সর্বশেষ সংবাদ-
সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মুল হোতা আলিমুদ্দীন গাজি গ্রেপ্তারদেবহাটায় শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে আলোচনাজিয়াউর রহমান এর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় তাঁতীদলের দোয়াজেলা জে এস ডির শোকনওয়াবেঁকীতে রাতের আধারে বাচ্চাসহ গরু জবাই : ৭ হাজার টাকা জরিমানাশ্যামনগর উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভসাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আয়োজনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণসাতক্ষীরায় এসএটিভি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেককাটাসাতক্ষীরার বিভিন্ন সীমান্ত জব্দ হওয়া বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংসআশাশুনিতে এনসিটিবি’র অনুমোদনহীন বই বাজারজাতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার অভিযোগ

Aman1
নিজস্ব প্রতিবেদক : কাল সেই ভয়াল ৬ সেপ্টেম্বর। ২০১৩ সালের এই দিনে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্যাহ আমানকে। এদিন সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিএনপির এক কর্মী সমাবেশে তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নির্দেশে তার কর্মী সমর্থকরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে আমানকে। ওরা সেদিন খুন করতে চেয়েছিলো তৎকালীন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলীকে। কিন্তু ইফতেখার আলীকে বাঁচাতে গেলে হাবিবের সন্ত্রাসী বাহিনী হিংস্র হায়েনার মত অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে আমানের উপর। দেখতে দেখতে কেটে গেছে তিনটি বছর। আমান হত্যার প্রধান আসামী সেই হাবিবুল ইসলাম হাবিব আজো পলাতক। অথচ তাকে মাঝে মাঝে টেলিভিশনে ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা যায়। জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা আমানউল্যাহ আমানের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশও করেছে আমান হত্যার বিচার বাস্তবায়ন কমিটি।
সূত্র জানায়, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের তারিকুল হাসান খুলনায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজি করত। সেখানে মামলা হওয়ার পর সাতক্ষীরায় আসে এবং হাবিবের ছত্রছায়ায় পূর্বের ন্যায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঘটনার সময় গডফাদার হাবিব-নান্টা বলেছিল, ইফতেখারকে আলতাফ বানিয়ে দে। বিক্ষুদ্ধ জনতা খুনি হাবিব-নান্টার ফাঁসির দাবি জানিয়ে তাদের কুশপুত্তলিকা বানিয়ে দাহ করেছিলো। এদিকে সাতক্ষীরা জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান হত্যা মামলায় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাবিবুল ইসলাম ও জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল হাসানসহ ৯০ জনের নামে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ঘটনার ১৪ মাস পর ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। কিন্তু অভিযোগপত্রটি ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় ২০১৫ সালের ৬ জুন সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন আদালতে। চার তদন্ত কর্মকর্তার হাত ঘুরে ২০১৪ সােেলর ১৬ অক্টোবর তিনি মামলাটির দায়িত্ব পান উপপরিদর্শক আবুল কাসেম। ২০১৪ সালের ১ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন সাতক্ষীরা আদালতের দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক জিল্লুর রহমানের মাধ্যমে আদালতে জমা দেন আবুল কাসেম। মামলার এজাহারভুক্ত ৭৬ জন আসামিসহ ৮৯জন বিএনপি নেতা, কর্মী ও সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। সাক্ষী করা হয়েছে ৫১ জনকে। অন্য আসামিদের মধ্যে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আইনুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম, সদস্যসচিব কামরুজ্জামান, সাতক্ষীরা পৌর বিএনপির সাধারণ শেখ মাসুম বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মো. কামরুজ্জামান, শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ মাস্টার, কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুস ছাত্তার, কলারোয়া যুবদলের সভাপতি আবদুর কাদের ও কলারোয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আশরাফ হোসেনের নাম রয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা শহীদ আবদুর রাজ্জাকের শিল্পকলা একাডেমী ভবনে তৎকালীন জেলা বিএনপির কর্মিসভা হয়। সভায় সভাপতি হাবিবুল ইসলাম পক্ষের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তৎকালীন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইফতখোর আলী পক্ষের সাধারণ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা দা, হাঁসুয়া, রড, হাতুড়ি ও লাঠি নিয়ে নেতা-কর্মীদের মারপিট করে। হামলা চালানো হয় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইফতেখার আলীর ওপর। তাঁকে রক্ষা করতে গেলে জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে খুলনায় নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। হামলায় আরও ১২ জন নেতা-কর্মী ও সমর্থক আহত হন। এ ঘটনায় আমানের মা ফাতেমা খাতুন ঘটনার রাতেই পৃথক এজাহারে ৭৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে সম্পূরক এজাহারে আরো ১৪জনকে আসামী করা হয়। আমান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র সাতক্ষীরা মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে দাখিল করা হয়। এরপর মামলাটি (এসআইসি ২৪৭/১৬) জজকোর্টে শুনানীর অপেক্ষায় আছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর মামলাটির ধার্যদিন রয়েছে বলে জানায় সূত্র।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ৪টি ওয়ার্ডে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ৬৫০ পরিবারের মধ্যে চাউল বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় শিবতলা মোড় এলাকায় বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য এস এম রেজাউল ইসলাম, মতিয়ার রহমান, নূর ইসলাম মগরেব, মমতাজ খাতুন, কালিদাশ প্রমুখ। এসময় মাথাপিছু ১০ কেজি চাউল বিতরণ করা হয়।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

তালা প্রতিনিধি : তালা সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ এহসান হাবীব অয়ন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শেখ তুহিনকে সভাপতি, আল-মামুন হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক এবং আবু তাহেরকে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনিত করে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, তালা সরকারী কলেজে দীর্ঘদিন দলের কোন কার্যক্রম না থাকায় এবং কমিটির মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ হওয়ায় পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে আগামী এক বছরের জন্য আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয়া হলো। BSL

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

05.09. picxমীর খায়রুল আলম: দেবহাটার সখিপুরে মাতৃত্বকালীন নারীদের মাঝে আমের চারা বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ৬০জন মাতৃত্বকালীন মহিলাদের নিজ হাতে আমের চারা বিতরণ করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন। বিতরণ কালে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। গাছ একদিকে জীবন বাঁচানোর জন্য কার্বনডাই অক্সাইড গ্রহণ করে মূল্যবান অক্সিজেন দেয়, অপর দিকে গাছ আমাদের ফল ও ছায়া দেয়। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের ভূমিকা অপ্রসীম। এসময় তিনি আরো বলেন, প্রধান মন্ত্রীর স্বপ্ন একটি বাড়ি একটি খামার। তাই আমার ইউনিয়নের প্রত্যেকটি পরিবারে একটি করে আদর্শ খামার ও বাগান তৈরি করতে চাই। কাজিমহল্লা, কামটা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে আমি সেটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। তাছাড়া আমার ইউনিয়নের সকল পরিবারকে একটি বাড়ি একটি খামার তৈরি করা লক্ষে আমি সংগ্রাম করে চলেছি। এসময় ইউপি সচিব নারায়ন চন্দ্র অধিকারী ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যা আরুতি রানী, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য পরিতোষ বিশ্বাস, ৪নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল করিম, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য জগন্নাথ মন্ডল, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য নির্মল কুমার মন্ডল, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য হাফিজুর রহমানসহ ইউনিয়ন পরিষদের সকল গ্রাম পুলিশ ও স্থানী সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

Web 2মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: সাতক্ষীরা জেলার মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সন্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ  সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। সমন্বয় সভায় বক্তব্য রাখেন কমিটির উপদেষ্টা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. মনিরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এ.এন.এম মঈনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ. এফ. এম এহতেশামূল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে.এম আরিফুল হক,  সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ উৎপল কুমার দেবনাথ, এন.এস.আই’র সহকারী পরিচালক আনিসুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান, এল.জিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম শাহেদুর রহিম, সড়ক ও জনপদের  নির্বাহী প্রকৌশলী  মুহাম্মদ মনজুরুল করিম, পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী  মো. রাশিদুর রহমান,  পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর  নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্ব কুমার ভৌমিক, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোদাচ্ছের আলী,  সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শেখ অহেদুজ্জামান, দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গণি, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ আব্দুল সাদী, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তহমিনা খাতুন, বি আর টি এ’র তানভীর আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায়, তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন, আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার রবীন্দ্রনাথ দাস, জেলা সমাজ সেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেবাশিস সরদার, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তারাময়ী মূখার্জী, জেলা তথ্য অফিসার সিরাজুল হক মল্লিক, জেলার মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় বিভিন্ন বিভাগীয়, উন্নয়ন এবং ইনোভেটিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং জেলার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, সাতক্ষীরা পৌর সভার পানির প্লান কাজের দ্রুত করণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ, রাস্তা ঘাট সংস্কারসহ প্রধান প্রধান সিদ্ধান্ত সমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় সাতক্ষীরা জেলার মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
সংবাদ সম্মেলনে এড. চঞ্চল ও বিপুল

সংবাদ সম্মেলনে এড. চঞ্চল ও বিপুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: সোনা চোরাচারানী মিলনের সাথে নূন্যতম সম্পর্ক তো দূরের কথা তার সাথে পরিচয়ও নেই উল্লেখ করে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে প্রচ- হতাশা ব্যক্ত করেছেন সাতক্ষীরা জজ কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট চঞ্চল ও জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান বিপুল। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা প্রকাশিত সংবাদে নিজেদের নাম জড়ানোয় বিস্ময় প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাডভোকেট চঞ্চল। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট চঞ্চল ও জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক, ক্লিনিক ব্যবসায়ী শেখ শরিফুজ্জামান পরস্পর বন্ধু। বিগত ইউপি নির্বাচনে জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান বাশদহা ইউনিয়নের চেয়ানম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাড়ান। বন্ধু হিসেবে অ্যাডভোকেট চঞ্চল তার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় সক্রিয় ছিলেন। এতে স্থানীয় কুচক্রী মহল তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, যার অংশ হিসেবে সম্প্রতি পত্রিকায় সোনা চোরাচারানী মিলনের নামে প্রকাশিত সংবাদে তাদের নাম জড়ানো হয়েছে। অথচ সোনা চোরাচারানী মিলনের সাথে তাদের ন্যূনতম সম্পর্ক তো দূরের কথা পরিচয়ও নেই।
সংবাদ সম্মেলনে তারা যেন হয়রানির শিকার না হন সেজন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest
আদালতে চোরাকারবারী মলিন

আদালতে চোরাকারবারী মলিন

আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরার শীর্ষ স্বর্ণ চোরাকারবারী মিলন পাল ওরফে গোল্ডেন মিলনকে অবশেষে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে তাকে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আটক মিলন সদর উপজেলার মাগুরা গ্রামের দেবদাশ পালের ছেলে। এদিকে, পুলিশ তাকে শনিবার রাতে আটক করলেও পুলিশের খাতায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে রোববার রাতে। পুলিশ জানিয়েছে, রোববারা রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্যা জানান, গত শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুইগাছা সীমান্ত থেকে ভারতে পাচারের সময় ১৬ কেজি ৩১৮ গ্রাম স্বর্ণসহ আলিউজ্জামান নামের এক বহনকারীকে আটক করে বিজিবি। ওই সোনা চোরাচালানের ঘটনায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে মিলনপালকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করা হয়েছে। রিমান্ড শুনানির পর তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে তিনি আরো জানান। এদিকে, আটক আলিউজ্জামানকে (স্বর্র্ণ বহনকারী) ৩ দিনের রিমান্ডে এনে সদর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মিলনপাল গত ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত শহরের মিলবাজার রামপ্রসাদ দত্তের জুয়েলারী দোকানের কর্মচারী ছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে শহরের নাজমুল সরণিতে দীগন্ত মার্কেটে শিল্পী জুয়েলার্সে কর্মচারী হিসেবে যোগাদন করেন। শিল্পী জুয়েলারির কর্মচারী হতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী হয়ে যান মিলনপাল। মিলন জুয়েলার্স নামে শহরের নাজমুল সরণিতে জুয়েলারি ব্যবসা করতে থাকেন তিনি।
সম্প্রতি মিলন পাল আলাউদ্দীনের আশ্চর্য প্রদীপের মতো, আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন। মাগুরা গ্রামসহ সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিলনপালের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠে এসেেেছ। মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালান এবং হুন্ডির টাকা এপার ওপার করার আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেট এখন তার হাতে। রাজধানী ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে শুরু করে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিলন পাল বিলাসবহুল মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার যোগে স্বর্ণের বড় বড় চালান পাচার করে থাকেন। আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাকারবারী ভারতের বারী বিশ্বাসের কাছেও তিনি স্বর্ণ পাচার করে থাকেন। ২০০৫ সালের মিলন পাল ২০১৬ সালে এসে হয়েছেন গোল্ডেন মিলন। মাদক, হুন্ডি এবং স্বর্ণ চোরাচালানী পরিচালনা করে মিলনপাল শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।
সমগ্র সাতক্ষীরা জেলার মানুষ বিগত প্রায় ২ বছরের বেশি সময় বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করেছে কী নির্লজ্জতার সাথে তৎকালীন জেলার আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এই মিলন ও তার চোরাচালানী চক্রকে আইনের বাইরে রেখেছিলেন।
বর্তমান পুলিশ সুপারের দৃঢ়তায় অবশেষে শীর্ষ এই স্বর্ণ চোরাকারবারী আইনের জালে ধরা পড়ায় পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে বলে সচেতন মহলের ধারণা।

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পৌরসভার অসহায় দুস্থদের মাঝে জি.আর ও ভি.জি.এফ কর্মসূচি’র চাউল বিতরণ করা হয়েছে। সাতক্ষীরা পৌরসভার অধীনে ৪,৬২১ টি পরিবারে ১০ কেজি করে ৪৬.২শ১০ মেঃ টন চাউল বিতরণ করা হবে। এছাড়া ৬০০টি পরিবারের মাঝে ৬মেঃ টন চাউল বিতরণ করা হবে। সোমবার সকালে এ চাল বিতরণ শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, পৌর কাউন্সিলর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ দৌলা সাগর, ফারহা দিবা খান সাথী, স্টোর কিপার মীর নাছের আলী, ফারুক হোসেন, শাহীনুর রহমান প্রমুখ। ঈদুল আযহা উপলক্ষে পৌরসভার দুস্থদের মাঝে ভি.জি.এফ ও জি.আর এর চাউল বিতরণ শুরু হয়েছে।’

0 মন্তব্য
0 FacebookTwitterGoogle +Pinterest