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.এফ.এম এহতেশামূল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অরুন কুমার মন্ডল, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোদাচ্ছের আলী, লাবসা সরকারি পলিটেকনিক কলেজের অধ্যক্ষ জি.এম আজিজুর রহমান, তালা উপজেলার চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ পরিচালক আব্দুল মান্নান, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ চৌধুরী, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সায়েম মোঃ মনজুর আলম, আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মনিরা পারভীন, এনডিসি আবু সাঈদসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দ। সভায় জেলার স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষিসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূল কাজের অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest